এসএসসি-ভূগোল ও পরিবেশ-ষষ্ঠ অধ্যায় : বারিমণ্ডল নোট

এসএসসি-ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন

অধ্যায়-০৬ : বারিমণ্ডল

Hydrosphere

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

  • এইচএমএস চ্যালেঞ্জার : সমুদ্র গবেষণার জন্য ১৮৭২ থেকে ১৮৭৬ সালে বিশ্বে সর্বপ্রথম একটি গবেষণা জাহাজ অভিযান পরিচালনা করে। ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটির পরামর্শে ব্রিটিশ সরকার এই সমুদ্র অভিযানটি আয়োজন করে। চার্লস উইভিল থম্পসন ও স্যার জন মারি অভিযানটির নেতৃত্ব দেন। জাহাজটি সমুদ্রপথে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ১,৩০,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় এবং পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরে জরিপ পরিচালনা করে। এ অভিযানে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরের তলদেশের ভূ-প্রকৃতি, সমুদ্রস্রোত, সমুদ্রজলের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, সামদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎ বিষয়ে বহু অজানা তথ্য আবিষ্কৃত হয়।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

  • ভূমিকা : Hydrosphere-এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমণ্ডল। Hydro অর্থ পানি আর Sphere অর্থ মণ্ডল। আমরা জানি, পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে পানি। বায়ুমণ্ডলে পানি আছে জলীয়বাষ্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে আছে তরল ও কঠিন অবস্থায় আর ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি । সুতরাং বারিমণ্ডল বলতে বোঝায় পৃথিবীর সব জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ। পৃথিবীর জলরাশির শতকরা ৯৭ ভাগ পানি রয়েছে সাগর, মহাসাগর ও উপসাগরে । আর এসব পানির নিচে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। এ অধ্যায়ে বারিমণ্ডলের বিভিন্ন তথ্যের আলোচনা রয়েছে।
  • বিবরণ :
  • পৃথিবীতে ৫টি মহাসাগর রয়েছে- প্রশান্ত, আটলান্টিক, ভারত, উত্তর ও দক্ষিণ মহাসাগর ।
  • শব্দ তরঙ্গের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয় ফ্যাদোমিটার যন্ত্রটি দিয়ে ।
  • সমুদ্রের তলদেশ ৫ ভাগে বিভক্ত— মহীসোপান, মহীঢাল, গভীর সমুদ্রের সমভূমি, শৈলশিরা ও গভীর সমুদ্রখাত ৷
  • গুয়াম দ্বীপের ৩২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারিয়ানা খাত পৃথিবীর গভীরতম সমুদ্র খাত
  • প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্র খাতের গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার ৷
  • উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে সমুদ্রস্রোত দুই প্রকার- উষ্ণ স্রোত ও শীতল স্রোত ।
  • Hydrosphere : Hydrosphere এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো বারিমণ্ডল। এখানে ‘Hydro’ শব্দের অর্থ ‘পানি’ এবং ‘Sphere’ শব্দের অর্থ ‘মণ্ডল’। অর্থাৎ Hydrosphere হলো পৃথিবীর সব জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ।
  • শৈবাল সাগর : উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্রোত প্রবাহের ফলে পানির আবর্তনের মধ্যে কোনো স্রোত থাকে না । স্রোতহীন এ পানিতে ভাসমান আগাছা ও শৈবাল সঞ্চিত হয়, আর এটিকেই বলা হয় শৈবাল সাগর ।
  • ফ্যাদোমিটার : ফ্যাদোমিটার হলো সমুদ্রের গভীরতা মাপার যন্ত্র ।
  • শৈলশিরা : শৈলশিরা হলো সমুদ্রের তলদেশে নিমজ্জিত উচ্চভূমি। সমুদ্রের তলদেশে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। ঐসব আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে এসে সমুদ্রগর্ভে সঞ্জিত হয়ে শৈলশিরার ন্যায় উঁচু ভূমি গঠন করছে । এগুলোই হলো শৈলশিরা ।
  • আন্তঃসাগরীয় গিরিখাত : আন্তঃসাগরীয় গিরিখাত সমুদ্রতলদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এগুলো খাড়া ঢালবিশিষ্ট এবং কতকটা ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতির উপত্যকার মতো। এ গিরিখাত মহীঢালের উপরেই অবস্থিত থাকে ।

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

  • ম্যারিয়ানা খাত : ম্যারিয়ানা খাত প্রশান্ত মহাসাগরের একটি গভীরতম খাত। এর গভীরতা ১০,৮৭০ মিটার এবং এটিই পৃথিবীর গভীরতম খাত।
  • সমুদ্রস্রোত : মহাসাগরের একস্থান থেকে অন্যস্থানে পানির নির্দিষ্ট ও নিয়মিত গতিই হলো সমুদ্রস্রোত। বায়ুপ্রবাহ হলো সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ। বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রের উপরিভাগের পানির সাথে ঘর্ষণ তৈরি করে এবং ঘর্ষণের জন্য পানিতে ঘূর্ণন তৈরি করে। ফলে পানি একটি নির্দিষ্ট গতিপথ অনুসরণ করে চলাচল করে, যা সমুদ্রস্রোত নামে পরিচিত ।
  • মগ্নচড়া : নদীখাতে উৎপন্ন যে বালুচরের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় তা-ই মগ্নচড়া ।
  • Hydro-electricity: Hydro-electricity এর বাংলা অর্থ হলো ‘পানিবিদ্যুৎ’। নদীতে জোয়ার-ভাটার স্রোতের বিপরীতে বাঁধ দিয়ে Hydro-electricity উৎপাদন করা হয় ।
  • গ্র্যান্ড ব্যাঙ্ক : গ্র্যান্ড ব্যাঙ্ক হচ্ছে নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে গড়ে উঠা মগ্নচড়া। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত মৎস্যচারণ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন১। দক্ষিণ মহাসাগরের অবস্থান কোথায়?

উত্তর : এন্টার্কটিকা ও ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থানে ।

প্রশ্ন২। হিমশৈল কী?

উত্তর : শীতল সমুদ্রস্রোতের সঙ্গে যেসব বরফ খণ্ড ভেসে আসে তা হলো হিমশৈল ।

ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন

প্রশ্ন৩। ল্যাব্রাডর কী ধরনের সমুদ্রস্রোত?

উত্তর : ল্যাব্রাডর একটি শীতল সমুদ্রস্রোত ।

প্রশ্ন-৪। Hydrosphere –এর বাংলা প্রতিশব্দ কী?

উত্তর : Hydrosphere-এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমণ্ডল ।

প্রশ্ন৫। পৃথিবীর সর্বত্র কী রয়েছে?

উত্তর : পৃথিবীর সর্বত্র পানি রয়েছে ।

প্রশ্ন৬। বায়ুমণ্ডলে পানি কী অবস্থায় রয়েছে?

উত্তর : বায়ুমণ্ডলে পানি জলীয়বাষ্প অবস্থায় রয়েছে।

প্রশ্ন৭। মিঠা পানির উৎস কোনগুলো?

উত্তর : নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি মিঠা পানির উৎস।

প্রশ্ন মহাসাগর কাকে বলে?

উত্তর : বারিমণ্ডলের উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ বিশাল লবণাক্ত জলরাশিকে মহাসাগর বলে ।

প্রশ্ন পৃথিবীতে কয়টি মহাসাগর রয়েছে?

উত্তর : পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে।

প্রশ্ন১০। পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরের নাম কী?

উত্তর : পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরের নাম হলো- প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর মহাসাগর ও দক্ষিণ মহাসাগর ।

প্রশ্ন১১। কোন মহাদেশ বছরের সবসময় বরফে আচ্ছন্ন থাকে?

উত্তর : এন্টার্কটিকা মহাদেশ বছরের সবসময় বরফে আচ্ছন্ন থাকে ।

প্রশ্ন-১২। উপসাগর কাকে বলে?

উত্তর : তিনদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং একদিকে জল থাকলে তাকে উপসাগর বলে।

প্রশ্ন১৩। সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপকে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়?

উত্তর : সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা হয় ।

প্রশ্ন১৪ মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা কত মিটার?

উত্তর : মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার ।

প্রশ্ন১৫ বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রতলদেশে কত প্রজাতির মৎস্য রয়েছে?

উত্তর : বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রতলদেশে ৪৪২ প্রজাতির মৎস্য রয়েছে।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন১৬। সমুদ্রে মহীঢালের গভীরতা কত ?

উত্তর : সমুদ্রে মহীঢালের গভীরতা ২০০ হতে ৩০০০ মিটার ।

প্রশ্ন১৭। মহীঢাল গড়ে কত কি. মি. প্রশস্ত ?

উত্তর : মহীঢাল গড়ে প্রায় ১৬ থেকে ৩২ কি. মি. প্রশস্ত ।

প্রশ্ন১৮ নিমজ্জিত শৈলশিরাগুলোর মধ্যে কোন শৈলশিরাটি উল্লেখযোগ্য?

উত্তর : মধ্য-আটলান্টিক শৈলশিরা উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন১৯ কোন মহাসাগরে গভীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক?

উত্তর : প্রশান্ত মহাসাগরে ।

প্রশ্ন২০। কোন জাহাজ প্রথম যাত্রাতেই হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল?

উত্তর : যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ ।

প্রশ্ন২১ প্রধানত কয়টি কারণে জোয়ারভাটার সৃষ্টি হয়?

উত্তর : প্রধানত দুটি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয় ।

প্রশ্ন২২ কিসের আকর্ষণে প্রধানত সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে?

উত্তর : চাঁদের আকর্ষণে।

প্রশ্ন২৩। ভাটার স্রোতের বিপরীতে বাঁধ দিয়ে কী উৎপাদন করা হয়?

উত্তর : জলবিদ্যুৎ (Hydro-Electric) উৎপাদন করা হয়।

প্রশ্ন২৪ মহাকর্ষ কী?

উত্তর : মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে মহাকর্ষ বলে।

প্রশ্ন২৫ মগ্নচড়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ কোনগুলো?

উত্তর : নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে গ্রান্ড ব্যাঙ্ক, সেবল ব্যাঙ্ক, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে ডগার্স ব্যাঙ্ক- এগুলো মগ্নচড়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

প্রশ্ন২৬। প্ল্যাঙ্কটন কী?

উত্তর : প্ল্যাঙ্কটন হচ্ছে একপ্রকার অতি ক্ষুদ্র উদ্ভিদ ও প্রাণী ।

প্রশ্ন২৭। সমুদ্রস্রোতের অনুকূলে কী চলাচলে সুবিধা হয়?

উত্তর : নৌকা, জাহাজ প্রভৃতি চলাচলে সুবিধা হয় ।

প্রশ্ন২৮ বঙ্গোপসাগরের তলদেশে কত প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়?

উত্তর : ১৯ প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায় ।

প্রশ্ন২৯। পৃথিবীর বৃহত্তম মহীসোপান কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমে ।

ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন৩০। উত্তর মহাসাগরের মহীসোপান কত কি. মি. প্রশস্ত?

উত্তর : উত্তর মহাসাগরের মহীসোপান ১২৮৭ কি. মি. প্রশস্ত ।

প্রশ্ন৩১ তটদেশীয় অঞ্চল কাকে বলে?

উত্তর : তীরভূমির যে স্থানের মধ্যে জোয়ার-ভাটার সময় পানি ওঠানামা করে তাকে তটদেশীয় অঞ্চল বলে।

প্রশ্ন৩২। শব্দ তরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে পানির মধ্য দিয়ে কত মিটার নিচে যায়?

উত্তর : ১৪৭৫ মিটার নিচে যায়।

প্রশ্ন৩৩ কোন মহাসাগর এশিয়া আফ্রিকা মহাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত?

উত্তর : ভারত মহাসাগর ।

প্রশ্ন-৩৪ কোন অঞ্চলে সমুদ্র তরঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল?

উত্তর : ঝিনুক অঞ্চলে।

প্রশ্ন৩৫। বঙ্গোপসাগরের তলদেশে কত প্রজাতির মলাস্কস পাওয়া যায়?

উত্তর : ৩৩৬ প্রজাতির মলাস্কস পাওয়া যায় ।

প্রশ্ন৩৬। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় কী কী পারমাণবিক খনিজ পাওয়া গিয়েছে?

উত্তর : পারমাণবিক খনিজ জিরকন, মোনাজাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, রিওটাইল ও লিউকক্সেন পাওয়া গেছে ।

প্রশ্ন৩৭। গভীর সমুদ্রের সমভূমি কাকে বলে?

উত্তর : মহীঢাল শেষ হওয়ার পর হতে সমুদ্রতলদেশে যে বিস্তৃত সমভূমি দেখা যায়, তাকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে ।

প্রশ্ন৩৮ গভীর সমুদ্রের সমভূমির গড় গভীরতা কত মিটার?

উত্তর : গড় গভীরতা ৫০০০ মিটার।

প্রশ্ন৩৯। ম্যারিয়ানা খাতের গভীরতা কত মিটার?

উত্তর : ম্যারিয়ানা খাতের গভীরতা ১০,৮৭০ মিটার ।

প্রশ্ন৪০। কোন ধরনের সমুদ্রস্রোতে জাহাজ নৌ চলাচলের সুবিধা হয় ?

উত্তর : উষ্ণ সমুদ্রস্রোতে।

প্রশ্ন৪১। কোন বায়ুর প্রভাবে উপকূল অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়?

উত্তর : উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে।

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন৪২। শীতল পেরু স্রোতের জন্য কোন মরুভূমি প্রভাবিত হয়?

উত্তর : দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমি ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন১। বারিমণ্ডল বলতে কী বোঝ?

উত্তর : Hydrosphere এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমণ্ডল। Hydro শব্দের অর্থ পানি এবং Sphere শব্দের অর্থ মণ্ডল। আমরা জানি, পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে পানি। এ বিশাল জলরাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় থাকে। যেমন- কঠিন (বরফ), গ্যাসীয় (জলীয়বাষ্প) ও তরল। বায়ুমণ্ডলে পানি রয়েছে জলীয়বাষ্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে রয়েছে তরল ও কঠিন অবস্থায় এবং ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি । সুতরাং বারিমণ্ডল বলতে বোঝায় পৃথিবীর সব জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ।

প্রশ্ন-২। উষ্ণ স্রোত কাকে বলে?

উত্তর : নিরক্ষীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় জলরাশি হালকা হয় ও হালকা জলরাশি সমুদ্রের উপরিভাগ দিয়ে পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে উষ্ণ স্রোত বলে ।

প্রশ্ন৩। আবহাওয়ার উপর সমুদ্রস্রোতের ব্যাখ্যা কর

উত্তর : বায়ুপ্রবাহ উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে। এ উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে উপকূল অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। যেমন- উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় । অন্যদিকে শীতল সমুদ্রস্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু শুষ্ক বলে বৃষ্টিপাত ঘটায় না । ফলে কখনো কখনো শীতল মরুভূমির সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন৪। নদীবন্দর সচল রাখার ক্ষেত্রে কীভাবে জোয়ারভাটা ভূমিকা রাখে?

উত্তর : জোয়ার-ভাটার ফলে নৌযান চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসায়- বাণিজ্যের সুবিধা হয় । জোয়ারের সময় নদীর মোহনায় ও তার অভ্যন্তরে পানি অধিক হয় বলে বড় বড় সমুদ্রগামী জাহাজের পক্ষে নদীতে প্রবেশ করা সুবিধা হয়। আবার ভাটার টানে ঐ জাহাজ অনায়াসে সমুদ্রে নেমে আসতে পারে। বাংলাদেশের দুটি প্রধান সমুদ্রবন্দর পতেঙ্গা ও মংলা এবং অন্যান্য উপকূলবর্তী নদীবন্দর সচল রাখার ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার ভূমিকা রয়েছে ।

প্রশ্ন৫। মগ্নচড়ার সৃষ্টি হয় কেন ?

উত্তর : সমুদ্রস্রোতের প্রভাবে মগ্নচড়ার সৃষ্টি হয়। উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলনস্থলে শীতল স্রোতের সঙ্গে বাহিত বড় বড় হিমশৈল উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে গলে যায়। ফলে হিমশৈলের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি সমুদ্রতলে সঞ্চিত হয় এবং একসময় মগ্নচড়ার সৃষ্টি করে। নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে গ্রান্ড ব্যাঙ্ক, সেবল ব্যাঙ্ক, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে ডগার্স ব্যাঙ্ক মগ্নচড়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বাংলা প্রথম পত্র-কপোতাক্ষ নদ-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন৬। বঙ্গোপসাগরে কী ধরনের সামুদ্রিক প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়া যায়?

উত্তর : বাংলাদেশের ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে অনেক সামুদ্রিক ও প্রাকৃতিক সম্পদ। এ সমুদ্র তলদেশে রয়েছে ৪৪২ প্রজাতির মৎস্য, ৩৩৬ প্রজাতির মলাস্কস ১৯ প্রজাতির চিংড়ি, নানা রকম কাঁকড়া, ম্যানগ্রোভ বনসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জলজ উদ্ভিদ। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় পারমাণবিক খনিজ জিরকন, মোনাজাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, রিওটাইল ও লিউকক্সেন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সমুদ্র তলদেশে রয়েছে তেল ও গ্যাসসম্পদ।

প্রশ্ন৭। মহীসোপান কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর : সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশ পর্যন্ত ক্রমনিম্ননিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ার ফলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ার কারণে মহীসোপানের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সমুদ্রতটে সমুদ্র তরঙ্গ ও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে। মহীসোপানের গড় প্রশস্ততা ৭০ কি. মি. ।

প্রশ্ন পৃথিবীর অণুগুলো মহাকর্ষ শক্তির বিপরীত দিকে বিকর্ষিত হয় কেন?

উত্তর : পৃথিবী গতিশীল। পৃথিবী তার নিজের অক্ষের উপর ভর করছে। পৃথিবী নিজ মেরুরেখার চারদিকে অনবরত আবর্তন করে বলে কেন্দ্রাতিগ বল বা বিকর্ষণ শক্তির সৃষ্টি হয়। এ কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে পৃথিবীর প্রতিটি অণুই মহাকর্ষ শক্তির বিপরীত দিকে বিকর্ষিত হয় বা ছিটকে যায় ।

প্রশ্ন সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ কেমন ?

উত্তর : সমুদ্রের তলদেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ, সেখানে রয়েছে বিশাল প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদ। ভূপৃষ্ঠের উপরের ভূমিরূপ যেমন উঁচু-নিচু, তেমনি সমুদ্র তলদেশও অসমান। কারণ সমুদ্রতলে আগ্নেয়গিরি, শৈলশিরা, উচ্চভূমি ও গভীর খাত প্রভৃতি বিদ্যমান আছে ।

প্রশ্ন১০ বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে কীভাবে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়?

উত্তর : বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ। বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রের উপরিভাগের পানির সাথে ঘর্ষণ তৈরি করে এবং ঘর্ষণের জন্য পানিতে ঘূর্ণন তৈরি করে। অয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ুর প্রবাহ অনুযায়ী প্রধান সমুদ্রস্রোতগুলোর সৃষ্টি হয় ।

পদার্থ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন১১। সমুদ্রজলে লবণাক্ততার পার্থক্য হয় কেন?

উত্তর : সমুদ্রজলে লবণের পরিমাণ সর্বত্র সমান নয়। অধিক লবণাক্ত জল বেশি ভারী বলে তার ঘনত্বও বেশি। বেশি ঘনত্বের জল কম ঘনত্বের দিকে প্রবাহিত হয় ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি করে। অর্থাৎ সমুদ্রস্রোতের কারণে সমুদ্রজলে লবণাক্ততার পার্থক্য সৃষ্টি হয়।

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. হিমশৈল কী?

ক. এন্টার্কটিকায় জমাট বাঁধা বরফ

খ. গ্রিনল্যান্ডে জমাট বাঁধা বরফ

গ. সমুদ্রস্রোতে ভেসে আসা বিশাল বরফখণ্ড

ঘ. হিমালয়ের চূড়ায় জমাট বাঁধা বরফ

উত্তর: গ. সমুদ্রস্রোতে ভেসে আসা বিশাল বরফখণ্ড

বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

২. সমুদ্রের গভীরতার সঙ্গে সম্পর্কিত হলো

i. তাপমাত্রা

ii. সমুদ্রস্রোত

iii. লবণাক্ততা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

 উত্তর: ক. i ও ii

নিচের মানচিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩. ‘P’ চিহ্নিত স্রোত অঞ্চলে সারা বছর জাহাজ চলাচল করতে পারে কেন?

ক. সমুদ্রের গভীরতার জন্য

খ. ভগ্ন উপকূলের জন্য

গ. উষ্ণ স্রোতের জন্য

ঘ. জাহাজের শক্তির জন্য

উত্তর: গ. উষ্ণ স্রোতের জন্য

৪. ‘Q’ ‘R’ স্রোতদ্বয়ের মিলনের ফলে সৃষ্টি হয়

i. মগ্নচড়া

ii. হিমপ্রাচীর

iii. হিমশৈল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                  খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

 উত্তর: খ. i ও iii

. সমুদ্র পৃথিবীর মোট জলভাগের কী পরিমাণ জল ধারণ করে?

ক. ২.০৫ শতাংশ                    খ. ৬৫.৫২ শতাংশ

গ. ৭৯.২৫ শতাংশ                   ঘ. ৯৭.২৫ শতাংশ

উত্তর: ঘ. ৯৭.২৫ শতাংশ

. ভূগর্ভে পৃথিবীর মোট জলভাগের কত অংশ পানি রয়েছে?

ক. ২.০৫ শতাংশ                    খ. ০.৬৮ শতাংশ

গ. ০.৮৬ শতাংশ                    ঘ. ৫.২০ শতাংশ

উত্তর: গ. ০.৮৬ শতাংশ

. জীবমণ্ডল যে পরিমাণ পানি ধারণ করে তা পৃথিবীর মোট জলভাগের কত অংশ?

ক. ০.০০০০৪ শতাংশ

খ.০.৪০০০০ শতাংশ

গ. ৪.০০০০৪ শতাংশ

ঘ. ০.৪০০০৪ শতাংশ

উত্তর: ক. ০.০০০০৪ শতাংশ

. বারিমণ্ডলের উন্মুক্ত বিশাল বিস্তীর্ণ লবণাক্ত জলরাশিকে কী বলে?

ক. উপসাগর                           খ. নদ

গ. নদী                                     ঘ. মহাসাগর

উত্তর: ঘ. মহাসাগর

. পৃথিবীর বৃহত্তম গভীরতম মহাসাগর কোনটি?

ক. প্রশান্ত মহাসাগর

খ. উত্তর মহাসাগর

গ. ভারত মহাসাগর

ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর

উত্তর: ক. প্রশান্ত মহাসাগর

ICT চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

১০. ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে এন্টার্কটিকার হিমভাগ পর্যন্ত নিচের কোনটি অবস্থান করছে?

ক. উত্তর মহাসাগর

খ. ভারত মহাসাগর

গ. প্রশান্ত মহাসাগর

ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর

উত্তর: ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর

১১। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা কত ?

ক. ৪,২৭০ মিটার                    খ. ৪,২৭০ ফুট

গ ৫,২৭০ মিটার                     ঘ. ৬,২৮০ ফুট

উত্তর: ক. ৪,২৭০ মিটার

১২। আমেরিকা, ইউরোপ আফ্রিকা বেষ্টন করে আছে কোনটিকে?

ক. আটলান্টিক মহাসাগর      খ. মিসিসিপি মিসৌরী

গ. প্রশান্ত মহাসাগর               ঘ. চীন সাগর

উত্তর: ক. আটলান্টিক মহাসাগর

১৩। মহাসাগর অপেক্ষা স্বল্প আয়তনবিশিষ্ট জলরাশিকে কী বলে?

ক. সাগর                                 খ. উপসাগর

গ. নদী                                    ঘ. হ্রদ

উত্তর: ক. সাগর

১৪। বায়ুমণ্ডলে পানির পরিমাণ কত?

ক. ০.০১৩ ঘন কি. মি.           

খ. ০.০০১৭ ঘন মিটার

গ. ৯.৫ কিলোলিটার              

ঘ. ৯.৫ ঘন লিটার

উত্তর: ক. ০.০১৩ ঘন কি. মি.

১৫। মাটির আর্দ্রতা পৃথিবীর প্রায় কত ভাগ পানি ধরে রাখে?

ক. ০.০০৫ শতাংশ

খ. ০.০০১ শতাংশ

গ. ০.৬৮ শতাংশ

ঘ. ০.০৬৫ শতাংশ

উত্তর: ক. ০.০০৫ শতাংশ

১৬। বৈকাল হ্রদ কোথায় অবস্থিত?

ক. যুক্তরাষ্ট্র                             খ. কানাডা

গ. রাশিয়া                                ঘ. আফ্রিকা

উত্তর: গ. রাশিয়া

১৭। পৃথিবীর নদীগুলো কী পরিমাণ পানি ধারণ করে?

ক. ০.০০০৬ শতাংশ              খ. ০.০০১৭ ঘন কি. মি.

গ. ৯.৫ ঘন মিটার                   ঘ. ০.১২৫ শতাংশ

উত্তর: খ. ০.০০১৭ ঘন কি. মি.

১৮। হিমবাহ কী পরিমাণ পানি ধারণ করে?

ক. ২৯ শতাংশ                        খ. ২.০৫ শতাংশ

গ. ০.১২৫ শতাংশ                   ঘ. ০.০০১ ঘনমিটার

উত্তর: খ. ২.০৫ শতাংশ

১৯। কোনটির আয়তন কোটি ৩৬ লাখ?

ক. দক্ষিণ মহাসাগর               খ. উত্তর মহাসাগর

গ. বায়ুমণ্ডল                           ঘ. ভারত মহাসাগর

উত্তর: ঘ. ভারত মহাসাগর

২০। কোনটি আফ্রিকায় অবস্থিত?

ক. বৈকাল হ্রদ                        খ. ভিক্টোরিয়া হ্রদ

গ. সুপিরিয়র হ্রদ                     ঘ. মিসিসিপি মিসৌরী

উত্তর: খ. ভিক্টোরিয়া হ্রদ

২১। কোনটির সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়

ক. আলোক তরঙ্গের              খ. শব্দ তরঙ্গের

গ. ভূমিকম্পের                       ঘ. ফিতার

উত্তর: খ. শব্দ তরঙ্গের

২২। সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম কী?

ক. রিটোমিটার                       

খ. ফ্যাদোমিটার

গ. অস্ট্রোক্যাল মিটার            

ঘ. ল্যাকটোমিটার

উত্তর: খ. ফ্যাদোমিটার

২৩। পানির নিচে শব্দ প্রতি সেকেন্ডে কত দূরত্ব অতিক্রম করে ?

ক. ১৫২১ মিটার                      খ. ১৪৭৫ মিটার

গ. ৩৩২ মিটার                       ঘ. ৭৫১৪ মিটার

উত্তর: খ. ১৪৭৫ মিটার

২৪। সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপ কয় ভাগে বিভক্ত ?

ক. ৫টি                                    খ. ৬টি

গ. ৮টি                                    ঘ. ১২টি

উত্তর: ক. ৫টি

জীববিজ্ঞান চতুর্দশ অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৫। সমুদ্রের উপকূল রেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে কী বলে?

ক. মহীঢাল                             খ. মহীসোপান

গ. গভীর খাত                          ঘ. উপকূলীয় খাত

উত্তর: খ. মহীসোপান

২৬। মহীসোপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে কী বলে?

ক. মহীঢাল                             খ. উপকূলীয় ঢাল

গ. নিমজ্জিত শৈলশিরা          ঘ. গভীর সমুদ্রখাত

উত্তর: খ. উপকূলীয় ঢাল

২৭। মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা কত?

ক. ১০০ মিটার                        খ. ১৫০ মিটার

গ. ৩০০ মিটার                        ঘ. ২৫০ মিটার

উত্তর: খ. ১৫০ মিটার

২৮। মহীসোপান কত ডিগ্রি কোণে নিমজ্জিত থাকে?

ক. ১                                      খ. ০.১

গ. ১.০১                                 ঘ. ১২

উত্তর: ক. ১

২৯। পৃথিবীর গভীরতম খাতের গভীরতা কত?

ক. ১০৮৭০ মিটার                  খ. ১০৮৮০ মিটার

গ. ৮৫৩৮ মিটার                    ঘ. ৮৫৩৮ কি.মি.

উত্তর: ক. ১০৮৭০ মিটার

৩০। বঙ্গোপসাগরে কত প্রজাতির মলাস্কস রয়েছে?

ক. ৪৪২                                  খ. ৩৩৬

গ. ১৯                                      ঘ. ৮০

উত্তর: খ. ৩৩৬

৩১। চিংড়ি সম্পদের কয়টি প্রজাতি বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায়?

ক. ১৯                                     খ. ৩৩৬

গ.৪৪২                                    ঘ. ৫০১

উত্তর: ক. ১৯

৩২। মহীঢালের গভীরতা কত ?

ক. ২০০ থেকে ৩০০০ মিটার

খ. ২০০ থেকে ৪০০ মিটার

গ. ৩০০ থেকে ২০০০ মিটার

ঘ. ১০০০ থেকে ২০০০ মিটার

উত্তর: ক. ২০০ থেকে ৩০০০ মিটার

৩৩। মহীঢালের গড় প্রশস্ততা কত?

ক. ১৬ কি. মি. – ২৪ কি. মি.

খ. ১৬ মিটার – ২৪ মিটার

গ. ১৬ কি. মি. – ৩২ কি. মি.

ঘ. ১৬ মিটার – ৩২ মিটার

উত্তর: গ. ১৬ কি. মি. – ৩২ কি. মি.

৩৪। গভীর সমুদ্রের সমভূমির গভীরতা কত মিটার?

ক. ৪৮০০ মিটার                     খ. ৪৯০০ মিটার

গ. ৫০০০ মিটার                      ঘ. ৫২০০ মিটার

উত্তর: গ. ৫০০০ মিটার

৩৫। ম্যারিয়ানা খাত গুয়াম দ্বীপের দূরত্ব কত?

ক. ৮৫৩৮ মিটার                   খ. ৩২২ কি. মি.

গ. ৩২২ মাইল                        ঘ. ৮৫৩৮ কি. মি.

উত্তর: খ. ৩২২ কি. মি.

৩৬। পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা গভীরতম খাত কোনটি?

ক. পোর্টোরিকো খাত              খ. ম্যারিয়ানা খাত

গ. শুন্ডা খাত                           ঘ. গুয়াম খাত

উত্তর: খ. ম্যারিয়ানা খাত

৩৭। পোর্টোরিকো খাত কোথায় অবস্থিত?

ক. ভারত সাগরে                     খ. আটলান্টিক মহাসাগরে

গ. প্রশান্ত মহাসাগরে              ঘ. জাপান সাগরে

উত্তর: খ. আটলান্টিক মহাসাগরে

৩৮। পোর্টোরিকো খাতের গভীরতা কত মিটার?

ক. ৭,৩৩৫ মিটার                   খ. ৭,৫৫০ মিটার

গ. ৮,৫৩৮ মিটার                   ঘ. ৯,০০০ মিটার

উত্তর: গ. ৮,৫৩৮ মিটার

৩৯। আটলান্টিক মহাসাগর কোন ধরনের উপকূলের অধিকারী?

ক. যুগ্ম উপকূল                      খ. মসৃণ উপকূল

গ. পরিপক্ষ উপকূল               ঘ. ভগ্ন উপকূল

উত্তর: ঘ. ভগ্ন উপকূল

৪০। নদী, হ্রদ, ভূগর্ভস্থ পানি ইত্যাদি কোন ধরনের পানির উৎস?

ক. লবণাক্ত পানির                  খ. লোনা পানির

গ. মিঠা পানির                        ঘ. পরিষ্কার পানির

উত্তর: খ. লোনা পানির

৪১। বায়ুমণ্ডলে পানি কীরূপে রয়েছে?

ক. তরল অবস্থায়                    খ. কঠিনরূপে

গ. বৃষ্টিরূপে                             ঘ. জলীয়বাষ্পরূপে

উত্তর: ঘ. জলীয়বাষ্পরূপে

৪২। কোনটির আয়তন কোটি ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটার?

ক. দক্ষিণ মহাসাগর               খ. উত্তর মহাসাগর

গ. প্রশান্ত মহাসাগর                ঘ. আটলান্টিক মহাসাগর

উত্তর: খ. উত্তর মহাসাগর

৪৩। প্রশান্ত মহাসাগরের আয়তন কত বর্গ কি.মি.?

ক. ৬০ কোটি ১৬ লাখ

খ. ৮ কোটি ২৪ লাখ

গ. ১৬ কোটি ৬০ লাখ

ঘ. ২৪ কোটি ৮ লাখ

উত্তর: গ. ১৬ কোটি ৬০ লাখ

৪৪। নিচের কোনটির গড় গভীরতা ৮২৪ মিটার?

ক. জাপান সাগরের                খ. চীন সাগরের

গ. উত্তর মহাসাগরের             ঘ. দক্ষিণ মহাসাগরের

উত্তর: গ. উত্তর মহাসাগরের

ICT তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৪৫। তাপমাত্রার তারতম্য অনুসারে সমুদ্রস্রোতকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

ক. দুই ভাগে                           খ. তিন ভাগে

গ. চার ভাগে                           ঘ. পাঁচ ভাগে

উত্তর: ক. দুই ভাগে

৪৬। টাইটানিক জাহাজ কত সালে সমুদ্র ডুবে গিয়েছিল?

ক. ১৯১২ সালে                        খ. ১৯২০ সালে

গ. ১৯২১ সালে                        ঘ. ১৯২২ সালে

উত্তর: ক. ১৯১২ সালে

৪৭। সমুদ্রের জলরাশির নিয়মিত ফুলে ওঠাকে কী বলে?

ক. জোয়ার                              খ. ভাটা

গ. স্ফীতকরণ                          ঘ. স্থিতিস্থাপকতা

উত্তর: ক. জোয়ার

৪৮। সমুদ্রের পানির নিয়মিত নেমে যাওয়াকে কী বলে?

ক. জোয়ার                             খ.ভাটা

গ. হ্রাসকরণ                            ঘ. স্থিতিস্থাপকতা

উত্তর: খ.ভাটা

৪৯। কয়টি কারণে জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়?

ক. ২টি                                    খ. ৩টি

গ. ৪টি                                     ঘ. ৫টি

উত্তর: ক. ২টি

৫০। মহাবিশ্বের দুটি বস্তুর পারস্পরিক আকর্ষণকে কী বলে?

ক. আকর্ষণ                             খ. মহাকর্ষ

গ. অভিকর্ষ                             ঘ. কেন্দ্রাতিগ বল

উত্তর: খ. মহাকর্ষ

৫১। মহীঢাল তেমন প্রশস্ত নয় কেন?

ক. অধিক খাড়া বলে            

খ. বিস্তৃতি বেশি হওয়ায়

গ. জলপ্রবাহ কম বলে           

ঘ. ঢেউয়ের পরিমাণ কম

উত্তর: ক. অধিক খাড়া বলে

৫২। মহীঢালের উপরিভাগ সমান নয় কেন?

ক. গিরিখাতের কারণে

খ. ঢেউয়ের কারণে

গ. মহীসোপানের কারণে

ঘ. সমুদ্রের গভীরতার জন্য

উত্তর: ক. গিরিখাতের কারণে

৫৩। পৃথিবীর বিশাল জলরাশি যেভাবে থাকে

i. কঠিন

ii. তরল

iii. বায়বীয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৫৪। শুধু ভূপৃষ্ঠে পানি যেভাবে অবস্থান করে

i. কঠিন

ii. তরল

iii. বায়বীয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৫৫। স্বাদের ভিত্তিতে পৃথিবীতে যে ধরনের পানি পরিলক্ষিত হয় তা হলো

i. লবণাক্ত পানি

ii. মিঠা পানি

iii. অম্লীয় পানি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৫৬। ভারত মহাসাগর যে মহাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত

i. এশিয়া

ii. ইউরোপ

iii. আফ্রিকা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৫৭। সমুদ্রের তলদেশকে অসমান দেখায় যে কারণে

i. শৈলশিরার জন্য

ii. উচ্চভূমির জন্য

iii. গভীর খাতের জন্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৫৮। মহাদেশের মহীসোপান সংকীর্ণ হয় যে কারণে

i. উপকূলে পর্বত থাকায়

ii. উপকূলে সমভূমি থাকায়

iii.উপকূলে মালভূমি থাকায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৫৯। যেভাবে মহীসোপান সৃষ্টি হয়

i. উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ায়

ii. উপকূলের তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটায়

iii.সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৬০। কক্সবাজারের উপকূলে যে ধরনের খনিজ পাওয়া গেছে

i. জিরকন

ii. ইলমেনাইট

iii. রিওটাইল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬১। মহীঢালে যে ধরনের জিনিস পাওয়া যায়

i. তেলের খনি

ii. জীবজন্তুর দেহাবশেষ

iii. পলির অবক্ষেপণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

৬২। গভীর সমুদ্রের সমভূমি প্রকৃতপক্ষে বন্ধুর হয় যে কারণে

i. শৈলশিরা অবস্থান করায়

ii. উচ্চভূমি অবস্থান করায়

iii. আগ্নেয়গিরি অবস্থান করায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬৩। গভীর সমুদ্রের সমভূমিতে যে ধরনের পদার্থ জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে

i. পলিমাটি

ii. সিন্ধুমল

iii. আগ্নেয়গিরির লাভা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬৪। গভীর সমুদ্রের প্লেট সীমানায় আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়

i. ভূমিকম্পের জন্য

ii. আগ্নেয়গিরি জন্য

iii. সমুদ্রস্রোতের প্রভাবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৬৫। সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয় যে কারণে

i. বায়ু ও পানির মধ্যে ঘর্ষণ

ii. পানিতে ঘূর্ণন সৃষ্টি

iii. পানির লবণাক্ততা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬৬৬৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

আজকের অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ বিশাল লবণাক্ত জলরাশি নিয়ে আলোচনা হবে, যে জলের ঘনত্ব খুব বেশি ।

৬৬। অনুষ্ঠানে আসলে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে?

ক. সাগর                                 খ. মহাসাগর

গ. হ্রদ                                      ঘ. জীবমণ্ডলের পানি

উত্তর: খ. মহাসাগর

৬৭। অনুচ্ছেদটি উক্ত জলরাশি নিচের কোনটির অন্তর্ভুক্ত?

ক. ট্রপোমণ্ডল                        খ. মেসোমণ্ডল

গ. বারিমণ্ডল                           ঘ. এক্সোমণ্ডল

উত্তর: গ. বারিমণ্ডল

৬৮। অনুচ্ছেদটি উক্তজলের ঘনত্ব বেশিকথাটি দ্বারা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জলের

ক. লবণাক্ততা বেশি                 খ. লবণাক্ততা কম

গ. পরিমাণ বেশি                     ঘ. পলি বেশি

উত্তর: ক. লবণাক্ততা বেশি

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬৯ ৭০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

শফিক স্যার সমুদ্রের এমন একটি অংশ নিয়ে গবেষণা করছেন, যেখানে মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ, পলি প্রভৃতি দেখা যাচ্ছে।

৬৯। অনুচ্ছেদটি শফিক স্যারের গবেষণা করা সমুদ্র অংশ নিচের কোনটি সমর্থন করে?

ক. মহীসোপান                        খ. মহীঢাল

গ. শৈলশিরা                            ঘ. সমুদ্রখাত

উত্তর: খ. মহীঢাল

৭০। দেহাবশেষ দেখার যথাযথ কারণ হলো অংশটির

ক. ঢাল মৃদু                             খ. ঢাল অতি খাড়া

গ. পানি বেশি পরিষ্কার            ঘ. স্রোত খুব কম

উত্তর: ক. ঢাল মৃদু

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৭১ ৭২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

মহাকাশের প্রতিটি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করছে এবং এ ধরনের আকর্ষণের ফলে জোয়ার-ভাটা হয় ।

৭১। অনুচ্ছেদটি কোন আকর্ষণ বলের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে?

ক. মহাকর্ষ বল                       খ. সরণ

গ. স্থিতিস্থাপক শক্তি                ঘ. ত্বরণ

উত্তর: ক. মহাকর্ষ বল

৭২। অনুচ্ছেদটি অনুসারে পৃথিবীতে জোয়ারভাটা হওয়ার প্রধানতম কারণ হলো

ক. পৃথিবীকে সূর্যের আকর্ষণ

খ. পৃথিবীকে চন্দ্রের আকর্ষণ

গ. সূর্যকে পৃথিবীর আকর্ষণ

ঘ. চন্দ্রকে পৃথিবীর আকর্ষণ

উত্তর: খ. পৃথিবীকে চন্দ্রের আকর্ষণ

৭৩। কোনটি ° কোণে সমুদ্রতলদেশে নিমজ্জিত থাকে?

ক. মহীঢাল                              খ. মহীসোপান

গ. গভীর সমুদ্রখাত                 ঘ. গভীর সমুদ্রের সমভূমি

উত্তর: খ. মহীসোপান

৭৪। উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের কারণে

i. বৃষ্টিপাত হয়

ii. কুয়াশা সৃষ্টি হয়

iii. বন্দর সচল থাকে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৭৫। সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ কী?

ক. উষ্ণতা                                খ. লবণাক্ততা

গ. বায়ুপ্রবাহ                            ঘ. জোয়ার-ভাটা

উত্তর: গ. বায়ুপ্রবাহ

৭৬। সমুদ্রের পানি হ্রাসবৃদ্ধির কারণ

ক. উপগ্রহ ও নক্ষত্রের আকর্ষণ

খ. উপগ্রহ ও ধুমকেতুর আকর্ষণ

গ. গ্রহ ও উপগ্রহের আকর্ষণ

ঘ. গ্রহ ও নক্ষত্রের আকর্ষণ

উত্তর: ক. উপগ্রহ ও নক্ষত্রের আকর্ষণ

৭৭ প্রশান্ত মহাসাগরের গড় গভীরতা কত মিটার?

ক. ৩,৯৩২                              খ. ৩,৯৬২

গ. ৪,২৭০                                ঘ. ৫,০০০

উত্তর: গ. ৪,২৭০

৭৮। কোন জলভাগে হিমশৈলের আঘাতে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে?

ক. উত্তর মহাসাগর                 খ. প্রশান্ত মহাসাগর

গ. ভারত মহাসাগর                 ঘ. আটলান্টিক মহাসাগর

উত্তর: ঘ. আটলান্টিক মহাসাগর

পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৭৯। সমুদ্র স্রোতের প্রধান কারণ কী?

ক. ভূ-খণ্ডের অবস্থান            

খ. আহ্নিক গতি

গ. পানির তাপমাত্রা

ঘ. নিয়ত বায়ুপ্রবাহ

উত্তর: ঘ. নিয়ত বায়ুপ্রবাহ

৮০। কোন জলরাশি চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত?

ক. লোহিত সাগর                    খ. বৈকাল হ্রদ

গ. বঙ্গোপসাগর                      ঘ. ক্যারিবিয়ান সাগর

উত্তর: খ. বৈকাল হ্রদ

৮১। দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমি সৃষ্টির জন্য দায়ী কোন স্রোত

ক. বেরিং স্রোত

খ. শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত

গ. উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত

ঘ. শীতল পেরু স্রোত

উত্তর: ঘ. শীতল পেরু স্রোত

৮২। আটলান্টিক মহাসাগরের বৈশিষ্ট্য

i. বরফে আচ্ছন্ন থাকে

ii. ভগ্ন উপকূলবিশিষ্ট

iii. অনেক আবদ্ধ সাগরের সৃষ্টি করেছে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

৮৩। মেরু অঞ্চলে সমুদ্রস্রোত কখন সৃষ্টি হয়?

ক. বরফ কিছু পরিমাণ গলে গেলে

খ. নিরক্ষীয় বায়ু প্রবাহের ফলে

গ. সমুদ্রজলের লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেলে

ঘ. অয়ন বায়ু প্রবাহের ফলে

উত্তর: ক. বরফ কিছু পরিমাণ গলে গেলে

৮৪। দৈনিক কতবার জোয়ারভাটা সংঘটিত হয়?

ক. ২                                       খ. ৩

গ. ৪                                        ঘ. ৫

উত্তর: ক. ২

৮৫। টাইটানিক জাহাজ হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল। তোমার মতে হিমশৈল কী?

ক. অ্যান্টার্কটিকার জমাট বাঁধা বরফ খণ্ড

খ. গ্রিনল্যান্ডের জমাট বাঁধা বরফ খণ্ড

গ. সমুদ্রস্রোতে ভেসে আসা বরফ খণ্ড

ঘ. হিমালয়ের চূড়ায় জমাট বাঁধা বরফ খণ্ড

উত্তর: গ. সমুদ্রস্রোতে ভেসে আসা বরফ খণ্ড

৮৬। মহীসোপানের বিস্তৃতি নির্ভর করে কোনটির উপর?

ক. ঢাল                                    খ. উপকূলের বন্ধুরতা

গ. পাদদেশ                             ঘ. ভাঁজ

উত্তর: খ. উপকূলের বন্ধুরতা

৮৭। কোন মহাসাগরের চারদিক স্থল দ্বারা বেষ্টিত?

ক. প্রশান্ত মহাসাগর

খ. ভারত মহাসাগর

গ. দক্ষিণ মহাসাগর

ঘ. উত্তর মহাসাগর

উত্তর: ঘ. উত্তর মহাসাগর

৮৮। কোন সমুদ্র খাতটি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত?

ক. ম্যারিয়ানা                           খ. পোর্টোরিকো

গ. গ্র্যান্ড ব্যাঙ্ক                         ঘ. শুণ্ডা

উত্তর: ঘ. শুণ্ডা

৮৯। মহীসোপান বৃষ্টির কারণ

i. আন্তঃসাগরীয় গিরিখাতের অবস্থান

ii. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ায়

iii. স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ায়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                  ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

৯০। কোন মহাসাগরে স্রোত প্রবাহিত হয় না?

ক. ভারত                                 খ. প্ৰশান্ত

গ. উত্তর                                  ঘ. আটলান্টিক

উত্তর: গ. উত্তর

ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৯১। আটলান্টিক মহাসাগরের পোর্টোরিকো খাতের গভীরতা কত মিটার?

ক. ৮৫৩৮ মিটার                   খ. ৮৫৩৭ মিটার

গ. ৮৫৩৬ মিটার                    ঘ. ৮৫৩৫ মিটার

উত্তর: ক. ৮৫৩৮ মিটার

৯২। পৃথিবীর বৃহত্তম মহীসোপান কোথায়?

ক. আমেরিকায়                      খ. অস্ট্রেলিয়ায়

গ. ইউরোপে                           ঘ. আফ্রিকায়

উত্তর: গ. ইউরোপে

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন:

ক. পৃথিবীর গভীরতম খাতের নাম কী?

খ. মহীসোপানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর ।

গ. ‘A’ চিহ্নিত স্থানের পানির প্রবাহ স্থলভাগের উপর কীরূপ প্রভাব ফেলবে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘P’ ও ‘B’ চিহ্নিত স্থানের পানিরাশির আবর্তন না হলে ঐ এলাকার বাণিজ্যের উপর সম্ভাব্য প্রভাব- বিশ্লেষণ কর।

নং প্রশ্নের উত্তর

. পৃথিবীর গভীরতম খাতের নাম ম্যারিয়ানা খাত ।

. মহীসোপান অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব খুবই বেশি। সমুদ্রের এই অংশেই মৎস্যের প্রিয় ও পুষ্টিকর খাদ্য শেওলা ও জলকীট প্রচুর পরিমাণে জন্মে থাকে। মৎস্যখাদ্যের প্রাচুর্যহেতু মহীসোপান অঞ্চলেই মৎস্যের ব্যাপক সমাবেশ ঘটে এবং সেখানে মৎস্য শিকার ও মৎস্য ব্যবসার উন্নতি হয়েছে। মহীসোপান অঞ্চলের ভগ্ন উপকূলরেখা বন্দর ভিত্তিক কাজকর্মেও সর্বদা সাহায্য করে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার হিসেবে মহীসোপানের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

. চিত্রের ‘A’ চিহ্নিত স্থানের পানির প্রবাহ শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতকে নির্দেশ করে। এ স্রোতটি স্থলভাগের উপর যেরূপ প্রভাব ফেলে নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

মেরু অঞ্চলের শীতল ও ভারী জলরাশি জলের নিচের অংশ দিয়ে অন্তঃপ্রবাহরূপে নিরক্ষীয় উষ্ণমণ্ডলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে শীতল স্রোত বলে ।

উত্তর মহাসাগর হতে আগত সুমেরু শীতল স্রোত দুটি গ্রীনল্যান্ডের পূর্ব ও পশ্চিম পাশ দিয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে ল্যাব্রাডর উপদ্বীপের নিকট মিলিত হয়। এ মিলিত স্রোত শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত নামে পরিচিত। শীতল সমুদ্রস্রোতের প্রভাবে কোনো অঞ্চলের শীতলতা বৃদ্ধি পায়। যেমন— শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে কানাডার পূর্ব উপকূলে ল্যাব্রাডর দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী অঞ্চল সারাবছর বরফাচ্ছন্ন থাকে। তাই এ অঞ্চলের শীতলতা বৃদ্ধি পায় ।

আবার শীতল স্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু শুষ্ক ও শীতল হওয়ায় নিকটবর্তী স্থলভাগে বৃষ্টিপাত হয় না বরং ব্যাপক তুষারপাত ঘটে। ফলে এ অঞ্চল কৃষি, শিল্প ও ব্যবসায়-বাণিজ্যে পশ্চাৎপদ। এতে মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে বিঘ্ন ঘটে ।

পরিশেষে বলা যায়, চিত্রের ‘A’ চিহ্নিত স্থানের পানির প্রবাহ অর্থাৎ শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত স্থলভাগের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে ।

. চিত্রের ‘P’ চিহ্নিত স্থান হলো উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত এবং ‘B’ চিহ্নিত স্থান হলো উপসাগরীয় স্রোত। এ স্রোত দুটির পানিরাশির আবর্তন না হলে বাণিজ্যের উপর সম্ভাব্য যে প্রভাব পড়ত নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত : প্রচীনকালে পালতোলা জাহাজগুলো বাণিজ্যপণ্য নিয়ে এ স্রোতের অনুকূলে ইউরোপ হতে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছাত। তাই এ স্রোতের পানিরাশির আবর্তন না হলে ইউরোপ হতে উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে জাহাজ চলাচলের অসুবিধা এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যের অবনতি হত ।

উপসাগরীয় স্রোত : উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের বন্দরগুলো বারো মাস বরফমুক্ত থাকে। এ স্রোতের পানিতে হিমশৈল না থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে বারো মাস জাহাজ চলাচল করে। পৃথিবীর মধ্যে এত বেশি পণ্যবাহী জাহাজ অন্য কোনো সমুদ্রপথে চলাচল করে না। এ স্রোতের অনুকুলে পণ্যবাহী জাহাজগুলো কম সময়ে স্বস্থলে পৌঁছাতে পারে। তাই উপসাগরীয় স্রোতের পানিরাশির আবর্তন না হলে উপসাগরীয় স্রোতের উপকূল অঞ্চল অর্থাৎ উত্তর আমেরিকার বাণিজ্যের উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করত ।

বাংলা প্রথম পত্র নিমগাছ সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

আলোচনা শেষে বলা যায়, চিত্রের ও ‘P’ ও ‘B’ চিহ্নিত স্থান অর্থাৎ উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত ও উপসাগরীয় স্রোতের পানিরাশির আবর্তন না হলে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বাণিজ্যের উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করত।

প্রশ্ন: তুহিন তার বাবার সঙ্গে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যায়। সকালবেলায় দেখতে পায় সমুদ্রের পানি স্ফীত হয়ে উপরে উঠে এসেছে, কিন্তু সন্ধ্যার সময় আবার নেমে গেছে

ক. সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ কী?

খ. জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব ব্যাখ্যা কর ।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পানির এরূপ আচরণের কারণ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তুহিনের দেখা সমুদ্রের পানির ঐরূপ আচরণ উপকূলীয় অঞ্চলে কীরূপ প্রভাব ফেলে বিশ্লেষণ কর।

নং প্রশ্নের উত্তর

. নিয়ত বায়ুপ্রবাহই সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ ।

. পৃথিবী নিজ মেরুরেখার চারদিকে অনবরত আবর্তন করে । পৃথিবীর এ আবর্তনের ফলে কেন্দ্রাতিগ শক্তি বা বিকর্ষণ শক্তির সৃষ্টি হয়। এ কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর প্রতিটি অণুই মহাকর্ষ শক্তির বিপরীত দিকে বিকর্ষিত হয়। তাই পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে যেখানে মহাশক্তির প্রভাবে জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তার বিপরীত দিকে সমুদ্রের জল বিক্ষিপ্ত হয়েও জোয়ারের সৃষ্টি করে।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত পানির আচরণের অন্যতম কারণ হলো জোয়ার-ভাটা । নিচে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো-

সমুদ্র এবং উপকূলবর্তী নদীতে জলরাশি প্রতিদিনই কোনো একটি সময়ে ঐ জলরাশি ধীরে ধীরে ফুলে উঠছে এবং কিছুক্ষণ পরে আবার তা ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। জলরাশির এরকম নিয়মিত স্ফীতি ও ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে ৷ জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো দুটি—

  1. চাঁদ সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব : মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি প্রতিটি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তাই এর প্রভাবে সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। কিন্তু পৃথিবীর উপর সূর্য অপেক্ষা চাঁদের আকর্ষণ বল বেশি হয়। কারণ সূর্যের ভর অপেক্ষা চাঁদের ভর অনেক কম হলেও চাঁদ সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর অনেক নিকটে অবস্থিত। তাই সমুদ্রের জল তরল বলে চাঁদের আকর্ষণেই প্রধানত সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে ও জোয়ার হয় ।
  2. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রাতিগ শক্তি : পৃথিবী নিজ মেরুরেখার চারদিকে অনবরত বিকর্ষণ শক্তির সৃষ্টি হয়। এই কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর প্রতিটি অণুই মহাকর্ষ শক্তির বিপরীত দিকে বিকর্ষিত হয় বা ছিটকে যায়। তাই পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে যেখানে মহাশক্তির প্রভাবে জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তার বিপরীত দিকে সমুদ্রের জল বিক্ষিপ্ত হয়েও জোয়ারের সৃষ্টি করে ।

সুতরাং উদ্দীপকে উল্লিখিত পানির স্ফীত হওয়া ও আবার নেমে যাওয়ার কারণ হলো জোয়ার-ভাটা ।

. উদ্দীপকে তুহিন সমুদ্রের পানির যে আচরণটি দেখে সেটি হলো জোয়ার-ভাটা। উপকূলীয় অঞ্চলে মানবজীবনের উপর জোয়ার- ভাটার যথেষ্ট প্রভাব আছে। নিচে উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার- ভাটার প্রভাব বিশ্লেষণ করা হলো-

  • জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে ভূখণ্ড থেকে আবর্জনাসমূহ নদীর মধ্য দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পতিত হয়।
    • দৈনিক দুবার জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে ভাটার টানে মোহনায় পলি ও আবর্জনা জমতে পারে না ।
    • জোয়ার-ভাটার ফলে সৃষ্ট স্রোতের সাহায্যে নদীখাত গভীর হয়।
    • বহু নদীতে ভাটার স্রোতের বিপরীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ।
    • জোয়ারে পানি নদীর মাধ্যমে সেচে সহায়তা করে এবং অনেক সময় খাল খনন করে জোয়ারের পানি আটকে সেচকার্যে ব্যবহার করা হয় ।
    • শীতপ্রধান দেশে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি জোয়ারের সাহায্যে নদীতে প্রবেশ করে এবং এর ফলে নদীর পানি সহজে জমে না ।
    • জোয়ার-ভাটার ফলে নৌযান চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসায়- বাণিজ্যের সুবিধা হয়।
    • জোয়ারের সময় নদীর মোহনায় ও তার অভ্যন্তরে পানি অধিক হয় বলে বড় বড় সমুদ্রগামী জাহাজের পক্ষে নদীতে প্রবেশে সুবিধা হয়। আবার জোয়ারের টানে ঐ জাহাজ অনায়াসে সমুদ্রে নেমে আসতে পারে।
    • বাংলাদেশের দুটি প্রধান সমুদ্রবন্দর পতেঙ্গা ও মংলা এবং অন্যান্য উপকূলবর্তী নদীবন্দর সচল রাখতে জোয়ার-ভাটার ভূমিকা রয়েছে।
    • অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে অধিক মাত্রায় জোয়ারে সময় নৌকা, লঞ্চ প্রভৃতি ডুবে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় জানমালের ক্ষতি হয়। এই অধিক জোয়ারে নদীর সংকীর্ণ মোহনায় শব্দতরঙ্গ সৃষ্টি হলে একে জোয়ারের বান বলে।

সুতরাং দেখা যায়, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব রাখে।

প্রশ্ন৩: লাবণ্য ভূগোল ক্লাসে একটি ভিডিও চিত্রে দেখছিলসমুদ্রের তলদেশে ভূমিরূপের কিছু কিছু জায়গা বন্ধুর প্রকৃতির। স্যারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমুদ্রতরঙ্গ ক্ষয়ের কারণে এই ধরনের ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ওর বন্ধু শারিকা সেন্টমার্টিন বেড়াতে গিয়ে দেখল দ্বীপের কাছে নৌকাগুলো কাদায় আটকে আছে। বিকালে যখন ফিরছে তখন দেখল নৌকাগুলো একই জায়গায় পানিতে ভাসছে।

ক. হ্রদ কাকে বলে?

খ. সমুদ্রপথে বড় জাহাজ দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা কর ।

বিজ্ঞান নবম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

গ. ভিডিও চিত্রে যে ভূমিরূপ দেখানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. শারিকার দেখা ঘটনা ঘটার কারণ উল্লেখপূর্বক মানবজীবনে এর প্রভাব আলোচনা কর।

নং প্রশ্নের উত্তর

. চারিদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে হ্রদ বলে।

. সমুদ্রপথে বড় বড় জাহাজ দুর্ঘটনার কারণ হলো হিমশৈল। শীতল সমুদ্রস্রোতের সাথে যেসব হিমশৈল ভেসে আসে সেগুলোর কারণে জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় হিমশৈলের সাথে ধাক্কা লেগে জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন- যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ ১৯১২ সালে প্রথম যাত্রাতেই হিমশৈলের সাথে ধাক্কা লেগে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল।

. উদ্দীপকের ভিডিও চিত্রে যে ভূমিরূপ দেখানো হয়েছে তা হলো মহীসোপান । নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরূপে সমুদ্রের উপকূল রেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১° কোণে সমুদ্রতলদেশে নিমজ্জিত থাকে। এর গড় প্রশস্ততা ৭০ কি.মি.।

মহীসোপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে উপকূলীয় ঢাল বলে। মহীসোপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয়; উপকূলের বন্ধুরতার উপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে। মহীসোপান অঞ্চলের দুটি ভাগ রয়েছে; যথা— তটদেশীয় অঞ্চল ও ঝিনুক অঞ্চল। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি তীরের যতটুকু পর্যন্ত উপরে উঠে সেই স্থান থেকে ভাটার সময় সে স্থানে তা নেমে যায় সেই স্থানটুকু হলো তটদেশীয় অঞ্চল। এ অঞ্চল স্থলভাগ থেকে সাগর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

তটদেশীয় অঞ্চলের পর থেকে মহীসোপানের প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে নেটিরীয় অঞ্চল বলে। এ অঞ্চলে সমুদ্রতরঙ্গ সর্বাধিক ক্রিয়াশীল সমুদ্রতরঙ্গের ক্ষয় ও গঠন ক্রিয়া এ অঞ্চলে সুস্পষ্ট। স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ার ফলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ার কারণে মহীসোপানের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত লাবণ্যের বন্ধু শারিকার দেখা ঘটনাটি হলো জোয়ার-ভাটা । নিচে জোয়ার-ভাটার কারণ উল্লেখপূর্বক মানবজীবনে এর প্রভাব আলোচনা করা হলো-

জোয়ার-ভাটার কারণ হলো চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষশক্তির প্রভাব এবং পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রাতিগশি জোয়ার-ভাটার প্রভাব :

  • জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে ভূখণ্ড থেকে আবর্জনাসমূহ নদীর মধ্য দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পতিত হয়।
    • দৈনিক দুবার জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে ভাটার টানে মোহনায় পলি ও আবর্জনা জমতে পারে না ।
    • জোয়ার-ভাটার ফলে সৃষ্ট স্রোতের সাহায্যে নদীখাত গভীর হয়।
    • বহু নদীতে ভাটার স্রোতের বিপরীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ।
    • জোয়ারে পানি নদীর মাধ্যমে সেচে সহায়তা করে এবং অনেক সময় খাল খনন করে জোয়ারের পানি আটকে সেচকার্যে ব্যবহার করা হয় ।
    • শীতপ্রধান দেশে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি জোয়ারের সাহায্যে নদীতে প্রবেশ করে এবং এর ফলে নদীর পানি সহজে জমে না ।
    • জোয়ার-ভাটার ফলে নৌযান চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসায়- বাণিজ্যের সুবিধা হয়।
    • জোয়ারের সময় নদীর মোহনায় ও তার অভ্যন্তরে পানি অধিক হয় বলে বড় বড় সমুদ্রগামী জাহাজের পক্ষে নদীতে প্রবেশে সুবিধা হয়। আবার জোয়ারের টানে ঐ জাহাজ অনায়াসে সমুদ্রে নেমে আসতে পারে।
    • বাংলাদেশের দুটি প্রধান সমুদ্রবন্দর পতেঙ্গা ও মংলা এবং অন্যান্য উপকূলবর্তী নদীবন্দর সচল রাখতে জোয়ার-ভাটার ভূমিকা রয়েছে।
    • অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে অধিক মাত্রায় জোয়ারে সময় নৌকা, লঞ্চ প্রভৃতি ডুবে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় জানমালের ক্ষতি হয়। এই অধিক জোয়ারে নদীর সংকীর্ণ মোহনায় শব্দতরঙ্গ সৃষ্টি হলে একে জোয়ারের বান বলে।

পরিশেষে বলা যায়, মানবজীবনে জোয়ার-ভাটার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

প্রশ্ন৪ : নিচের চিত্রটি লক্ষকর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

ক. মহীঢাল কাকে বলে?

খ. সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণটি ব্যাখ্যা কর ।

গ. উদ্দীপকে ‘O’ চিহ্ন দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে ‘M’ ও ‘N’ চিহ্নিত স্থান দুটির মধ্যে কোনটিতে জীবাশ্মের অবস্থান লক্ষ করা যায়? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।

নং প্রশ্নের উত্তর

ক. মহীসোপানের শেষ সীমা থেকে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবে নেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশের সাথে মিশে যায়। এ ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে ।

বাংলা দ্বিতীয় উপসর্গ-বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

. নিয়ত বায়ুপ্রবাহই হলো সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ। এসব বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের দিক ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে। অয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও বায়ুর প্রবাহ অনুযায়ী প্রধান সমুদ্রস্রোতগুলোর সৃষ্টি হয়।

. উদ্দীপকে ‘O’ চিহ্ন দ্বারা গভীর সমুদ্রের সমভূমি বোঝানো হয়েছে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

মহীঢাল শেষ হওয়ার পর থেকে সমুদ্রতলদেশে যে বিস্তৃত সমভূমি দেখা যায় তাকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে। এর গড় গভীরতা ৫,০০০ মিটার। এ অঞ্চলটি সমভূমি নামে খ্যাত হলেও প্রকৃতপক্ষে তা বন্ধুর। কারণ গভীর সমুদ্রের সমভূমির উপর জলমগ্ন বহু শৈলশিরা ও উচ্চভূমি অবস্থান করে।

আবার কোথাও নানা ধরনের আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এসব উচ্চভূমির কোনো কোনোটি আবার জলরাশির উপর দ্বীপরূপে অবস্থান করে। সমুদ্রের এ গভীর অংশে পলিমাটি, সিন্ধুমল, আগ্নেয়গিরি থেকে উত্থিত লাভা ও সূক্ষ্ম ভস্ম প্রভৃতি সঞ্চিত হয়। এসব সঞ্জিত পদার্থ স্তরে স্তরে জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে ।

. উদ্দীপকের ‘M’ ও ‘N’ চিহ্নিত স্থান দুটি হলো মহীসোপান ও মহীঢাল। এ দুটি ভূমিরূপের মধ্যে ‘N’ চিহ্নিত ভূমিরূপ, অর্থাৎ মহীঢালে জীবাশ্মের অবস্থান লক্ষ করা যায়। নিচে যুক্তিসহ আমার মতামত দেওয়া হলো-

মহীসোপানের শেষ সীমা থেকে হঠাৎ খাড়াভাবে যে ঢাল গভীর সমুদ্রে নেমে যায় তাকে মহীঢাল বলে। এ ঢাল এতো খাড়া হয় যে তা কখনো ২°-৫° কৌণিকভাবে আবার কখনোবা সম্পূর্ণ খাড়া অবস্থায় সমুদ্রতলে নেমে যায়। মহীঢালের গভীরতা ১৮০-৩৬০০ মিটার পর্যন্ত হতে দেখা যায়।

মহীঢাল বেশি খাড়া হওয়ায় খুব একটা প্রশস্ত হতে পারে না। গড়ে ১৬-৩২ কিলোমিটার প্রশস্ত হয়ে থাকে। এতে একটা ব্যতিক্রম ছাড়া স্থলভাগ থেকে নদীবাহিত পদার্থগুলো মহীঢালে সঞ্চিত হতে পারে না। এর ঢাল কিছুটা মৃদু হলে এবং কোনো নদী কোথাও বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে মহীঢাল পর্যন্ত প্রবাহিত হলে সেখানে কিছুটা পলি সঞ্চিত হতে পারে। নতুবা মহীঢালে শুধু জলজন্তুর দেহাবশেষ ও জলজ উদ্ভিদের ধ্বংসাবশেষ বা জীবাশ্ম প্রভৃতি সঞ্জিত হয়।

অপরদিকে পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরূপে সমুদ্রের উপকূল রেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপানের সমদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১° কোণে সমুদ্রতলদেশে নিমজ্জিত থাকে। মহীসোপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয় । উপকূলভাগের বন্ধুরতার উপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে।

স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ার ফলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ার কারণে মহীসোপানের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গ ও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা সোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে ।

তাই বলা যায়, ‘M’ ও ‘N’ চিহ্নিত ভূমিরূপের মধ্যে ‘N’ চিহ্নিত ভূমিরূপটি মৃদুঢাল বিশিষ্ট ও পলি সঞ্জিত হওয়ায় এখানে জীবাশ্মের অবস্থান লক্ষ করা যায়। কিন্তু ‘M’ চিহ্নিত ভূমিরূপে ‘N’ চিহ্নিত ভূমিরূপের মতো এগুলোর কোনোটাই দেখা যায় না । ফলে এখানে জীবাশ্মের অস্তিত্ব নেই।

প্রশ্ন৫:

ক. উষ্ণস্রোত কাকে বলে?

খ. শৈলশিরা সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।

গ. ‘A’ চিহ্নিত ভূমিরূপটি সমুদ্রতলদেশের কোন অঞ্চলকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর ।

ঘ. ‘B’ ও ‘C’ অঞ্চলদ্বয়ের মধ্যে কোন ভূমিরূপটি অধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও ৷

নং প্রশ্নের উত্তর

ক. নিরক্ষীয় অঞ্চলের তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় জলরাশি হালকা হয় ও হালকা জলরাশি সমুদ্রের উপরিভাগ দিয়ে পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে উষ্ণস্রোত বলে।

বাংলা দ্বিতীয় সমাস বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

. শৈলশিরা সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত। সমুদ্রের অভ্যন্তরে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। এসব আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে এসে সমুদ্রগর্ভে সঞ্জিত হয়ে শৈলশিরার ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করেছে।

. ‘A’ চিহ্নিত ভূমিরূপটি সমুদ্রতলদেশের মহীসোপান অঞ্চলকে নির্দেশ করে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরূপে সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১° কোণে সমুদ্রতলদেশে নিমজ্জিত থাকে।

মহীসোপানের গড় প্রশস্ততা ৭০ কিলোমিটার। মহীসোপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে উপকূলীয় ঢাল বলে। মহীসোপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয়। উপকূলভাগের বন্ধুরতার উপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে।

উপকূল যদি বিস্তৃত সমভূমি হয় তবে মহীসোপান অধিক প্রশস্ত হয়। মহাদেশের উপকূলে পর্বত বা মালভূমি থাকলে মহীসোপান সংকীর্ণ হয়। ইউরোপের উত্তরে বিস্তীর্ণ সমভূমি থাকায় উত্তর মহাসাগরের মহীসোপান খুবই প্রশস্ত হয়। তবে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমে পৃথিবীর বৃহত্তম মহীসোপান অবস্থিত।

মহীসোপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্তর অংশ উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে দেখতে পাওয়া যায়। অথচ এর পশ্চিমে উপকূল বরাবর উত্তর-দক্ষিণ ভঙ্গিল রকি পর্বত অবস্থান করায় সেখানে মহীসোপান খুবই সংকীর্ণ। আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ স্থান মালভূমি বলে এর পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মহীসোপান খুবই সরু।

স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ার ফলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ার কারণে মহীসোপানের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে।

. ‘B’ ও ‘C’ দ্বারা গভীর সমুদ্রের সমভূমি ও গভীর সমুদ্রখাতকে বোঝানো হয়েছে। এ দুটি ভূমিরূপের মধ্যে গভীর সমুদ্রের সমভূমি অধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ। নিচে যুক্তিসহ আমার মতামত দেওয়া হলো-

মহীঢাল শেষ হওয়ার পর থেকে সমুদ্রতলদেশে যে বিস্তৃত সমভূমি দেখা যায় তাকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে। এর গড় গভীরতা ৫,০০০ মিটার। এ অঞ্চলটি সমভূমি নামে খ্যাত হলেও প্রকৃতপক্ষে তা বন্ধুর। কারণ গভীর সমুদ্রের সমভূমির উপর জলমগ্ন বহু শৈলশিরা ও উচ্চভূমি অবস্থান করে।

আবার কোথাও রয়েছে নানা ধরনের আগ্নেয়গিরি। এসব উচ্চভূমির কোনো কোনোটি আবার জলরাশির উপর দ্বীপরূপে অবস্থান করে। সমুদ্রের এ গভীর অংশে পলিমাটি, সিন্ধুমল, আগ্নেয়গিরি থেকে উত্থিত লাভা ও সূক্ষ্ম ভস্ম ইত্যাদি সঞ্চিত হয়। এসব সঞ্চিত পদার্থ স্তরে স্তরে জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে।

অপরদিকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি অঞ্চলে মাঝে মাঝে গভীর খাত দেখা যায় । এসব খাতই হলো গভীর সমুদ্রখাত । পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্লেটসীমায় অবস্থিত। এ প্লেটসীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এসব খাত সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট।

বাংলা প্রথম পত্র-শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশান্ত মহাসাগরেই গভীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক। এর অধিকাংশই পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এসব গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে গুয়াম দ্বীপের ৩২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ম্যারিয়ানা খাত সর্বাপেক্ষা গভীর। এর গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার এবং এটিই পৃথিবীর গভীরতম খাত।

পরিশেষে বলা যায়, ‘B’ ভূমিরূপটি ‘C’ ভূমিরূপটির বৈশিষ্ট্য থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং ‘B’ ভূমিরূপটি অধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ।

আরও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply