এসএসসি-বাংলা প্রথম-জুতা-আবিষ্কার-সাজেশন

এসএসসি-বাংলা ১ম পত্র নোট

জুতা-আবিষ্কার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [১৮৬১১৯৪১]

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

  • কবি সম্পর্কিত তথ্য

জন্ম: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।

এসএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর pdf পেতে এখানে ক্লিক করুন

মৃত্যু : তিনি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট (১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ) কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন ।

পিতা, পিতামহ : পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ।

শিক্ষা: পড়াশোনার জন্য রবীন্দ্রনাথকে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি— এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয়েছিল, ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলেতেও পাঠানো হয়েছিল কিন্তু কোনোটিই শেষ করেননি তিনি ।

বিবিধ পরিচয়: রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর । তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, চিত্রকর, অভিনেতা, নাট্য প্রযোজক ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত।

সাহিত্যিক পরিচয়: সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণা। কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, পত্রসাহিত্য, ভ্রমণসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখা এবং সংগীত, চিত্রকলা ইত্যাদি শিল্পমাধ্যম তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে। তিনি বাংলা ছোটগল্পের জনক।

এসএসসি সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

ছদ্মনাম: ভানুসিংহ ঠাকুর।

প্রথম প্রকাশ: ‘বনফুল’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এ গ্রন্থটি মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত হয়।

  • উল্লেখযোগ্য রচনা:

কাব্য: মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, কল্পনা, ক্ষণিকা, নৈবেদ্য, খেয়া, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পুনশ্চ, পত্রপুট, শ্যামলী, সেঁজুতি।

ছোটগল্প: গল্পগুচ্ছ (চার খণ্ড)।

উপন্যাস: চোখের গোরা, ঘরে বাইরে, চার অধ্যায়, যোগাযোগ, শেষের কবিতা।

নাটক: বিসর্জন, ডাকঘর, রক্তকরবী, রাজা, অচলায়তন।

প্রবন্ধ: বিচিত্র প্রবন্ধ, কালান্তর।

ভ্রমণসাহিত্য: পারস্যে, রাশিয়ার চিঠি।

গানের সংকলন: গীতবিতান।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

উপাধি: বিশ্বকবি, কবিগুরু। এ ছাড়া ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইট’ উপাধি দেয়। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ উপাধি তিনি বর্জন করেন।

পুরস্কার: রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলী’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ।

  • কবিতা সম্পর্কিত তথ্য

উৎস পরিচিতি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতাটি তাঁর ‘কল্পনা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে ।

মূলবক্তব্য: কবিতাটির মূল উপজীব্য হলো ধুলাবালি থেকে রাজার পা দুটিকে মুক্ত রাখার নানা প্রসঙ্গ। রাজা মন্ত্রীদের রাজ্য থেকে ধুলাবালি দূর করার নির্দেশ দিলে মন্ত্রীগণ রাজ্যের ধুলাবালি ঝাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এতে রাজ্য ধুলোয় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। রাজার আদেশ মানতে গিয়ে সভাসদগণ অন্য কোনো উপায় খুঁজে পান না । অবশেষে রাজ্যের এক বয়স্ক চর্মকার রাজার পা চামড়া দিয়ে ঢেকে দেয় । এতে রাজার পা ধুলোবালি থেকে মুক্তি পায় ৷

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

রূপশ্রেণি: ‘জুতা-আবিষ্কার’ একটি কবিতা ।

ভাষা গদ্যরীতি: কবিতাটি সাধু ভাষায় রচিত।

• জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর •

প্রশ্ন. ‘জুতাআবিষ্কারকবিতায় রাজার নাম কী?

উত্তর: ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় রাজার নাম হবু ।

প্রশ্ন-২. ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?

উত্তর: ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতাটি ‘কল্পনা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।

প্রশ্ন. রাজা কাকে ডাকছেন?

উত্তর: রাজা মন্ত্রী গোবুরায়কে ডাকছেন ।

প্রশ্ন. মলিন ধুলা লাগে কোথায়?

উত্তর: মলিন ধুলা লাগে রাজার পায়ে ।

প্রশ্ন. রাজার কথায় কার মুখ চুন হলো?

উত্তর: রাজার কথায় পণ্ডিতের মুখ চুন হলো ।

প্রশ্ন. রাজার কথায় কোথায় কান্নাকাটি পড়ে গেল?

উত্তর: রাজার কথায় বাড়ির মধ্যে কান্নাকাটি পড়ে গেল ।

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন. হবু অশ্রুজলে কী ভাসাল ?

উত্তর: হবু অশ্রুজলে পাকা দাড়ি ভাসাল ।

প্রশ্ন. রাজা পদধূলির তত্ত্ব ভাবার আগে কী করতে বললেন?

উত্তর: রাজা পদধূলির তত্ত্ব ভাবার আগে ধুলা দূর করতে বললেন।

প্রশ্ন. কত পিপে নস্য ফুরিয়ে গেল?

উত্তর: উনিশ পিপে নস্য ফুরিয়ে গেল।

প্রশ্ন১০. ধুলা দূর করতে কত লক্ষ ঝাঁটা কেনা হয়েছিল?

উত্তর: ধুলা দূর করতে সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কেনা হয়েছিল।

প্রশ্ন১১. রাজ্যের লোক কেশে মরছে কেন?

উত্তর: রাজ্যের লোক কেশে মরছে ধুলার জন্য ।

প্রশ্ন১২. মশক কাঁখে কে এলো?

উত্তর: মশক কাঁখে এলো একুশ লাখ ভিস্তি ।

প্রশ্ন১৩. রাজ্যের জলের জীব মরল কেন?

উত্তর: রাজ্যের জলের জীব মরল পানির অভাবে।

প্রশ্ন১৪. রাজ্যের গুণবানেরা চোখে কী দেখল?

উত্তর: রাজ্যের গুণবানেরা চোখে সর্ষে দেখল ।

প্রশ্ন১৫. রাজ্য কী দিয়ে ঢাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?

উত্তর: রাজ্য ফরাশ দিয়ে ঢাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ।

প্রশ্ন১৬. রাজা দিন রাত ঘর বন্ধ থাকলে রাজ্য কী হবে?

উত্তর: রাজা দিন রাত ঘর বন্ধ থাকলে রাজ্য মাটি হয়ে যাবে।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন১৭. ‘জুতা আবিষ্কারকবিতায় কী দিয়ে পৃথিবী ঢেকে দিতে চায় ?

উত্তর: ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় চামড়া দিয়ে পৃথিবী ঢেকে দিতে চায় ।

প্রশ্ন১৮. জুতা আবিষ্কার করেছে কে?

উত্তর: চামার দলনেতা জুতা আবিষ্কার করেছে।

প্রশ্ন১৯. জুতা আবিষ্কারককে মন্ত্রী কোথায় আটকে রাখার হুকুম দেয়?

উত্তর: জুতা আবিষ্কারককে মন্ত্রী কারাগারে আটকে রাখার হুকুম দেয়।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন. রাজা সারারাত ঘুমাতে পারেননি কেন?

উত্তর: হাঁটতে গেলে পায়ে কেন ধুলা লাগবে সে চিন্তায় রাজা সারারাত ঘুমাতে পারেননি।

রাজ্য দেখাশোনার কাজে রাজাকে রাজ্যে ভ্রমণ করতে হয়; কিন্তু তাঁর রাজ্যের মাটি তাঁর পায়েই ধুলা লাগিয়ে অনাসৃষ্টি করছে বলে তিনি মনে করেন। এই অনাসৃষ্টি তাঁর মতো রাজার সাথে কেন হচ্ছে ভেবে রাজা রাতে ঘুমাতে পারেননি।

প্রশ্ন. গোবুরায় কীভাবে রক্ষা পেল? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: জুতা আবিষ্কারে রাজার পায়ে ধুলা না লাগার ব্যবস্থা হলে গোবুরায় রক্ষা পেল ।

রাজা হাঁটতে গেলে তাঁর পায়ে কেন ধুলা লাগে সেটার প্রতিকার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন গোবুরায়সহ তাঁর রাজ্যের সভাসদদের। কিন্তু কেউই কোনো যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছিল না, গোবুরায়ও না। তখন এক বয়স্ক চর্মকার জুতা দিয়ে রাজার পা ঢেকে দিল। রাজাও শান্ত হলেন, আর গোবুরায় রক্ষা পেল ।

রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন. রাজা মন্ত্রীকে কী আদেশ করেন?

উত্তর: পায়ে যাতে ধুলা না লাগে সে ব্যবস্থা করতে রাজা মন্ত্রীকে আদেশ করেন।

পায়ে ধুলা লাগা নিয়ে চিন্তিত হয়ে রাজা মন্ত্রীকে ডাকেন এবং আদেশ করেন যাতে তাঁর পায়ে আর কোনোভাবেই ধূলা না লাগে। তাঁরই রাজ্যের ধুলা তাঁর পায়ে লাগবে এ অন্যায় তিনি মেনে নিতে পারছেন না।

প্রশ্ন. ‘ধরণী মাঝে চরণ ফেলা মাত্র!’- কথাটি রাজা কেন বলেছেন?

উত্তর: পৃথিবীর বুকে পা ফেলা মাত্র রাজার পায়ে ধুলা লাগে বোঝাতে রাজা তাঁর মন্ত্রীকে কথাটি বলেছেন।

রাজা অনেক চিন্তাভাবনার পর তাঁর মন্ত্রীকে ডেকে বলেছেন যে পৃথিবীতে রাজা পা ফেলার সাথে সাথে তার পায়ে ধুলা লাগে। তাঁর পায়ে যেন ধুলা না লাগে সে ব্যবস্থা করতে বলেন ।

প্রশ্ন. পায়ের ধুলা পাইব কী উপায়ে! বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: রাজার পায়ে যদি ধুলা না লাগে তাহলে সবাই রাজার পায়ের ধুলো কীভাবে নেবে সে অর্থে কথাটি বলা হয়েছে।

রাজা হবু তার মন্ত্রী গোবুরায়কে ডেকে জানায় তার পায়ে পৃথিবীর ধুলো যেন না লাগে সে ব্যবস্থা করতে। নিষ্কর্মা গোবুরায় অজুহাত দিয়ে বলে, রাজার পায়ে যদি ধুলোই না লাগবে তাহলে লোকে পায়ের ধুলো মাথায় নেবে কীভাবে?

প্রশ্ন. গোবুরায় দেশবিদেশের জ্ঞানী গুণী মন্ত্রীদের আনল কেন?

উত্তর: রাজার পায়ে পৃথিবীর ধুলো লাগার সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রী গোবুরায় দেশ-বিদেশের যত মন্ত্রী ছিল তাদের ডেকে আনে ।

রাজা হবু মন্ত্রী গোবুরায়কে আদেশ করেন এমন ব্যবস্থা করতে যাতে তাঁর পায়ে পৃথিবীর মলিন ধুলো না লাগে। মন্ত্রী গোবুরায় একথা শুনে যেন চোখে অন্ধকার দেখে। পরে এ সমস্যা সমাধান করতে দেশ- বিদেশ থেকে সব জ্ঞানীগুণী মন্ত্রীদের রাজ্যে নিয়ে আসে।

ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন. ‘ফুরায়ে গেল উনিশ পিপে নস্য’কেন ফুরাল ?

উত্তর: রাজা হবুর পায়ে ধুলো লাগার সমস্যা সমাধানের জন্য দেশ- বিদেশ থেকে আনা জ্ঞানী-গুণী মন্ত্রীদের আপ্যায়নে শেষ হয়ে গেল। রাজা হবু তাঁর পায়ে যেন ধুলো না লাগে সে ব্যবস্থা করতে বললে মন্ত্রী গোবু চোখে অন্ধকার দেখে। এ আদেশ পালন করতে সে দেশ বিদেশের সকল জ্ঞানী-গুণী মন্ত্রী রাজ্যে নিয়ে আসে। তাদের আপ্যায়নেই উনিশ পিপে নস্য শেষ হয়ে যায় ।

প্রশ্ন. হবুর আদেশে শস্য জন্মানো নিয়ে ভাবনার কারণ কী?

উত্তর: রাজা হবু পায়ে মাটি না লাগার ব্যবস্থা করতে বলায় অনেকে ভাবে পৃথিবীতে মাটি না থাকলে শস্য হবে কীভাবে?

রাজা হবু মন্ত্রী গোবুকে আদেশ করেন তাঁর পায়ে যেন ধুলো না লাগে সে ব্যবস্থা করতে। মন্ত্রী রাজার এই আদেশের সমাধান বের করতে যেখানে যত জ্ঞানী-গুণী যন্ত্রী ছিল তাদের যত্ন করে দেশে আনে। তাদের অনেকেই ভেবে বের করে যে পৃথিবীতে মাটি না থাকলে শস্য জন্মাবে না।

প্রশ্ন. ‘কিনিল ঝাঁটা সাড়ে সতেরো লক্ষ‘ – কেন?

উত্তর: রাজার আদেশে রাজ্য থেকে ধুলো দূর করতে সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কেনা হয়।

রাজা হবুর পায়ে যেন ধুলো না লাগে সে ব্যবস্থার আদেশ দিলে সবাই চোখে অন্ধকার দেখে। সব জ্ঞানী-গুণী মন্ত্রী একসাথে বসে ভেবে ঝাঁট দিয়ে ধুলো দূর করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তার জন্য সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কেনা হয়।

প্রশ্ন১০. রাজা হবুর রাজ্য ধুলোতে ভরে গেল কেন?

উত্তর: সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা দিয়ে রাজ্য ঝাঁট দেওয়ার ফলে ধুলো উড়তে থাকায় রাজ্য ধূলাতে ভরে যায়।

রাজা মন্ত্রী গোবুরায়কে তাঁর পায়ে ধুলো না লাগার ব্যবস্থা করতে বললে গোবুরায় সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কিনে রাজ্য ঝাঁট দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এতগুলো ঝাঁটা দিয়ে একসাথে ঝাঁট দেওয়ায় ধুলো উড়তে থাকে । সেই ধুলোতে পুরো রাজ্য অন্ধকার হয়ে যায়।

প্রশ্ন১১. ‘ধুলার বেগে কাশিয়া মরে লোক‘— বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: রাজার পায়ে ধুলো লাগার সমস্যা সমাধানে সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা দিয়ে রাজ্য ঝাঁট দেওয়ায় ধুলোতে সব অন্ধকার হয়ে যায় এবং রাজ্যের সবাই কাশতে থাকে।

পদার্থ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

রাজা তাঁর পায়ে ধুলো লাগার সমস্যার সমাধান করতে বললে তা নিয়ে মন্ত্ৰী রাজ্যের পণ্ডিতদের সঙ্গে সভা করে ঝাঁটা দিয়ে ধুলো ঝাঁট দেয় এবং এতে ধুলো উড়ে নানা বিপত্তি ঘটে। ধুলোয় রাজ্যের মানুষের কাশি শুরু হয়ে যায়।

প্রশ্ন১২. ‘নদীর জলে নাহিক চলে কিস্তি।‘- কেন ?

উত্তর: রাজ্যের ধুলো দূর করতে জলাশয় থেকে পানি তোলা হলে জলাশয় পানিশূন্য হয়ে যায়।

রাজা হবু তাঁর মন্ত্রী গোবুরায়কে ডেকে জানায় তাঁর পায়ে পৃথিবীর ধুলো যেন না লাগে সে ব্যবস্থা করতে। এ আদেশ পালনের জন্য মন্ত্রী তার রাজ্যের পণ্ডিতদের নিয়ে সভা করে জলাশয় থেকে পানি ঢেলে সর্বত্র কর্দমাক্ত করে ফেলে। জলাশয় প্রায় পানিশূন্য করে ফেলায় নৌকা বা জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রশ্ন১৩. ‘ডাঙ্গায় প্রাণী সাঁতার করে চেষ্টাকেন?

উত্তর: রাজ্যের ধুলো দূর করে জলাশয়ের পানি ডাঙায় ফেলায় ডাঙায় পানি জমে কাদা হয়ে যায়।

রাজা হবুর নির্দেশে রাজ্যের ধুলো দূর করতে জলাশয় থেকে পানি তুলে ডাঙায় ফেলা হলে ডাঙায় পানি জমে যায়। কাদায় সাধারণ জীবনযাপন বাধাপ্রাপ্ত হয়। অবস্থা এমন হয়ে যায় যে ডাঙায়ও সাঁতার দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

প্রশ্ন১৪. চর্মকারদের দলপতি কী বুদ্ধি দিল?

উত্তর : চর্মকারদের দলপতি বুদ্ধি দিল যে পুরো পৃথিবীকে ঢেকে না দিয়ে শুধু রাজার পা ঢেকে দিতে।

রাজার পায়ে ধুলো না লাগার জন্য সর্বশেষে ভাবা হয় পুরো পৃথিবীকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার। তা শুনে চর্মকারদের দলপতি বুদ্ধি দেয় রাজার পা দুটো চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে।

তথ্যকণিকা

১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন— ১৮৬১ সালের ৭ই মে।

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম — কলকাতার জোড়াসাঁকোয়।

৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা — মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম — প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।

৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয় — মাত্র পনোরো বছর বয়সে।

৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডনে যান — সতেরো বছর বয়সে।

৭. এশীয়দের মধ্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান — ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য।

জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান — ১৯১৩ সালে।

১০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন — ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট ।

১১. ‘পদধূলির তত্ত্ব’ রাজাকে দিয়েছিল — মন্ত্রী।

১২. মন্ত্রীরা সভায় বসেছিল — চশমা চোখে দিয়ে।

১৩. কারো রক্ষা থাকবে না — ধুলার প্রতিকার করতে ব্যর্থ হলে।

১৪. সকলে যুক্তি করে ঝাঁটা কিনেছিল — সাড়ে সতেরো লক্ষ ।

১৫. ধুলার মাঝে উহ্য হয়েছিল — নগর।

১৬. ধুলার বদলে কাদা সৃষ্টি করায় রাজা সকলকে — গাধা বলেছিলেন ।

১৭. সমগ্র পৃথিবী চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় — মন্ত্রীবর্গ।

১৮. রাজার চরণ ঢাকার পরামর্শ দেয় — চর্মকার কুলপতি।

১৯. চর্মকারকে শুলে বিধে রুদ্ধ করার পরামর্শ দেয় — মন্ত্রী।

২০. রাজার পা চামড়ার আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল — চর্মকার।

২১. ‘পুষিনু’ শব্দের অর্থ — লালন-পালন করি।

২২. ‘ভিস্তি’ বলতে বোঝায় — পানি বহনের জন্য চামড়ার তৈরি থলি।

২৩. ‘কিস্তি’ বলতে বোঝায়— নৌকা বা জলযান।

২৪. ‘পাক’ হলো — কাদা।

জীববিজ্ঞান ত্রয়োদশ অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৫. ‘পিপে’ শব্দের অর্থ — ঢোলের আকৃতি বিশিষ্ট কাঠের তৈরি পাত্র।

২৬. ‘মহী’ বলতে বোঝায়— পৃথিবীকে।

২৭. ‘চামার’ হলো— মুচি বা চর্মকার।

২৮. ‘কুলপতি’ শব্দের অর্থ — বংশপ্রধান।

২৯. ‘মাহিনা’ অর্থ — পারিশ্রমিক।

৩০. ‘রন্ধ্র’ শব্দের অর্থ — ছিদ্র।

৩১. ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতাটির রচয়িতা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৩২. ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতাটি সংকলন করা হয়েছে — ‘কল্পনা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে ।

৩৩. কবিতাটির মূল উপজীব্য — ধুলাবালি থেকে রাজার পা দুটো মুক্ত রাখার নানা কৌশল ।

৩৪. রাজা তাঁর মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন — রাজ্য থেকে ধুলাবালি দূর করার ।

৩৫. রাজ্যের ধুলাবালি ঝাঁট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন — মন্ত্রীগণ।

৩৬. রাজ্য ধুলোয় পরিপূর্ণ হয়ে যায় — ঝাঁট দেওয়ার কারণে।

৩৭. রাজার পদযুগল ঢেকে দেওয়া হয় — চামড়া দিয়ে।

ICT চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩৮. রাজার পদযুগল চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার বৃদ্ধি দেয় — রাজ্যের এক বয়স্ক চর্মকার।

৩৯. চর্মকারের বৃদ্ধিতে রাজার পা ধূলির স্পর্শ থেকে মুক্তি পায়।

৪০. রাজার আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়— রাজ্যের সভাসদ।

কবিতাটির ঘটনা বিষয়বস্তুর খুঁটিনাটি

  • ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় রাজার নাম- হবু মন্ত্রীর নাম — গোবু।
  • এ কবিতায় জ্ঞানী-গুণী ও যন্ত্রীরা ভোগ করেছে— উনিশ পিপে নস্য ।
  • ঝাঁট দেওয়ার জন্য ঝাড়ু কেনা হয়েছে— সাড়ে সতেরো লক্ষ ।
  • জল ঢালার জন্য মশক কাঁখে ছুটে এসেছে— একুশ লাখ ভিস্তি।
  • শেষ পর্যন্ত ধুলা সমস্যার সমাধান করেছে— চামার-কুলপতি।
  • রাজা তাঁর নিজের পায়ে ধুলা লাগার প্রতিকার করতে নির্দেশ দেন— মন্ত্রীকে।
  • এ কবিতায় ব্যবহৃত ‘পা’ শব্দের কয়েকটি প্রতিশব্দ হলো— চরণ, পাদপদ্ম, পদ।

রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

  • এ কবিতায় ব্যবহৃত ‘পৃথিবী’ শব্দের কয়েকটি প্রতিশব্দ হলো— ধরণী, ধরা, মহী, পৃথ্বী, মাটি ।
  • ‘কুলপতি’ অর্থ— কুলশ্রেষ্ঠ।
  • ‘মহী’ শব্দের অর্থ — পৃথিবী।
  • ‘ফরাশ’ শব্দের অর্থ— মাদুর।
  • ‘কিস্তি’ শব্দের অর্থ— নৌকা।
  • ‘চামার’ শব্দের অর্থ — মুচি।
  • ‘নস্য’ শব্দের অর্থ— তামাক দ্রব্য।

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ?

ক. ১৮৬১                                খ. ১৯১৩

গ. ১৯১৪                                 ঘ. ১৯৪১

উত্তর: খ. ১৯১৩

২. পণ্ডিতের মুখ চুন হয়েছিল কেন?

ক. মৃত্যুর ভয়ে ভীত হওয়ায়

খ. দায়িত্বে অবহেলা করায়

গ. করণীয় খুঁজে না পাওয়ায়

ঘ. মন্ত্রীর আদেশ শুনে

উত্তর: গ. করণীয় খুঁজে না পাওয়ায়

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও:

বন্ধু এন্টিনিওর জন্য জামিন হয়ে বাসানিও সুদখোর শাইলকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ধার আনে। এ সময় শর্তে উল্লেখ থাকে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত টাকা ফেরৎ দানে ব্যর্থ হলে শাইলক বাসানিওর বুকের এক পাউন্ড মাংস কেটে নিবে। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার সুযোগে শাইলক আদালতে যায়। অসহায় বোধ করে বাসানিও। এমন সময় এক তরুণ উকিল বলেন, শাইলক ঠিক এক পাউন্ড মাংস কাটতে পারবেন— কমবেশি নয় এবং শর্তে উল্লেখ না থাকায় কোনো রক্ত ঝরাতে পারবে না ।

. উদ্দীপকের তরুণ উকিলের সাথেজুতা আবিষ্কারকবিতার কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে তা হলো

ক. হবু                                     খ. গোবু

গ. পণ্ডিত                                ঘ. চামার

উত্তর: ঘ. চামার

পদার্থ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে জন্মগ্রহণ করেন?

ক. ২৫শে বৈশাখ ১২৬৫ বঙ্গাব্দে

খ. ২৫শে বৈশাখ ১২৬৬ বঙ্গাব্দে

গ. ২৫শে বৈশাখ ১২৬৭ বঙ্গাব্দে

ঘ. ২৫শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে

উত্তর: ঘ. ২৫শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থবনফুলকত বছর বয়সে প্রকাশিত হয়?

ক. ১২ বছর বয়সে                  খ. ১৫ বছর বয়সে

গ. ১৬ বছর বয়সে                  ঘ. ১৮ বছর বয়সে

উত্তর: খ. ১৫ বছর বয়সে

৬. কোন কাব্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

ক. সোনার তরী                       খ. বলাকা

গ. চিত্রা                                   ঘ. গীতাঞ্জলি

উত্তর: ঘ. গীতাঞ্জলি

. ‘শেষের কবিতারবীন্দ্রনাথের কোন ধরনের রচনা?

ক. নাটক                                খ. কাব্য

গ. উপন্যাস                            ঘ. গল্পগ্রন্থ

উত্তর: গ. উপন্যাস

৮. বিসর্জনরবীন্দ্রনাথের কোন ধরনের রচনা?

ক. উপন্যাস                            খ. গল্পগ্রন্থ

গ. নাটক                                 ঘ. কাব্য

উত্তর: গ. নাটক

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?

ক. বলাকা                               খ. ক্ষণিকা

গ. মানসী                                ঘ. বনফুল

উত্তর: ঘ. বনফুল

১০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

ক. ৪০ বছর                            খ. ৪৮ বছর

গ. ৫২ বছর                             ঘ. ৬১ বছর

উত্তর: গ. ৫২ বছর

১১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?

ক. ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে                   খ. ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে

গ. ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে                  ঘ. ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে

উত্তর: গ. ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে

১২. ‘জুতা আবিষ্কারকবিতায় হবু গোবুরায়ের সম্পর্ক কী?

ক. শিক্ষক ও ছাত্র                   খ. কর্মকর্তা ও কর্মচারী

গ. মনিব ও ভৃত্য                     ঘ. রাজা ও মন্ত্রী

উত্তর: ঘ. রাজা ও মন্ত্রী

১৩. মন্ত্রী কার কথা শুনে চোখে আঁধার দেখল?

ক. পন্ডিতের                           খ. ভূত্যের

গ. রাজার                                ঘ. চর্মকার কুলপতির

উত্তর: গ. রাজার

১৪. কে জুতা আবিষ্কার করে?

ক. রাজা                                  খ. চর্মকার

গ. মন্ত্ৰী                                    ঘ. বৈজ্ঞানিক

উত্তর: খ. চর্মকার

বাংলা দ্বিতীয় সমাস বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

১৫. চামার কুলপতি রাজার কাছে কীভাবে তার প্রস্তাব পেশ করল?

ক. কেঁদে কেঁদে                      খ. চিৎকার করে

গ. ঈষৎ হেসে                        ঘ. কর জোড়ে

উত্তর: গ. ঈষৎ হেসে

১৬. রাজার চর এদিকসেদিক ছুটল কেন?

ক. চর্মকার ও চর্মের খোঁজে

খ. পণ্ডিত ব্যক্তিদের খোঁজে

গ. বৈজ্ঞানিকের খোঁজে

ঘ. সৈন্যদের ভয়ে

উত্তর: ক. চর্মকার ও চর্মের খোঁজে

১৭. চামার কুলপতির কথা শুনে মন্ত্রী কী বলেছিল?

ক. বেশ, তোমার প্রস্তাবে আমি খুশি

খ. আমার সম্মুখ থেকে দূর হয়ে যাও

গ. বেটাকে শূলে বিধে কারার মাঝে রুদ্ধ করো

ঘ. কাজ করো, অনেক পুরস্কার পাবে

উত্তর: গ. বেটাকে শূলে বিধে কারার মাঝে রুদ্ধ করো

১৮. জুতা আবিষ্কার হওয়ায় কে বাঁচল?

ক. গোবু                                  খ. পণ্ডিত

গ. প্ৰজা                                   ঘ. ভৃত্য

উত্তর: ক. গোবু

১৯. মন্ত্রী পণ্ডিতদের সভায় কী পরিমাণনস্যফুরাল?

ক. ১০ কেজি                          খ. ২২ বোতল

গ. ১৯ পিপে                            ঘ. ৩০ পাউন্ড

উত্তর: গ. ১৯ পিপে

২০. ধুলা বন্ধ করতে মন্ত্রী কাদের নিয়ে সভা করল?

ক. কৃষক, শ্রমিক ও কর্মী

খ. কর্মকার, চামার ও মেথর

গ. শিল্পী, সাহিত্যিক ও কবি

ঘ. জ্ঞানী, গুণী ও মন্ত্রী

উত্তর: ঘ. জ্ঞানী, গুণী ও মন্ত্রী

২১. ‘ডাঙার প্রাণী সাঁতার করে চেষ্টাকেন?

ক. জলাশয়ের জল ডাঙায় তোলার কারণে

খ. ভাঙার প্রাণী সাঁতার শিখতে চায় বলে

গ. রাজ্যে অকস্মাৎ বন্যা আসার কারণে

ঘ. রাজার আদেশ পালন করতে

উত্তর: ক. জলাশয়ের জল ডাঙায় তোলার কারণে

২২. সকলে যুক্তি করে কতগুলো ঝাঁটা কিনেছিল?

ক. সাড়ে পনেরো লক্ষ

খ. সাড়ে সতেরো লক্ষ

গ. সাড়ে একুশ লক্ষ

ঘ. সাড়ে আটাশ লক্ষ

উত্তর: খ. সাড়ে সতেরো লক্ষ

বিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

২৩. কীসের মাঝে নগর উহ্য হলো?

ক. কাদার মাঝে                      খ. ধুলার মাঝে

গ. ধোঁয়ার মাঝে                      ঘ. অন্ধকারে

উত্তর: খ. ধুলার মাঝে

২৪. রাজার মুখ বক্ষ কীসে ভরে গেল?

ক. সুগন্ধিতে                           খ. আনন্দে

গ. খুশিতে                               ঘ. পথের ধুলায়

উত্তর: ঘ. পথের ধুলায়

২৫. রাজা পণ্ডিতদের গাধা বললেন কেন?

ক. ধুলা বন্ধ করতে না পারায়

খ. উনিশ পিপে নস্য ফুরিয়ে যাওয়ায়

গ. ধুলার পরিবর্তে কাদা সৃষ্টি করায়

ঘ. লক্ষ লক্ষ কাঁটা কিনে আনায়

উত্তর: গ. ধুলার পরিবর্তে কাদা সৃষ্টি করায়

২৬. জলের জীব মরল কেন?

ক. জলের অভাবে                  খ. বিষক্রিয়ায়

গ. খাদ্যের অভাবে                  ঘ. প্রচণ্ড গরমে

উত্তর: ক. জলের অভাবে

২৭. চামার কুলপতি ধূলা না লাগার উপায় হিসেবে কী করতে বললেন?

ক. রাজ্য মাদুরে ঢাকতে বললেন

খ. নিজের চরণ ঢাকতে বললেন

গ. রাজ্য চামড়া দিয়ে ঢাকতে বললেন

ঘ. গোটা রাজ্য ঝাঁট দিতে বললেন

উত্তর: খ. নিজের চরণ ঢাকতে বললেন

২৮. মাথা ঘুরে পণ্ডিতেরা চোখে কী দেখল?

ক. অন্ধকার                            খ. আশার আলো

গ. সর্ষে                                    ঘ. সম্ভাবনা

উত্তর: গ. সর্ষে

২৯. রাজা দিনে রাতে ঘরে বন্ধ থাকলে কী হবে?

ক. রাজ্যে যুদ্ধ বাধবে

খ. বিদ্রোহ দেখা দেবে

গ. রাজ্য মাটি হবে

ঘ. কর্মচারীরা ফাঁকি দেবে

উত্তর: গ. রাজ্য মাটি হবে

৩০. পণ্ডিতদের মতে, রাজার পায়ে কখন ধুলা লাগবে না?

ক. রাজা ঘরে বন্ধ থাকলে

খ. রাস্তার ফরাস বিছিয়ে হাঁটলে

গ. ঘোড়ায় চড়ে বেড়ালে

ঘ. ধুলায় পা না দিলে

উত্তর: ঘ. ধুলায় পা না দিলে

৩১. কালকে রাজা কখন ভেবেছেন?

ক. সকালবেলা                        খ. সারাদিন

গ. সারারাত                             ঘ. দুপুরবেলা

উত্তর: গ. সারারাত

৩২. রাজা মন্ত্রীকে পরের কথা কখন ভাবতে বললেন?

ক. আগে                                 খ. এখনই

গ. ভবিষ্যতে                            ঘ. পরে

উত্তর: ঘ. পরে

৩৩. মন্ত্রী কার কথা শুনে চোখে আঁধার দেখে?

ক. পণ্ডিতের                           খ. পত্নীর

গ. রাজার                                ঘ. মুচির

উত্তর: গ. রাজার

বাংলা প্রথম পত্র-শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩৪. রাজার মতে, তাঁর কাজে কাদের দৃষ্টি নেই?

ক. মন্ত্রীদের                             খ. প্রজাদের

গ. ভৃত্যদের                            ঘ. বেগমদের

উত্তর: ক. মন্ত্রীদের

৩৫. রাত্রে কাদের নিদ্রা নেই?

ক. প্রজাদের                            খ. পাত্রদের

গ. শিশুদের                            ঘ. গৃহিণীদের

উত্তর: খ. পাত্রদের

৩৬. গোবুর মতে রাজার পায়ে ধুলা না লাগলে কী হবে?

ক. পা পরিষ্কার থাকবে

খ. পায়ে ধুলা পাওয়া যাবে না

গ. জুতার প্রয়োজন হবে না

ঘ. পা ধোয়ার প্রয়োজন হবে না

উত্তর: খ. পায়ে ধুলা পাওয়া যাবে না

৩৭. রাজা মন্ত্রীকে কোন বিষয়ে পরে ভাবতে বললেন?

ক. খাজনা আদায়ের উপায়

খ. পদধূলির তত্ত্ব

গ. প্রজাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য

ঘ. নিজের আরাম-আয়েশ

উত্তর: খ. পদধূলির তত্ত্ব

৩৮. কোথায় কান্নাকাটি পড়ে গেল?

ক. রাজ্যের মধ্যে                    খ. গ্রামের মধ্যে

গ. ঘরের মধ্যে                         ঘ. বাড়ির মধ্যে

উত্তর: ঘ. বাড়ির মধ্যে

৩৯. পুকুরে বিলে শুধু কী রইল?

ক. হাঁস                                    খ. পাঁক

গ. মাছ                                    ঘ. জল

উত্তর: খ. পাঁক

৪০. কোথায় বেচাকেনা চলল?

ক.হাটে বাজারে                      খ.গ্রামে-গঞ্জে

গ. পাঁকের তলে                       ঘ. রাস্তাঘাটে

উত্তর: গ. পাঁকের তলে

৪১. ‘কেমনেপেরেছে সেটা জানতে শূন্যস্থানে কোনটি হবে?    

ক. বুড়ো                                  খ. বাপু

গ. বেটা                                   ঘ. যেনো

উত্তর: গ. বেটা

৪২. ‘এই নিয়েছে নিল যাঃ। কান নিয়েছে চিলে, চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।‘- এখানেজুতা আবিষ্কারকবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হচ্ছে

i. অকর্মণ্যতা

ii. কাণ্ডজ্ঞানহীনতা

iii. চাটুকারিতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii 

৪৩. ‘যদি না ধুলা লাগিবে তব পায়, পায়ের ধুলা পাইব কী উপায়ে।মন্ত্রীর একথায় প্রকাশ পেয়েছে তার

i. অকর্মণ্যতা

ii. অজুহাত

iii. চাতুরতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii 

৪৪. ‘ধূলির মহী ঝুলির মাঝে ঢাকি/ মহীপতির রহিবে মহাকীর্তি‘— মন্ত্রীবর্গের কথার মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাদের

i. চাটুকারিতা

ii. অনুকরণপ্রিয়তা

iii. কাণ্ডজ্ঞানহীনতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii  

বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৪৫. ‘আমারো ছিল মনে/ কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে মন্ত্রীর কথায় প্রকাশ পায়

i. দায়িত্বে অবহেলা

ii. কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা

iii. নীচু শ্রেণির প্রতি অবহেলা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

৪৬. রাজা সারারাত ধরে ভেবেছেন

i. মলিন ধুলো কেন তার পায়ে লাগে

ii. পায়ে ধুলা না লাগার উপায়

iii. মন্ত্রীরা কাজ না করে বেতন নেয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii 

৪৭. রাজার মতে, মন্ত্রীরা

i. বসে বসে শুধু বেতন নেয়

ii. কাজের পরিবেশ নষ্ট করে

iii. রাজার প্রতি লক্ষ রাখে না

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii  

৪৮. ‘জুতা আবিষ্কারকবিতায়অনাসৃষ্টিহলো

i. রাজার পায়ে ধুলো লাগা

ii. মন্ত্রীদের দায়িত্বে অবহেলা

iii. রাজার প্রতি মন্ত্রীদের দৃষ্টি না দেওয়া

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৪৯. গোবু রায়ের শরীরে ঘাম ঝরে

i. রাজার ভয়ে

ii. রাজার পায়ে ধুলো লাগার প্রতিকার চিন্তায়

iii. অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৫০. ‘জুতা আবিষ্কারকবিতার রাজার ভয়ে

i. পণ্ডিতের মুখ চুন হলো

ii. পাত্রদের রাতের ঘুম হারাম হলো

iii. বাড়ির মধ্যে কান্নাকাটির রোল পড়ে গেল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

বাংলা দ্বিতীয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

৫১. সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কেনা হয়েছিল

i. পথের ধুলা পরিষ্কারের জন্য

ii. ধুলা সমস্যার সমাধান করতে

iii. রাজার পায়ের ধুলা দূর করার জন্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii 

নিচের চরণ দুটি পড়ে ৫২ ৫৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

‘নিজের দুটি চরণ ঢাকো তবে,

ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’

৫২. উল্লিখিত পদ্ধতির সাথে কোন প্রবাদটির ভাবগত মিল রয়েছে?

ক. আপনি বাঁচলে বাপের নাম

খ. আপ ভালো তো জগৎ ভালো

গ. চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা

ঘ. নাই মামার চেয়ে কানা মামাও ভালো

উত্তর: খ. আপ ভালো তো জগৎ ভালো

৫৩. পঙক্তির বক্তব্য দ্বারা

i. মূল সমস্যার সমাধান হয়েছে

ii. গোবুর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় ফুটে উঠেছে

iii. জুতা আবিষ্কারের তত্ত্ব মিলেছে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii  

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৪৫৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

গ্রামের লোকজন এক দাগী চোরকে ধরে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে নিয়ে এলেন। চেয়ারম্যান চোরটিকে থানায় সোপর্দ করার জন্য চৌকিদারকে নির্দেশ দিলেন। চৌকিদার এতে নানা অজুহাত দেখালে চেয়ারম্যান তাকে ধমক দিয়ে দায়িত্ব পালনে নির্দেশ দেন।

৫৪. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথেজুতা আবিষ্কারকবিতার কোন পঙক্তিদ্বয়ের মিল রয়েছে?

ক. এমনি সব গাধা,

ধূলারে মারি করিয়া দিল কাদা

খ. শীঘ্র এর করিবে প্রতিকার,

নহিলে কারো রক্ষা নাহি আর

গ. আগের কাজ আগে তো তুমি সারো,

পরের কথা ভাবিও পরে আরো

ঘ. তাই যদি না হবে,

পণ্ডিতেরা রয়েছে কেন তবে

উত্তর: গ. আগের কাজ আগে তো তুমি সারো,

পরের কথা ভাবিও পরে আরো

৫৫. উদ্দীপকে চেয়ারম্যানের চরিত্রে ফুটে উঠেছে

i. আইনের প্রতি শ্রদ্ধা

ii. চোরের প্রতি অবজ্ঞা

iii. নিজের দায়িত্বশীলতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii  

৫৬. উদ্দীপকে চৌকিদারের চরিত্রের সাথেজুতা আবিষ্কারকবিতায় কোন চরিত্রের মিল আছে?

ক. রাজার                                খ. পন্ডিতের

গ. মন্ত্রীর                                 ঘ. চামার কুলপতির

উত্তর: গ. মন্ত্রীর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৭৫৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

তালুকদার সাহেব মশার অত্যাচারে রাতে ঘুমাতে পারেন না। অনেক ভেবে সারা রাত মশা তাড়ানোর কাজে একজন ভৃত্য নিযুক্ত করলেন। তালুকদার পত্নী তখন কিছু পাতলা কাপড় ও সুই সুতার সাহায্যে একটি চৌকোনা আবরণ তৈরি করে বিছানায় টান্ডিয়ে দিলেন এবং ভৃত্যকে বিদায় করলেন।

৫৭. উদ্দীপকে কার মধ্যে চামার কুলপতির প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে?

ক. তালুকদার পত্নী                 খ. তালুকদার

গ. ভৃত্য                                   ঘ. তালুকদার ও ভৃত্য

উত্তর: ক. তালুকদার পত্নী

পদার্থ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৫৮. তালুকদার পত্নীর ব্যবস্থায়

i. শ্রম কমল

ii. ব্যয় কমল

iii. তালুকদারের ঘুম কমল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৫৯. উদ্দীপকের তালুকদার চরিত্রটিজুতা আবিষ্কারকবিতার কোন চরিত্রের সাথে মিলে যায়?

ক. রাজার                               খ. চামার

গ. কুলপতির                           ঘ. কর্মচারীর

উত্তর: ক. রাজার

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬০ ৬১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

এক বাবু নৌকা করে নদী পার হওয়ার সময় মাঝিকে নানা প্রশ্ন করছেন। সূর্য ওঠে কেন, চাঁদ বাড়ে কমে কেন, জোয়ার আসে কেন ইত্যাদি। মাঝি প্রশ্নের উত্তর দানে ব্যর্থ হওয়ায় বাবু মাঝিকে তিরস্কার করেন। এমন সময় ঝড় উঠে নৌকা ডুবে গেল। মাঝি সাঁতরে তীরে উঠলেও সাঁতার না জানায় বাবু ডুবে মরলেন।

৬০. উদ্দীপকের বাবু মাঝির চরিত্রেজুতা আবিষ্কারকবিতায় কোন কোন চরিত্রের প্রতিফলন দেখা যায়?

ক. রাজা ও মন্ত্রীর

খ. মন্ত্রী ও পণ্ডিতদের

গ. মন্ত্রী ও চামার কুলপতি

ঘ. রাজা ও চামার কুলপতি

উত্তর: গ. মন্ত্রী ও চামার কুলপতি

৬১. উদ্দীপকের ঘটনা জুতা আবিষ্কারের ঘটনা হতে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হচ্ছে

i. আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়

ii. ছোট বলে কাউকে অবহেলা করতে নেই

iii. ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬২ ৬৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

কোনো এক দেশের শিক্ষামন্ত্রী সে দেশের শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে নিতে বললে শিক্ষা সচিব বললেন, ‘স্যার বেতন বাড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। বেতন বেশি পেলে শিক্ষকদের মাথার চিন্তা কমে যাবে, এতে শিক্ষার মানও কমে যাবে।’ তার কথা শুনে মন্ত্রী বললেন, বাড়িয়ে দেখুন না শিক্ষার মান কমে না বাড়ে ।

৬২. উদ্দীপকের শিক্ষা সচিবের সাথেজুতা আবিষ্কারকবিতার মন্ত্রী গোবুর যে দিকটির মিল আছে তা হলো

i. দায় এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা

ii. নিজের কর্তৃত্ব জাহির করার মানসিকতা

iii. শিক্ষকদের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬৩. উদ্দীপকে মন্ত্রীর শেষ কথায়জুতা আবিষ্কারকবিতায় রাজার যে কথার মিল আছে তা হলো

ক. কিন্তু আগে বিদায় করো ধূলি

ভাবিয়ো পরে পদধূলির তত্ত্ব

খ. শীঘ্র এর করিবে প্রতিকার

নহিলে কারো রক্ষা নাহি আর

গ. তাই যদি না হবে

পণ্ডিতেরা রয়েছে কেন তবে

ঘ. এত কি হবে সিধে

ভাবিয়া ম’ল সকল দেশসুদ্ধ

উত্তর: ক. কিন্তু আগে বিদায় করো ধূলি

ভাবিয়ো পরে পদধূলির তত্ত্ব

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৪ ৬৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বলতেন, ‘একজন রাখাল বালকের কাছে আমার শেখার আছে। কারণ রাখাল যা জানে, আমি তা জানি না।’

৬৪. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উক্তিজুতাআবিষ্কারকবিতায় কার কাজের মাধ্যমে সত্য প্রমাণিত হয়েছে?

ক. রাজার কাজে

খ. চামার কুলপতির কাজে

গ. মন্ত্রীর কাজে

ঘ. পণ্ডিতদের কাজে

উত্তর: খ. চামার কুলপতির কাজে

আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

৬৫. উদ্দীপকের রাখাল জুতা আবিষ্কারকবিতার চামার কুলপতির যে ক্ষেত্রে মিল রয়েছে তা হচ্ছে

i. পেশাগত

ii. বুদ্ধিগত

iii. জন্মগত

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii  

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন১: বিদ্যালয়ের চাল ফুটো হয়ে ঘরে বৃষ্টির পানি পড়ছে। জেলা বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিদর্শনে এলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি তাঁর নজরে আনেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে শোনেন এবং বলেন, অচিরেই তিনি ব্যাপারে উপরে লিখবেন। অনুমোদন পেলে বাজেট করে পাঠিয়ে দিবেন। তাই তাকে আগামী বাজেট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। জেলা বোর্ড কর্মকর্তার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি এলাকায় আলোচিত হলে বেকারভবঘুরে যুবক সোহেলকে বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে। সে তার বন্ধুদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করে দ্রুত স্কুল ঘরের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করে

ক. রাজা হবু ধূলি দূর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কাকে?

খ. জলের জীব জল বিনা মরল কেন?

গ. জেলা বোর্ড কর্মকর্তার সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার গোবুরায়ের সাদৃশ্যগত দিকটি ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. ‘সমাজের উপেক্ষিতদের মাধ্যমেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব’– বিষয়টি উদ্দীপক ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. রাজা হবু ধূলি দূর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী গোবুরায়কে।

খ. রাজ্যের ধুলা দূর করতে সমস্ত জল ব্যবহার করায় জলের অভাবে জলের জীব মারা পড়ে ।

রাজার আদেশে ধুলা দূর করতে মন্ত্রী ও পণ্ডিতবর্গের পরামর্শে সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কিনে রাজ্যে ঝাঁট দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। এতে গোটা রাজ্য ধূলিময় হয়ে নানা বিপত্তি দেখা দেয়। পরে সে ধুলা দূর করতে মশক কাঁখে একুশ লাখ ভিস্তি নদী খাল বিলে নেমে জল তুলে রাজ্যময় ঢালতে শুরু করে । জলাশয়ের জল ডাঙায় ঢালার কারণে জলের অভাবে সেখানকার প্রাণিকুল মারা যায়।

. উদ্দীপকের জেলা বোর্ডের কর্মকর্তা ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার গোবুরায় উভয়েই কাণ্ডজ্ঞানহীন ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় ধুলা দূর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ গোবুরায়ের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়। তার নানা রকম প্রচেষ্টায় ধুলো তো দূর হয়ই না বরং রাজ্যময় নানা বিপত্তির উদ্ভব হয়। উদ্দীপকের জেলা বোর্ডের কর্মকর্তার মধ্যেও কর্তব্যজ্ঞানের অভাব লক্ষ করা যায় ।

উদ্দীপকের জেলা বোর্ডের কর্মকর্তা সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে জটিলতার পথে যান। ফলে কাজটির সমাধান না হয়ে বরং আরও দীর্ঘায়িত হয়। ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার গোবুরায়ও কাজের প্রকৃত সমাধান না করে বরং বাগাড়ম্বরের সৃষ্টি করে। এদিক থেকে কবিতার গোবুরায় ও উদ্দীপকের জেলা বোর্ডের কর্মকর্তা সাদৃশ্যপূর্ণ।

. সমাজের উপেক্ষিত মানুষেরাও অনেক সময় নিজেদের যোগ্যতার প্রকাশ ঘটিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান এনে দিতে পারে ।

কোনো সমস্যার সমাধানে কর্তব্যবুদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজন সমস্যা সমাধানের প্রতি আন্তরিকতা। এ দুটোর মিশেল থাকলে যেকোনো ধরনের মানুষের পক্ষেই ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব।

পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় আমরা দেখি কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্ত্রী গোবুরায় সমস্যার সমাধান না করে বরং সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। একইভাবে উদ্দীপকের জেলা বোর্ডের কর্মকর্তাও সমস্যার কোনো বাস্তব সমাধান দিতে পারেননি। এক্ষেত্রে নির্বুদ্ধিতার পাশাপাশি তাঁর আন্তরিকতার অভাবকেও সমানভাবে দায়ী করা যায়।

তবে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার বৃদ্ধ চর্মকার নেতা ও উদ্দীপকের ভবঘুরে বেকার যুবক সোহেলের ক্ষেত্রে আমরা বিপরীত চিত্র দেখতে পাই ।

প্রশ্ন: কামরান সাহেবের অফিসে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে আসিফ। বুদ্ধিমত্তা কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে অল্প সময়েই সে নিজের যোগ্যতা প্রমাণে সক্ষম হলো। কোম্পানির বাৎসরিক হিসাব করার সময় দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা সব লেজে গোবরে করে ফেলল এসময় কাজটি সহজে করার বিষয়ে নতুন কিছু ভাবনা দিকনির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে এলো আসিফ। তার নেতৃত্বে অল্প সময়েই নিখুঁতভাবে হিসাবের কাজটি সম্পন্ন হলো।

ক. দারুণ ত্রাসে মন্ত্রীর গায়ে কী বয় ?

খ. “রাজ্যে মোর এক এ অনাসৃষ্টি!”— কথাটি রাজার কেন মনে হলো?

গ. উদ্দীপকের কর্মীদের ব্যর্থতা ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ করে? বর্ণনা করো।

ঘ. “জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় উল্লিখিত গোবুরায় উদ্দীপকের আসিফের মতো হলে কবিতায় বর্ণিত বিড়ম্বনা এড়ানো যেত”— মন্তব্যটি সম্পর্কে তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. দারুণ ত্রাসে মন্ত্রীর গায়ে ঘাম বয় ।

খ. মহা ক্ষমতাধর হওয়ার পরও রাজার পায়ে ধুলা লাগায় বিষয়টিকে রাজা অনাসৃষ্টি বলে উল্লেখ করেছেন।

রাজা অসীম ক্ষমতার অধিকারী। জল ও স্থলের সর্বত্রই তাঁর কর্তৃত্ব বিদ্যমান। অথচ মাটিতে পা ফেলা মাত্রই তাঁর পায়ে ধুলা লেগে যায়। রাজ কর্মচারীরা মাসে মাসে মাইনে নেয়। অথচ রাজাকে এই সামান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে না। সব দেখে রাজা তাই অস্থির হয়ে পড়েন। এ কারণে তাঁর মনে হয় রাজ্যে বুঝি অনাসৃষ্টি চলছে।

. উদ্দীপকের কর্মীদের ব্যর্থতা ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় বর্ণিত রাজকর্মচারীদের ধুলা দূর করার কাজের ব্যর্থতাকেই মনে করিয়ে দেয়।

আলোচ্য কবিতায় বর্ণিত রাজা হবু বড়ই চিন্তিত। মাটিতে চরণ ফেলামাত্র তাঁর পা ধুলায় ভরে যায়। তাই তিনি কর্মচারীদের কড়া হুকুম দেন, যে করেই হোক তাঁর পায়ে যাতে ধুলা লাগতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে। রাজার আদেশে ধুলা দূর করতে গিয়ে রাজ্যজুড়ে মহা গণ্ডগোল বাঁধিয়ে দেয় তারা। তাদের কর্মকাণ্ডে কখনো রাজ্য হয় ধুলায় পরিপূর্ণ, কখনো কাদায় পর্যুদস্ত। অনেক ফন্দি-ফিকির এবং চেষ্টা করেও রাজ্য থেকে ধুলা দূর করতে পারে না তারা ।

উদ্দীপকের কামরান সাহেবের অফিসে বাৎসরিক হিসাব-নিকাশ চলছিল। কাজটির দায়িত্ব যারা পায় তারা এ বিষয়ে চরম অদক্ষতার পরিচয় দেয়। এ জন্য কাজটি করতে গিয়ে তারা সব লেজেগোবরে করে ফেলে। অবশেষে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আসিফের বদৌলতে সে যাত্রায় রক্ষা পায় তারা।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায়ও আমরা রাজার হুকুম তামিল করতে গিয়ে কর্মচারীদের মহা বিড়ম্বনায় পড়তে দেখি । এভাবে উদ্দীপকের কর্মীদের ব্যর্থতা ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় বিধৃত রাজকর্মচারীদের ব্যর্থতার দিকটিকেই প্রকাশ করে ।

ঘ. ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় উল্লিখিত গোবুরায় উদ্দীপকের আসিফের মতো বুদ্ধিমান ও দক্ষ হলে কবিতায় বর্ণিত বিড়ম্বনা এড়ানো যেত বলেই আমি মনে করি।

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাস্যরসের মাধ্যমে রাজার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্বুদ্ধিতা ও চাটুকারিতার স্বরূপ তুলে ধরেছেন। রাজা তাঁর মন্ত্রী গোবুরায়কে রাজ্য থেকে ধুলাবালি দূর করার নির্দেশ দেন। রাজার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে তাঁর অনুগতরা নানা ধরনের বুদ্ধি বের করে ৷ ঝাড়ু দিয়ে, পানি ঢেলে তারা ধুলা দূর করার চেষ্টা করে । কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হওয়ার বদলে উল্টো নানা রকম সংকট দেখা দেয়।

উদ্দীপকের আসিফ একটি অফিসে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে সদ্য নিয়োগ পেয়েছে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই নানা ক্ষেত্রে সে তার যোগ্যতার প্রমাণ রাখে। একবার কোম্পানির বাৎসরিক হিসাব-নিকাশের সময় কর্মীরা কাজ গুলিয়ে ফেললে সে বলিষ্ঠভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করে। ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় বর্ণিত গোবুরায়ের মাঝে এমন বুদ্ধিমত্তা ও কর্মদক্ষতার প্রমাণ মেলে না ।

‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় যে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে তা থেকে প্রমাণিত হয় যে গোবুরায় একজন অযোগ্য ও অকর্মণ্য মন্ত্রী। রাজার আদেশ পালনের জন্য যথাযথ উপায় বের করতে সে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদের বের করা ফন্দিগুলোর পরিণতি কী হতে পারে, তা বোঝার মতো দূরদৃষ্টিও তার ছিল না।

এ কবিতায় রাজার চাটুকারিতা আর অন্যের সাফল্যকে নিজের করে নেওয়ার চেষ্টাতেই তাকে বিভোর থাকতে দেখা যায়। তার বিপরীতে উদ্দীপকের আসিফ একজন করিৎকর্মা অফিসার। তাই কোম্পানির সংকটের মুহূর্তে সে যথাযথ ভূমিকা রাখে এবং কর্মীদের সফলতা নিশ্চিত করে। এমন ভূমিকা ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় বর্ণিত মন্ত্রী রাখতে পারেনি বলেই রাজ্যজুড়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সার্বিক বিবেচনায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি তাই যথাযথ ।

প্রশ্ন: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঝিনা গ্রামের দুই ছোট শিশু শিহাব লিটন আলী এখনট্রেন রক্ষার বীর সৈনিক।দুর্ঘটনার কবল থেকে তেলবাহী ৩২টি বগির একটি ট্রেন রক্ষা করায় তাদের উপাধি দিয়েছে রেলপথ বিভাগ। ছোট্ট শিশুরা রেললাইনের পাশে খেলতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দেখতে পায়। এর পরই তারা বাড়ি থেকে লাল মাফলার নিয়ে রেললাইনের ওপর টেনে ধরে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়

ক. ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি’ —উক্তিটি কার?

খ. মন্ত্রী কাকে কেন রুদ্ধ করে রাখতে চায়?

গ. উদ্দীপকের ‘ট্রেন রক্ষার বীর সৈনিক’ খেতাবপ্রাপ্তরা ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার কোন চরিত্রের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. ‘গায়ে গতরে যে বড় সে বড় নয়, বুদ্ধিতে যে বড় সেই ধন্য’— উদ্দীপক ও ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি’ উক্তিটি বৃদ্ধ চামার কুলপতির ।

. বৃদ্ধ চর্মকারের বুদ্ধির পরিচয় পেয়ে হিংসার বশবর্তী হয়ে মন্ত্রী তাকে রুদ্ধ করে রাখতে চায়।

রাজার পায়ে ধুলা না লাগার উপায় বের করতে ব্যর্থ হন সভাসদগণ। রাজার ভয়ে হন্তদন্ত মন্ত্রীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। এমন সময় বৃদ্ধ চর্মকার জুতা দিয়ে পা ঢাকলে রাজার পা এবং রাজ্য দুই-ই ধুলামুক্ত থাকবে বলে জানায়। ব্যর্থ মন্ত্রী তখন চর্মকারের প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে কারারুদ্ধ করে রাখতে চায়।

. বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে উদ্দীপকের ‘ট্রেন রক্ষার বীর সৈনিক’ খেতাবপ্রাপ্ত বুদ্ধিমান দুই শিশু ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার চর্মকারের সাথে সম্পর্কিত।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার বৃদ্ধ চর্মকার একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ। শত চেষ্টা করেও রাজ্যের মন্ত্রীরা যেখানে রাজার পায়ে ধুলা না লাগার উপায় বের করতে ব্যর্থ হয়, সে তখন সহজ উপায় বাতলে দেয়। এতে রাজা খুশি হন এবং চর্মকারের বুদ্ধির জয় হয়। তার এ বুদ্ধিমত্তার দিকটি উদ্দীপকের শিশুদের কর্মকাণ্ডেও লক্ষিত হয়।

ICT তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

উদ্দীপকের ছোট দুই শিশু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তেলবাহী ৩২ বগির একটি ট্রেনকে রক্ষা করে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঝিনা গ্রামের এ দুই ছোট্ট শিশু রেললাইনের পাশে খেলতে গিয়েছিল। সেখানে তারা দেখে যে, রেললাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই তারা বাড়ি গিয়ে লাল মাফলার এনে লাইনের উপর ধরে রাখে। তা দেখে ট্রেন থামে এবং বড় দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পায়। তাদের এমন ভূমিকার কারণে রেলপথ বিভাগ তাদেরকে ‘ট্রেন রক্ষার বীর সৈনিক’ উপাধি দেয়।

‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার বৃদ্ধ চর্মকারও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে রাজা এবং রাজ্যকে ধুলার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। মন্ত্রীরা ব্যর্থ হলেও এই চর্মকার তার উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে সমস্যার সহজ সমাধান দেয়। এভাবে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সমস্যা সমাধানের সূত্রে উদ্দীপকের শিশুরা আলোচ্য কবিতার চর্মকারের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।

. ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় উল্লিখিত বৃদ্ধ চর্মকার অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে রাজার চরণ যুগলকে ধুলামুক্ত করে ।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় বড় বড় মন্ত্রী ও সভাসদগণ রাজা ও রাজ্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হন। শুধু তাই নয়, নানা অদ্ভুত উপায় অবলম্বন করে তাঁরা সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে নতুন সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। এমতাবস্থায় বৃদ্ধ চর্মকার নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে সে সমস্যার সহজ ও স্থায়ী সমাধান বের করেন।

উদ্দীপকের ছোট শিশুরা অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। তাদের বুদ্ধির জোরেই যাত্রীবাহী একটি ট্রেন মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পায়। খেলার সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেন লাইন দেখতে পায়। আশু বিপদ থেকে ট্রেনটিকে রক্ষা করতে তারা বাড়ি থেকে লাল মাফলার এনে লাইনের ওপর ধরে রাখে। ট্রেন চালক তা দেখে বিপদসংকেত বুঝে ট্রেনটিকে থামায়। তাদের এমন দায়িত্বশীল আচরণের কারণেই সেদিন শত শত যাত্রীর জীবন রক্ষা হয়। আলোচ্য কবিতায় চর্মকারের আচরণেও তাদের বুদ্ধিমত্তার দিকটি লক্ষিত হয়।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় একজন তুচ্ছ মানুষের বুদ্ধির পরিচয় ফুটে উঠেছে। যে মানুষটি রাজ্যের কোন মন্ত্রী বা উজির শ্রেণির লোক নন। তিনি ছিলেন সামান্য একজন চর্মকার। রাজ্যের মন্ত্রীরা যেখানে রাজার পায়ের ধুলা দূর করতে গিয়ে রাজ্যকে ধুলাময় করে তোলে, সেখানে তিনি জুতা আবিষ্কার করে রাজা এবং রাজ্য উভয় সমস্যাই সমাধান করেন। এভাবে তিনি বৃদ্ধ এবং নীচু শ্রেণির লোক হয়েও বড় বড় মন্ত্রীদের বুদ্ধি দিয়ে হার মানিয়েছেন। উদ্দীপকের ছোট দুই শিশুও আলোচ্য কবিতার এই বৃদ্ধের মতোই বুদ্ধিদীপ্ত ছিল। বয়সে ছোট হলেও তারা বড়দের মতো বুদ্ধি খাটিয়ে ট্রেনটিকে থামায় এবং দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীদের বাঁচতে সাহায্য করে। এ বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।

প্রশ্ন : অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জেরিনের বেশ কিছুদিন থেকে পেট ব্যথা। মাঝে মাঝে ব্যথা অসহ্য হয় এবং সে বমি করে। তার বাবা তাকে চিকিৎসার জন্য শহরে বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার অনেকগুলো পরীক্ষা করার পরও রোগ নির্ণয় করতে না পেরে জেরিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে যেতে বলেন। জেরিনের মধ্যবিত্ত বাবা মেয়ের চিকিৎসার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। এমন সময় এলাকার পল্লি চিকিৎসক আবুল কাশেম সব কিছু শুনে জেরিনকে কৃমিনাশক দেন এবং জেরিন অল্প সময়েই সুস্থ হয়ে ওঠে।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি ?

খ. শুনিয়া গোবু ভাবিয়া হলো খুন’- ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের পল্লি চিকিৎসক আবুল কাশেমের সাথে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার চামার কুলপতির সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. “উদ্দীপকে উল্লিখিত শহরের ডাক্তার ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার পণ্ডিতদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।”—উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’।

. রাজার পায়ে ধুলা লাগার প্রতিকার করতে ব্যর্থ হলে মন্ত্রীকে শাস্তি পেতে হবে ভেবে তার এমন অবস্থা হয়েছে।

রাজা মাটিতে পা ফেলামাত্র তাঁর পায়ে ধুলা লাগে। নিজ রাজ্যের ধুলা রাজার নিজের পায়ে লাগে অথচ মন্ত্রীর সেদিকে কোনো প্রকার দৃষ্টি নেই। রাজা মনে করেন এটি মন্ত্রী গোবু রায়ের দায়িত্বে অবহেলা। রাজা তাকে অতিসত্বর এর প্রতিকার করতে বললেন। অন্যথায় কারো আর রক্ষা থাকবে না । রাজার এরূপ দৃঢ় ঘোষণা শুনে গোবু ভেবে খুন হলো ।

. কঠিন সমস্যার সহজ সমাধানের দিক দিয়ে উদ্দীপকের পল্লি চিকিৎসক আবুল কাশেম এবং ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার চামার কুলপতির সাদৃশ্য রয়েছে।

উদ্দীপকে বর্ণিত জেরিনের রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হয়ে শহরের বড় ডাক্তার যখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তখন জেরিনের বাবা চিকিৎসার ব্যয়ভারের কথা চিন্তা করে হতাশ হয়ে পড়েন। এমন অবস্থায় পল্লি চিকিৎসক আবুল কাশেম জেরিনের রোগের লক্ষণ শুনে তাকে অল্পমূল্যের কৃমিনাশক ওষুধ খেতে দেন এবং জেরিন সুস্থ হয়ে ওঠে।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় রাজার পায়ে ধুলা লাগা সমস্যা সমাধানে রাজ্যের মন্ত্রী ও পণ্ডিতবর্গ উদ্ভট সব পন্থা অবলম্বন করে ও সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়। সে সময় চামার কুলপতি রাজার পা চামড়া দিয়ে ঢেকে সহজেই সমস্যার সমাধানের উপায় বের করে।

উভয় ক্ষেত্রে দেখা যায় যেসব সমস্যা সমাধানে বড় মানুষেরা ব্যর্থ সেসব সমস্যা সমাজের অতি সাধারণ মানুষ অতি সহজেই সমাধান করেছে। এক্ষেত্রে উদ্দীপকের পল্লি চিকিৎসক আবুল কাশেম ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার চামার কুলপতির মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।

জীববিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

. সহজ কোনো বিষয়কে কাণ্ডজ্ঞানের অভাবে জটিল করার দিক দিয়ে উদ্দীপকের শহুরে ডাক্তার ও ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার পণ্ডিতদের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই ।

উদ্দীপকে উল্লিখিত শহরের বড় ডাক্তার জেরিন নামের একটি মেয়ের পেট ব্যথার চিকিৎসা করতে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে না পেরে জেরিনের বাবাকে মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় রাজার পায়ে ধুলা লাগার প্রতিকারে দেশের মন্ত্রীসহ পণ্ডিতবর্গ রাজ্যে ঝাঁট দেওয়া, ধুলা বন্ধে পানি ঢেলে রাজ্য কর্দমাক্ত করা, সমগ্র রাজ্য চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া ইত্যাদি সব উদ্ভট পদ্ধতি প্রয়োগ করে ।

আমাদের সমাজে অনেক ডাক্তার আছেন যাঁরা ডাক্তারিকে সেবামূলক মহান পেশা না ভেবে টাকা আয়ের কৌশল মনে করেন। রোগী ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে অপ্রয়োজনীয় অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে দু’পয়সা রোজগারের ধান্ধা করেন। অনুরূপ দেশে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন দেশের কোনো সমস্যা সমাধানের নামে দেশের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেন। এতে কাজের কাজ কিছুই হয় না।

ডাক্তারদের মধ্যে সকলেই এরূপ চরিত্রের অধিকারী নন। অনেক ডাক্তার আছেন যাঁরা অতি অল্প খরচে রোগীর সুচিকিৎসা করে থাকেন। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন যাঁরা রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় না করে মাথা খাটিয়ে সমস্যার সমাধান করে থাকেন। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল ।

সুতরাং উদ্দীপকের বড় ডাক্তার ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার পণ্ডিতের মধ্যে অকর্মন্যতা ও কাণ্ডজ্ঞানহীনতা লক্ষ করা যায় যা তাদের চরিত্রকে এক ও অভিন্ন করে তুলেছে। এরা উভয়েই সহজ বিষয়কে সহজভাবে না দেখে জটিলতা সৃষ্টি করেছে।

প্রশ্ন: রাজপথে তব চলিছে মোটর,

সাগরে জাহাজ চলে,

রেলপথে চলে বাষ্পশকট

দেশ ছেয়ে গেল কলে,

বল তো এসব কাহাদের দান!

তোমার অট্টালিকা,

কার খুনে রাঙ্গা? ঠুলি খুলে দেখ,

প্রতি ইটে আছে লিখা

ক. এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কে?

খ. ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় পদধূলির তত্ত্ব বলতে কোন তত্ত্বকে বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্ধৃত কবিতাংশের আবিষ্কারগুলোর সাথে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার জুতা আবিষ্কারের ঘটনা কীভাবে সম্পর্কিত—তা ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. বিশ্বের প্রায় সকল আবিষ্কারের সাথেই সাধারণ মানুষের কৃতিত্ব জড়িয়ে আছে। ক্ষমতাবানদের দাপটে এই সত্য প্রকাশ পায় না । উদ্দীপক ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

. রাজার পায়ে ধুলা লাগার প্রতিকারে ব্যর্থ হয়ে মন্ত্রী গোবু যে সকল অজুহাত দেখায় তার অন্যতম হচ্ছে ‘পদধূলির তত্ত্ব’।

রাজা মন্ত্রীকে পায়ে ধুলা লাগার প্রতিকার করতে বললে মন্ত্রী ভেবে কোনো কূলকিনারা করতে পারে না। তাই সে রাজাকে খুশি করার অপকৌশল হিসেবে বলে, আপনার পায়ে ধুলা না লাগলে আমরা আপনার পদধূলি পাব কীভাবে? মন্ত্রীর এ তোষামোদী কথাটিকেই রাজা ‘পদধূলির তত্ত্বা বলেছেন।

. উদ্দীপকের মোটর, জাহাজ, রেলপথ, রেলগাড়ি, কলকারখানা, অট্টালিকা তৈরি ও কবিতার ন্যায় অতি সাধারণ মানুষের ভূমিকাই প্রধান ।

আবিষ্কারের পেছনে কুলি-মজুর ও চর্মকারের।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় দেখা যায় ধুলার হাত থেকে রাজার পা’কে রক্ষা করতে দেশের মন্ত্রীসহ পণ্ডিতবর্গ ব্যর্থ হওয়ার পর একজন বৃদ্ধ চর্মকার। রাজার পা চামড়ায় মুড়িয়ে জুতা বানায় । তার এই কৃতিত্বকে স্বীকৃতি না জানিয়ে মন্ত্রী জুতা আবিষ্কারের কৃতিত্ব নিজে নিতে বলে— ‘আমারো ছিল মনে । কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে।’

উদ্দীপকের আবিষ্কারগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভূমিকাকে বড় করে দেখা হয়েছে। অনুরূপ ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় চামার কুলপতির মতো সাধারণ নীচু শ্রেণির মানুষের কৃতিত্বকে কবি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। উদ্দীপকের আবিষ্কার ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতাবানরা তাদের ক্ষমতার দাপট চালিয়ে সাধারণ মানুষের কৃতিত্বকে আত্মসাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হলেও কবি সাধারণ মানুষকেই বড় করে তুলেছেন । এভাবেই উভয় অংশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে

ঘ. আজকের সভ্য জগতের দিকে তাকালে যে সকল আবিষ্কার চোখে পড়ে, তার পেছনে অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষের রয়েছে সীমাহীন ভূমিকা । প্রতিটি আবিষ্কারের সাথেই শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের শ্রম ও মেধা জড়িয়ে আছে। রেলপথ, রেলগাড়ি, রাজপথ, মোটরগাড়ি, সাগরে চলা জাহাজ, বড় বড় কলকারখানা, পথ, অট্টালিকা ইত্যাদি শুধু বাবুসাব বা পণ্ডিতদের মেধার ফসল নয়। তাদের কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা। রেখেছে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ।

জীববিজ্ঞান দ্বাদশ অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

সভ্যতার ইতিহাসে ক্ষমতাবান বাবুসাব বা পণ্ডিতদের নাম উল্লিখিত থাকলেও সাধারণ মানুষের কোনো ভূমিকার কথা উল্লেখ নেই। কেননা সাধারণ মানুষ ইতিহাস লেখে না, ইতিহাস গড়ে। এই প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে ক্ষমতাবানরা নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে ইতিহাসে নিজেদের নাম জুড়ে

দেয় ।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী গোবুর কার্যকলাপে অন্যের কৃতিত্ব নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। চামার কুলপতির জুতা আবিষ্কারের প্রাক্কালে তাকে শূলে বিধে কারাগারে বন্দি করার ভয় দেখিয়েছে এবং আবিষ্কারের পরে চামার কুলপতির আবিষ্কারকে নিজের চিন্তার ফসল বলে প্রকাশ করেছে। ক্ষমতাবানদের এই পরের কৃতিত্ব চুরির প্রচেষ্টা সাধারণ মানুষের মধ্যে হাসির খোরাক জোগায়। তাই বলা যায়, মন্ত্রী গোবুর আচরণে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

প্রশ্ন : রসুলপুর গ্রাম থেকে নবীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি গত বছর বন্যায় ভেঙে যায়। রাস্তাটি মেরামতের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এতো সময় নষ্ট করতে থাকেন যে পুনরায় বর্ষা আসার উপক্রম হয়। এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এবং কোনো এক ছুটির দিনে টুকরি কোদাল নিয়ে নিজেরাই রাস্তাটি মেরামতে নেমে পড়ে। গ্রামের লোকজনও তাদের সাথে যোগ দেয়। এভাবে রাস্তাটি মেরামত হলে চেয়ারম্যান সাহেব বলেন, আমিও সরকারি কাজের মন্থর গতি দেখে ইউনিয়নবাসীদের সাথে নিয়ে কাজটি করার কথা ভাবছিলাম; কিন্তু তার আগেই কাজটি হয়ে গেল

ক. ‘মহী’ শব্দের অর্থ কী?

খ. রান্নাঘরে হাঁড়ি চড়া বন্ধ হলো কেন?

গ. উদ্দীপকের সমস্যা সমাধান পদ্ধতির সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার সমস্যা সমাধান পদ্ধতির সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যগুলো উল্লেখ করো।

ঘ. “উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেব’ ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু চরিত্রের সমগোত্রী” – একথার যথার্থতা মূল্যায়ন করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. ‘মহী’ শব্দের অর্থ পৃথিবী ।

খ. রাজার পায়ে ধুলা লাগার প্রতিকার করতে ব্যর্থ হলে রাজমন্ত্রী ও পণ্ডিতদের শাস্তি পেতে হবে এই ভয়ে তাদের ঘরে রান্নাবান্না বন্ধ হয়েছিল । রাজা যখন মন্ত্রী গোবু রায়কে পায়ের ধুলা দূর করার নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে কারো রক্ষা থাকবে না তখন মন্ত্রী গোবু রায় ও রাজ্যের পণ্ডিতদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল । তাদের আহার নিদ্রা সব বন্ধ হয়ে গেল। বাড়িতে বাড়িতে রান্নাবাড়া বন্ধ হয়ে কান্নার রোল পড়ল ।

. উদ্দীপকের ভাঙা রাস্তা মেরামতের সমস্যার সাথে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার সমস্যার সমাধানের কিছু সাদৃশ্য থাকলেও কিছু বৈসাদৃশ্যও লক্ষণীয় ।

উদ্দীপকের ভাঙা রাস্তা মেরামত না করার কারণে গ্রামের ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছিল। অনুরূপ ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় জুতা না থাকায় রাজাসহ রাজ্যের প্রজাদের অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছিল। উদ্দীপকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে সমাধানের আবেদন করে দীর্ঘদিনেও তার ফল পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন’।

অনুরূপ ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় রাজা মন্ত্রীর কাছে সমস্যার সমাধান চেয়ে দীর্ঘদিনেও তার ফল পাননি । উপরি-উক্ত ক্ষেত্রে উদ্দীপক ও কবিতার সমস্যার মধ্যে সাদৃশ্য থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। পক্ষান্তরে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী সমস্যা সমাধানে শুধু সক্রিয় ছিল না বরং রাজ্যের পণ্ডিতদের নিয়ে সমস্যাটি সমাধানের জন্য গলদঘর্ম হচ্ছিল।

উদ্দীপকের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে দীর্ঘসূত্রতা, অমনোযোগিতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। পক্ষান্তরে কবিতায় সমস্যা সমাধানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে মন্ত্রী ও পণ্ডিতদের বুদ্ধিহীনতা।

সুতরাং সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে উদ্দীপক ও ‘জুতা আবিষ্কার কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উভয়ই লক্ষ করা যায় ।

. উদ্দীপকের চেয়ারম্যান এবং কবিতার মন্ত্রী গোবু চরিত্রের মধ্যে অবস্থানগত ভিন্নতা থাকলেও স্বভাবের দিক থেকে তাদের বেশ মিল রয়েছে।

সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন কিন্তু নির্বুদ্ধিতা, অকর্মণ্যতা ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে কোনো কাজই ঠিক মতো করতে পারেন না। এর পেছনে তাঁরা একের পর এক অজুহাত দাঁড় করান। সহজ কোনো বিষয়কে তাঁরা কঠিনভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেন। উদ্দীপক ও কবিতায় এ বিষয়টিই লক্ষ করা যায়।

উদ্দীপকের চেয়ারম্যান গ্রামের একটি ভাঙা রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ না নিয়ে তা ঊর্ধ্বতন অবহিত করেই তাঁর দায়িত্ব শেষ করেন । শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমস্যার সমাধান হওয়ার পর নিজের দোষ ঢাকা দিয়ে কৃতিত্ব প্রকাশ করতে বলেন, ইউনিয়নবাসীদের সাথে নিয়ে তিনিও কাজটি করতে চেয়েছিলেন।

জীববিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

অন্যদিকে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু রায় পণ্ডিতদের নিয়ে সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় । পরে চর্মকার কুলপতি যখন তা সমাধান করে তখন মন্ত্রী বলে, ‘আমারো ছিল মনে কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে।’

উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার বিশ্লেষণে দেখা যায়, অবস্থানগত ভিন্নতা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী উভয়েই নিজের ব্যর্থতা ঢাকা দিয়ে অপরের সফলতাকে নিজের চিন্তার ফসল বলে কৃতিত্ব নিতে চান। এদিক থেকে তাঁরা উভয়েই সমগোত্রীয়।

প্রশ্ন: অচিনপুর রাজ্য অশান্তিতে ভরপুর। কারণ সেখানকার মানুষজন কুসংস্কার, অশিক্ষা, দুর্নীতি, অনিয়ম, সন্ত্রাস, মাদকাসক্তি ইত্যাদিতে অভ্যস্ত। রাজা এই অবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। মন্ত্রী রাজ্যের বিশেষজ্ঞদের ডেকে সভা, সেমিনার, নানা কমিটি, সাবকমিটি করে অনেক অর্থ অপচয় করে। বৃদ্ধ এক জ্ঞানী ব্যক্তি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তা যুগোপযোগী করার জন্য রাজাকে পরামর্শ দেন রাজা তাঁর পরামর্শে কাজ করেন এবং এক দশকেই রাজ্যের অবস্থার পরিবর্তন সাধনে সক্ষম হন

ক. কোন কাব্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল রস্কার লাভ করেন?

খ. জগৎ ধুলায় ভরপুর হলো কেন?

গ. উদ্দীপকের বিষয়টির সঙ্গে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি আলোচনা করো ।

ঘ. প্রেক্ষাপটের ভিন্নতা থাকলেও অচিনপুর রাজ্যের এবং হবু চন্দ্রের রাজ্যের সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই—বিশ্লেষণ করো ।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ।

. রাজার নির্দেশে ধুলা দূর করার জন্য মন্ত্রী গোটা রাজ্য ঝাঁট দেওয়া শুরু করলে জগৎ ধুলায় ভরে যায় । কবিতায় রাজা তাঁর পায়ে ধুলা লাগার সমস্যা দূর করার জন্য মন্ত্রীকে বলেন, কিন্তু অকর্মণ্য মন্ত্রী নানা অজুহাত দেখায়। রাজা তার অজুহাত না শুনে ধুলা দূর করার পুনঃনির্দেশ দিলে মন্ত্রী রাজ্যের পণ্ডিতদের পরামর্শে রাজ্য ধুলামুক্ত করতে সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কিনে তা দিয়ে রাজ্য ঝাঁট দেওয়া শুরু করে। এতে গোটা রাজ্য ধুলায় ভরপুর হয়ে যায় ।

গ. উদ্দীপকের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়ার বিষয়টি ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ।

সমস্যার ভিন্নতা থাকলেও উভয় ক্ষেত্রে তার সমাধান প্রক্রিয়ায় বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। উদ্দীপকের সমস্যা সমাধানের জন্য রাজা তাঁর মন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়ার পর মন্ত্রী রাজ্যের বিশেষজ্ঞদের ডেকে সভা-সেমিনারসহ নানা কমিটি করে তার সমাধানে ব্যর্থ হয়। শেষে জনৈক প্রবীণ ব্যক্তি রাজাকে যে পরামর্শ দান করেন তা অনুসরণ করে রাজ্যের সমস্যার সমাধান হয়। এক্ষেত্রে মন্ত্রী ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা অহেতুক রাজ্যের অর্থ অপচয় হয় ।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার সমস্যা সমাধানের জন্য রাজা মন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়ার পর মন্ত্রী পণ্ডিতদের ডেকে অনেক অর্থ অপচয় করেও তা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়। পরে এক বৃদ্ধ চর্মকার অতি সহজেই সে সমস্যার সমাধান করে ফেলে। সুতরাং সমস্যা সমাধানের দিক বিবেচনায় উদ্দীপক ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় ।

. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও একই ধরনের ঘটনা সৃষ্টি হওয়ায় উভয় রাজ্যের সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াটিও অভিন্ন প্রকৃতির হয়েছে ।

অচিনপুর ও হবু চন্দ্রের রাজ্য দুটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন এবং রাজ্য দুটির সমস্যাও ভিন্ন। উভয় রাজ্যের সমস্যার ভিন্নতা থাকলেও সমাধানের জন্য যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয় তা অভিন্ন ।

অচিনপুর রাজ্যের সমস্যা সমাধানের জন্য রাজা মন্ত্রীকে নির্দেশ দিলে মন্ত্রী দেশের বিশেষজ্ঞদের আহ্বান করে অনেক অর্থ ব্যয়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে; কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়। পরে জনৈক বৃদ্ধ ও জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শে বিলম্বে হলেও সে সমস্যার সমাধান হয়।

অনুরূপভাবে হবু চন্দ্রের রাজ্যের সমস্যা সমাধানের জন্য রাজা তাঁর মন্ত্রীকে নির্দেশ দান করলে মন্ত্রী রাজ্যের পণ্ডিতদের ডেকে অনেক অর্থ ব্যয় করে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করলেও সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় । অবশেষে এক বৃদ্ধ চর্মকার অতি সহজেই সে সমস্যার সমাধান করে।

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

মানুষ যাদের পণ্ডিত ও জ্ঞানী মনে করে প্রকৃতপক্ষে তারা সমস্যা সমাধানে যতটা না দক্ষ তার চেয়ে বেশি দক্ষ ঢাকঢোল পেটানোতে এবং কাঁড়ি কাড়ি অর্থ ব্যয়ে। অথচ সামান্য খরচে অতি সাধারণ মানুষ সে সকল সমস্যা অতি সহজেই সমাধান করতে পারে। বস্তুত উল্লিখিত রাজ্য দুটির সমস্যার স্বরূপ ভিন্ন হলেও তার সমাধান প্রক্রিয়ায় কোনো পার্থক্য নেই। এ বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।

প্রশ্ন: তোমরা নিশ্চয়ই তাজমহলের নাম শুনেছ। হয়তো বা কেউ তা দেখেও থাকবে। তোমরা কথাও শুনেছ যে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর বেগম মমতাজের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেছেন। কথিত আছে যে মাস্টার ইসা নামে কোনো এক ব্যক্তি তাজমহলের নকশা করেন। এটি নির্মাণে ২২ হাজার শ্রমিক ২০ বছর নিরন্তর কাজ করেছেন তাজমহল নির্মাণের পর মাস্টার ইসা যাতে তাজমহলের ন্যায় আর কোনো স্থাপত্যশিল্পের নকশা করতে না পারেন সেজন্য সম্রাটের নির্দেশে তাঁর হাত কেটে দেওয়া হয়।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম কী?

খ. পৃথিবীকে চামড়া দিয়ে ঢেকে ফেলা গেল না কেন?

গ. উদ্দীপকের তাজমহল নির্মাণের কথিত কাহিনির সাথে তোমার পঠিত জুতা আবিষ্কারের কাহিনির পার্থক্য নির্ণয় করো ।

ঘ. ‘উদ্দীপকে বর্ণিত সম্রাট শাহজাহানের সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার রাজার স্বভাবের পার্থক্য থাকলেও মন্ত্রী গোবুরায়ের স্বভাব অনেকটাই সমধর্মী।’ উক্তিটির যথার্থতা প্রমাণ করো ।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ।

. চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার মতো চামড়া আর চার্মকারের অভাবে পৃথিবীকে ঢেকে ফেলা গেল না ।

রাজা তাঁর মন্ত্রী গোবুরায়কে ডেকে জানান, তাঁর পায়ে পৃথিবীর ধুলো যেন না লাগে সে ব্যবস্থা করতে। রাজার এমন নির্দেশে মন্ত্রী পণ্ডিতের সাথে আলোচনায় বসে পুরো পৃথিবীকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার বুদ্ধি করে; কিন্তু তাতে প্রয়োজনীয় চামড়া ও চর্মকার জোগাড় না হওয়ায় পৃথিবীকে চামড়া দিয়ে ঢেকে ফেলা সম্ভব হয় না ।

. সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়ায় উদ্দীপকে তাজমহল তৈরির কথিত কাহিনির সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার কাহিনির পার্থক্য রয়েছে।

উদ্দীপকের কথিত কাহিনিতে তাজমহলের নকশাকারী মাস্টার ইসা। তাঁর নকশা অনুযায়ী ২২ হাজার শ্রমিক ২০ বছর কাজ করে তাজমহল নির্মাণের কাজ শেষ করেন। নির্মাণ শেষে সম্রাটের নির্দেশে তাঁর হাত কেটে দেওয়া হয়; কিন্তু ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় সৃষ্টিশীলতার কথা থাকলেও রাজার নির্মমতা অনুপস্থিত।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার কাহিনিতে জুতার আবিষ্কারক একজন চার্মকার কুলপতি। রাজ্যের পণ্ডিতবর্গের ব্যর্থতার পর এ বৃদ্ধ চার্মকার রাজার পদযুগল চামড়ার আবরণ দিয়ে ঢেকে জুতা আবিষ্কার করে। এর জন্য তাজমহলের ন্যায় কোনো নকশাকারীর প্রয়োজন পড়েনি। আবার তাজমহল নির্মাণে যে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক ও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়েছিল জুতা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে তেমনটির প্রয়োজন হয়নি। চার্মকার কুলপতি একাই অতি অল্প সময়ে সেটি তৈরি করতে সক্ষম হয়। কাজ শেষে তাজমহলের নকশাকারী পুরস্কারের পরিবর্তে শাস্তি পান। জুতা আবিষ্কারের পর চর্মকার কুলপতি কোনো পুরস্কার পেয়েছে কিনা তা জানা না গেলেও শাস্তি যে পায়নি তা নিশ্চিত করে বলা যায়।

উপরিউক্ত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে তাজমহল নির্মাণের কথিত কাহিনি ও জুতা আবিষ্কারের কাহিনির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান ।

. উদ্দীপকের সম্রাট শাহজাহানের সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার রাজা হবু চন্দ্রের স্বভাবের পার্থক্য থাকলেও মন্ত্রী গোবুর সঙ্গে তাঁর স্বভাব অনেকটাই সমধর্মী।

সম্রাট শাহজাহান তাঁর বেগমের নামে নির্মিত কীর্তিকে অনন্য করে রাখতে নির্মম হয়েছিলেন; কিন্তু ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় রাজা জুতা আবিষ্কারকের প্রতি কোনো প্রকার নির্মমতা প্রদর্শন করেননি। এক্ষেত্রে উভয়ের স্বভাবের পার্থক্য স্পষ্ট; কিন্তু চামার কুলপতি জুতা আবিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মন্ত্রী গোবু তাকে সহযোগিতা করার পরিবর্তে শূলে বিধে কারাগারে নিক্ষেপ করার ভয় দেখিয়েছে। যদিও রাজার উপস্থিতিতে তা করতে পারেনি। আবার জুতা তৈরির পর নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে বলেছে যে এই ধারণা তার নিজের মনেও ছিল। কেমন করে যেন তা চামার কুলপতি জানতে পেরেছে।

উভয় ক্ষেত্রেই সম্রাট শাহজাহানের স্বভাবের সাথে তার মিল রয়েছে। সম্রাট নিজের বেগমের নামের কীর্তিকে অনন্য করে রাখতে নকশাকারীর কৃতিত্বের পুরস্কার না দিয়ে তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন। মন্ত্রী গোবু রায়ও তেমনি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চামার কুলপতিকে শাস্তির ভয় দেখিয়েছে।

উভয়ের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করলে যথার্থই প্রমাণ হয় যে উদ্দীপকের সম্রাট শাহজাহান ও ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবুরায় উভয়েই কীর্তিমানকে স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করেছেন এবং তাঁদের উপর্যুক্ত পারিতোষিক থেকে বঞ্চিত করেছেন। এদিক থেকে বলা যায় উভয়ের নির্দয় মানসিকতা তাঁদের দুজনকে একই সমতলে দাঁড় করিয়েছে।

প্রশ্ন: কেউ কি জানে দিনের বেলায় কোথায় পালায় ঘুমের ঘোর?

বর্ষা হলেই ব্যাঙের গলায় কোত্থেকে হয় এমন জোর? গাধার কেন শিং থাকে না হাতির কেন পালক নেই গরম তেলে ফোড়ন দিলে লাফায় কেন তাধেই ধেই? সোডার বোতল খুললে কেন ফসফসিয়ে রাগ করে, কেমন করে রাখবে টিকি মাথায় যাদের টাক পড়ে? কতই ভাবি এসব কথা, জবাব দেবার মানুষ কই? বয়স হলে কেতাব খুলে জানতে পাব সমস্তই

ক. ‘মাহিনা’ শব্দের অর্থ কী?

খ. চামড়া দিয়ে পৃথিবী মুড়ে দেওয়ার উদ্যোগে কী বিপত্তি দেখা দিয়েছিল?

গ. উদ্দীপকের চিন্তাগুলোর সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী ও পণ্ডিতবর্গের গৃহীত কর্মকাণ্ডের কোন ধরনের মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. “উদ্দীপকের চিন্তাগুলো যেমন অপ্রয়োজনীয় ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় ধুলা বন্ধে মন্ত্রী ও পণ্ডিতবর্গের গৃহীত পদক্ষেপগুলোও মূল সমস্যা সমাধানে তেমনি অকার্যকর।” উক্তিটির সপক্ষে তোমার মতামত দাও ।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. ‘মাহিনা’ শব্দের অর্থ বেতন ।

. পৃথিবী মুড়ে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চামড়া ও চর্মকার পাওয়া যায়নি ।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় পণ্ডিতবর্গ রাজার পায়ে ধুলা না লাগার নিমিত্তে চামড়া দিয়ে গোটা রাজ্য ঢেকে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করলে বিপত্তি দেখা দেয়। বিশাল রাজ্য চামড়ার আবরণে ঢাকার জন্য যে বিপুল পরিমাণ চামড়া প্রয়োজন তা সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাছাড়া উক্ত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় চর্মকার পাওয়াও সম্ভব হয়ে ওঠে না ।

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. অমূলক ও বাস্তবতাবিবর্জিত চিন্তাভাবনার দিক দিয়ে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী ও পণ্ডিতবর্গের মিল পাওয়া যায়।

হবুচন্দ্রের রাজ্যের সমস্যা সমাধানের জন্য রাজা তাঁর মন্ত্রীকে নির্দেশ দান করলে মন্ত্রী রাজ্যের পণ্ডিতদের ডেকে অনেক অর্থ ব্যয় করে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করলেও সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় । অবশেষে এক বৃদ্ধ চর্মকার অতি সহজেই সে সমস্যার সমাধান করে।

মানুষ যাদের পণ্ডিত ও জ্ঞানী মনে করে প্রকৃতপক্ষে তারা সমস্যা সমাধানে যতটা না দক্ষ তার চেয়ে বেশি দক্ষ ঢাকঢোল পেটানোতে এবং কাঁড়ি কাড়ি অর্থ ব্যয়ে। অথচ সামান্য খরচে অতি সাধারণ মানুষ সে সকল সমস্যা অতি সহজেই সমাধান করতে পারে। বস্তুত উল্লিখিত রাজ্য দুটির সমস্যার স্বরূপ ভিন্ন হলেও তার সমাধান প্রক্রিয়ায় কোনো পার্থক্য নেই। এ বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।

. অমূলক-ভিত্তিহীন চিন্তাভাবনার কারণে উদ্দীপক ও ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার সমস্যা সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপগুলো কার্যকর হয়নি।

দিনের বেলায় ঘুম কোথায় যায়, বর্ষাকালে ব্যাঙ কোথা থেকে গলায় জোর পায়, গাধার শিং ও হাতির পালক নেই কেন, সোডার বোতল খোলার সময় ফসফসানি কেন হয়, টেকো মাথায় টিকি রাখার উপায় কী’— এ সকল চিন্তা নিতান্তই অমূলক। বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন কোনো মানুষ এ সকল চিন্তা করে তার মূল্যবান সময় অপচয় করে না। কেননা যে সকল সমস্যা মানুষের চলমান জীবনে কোনো বিপত্তি ঘটায় না তা নিয়ে সময় নষ্ট করা একধরনের পাগলামি।

অপরদিকে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় ধুলা বন্ধকরণে মন্ত্রী গোবুরায় ও রাজ্যের পণ্ডিতবর্গ যে সকল কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা মূল সমস্যার সমাধানে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং এতে রাজ্যের অনেক অর্থ অপচয় হয়েছে এবং রাজ্যের বাসিন্দাদের নানাবিধ অসুবিধার দিকে ঠেলে দিয়েছে। সুস্থচিন্তার কোনো মানুষ ধুলা বন্ধের সমাধানে এরূপ কর্মকাণ্ড কখনোই করবে না ।

উপরি-উক্ত আলোচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে ‘উদ্দীপকের চিন্তাগুলো যেমন অপ্রয়োজনীয়, তেমনি ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় ধুলা বন্ধে মন্ত্রী ও পণ্ডিতবর্গের গৃহীত পদক্ষেপগুলোও মূল সমস্যা সমাধানে অকার্যকর।

প্রশ্ন১০ বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,

কুড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,

আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে

তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।

বাবুই হাসিয়া কহেসন্দেহ কি তায়?

কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়

পাকা হোক, তবু ভাই, পরেরও বাসা,

নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

খ. ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় রাজা পণ্ডিতদের ‘গাধা’ বলেছেন কেন ?

গ. উদ্দীপকের চড়ুই পাখির স্বভাব ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় কার স্বভাবের সাথে কীভাবে মিলে যায় তা আলোচনা করো ।

ঘ. “উদ্দীপকের চড়ুই এবং বাবুই যথাক্রমে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু এবং চামার কুলপতির প্রতিনিধিত্ব করে।”— উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

১০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।

. পণ্ডিতদের একের পর এক অমূলক কাজে বিরক্ত হয়ে রাজা তাদের গাধা বলেছেন।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় রাজা পণ্ডিতদের ‘গাধা’ বলেছেন। কারণ রাজার পায়ের ধুলা দূর করতে তারা প্রথমে রাজ্যে ঝাঁট দিয়ে ধুলা উড়িয়ে বিপত্তি ঘটায়। রাজা এতে বিরক্তি প্রকাশ করলে পণ্ডিতরা পুনরায় সেই ধুলা দূর করার জন্য নদী-নালা, খাল-বিলের পানি তুলে গোটা রাজ্যে ঢালতে লাগল । এতে রাজ্য কর্দমাক্ত হয়ে নতুন বিপত্তি দেখা দিল। পণ্ডিতদের এই সকল কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে রাজা তাদের গাধা বলেছেন ।

রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন

গ. উল্লেখিত কবিতাংশের চড়ুই পাখির স্বভাব ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবুরায়ের সাথে স্বভাবগতভাবে মিলে যায়।

কবিতাংশের চড়ুই পাখি নিজে বাসা তৈরি করতে পারে না। সে বাস করে পরের নির্মিত অট্টালিকায়। অথচ বাসা নির্মাণে দক্ষ ও স্বনির্ভর বাবুই পাখি কুঁড়েঘরে বাস করে বলে সে ব্যঙ্গ করে। চড়ুই একথা ভাবে না যে ঝড়বৃষ্টিতে বাবুই পাখির বাসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে অল্প সময়ের মধ্যে তা পুনরায় নির্মাণ করার ক্ষমতা রাখে কিন্তু কোনো কারণে চড়ুই পাখির বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি নির্মাণের ক্ষমতা তার নেই। বাবুই স্বনির্ভর আর চড়ুই পরনির্ভরশীল।

অনুরূপ ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী গোবুরায় রাজার পায়ের সামান্য ধুলা দূর করার উপায় খুঁজে পায়নি। এজন্য রাজ্যের পণ্ডিতদের নিয়ে নানারকম উদ্ভট ও হাস্যকর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থ অপচয় করে। এমন সময় বৃদ্ধ চামার কুলপতি অতি সহজেই রাজার পদযুগল চামড়া দিয়ে ঢেকে সমস্যার সমাধান করে। মন্ত্রী চামার কুলপতির সাফল্যের প্রশংসা না করে তাকে শূলে চড়ানোর ভয় দেখায় এবং কারাগারে বন্দি করে রাখতে চায়। সবশেষে চামার কুলপতির জুতা তৈরির কাজকে নিজের মনের ধারণা বলে মিথ্যা প্রচার করে।

বাংলা প্রথম পত্র-কপোতাক্ষ নদ-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

সবকিছু পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কবিতাংশের চড়ুই পাখি এবং ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবুরায়— উভয়েই স্বভাবগতভাবে নিষ্কর্মা, পরনির্ভরশীল এবং ঈর্ষাপরায়ণ। এদিক থেকে উভয়ের স্বভাবে যথেষ্ট মিল রয়েছে ।

. আচরণগত সাদৃশ্যের কারণে উদ্দীপকের চড়ুই এবং বাবুই যথাক্রমে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু এবং চামার কুলপতির সার্থক প্রতিনিধি ।

কবিতাংশের চড়ুই পাখি পরের অট্টালিকায় বাস করে নিজের তৈরি বাসায় বসবাস করা বাবুই পাখিকে কুঁড়েঘরে বাস করে বলে তিরস্কার করে। চড়ুই পাখি নিজে নিষ্কর্মা ও পরনির্ভরশীল হয়েও কর্মঠ ও স্বনির্ভর বাবুই পাখিকে তিরস্কার করতে লজ্জাবোধ করে না ।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী গোবু রাজার পায়ে ধূলি লাগার সমস্যা সমাধানকারী চামার কুলপতিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ভাব দেখায়। এমনকি চামার কুলপতির কৃতিত্বকে নিজের চিন্তার ফসল বলে অপপ্রচার চালাতেও লজ্জাবোধ করে না। এদিক থেকে বিচার করলে মন্ত্রী গোবু কবিতাংশের চড়ুই পাখিরই প্রতিনিধিত্ব করছে।

আবার উদ্দীপকের বাবুই পাখি নিজে কর্মঠ, স্বনির্ভর হয়েও চড়ুই পাখির তিরস্কারকে হেসে উড়িয়ে দেয় এবং নিজ হাতে গড়া কুঁড়েঘরকেই খাসা মনে করে। উদ্দীপকের বাবুই পাখির মধ্যে স্পষ্ট বিনয়ভাব লক্ষণীয় ।

‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় চামার কুলপতি নিপুণভাবে ধূলি সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েও মন্ত্রী গোবুর তিরস্কার ও ধমককে উপেক্ষা করে বিনয়ের সাথে রাজার চরণ চর্ম-আবরণে ঢেকে দিয়ে ধূলি সমস্যার সমাধানের কাজটি শেষ করে। তার আচরণেও বিনয়ের ভাব স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান ।

অতএব স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার চামার কুলপতি বাবুই পাখির এবং মন্ত্রী গোবু চড়ুইয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।

আরও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply