এসএসসি বিজ্ঞান-Science-দ্বাদশ অধ্যায়-প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ-সাজেশন

এসএসসি বিজ্ঞান নোট

দ্বাদশ-অধ্যায়

প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ

পাঠ সম্পর্কিত গুরত্বপূর্ণ বিষয়াদি

ব্যাটারি : ব্যাটারি হলো একাধিক তড়িৎ কোষের সমন্বয়। এতে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য তড়িৎ শক্তি জমা থাকে। এতে সাধারণত তিনটি অংশ থাকে । অ্যানোড, ক্যাথোড ও তড়িৎ বিশ্লেষ্য ।

হাউজ ওয়ারিং : বাড়িতে. তড়িৎ সংযোগ সংযোগ দেওয়ার পূর্বে একটা নকশা আঁকতে হয়। ছোট ধরনের সংযোগের ক্ষেত্রে নকশা আঁকা না হলেও একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী অবশ্যই এই সংযোগ দেওয়া হয়। সাধারণত বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের জন্য সিরিজ বর্তনী উপযোগী নয়। কারণ, এতে মূল সমস্যা হল সুইচ অন করলে একই সাথে সংযুক্ত সব বাল্ব জ্বলে উঠবে, ফ্যান চলতে থাকবে। আবার অফ করলে সবগুলো একই সাথে অফ হয়ে যাবে। মূলত বাড়িতে তড়িৎ সংযোগ সমান্তরাল সংযোগ ব্যবস্থা মেনে করা হয় ৷

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

তড়িৎ বিশ্লেষণ : কোনো দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত করে এর অণুগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিতে তড়িৎ বিশ্লেষণ তড়িৎ প্রবাহের দ্বারা দ্রবণের যে দ্রব্যটিকে দুই ভাগে বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তড়িৎ দ্রব বা তড়িৎ বিশ্লেষণ পদার্থ বলে। তড়িৎ দ্রবণের মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ চলে। সকল এসিড, ক্ষার, কয়েকটি নিরপেক্ষ লবণ, এসিড মেশানো পানি ইত্যাদি তড়িৎ দ্রব বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। যেমন- H2SO4, HNO3, CuSO4, AgNO3, NaOH ইত্যাদি।

প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ বিশ্লেষণের গুরুত্ব :

তড়িৎ প্রলেপন (Electroplating) : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধাতুর ওপর সুবিধামতো অন্য কোনো ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বলে। সাধারণত কোনো নিকৃষ্ট ধাতু যেমন তামা, লোহা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জিনিসকে জলবায়ু থেকে রক্ষা করার এবং সুন্দর দেখানোর জন্য এদের ওপর কোনো সোনা, রুপা, নিকেল ইত্যাদি মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়।

তড়িৎ মুদ্রণ (Electrotyping) : তড়িৎ প্রলেপনের একটি বিশেষ পদ্ধতিকে ইলেকট্রোটাইপিং বা তড়িৎ মুদ্রণ বলে তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে হরফ, ব্লক, মডেল ইত্যাদি তৈরি করাকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে ।

ধাতু নিষ্কাশন শোধন : (Extraction and purificationof metals) : খনি থেকে সাধারণত কোনো ধাতু বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে নানা ধাতুর মিশ্রণ থাকে যাকে আকরিক বলে । তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে আকরিক থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন ও তা শোধন করা যায় ।

কোনো বর্তনীর মেরু নির্ণয় (Testing of polarity of an elertire circuit): কোনো ডিসি মেইন লাইনের দুটি তারের কোনটি ধনাত্মক তা তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়।

তড়িৎ রিপেয়ারিং বা মেরামত (Electric Repairing): তড়িৎ রিপেয়ারিং বা মেরামত কৌশল অবলম্বন করে কোনো যন্ত্রাংশ মেরামত করা হয়। এই ক্ষেত্রে ভঙ্গুর বা নষ্ট যন্ত্রাংশের সমস্ত ওপর অংশকে ওয়েব দ্বারা আবৃত করা হয়। এর জন্য একে তড়িৎ বিশ্লেষ্যে ডুবানো হয় এবং একে ক্যাথোড হিসাবে ব্যবহার করা হয় । প্রয়োজনে একে অন্য আকৃতিতেও পরিণত করা হয়।

তড়িৎ ক্ষমতা : কাজ করার হার অর্থাৎ একক সময়ে সম্পন্নকৃত কাজকে ক্ষমতা বলে। কোনো তড়িৎ যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে (তাপ, আলো, যান্ত্রিক ইত্যাদি) রূপান্তরিত করে তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে। কোনো পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এক ভোল্ট হলে যদি এর মধ্য দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয় তবে ঐ যন্ত্রের ক্ষমতা এক ওয়াট।

এক ওয়াট = ১ ভোল্ট × ১ অ্যাম্পিয়ার

তড়িৎ ক্ষমতাকে কিলোওয়াট বা মেগাওয়াটে প্রকাশ করা যায় । কিলোওয়াট = ১০০০ ওয়াট বা ১০৩ ওয়াট এবং ১ মেগাওয়াট = ১০৬ ওয়াট।

কিলোওয়াট ঘণ্টা : আবার এক ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো তড়িৎ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক ঘণ্টা ধরে তড়িৎ প্রবাহিত হলে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য শক্তিতে রুপান্তরিত হয় তাকে এক ওয়াট ঘন্টা বলে ।

ওয়াট-ঘণ্টা = ১ ওয়াট × ১ ঘণ্টা

বা, ১ কিলোওয়াট ঘণ্টা = ১,০০০ ওয়াট × ৩৬০০ সেকেন্ড

= ৩৬০০০০০ ওয়াট-সেকেন্ড

= ৩৬০০০০০ জুল।

আন্তর্জাতিক, তড়িৎ সরবরাহকে কিলোওয়াট ঘণ্টা এককে পরিমাপ করা হয়। এই একককে বোর্ড ট্রেড ইউনিট (BOT) বা সংক্ষেপে ইউনিট বলে। আমরা যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি তা এই এককেই হিসাব করা হয়।

তড়িৎ ক্ষমতার হিসাব : ব্যয়িত শক্তি = (ক্ষমতা × সময়)/ ১০০০ কিলোওয়াট ঘন্টা

= (ক্ষমতা × সময়)/ ১০০০ ইউনিট

বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

কোনো বাল্বের গায়ে 200V 60W লেখা থাকার অর্থ : এটি 220V বিভব পার্থক্য সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে এবং প্রতি সেকেন্ডে ৬০ জুল বৈদ্যুতিক শক্তি আলো ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত করবে ।

এনার্জি সেভিং বাল্বের সুবিধা :

i. এই বাল্বে সাধারণ বাল্বের তুলনায় তড়িৎ বিল কম আসে, ফলে খরচ সাশ্রয় হয় ।

ii. এই বাল্বে কম শক্তি লাগে। প্রতি পরিবারে ১টি করে সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করলে যে পরিমাণ শক্তি বাঁচে তা দিয়ে প্রতি বছরে ৩০ লক্ষ পরিবারে তড়িৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব ।

iii. জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমে যায়। এতে পরিবেশের ওপর কম বিরূপ প্রভাব পড়ে ৷

iv. এই বাল্ব বেশি দিন টিকে বলে কম পরিত্যক্ত হয়। এতে ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনায়ও সুবিধা হয়।

আইপিএস (IPS) : এর পূর্ণনাম ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই (Instant Power Supply) যা তড়িৎপ্রবাহে বিঘ্ন ঘটার পরও তাৎক্ষণিকভাবে তড়িৎপ্রবাহ পাওয়ার আদর্শ সমাধান। এটি মূলত ডিসি প্রবাহ। আইপিএসকে গৃহে ব্যবহৃত তড়িতের ইনপুটের সাথে সংযুক্ত করা হয়।

ইউপিএস (UPS) : এর পূর্ণনাম আনইন্টারাপটিবল পাওয়ার সাপ্লাই (Uninterruptible Power Supply) যা তড়িৎ উৎস ও কম্পিউটারের মাঝে লাগানো থাকে। তড়িৎ প্রবাহে বিঘ্ন ঘটার পরেও এর মাধ্যমে কম্পিউটার চলতে থাকে এবং কম্পিউটারের তথ্যের কোনো ক্ষতি হয় না।

সিস্টেম লস : সাধারণভাবে তড়িৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যপথে বিদ্যুতের অপচয়কেই সিস্টেম লস বলা হয়। ত্রুটিপূর্ণ সরবরাহ পদ্ধতি, অবৈধ সংযোগ, দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা ইত্যাদি কারণে সিস্টেম লসের সৃষ্টি হয়।

লোডশেডিং : চাহিদার তুলনায় তড়িতের উৎপাদন কম হলে সব জায়গায় একই সাথে তড়িৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। তখন কোনো এলাকার তড়িৎ সরবরাহ বন্ধ করে উৎপাদিত তড়িৎ অন্যান্য এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। তড়িতের উৎপাদন যদি বেশ কম হয় তবে সব এলাকাতেই ক্ৰমাগত তড়িতের সরবরাহ বন্ধ করতে হয়। তড়িৎ বণ্টনের জন্য তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ করার এই পদ্ধতিটিকেই লোডশেডিং বলা হয়।

লোডশেডিংএর কারণ :

i. চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের স্বল্প উৎপাদন

ii. বিদ্যুতের সিস্টেম লস

iii. বিদ্যুতের অপচয়

iv. বিদ্যুতের যান্ত্রিক ত্রুটি

তড়িৎ বর্তনী : তড়িৎ প্রবাহ চলার সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে ।

তড়িৎ বিশ্লেষণ : কোনো দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত করে এর অণুগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে ।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ : তড়িৎ প্রবাহের দ্বারা দ্রবণের যে দ্রবটিকে দুই ভাগে বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তড়িৎ দ্রব্য বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

আয়ন : কোনো অণু, পরমাণু বা যৌগমূলকে যদি স্বাভাবিক সংখ্যার ইলেকট্রনের চেয়ে কম বা বেশি ইলেকট্রন থাকে তাহলে তাকে আয়ন বলে ৷

ধনাত্মক আয়ন : কোনো অণু, পরমাণু বা যৌগমূলকে যদি ইলেকট্রনের সংখ্যা স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম হয় তাহলে তাকে ধনাত্মক আয়ন বলে ।

ঋণাত্মক আয়ন : কোনো অণু, পরমাণু বা যৌগমূলকে যদি ইলেকট্রনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাকে ঋণাত্মক আয়ন বলে ।

তড়িৎ প্রলেপন : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধাতুর ওপর সুবিধামতো অন্য কোনো ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বলে।

গ্যালভানাইজিং : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় লোহার ওপর দস্তার প্রলেপ দেওয়াকে গ্যালভানাইজিং বলে।

তড়িৎ মুদ্রণ : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে হরফ, ব্লক, মডেল ইত্যাদি তৈরি করাকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে ।

আকরিক : খনি থেকে কোনো ধাতু সাধারণত বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে নানা ধাতুর মিশ্রণ থাকে, যাকে আকরিক বলে ।

তড়িৎ ক্ষমতা : কোনো তড়িৎ যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে ।

ক্ষমতা : একক সময়ে সম্পন্নকৃত কাজই হলো ক্ষমতা ।

তড়িৎ পরিবাহী : যেসব পদার্থের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ সহজেই প্রবাহিত হতে পারে তাদেরকে তড়িৎ পরিবাহী বলে।

এক ওয়াট : কোনো পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এক ভোল্ট হলে এবং যদি এর মধ্যে দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয় তাহলে ঐ যন্ত্রের ক্ষমতাকে এক ওয়াট বলে । এক ওয়াট = ১ ভোন্ট × ১ অ্যাম্পিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১। তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত করে এর অণুগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে ।

২। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কী?

উত্তর : তড়িৎপ্রবাহ করে দ্রবণের যে দ্রবটিকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করা হয়, তাকে তড়িৎদ্রব বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

বাংলা প্রথম পত্র-শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩। তড়িৎ মুদ্রণ কাকে বলে?

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে হরফ, ব্লক, মডেল ইত্যাদি তৈরি করাকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে ।

৪। সিস্টেম লস কী?

উত্তর : তড়িৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যপথে বিদ্যুতের অপচয়কে সিস্টেম লস বলে ।

৫। তড়িৎ বর্তনী কী ?

উত্তর : তড়িৎ প্রবাহ চলার সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে।

৬। ক্ষমতা কাকে বলে?

উত্তর : একক সময়ে সম্পন্নকৃত কাজই হলো ক্ষমতা ।

৭। তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে?

উত্তর : কোনো তড়িৎযন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে।

৮। আইপিএস (IPS) কী?

উত্তর : আইপিএস হলো ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই, যা তড়িৎ প্রবাহে বিঘ্ন ঘটার পরও তাৎক্ষণিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন তড়িৎ প্রবাহ পাওয়ার একটি আদর্শ সমাধান ।

৯। তড়িৎ প্রলেপন কাকে বলে?

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণ করে একটি ধাতুর ওপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বলে ।

১০। বৈদ্যুতিক ক্ষমতা কী?

উত্তর : কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে (তাপ, আলো, যান্ত্ৰিক ইত্যাদি) রূপান্তরিত করে তাকে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বলে ৷

১১। ওয়াট কী?

উত্তর : কোনো তড়িৎ যন্ত্রের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এক ভোল্ট হলে যদি এর মধ্য দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তবে ঐ যন্ত্রের ক্ষমতা হলো এক ওয়াট।

১২। এক ইউনিট বিদ্যুৎ কাকে বলে?

উত্তর : এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো তড়িৎ যন্ত্র এক ঘণ্টা ধরে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে এক ইউনিট বিদ্যুৎ বলে ।

১৩। কিলোওয়াটঘণ্টা কাকে বলে?

উত্তর : এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো তড়িৎ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক ঘণ্টা ধরে তড়িৎ প্রবাহিত হলে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তাকে কিলোওয়াট-ঘণ্টা বলে

১৪। জীবন্ত তার কী? –

উত্তর : হাউস ওয়্যারিং-এর ক্ষেত্রে দুটি মেইন তারের মধ্যে একটি তার হলো লাল রঙের, যা জীবন্ত তার নামে পরিচিত ।

বিজ্ঞান দশম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

১৫। ইলেকট্রোপ্লেটিং কী?

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ধাতুর তৈরি জিনিসের ওপর অপর ধাতুর প্রলেপ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বা তড়িৎ প্রলেপন বলে ।

১৬। বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহারের বাণিজ্যিক একক কী?

উত্তর : বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহারের বাণিজ্যিক একক হচ্ছে বোর্ড অব ‘ট্রেড (BOT) ইউনিট বা সংক্ষেপে শুধু ইউনিট

১৭। তড়িৎ কোষ কী?

উত্তর : যে যন্ত্রের মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তি হতে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করে বিদ্যুৎ প্রবাহ বজায় রাখা হয় তাকে তড়িৎ কোষ বলে।

১৮। আমাদের বাড়িতে কোন ব্যবস্থায় তড়িৎ সংযোগ দেওয়া হয়?

উত্তর : আমাদের বাড়িতে সমান্তরাল সংযোগ ব্যবস্থায় তড়িৎ সংযোগ দেওয়া হয় ।

১৯। হাউস ওয়্যারিংএর মেইন তার দুটি কী কী?

উত্তর : হাউস ওয়্যারিং-এর মেইন তার দুটির একটি হলো জীবন্ত তার এবং অপরটি হলো নিরপেক্ষ তার ।

২০। আয়ন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো অণু, পরমাণু বা যৌগমূলকে যদি স্বাভাবিক সংখ্যার ইলেকট্রনের চেয়ে কম বা বেশি ইলেকট্রন থাকে তাহলে তাকে আয়ন বলে ।

২১। ধনাত্মক আয়ন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো অণু, পরমাণু বা যৌগমূলকে যদি ইলেকট্রনের সংখ্য স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম হয় তাহলে তাকে ধনাত্মক আয়ন বলে ।

২২। ঋণাত্মক আয়ন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো অণু, পরমাণু বা যৌগমূলকে যদি ইলেকট্রনের সংখ্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাকে ঋণাত্মক আয়ন বলে ।

২৩। সর্বপ্রথম কোন বিজ্ঞানী তড়িৎ বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা দান করেন?

উত্তর : বিখ্যাত বিজ্ঞানী আরহেনিয়াস সর্বপ্রথম ১৮৮১ সালে তড়িৎ বিশ্লেষণের ব্যাখ্যা দান করেন ।

২৪। এসিড, ক্ষার বা লবণ জাতীয় যৌগিক পদার্থকে তরলে দ্রবীভূত্ত করলে কী ঘটে?

উত্তর : এসিড, ক্ষার বা লবণ জাতীয় যৌগিক পদার্থকে তরলে দ্রবীভূত করলে তা আয়নিত হয়ে সমপরিমাণ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জযুক্ত আয়মে বিভক্ত হয় ।

২৫। গ্যালভানাইজ কী?

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় লোহার ওপর দস্তার প্রেলেপ দেওয়াকে গ্যালভানাইজ করা বলে।

বাংলা দ্বিতীয় সমাস বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

২৬। আকরিক কাকে বলে?

উত্তর : খনি থেকে কোনো ধাতু সাধারণত বিশুদ্ধ অবস্থ পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে নানা ধাতুর মিশ্রণ থাকে, যাকে আকরিক বলে ।

২৭। তড়িৎ পরিবাহী কী?

উত্তর : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ সহজে প্রবাহিত হতে পারে তাদেরকে তড়িৎ পরিবাহী বলে ।

২৮। কিলোওয়াট কী?

উত্তর : তড়িৎ ক্ষমতার একক হচ্ছে কিলোওয়াট।

১ কিলোওয়াট = ১০০০ ওয়াট বা ১০ ওয়াট।

২৯। বিদ্যুৎ বিল হিসাবের সূত্রটি কী?

উত্তর : আমরা বাড়িতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি তার খরচের হিসাবের সূত্রটি হলো— ব্যয়িত তড়িৎশক্তির খরচ = ব্যয়িত তড়িৎশক্তির একক × প্রতি এককে খরচ।

৩০। এনার্জি সেভিং বাল্বের সুবিধা কী?

উত্তর : এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশের বিভিন্ন দিক থেকে সুবিধা হয়।

৩১। প্রতি পরিবারে একটি সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে একটি এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহারের ফলে কী ঘটবে?

উত্তর : এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহারের ফলে যে পরিমাণ শক্তি বাঁচবে তা দিয়ে ৩০ লক্ষ পরিবারকে তড়িৎ সংযোগ দেওয়া যাবে।

৩২। ইউপিএস (UPS) কী?

উত্তর : ইউপিএস (UPS) হলো একটি ব্যবস্থা, যা তড়িৎ উৎস ও একটি কম্পিউটারের মধ্যে লাগানো থাকে। তড়িৎ প্রবাহে বিঘ্ন ঘটলেও এটি দ্বারা কম্পিউটার চলে এবং কম্পিউটারে তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্ন ঘটে না ।

৩৩। ইউপিএসের অংশ কয়টি?

উত্তর : ইউপিএসের মূলত তিনটি অংশ থাকে । যেমন—

i. রেকটিফায়ার,

ii. ব্যাটারি ও

iii. ইনভারটার

৩৪। ইউপিএস কত প্রকার?

উত্তর : সাধারণত তিন ধরনের ইউপিএস দেখা যায় । যেমন—

i. অফলাইন

ii. লাইন ইন্টারেক্টিভ

iii. অনলাইন

৩৫। ব্যাটারি কী?

উত্তর: ব্যাটারি হলো একাধিক তড়িৎ কোষের সমন্বয়ে গঠিত এক ধরনের তড়িৎ কোষ ।

৩৬। আপেক্ষিক রোধের একক কী?

উত্তর: আপেক্ষিক রোধের একক হলে ওহম মিটার

৩৭। বিভব কী?

উত্তর: অসীম দূরত্ব হতে একটি ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ

ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তাই বিভব ।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩৮। বিভব পার্থক্য কী?

উত্তর: একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে।

৩৯। তড়িৎকোষ কী?

উত্তর: যে কোষ রাসায়নিক শক্তিকে কাজ লাগিয়ে তড়িৎশক্তি উৎপন্ন করা হয় তাকে তড়িৎকোষ বলে।

৪০। তড়িৎ দ্রব কাকে বলে?

উত্তর: তড়িৎ প্রবাহের দ্বারা দ্রবণের যে দ্রটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় তাকে তড়িৎ দ্রব বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

৪১। তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে?

উত্তর: কোনো দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত করে এর অণুগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে ।

৪২। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কী?

উত্তর: তড়িৎপ্রবাহের দ্বারা দ্রবণের যে দ্রবটিকে দুই ভাগে বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা হয় তাই তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।

গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১। এক কিলোওয়াট ঘণ্টাকে জুলে প্রকাশ কর

উত্তর : ১ ওয়াট ঘণ্টা = ১ ওয়াট × ঘণ্টা,

বা, ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা = ১০০০ ওয়াট × ৩৬০০ সেকেন্ড = ৩৬০০০০০ ওয়াট-সেকেন্ড = ৩৬০০০০০ জুল

২। ৬০ ওয়াটের বাল্বএর অর্থ কী?

উত্তর : ৬০ ওয়াটের বাল্ব বলতে বাল্বটির ক্ষমতা ৬০ ওয়াট বোঝায়। অর্থাৎ বাল্বটি থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ জুল বৈদ্যুতিক শক্তি আলো ও তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হবে।

পদার্থ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩। বর্তনীতে ফিউজ ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তর : ফিউজ হচ্ছে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনে স্থাপিত কম গলনাঙ্কের একটি ধাতব তার, যা প্রবাহমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার ওপর হলেই গলে যায়। বিদ্যুৎ লাইনে আগুন ধরা বা যেকোনো রকম দুর্ঘটনা রোধ করতে ফিউজ ব্যবহার করা হয়। কেননা, বিদ্যুৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট মাত্রার ওপর হলেই ফিউজ তার গলে যায়। এতে লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে বৈদ্যুতিক লাইন ও এর সাথে সংযুক্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় ।

৪। তড়িৎ প্রলেপন বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধাতুর ওপর সুবিধামতো অন্য কোনো ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বা ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে। সাধারণত কোনো নিকৃষ্ট ধাতু যেমন তামা, লোহা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জিনিসকে জলবায়ু থেকে রক্ষা করার এবং সুন্দর দেখানোর জন্য এদের ওপর সোনা, রুপা, নিকেল ইত্যাদি মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়।

৫। লোডশেডিং বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : চাহিদার তুলনায় তড়িতের উৎপাদন কম হলে সব জায়গায় এবং একই সাথে তড়িৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয় না । তখন কোনো কোনো এলাকার তড়িৎ সরবরাহ বন্ধ করে উৎপাদিত তড়িৎ অন্যান্য এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। তড়িতের উৎপাদন যদি বেশ কম হয় তবে সব এলাকাতেই ক্রমাগত তড়িতের সরবরাহ বন্ধ করতে হয়। তড়িৎ বণ্টনের জন্য তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ করার এই পদ্ধতিকেই লোডশেডিং বলা হয় ৷

৬। তড়িৎ মুদ্রণ কীভাবে করা হয়?

উত্তর : তড়িৎ মুদ্রণের প্রথমে লেখাটি সাধারণ টাইপে কম্পোজ করে মোমের ওপর ছাপ নেওয়া হয়। তারপর এর ওপর কিছু গ্রাফাইট গুঁড়ো ছড়িয়ে একে তড়িৎ পরিবাহী করা হয়। এরপর

এটাকে কপার সালফেট দ্রবণে ক্যাথোড পাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালালে মোমের ছাঁচের ওপর তামার প্রলেপ পড়বে। এই প্রলেপ খানিকটা পুরু হলে ছাঁচ হতে ছাড়িয়ে নিয়ে ছাপার কাজে ব্যবহার করা হয়।

৭। প্রতি পরিবারে একটি সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে একটি এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহারের ফলে কী ঘটবে?

উত্তর : এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহারের ফলে যে পরিমাণ শক্তি বাঁচবে তা দিয়ে ৩০ লক্ষ পরিবারকে তড়িৎ সংযোগ দেওয়া যাবে :

৮। কিলোওয়াট কী?

উত্তর : তড়িৎ ক্ষমতার একক হচ্ছে কিলোওয়াট।

১ কিলোওয়াট = ১০০০ ওয়াট বা ১০ ওয়াট।

৯। বিদ্যুৎ বিল হিসাবের সূত্রটি কী?

উত্তর : আমরা বাড়িতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি তার খরচের হিসাবের সূত্রটি হলো— ব্যয়িত তড়িৎশক্তির খরচ = ব্যয়িত তড়িৎশক্তির একুক × প্রতি এককে খরচ।

১০। এনার্জি সেভিং বাল্বের সুবিধা কী?

উত্তর : এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশের বিভিন্ন দিক থেকে সুবিধা হয়।

১১। বর্তনীতে ফিউজ ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তর : ফিউজ হচ্ছে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনে স্থাপিত কম গলনাঙ্কের একটি ধাতব তার, যা প্রবাহমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার ওপর হলেই গলে যায়। বিদ্যুৎ লাইনে আগুন ধরা বা যেকোনো রকম দুর্ঘটনা রোধ করতে ফিউজ ব্যবহার করা হয়। কেননা, বিদ্যুৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট মাত্রার ওপর হলেই ফিউজ তার গলে যায়। এতে লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে বৈদ্যুতিক লাইন ও এর সাথে সংযুক্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় ।

১২। কী কারণে লোডশেডিং হয়?

উত্তর : লোডশেডিং হওয়ার কারণগুলো নিচে দেওয়া হলো-

i. চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের স্বল্প উৎপাদন

ii. বিদ্যুতের সিস্টেম লস

iii. বিদ্যুতের অপচয়

iv. বিদ্যুতের যান্ত্রিক ত্রুটি।

রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন

১৩। সাধারণ বাল্বের চেয়ে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার সুবিধাজনক কেন?

উত্তর : সাধারণ বাল্বের চেয়ে এনার্জি সেভিং বাল্বের ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক। এর কারণ হলো-

i. এনার্জি সেভিং বাল্ব প্রথমে কিনতে বেশি টাকা লাগলেও এগুলো অধিক টেকসই, সহজে নষ্ট হয় না। ফলে, খরচ

সাশ্রয় হয়।

ii. এনার্জি সেভিং বাল্বে কম বিদ্যুৎশক্তি ব্যয় হওয়ায় বিদ্যুৎ বিলও কমে আসে।

iii. এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর চাপ কমানো সম্ভব।

iv. এনার্জি সেভিং বাল্ব তুলনামূলকভাবে কম পরিত্যক্ত হয়, ফলে ময়লা ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়।

১৪। সিস্টেম লস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : সাধারণভাবে তড়িৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যপথে বিদ্যুতের অপচয়কে সিস্টেম লস বলা হয়। সাধারণত দেখা যায় তড়িৎ সরবরাহ পয়েন্ট থেকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য তড়িৎ লাইন টানা হয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের বাড়ির ভেতর মিটার থাকে। কিন্তু দেখা যায়, মিটারে পৌছার পূর্বেই এ লাইন থেকে অবৈধভাবে অন্য লাইন টেনে তড়িৎ নিয়ে অন্য কেউ ব্যবহার করছে। যার কোনো হিসাব মিটারে ওঠে না। এখানে উৎপন্ন · তড়িৎ ও ব্যবহৃত বিদ্যুতের গরমিল দেখা দেয়

১৫। ২২0V-৬০W বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : একটি বাল্বের গায়ে ২২০ ভোল্ট-৬০ ওয়াট লেখা থাকার অর্থ হলো—

২২০ ভোল্ট বিভব পার্থক্যে বাতিটিকে সংযুক্ত করলে বাতিটি সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে এবং প্রতি সেকেন্ডে ৬০ জুল বৈদ্যুতিক শক্তি আলো ও তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হবে ।

১৬। কিলোওয়াটঘণ্টা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তড়িৎ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক ঘণ্টা ধরে তড়িৎ প্রবাহিত করলে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তাকে এক কিলোওয়াট-ঘণ্টা বলে ।

১৭। বাল্বের গায়ে লেখা 100V-60W এর অর্থ কী?

উত্তর : কোনো বাল্বের গায়ে লেখা 100 V-60 W এর অর্থ হলো- 100 V বিভব পার্থক্যে বাল্বটিকে সংযুক্ত করলে বাল্বটি সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে এবং প্রতি সেকেন্ডে 60 জুল বৈদ্যুতিক শক্তি আলো ও তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হবে ।

১৮।খাবার লবণ তড়িৎ বিশ্লেষ্য কিন্তু চিনি বিশ্লেষ্য নয়ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : খাবার লবণ তথা সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) দ্রবীভূত বা বিগলিত অবস্থায় তাদের ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আয়ন দ্বারা তড়িৎ পরিবহন করে এবং সেই সাথে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাই এটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য। অপরদিকে, চিনি জলীয় দ্রবণে বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না। তাই চিনি তড়িৎ বিশ্লেষ্য নয় ।

১৯। H2SO4 কে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলা হয় কেন?

উত্তর : তড়িৎ প্রবাহের দ্বারা দ্রবণের যে দ্রবটিকে দুই ভাগে বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তড়িৎ দ্রব বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। তড়িৎ দ্রবের মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ চলে। H2SO4 একটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ । H2SO4 এর তড়িৎ বিশ্লেষণের ফলে 2H+ এবং SO42- আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়। এতে 2H+ ধনাত্মক ও SO42- ঋণাত্মক আয়নে বিভক্ত হয়। তাই H2SO4 কে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলা হয়।

২০। হাউস ওয়্যারিং বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : বাসাবাড়িতে তড়িৎ সংযোগ তৈরির ক্ষেত্রে মেইন লাইনকে যেভাবে অন্যান্য উপাদান যেমন ফিউজ, মেইন সুইচ, ‘প্লাগ-শকেট, ডিস্ট্রিবিউশন বক্স এবং প্রয়োজনীয় বাল্ব বা ফ্যানের সাথে সংযোগ দেওয়া হয় তাকে হাউস ওয়্যারিং বলে । হাউস ওয়্যারিং এর ক্ষেত্রে দুই ধরনের তড়িৎ সংযোগ যেমন- সিরিজ ও সমান্তরাল সংযোগ ব্যবহৃত হয়। তবে বাসাবাড়ির ক্ষেত্রে সমান্তরাল সংযোগ অধিক ব্যবহৃত হয় ।

রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

২১। সাধারণত বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের জন্য সিরিজ বর্তনী উপযোগী নয় কেন?

উত্তর : সাধারণত বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের জন্য সিরিজ বর্তনী উপযোগী নয়। কারণ এতে মূল সমস্যা হলো সুইচ অন করলে একই সাথে সংযুক্ত সব বাল্ব জ্বলে উঠবে এবং ফ্যান চলতে থাকবে। আবার অফ করলে সবগুলো একই সাথে অফ হয়ে যাবে। এ কারণেই বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের জন্য সিরিজ বর্তনী উপযোগী নয় ৷

২২। মানুষ কীভাবে বৈদ্যুতিক শক (Shock) খায় ?

উত্তর : হাউস ওয়্যারিং-এর মেইন তার দুটির একটি হলো জীবন্ত তার এবং অপরটি নিরপেক্ষ তার। জীবন্ত তারে তড়িৎ ভোন্টেজ থাকে। কেউ যদি খালি পায়ে অর্থাৎ মাটিতে সংস্পর্শ রেখে এই তারকে স্পর্শ করে তাহলে তার শরীরের ভেতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলবে এবং তখন ঐ ব্যক্তি বৈদ্যুতিক শক খাবে।

২৩। কোনো বস্তুর ওপর ধাতুর প্রলেপ পড়ে কীভাবে?

উত্তর : যে বস্তুর প্রলেপ দিতে হবে সেটি খুব ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ভোল্টমিটারের ক্যাথোড় এবং যে ধাতুর প্রলেপ দিতে হবে তাকে অ্যানোড করা হয়। যে ধাতুর প্রলেপ দিতে হবে তার কোনো লবণের দ্রবণ তড়িৎ দ্রব হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন ভোল্টমিটারের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে ধাতুর তড়িৎ বিশ্লেষণের ফলে ক্যাথোডে রাখা বস্তুর ওপর ধাতুর প্রলেপ পড়ে ।

২৪। আকরিক থেকে কীভাবে ধাতু নিষ্কাশিত হয়?

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে আকরিক থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়। যে আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশন করতে হবে সেটি ভোল্টমিটারের অ্যানোড হিসেবে এবং যে ধাতু নিষ্কাশন করা হবে তার কোনো লবণের দ্রবণকে ব্যবহার কর হয়। এই দ্রবণের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে আকরিক থেকে বিশুদ্ধ ধাতু নিষ্কাশিত হয়ে ক্যাথোডে সজ্জিত হয়।

২৫। কোনো ডি.সি. মেইন লাইনের দুটি তারের মধ্যে কোনটি ধনাত্মক বা ঋণাত্মক তা কীভাবে নির্ণয় করা যায়?

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে তা নির্ণয় করা যায়। একটি পাত্রে কিছু পানি নিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ লবণ নেওয়া হলে এবার মেইন লাইনের তার দুটি পানির মধ্যে ডুবানো হলে তড়িৎ প্রবাহ যুক্ত তার দুটি পানিতে ডুবালে দেখা যাবে যে একটি তারের গা বেয়ে খুব বেশি পরিমাণ বুদবুদ বের হচ্ছে এই তারটিই হচ্ছে ঋণাত্মক তার আর অন্যটি হচ্ছে ধনাত্মক তার ।

২৬। ইলেকট্রোপ্লেটিং গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য লেখ :

উত্তর : ইলেকট্রোপ্লেটিং ও গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক নিচে দেওয়া হলো-

ইলেকট্রোপ্লেটিং প্রক্রিয়া

i. ইলেকট্রোপ্লেটিং প্রক্রিয়ায় একটি ধাতুর তৈরি জিনিসপত্রের ওপর কম সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয় ।

ii. এই প্রক্রিয়াটি স্থায়ী।

গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়া

i. গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ায় একটি ধাতুর তৈরি জিনিসপত্রের উপরে দস্তার প্রলেপ দেওয়া হয়।

ii. এই প্রক্রিয়াটি অস্থায়ী।

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

২৭। সিস্টেম লসের কারণসমূহ উল্লেখ কর।

উত্তর : সিস্টেম লসের কারণসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো-

i. সরবরাহ পদ্ধতির ত্রুটি

ii. তড়িতের অবৈধ সংযোগ

iii. তড়িৎ সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই বলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার না হলে তা অপচয় হয়।

iv. দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা

২৮। বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিরা পায়ে শুষ্ক জুতা পরিধান করে কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: তড়িৎ সংযোগ দেওয়ার সময় প্লাস্টিকের শুষ্ক জুতা ব্যবহার করলে মানুষের বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার ভয় থাকে না। বৈদ্যুতিক সংকেতের জন্য যে মেইন তার দুটি থাকে, তার একটি তার জীবন্ত থাকে। অর্থাৎ ঐ তারে তড়িৎ ভোল্টেজ থাকে। কেউ যদি খালি পায়ে মাটির সাথে সংস্পর্শে থেকে জীবন্ত তার স্পর্শ করে তাহলে সে বৈদ্যুতিক শক’ অনুভব করবে। অর্থাৎ তার মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হবে। প্লাস্টিকের শুষ্ক জুতা ব্যবহার করলে মাটির সাথে শরীরে কোনো স্পর্শ থাকে না। আবার প্লাস্টিক নিজেই বিদ্যুৎ অপরিবাহী বলে শক লাগে না। একারণেই বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিরা পায়ে শুষ্ক জুতা পরিধান করে।

তথ্য কণিকা

ICT তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৯. একাধিক তড়িৎ কোষের সমন্বয়কে বলে — ব্যাটারি।

১০. কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে — ইউপিএস।

১১. বাড়িতে তড়িৎসংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়— সমান্তরাল সংযোগ।

১২. তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে ব্লক, মডেলতৈরি করাকে বলে — তড়িৎ মুদ্রণ।

১৩. তড়িৎ রিপেয়ারিং করা হয়— তড়িৎ বিশ্লেষ মাধ্যমে।

১৪. H2SO4 — তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।

১৫. তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে যে দ্রবণটি বিশ্লেষণ করা হয় তাকে বলে — তড়িৎবিশ্লেষ্য।

১৬. তুঁতের তড়িৎ বিশ্লেষণে অ্যানোডে জমা হয় — SO4

১৭. তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপন দেওয়াকে বলে— তড়িৎ প্রলেপন ।

১৮. তড়িৎ প্রলেপনে যে বস্তুটির উপর প্রলেপ দিতে হয় তা ব্যবহৃত হয় — ক্যাথোড় হিসেবে।

১৯. ১ মেগাওয়াট সমান — ১০ ওয়াট ।

২০. কিলোওয়াট-ঘণ্টা এককে আমরা পরিশোধ করি — বিদ্যুৎ বিল ।

২১. ব্যয়িত শক্তি = (যন্ত্রের ক্ষমতা x সময়) / ১০০০।

২২. এনার্জি সেভিং বাল্বে ব্যবহৃত হয় — আর্গন গ্যাস ।

২৩. খরচ সাশ্রয় হয়, বেশি দিন টিকে ও কম শক্তি লাগে — এনার্জি সেভিং বাল্বের ব্যবহারে।

২৪. এক কিলোওয়াট সমান— ১০০০ ওয়াট।

২৫. ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টায় — ৩৬,০০,০০০ জুল ।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

২৬. বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ সাপ্লাই হয়ে থাকে— ২২০ ভোল্টেজ ।

২৭. ক্যাথোডে কপার অণু জমা হবে, অক্সিজেন নির্গত হয় ও দ্রবণের ঘনামাত্রা কমে যাবে — কপার সালফেটের দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে।

২৮. বিদ্যুতের স্বল্প উৎপাদন ও যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে — বিদ্যুৎ প্রবাহে সমস্যা হয় ।

২৯. বাল্বগুলো পুরোপুরি ভোল্টেজ পায় না এবং একটি বাল্ব বন্ধ হলে বাকি সবগুলো বন্ধ হয়ে যাবে— শ্রেণি সংযোগ বর্তনীতে।

৩০. একটি দেশের উন্নয়নের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে — শক্তির ব্যবহারের।

৩১. তড়িৎ সিস্টেম লসের কারণ — সরবরাহ পদ্ধতির ত্রুটি।

৩২. আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের সবার প্রথম নজর দেয়া উচিত — শিক্ষার দিকে।

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১০. ব্যাটারি হলো

ক. একটি তড়িৎ কোষ

খ. একাধিক তড়িৎ কোষের সমন্বয়

গ. ক্যাথোড ও অ্যানোডের সমন্বয়

ঘ. ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানের সমন্বয়

উত্তর: খ. একাধিক তড়িৎ কোষের সমন্বয়

১১. ব্যাটারি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?

জীববিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন

ক. রাসায়নিক শক্তিতে তড়িৎশক্তিকে রূপান্তর করতে

খ. বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো পদার্থকে ভাঙতে

গ. ব্যয়িত বিদ্যুৎশক্তির হিসাব রাখতে

ঘ. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নিরাপদ রাখতে

উত্তর: গ. ব্যয়িত বিদ্যুৎশক্তির হিসাব রাখতে

১২. বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়?

ক. সিরিজ সংযোগ                 খ. সমান্তরাল সংযোগ

গ. শ্ৰেণী সংযোগ                    ঘ. সমতুল্য সংযোগ

উত্তর: খ. সমান্তরাল সংযোগ

১৩. তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে ব্লক, মডেল ইত্যাদি তৈরি করাকে কী বলে?

ক. ধাতু শোধন                        খ. ধাতু নিষ্কাশন

গ. তড়িৎ প্রলেপন                  ঘ. তড়িৎ মুদ্রণ

উত্তর: ঘ. তড়িৎ মুদ্রণ

১৪. কোনটির মাধ্যমে তড়িৎ রিপেয়ারিং করা হয়?

ক. তড়িৎ প্রলেপন                 খ. তড়িৎ মুদ্রণ

গ. গ্যালভানাইজেশন              ঘ. তড়িৎ বিশ্লেষণ

উত্তর: ঘ. তড়িৎ বিশ্লেষণ

১৫. নিচের কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ?

ক. H2SO4                               খ. NH4+

গ. NaCl                                  ঘ. CH4

উত্তর: গ. NaCl

১৬. তড়িৎ বিশ্লেষণের মধ্যমে যে দ্রবণটিকে বিশ্লেষণ করা হয় তাকে কী বলে?

ক. দ্রাবক                                খ. তড়িৎ বিশ্লেষ্য

গ. দ্রবণ                                   ঘ. অন্তরক

উত্তর: খ. তড়িৎ বিশ্লেষ্য

জীববিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

১৭. তুঁতের তড়িৎ বিশ্লেষণে কোনটি অ্যানোডে জমা হয়?

ক. Zn                                      খ. Cu

গ. SO4                                     ঘ. Cl

উত্তর: গ. SO4

১৮. তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপন দেওয়াকে বলে

ক. তড়িৎ প্রলেপন                 খ. তড়িৎ মুদ্রণ

গ. তড়িৎ বিশ্লেষ্য                    ঘ. তড়িৎ বিশ্লেষণ

উত্তর: ক. তড়িৎ প্রলেপন

১৯. তড়িৎ প্রলেপনে যে বস্তুটির উপর প্রলেপ দিতে হয় তাকে কী হিসেবে ব্যবহার করা হয়?

ক. অ্যানোড                           খ. ক্যাথোড

গ. তুড়িৎ বিশ্লেষ্য                    ঘ. দ্রাবক

উত্তর: খ. ক্যাথোড

২০. মেগাওয়াট সমান কোনটি?

ক. ১০ ওয়াট                         খ. ১০ ওয়াট

গ. ১০ ওয়াট                          ঘ. ১০ ওয়াট

উত্তর: ক. ১০ ওয়াট

২১. কোন এককে আমরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি?

ক. ওয়াট-ঘণ্টা                        খ. ওয়াট সেকেন্ড

গ. কিলোওয়াট-ঘণ্টা               ঘ. মেগাওয়াট-ঘণ্টা

উত্তর: গ. কিলোওয়াট-ঘণ্টা

২২. ৮০ ওয়াটের একটি বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতিদিন ঘণ্টা চললে জুন মাসে কত বিদ্যুৎশক্তি খরচ হবে?

ক. ৫.১ kwh                            খ. ২১.৬ kwh

গ. ২৪.০৯ kwh                      ঘ. ২১৬ kwh

উত্তর: খ. ২১.৬ kwh

২৩. মিসেস তালি তার গৃহে ১০০w এর ৫টি ৬০w এর ৫টি বাল্ব প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে ব্যবহার করেন। তিনি দৈনিক কত ইউনিট বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করেন?

ক. ৫                                       খ. ৬

গ. ৭                                        ঘ. ৮

উত্তর: ঘ.৮

২৪. মেগাওয়াট = কত ওয়াট?

ক. ১০                                   খ. ১০

গ. ১০                                    ঘ. ১০  

উত্তর: গ. ১০

২৫. এনার্জি সেডিং বাল্বে কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয়?

ক. সোডিয়াম                          খ. হিলিয়াম

গ. নিয়ন                                  ঘ. আর্গন

উত্তর: ঘ. আর্গন

২৬. এনার্জি বাল্ব ব্যবহারের সুবিধা হলো

i. খরচ সাশ্রয় হয়

ii. বেশি দিন টিকে

iii. কম শক্তির দরকার হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

২৭. এক কিলোওয়াট সমান কত?

ক. ২০ ওয়াট                            খ. ১০০ ওয়াট

গ. ৫০০ ওয়াট                         ঘ. ১০০০ ওয়াট

উত্তর: ঘ. ১০০০ ওয়াট

২৮. কিলোওয়াটঘণ্টায় কত জুল?

ক. ৩,৬০০                              খ. ৩৬,০০০

গ. ৩,৬০,০০০                        ঘ. ৩৬,০০,০০০

উত্তর: ঘ. ৩৬,০০,০০০

ICT চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

২৯. বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ সাপ্লাই কত ভোল্টেজ হয়ে থাকে?

ক. ২০০ ভোল্ট                       খ. ২২০ ভোল্ট

গ. ২৫০ ভোল্ট                       ঘ. ১০০০ ভোল্ট

উত্তর: খ. ২২০ ভোল্ট

উদ্দীপকের আলোকে ৩০ ৩১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

৩০. বাল্বটি প্রতিদিন ঘণ্টা করে জ্বললে ২৫ দিনে কত শক্তি ব্যয় হবে?

ক. ০.১৩ ইউনিট                     খ. ৭.৫ ইউনিট

গ. ১২৫ ইউনিট                      ঘ. ৪৮০ ইউনিট

উত্তর: খ. ৭.৫ ইউনিট

৩১. উদ্দীপক অনুসারে

i. ক্যাথোডে কপার অণু জমা হবে

ii. অক্সিজেন গ্যাস নির্গত হবে

iii. দ্রবণের ঘনমাত্রা কমে যাবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩২ ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

প্রভাদের বাসায় ১০০ ওয়াটের ৩টি এবং ৬০ ওয়াটের ২টি বাতি প্রতিদিন ৫

ঘণ্টা করে জ্বলে । কিন্তু ইদানিং যখন তখন বিদ্যুৎ চলে যায় ।

৩২. প্রভাদের বাসায় প্রতি মাসে কত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়?

ক. ২১০০ ইউনিট                   খ. ১৫০০ ইউনিট

গ. ৬০০ ইউনিট                      ঘ. ৬৩ ইউনিট

উত্তর: ঘ. ৬৩ ইউনিট

৩৩. ইদানিং প্রভাদের এলাকার বিদ্যুতের সমস্যার কারণ

i. বিদ্যুতের স্বল্প উৎপাদন

ii. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ত্রুটি

iii. অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

নিচের উদ্দীপকের আলোকে ৩৪ ৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

হামিদা তার গৃহে ১০০ ওয়াটের ৩টি ফ্যান এবং ৬০ ওয়াটের ৫টি বার প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে ব্যবহার করেন। ইদানিং তাদের এলাকায় প্রায়ই লোড শেডিং হচ্ছে।

৩৪. হামিদা দৈনিক কত ইউনিট বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করেন ?

ক. ১.৬৮ ইউনিট                    খ. ৩.৬৫ ইউনিট

গ. ৬ ইউনিট                           ঘ. ১৬ ইউনিট

উত্তর: গ. ৬ ইউনিট

৩৫. হামিদার এলাকার সমস্যাটির জন্য

i. প্রায়ই তাদের অলস সময় কাটাতে হয়

ii. কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হয়

iii. জনজীবনের অনেক দুর্ভোগ নেমে আসে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৬ ৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

শফিক সাহেবের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নিচের সার্কিট ডিজাইন করলো:

৩৬. A বাতিটি দৈনিক ঘণ্টা জ্বালালে মাসে কত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে?

ক. ৮ ইউনিট                          খ. ২৪ ইউনিট

গ. ১০৮ ইউনিট                      ঘ. ৮০০ ইউনিট

উত্তর: খ. ২৪ ইউনিট

বাংলা দ্বিতীয় উপসর্গ-বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩৭. শফিক সাহেবের ব্যবহৃত সার্কিটে

i. B ও C পুরোপুরি ভোল্টেজ পাবে না

ii. A বন্ধ হলে C জ্বলবে

iii. C বন্ধ হলে A বন্ধ হবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৩৮. কোনটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে?

ক. আইপিএস                         খ. ইউপিএস

গ. জেনারেটর                         ঘ. ডায়নামো

উত্তর: খ. ইউপিএস

৩৯. কোনটিতে UPS ব্যবহার করা হয়?

ক. বাল্বে                                  খ. পাখাতে

গ. কম্পিউটারে                      ঘ. এসিতে

উত্তর: গ. কম্পিউটারে

৪০. তড়িতের সিস্টেম লসের কারণ কোনটি?

ক. অপর্যাপ্ত উৎপাদন

খ. তড়িতের অপচয়

গ. সরবরাহ পদ্ধতির ত্রুটি

ঘ. লোডশেডিং

উত্তর: গ. সরবরাহ পদ্ধতির ত্রুটি

৪১. আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের সবার প্রথম কোন দিকে নজর দেয়া উচিত?

ক. শিক্ষা                                  খ. কৃষি

গ. স্বাস্থ্যসেবা                           ঘ. যোগাযোগ

উত্তর: ক. শিক্ষা  

৪২. কোনটির ব্যবহারের সাথে দেশের উন্নয়নের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে?

ক. শক্তির                                খ. বলের

গ. আইপিএস                         ঘ. জেনারেটর

উত্তর: ক. শক্তির

৪৩. সিস্টেম লস প্রতিরোধের উপায় হচ্ছে

i. সরবরাহ পদ্ধতির উন্নয়ন

ii. উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা

iii. দক্ষ ও সফল মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

বাংলা দ্বিতীয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

৪৪. সিস্টেম লস কমানো যায়

i. নতুন সংযোগ প্রদান

ii. অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণে

iii. উপযুক্ত সমন্বয়ের মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

৪৫. বিদ্যুতের লোড শেডিং করতে হয়

i. চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের স্বল্প উৎপাদনের জন্য

ii. বিদ্যুতের সিস্টেম লসের জন্য

iii. বিদ্যুতের অপচয়ের জন্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকাট পড় এবং ৪৬ ৪৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

বর্তমানে প্রত্যেক শহরেই নির্দিষ্ট সময় পর পর বিদ্যুৎ চলে যায় । চাহিদার তুলনায় তড়িতের উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। তখন কোনো কোনো এলাকার তড়িৎ সরবরাহ বন্ধ করে উৎপাদিত তড়িৎ অন্যান্য এলাকার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয় ।

৪৬. উদ্দীপকে বর্ণিত পদ্ধতিকে কী বলে?

ক. সিস্টেম লস                       খ. বিদ্যুৎ বিতরণ

গ. লোড শেডিং                      ঘ. মনিটরিং

উত্তর: গ. লোড শেডিং

৪৭. উপরোক্ত সমস্যার কারণ

i. বিদ্যুতের স্বল্প উৎপাদন

ii. বিদ্যুতের লস

iii. বিদ্যুতের যান্ত্রিক ত্রুটি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিচের তথ্যের আলোকে ৪৮ ৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

অয়নদের উপশহরে প্রায়ই লোডশেডিং হয়। তাই কাজের সমস্যার জন্য বাড়িতে IPS লাগিয়েছে।

৪৮. উক্ত যন্ত্রটি

i. সমপ্ৰবাহ

ii. নিম্ন ভোল্টেজেও চার্জিত হয়

iii. তাড়িতের আউটপুটের সাথে সংযুক্ত থাকে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৪৯. সমস্যাটি সমাধানের প্রধান উপায় কী?

ক. সরবারাহ পদ্ধতির উন্নয়ন

খ. অবৈধ সংযোগ স্থাপন

গ. সিস্টেম লস কমানো

ঘ. চাহিদা অনুযায়ী কম বিদ্যুৎ উৎপাদন

উত্তর: গ. সিস্টেম লস কমানো

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন১: মিসেস মনছুরা খানম একজন সচেতন গৃহিনী। বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি হিসেব করে চলেন প্রতিদিন গড়ে ঘণ্টা করে ১০০ ওয়াটের ৫টি বাল্ব জ্বালান। ইদানীং তিনি লক্ষ করছেন বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে। এজন্য তিনি বাল্বগুলো পরিবর্তন করে ৫টি ২০ ওয়াটের এনার্জি সেভিং বাল্ব লাগান

ক. তড়িৎ ক্ষমতা কী?

খ. একটি বাল্বের গায়ে ২২০ ভোল্ট- ৬০ ওয়াট লেখা আছে এর অর্থ কী?

গ. প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৫ টাকা হলে পূর্বে মনছুরা খানমের কত বিল আসতো?

ঘ. পরবর্তীতে বাল্বগুলোর পরিবর্তনে মনছুরা খানমের কী লাভ হলো? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও ।

১নং প্রশ্নের উত্তর

. কোনো তড়িৎ যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে (তাপ, আলো, যান্ত্রিক ইত্যাদি) রূপান্তরিত করে তাই তড়িৎ ক্ষমতা ।

. একটি বাল্বের গায়ে ২২০ ভোল্ট – ৬০ ওয়াট লেখা আছে। এর অর্থ হলো, ২২০ ভোল্ট বিভব পার্থক্যে বাল্বটিকে সংযুক্ত করলে বাল্বটি সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে এবং প্রতি সেকেন্ডে ৬০ জুল বৈদ্যুতিক শক্তি আলো ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হবে ।

ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. উদ্দীপকে দেওয়া আছে, পূর্বে ব্যবহৃত বাল্বগুলো জ্বালানোর সময় = ৬ ঘণ্টা

বাল্ব সংখ্যা = ৫টি

এবং প্রতিটি বাল্বে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা = ১০০ ওয়াট

.:. ৫টি বাল্বের মোট ক্ষমতা =(৫ × ১০০) ওয়াট = ৫০০ ওয়াট

সুতরাং বাল্বগুলো দ্বারা ব্যয়িত শক্তি = (ক্ষমতা × সময়)/ ১০০০ ইউনিট

= (৫০০ × ৬)/১০০০ ইউনিট

= ৩০০০/১০০০ ইউনিট

= ৩ ইউনিট

.:. ৫ টাকা ইউনিট হিসেবে দৈনিক বিলের পরিমাণ = ৩ ইউনিট × ৫ টাকা/ ইউনিট = ১৫ টাকা ।

এখন এক মাসে ৩০ দিন হিসেবে, মাসিক বিলের পরিমাণ = ১৫টাকা x ৩০ = ৪৫০ টাকা I

সুতরাং পূর্বে মাসিক হিসেবে মনছুরা খানমের বিল আসতো ৪৫০ টাকা ।

. সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করায় মনছুরা বেগমের মাসিক বিলের পরিমাণ বহুলাংশে কমে গেল। এতে তার বিদ্যুৎ বিল বাবদ কিছু টাকা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ শক্তির অপচয় রোধ করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখলো। নিচে যুক্তিসহ আমার মতামতটি দেয়া হলো—

এনার্জি সেভিং বাল্বগুলোর ক্ষেত্রে, বাল্বগুলো জ্বালানোর সময় = ৬ ঘণ্টা এবং মোট বৈদ্যুতিক ক্ষমতা = ২০ ওয়াট x ৫ = ১০০ ওয়াট

আমরা জানি,

ব্যয়িত শক্তি = (ক্ষমতা × সময়)/ ১০০০ ইউনিট

=(১০০ x ৬)/১০০০ ইউনিট

= ০.৬ ইউনিট

.:. ৫ টাকা ইউনিট হিসেবে দৈনিক বিলের পরিমাণ = ০.৬ ইউনিট x ৫ টাকা/ইউনিট = ৩ টাকা

এবং এক মাসে ৩০ দিন হিসেবে মাসিক বিলের পরিমাণ = ৩ টাকা x ৩০ = ৯০ টাকা

সুতরাং সাধারণ বাল্বের বদলে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করায় মনছুরা বেগমের মাসিক বিলের পরিমাণ হবে মাত্র ৯০ টাকা, যা পূর্বের তুলনায় এক-পঞ্চমাংশ মানের ।

সাশ্রয়ের শতকরা পরিমাণ = (৪৫০ – ৯০)/৪৫০×১০০%

= ৩৬০/৪৫০×১০০%

= ৮০%

এবং সাশ্রয়ের সাংখ্যিক পরিমাণ = (৪৫০-৯০) টাকা

= ৩৬০ টাকা

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, বাল্বগুলো পরিবর্তনের ফলে মনছুরা বেগমের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৩৬০ টাকা সাশ্রয় হয় এবং পূর্বের তুলনায় ৮০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

প্রশ্ন-২ : নিচের তথ্যের আলোকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

ক. তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে?

খ. অ্যানোড বলতে কী বুঝায়?

গ. ‘B’ চিহ্নিত অংশে কী অবস্থায় ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. চিত্র P ও চিত্র Q এর মধ্যে বাড়িতে সংযোগের ক্ষেত্রে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? তোমার যৌক্তিক মতামত দাও।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. কোনো দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত করে এর অণুগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে।

রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. তড়িৎকোষ এবং তড়িৎ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ধনাত্মক তড়িৎদ্বারকে অ্যানোড বলা হয়। এটি ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট হয় এবং দ্রবণের ঋণাত্মক আয়নসমূহ এর প্রতি আকৃষ্ট হয় ।

. উদ্দীপকের চিত্র P তে ‘B’ চিহ্নিত অংশটি বর্তনীতে চাবি নিৰ্দেশ করা হয়েছে। বর্তনীর এই চাবিতে কীভাবে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় তা ব্যাখ্যা করা হলো—

উদ্দীপকের P চিত্রে দুইটি তার দ্বারা একটি সুইচ ও দুটি বাতি সমান্তরালে সংযোগ করা হয়েছে। এই তার দুটির একটি হলো জীবন্ত তার এবং অপরটি নিরপেক্ষ তার। এই জীবন্ত তারে তড়িৎ ভোল্টেজ থাকে এবং নিরপেক্ষ তারে তড়িৎ ভোল্টেজ কম থাকে। কেননা এটি মাটির সাথে সংযোগ করে দেওয়া হয় ৷

সুইচ হতে তার দুটি মেইন বক্সে যায়। সেখান থেকে তার দুটি বিভিন্ন শাখা লাইনে বিভক্ত হয়ে যায়। প্রত্যেক শাখা লাইনের জন্য পৃথক পৃথক ফিউজ থাকে। এই ফিউজ জীবন্ত তারের সাথে সংযোগ দেওয়া হয় তাহলে সুইজ ইলেকট্রন সুইচ ইলেকট্রন প্রবাহিত হবে। তার যদি নিরপেক্ষ তারের সাথে সংযোগ দেওয়া হয় তাহলে সুইচে ইলেকট্রন প্রবাহ চলবে না ।

. চিত্র P এর সংযোগটি হলো সিরিজ সংযোগ এবং চিত্র Q এর সংযোগটি হলো সমান্তরাল সংযোগ। বাড়িতে সংযোগের ক্ষেত্রে সমান্তরাল সংযোগটি বেশি সুবিধাজনক।

সিরিজ সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি বর্তনী উপাদান আলাদাভাবে সুইচের মাধ্যমে অন/অফ করা যায় না, বরং একটি মাত্র সুইচের মাধ্যমে সবগুলো বর্তনী উপাদান একসাথে বন্ধ বা চালু করা যায়। রাস্তায় সোডিয়াম বাতির মাধ্যমে আলো সরবরাহের কাজে এরূপ সংযোগ বেশ সুবিধাজনক। সিটি কর্পোরেশনের লোকজন এক্ষেত্রে একটি মাত্র সুইচের মাধ্যমে সবগুলো বাতি জ্বালিয়ে বা নিভিয়ে সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বাসাবাড়িতে আমরা এভাবে সবগুলো বাতি বা পাখা একসাথে চালু করি না। সুতরাং বাসাবাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগের ক্ষেত্রে সিরিজ সংযোগ উপযোগী নয় ।

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

পক্ষান্তরে সমান্তরাল সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি বর্তনী উপাদান চালু বা বন্ধ করার জন্য আলাদা সুইচ থাকে। ফলে প্রয়োজন ও সুবিধামতো যে কোনো বর্তনী উপাদান (যেমন-বৈদ্যুতিক বাতি, পাখা প্রভৃতি) বন্ধ বা চালু করা যায়। একটি যন্ত্রকে বন্ধ বা চালু করলে এর কোনো প্রভাব অপর যন্ত্রগুলোর উপর পড়ে না। ফলে প্রতিটি যন্ত্রের সুইচিং ব্যবস্থা স্বতন্ত্র।

সমান্তরাল সংযোগের প্রতিটি শাখায় আলাদাভাবে ফিউজ ব্যবহার করা যায় বলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুরক্ষা ব্যবস্থা অধিকতর সক্রিয় থাকে। এছাড়া সমান্তরাল সংযোগে কোনো একটি বর্তনী উপাদান নষ্ট হয়ে গেলেও অপরগুলোর উপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না, অর্থাৎ অপর যন্ত্রগুলো স্বাধীনভাবে চলতে থাকে ।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সবদিক বিবেচনায় বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে Q বর্তনীর সংযোগ বা সমান্তরাল সংযোগ বেশি সুবিধাজনক ।

প্রশ্ন: নিচের তথ্যের আলোকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

ক. তড়িৎ বর্তনী কী?

খ. বাল্বের গায়ে লেখা 100V – 60W এর অর্থ কী?

গ. উদ্দীপকের আলোকে CuSO4 দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা কর ।

ঘ. ধাতু বিশুদ্ধকরণে ‘উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটির ব্যবহার বিশ্লেষণ কর।

নং প্রশ্নের উত্তর

. তড়িৎ প্রবাহ চলার সম্পূর্ণ পথই হলো তড়িৎ বর্তনী।

. কোনো বাল্বের গায়ে 100V-60W লেখা অর্থ হলো, বাল্বটিকে 100 ভোল্ট বিভব পার্থক্যে সংযুক্ত করলে বাল্বটি সর্বোচ্চ আলো দিবে এবং এতে প্রতি সেকেন্ডে 60 জুল বৈদ্যুতিক শক্তি তাপ ও আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হবে ।

. উদ্দীপকে CuSO4 এর তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ দেখানো হয়েছে । দ্রবনে CuSO4 লবণ Cu2+ এবং SO42- আয়নদ্বয়ে বিশ্লিষ্ট হয় । তড়িৎ দ্বার হিসেবে তামার পাত ব্যবহার করলে তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় Cu2+ আয়ন ক্যাথোড হতে 2টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয়ে Cu পরমাণুতে পরিণত হয়। অন্যদিকে, SO2- আয়নগুলো অ্যানোড কর্তৃক আকৃষ্ট হয় এবং অ্যানোডে গিয়ে 2টি ইলেকট্রন ছেড়ে দিয়ে নিস্তড়িত হয়, যা অ্যানোড হতে Cu গ্রহণ করে CuSO4 উৎপন্ন করে ।

কিন্তু, তড়িৎদ্বার হিসেবে যদি নিষ্ক্রিয় ধাতু যেমন— গোল্ড (Au) বাহার করা হয়, তখন Cu2+ ক্যাথোড হতে 2টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ধাতব কপারে (Cu) পরিণত হয় এবং SO42 আয়ন পানির সাথে বিক্রিয়া করে H2SO4 এবং O2 গ্যাস উৎপন্ন করে। উৎপন্ন O2 গ্যাস বুদবুদ আকারে তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ ত্যাগ করে।

CuSO4 → Cu2+ + SO 2-

Cu2+ + 2e → Cu (ক্যাথোড)

H2O + SO42- → H2SO4 + O2 (অ্যানোড )

ঘ. উদ্দীপকে যে প্রক্রিয়াটি উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো ধাতব লবণ তথা CuSO4-এর তড়িৎ বিশ্লেষণ। এই তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি কাজে লাগিয়ে কোনো অবিশুদ্ধ ধাতুর বিশুদ্ধকরণ সম্ভব ।

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

খনি থেকে সাধারণত বিশুদ্ধ ধাতু পাওয়া যায় না। অধিকাংশ ধাতুই অন্যান্য ধাতুর সাথে মিশ্রিত থাকে, যা আকরিক নামে পরিচিত। তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে আকরিক থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন ও বিশোধন করা যায় ।

যে আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশন করতে হবে, সেটিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষের অ্যানোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যে ধাতু বিশোধন করতে হবে তার কোনো লবণের দ্রবণকে তড়িৎ দ্রব এবং তার একটি বিশুদ্ধ পাতকে ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এভাবে সৃষ্ট কোষে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে অবিশুদ্ধ কপার হতে Cu পরমাণু, প্রথমে Cu2+ আয়নরূপে দ্রবণে যায় এবং পরে তা Cu পরমাণুরূপে ক্যাথোডে জমা হয় । এভাবে তড়িৎ বিশ্লেষণ ব্যবহার করে ধাতুর বিশুদ্ধকরণ সম্ভব।

প্রশ্ন৪: পুষ্পদের বাসায় ফ্রিজ, টেলিভিশন, ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করে। এসব যন্ত্র প্রতিদিন ৪৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। ইদানীং লোডশেডিংএর কারণে আইপিএস ব্যবহার করা হয়। গত মার্চ মাসে তাদের ২০০০.০০ টাকা বিল দিতে হয়েছে।

ক. BOT কী?

খ. তড়িৎ মুদ্রণ বলতে কী বুঝায়?

গ. প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৪.০০ টাকা হলে, উক্ত মাসে কত টাকা ব্যয় হয়েছে নির্ণয় কর।

ঘ. লোডশেডিং-এর কারণে পুষ্প যে যন্ত্র ব্যবহার করে তার কার্যপ্রণালী আলোচনা কর ।

নং প্রশ্নের উত্তর

. BOT বা বোর্ড অব ট্রেড ইউনিট হলো বিদ্যুৎ হিসাব করার কাজে ব্যবহৃত একক যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার করা হয়।

. তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে হরফ, ব্লক, মডেল ইত্যাদি তৈরি করাকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে। তড়িৎ মুদ্রণের জন্য প্রথমে লেখাটি সাধারণ টাইপে কম্পোজ করে মোমের ওপর ছাপ নেওয়া হয়। এর উপরে কিছু গ্রাফাইট গুঁড়ো ছড়িয়ে একে তড়িৎ পরিবাহী করা হয়। এরপর কপার সালফেট দ্রবণে এটি ক্যাথোড পাত হিসেবে ডুবানো হয় এবং একটি তামার পাতকে অ্যানোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালালে মোমের ছাঁচের ওপর তামার প্রলেপ পড়বে। প্রলেপ খানিকটা পুরু হলে ছাঁচ হতে ছাড়িয়ে নিয়ে ছাপার কাজে ব্যবহার করা হয় ।

গ. উদ্দীপক অনুযায়ী,

পুষ্পদের বাসায় প্রতিদিন ব্যবহৃত ব্যয়িত বিদ্যুৎ খরচ = ৪৫০০ ওয়াট

.:. মার্চ মাসে মোট ব্যয়িত শক্তি = (৪৫০০ × ৩১)/১০০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা  [.:. মার্চ মাস = ৩১ দিন ]

= ১৩৯.৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা

প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৪ টাকা হলে,

মোট খরচ = (১৩৯.৫ × ৪) টাকা

= ৫৫৮ টাকা

সুতরাং মার্চ মাসে বিদ্যুৎ বিল বাবদ পুষ্পদের ব্যয় হয়েছে ৫৫৮ টাকা ।

ঘ. উদ্দীপকে পুষ্পরা যে যন্ত্রটি ব্যবহার করে তা হলো আইপিএস বা আনইন্টারাপটিবল পাওয়ার সাপ্লাই। তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্ন ঘটার পরও তাৎক্ষণিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন তড়িৎ প্রবাহ পাওয়ার জন্য একটি আদর্শ সমাধান হিসেবে আইপিএস ব্যবহার করা হয়।

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

এটা মূলত ডিসি প্রবাহ। এটি নিম্ন ভোল্টেজে চার্জিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ প্রবাহে বিঘ্ন ঘটলেও আমরা ব্যাকআপ পেয়ে থাকি । আইপিএসকে গৃহে ব্যবহৃত তড়িতের ইনপুটের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এটিতে একটি রেকটিফায়ার সংযুক্ত থাকে। এর আউটপুটে একটি ক্যাপাসিটারের মাধ্যমে প্রায় অপর্যাবৃত্ত ডিসি প্রবাহ পাওয়া যায়। এই আউটপুটে একটি ক্যাপাসিটারের মাধ্যমে প্রায় অপর্যাবৃত্ত ডিসি প্রবাহ পাওয়া যায়। এই আউটপুটকে একটি রেগুলেটরের সাথে সংযোগ দেওয়া হয়। ফলে পুরো ব্যবস্থাটি একটি অপর্যাবৃত্ত ডিসি প্রবাহের উৎস হিসেবে কাজ করে। এই ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই সম্পূর্ণ অটোমেটিক।

অর্থাৎ তড়িৎ প্রবাহ চলে যাওয়ার পর সাথে সাথেই এর কার্যক্রম চলে এবং ব্যাটারির চার্জ থাকা পর্যন্ত চলতে থাকে। এটি একসাথে অনেকগুলো আউটপুটকে চালাতে সক্ষম। এভাবেই আইপিএস কাজ করে ।

প্রশ্ন: বিদ্যুৎ উপাদানের সাথে একটি দেশের উন্নয়ন জড়িত। শিক্ষার্থীর লেখাপড়া থেকে শুরু করে কলকারখানা, কৃষি, যাতায়ত ইত্যাদি পর্যাপ্ত তড়িৎ উৎপাদনের উপর নির্ভর করে। কিন্তু লোডশেডিং এর কারণে এগুলো মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সিস্টেম লস লোডশেডিং এর একটি কারণ।

ক. ক্ষমতা কাকে বলে?

খ. লোডশেডিং বলতে কীবুঝ?

গ. উদ্দীপকের কৃষি ও যাতায়াত কিভাবে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল বর্ণনা কর ।

ঘ. তুমি কি মনে কর উদ্দীপকে উল্লেখিত সিস্টেম লস -এর প্রধান কারণ? মতামত দাও ।

নং প্রশ্নের উত্তর

. কোনো বস্তুর দ্বারা একক সময়ে কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে ।

. প্রয়োজন বা চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন অনেক কম হলে, সব এলাকাতেই পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের সরবরাহ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। এ ঘটনাকেই বলা হয় লোডশেডিং। লোডশেডিং-এর কারণগুলো হলো :

i. চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের স্বল্প উৎপাদন;

ii. বিদ্যুতের সিস্টেম লস;

iii. বিদ্যুতের অপচয়;

iv. বিদ্যুতের যান্ত্রিক ত্রুটি ।

গ. বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর থেকে দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি প্ৰায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কোনো কারণে একটু বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে বাসাবাড়িসহ, শিল্প-কারখানা, যাতায়াত ও কৃষিজ উৎপাদন ব্যাহত হয় ।

কৃষিক্ষেত্রে বর্তমান যুগে অধিক উৎপাদন অনেকাংশেই যান্ত্রিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শত শত একর জমি পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচ দিতে বৈদ্যুতিক মটরের প্রয়োজন হয়। এই সেচকাজের ওপর ফসলের ফলন অনেকাংশে নির্ভর করে। আবার বিভিন্ন ফসল মাড়াইয়ে, যেমন— পাওয়ার টিলার ব্যবহার করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।

দ্রুততম সময়ে বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ফসল মাড়াই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একইভাবে ফসল উৎপাদনের পর সঠিক সময়ে বাজারজাত না করতে পারলে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়। আর এজন্য দরকার উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা। উৎপাদনস্থল থেকে বাজারের দূরত্ব বেশি হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পণ্য বাজারে নেওয়ার জন্য ভালো পরিবহন ব্যবস্থাও দরকার।

বর্তমানে বৈদ্যুতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালানো হয়, যেগুলোর ওপর আমরা অনেকাংশে নির্ভরশীল। আবার বিভিন্ন প্রয়োজনে, যেমন— জরুরি চিকিৎসা, তুলনামূলক উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি পেতে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাস্তা তৈরিতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন ।

কোনো কারণে বিদ্যুতের অভাব হলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ যোগাযোগে পরিবহন ব্যবস্থাও অপ্রতুল হয়ে পড়ে। এতে আর্থিক ক্ষতিসহ নানারকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় । এভাবেই কৃষি ও যাতায়াত ব্যবস্থা বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল।

বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

ঘ. আমি মনেকরি, সিস্টেম লসই লোডশেডিংয়ের প্রধান কারণ। সাধারণভাবে, তড়িৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যপথে বিদ্যুতের অপচয়কে সিস্টেম লস বলে। এ সিস্টেম লসের কারণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে যায় ।

চাহিদার তুলনায় তড়িতের উৎপাদন কম হলে একই সাথে সব জায়গায় তড়িৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে চাহিদা মেটানোর জন্য কোনো কোনো এলাকার তড়িৎ সরবরাহ বন্ধ করে অন্য এলাকায় তড়িৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়। তড়িৎ সরবরাহ সুষমভাবে বণ্টনের জন্য এর প্রবাহ বন্ধ রাখার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় লোডশেডিং ।

যে পরিমাণ তড়িৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা হয় তার পুরোটা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে না। সাধারণত তড়িৎ সরবরাহ পয়েন্ট থেকে গ্রাহকের কাছে পৌছানোর জন্য তড়িৎ লাইন টানা হয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের বাড়ির ভিতর মিটার থাকে। কিন্তু দেখা যায় মিটারে পৌছার পূর্বেই ঐ লাইনে

থেকে অবৈধভাবে অন্য লাইন টেনে তড়িৎ নিয়ে অন্য কেউ ব্যবহার করছে। যার কোনো হিসাব মিটারে ওঠে না। এখানে উৎপন্ন তড়িৎ ও ব্যবহৃত বিদ্যুতের গরমিল দেখা দেয়। এজন্য চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত লোডশেডিং করার প্রয়োজন পড়ে। মূলত সিস্টেম লসের কারণে চাহিদার সমান বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলেও তা সুষম বণ্টন করা যায় না ।

লোডশেডিংয়ের অন্যান্য কারণ যেমন বিদ্যুতের অপচয়, যান্ত্রিক ত্রুটি, চাহিদার তুলনায় স্বল্প উৎপাদন ইত্যাদি দায়ী থাকলেও সিস্টেম লসকেই আমি প্রধান কারণ হিসেবে মনে করি I

প্রশ্ন: তমাল কিছুদিন হলো তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কাজ করা হয় এমন একটি কোম্পানিতে চাকরি করছে। তমালদের বাড়িতে ২৫ ওয়াটের ৫টি বাল্ব এবং ৬৫ ওয়াটের ২টি ফ্যান দৈনিক ঘন্টা চলে।

ক. লোডশেডিং কী?

খ. সিস্টেম লস বলতে কী বুঝায়?

গ. প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৫ টাকা হলে জুলাই মাসে তমালদের বাসায় বিদ্যুৎ ব্যয় নির্ণয় কর ।

ঘ. দৈনন্দিন জীবনে তমালদের কোম্পানির অনুসৃত পদ্ধতির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

নং প্রশ্নের উত্তর

. তড়িতের উৎপাদন যদি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হয় তবে সব এলাকাতেই পর্যায়ক্রমে তড়িতের সরবরাহ বন্ধ করতে হয়, এই পদ্ধতিকে লোডশেডিং বলে ।

. তড়িৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যপথে বিদ্যুতের অপচয়ই সিস্টেম লস। অর্থাৎ যে পরিমাণ তড়িৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদন করা হয় তার পুরোটা গ্রাহক পর্যায়ে না পৌঁছানোই হলো সিস্টেম লস। সাধারণত সরবরাহ পদ্ধতির ত্রুটি, তড়িতের অবৈধ সংযোগ, দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা প্রভৃতি কারণে সিস্টেম লস হয়ে থাকে ।

. উদ্দীপকে দেওয়া আছে, প্রতিটি বাল্বের বৈদ্যুতিক ক্ষমতা = ২৫ ওয়াট

.:. ৫টি বাল্বের বৈদ্যুতিক ক্ষমতা = ৫ × ২৫ ওয়াট = ১২৫ ওয়াট

আবার, প্রতিটি ফ্যানের বৈদ্যুতিক ক্ষমতা = ৬৫ ওয়াট

২টি ফ্যানের বৈদ্যুতিক ক্ষমতা = ৬৫ × ২ ওয়াট = ১৩০ ওয়াট

.:. ফ্যান ও বাল্বের মোট ক্ষমতা = ১২৫ + ১৩০ = ২৫৫ ওয়াট

ফ্যান ও বাল্ব প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা চলে ।

জুলাই মাসে মোট ব্যয়িত শক্তি = (ক্ষমতা x সময়)/১০০০ ইউনিট

= (২৫৫ × ৫ × ৩১)/১০০০ ইউনিট [জুলাই মাস = ৩১ দিন]

= ৩৯.৫২৫ ইউনিট

প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য = ৫ টাকা

ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

.:. জুলাই মাসে তমালদের বাসার বিদ্যুৎ ব্যয় = (৫ × ৩৯.৫২৫) টাকা = ১৯৭.৬২৫ টাকা

সুতরাং, জুলাই মাসে তমালদের বাসার বিদ্যুৎ ব্যয় ১৯৭.৬২৫ টাকা ।

. দৈনন্দিন জীবনে তমালদের কোম্পানির অনুসৃত পদ্ধতি অর্থাৎ তড়িৎ বিশ্লেষণের গুরুত্ব অনেক।

এ প্রক্রিয়ায় কোনো ধাতুর উপর সুবিধামতো অন্য কোনো ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়। ফলে কোনো নিকৃষ্ট ধাতু যেমন- তামা, লোহা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জিনিসকে জলবায়ুর প্রভাব থেকে রক্ষা করা এবং সুন্দর দেখানোর জন্য এদের উপর সোনা, রূপা, নিকেল ইত্যাদি মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়।

তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে হরফ, ব্লক, মডেল তৈরি করা হয়। খনি থেকে প্রাপ্ত ভেজাল আকরিক হতে সহজে ধাতু নিষ্কাশন ও শোধনের কাজে এ প্রক্রিয়াটি ব্যবহৃত হয়। আবার কোনো ডিসি মেইন লাইনের দুটি তারের কোনটি ধনাত্মক তা তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়।

এছাড়া এ প্রক্রিয়ার সাহায্যে ভঙ্গুর বা নষ্ট যন্ত্রাংশকে মেরামত করা যায় বা অন্য আকৃতিতে পরিণত করা যায়। সুতরাং তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন: দৃশ্যকল্প : সজল এমন একটি কারখানায় কাজ করে যেখানে কোনো নিকৃষ্ট ধাতুর উপর সোনা, রূপার মতো মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়

দৃশ্যকল্প : সুমাইয়া রাতে পড়তে বসলে লক্ষ করে তার এলাকায় প্রায়ই কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। তাছাড়া সে আরো লক্ষ করল, তাদের পাশের বাড়ির লোকেরা মেইন লাইন থেকে তার টেনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার হিসাব মিটারে উঠে না।

ক. তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে?

খ. বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিরা পায়ে শুষ্ক জুতা পরিধান করে কেন? ব্যাখ্যা করো।

গ. সজলের কারখানায় কিভাবে প্রলেপ দেওয়ার কাজটি করা হয়? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. সুমাইয়ার লক্ষ করা প্রক্রিয়া দুটি কি আমাদের সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে? বিশ্লেষণ করো।

৭নং প্রশ্নের উত্তর

ক. কোনো তড়িৎ যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে ।

. তড়িৎ সংযোগ দেওয়ার সময় প্লাস্টিকের শুষ্ক জুতা ব্যবহার করলে মানুষের বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার ভয় থাকে না। বৈদ্যুতিক সংকেতের জন্য যে মেইন তার দুটি থাকে, তার একটি তার জীবন্ত থাকে। অর্থাৎ ঐ তারে তড়িৎ ভোল্টেজ থাকে। কেউ যদি খালি পায়ে মাটির সাথে সংস্পর্শে থেকে জীবন্ত তার স্পর্শ করে তাহলে সে বৈদ্যুতিক ‘শক’ অনুভব করবে। অর্থাৎ তার মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হবে। প্লাস্টিকের শুষ্ক জুতা ব্যবহার করলে মাটির সাথে শরীরে কোনো স্পর্শ থাকে না। আবার প্লাস্টিক নিজেই বিদ্যুৎ অপরিবাহী বলে শক লাগে না। একারণেই বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিরা পায়ে শুষ্ক জুতা পরিধান করে।

গ. সজলের কারখানায় তড়িৎ প্রলেপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো নিকৃষ্ট ধাতুর উপর মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দেয়া হয় ।

তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোনো কিছুর ওপর সুবিধামতো অন্য কোনো ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বলা হয়। যে বস্তুতে প্রলেপ দিতে হবে সেটিকে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে একটি ভোল্টমিটারের ক্যাথোড এবং যে ধাতুর প্রলেপ দিতে হবে অর্থাৎ সোনা, রূপা বা নিকেলকে অ্যানোড করতে হবে। এখানে সোনা, রূপা বা নিকেলের লবণের দ্রবণ তড়িৎ দ্রব হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এখন ভোল্টমিটার মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে ধাতুর তড়িৎ বিশ্লেষণের ফলে ক্যাথোডে রাখা বস্তুর উপর দামী ধাতুর প্রলেপ পড়বে।

. উদ্দীপকের তথ্যানুযায়ী, সুমাইয়ার লক্ষ করা প্রক্রিয়া দুটির প্রথমটি হলো লোডশেডিং এবং পরেরটি হলো সিস্টেম লস। এই দুটি ঘটনাই আমাদের সামাজিক জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। নিচে সমাজে এ দুটি ঘটনার প্রভাব বিশ্লেষণ করা হলো-

সমাজে সিস্টেম লস ও লোডশেডিংয়ের ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। সিস্টেম লসের ফলে সমাজে মারাত্মকভাবে নৈতিক অবক্ষয় পরিলক্ষিত হয়। সমাজের সকলকে ঠকিয়ে নিজের নৈতিক অধঃপতন ঘটিয়ে এ কাজটি করতে আমাদের সমাজের কেউ কেউ হয়তো খুবই আনন্দ পায় । সিস্টেম লসের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে লোডশেডিংয়ের ওপর। এর ফলে মানুষ খুবই কষ্ট ভোগ করে থাকে।

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

লোডশেডিংয়ের ফলে তড়িৎ ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভরশীল সবকিছুতেই সমস্যা দেখা দেয় । শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বিঘ্ন ঘটে। সেচ পাম্প বন্ধ থাকায় কৃষিকাজ ব্যাহত হয়। এমনকি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে অনেক সময় এমনি খরচ হয়ে যায়। তড়িতের উপর নির্ভরশীল কোনো যন্ত্রের সাহায্যে কোনো কাজ করতে মনস্থির করলে যদি লোডশেডিং হয়, তখন লোডশেডিংয়ের জন্য তড়িৎ চলে যাওয়ায় তা সম্ভবপর হয় না। এছাড়া কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। মূলত লোডশেডিং ও সিস্টেম লসের ফলে আমাদের সমাজে বিরূপ প্রভাব।

প্রশ্ন৮: পিয়াল একটি তড়িত্যন্ত্রের সাহায্যে লোহার পাত্রের উপর জিংক ধাতুর প্রলেপ দিল। এই যন্ত্রটি দ্বারা সে বর্তনীর মেরু নির্ণয় করতে পারে।

ক. কিলোওয়াট ঘন্টা কাকে বলে ?

খ. বর্তনীতে ফিউজ ব্যবহার করা হয় কেন?

গ. পিয়াল কীভাবে লোহার পাতে জিংকের প্রলেপ তৈরি করলো?

ঘ. উদ্দীপকের যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীয় মেরু নির্ণয় করো।

৮নং প্রশ্নের উত্তর

. এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো তড়িৎ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক ঘণ্টা ধরে তড়িৎ প্রবাহিত হলে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তাকে কিলোওয়াট ঘণ্টা বলে ।

খ. বাড়িতে যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তা নষ্ট হয়ে যায়। বাড়ির বিদ্যুৎ বর্তনীতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে অনেক সময় তার থেকে বাড়িতে আগুন পর্যন্ত লাগতে পারে। এ ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফিউজ তার ব্যবহার করা হয় ।

বাংলা প্রথম পত্র নিমগাছ সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. পিয়াল তড়িত্যন্ত্রের সাহায্যে লোহার পাত্রের উপর জিংক ধাতুর প্রলেপ তৈরি করলো। পিয়ালের এ পদ্ধতিটি হলো তড়িৎ প্রলেপন। তড়িৎ বিশ্লেষণ করে এক ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে বলে তড়িৎ প্রলেপন ।

এক্ষেত্রে পিয়াল লোহার পাতটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে একটি পাত্রে রাখলো। এটি হলো ক্যাথোড ইলেকট্রোড। জিংক ধাতুর দণ্ড হলো অ্যানোড। সে জিংকের একটি লবণ জিংক সালফেটকে (ZnSO4) দ্রবণ হিসেবে ব্যবহার করে।

এরপর ব্যাটারি বা পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করে অ্যানোড থেকে ক্যাথোডে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে ধাতুর তড়িৎবিশ্লেষণের ফলে ক্যাথোডে রাখা লোহার পাতের উপর অ্যানোড ব্যবহৃত জিংক ধাতুর প্রলেপ পড়ে।

. পিয়ালের ব্যবহৃত তড়িৎযন্ত্রটি হলো তড়িৎ বিশ্লেষণ যন্ত্র। তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোনো বৈদ্যুতিক বর্তনীর মেরু নির্ণয় করা যায়। যেমন- কোনো ডিসি মেইন লাইনের দুটি তারের কোনটি ধনাত্মক আর কোনটি ঋণাত্মক তা তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে কিছু পানি নিয়ে তাতে অল্প লবণ ফেলে দেয়া হয়। এবার মেইন লাইনের তার দুটি নিয়ে পানির মধ্যে ডুবানো হয়।

তড়িৎ প্রবাহ যুক্ত তার দুটি লবণের দ্রবণে ডুবালে দেখা যাবে যে, একটি তারের গা বেয়ে খুব বেশি পরিমাণ বুদবুদ বের হচ্ছে। ঐ গ্যাসটি হাইড্রোজেন এবং ঐ তারটি ঋনাত্মক তার, আর অপর তারটি ধনাত্মক তার।

আরও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

এসএসসি সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply