এসএসসি-বিজ্ঞান নোট – অষ্টম অধ্যায়-আমাদের সম্পদ

নবম দশম শ্রেণি বিজ্ঞানসাজেশন

অষ্টম অধ্যায়

আমাদের সম্পদ

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

  • ভূমিকা : আমরা আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখি তার সবকিছু নিয়ে হচ্ছে আমাদের পরিবেশ। পরিবেশের যে সকল উপাদান আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করছি এবং যেগুলো ভবিষ্যতে আমাদের বিভিন্ন চাহিদাগুলো পূরণ করবে এসবই আমাদের সম্পদ। তবে সম্পদ বলতে আমরা এখন প্রধানত খনিজ সম্পদ বুঝে থাকি। খনি বা ভূগর্ভ থেকে আমরা যে সকল খনিজগুলো আহরণ করি তার সবই খনিজ সম্পদ। এগুলোর মাঝে প্রধান হচ্ছে তেল, গ্যাস ও কয়লা। এগুলোকে আবার জীবাশ্ম বলা হয়। বাংলাদেশে মূলত কয়লা ও গ্যাস এই দুইটি খনিজ পাওয়া যায়।

জীববিজ্ঞান দশম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

  • মাটির গঠন: মাটি হলো নানারকম জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ। সাধারণত মাটিতে বিদ্যমান পদার্থসমূহকে চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এরা হলো খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থ, বায়বীয় পদার্থ ও পানি।
  • মাটিতে বিদ্যমান খনিজ পদার্থসমূহ অজৈব যৌগ হয়। মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ হিউমাস (Humus) নামে পরিচিত। এটি দেখতে অনেকটা কালচে রঙের হয়। হিউমাস তৈরি হয় মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে।
  • মাটিতে বিদ্যমান পানির ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ, মাটিতে পানি থাকে মাটির কণার মাঝে থাকা ফাঁকা স্থান বা রন্ধ্রে। ফাঁকা স্থান বা রন্ধ্র ছাড়াও মাটির কণায় শোষিত অবস্থায়ও পানি থাকতে পারে। মাটির কণার মধ্যকার ফাঁকা স্থান বা রন্ধ্রে যেমন পানি থাকতে পারে, তেমনি বায়বীয় পদার্থ বা বাতাসও থাকতে পারে।
  • মাটিতে থাকা গ্যাসের সাথে বায়ুমণ্ডলে থাকা বাতাসের গ্যাসের বিনিময় হয় অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের গ্যাস মাটিতে যায় এবং মাটিতে থাকা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে চলে আসে। এই প্রক্রিয়াকে মাটির বায়বায়ন (Soil Aeration) বলে।
  • মাটির গঠন পরীক্ষা করে দেখা যায় যে মাটি ৪টি সমান্তরাল স্তরে বিভক্ত। প্রতিটি স্তরকে দিগবলয় বা হরাইজোন (Horizon) বলে। সবার ওপরে যে স্তরটি থাকে তাকে বলে হরাইজোন A (Horizon A) বা টপ সয়েল (Top Soil)। মাটির দ্বিতীয় স্তরটিকে সাবসয়েল (Sub Soil) বা হরাইজোন B (Horizon B) বলে। মাটির তৃতীয় স্তরটিকে হরাইজোন C (Horizon C) বলে। এই স্তরের নিচে থাকে মূল শিলা যা খুবই শক্ত।
  • মাটির প্রকারভেদ : মাটির গঠন, বর্ণ, পানি ধারণ ক্ষমতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মাটিকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
  • বালু মাটি : বালু মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই কম। বালু মাটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে বিদ্যমান মাটির কণার আকার সবচেয়ে বড় থাকে, ফলে কণাগুলোর মাঝে ফাঁকা জায়গা বেশি থাকে, যার ফলে বায়বায়ন অনেক বেশি হয়। বালু মাটিতে অতি ক্ষুদ্র শিলা ও খনিজ পদার্থ থাকে। বালু মাটিতে হিউমাস থাকলে এটি চাষাবাদের জন্য সহজসাধ্য, তবে যেহেতু এই মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম, তাই পানি দিলে তা দ্রুত নিষ্কাশিত হয় এবং গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে উদ্ভিদে পানির স্বল্পতা দেখা যায়। তাই যে সকল ফসলাদিতে অনেক বেশি পানি লাগে সেগুলো বালু মাটিতে ভালো হয় না।
  • পলি মাটি: পলি মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বালু মাটির চেয়ে বেশি। পলি মাটি খুবই উর্বর হয় আর মাটির কণাগুলো বালু মাটির কণার তুলনায় আকারেও ছোট হয়। পলি মাটির কণাগুলো ছোট হওয়ায় এরা পানিতে ভাসমান আকারে থাকে এবং এক পর্যায়ে পানির নিচে থাকা জমিতে পলির আকারে জমা পড়ে। পলি মাটিতে জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ (যেমন কোয়ার্টজ) থাকে। বালু মাটির মতো পলি মাটির কণাগুলোও দানাদার হয় এবং এতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

  • কাঁদা মাটি: এই মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা প্রচুর পানি ধারণ করতে পারে। এরা অনেকটা আঠালো ধরনের হয় এবং হাত দিয়ে ধরলে হাতে লেগে থাকে। এই মাটির কণাগুলো খুব সূক্ষ্ম হয়, ফলে কণাগুলোর মধ্যকার রন্ধ্র খুব ছোট ও সরু হয়। এই মাটিতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
  • দোআঁশ মাটি : এই মাটি বালু, পলি ও কাদা মাটির সমন্বয়েই তৈরি হয়। দো-আঁশ মাটির একদিকে যেমন পানি ধারণ ক্ষমতা ভাল আবার প্রয়োজনের সময় পানি দ্রুত নিষ্কাশনও ঘটে। তাই ফসল চাষাবাদের জন্য দো-আঁশ মাটি খুবই উপযোগী।

উপরে উল্লেখিত চার প্রকার ছাড়াও আরো দু প্রকারের মাটি পাওয়া যায়। এরা হলো পিটি মাটি (Peaty Soil) ও খড়িমাটি (Chalky Soil)। পিটি মাটি তৈরি হয় মূলত জৈব পদার্থ থেকে; অন্যদিকে খড়িমাটি ক্ষারীয় হয় এবং এতে অনেক পাথর থাকে।

  • মাটির pH : মাটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মানদণ্ড হলো এর  pH ।  pH মান জানা থাকলে মাটি এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা বোঝা যায়। বেশিরভাগ ফসলের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ উৎপাদান। পাওয়া যায় মাটির pH নিরপেক্ষ হলে অর্থাৎ এর মান ৭ বা তার খুব কাছাকাছি হলে। তবে কিছু কিছু ফসল আছে, যেমন- আলু এবং গম, এরা মাটির pH ৫-৬ হলে সর্বোচ্চ উৎপাদন দেয়। অন্যদিকে কিছু ফসল যেমন- যব, মাটির pH ৮ হলে ভাল উৎপাদন হয়।
  • মাটির দূষণের কারণ ফলাফল :
  • শিল্পকারখানা গৃহস্থালির বর্জ্য : শিল্প-কারখানা ও শহরাঞ্চলের গৃহস্থালির বর্জ্য মাটির নিচে গর্ত করে পুতে ফেলা হয় বা কখনো কখনো একটি খোলা জায়গা বা ডাস্টবিনে জড়ো করে রাখা হয়। এসব বর্জ্য জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পচতে থাকে এবং মাটিকে দূষিত করে। এই জাতীয় বর্জ্যে থাকা প্রোটিন বা অ্যামিনো এসিড ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস, সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও ফসফরাসের অক্সাইড উৎপন্ন করে, যার কারণে মাটি দূষিত হয়ে পড়ে। এ ধরনের দূষণের ফলে ক্ষতিকর পদার্থ মাটি থেকে খাদ্য শৃঙ্খলার মাধ্যমে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদেহে প্রবেশ। করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
  • তেজস্ক্রিয় পদার্থের নিঃসরণ: পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বা অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে দুর্ঘটনা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে নিঃসৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থের দ্বারা মাটির মারাত্মক দূষণ হতে পারে। রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), সিজিয়াম (Cs), ইউরেনিয়াম (U) ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ শুধু যে মাটির উর্বরতাই নষ্ট করে তা নয়, এরা প্রাণীদেহেও ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এরাও খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করে।
  • খনিজ পদার্থ আহরণের দ্বারা মাটির দূষণ: খনি থেকে জ্বালানি খনিজ পদার্থ বা তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের সময় প্রচুর মাটি খনন করে সরিয়ে ফেলতে হয়। এতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলহানি যেমন ঘটে তেমনি মাটি দূষনের ফলে মাটির উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি এর ফলে সৃষ্ট মাটি ক্ষয়ের কারণে তা আশপাশের জলাভূমি ভরাট করে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে।
  • মাটি সংরক্ষণের কৌশল: মাটি সংরক্ষণের অন্যতম কৌশল হলো মাটিতে বেশি করে গাছ লাগানো। মাটিতে তৃণগুল্ম ও দূর্বা বা অন্য যেকোনো ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ও অন্যান্য গাছপালা থাকলে ভারী বৃষ্টিপাতও মাটির ক্ষয়সাধন করতে পারে না। ঘাস মাটি থেকে তুললে তা মাটির ক্ষয়সাধন করে। তাই ঘাস কাটার সময় একেবারে মাটি ঘেঁষে কাটা উচিত নয়। বনের গাছ কাটার ফলে অনেক সময় বিস্তীর্ণ এলাকা গাছশূন্য ও অনাচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। কাজেই নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা না করে কোনোমতেই বনের গাছ কাটা যাবে না। রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার উত্তম, কারণ জৈব সারে থাকা উপাদান ও হিউমাস পানি শোষণ করতে পারে। রাসায়নিক সার মাটিতে বসবাসকারী উপকারী পোকামাকড় অণুজীব ধ্বংস করে, ফলে উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়। একই জমিতে বারবার একই ফসল চাষ করলে উর্বরতা নষ্ট হয়। তাই একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা উচিত।

ICT তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

  • মাটিতে অবস্থিত সাধারণ খনিজ : খনিজ লবণ, পেন্সিলের সিস, ট্যালকম পাউডার, চীনা মাটির থালা-বাসন ইত্যাদি হাজারো রকম জিনিস মাটি ও শিলা থেকে প্রাপ্ত খনিজ পদার্থ । বেশির ভাগ খনিজ পদার্থই কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি থাকে। ধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে অন্যতম হলো লৌহ (Fe), তামা (Cu) বা কপার, সোনা (Au), ও রূপা (Ag)। অধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে কোয়ার্টজ (Quatrz), মাইকা (Mica), খনিজ লবণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। কয়লা, গ্যাস, পেট্রোল ইত্যাদি এগুলোও খনিজ পদার্থ। এদেরকে জৈব খনিজ পদার্থ বলে।
  • বাংলাদেশে প্রাকৃতিক জ্বালানির উৎস:
  • প্রাকৃতিক গ্যাস : প্রাকৃতিক গ্যাস যা মূলত মিথেন (CH4) গ্যাস। তবে সামান্য পরিমাণে অন্যান্য পদার্থ যেমন-ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন থাকে। এছাড়া এতে অতি সামান্য পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন সালফাইড, হাইড্রোজেন, আর্গন ও হিলিয়াম থাকে।
  • পেট্রোলিয়াম : পেট্রোলিয়াম হলো খনিজ তেল অর্থাৎ খনিতে পাওয়া যায় যেসব তরল জ্বালানি পদার্থ। সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে খনিজ পেট্রোলিয়ামও থাকে। গ্যাসোলিন, কেরোসিন, ডিজেল এসবই পেট্রোলিয়াম। প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরি হয় মৃত গাছপালা ও প্রাণীদেহ থেকে হাজার হাজার বছর আগে মরে যাওয়া গাছপালা ও প্রাণীর পচা দেহাবশেষ কাদা ও পানির সাথে ভূগর্ভে জমা হয়। সময়ের সাথে সাথে এরা বিভিন্ন রকম শিলা স্তরে ঢাকা পড়ে। শিলা স্তরের চাপে পচা দেহাবশেষ ঘনীভূত হয় এবং প্রচণ্ড চাপে ও তাপে দেহাবশেষে বিদ্যমান জৈব পদার্থ প্রাকৃতিক গ্যাসে ও পেট্রোলিয়ামে পরিণত হয়।
  • প্রাকৃতিক গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের প্রক্রিয়াকরণ : সাধারণত গ্যাসকূপে গ্যাস ও তেল একসাথে থাকে। তাই প্রথমেই তেলকে গ্যাস থেকে আলাদা করা হয়। এরপর প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা বেনজিন ও বিউটেন ঘনীভূত করে আলাদা করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা পানি দূর করার জন্য নিরুদকের মধ্য দিয়ে চালনা করা হয়। অতঃপর গ্যাসে থাকা দূষক (H2S, CO2) পৃথক করা হয়। প্রাপ্ত গ্যাসের মিশ্রণ থেকে নাইট্রোজেন আলাদা করা হয়। এই অবস্থায় প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস বিশুদ্ধ মিথেন গ্যাস, যা পাইপলাইনের মাধ্যমে সঞ্চালন করা হয়।
  • প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার : শতকরা পায় ২১ ভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরিয়া সারের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে শতকরা প্রায় ৫১ ভাগ প্রাকৃতিক গ্যাসই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। প্রায় শতকরা ২২ ভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয় শিল্প-কারখানায়, ১১ ভাগ বাসা-বাড়িতে ও ১১ ভাগ জ্বালানি হিসেবে। প্রায় শতকরা ১ ভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে জ্বালানির কাজে বাকি শতকরা ৫ ভাগ অপচয় (system loss) হয় ।
  • সীমাবদ্ধতা সংরক্ষণ : প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ নির্দিষ্ট ও সীমিত। ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে এক সময় তা শেষ হয়ে যাবে। অনেকে বাসা-বাড়িতে বিনা প্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখে এবং এতে অতি মূল্যবান এই সম্পদের অপচয় করে যা কোনোমতেই সমীচীন নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই যার যার নিজের বাসায় ও মহল্লায় সবাইকে সচেতন করতে হবে।
  • পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার : পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থের বড় একটি অংশ ব্যবহৃত হয় যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে, কৃষিজমিতে সেচকাজে, ডিজেল চালিত ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে প্রচুর এছাড়া | শিল্প-কারখানায় সার, কীটনাশক, মোম, আলকাতরা, লুব্রিক্রেন্ট, গ্রিজ ইত্যাদি তৈরিতেও পেট্রোলিয়াম ব্যবহৃত হয়।
  • পেট্রোলিয়াম প্রক্রিয়াকরণ : খনি থেকে প্রাপ্ত তেল মূলত নানারকম হাইড্রোকার্বন ও অন্যান্য পদার্থের (যেমন- সালফার) মিশ্রণ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা সরাসরি ব্যবহারের উপযোগী হয় না। তাই অপরিশোধিত তেল পরিশোধন অত্যাবশ্যক। সেজন্য প্রথমেই প্রায় ৪০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আংশিক পাতন প্রক্রিয়ায় উপাদানগুলোকে আলাদা করা হয়।

বাংলা দ্বিতীয় উপসর্গ-বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

  • কয়লা : কয়লা হলো কালো বা বাদামি কালো রঙের একধরনের পাললিক শিলা। এতে বিদ্যমান মূল উপাদান হলো কার্বন। কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ, তাই জ্বালানি হিসেবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। কয়লা তিন রকমের হয়। যথা— অ্যানথ্রাসাইট, বিটুমিনাস ও লিগনাইট। অ্যানথ্রাসাইট হলো সবচেয়ে পুরনো ও শক্ত কয়লা, যা প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন বছর আগে তৈরি এবং এতে শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ কার্বন থাকে। বিটুমিনাস কয়লা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো এবং এতে শতকরা ৫০-৮০ ভাগ কার্বন থাকে। লিগনাইট কয়লা ১৫০ মিলিয়ন বছরের পুরানো। আর এতে সর্বোচ্চ শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্ত কার্বন থাকে। ব্যবহার : বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কয়লা ব্যবহৃত হয় ইটের ভাটায়, জ্বালানি হিসেবে শিল্প-কারখানায় ও বাসাবাড়িতে জ্বালানি হিসেবে অন্যান্য পরিমাণ কয়লা ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের সব দেশেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার খুবই বেশি। হোটেল-রেস্তোরায়, কাবাব জাতীয় খাবার তৈরিতে, কর্মকার ও স্বর্ণকারগণ বিভিন্ন সামগ্রী অলংকার তৈরির সময় কয়লা ব্যবহার করে থাকেন।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন. জিপসাম কী তৈরির কাঁচামাল?

উত্তর : জিপসাম সিমেন্ট ও প্লাস্টার অব প্যারিস তৈরির কাঁচামাল।

প্রশ্ন. স্বাভাবিক তাপমাত্রা কী?

উত্তর : ২৫°C তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলে।

প্রশ্ন. শতকরা কত ভাগ গ্যাস অপচয় হয়?

উত্তর : শতকরা ৫ ভাগ গ্যাস অপচয় হয়।

বিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন. বাংলাদেশে কখন জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার শুরু হয়?

উত্তর : বাংলাদেশে ২০০৩ সাল থেকে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার শুরু হয়।

প্রশ্ন. পিট দেখতে কেমন?

উত্তর : পিট দেখতে অনেকটা হিউমাসের মত।

প্রশ্ন. সবচেয়ে পুরানো কয়লার নাম কী?

উত্তর : সবচেয়ে পুরানো কয়লার নাম অ্যানথ্রাসাইট।

প্রশ্ন. সবচেয়ে পুরানো কয়লা কত বছর আগের তৈরি?

উত্তর : সবচেয়ে পুরানো কয়লা ৩৫০ মিলিয়ন বছর আগের তৈরি ।

প্রশ্ন. বিটুমিনাস কয়লায় কতভাগ কার্বন থাকে?

উত্তর : বিটুমিনাস কয়লায় ৫০ – ৮০ ভাগ কার্বন থাকে ।

প্রশ্ন. ১৫০ মিলিয়ন বছরের পুরানো কয়লার নাম কী?

উত্তর : ১৫০ মিলিয়ন বছরের পুরানো কয়লার নাম লিগনাইট।

প্রশ্ন১০. কয়লা কত প্রকার?

উত্তর : কয়লা তিন প্রকার।

প্রশ্ন১১. কীসের সাহায্যে কয়লাকে প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টে নেওয়া হয়?

উত্তর : কনভেয়ারবেল্ট এর সাহায্যে কয়লাকে প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টে নেওয়া হয় ।

প্রশ্ন১২. কয়লা উত্তোলনের কয়টি পদ্ধতি আছে?

উত্তর : কয়লা উত্তোলনের দু’টি পদ্ধতি আছে।

প্রশ্ন১৩. মাটি কী?

উত্তর: মাটি হলো নানারকম জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ।

প্রশ্ন১৪. মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থকে কী বলে?

উত্তর: মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থকে হিউমাস বলে।

প্রশ্ন১৫. Horizon-B কী?

উত্তর: মাটির দ্বিতীয় স্তর হলো Horizon-B।

প্রশ্ন১৬. খড়িমাটি কী?

উত্তর: ক্ষারীয় প্রকৃতির পাথরযুক্ত মাটি হলো খড়িমাটি।

প্রশ্ন১৭. সাব সয়েল কী?

উত্তর: মাটির দ্বিতীয় স্তরটিই সাব সয়েল।

প্রশ্ন১৮. প্রকৃতিতে কত ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে?

উত্তর: প্রকৃতিতে ২৫০০ ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে।

প্রশ্ন১৯. মাটি কাকে বলে?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে অবস্থিত নানারকম জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণকে মাটি বলে।

প্রশ্ন২০. বায়বায়ন কাকে বলে?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলের গ্যাস মাটিতে পৌঁছে এবং মাটিতে থাকা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে অবমুক্ত হয় সে প্রক্রিয়াই হলো মাটির বায়বায়ন।

বাংলা প্রথম পত্র আম-আঁটির ভেঁপু- সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন২১. হরাইজোন কী?

উত্তর: মাটি যে চারটি সমান্তরাল স্তরে বিভক্ত তাদের প্রতিটি স্তরকে এক একটি হরাইজোন বলে।

প্রশ্ন২২. চুনাপাথরের সংকেত কী?

উত্তর: চুনাপাথরের সংকেত হলো CaCO3

প্রশ্ন২৩. জিপসামের সংকেত কী?

উত্তর: জিপসামের সংকেত হলো CaSO4.2H2O।

প্রশ্ন২৪. ট্যালক কী?

উত্তর: ট্যালক হচ্ছে কঠিনতার ভিত্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে নরম | খনিজ যা ট্যালকম পাউডার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন২৫. খনিজ পদার্থ কী?

উত্তর: যেসব পদার্থ আমরা মাটি ও শিলা থেকে পাই সেগুলোই খনিজ পদার্থ।

প্রশ্ন২৬. পেট্রোলিয়াম কী?

উত্তর: যে সকল তরল জ্বালানি পদার্থ খনিতে পাওয়া যায় তাই পেট্রোলিয়াম।

প্রশ্ন-২৭. কয়লা কী?

উত্তর: কয়লা হলো কালো বা বাদামি কালো রঙের এক ধরনের পাললিক শিলা।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন. মাটিতে পানি থাকা উদ্ভিদের জন্য জরুরি কেন?

উত্তর: মাটি থেকে পাওয়া পানির সাহায্যেই গাছপালা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের খাবার তৈরি করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ করে। গাছপালার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি (যেমন খনিজ পদার্থ, নাইট্রোজেন ফসফরাস ইত্যাদি) মাটি থেকে সরাসরি গ্রহণ করতে পারে না। এগুলো গ্রহণ করে মূলের সাহায্যে এবং এক্ষেত্রে পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। তাই পানি না থাকলে উদ্ভিদের পুষ্টিগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য মাটিতে পানি থাকা উদ্ভিদের জন্য জরুরী ।

প্রশ্ন. খড়ি মাটি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: খড়িমাটি সাধারণত ক্ষারীয় হয়। এ মাটিতে প্রচুর পরিমাণে পাথর বিদ্যমান থাকে। এ ধরনের মাটি বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে খুব দ্রুত শুকিয়ে যায় তাই এ মাটি ফসল উৎপাদনের জন্য খুব একটা উপযোগী নয়। এ ছাড়াও খড়িমাটি থেকে গাছপালার জন্য অত্যাবশ্যকীয় আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে।

প্রশ্ন. পলি মাটির ২টি বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর: পলি মাটির ২টি বৈশিষ্ট্য:

i. এই মাটির কণাগুলো আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট ও মিহি হয়।

ii. এই মাটি জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ ধারণ করে।

প্রশ্ন. হিউমাস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: হিউমাস হলো মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ। এটি অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, চিনি, অ্যালকোহল, চর্বি, তেল, লিগনিন, ট্যানিন ও অন্যান্য অ্যারোমেটিক যৌগের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ জটিল পদার্থ। হিউমাস দেখতে কালচে ধরনের। প্রকৃতপক্ষে মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে এগুলোর সৃষ্টি হয়।

ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন. মাটির pH বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: মাটির pH হলো ফসল উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড যার মাধ্যমে মাটি এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা বোঝা যায়। মাটির pH এর মান সাধারণত ৪-৮ হয়ে থাকে। এই pH মান ৩ এর কম হলে অর্থাৎ মাটি এসিডিক হলে উর্বরতা কমে যায়। আবার, pH এর মান ৯.৫ এর বেশি হলে অর্থাৎ ক্ষারীয় হলেও মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়।

প্রশ্ন, মাটির pH জানা জরুরি কেন?

উত্তর: pH দ্বারা কোনো দ্রবণের এসিড বা ক্ষারের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। মাটির স্বাভাবিক pH হলো ৪-৮ সব pH এর মাটিতে সব ফসল ভালো হয় না। যেসব ফসল অম্লীয় মাটিতে জন্মে সেগুলো ক্ষার মাটি সহ্য করতে পারে না। আবার ক্ষারীয় মাটিতে জন্মানোর ফসল অম্লতা সহ্য করতে পারে না। তাই ফসল সঠিকভাবে উৎপাদনের জন্য মাটির pH মান জানা জরুরি।

প্রশ্ন. জৈব পদার্থকে মাটির জীবন বলা হয় কেন?

উত্তর: মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থসমূহ ‘হিউমাস’ নামে পরিচিত। হিউমাস তথা জৈব পদার্থসমূহ মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাটিতে জৈব পদার্থ তথা হিউমাস না থাকলে কোন গাছপালা জন্মাতে পারে না বা জন্মালেও সেগুলো বেড়ে উঠতে পারে না। জৈব পদার্থে শোষিত পানি খুব সহজেই গাছপালায় স্থানান্তরিত হয়। এজন্য জৈব পদার্থকে মাটির জীবন বলা হয়।

প্রশ্ন. মাটি দূষণ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান মাটিতে মেশার কারণে যখন মাটির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে মানুষসহ অন্যান্য জীবের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী হয়, তখন সে অবস্থাকে বলা হয় মাটি দূষণ। এই দূষণের ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়। ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন. অম্লীয় মাটির বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।

উত্তর: অম্লীয় মাটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো এ মাটির pH ৩-এর কম হয়ে থাকে। মাটির অনেক দরকারি উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম অম্লীয় মাটিতে থাকে না। ফলে এ মাটির উর্বরতা কম হয়।

প্রশ্ন১০. মাটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন কেন?

উত্তর: মাটি আমাদের একটি অতি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। আমাদের অন্ন, বস্ত্র, ঔষধসহ যেসকল চাহিদা রয়েছে তার সবগুলোরই উৎপাদন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাটির উপর নির্ভরশীল। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয় এই সম্পদটি নানাভাবে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে ও এর উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। ঝড়ো বাতাস মাটি উড়িয়ে নেয়, ভারী বৃষ্টিপাত, নদীর পানির স্রোত বা নদীর ভাঙন ইত্যাদি নানা কারণে মাটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। মাটি ক্ষয় হলে এর উর্বরতা ধ্বংসের পাশাপাশি মাটিও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এ সকল কারণেই মাটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন১১. চুনাপাথরের ব্যবহার লিখ।

উত্তর: ঘরবাড়ি, সিমেন্ট, সোডা, লোহা, গ্লাস ও স্টিল উৎপাদনে এটি ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও মাটির এসিডিটি প্রশমনের জন্যও চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন১২. ওপেন পিট মাইনিং বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: কয়লা উত্তোলনের দুটি পদ্ধতির একটি হলো ওপেন পিট মাইনিং। কয়লার খনি থেকে মেশিনের সাহায্যে ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয়। সাধারণত কয়লার স্তর ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকে বলে ওপেন পিট মাইনিং পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়। মেশিন দিয়ে কয়লা ভূগর্ভ থেকে তোলার পর কনভেয়ার বেল্ট দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টে নেওয়া হয়। সেখানে কয়লায় থাকা অন্যান্য পদার্থ যেমন: ময়লা, শিলা কণা, ছাই, সালফার ইত্যাদি পৃথক করে ফেলা হয়।

প্রশ্ন১৩. কীভাবে গ্যাসের অপচয় রোধ করা যায়?

উত্তর : বাসা-বাড়িতে বিনা প্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে না রেখে বন্ধ রাখতে হবে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ স্থাপন বন্ধ করতে হবে। আবার জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক নাটিকা বা বিজ্ঞাপন প্রচার করা যেতে পারে । এভাবেই গ্যাসের অপচয় রোধ করা সম্ভব।

প্রশ্ন১৪. কয়লা কীভাবে তৈরি হয় ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : গাছপালায় বিদ্যমান থাকা জৈব পদার্থ কার্বন। গাছপালা ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে জলাভূমির তলদেশে জমা হয়। জমাকৃত কার্বনের স্তর পানি বা কাদার নিচে চাপা পড়ে এবং বাতাসের সংস্পর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এটি আবার ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে পিট এ পরিণত হয়। পরিবর্তিতে উচ্চ চাপে ও তাপে এই পিট পরিবর্তিত হয়ে কার্বন সমৃদ্ধ কয়লায় পরিণত হয়। এভাবে কয়লা তৈরি হয়।

প্রশ্ন১৫. কয়লা উত্তোলনের পদ্ধতিগুলোর নাম লিখ।

উত্তর : কয়লা উত্তোলনের ২টি পদ্ধতি রয়েছে।

(i) ওপেন পিট মাইনিং পদ্ধতি

(ii) ভূগর্ভস্থ মাইনিং পদ্ধতি।

প্রশ্ন১৬. টপ সয়েল বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: মাটির উপরের স্তরকে টপ সয়েল বলে। এই স্তরে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত দেহের পচন শুরু হয় এবং উৎপাদিত পদার্থসমূহ এখানেই অবস্থান করে। এই স্তরের মাটি সাধারণত বালুময় হয়।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন১৭. ফসল উৎপাদনে মাটির pH এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর: মাটির pH মান থেকে মাটির প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় যে, এটি অম্লীয় না ক্ষারীয়। কোন কোন ফসলের জন্য ক্ষারীয় প্রকৃতির মাটি উপযুক্ত। আবার কোনটির জন্য অম্লীয় প্রকৃতির মাটি। যেমন : যবের জন্য pH মান ৮ প্রয়োজন যা ক্ষারীয় প্রকৃতির এবং আলু ও গমের জন্য pH মান ৫-৬ প্রয়োজন যা অম্লীয় প্রকৃতির। তাই ভাল ফসলের জন্য মাটির pH মান অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন১৮. পিটি মাটি বলতে কী বুঝ?

উত্তর: জৈব পদার্থ সম্পৃক্ত মাটিকে পিটি মাটি বলে। সাধারণত ডোবা ও আর্দ্র এলাকায় এ ধরনের মাটি পাওয়া যায়। এতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে বলে পুষ্টিকর উপাদান কম থাকে। এ মাটি ফসল উৎপাদনের জন্য তেমন উপযোগী নয়।

প্রশ্ন১৯. একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা উচিত কেন?

উত্তর: একই জমিতে একই ফসল বার বার চাষ করলে জমিতে pH মানের প্রভাব পড়ে। ফলে কয়েক বছর পর ঐ জমি উক্ত ফসলের জন্য উপযুক্ত pH মানে সরবরাহ করতে পারে না। ফলে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায়। আবার একই ফসল বারবার একই জমিতে চাষ করলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। তাই একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা উচিত।

তথ্য কণিকা

১. কাদা মাটির কণাগুলোর মধ্যকার রন্ধ্র হয় — খুব ছোট ও সরু।

২. হিউমাস জৈব পদার্থ থাকে — হরাইজোন A স্তরে।

৩. জমির ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা যায় — কপার সালফেট লবণ প্রয়োগে ।

৪. ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী — দো-আঁশ মাটি।

৫. মাটিতে জৈব পদার্থ — ৫%।

৬. পলি মাটিতে থাকে — কোয়ার্টজ।

ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৭. পানি ধারণ ও নিষ্কাশন করতে পারে বলে ফসল চাষাবাদে উপযোগী — দোআঁশ মাটি।

৮. মাটিতে পানির শতকরা পরিমাণ — ২৫%।

৯. কণা সবচেয়ে বড় হয় — বালুমাটির।

১০. আলু ও গমের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় মাটির pH — ৫-৬ হলে।

১১. রেডিয়াম, সিজিয়াম — তেজস্ক্রিয় পদার্থ ।

১২. মাটির সবচেয়ে উপরের স্তর — টপসয়েল।

১৩. মাটিতে মৃত্তিকা রন্ধ্রে থাকে — পানি।

১৪. হিউমাসে থাকে — অ্যামাইনো এসিড।

১৫. মাটির B হরাইজোনে বেশি থাকে — খনিজ পদার্থ।

১৬. ক্ষারীয় প্রকৃতির — খড়িমাটি।

১৭. সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ  — হীরা।

১৮. মাটির উর্বরতা নষ্ট করে অতিরিক্ত — পলি ও মাটি খনন।

১৯. মাটির ক্ষয়সাধন করে — ভারী বৃষ্টিপাত, নদীর ভাঙন ও পাহাড় কর্তন।

২০. মৎস্য খামারের রেণুপোনা নষ্ট হয়ে যায় — বৃষ্টির পানিতে SO2 ও NO2 থাকলে।

২১. SO2 যুক্ত বৃষ্টির ক্ষতিসাধনে মাটিতে মিশানো হয় — লাইমস্টোন।

২২. কাঁচ ঘড়ি, সিরিষ কাগজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় — কোয়ার্টজ।

২৩. সিমেন্ট ও প্লাস্টার অব প্যারিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয় — জিপসাম।

২৪. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ নিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় — মাইকা।

২৫. কার্বনের রূপভেদ — ডায়মন্ড ও গ্রাফাইট।

২৬. কয়লার মূল উপাদান — কার্বন।

২৭. বাসার গ্যাসের চুলায় ব্যবহৃত হয় — মিথেন (CH4)।

২৮. CNG এর মূল উপাদান — মিথেন।

২৯. আলকাতরা, গ্রিজ, মোম তৈরিতে ব্যবহৃত হয় — পেট্রোলিয়াম।

৩০. সাধারণ অবস্থায় পেট্রোলিয়াম — তরল।

৩১. ইউরিয়া সারে প্রাকৃতিক গ্যাস থাকে — ২১ ভাগ।

৩২. গ্যাসকূপে গ্যাসের সাথে থাকে — তেল।

৩৩. লিগনাইট কয়লার কার্বন থাকে সর্বোচ্চ — ৫০ ভাগ।

৩৪. বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করে শতকরা — ৫১ ভাগ।

৩৫. বাংলাদেশে যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয় — ২০০৩ সাল থেকে।

৩৬. প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছরের পুরানো, শক্তি ও প্রায় ৯৫% কার্বনযুক্ত — আনথ্রাসাইট কয়লা।

৩৭. আমাদের দেশে ইউরিয়া সার উৎপাদনে ২১% ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫১% ব্যবহৃত হয় — প্রাকৃতিক গ্যাস।

৩৮. এক ধরনের পাললিক শিলা ও জীবাশ্ম জ্বালানি — কয়লা।

৩৯. দো-আঁশ মাটিতে মিশ্রিত থাকে — বালি, পলি ও কাঁদা।

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৪০. পানি ধারণ ক্ষমতা ভাল আবার দ্রুত পানি নিষ্কাশন ঘটে — দোআঁশ মাটির।

৪১. সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হচ্ছে — হীরা

৪২. আলো প্রবেশ করতে পারে — সিলিকা এর ভেতর দিয়ে।

৪৩. আলো প্রবেশ করতে পারে না — চুনাপাথর এর ভেতর।

৪৪. মাশরুম — অতি পুষ্টিকর সবজি।

৪৫. মাশরুম প্রচুর সঞ্চয় করে — সিজিয়াম ও অন্যান্য তেজস্ক্রিয় পদার্থ ।

৪৬. মাটির মোট স্তর আছে — চারটি।

৪৭. প্রথম স্তরে বেশি থাকে — জৈব পদার্থ।

ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৪৮. দ্বিতীয় স্তরে থাকে সামান্য পরিমাণে — হিউমাস এবং প্রচুর খনিজ পদার্থ।

৪৯. তৃতীয় স্তরে জটিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল শিলা রূপান্তরিত হয় — নরম শিলায়।

৫০. চতুর্থ স্তরে বিদ্যমান থাকে — মূল শিলা।

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

. সবচেয়ে নরম খনিজ কোনটি?

ক. হীরা                                                খ. ট্যালক

গ. সিলিকা                                          ঘ. চুনাপাথর

উত্তর: খ. ট্যালক

. সাবসয়েল স্তরের মাটি-

i. শিলাচূর্ণে ভরপুর

ii. খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ

iii. জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                             ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

টোকিও শহরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি মাটিতে কোনো উদ্ভদ জন্মে না কেবল মাশরুম ভালো জন্মে।

. মাটিতে কোনটির আধিক্য রয়েছে?

ক. শিলা                                               খ. খনিজ পদার্থ

গ. জৈব পদার্থ                                     ঘ. তেজস্ক্রিয় পদার্থ

উত্তর: ঘ. তেজস্ক্রিয় পদার্থ

. কোন মাটিতে ভালো ফসল ফলে?

ক. বালু ও খনিজ মিশ্রিত মাটিতে

খ. খনিজ ও খনিজ পদার্থ মিশ্রিত মাটিতে

গ. বালি ও পলি মিশ্রিত মাটিতে

ঘ. বালি, পলি ও কাঁদা মিশ্রিত মাটিতে

উত্তর: ঘ. বালি, পলি ও কাঁদা মিশ্রিত মাটিতে

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিচের চিত্রটি থেকে নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

৫. কোন স্তরে শিলাচূর্ণ থাকে?

ক. X স্তরে                                           খ. Y স্তরে

গ. Z স্তরে                                            ঘ. Z স্তরের নিচে

উত্তর: গ. Z স্তরে

. সবচেয়ে উপরেররের মাটিতে ভালোফসল হওয়ার কারণ হলো, মাটিতে

ক. জৈব পদার্থ থাকে                          খ. খনিজ উপাদান থাকে

গ. শিলাচূর্ণ বিদ্যমান                           ঘ. অণুজীব থাকে

উত্তর: ক. জৈব পদার্থ থাকে

. কোন মাটির কণাগুলোর মধ্যকার রন্ধ্র খুব ছোট সরু হয়?

ক. বেলে মাটি                                     খ. পলি মাটি

গ. কাদা মাটি                                       ঘ. দো-আঁশ মাটি

উত্তর: গ. কাদা মাটি

. মাটির কোন স্তরে হিউমাস জৈব পদার্থ থাকে?

ক. হরাইজোন A                                 খ. হরাইজোন B

গ. হরাইজোন C                                  ঘ. হরাইজোন D

উত্তর: ক. হরাইজোন A

. মাটির কোন স্তরটি বালুময়?

ক. হরাইজোন A                                 খ. হরাইজোন B

গ. হরাইজোন C                                 ঘ. হরাইজোন D

উত্তর: ক. হরাইজোন A

১০. জমির ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কোন লবণটি প্রয়োগ করা হয়?

ক. কপার সালফেট                             খ. পটাসিয়াম নাইট্রেট

গ. অ্যামোনিয়াম ফসফেট                  ঘ. অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট

উত্তর: ক. কপার সালফেট

১১. দোআঁশ মাটির ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?

ক. অনেকটা আঠালো ধরনের

খ. পানি ধারণ ক্ষমতা কম

গ. বালু ও কাদার সমন্বয়ে তৈরি

ঘ. ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী

উত্তর: ঘ. ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

১২. মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কত?

ক. ৫%                                                খ. ১৫%

গ. ২৫%                                              ঘ. ৪৫%

উত্তর: ক. ৫%

১৩. কোন মাটিতে কোয়ার্টজ থাকে?

 ক. বালু মাটি                                       খ. পলি মাটি

গ. কাদা মাটি                                       ঘ. দো-আঁশ মাটি

উত্তর: গ. কাদা মাটি

১৪. ফসল চাষাবাদের জন্য দোআঁশ মাটি উপযোগী কেন?

ক. এ মাটিতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে

খ. এ মাটির কণাগুলো আকারে বেশ বড়

গ. কাঁদা ও বেলে মাটির সংমিশ্রণে তৈরি হয়

ঘ. প্রয়োজনে পানি ধারণ ও নিষ্কাশন করতে পারে

উত্তর: ঘ. প্রয়োজনে পানি ধারণ ও নিষ্কাশন করতে পারে

১৫. নিচের কোন শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায়?

ক. গ্যাস                                               খ. কয়লা

গ. বিদ্যুৎ                                              ঘ. সৌরশক্তি

উত্তর: ঘ. সৌরশক্তি

১৬. নিচের কোনটি প্রাকৃতিক জ্বালানী নয়?

ক. রাসায়নিক মোম                            খ. গ্যাস

গ. কয়লা                                             ঘ. গাছের পাতা

উত্তর: ক. রাসায়নিক মোম

১৭. CNG পাম্প স্টেশন থেকে গাড়িতে যে গ্যাস নিই তা হল

ক. পেট্রোল                                         খ. এসিটিলিন

গ. ইথেন                                              ঘ. মিথেন

উত্তর: ঘ. মিথেন

১৮. মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ কী নামে পরিচিত?

ক. হিউমাস                                         খ. ব্যাকটেরিয়া

গ. জৈব এসিড                                    ঘ. অ্যারোমেটিক যৌগ

উত্তর: ক. হিউমাস

১৯. বিটুমিনাস কয়লায় শতকরা কতভাগ কার্বন থাকে?

ক. ৩০-৬০ভাগ                                   খ. ৪০-৭০ ভাগ

গ. ৫০-৮০ ভাগ                                   ঘ. ৬০-৯০ ভাগ

উত্তর: গ. ৫০-৮০ ভাগ

২০. Ca(OH)2 + H2SO4 ® CaSO4 + 2H2O ; বিক্রিয়াটির মাধ্যমে

ক. মাটির এসিডিটি দূর হয়

খ. মাটির ক্ষারীয়ভাব প্রশমিত হয়

গ. পেটের ব্যথা সেরে যায়

ঘ. পেটের বদহজম দূর হয়

উত্তর: ক. মাটির এসিডিটি দূর হয়

২১. নিচের কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ?

ক. পটাশিয়াম                                      খ. সিজিয়াম

গ. ক্রোমিয়াম                                      ঘ. স্কেভেসিয়াম

উত্তর: খ. সিজিয়াম

২২. নিচের কোনটি পেট্রোলিয়াম এর অন্তর্ভুক্ত?

ক. গ্যাসোলিন                                     খ. নাইট্রোজেন

গ. ইথেন                                              ঘ. মিথেন

উত্তর: ক. গ্যাসোলিন

২৩. সিরিস কাগজ তৈরি হয় কোন খনিজ থেকে?

ক. Ag                                                  খ. Fe2O4

গ. CaCO3                                           ঘ. SiO2

উত্তর: ঘ. SiO2

আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

২৪. চেরনোবিলে দুর্ঘটনার কারণ ছিল

ক. শিলা                                               খ. খনিজ পদার্থ

গ. জৈব পদার্থ                                    ঘ. তেজস্ক্রিয় পদার্থ

উত্তর: ঘ. তেজস্ক্রিয় পদার্থ

২৫. প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল উপাদান কোনটি?

ক. মিথেন                                            খ. ইথেন

গ. প্রোপেন                                         ঘ. বিউটেন

উত্তর: ক. মিথেন

২৬. মাটি সংরক্ষণের অন্যতম কৌশল কী?

ক. কলকারখানা স্থাপন না করা

খ. ময়লা আবর্জনা মাটিতে না ফেলা

গ. বেশি করে গাছ লাগানো

ঘ. গাছ না কাটা

উত্তর: গ. বেশি করে গাছ লাগানো

২৭. বাসা বাড়িতে রান্নার কাজে আমরা যে গ্যাস ব্যবহার করি তা আসলে কী গ্যাস?

ক. CO2                                               খ. CH4

গ. ‍O2                                                   ঘ. H2

উত্তর: খ. CH4

২৮. মাটির কোন স্তরে হিউমাস থাকে?

ক. হরাইজেন-A                                  খ. হরাইজেন-B

গ. হরাইজেন-C                                   ঘ. হরাইজেন-D

উত্তর: ক. হরাইজেন-A

২৯. কোন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়?

ক. বাসা বাড়িতে                                  খ. শিল্প কারখানায়

গ. বিদ্যুৎ উৎপাদনে                           ঘ. সার উৎপাদনে

উত্তর: গ. বিদ্যুৎ উৎপাদনে

৩০. নিচের কোনটি জিপসামের সংকেত?

ক. Fe3O4                                            খ. CaSO4.2H2O

গ. CuSO4.5H2O                               ঘ. ZnSO4.2H2O

উত্তর: খ. CaSO4.2H2O

৩১. মাটির কণা তৈরি হয় কোন স্তরে?

ক. হরাইজোন A তে                           খ. হরাইজোন B তে

গ. হরাইজোন C তে                           ঘ. হরাইজোন D তে

উত্তর: গ. হরাইজোন C তে

৩২. মাটি কত প্রকার?

ক. চার                                                 খ. তিন

গ. দুই                                                  ঘ. এক

উত্তর: ক. চার

৩৩. SiO2 ব্যবহার হয় কোনটিতে?

ক. সিমেন্ট তৈরিতে                            খ. রেডিও তৈরিতে

গ. ধাতব মুদ্রা তৈরিতে                        ঘ. ভবন তৈরিতে

উত্তর: খ. রেডিও তৈরিতে

৩৪. মাটির প্রধান খনিজ উপাদান কোনটি?

ক. নাইট্রোজেন                                   খ. ফসফরাস

গ. রেডিয়াম                                        ঘ. ক্যালসিয়াম

উত্তর: ঘ. ক্যালসিয়াম

৩৫. মাটির গঠন উপাদানে জৈব পদার্থের শতকরা পরিমাণ কত ভাগ?

ক. ২০ ভাগ                                         খ. ১৫ ভাগ

গ. ১০ ভাগ                                          ঘ. ৫ ভাগ

উত্তর: ঘ. ৫ ভাগ

৩৬. মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে মাটিকে কয় ভাগে ভাগ করা

ক. তিন                                                খ. চার

গ. পাঁচ                                                 ঘ. ছয়

উত্তর: খ. চার

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩৭. নিচের কোনটি লোহা তৈরিতে কাজে লাগে?

ক. জিপসাম                                        খ. পাইরাইটস

গ. ম্যাগনেটাইট                                  ঘ. কোয়ার্টজ

উত্তর: গ. ম্যাগনেটাইট

৩৮. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ নিরোধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়

ক. জিপসাম                                        খ. কোয়ার্টজ

গ. মাইকা                                            ঘ. পাইরাইটস

উত্তর: গ. মাইকা

৩৯. কোনটি লোহার আকরিক?

ক. ডুরালামিন                                     খ. বক্সাইট

গ. ম্যাগনেটাইট                                  ঘ. ক্রাইওলাইট

উত্তর: গ. ম্যাগনেটাইট

৪০. হিউমাসে আছে

i. চিনি

ii. চর্বি

iii. তেল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৪১. খনিজ সম্পর্কিত তথ্যগুলো হলো

i. সবচেয়ে নরম খনিজ ট্যালক

ii. সবচেয়ে শক্ত খনিজ ডায়মন্ড

iii. বেশিরভাগ খনিজের আপেক্ষিক গুরত্ব ১.৫-২.৫ মধ্যে হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

৪২. এসিডিক মাটিতে প্রয়োগ করতে হয়

i. ক্যালসিয়ামযুক্ত সার

ii. ফসফেটজাতীয় সার

iii. ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত সার

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৪৩. পলিমাটির পানি ধারণক্ষমতা

i. বালু মাটির চেয়ে বেশি

ii. কাদা মাটির চেয়ে বেশি

iii. কাদা মাটির চেয়ে কম

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৪৪. প্রাকৃতিকভাবে মাটির ক্ষয়সাধন অহরহ ঘটেছে

i. ঝড়ো বাতাসে

ii. ভারী বৃষ্টিপাত

iii. নদীর ভাঙনে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৪৫. যে সকল কারণে মাটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় সেগুলো

i. নদীর পানির স্রেতে ও নদী ভাঙ্গন

ii. ভারী বৃষ্টিপাত

iii. গাছপালা কাটা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৪৬. CNG-তে বিদ্যমান

i. পেট্রোল

ii. মিথেন

iii. প্রাকৃতিক গ্যাস

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৪৭. অধাতব খনিজ পদার্থ হলো

i. কয়লা

ii. কোয়ার্টজ

iii. মাইকা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৪৮. মাটির pH মান হলে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়

i.গমের

ii. আলুর

iii. যবের

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৪৯. তেজস্ক্রিয় পদার্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো

i. এটি মাটির উর্বরতা নষ্ট করে

ii. এটি প্রাণীদেহে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী

iii. সাধারণত মাশরুমে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া যায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৫০. জৈব খনিজ পদার্থ হলো

i. গ্যাস

ii. কয়লা

iii. সোনা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৫১. জীবাশ্ম জ্বালানি

i. কয়লা

ii. প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন বছর আগে প্রাপ্ত

iii. কীটনাশক

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৫২. আমদের দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়

i. হোটেল-রেস্তোরায় কাবাব জাতীয় খাবার তৈরিতে

ii. ইউরিয়া সারের কাঁচামাল হিসেবে

iii. বিদ্যুৎ উৎপাদনে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৫৩. প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিজাতকরণের ধাপ হলো

i. প্রশমন

ii. পানি নিরুদন

iii. বিশুদ্ধকরণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৪ ৫৫নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

পেট্রোলিয়াম হলো খনিজ তেল। সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে খনিতে পেট্রোলিয়ামও থাকে।

৫৪. উদ্দীপকের সম্পদ দুটির সাধারণ উপাদান কোনটি?

ক. কেরোসিন ও ইথেন

খ. ডিজেল ও মিথেন

গ. প্রোপেন ও বিউটেন

ঘ. বিউটেন ও বেনজিন

উত্তর: গ. প্রোপেন ও বিউটেন

৫৫. প্রথম সম্পদটি পাওয়া যায় কোথা থেকে?

ক. পেট্রোল কূপ                                  খ. খনিজ তেল কূপ

গ. কয়লা কূপ                                     ঘ. গ্যাস কূপ

উত্তর: ঘ. গ্যাস কূপ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৫৬ ৫৭ নংপ্রশ্নের উত্তর দাও:

সুমন নানু বাড়িতে বেড়াতে গেল। সে দেখল কৃষকরা জমিতে চুন ছিটাচ্ছে।

৫৬. বস্তুটি ছিটানোর পূর্বে জমির pH এর মান কত হতে পারে?

ক. 4                                                    খ. 6.5

গ. 8.5                                                 ঘ. 7

উত্তর: ক. 4

৫৭. বস্তুটির পরিমাণ বেশি দেয়া হলে কোনটি ব্যবহার করতে হবে?

ক. NH4NO3                                                    খ. CaCO3

গ. H2SO4                                           ঘ. CuSO4.5H2O

উত্তর: গ. H2SO4

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৮ ৫৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

আবুল হোসেন প্রতি বছর তার জমিতে বেশি বেশি রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেন। একই জমিতে প্রতি বছরই তিনি পাট ও পিঁয়াজ আবাদ করেন। এ অবস্থায় তার ভালো ফলন না হওয়ার কারণে তিনি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।

৫৮. ভালো ফলন পেতে তাকে

ক. বেশি পানি দিতে হবে

খ. বেশি রাসায়নিক সার দিতে হবে

গ. জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে

ঘ. প্রতি বছর একই ফসল আবাদ করতে হবে

উত্তর: গ. জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে

৫৯. আবুল হোসেনের জমিতে গৃহীত চাষ ব্যবস্থার জন্য নিচের কোনটি ঘটেছে?

ক. জমির উর্বরতা বেড়েছে

খ. জমির পোকামাকড় বেড়েছে

গ. জমির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে

ঘ. জমির উর্বরতা ও পানি ধারণ ক্ষমতা কমেছে

উত্তর: ঘ. জমির উর্বরতা ও পানি ধারণ ক্ষমতা কমেছে

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬০ ৬১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

জামিল তার জমির উর্বরতা কমে যাওয়ায় মাটিতে চুন প্রয়োগ করল কিন্তু তার জমি আরোও দুর্বল হয়ে পড়ল।

৬০. জামিলের জমির মাটি কিরূপ?

ক. ক্ষারীয়                                            খ. অম্লীয়

গ. প্রশমন                                            ঘ. লোনা

উত্তর: ক. ক্ষারীয়

৬১. জামিল তার জমিকে উর্বর করতে পারে-

i. মাটির pH পরিমাপ করে

ii. নাইট্রেট সার দিয়ে

iii. CaCO3 প্রয়োগ করে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৬২ও ৬৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

কয়লা অতি মূল্যবান জীবাশ্ম জ্বালানি। এটি এক ধরনের পাললিক শিলা যা বাদামি কালো রঙের জ্বালানি হিসেবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে।

৬২.কয়লা উত্তোলনের পদ্ধতি কয়টি?

ক. ১                                                    খ. ২

গ. ৩                                                    ঘ. ৪

উত্তর: খ. ২

৬৩. লিগনাইট কয়লা

i. ১৫০ মিলিয়ন বছর পুরনো

ii. শতকরা ৫০ ভাগ কার্বন থাকে

iii. ৩৫০ মিলিয়ন বছরের পুরনো

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

এসএসসি সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৬৪ ৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

A ও B দুইটি পদার্থ। উভয়ই একই মৌল দ্বারা গঠিত। A সবচেয়ে কঠিন পদার্থ এবং এটি অধাতু হলেও এর দ্যুতি আছে। কিন্তু B নরম পদার্থ।

৬৪. A খনিজ পদার্থটি কী?

ক. হীরক                                             খ. গ্রাফাইট

গ. সালফার                                         ঘ. সোডিয়াম

উত্তর: ক. হীরক

৬৫. A B এর ক্ষেত্রে

i. এদের ভৌত ধর্ম ভিন্ন

ii. এদের কেলাস গঠন একই

iii. উভয়ে কার্বন দ্বারা গঠিত

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন

৬৬. মাটি-

i. জৈব ও অজৈব পদার্থের মিশ্রণ

ii. এতে বায়বীয় পদার্থের পরিমাণ ২৫%

iii. না থাকলে অক্সিজেন পেতাম না

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন : নিচের চিত্র তিনটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

ক. পেট্রোলিয়াম কী?

খ. জীবাশ্ম জ্বালানি বলতে কী বুঝায়?

গ. A চিত্রের জ্বালানিটি খনি থেকে তুলে কীভাবে ব্যবহার উপযোগী করা হয়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. চিত্র B এর শক্তি উৎপাদনের জন্য A ও C জ্বালানিটির মধ্যে কোনটি বেশি সাশ্রয়ী? যুক্তিসহ মতামত দাও।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. যে সকল তরল জ্বালানি পদার্থ খনিতে পাওয়া যায় তাই পেট্রোলিয়াম।

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. হাজার হাজার বছর আগে মরে যাওয়া গাছ-পালা ও প্রাণীর পচা দেহাবশেষ কাদা ও পানির সাথে ভূগর্ভে জমা হয়। সময়ের সাথে সাথে এরা বিভিন্ন রকম শিলাস্তরে ঢাকা পড়ে। শিলাস্তরের চাপে পচা দেহাবশেষ ঘনীভূত হয় এবং প্রচণ্ড চাপে ও তাপে দেহাবশেষে বিদ্যমান জৈব পদার্থসমূহ প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও কয়লায় রূপান্তরিত হয়। এভাবে প্রাণীদেহের পরিবর্তনে উৎপন্ন জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়।

. A চিত্রের জ্বালানি হচ্ছে মিথেন গ্যাস। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রক্রিয়াকরণ একটি জটিল শিল্প প্রক্রিয়া, যেটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়।

সাধারণভাবে যেখানে গ্যাসকূপ পাওয়া যায়, সেখানেই প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন করা হয়। প্রক্রিয়াকরণ অনেকাংশে নির্ভর করে গ্যাসের গঠন অর্থাৎ এতে বিদ্যমান অন্যান্য পদার্থের উপর। সাধারণত গ্যাসকূপে গ্যাস ও তেল একসাথে থাকে। তাই প্রথমেই তেলকে গ্যাস থেকে আলাদা করা হয়। এরপর প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা বেনজিন ও বিউটেন ঘনীভূত করে আলাদা করা হয়।

প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা পানি দূর করার জন্য নিরুদকের মধ্য দিয়ে চালনা করা হয়। অতঃপর গ্যাসে থাকা দূষক (H2S, CO2) পৃথক করা হয়। প্রাপ্ত গ্যাসের মিশ্রণ থেকে নাইট্রোজেন আলাদা করা হয়। এই অবস্থায় প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস বিশুদ্ধ মিথেন গ্যাস।

ঘ. চিত্র B -এর শক্তি উৎপাদনের জন্য অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করার জন্য A (CNG) ও C (কয়লা) এর মাঝে C অর্থাৎ কয়লা বেশি সাশ্রয়ী।

CNG মূলত সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস। এর প্রধান উপাদান মিথেন গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাসকে অনেকগুলো ধাপের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিশুদ্ধ মিথেন গ্যাস প্রস্তুত করা হয়। বিশুদ্ধ মিথেন গ্যাস প্রস্তুত করা বেশ খরচ সাপেক্ষ। এই মিথেন গ্যাস জ্বালানি হিসাবে তখনই কার্যকর হয় যখন এটিকে সংকুচিত করা হয়। কিন্তু কোন গ্যাসকে সংকুচিত করা অনেক খরচের ব্যাপার। মিথেনকে প্রচণ্ড চাপে যখন সংকুচিত করা হয় এটি শুধুমাত্র তখনই জ্বালানি হিসেবে অনেক ভালো হয়ে উঠে।

অপরপক্ষে কয়লা উত্তোলন করা তুলনামূলকভাবে বেশ কম খরচ সাপেক্ষ। যদি কয়লার স্তর মাটির খুব বেশি নিচে না থাকে তবে তা উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে উত্তোলন করা যায়। এটি অনেক কম খরচে করা সম্ভব। তবে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে পরিবেশগত দিক বিবেচনায় রাখা উচিত।

তাই সার্বিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি হিসেবে কয়লা অনেক সাশ্রয়ী।

প্রশ্ন২ : বকুলদের এলাকার মাটি শিলা খনিজ পদার্থ মিশ্রিত। মাটির কণাগুলো আকারে বড়। পানি খুব তাড়াতাড়ি সরে যায়। অপরদিকে শাহীনদের এলাকার মাটির কণাগুলো আকারে ছোট এবং জৈব খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ।

ক. বায়বায়ন কাকে বলে?

খ. হরাইজোন কীভাবে তৈরি হয়?

গ. বকুলদের এলাকার মাটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. বকুল ও শাহীনদের এলাকার মধ্যে কোনটিতে বেশি ফসল ফলবে? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. যে প্রক্রিয়ায় মাটিতে থাকা গ্যাসের সাথে বায়ুমণ্ডলে থাকা বাতাসের গ্যাসের বিনিময় হয় অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের গ্যাস মাটিতে যায় এবং মাটিতে থাকা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে চলে আসে সে প্রক্রিয়াকেই বায়বায়ন বলে।

খ. হরাইজোন হলো মাটির স্তর। মাটির গঠন পর্যবেক্ষণ করলে এতে প্রধানত ৪টি স্তর দেখতে পাওয়া যায়। এসব স্তরের এক একটিকে এক একটি হরাইজোন বলা হয়।

সবার উপরে যে স্তর থাকে তাকে টপ সয়েল বলা হয়। এই স্তরের মাটি বালুময় হয়। যে কারণে খনিজসমূহ পানির সাথে নিচের স্তরে চলে যায়। নিচের এই স্তরকে সাবসয়েল বলা হয়। এই স্তরে উপর থেকে আসা খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এরপরের স্তরে শিলার রূপান্তর ঘটতে থাকে। এই স্তরে বড় এবং কঠিন শিলাসমূহ ছোট এবং তুলনামূলকভাবে নরম শিলাতে রূপান্তরিত হতে থাকে। এই স্তরের ঠিক নিচে পাওয়া যায় কঠিন শিলা স্তর। কঠিন শিলা স্তরের উপর মূলত ভূপৃষ্ঠের সবকিছু দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে হরাইজোন স্তরগুলো তৈরি হয়।

ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

গ. বকুলদের এলাকার মাটি হচ্ছে বালু মাটি।

বালু মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদের পানি ধারণক্ষমতা খুবই কম। এই মাটিতে বিদ্যমান মাটির কণার আকার সবচেয়ে বড় থাকে। এর ফলে কণাগুলোর মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকে। এ কারণে এ মাটিতে বায়বায়ন অনেক বেশি হয়। বালু মাটিতে খুবই অল্প পরিমাণ শিলা ও খনিজ পদার্থ থাকে। এই মাটিতে যদি হিউমাস থাকে তবে তা চাষাবাদের জন্য উপযোগী হয়।

বালু মাটিতে পানি খুব তাড়াতাড়ি নিষ্কাশিত হয়ে যায় বলে এ মাটি চাষাবাদের জন্য তেমন উপযোগী নয়। এটিই বালু মাটির প্রধান সমস্যা। উপরে উল্লেখিত বালু মাটির সকল বৈশিষ্ট্যই বকুলদের এলাকার মাটিতে উপস্থিত। তাই বলা যায় বকুলদের এলাকার মাটি হচ্ছে বালু মাটি।

ঘ. উদ্দীপকে শাহীনদের এলাকার মাটির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এ মাটির কণাগুলো আকারে ছোট এবং জৈব ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ।

উল্লেখিত বৈশিষ্ট্য পলিমাটির বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়। পলিমাটি খুবই উর্বর হয়। এই মাটির কণাগুলো বালু মাটির কণার আকারের তুলনায় ছোট হয়। মূলত এই মাটির কণাগুলো খুবই ছোট বলে পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকে এবং এক পর্যায়ে জমিতে পড়ে স্তর সৃষ্টি করে। ছোট মাটির কণা বেশি পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ধরে রাখতে পারে। একারণেই বালুমাটির তুলনায় পলি মাটিতে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে।

পলিমাটি বেশি পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে। যা বালু মাটি পারে না। পানি উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। এজন্য বালু মাটির তুলনায় পলিমাটিতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পানি বেশি সহজলভ্য।

সুতরাং, সকল দিক বিবেচনায় বালু মাটি অপেক্ষা পলি মাটি উদ্ভিদের অর্থাৎ ফসলের জন্য বেশি উপযুক্ত। অতএব, বকুল ও শাহীনদের এলাকার মধ্যে শাহীনদের এলাকাতে ফসল ভালো ফলবে।

প্রশ্ন-৩ : বন্যার ফলে ফসলি জমিতে অদ্রবণীয় পদার্থসহ এক ধরনের মাটি তলানি আকারে জমা হয়। ফসল উৎপাদনে এর প্রভাব রয়েছে। মাটি একটি প্রাকৃতিক সম্পদ যা বিভিন্ন কারণে ক্ষয় হচ্ছে।

ক. ট্যালক কী?

খ. মাটিতে পানি থাকা উদ্ভিদের জন্য জরুরি কেন?

গ. উদ্দীপকে জমা হওয়া মাটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকে প্রাকৃতিক সম্পদটির ক্ষয়রোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়? বিশ্লেষণ করো।

নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ট্যালক হচ্ছে কঠিনতার ভিত্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে নরম খনিজ যা ট্যালকম পাউডার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

খ. মাটি থেকে পাওয়া পানির সাহায্যেই গাছপালা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের খাবার তৈরি করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ করে। গাছপালার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি (যেমন খনিজ পদার্থ, নাইট্রোজেন ফসফরাস ইত্যাদি) মাটি থেকে সরাসরি গ্রহণ করতে পারে না। এগুলো গ্রহণ করে মূলের সাহায্যে এবং এক্ষেত্রে পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। তাই পানি না থাকলে উদ্ভিদের পুষ্টিগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য মাটিতে পানি থাকা উদ্ভিদের জন্য জরুরী।

. উদ্দীপকের জমা হওয়া মাটি হলো পলি মাটি। নিম্নে পলি মাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

পলি মাটির পানি ধারণক্ষমতা বেশি। আঙ্গুলে ঘষলে যে মাটি মসৃণ লাগে তাই পলি মাটি। পলি মাটি হাতের সাথে লেগে থাকবে। এতে উপস্থিত পানির জন্য, যা বালুমাটির বেলায় ঘটে না। পলি মাটি খুবই উর্বর হয় আর মাটির কণাগুলো আকারে ছোট হয়। পলি মাটির কণাগুলো ছোট হওয়ায় এরা পানিতে ভাসমান আকারে থাকে এবং একপর্যায়ে পানির নিচে থাকা জমিতে পলির আকারে জমা পড়ে।

পলি মাটিতে জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ (যেমন- কোয়ার্টজ) থাকে। বালুমাটির মতো পলি মাটির কণাগুলোও দানাদার হয় এবং এতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে।

. উদ্দীপকের প্রাকৃতিক সম্পদটি হলো মাটি। কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মাটির ক্ষয়রোধ করা যায়।

মাটি ক্ষয়রোধের অন্যতম কৌশল হলো মাটিতে বেশি করে গাছ লাগানো। মাটিতে তৃণগুল্ম ও দূর্বা বা অন্য যেকোনো ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ও অন্যান্য গাছপালা থাকলে ভারী বৃষ্টিপাতও মাটির ক্ষয়সাধন করতে পারে না।

ঘাস মাটি থেকে তুললে তা মাটির ক্ষয়সাধন করে। তাই মাটি সংরক্ষণের জন্য ঘাস কাটার সময় একেবারে মাটি ঘেঁষে কাটাতে হবে। বনের গাছ কাটার ফলে অনেক সময় বিস্তীর্ণ এলাকা গাছশূন্য ও অনাচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। কাজেই নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা না করে কোনো মতেই বনের গাছ কাটা যাবে না।

রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার ব্যবহার করা উত্তম। কারণ জৈব সারে থাকা উপাদান ও হিউমাস পানি শোষণ করতে পারে। রাসায়নিক সার মাটিতে বসবাসকারী উপকারী পোকামাকড়, অণুজীব ধ্বংস করে, ফলে উর্বরতা ও নষ্ট হয়ে যায়। একই জমিতে বারবার একই ফসল চাষ করে উর্বরতা নষ্ট হয়।

তাই একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো উচিত। এভাবে মাটি ক্ষয়রোধ করে সংরক্ষণ করা সম্ভব।

প্রশ্ন৪ : মিনাদের এলাকার মাটির পানি ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় ফসল চাষে তেমন উপযোগী নয়। তার এক বান্ধবী পপিদের বাড়ি পদ্মার তীরে হওয়ায় সেখানকার মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি। মিনার আরেক বান্ধবী লিথিদের এলাকার মাটিতে পাথরের পরিমাণ বেশি।

ক. বায়বায়ন কাকে বলে?

খ. হিউমাস কিভাবে তৈরি হয়? ব্যাখ্যা করো।

গ. মিনাদের এলাকার মাটি কিভাবে ফসল চাষের জন্য উপযোগী করা যায়? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. পপি ও লিথিদের এলাকার মাটি দুটির মধ্যে বনভূমি ও শস্য উৎপাদনে কোনটি অধিক ভূমিকা রাখবে? বিশ্লেষণ করো।

নং প্রশ্নের উত্তর

ক. যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলের গ্যাস মাটিতে পৌঁছে এবং মাটিতে থাকা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে অবমুক্ত হয় সে প্রক্রিয়াকে মাটির বায়বায়ন বলে।

খ. মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ হিউমাস নামে পরিচিত। হিউমাস হলো অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, চিনি, অ্যালকোহল, চর্বি, তেল, লিগনিন, ট্যানিন ও অন্যান্য অ্যারোমেটিক যৌগের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ জটিল পদার্থ। এটি মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ হতে তৈরি হয়।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত মিনাদের এলাকার মাটির পানি ধারণক্ষমতা খুব কম। অর্থাৎ এটি বালু মাটি। নিচে বালু মাটি ফসল চাষের উপযোগী করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো-

বালু মাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এতে বিদ্যমান মাটির কণার আকার সবচেয়ে বড় থাকে, ফলে কণাগুলোর মাঝে ফাঁকা জায়গা বেশি থাকে, যার ফলে বায়বায়ন অনেক বেশি হয়। বালু মাটিতে অতি ক্ষুদ্র শিলা ও খনিজ পদার্থ থাকে। বালু মাটিতে হিউমাস থাকলে এটি চাষাবাদের জন্য সহজসাধ্য, তবে যেহেতু এই মাটির পানি ধারণক্ষমতা কম, তাই পানি দিলে তা দ্রুত নিষ্কাষিত হয় এবং গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে উদ্ভিদে পানির স্বল্পতা দেখা যায়।

তাই যে সকল ফসলাদিতে অনেক বেশি পানি লাগে সেগুলো বালু মাটিতে ভালো হয় না। তবে যখন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় যা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে, সে সকল ক্ষেত্রে বালু মাটি চাষাবাদের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারে। কারণ, বালু মাটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় না যার ফলে গাছের শিকড় পঁচে না।

জলাবদ্ধতা হলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গাছের শিকড়ে পঁচন ধরে যার ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। কিন্তু বালু মাটি এ ধরনের সমস্যা হতে মুক্ত তাই অধিক পানিগ্রাহী ফসল বালু মাটিতে চাষাবাদ করার মাধ্যমেই বালু মাটিকে চাষের উপযোগী করা যায়।

. উদ্দীপকের তথ্যানুযায়ী পপিদের এলাকার মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি অর্থাৎ এটি দো-আঁশ মাটি এবং লিথিদের এলাকার মাটিতে পাথরের পরিমাণ বেশি তাই এটি হলো খড়ি মাটি।

উক্ত দুই প্রকার মাটি দুটির মধ্যে মূলত দো-আঁশ মাটি বনভূমি ও শস্য উৎপাদনে অধিক ভূমিকা পালন করে। দো-আঁশ মাটি বালু, পলি ও কাদা মাটির সমন্বয়েই তৈরি হয়। এতে জৈব পদার্থের পরিমাণও অনেক বেশি, তাই উদ্ভিদ এ মাটি হতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

এছাড়াও দো-আঁশ মাটির একদিকে যেমন পানি ধারণক্ষমতা ভালো আবার প্রয়োজনের সময় পানি দ্রুত নিষ্কাশনও হতে পারে। তাই শুধু ফসল চাষাবাদের জন্য নয় বরং বনভূমির জন্যও দোআঁশ মাটি খুবই উপযোগী।

অন্যদিকে খড়ি মাটি ক্ষারীয় হয় এবং এতে অনেক পাথর থাকে। এই মাটি সাধারণত দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং সে কারণে ফসল উৎপাদনের জন্য খুব একটা উপযুক্ত নয়, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। এছাড়াও খড়িমাটি থেকে গাছপালার জন্য অত্যাবশ্যকীয় আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে উদ্ভিদ সঠিকভাবে পুষ্টি হতে বঞ্চিত হয় যা ভূমি ও ফসলের জন্য সহায়ক নয়।

উপরের আলোচনার মাধ্যমে এটি স্পষ্টতই বলা যায় দো-আঁশ মাটি খড়ি মাটির তুলনায় বনভূমি ও শস্য উৎপাদনে অধিক ভূমিকা পালন করবে।

প্রশ্ন৫ : তথ্য: সাভার থেকে ঢাকা যাবার পথে আমিন বাজার পর্যন্ত প্রচুর ইটের ভাটা চোখে পড়ে এবং অঞ্চলে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে।

তথ্য: নীলা ম্যাডামের বারান্দায় রাখা একটি টবের মাটি বালু, পলি কাদার সমন্বয়ে তৈরি।

ক. হিউমাস কাকে বলে?

খ. মাটির বায়বায়ন প্রয়োজনীয় কেন?

গ. নীলা ম্যাডামের টবের মাটি কোন ধরনের? তার বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. তথ্য-১ পরিবেশের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে? বিশ্লেষণ করো ।

নং প্রশ্নের উত্তর

. মাটিতে বিদ্যমান যেসব জৈব পদার্থ মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে তৈরি হয় তাদেরকে হিউমাস বলে।

. মাটিতে থাকা গ্যাসের সাথে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসের বিনিময় হলো বায়বায়ন। মাটির বায়বায়ন প্রয়োজনীয়। কারণ মাটির গ্যাসে যে অক্সিজেন থাকে তা মাটিতে বসবাসকারী নানারকম উপকারী অণুজীবের জন্ম ও বেড়ে ওঠার জন্য অত্যাবশ্যক। আবার অক্সিজেন পানিতে অদ্রবণীয় অনেক খনিজ পদার্থকে ভেঙে দ্রবণীয় পদার্থে পরিণত করে, যা মাটিতে থাকা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে পরে উদ্ভিদে স্থানান্তরিত হয়।

. নীলা ম্যাডামের টবের মাটি হলো দো-আঁশ মাটি। দো-আঁশ মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই মাটি বালু, পলি আর কাদা মাটির সমন্বয়ে তৈরি হয়।

দো-আঁশ মাটির ধরণ কেমন হবে তা নির্ভর করে মাটিতে থাকা বালু, পলি আর কাদা মাটির অনুপাতের ওপর। দো-আঁশ মাটির পানি ধারণক্ষমতা ভালো এবং প্রয়োজনের সময় পানি দ্রুত নিষ্কাশন করতে পারে। ফসল চাষাবাদের জন্য এই মাটি খুবই উপযোগী।

এছাড়া এই মাটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো হাতে মাটির বল তৈরি করলে হাতের তালুতে লেগে থাকে না।

. তথ্য-১ এ প্রচুর ইটের ভাটা এবং প্রচুর যানবাহনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ইটের ভাটা এবং যানবাহন দ্বারা সৃষ্ট ধোঁয়া হলো গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রধান উৎস। এছাড়া ইটের ভাটায় প্রচুর পরিমাণে কাঠপোড়ানো হয় যার যোগান দিতে গাছপালা কেটে বনভূমি ধ্বংস করা হয়।

গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত বনভূমি ধ্বংস হওয়ায় গাছপালা কর্তৃক কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণও কমে যাচ্ছে। ফলে পৃথিবীতে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া বেড়েই চলেছে। তাই বৈশ্বিক উষ্ণতার হার ক্রমাগত বাড়ছে এবং এতে খুব দ্রুত জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে প্রাণিকূল। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে গড়ে ১০০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা ০.৭৪° সেলসিয়াস বেড়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছরে ১.৮ সেন্টিমিটার বাড়ছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চল পানিতে ডুবে যাচ্ছে। লোনা পানির জলাবদ্ধতার ফলে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সামুদ্রিক প্রবাল ঝুঁকির মুখে পড়ছে। ফলে সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে খরা ও বন্যা। এতে করে মারাত্মক পানি দূষণ ঘটছে। পানি, বায়ুবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক হারে সাইক্লোন, টর্নেডোসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

তাই দেখা যাচ্ছে, ইটের ভাটা এবং যানবাহনের আধিক্য পরিবেশের উপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

প্রশ্ন৬ : হবিগঞ্জ জেলার রতনপুর নামক স্থানে পরিত্যক্ত নলকূপ থেকে আগুন জ্বলতে দেখা যায় খনিজ বিজ্ঞানীদের অবহিত করলে তারা পরীক্ষানিরীক্ষার পর উক্ত স্থানে দুই ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানির অস্তিত্ব খুঁজে পান। এদের মধ্যে একটি তরল এবং অন্যটি গ্যাসীয়। আবার বড় নদীয়া নামক স্থানে অন্য আর এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি পাওয়া যায়। ফার্ণ, শৈবাল, লতাপাতা থেকে তৈরি হয়েছে।

ক. সাবসয়েল কাকে বলে?

খ. কাদামাটি মৃৎশিল্পের উপযোগী- ব্যাখ্যা করো।

গ. তৃতীয় জ্বালানীটি কিভাবে তৈরি হয়? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. রতনপুরে প্রাপ্ত দুই ধরনের জ্বালানিই উত্তোলন করা সম্ভব কি? যুক্তিসহ লিখ।

নং প্রশ্নের উত্তর

ক. মাটির দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ যা খনিজ পদার্থে ভরা এবং সামান্য হিউমাস সমৃদ্ধ তাকে সাবসয়েল বলে ।

খ. সাধারণত মৃৎশিল্পে মাটিকে বিভিন্ন আকার দিতে হয় যার জন্য মাটি যথেষ্ট আঠালো ও পানিগ্রাহী হতে হয়। কাদামাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর কণাগুলোর রন্ধ্র খুব ছোট ও সরু হয় ফলশ্রুতিতে এ মাটি হতে পানি নিষ্কাশিত হয় না। যার জন্য এ মাটি মৃৎশিল্পের জন্য উপযোগী।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তৃতীয় জ্বালানীটি হলো কয়লা।

প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের মতো কয়লা একটি জীবাশ্ম জ্বালানি হলেও এর গঠন প্রক্রিয়া আলাদা। প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন বছর আগে জলাভূমিতে জন্মানো প্রচুর ফার্ন, শৈবাল, গুল্ম ও অন্যান্য গাছপালা মরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কয়লা তৈরি হয়েছে। গাছপালায় বিদ্যমান জৈব পদার্থে থাকা কার্বন প্রথমে জলাভূমির তলদেশে জমা হয়। এভাবে জমাকৃত কার্বনের স্তর আস্তে আস্তে পলি বা কাদার নিচে চাপা পড়ে যায় এবং বাতাসের সংস্পর্শ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এমতাবস্থায় কার্বনের স্তর আবার ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পানিযুক্ত, স্পঞ্জের মতো ছিদ্রযুক্ত জৈব পদার্থে পরিণত হয় যাকে বলা হয় পিট। পিট অনেকটা হিউমাসের মতো পদার্থ। পরবর্তীতে উচ্চ চাপ ও তাপে এই পিট পরিবর্তিত হয়ে কার্বন সমৃদ্ধ কয়লায় পরিণত হয়।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রতনপুর নামক স্থানে প্রাপ্ত প্রথম জ্বালানিটি হলো তরল যাদের পেট্রোলিয়াম বলে। দ্বিতীয় জ্বালানিটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।

এই দুই ধরনের জ্বালানিই মাটির গভীরে থাকে যা উত্তোলন সম্ভব। সাধারণত তেল ও গ্যাসকুপ একই সাথে থাকে। এদের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে উত্তোলন করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রক্রিয়াকরণ একটি জটিল শিল্পপ্রক্রিয়া, যেটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। সাধারণভাবে যেখানে গ্যাসকূপ পাওয়া যায়, সেখানেই প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন করা হয়।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রক্রিয়াকরণ অনেকাংশে নির্ভর করে গ্যাসের গঠন অর্থাৎ এতে বিদ্যমান অন্যান্য পদার্থের উপর। সাধারণত গ্যাসকূপ গ্যাস ও তেল একসাথে থাকে। তাই প্রথমেই তেলকে গ্যাস থেকে আলাদা করা হয়। এরপর প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা বেনজিন ও বিউটেন ঘনীভূত করে আলাদা করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা পানি দূর করার জন্য নিরুদকের মধ্য দিয়ে চালনা করা হয়।

অতঃপর গ্যাসের থাকা দূষক (H2S, CO2) পৃথক করা হয়। প্রাপ্ত গ্যাসের মিশ্রণ থেকে নাইট্রোজেন আলাদা করা হয়। এই অবস্থায় প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস বিশুদ্ধ মিথেন গ্যাস, যা পাইপলাইনের মাধ্যমে সঞ্চালন করা হয়। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে তেল পরিশোধন অত্যাশ্যক তাই প্রথমেই প্রায় ৪০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আংশিক পাতন প্রক্রিয়ায় এদের আলাদা করা হয়।

উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় তরল ও গ্যাসীয় জ্বালানি উত্তোলন করা সম্ভব।

প্রশ্ন৭ : নিচের ছকটি লক্ষ্যকর এবং প্রশ্নগুলো উত্তর দাও:

ক. কয়লা কী?

খ. হিউমাস বলতে কী বোঝায়?

গ. B-এর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. A, B, C ও D এর মধ্যে কোন মাটিতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে? বিশ্লেষণ করো।

নং প্রশ্নের উত্তর

. কয়লা হলো কালো বা বাদামি কালো রঙের এক ধরনের পাললিক শিলা।

. হিউমাস হলো মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ। এটি অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, চিনি, অ্যালকোহল, চর্বি, তেল, লিগনিন, ট্যানিন ও অন্যান্য অ্যারোমেটিক যৌগের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ জটিল পদার্থ। হিউমাস দেখতে কালচে ধরনের। প্রকৃতপক্ষে মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে এগুলোর সৃষ্টি হয়।

. B হলো বালুমাটি। বালু মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদের পানি ধারণক্ষমতা খুবই কম।

এই মাটিতে বিদ্যমান মাটির কণার আকার সবচেয়ে বড় থাকে। ফলে কণাগুলোর মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকে। এ কারণে এ মাটিতে বায়বায়ন অনেক বেশি হয়। বালু মাটিতে খুবই অল্প। পরিমাণ শিলা ও খনিজ পদার্থ থাকে। এই মাটিতে যদি হিউমাস থাকে তবে তা চাষাবাদের উপযোগী হয়।

বালু মাটিতে পানি খুব তাড়াতাড়ি নিষ্কাশিত হয়ে যায় বলে এ মাটি চাষাবাদের জন্য তেমন উপযোগী নয়। এটিই বালু মাটির প্রধান সমস্যা।

. ছকে প্রদত্ত A, B, C ও D হলো যথাক্রমে কাদামাটি, বালুমাটি, পলিমাটি ও দো-আঁশ মাটি।

উল্লিখিত চার প্রকার মাটির মধ্যে পলি মাটিতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে। কাদা মাটির কণাগুলো সূক্ষ্ম হওয়ায় কণাগুলোর মধ্যকার রন্ধ্র খুব ছোট ও সরু হয়। তাই পানি সহজে নিষ্কাশিত হয় না। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং উদ্ভিদ বা ফলাদির মূলে পচন ধরে।

অন্যদিকে বালুমাটির কণার আকার বড় থাকে। ফলে কণার মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকায় বায়বায়ন বেশি হলেও এ মাটির পানি ধারণক্ষমতা খুবই কম। পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হওয়ায় উদ্ভিদে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। আবার দো-আঁশ মাটি বালু, পলি ও কাদামাটির সমন্বয়েই তৈরি হয়। এ মাটির একদিকে যেমন পানি ধারণক্ষমতা ভালো। আবার প্রয়োজনের সময় নিষ্কাশনও দ্রুত ঘটে। তাই এতে ফসলের ভালো চাষাবাদ হয়।

অপরদিকে, পলিমাটির কণাগুলো বালুমাটির কণার তুলনায় আকারে ছোট হয়। ফলে বালুমাটির তুলনায় এর পানি ধারণক্ষমতা বেশি। এই মাটির কণাগুলো ছোট হওয়ায় এরা পানিতে ভাসমান আকারে থাকে এবং এক পর্যায়ে পানির নিচে থাকা জমিতে পলির আকারে জমা পড়ে। এ মাটিতে জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ থাকে।

ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ‘C’ অর্থাৎ পলিমাটিতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে।

প্রশ্ন : ক্লাসে বিজ্ঞানের স্যার নবমদশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের আমাদের সম্পদ অধ্যায় পড়ানোর সময় বলেন, আমাদের ব্যবহৃত প্রাকৃতিক জ্বালানির অন্যতম হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। ছাড়াও রয়েছে কয়লা, ডিজেল, পেট্রোল ইত্যাদি। কিন্তু অনবায়নযোগ্য সম্পদগুলো দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর ব্যবহারে অপচয়রোধে আমাদের সচেতন হতে হবে।

ক. মাইকা কী?

খ. মাটির pH বলতে কী বোঝায়?

গ. অন্যতম প্রাকৃতিক জ্বালানিটি কীভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়?

ঘ. বিজ্ঞান স্যারের শেষ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।

নং প্রশ্নের উত্তর

. মাইকা হলো এক ধরনের খনিজ পদার্থ যা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ নিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

. মাটির pH হলো ফসল উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড যার মাধ্যমে মাটি এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা বোঝা যায়। মাটির pH এর মান সাধারণত ৪-৮ হয়ে থাকে। এই pH মান ৩ এর কম হলে অর্থাৎ মাটি এসিডিক হলে উর্বরতা কমে যায়। আবার, pH এর মান ৯.৫ এর বেশি হলে অর্থাৎ ক্ষারীয় হলেও মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত অন্যতম প্রাকৃতিক জ্বালানিটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।

প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রক্রিয়াকরণ একটি জটিল শিল্প প্রক্রিয়া, যেটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। সাধারণভাবে যেখানে গ্যাসকূপ পাওয়া যায়, সেখানেই প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন করা হয়। প্রক্রিয়াকরণ অনেকাংশে নির্ভর করে গ্যাসের গঠন অর্থাৎ এতে বিদ্যমান অন্যান্য পদার্থের উপর।

সাধারণত গ্যাসকূপে গ্যাস ও তেল একসাথে থাকে। তাই প্রথমেই তেলকে গ্যাস থেকে আলাদা করা হয়। এরপর প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা বেনজিন ও বিউটেন ঘনীভূত করে আলাদা করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা পানি দূর করার জন্য নিরুদকের মধ্য দিয়ে চালনা করা হয়। অতঃপর গ্যাসে থাকা দূষক (HOS, CO) পৃথক করা হয়। প্রাপ্ত গ্যাসের মিশ্রণ থেকে নাইট্রোজেন আলাদা করা হয়। এই অবস্থায় প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস বিশুদ্ধ মিথেন গ্যাস।

উপযুক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায়, খনিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে বিভিন্ন উপাদান অপদ্রব্য হিসেবে থাকায় তা প্রক্রিয়াকরণ প্রক্রিয়ায় গ্যাস থেকে আলাদা করা ছাড়া ব্যবহার উপযোগী হয় না।

বাংলা প্রথম পত্র-কপোতাক্ষ নদ-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

ঘ. বিজ্ঞান স্যারের শেষ উক্তিটিতে অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে এগুলোর ব্যবহার ও অপচয়রোধে সচেতনতার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

আমাদের যে প্রাকৃতিক সম্পদ মজুদ রয়েছে তা অফুরন্ত নয় অর্থাৎ পরিমাণে নির্দিষ্ট ও সীমিত। প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, ডিজেল, পেট্রোল ইত্যাদি ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে এক সময় তা শেষ হয়ে যায়। প্রাকৃতিক গ্যাস বাসা-বাড়িতে বিনা প্রয়োজনে ব্যবহার করে অপচয় করা হয়, যা কোনোমতেই সমীচীন নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেককে নিজের বাসায় ও মহল্লায় অন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে। কয়লা ইটের ভাটায়, শিল্প-কারখানায় ও বাসাবাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ সম্পদটির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সচেতন হতে হবে।

এছাড়া ডিজেল ও পেট্রোল বিভিন্ন যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব মূল্যবান সম্পদের ব্যবহার কমানো ও সংরক্ষণের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির বিভিন্ন উৎসের ব্যবহারকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ, পানির স্রোত ইত্যাদি যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আমরা প্রাকৃতিক জ্বালানির চাপ কমানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শক্তি সংরক্ষণ করতে পারি। সুতরাং প্রাকৃতিক জ্বালানি ব্যবহার ও অপচয়রোধে আমাদের সচেতনতা সম্পর্কে বিজ্ঞান স্যারের শেষ উক্তিটির যথার্থতা রয়েছে।

আরও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ইউটিউব চ্যানোলের প্লেলিস্ট

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply