নবম দশম শ্রেণি বাংলা ১ম নোট
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
মোতাহের হোসেন চৌধুরী [১৯০৩–১৯৫৬]
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
লেখক সম্পর্কিত তথ্য
জন্ম : মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১৯০৩ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে।
বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
মৃত্যু : তিনি ১৯৫৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
শিক্ষা ও পেশা : মোতাহের হোসেন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে বাংলায় এমএ পাস করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন।
সাহিত্যিক পরিচয় : তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘শিখ‘ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার লেখায় মননশীলতা ও চিন্তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ ঘটেছে। তাঁর গদ্যে প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়। মূলত গদ্যকার হলেও তিনি বেশ কিছু কবিতা রচনা করেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা : প্রবন্ধগ্রন্থ: সংস্কৃতি কথা (লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশিত এ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের মননশীল প্রবন্ধ ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন)।
অনুবাদগ্রন্থ: সভ্যতা (ক্লাইভ বেল-এর সিভিলাইজেশন-গ্রন্থের অনুবাদ), সুখ (বাট্রান্ড রাসেল এর কংকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস-গ্রন্থের অনুবাদ)।
প্রবন্ধ সম্পর্কিত তথ্য :
উৎস ও পরিচিতি : ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এটি লেখকের ‘মনুষ্যত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধের অংশবিশেষ।
ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
মূলবক্তব্য: মানুষের দুটি সত্তা- একটি জীবসত্তা, অপরটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই হচ্ছে শিক্ষা। জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনেই অন্ন-বস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি দরকার হয়ে পড়ে আমাদের। কিন্তু অন্ন-বস্ত্রের সমাধান বা অর্থসাধনাকেই জীবনসাধনা মনে করলে শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলাতে পারে না। শিক্ষার মাধ্যমে অন্ন-বস্ত্রের সমাধান সহজ হয়ে ওঠে। কিন্তু এটিই শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞানদান নয়; মূল্যবোধ সৃষ্টি। জ্ঞান মূল্যবোধ সৃষ্টির উপায় মাত্র। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। মানব উন্নয়নের জন্য শুধু ব্যক্তিগত চেষ্টা নয়, বরং সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থাও জরুরি।
রূপশ্রেণি : ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ রচনাটি একটি প্রবন্ধ। এ জাতীয় প্রবন্ধকে মননশীল প্রবন্ধ বলা হয়।
বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
নামকরণ: ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটির নামকরণ করা হয়েছে এর বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে। প্রবন্ধটির মূল বিষয় মনুষ্যত্ব অর্জনে শিক্ষার গুরুত্ব। এ বিবেচনায় প্রবন্ধটির নামকরণ যথার্থ ।
ভাষা ও গদ্যরীতি: প্রবন্ধটি চলিত ভাষা রীতিতে রচিত হয়েছে।
১. জীবসত্তা ও মানবসত্তার স্বরুপ নির্ণয়: জীবসত্তা হলো জৈবিক অস্তিত্ব ও মানবসত্তা হলো মানবিক অস্তিত্ব। জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উপনীত হতে হলে প্রয়োজন মনুষ্যত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ। এরজন্য অন্নবস্ত্রের সমাধান করে অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি দরকার। কেননা ব্যক্তির আত্মিক বিকাশের জন্যই মানবসত্তাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আর প্রাণিত্বের বন্ধন থেকে মুক্ত হলেই মনুষ্যত্ব অর্জন সম্ভব।
২.মনুষ্যত্বের বিকাশে শিক্ষার ভূমিকা বিচার–বিশ্লেষণ: মনুষ্যত্ব হলো মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি বা মানবতা। মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রধান মাধ্যম হলো শিক্ষা। সঠিক-শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তির মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। শিক্ষার যথাযথ বিকাশের জন্য জীবসত্তা তথা অন্নবস্ত্রের সমাধান প্রয়োজন। কেননা প্রাণিত্বের বন্ধন থেকে মুক্তি না ঘটলে শিক্ষার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধিত হয় না। যথার্থ শিক্ষার মাধ্যমে যেমন মনুষ্যত্ব অর্জন সম্ভব তেমনি সমাজের উন্নয়নও সম্ভব। শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞান অর্জন নয়, মূল্যবোধ সৃষ্টি। মূল্যবোধ জাগ্রত হলেই যথার্থ মনুষ্যত্বলোকে পৌছা সম্ভব।
৩. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে প্রকৃত শিক্ষার বৈপরীত্য: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান ও সার্টিফিকেট লাভ করা যায়। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। আর মূল্যবোধ সৃষ্টির অন্যতম উপায় হলো জ্ঞান। এক্ষেত্রে জ্ঞান ও মূল্যবোধ একে অপরের পরিপূরক যা প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।
• জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর •
প্রশ্ন–১. শিক্ষার আসল কাজ কী?
উত্তর: শিক্ষার আসল কাজ মূল্যবোধ সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন–২. শিক্ষার শ্রেষ্ঠ দিক কোনটি?
উত্তর: শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক অর্থাৎ মনুষ্যত্বলাভের দিকটিই তার শ্রেষ্ঠ দিক।
প্রশ্ন–৩. ‘ক্ষুৎপিপাসা” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘ক্ষুৎপিপাসা’ শব্দের অর্থ ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ।
বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৪. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর অনুবাদগ্রন্থ দুটির নাম লেখো।
উত্তরঃ মোতাহের হোসেন চৌধুরীর অনুবাদগ্রন্থ দুটির নাম ‘সভ্যতা এবং সুখ।
প্রশ্ন–৫. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর: ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি `সংস্কৃতি কথা’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।
প্রশ্ন–৬. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১৯০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন–৭. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১৯৫৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন–৮. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোথায়?
উত্তর: মোতাহের হোসেন চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার কানপুর গ্রামে।
প্রশ্ন–৯. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর গদ্যে কোন লেখকের প্রভাব লক্ষণীয়?
উত্তর: মোতাহের হোসেন চৌধুরীর গদ্যে প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়।
বিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–১০. মানুষের জীবনকে কীসের সাথে তুলনা করা যায়?
উত্তর: মানুষের জীবনকে দোতলা ঘরের সাথে তুলনা করা যায়।
প্রশ্ন–১১. চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা ও আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে কি নেই?
উত্তর: চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা ও আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে মুক্তি নেই।
প্রশ্ন–১২. লোভের ফলে মানুষের কীরূপ মৃত্যু ঘটে?
উত্তর: লোভের ফলে মানুষের আত্মিক মৃত্যু ঘটে।
প্রশ্ন–১৩. শিক্ষার মারফতে কী লাভ করা যায়?
উত্তর: শিক্ষার মারফতে মূল্যবোধ তথা মনুষ্যত্ব লাভ করা যায়।
প্রশ্ন–১৪. ‘শিখা‘ পত্রিকা কোথা থেকে প্রকাশিত হতো?
উত্তর: ‘শিখা পত্রিকা ঢাকা থেকে প্রকাশিত হতো।
প্রশ্ন–১৫. মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় কে?
উত্তর: মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় শিক্ষা।
প্রশ্ন–১৬. প্রচুর অন্নবস্ত্র পেলে কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে করে কে?
উত্তর: প্রচুর অন্নবস্ত্র পেলে কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে করে আলোহাওয়ার স্বাদবঞ্চিত মানুষ।
প্রশ্ন–১৭. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়, এই বোধটি মানুষের কীসের পরিচায়ক?
উত্তর: অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়, এই বোধটি মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।
প্রশ্ন–১৮. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, পায়ের কাঁটার দিকে নজর দিতে হলে কী উপভোগ করা যায় না?
উত্তর: মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, পায়ের কাঁটার দিকে নজর দিতে হলে হাঁটার আনন্দ উপভোগ করা যায় না।
বাংলা দ্বিতীয় সমাস বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–১৯. ‘পিঞ্জরবদ্ধ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘পিঞ্জরবদ্ধ’ শব্দের অর্থ— খাঁচায় বন্দি।
প্রশ্ন–২০. মানবসত্তা বলতে লেখক কোনটিকে বুঝিয়েছেন?
উত্তর: মানবসত্তা বলতে লেখক মনুষ্যত্বকে বুঝিয়েছেন।
প্রশ্ন–২১. লেফাফাদুরস্তি কী?
উত্তর: লেফাফাদুরস্তি হলো কোনো মানুষের বহিরাবরণের চাকচিক্য।
• অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর •
প্রশ্ন–১. “লেফাফাদুরস্তি আর শিক্ষা এক নয়”- কেন?
উত্তর: শিক্ষা কেবল বাইরের চাকচিক্যের বিষয় নয় বলেই লেফাফাপুরস্তি আর শিক্ষা এক নয়। শিক্ষা মানুষের অন্তর্লোকের সৌন্দর্যের সন্ধান দেয়, মূল্যবোধ তৈরি করে। ফলে একজন ব্যক্তি সচেতন হয়ে ওঠে। যে ব্যক্তি বাইরের চাকচিক্য এবং ভোগবিলাসের মোহে অন্তর্লোকের উৎকর্ষকে উপেক্ষা করে তাকে যথার্থ শিক্ষিত বলা যায় না। কেননা বাইরে পরিপাটি হলেই মানুষ শিক্ষিত হয় না, বরং যে অন্তরে সমৃদ্ধ সে-ই শিক্ষিত। তাই, লেফাফাদুরস্তি আর শিক্ষা এক বিষয় নয়।
প্রশ্ন–২. অর্থ সাধনাই জীবন সাধনা নয়‘- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: শুধু অর্থচিন্তাই যে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয় সেটা বোঝাতেই লেখক উক্তিটি করেছেন। বর্তমানে সকলে শিক্ষাকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বলেই মনে করে। ফলে এই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু লেখক বিশ্বাস করেন কেবল অর্থ সাধনাই জীবনের একমাত্র সাধনা নয়। মানুষের জীবনে রয়েছে আরও মহত্ত্বর উদ্দেশ্য আর তা হচ্ছে মনের মালিক হয়ে অনুভূতি ও কল্পনার রস আস্বাদনে উদ্বুদ্ধ হওয়া। এ দিকটি উপেক্ষিত হলে জীবনের অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছানো যাবে না।
প্রশ্ন–৩. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে ‘ওপর থেকে টান’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: `শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে ‘ওপর থেকে টান’ বলতে মানব উন্নয়নের ব্যাপারে শিক্ষার ভূমিকাকে বোঝানো হয়েছে। কোনো ভারী জিনিসকে ওপরে তুলতে হলে তাকে নিচের থেকে ঠেলতে হয়, আবার ওপর থেকেও টানতে হয়। অনেকে মিলে খুব জোরে ওপর থেকে টানলে নিচের থেকে ঠেলা ছাড়াও কোনো জিনিস ওপরে ওঠানো যায়। শিক্ষা মানবের উন্নয়নের ওপর থেকে টানার মতো। কারণ সঠিক শিক্ষা লাভ করলে মানুষের ভেতরের শক্তি এতটাই জাগ্রত হয় যে মানুষ সত্যিকারের মনুষ্যত্ব অর্জন করে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্ব দিতে পারে।
প্রশ্ন–৪. শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকই শ্রেষ্ঠ দিক কেন?
উত্তর: শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটি মানুষের মনুষ্যত্বের স্ফুরণ ঘটায় বলে তাকে শ্রেষ্ঠ দিক বলা হয়েছে। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক শিক্ষার দুটি দিকের কথা উল্লেখ করেছেন; যার প্রথমটি মানুষের জৈবিক চাহিদা তথা ক্ষুধা-তৃষ্ণাকে মেটায়। আর দ্বিতীয় দিকটি মানুষের অনুভূতির জগতে প্রবেশ করে তাকে কল্পনার রস আস্বাদনে সাহায্য করে তথা মনুষ্যত্ব বিকাশে সাহায্য করে। যেহেতু মনুষ্যত্বের বিকাশের মাধ্যমেই একজন মানুষ প্রকৃতার্থে মানুষ হতে পারে। তাই শিক্ষার দ্বিতীয় দিক তথা মনুষ্যত্ব বিকাশের দিককে শ্রেষ্ঠ দিক বলা হয়েছে।
পদার্থ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৫. ‘অর্থচিন্তার নিগড়ে সকলে বন্দি’-কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জীবনধারণের জন্য অর্থের অনিবার্যতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার ফলে মানুষ সে গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়েছে বলে প্রাবন্ধিক এ মন্তব্য করেছেন। প্রাবন্ধিকের পর্যবেক্ষণ অনুসারে জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছি তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। ভুল এ শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে আমাদের জীবনের নিচের তলা তথা জীবসত্তা এতটাই | বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে যে আমরা তা থেকে চোখ ফেরাতে পারছি না। ফলে অর্থসাধনা আমাদের জীবনসাধনাতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ কারণে এর গণ্ডিতে আমরা বন্দি হয়ে গেছি।
প্রশ্ন–৬. মুক্তির জন্য কী ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হয়?
উত্তর: মুক্তির জন্য মানুষকে দুটি উপায় অবলম্বন করতে হয়। মানবজীবনের উন্নয়নের জন্যে মুক্তির কোনাে বিকল্প নেই। মুক্তির জন্য যে দুটি উপায় অবলম্বন করতে হয় তার একটি হচ্ছে অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা, আরেকটি শিক্ষাদীক্ষার দ্বারা মানুষকে স্বাদ পাওয়ানাের সাধনা। কেননা শুধু অন্ন-বস্ত্র বা শিক্ষার দ্বারা মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। মুক্তির জন্য এ দুটি উপাদানেরই যুগপৎ উপস্থাপন প্রয়ােজন।
প্রশ্ন–৭. মানুষ কী কারণে অনুভূতির জগতে ফতুর হয়ে পড়ে?
উত্তর: লোভের ফলে মানুষের আত্মিক মৃত্যু ঘটলে মানুষ অনুভূতির জগতে ফতুর হয়ে পড়ে। ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’ এই প্রবাদ বাক্যটিকে যারা শুধু বুলি হিসেবে গ্রহণ করে তারা লােভের ফাঁদে ধরা পড়ে। আর লোভের ফলেই যে মানুষ হন্যে হয়ে পড়ে, তার তৃপ্তি কখনোই মেটে না। ফলে সে হয়ে পড়ে যন্ত্রের মতো। আর তখন তার অনুভূতির জগৎটি হয়ে পড়ে ফতুর । একমাত্র শিক্ষাই মানুষকে লোভ থেকে দূরে থাকতে শেখায়। তাই প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করা।
প্রশ্ন–৮. শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞান পরিবেশন নয়, মূল্যবোধ সৃষ্টি উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জ্ঞান পরিবেশন করা নয়, তাই শিক্ষার উদ্দেশ্য মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। শিক্ষা মানুষকে তার অস্তিত্ব সম্পর্কে সজাগ করে তোলে, জীবনকে করে তুলে সুন্দর ও উপভোগ্য। মানুষকে শেখায় মুক্তির মন্ত্র। তাই শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে মানবিক করে তোলার জ্ঞানদান করা হয়, মানুষের ভিতরে জাগিয়ে তােলা হয় মূল্যবোধ। এই মূল্যবোধ জাগানোর জন্যই শিক্ষা জ্ঞান পরিবেশন করাকে বাহন হিসেবে নিয়েছে। মানুষের মূল্যবোধ সম্পর্কে সজাগ করে তোলাই শিক্ষার আসল কাজ।
রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৯. কীভাবে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে?
উত্তর: শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। শিক্ষা মানুষের মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে, মানসিক মুক্তি ঘটায়।। প্রকৃত মুক্তির ফলেই মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। শিক্ষার ফলে মনুষ্যত্বের স্বাদ পেলে অন্নবস্ত্রের সমাধানও সহজ হয়ে ওঠে। তাই বলা যায়, প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো সম্ভব ।
তথ্যকণিকা
১. মোতাহের হোসেন চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন – ১৯০৩ সালে।
২. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জন্মস্থান – কুমিল্লা জেলা।
৩. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস – নায়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রাম।
৪. মোতাহের হোসেন চৌধুরী – ১৯৪৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন।
৫. কর্মজীবনে মোতাহের হোসেন চৌধুরী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের – অধ্যাপক ছিলেন।
৬. মোতাহের হোসেন চৌধুরী ঢাকা থেকে প্রকাশিত – ‘শিখ‘ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৭. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর গদ্যে – প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়।
ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
৮. মূলত গদ্যকার হলেও তিনি – কবিতাও লিখেছেন।
৯. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ – ‘সংস্কৃতি কথা’।
১০. মোতাহের হোসেন চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন – ১৯৫৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর।
১১. মানুষের জীবনকে তুলনা করা হয়েছে – একটি দোতলা ঘরের সঙ্গে ।
১২. মানুষের দুটি সন্তা – জীবসত্তা ও মানবসত্তা।
১৩. দোতলা ঘরের নিচের তলা — জীবসত্তা ।
১৪. দোতলা ঘরের ওপরের তলা— মানবসত্তা।
১৫. জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই — শিক্ষা ।
১৬. শিক্ষার আসল কাজ হচ্ছে — মনুষ্যত্বলোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।
১৭. অন্ন-বস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তি বড় — এই বোধটিই মনুষ্যত্ব।
১৮. চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই — সেখানে মুক্তি নেই।
১৯. মানুষের মুক্তির জন্য দুটি উপায় — অবলম্বন করতে হবে।
এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
২০. শিক্ষার আসল কাজ — মূল্যবোধ সৃষ্টি।
২১. নিগড় শব্দের অর্থ — শিকল, বেড়ি।
২২. তিমির শব্দের অর্থ — অন্ধকার।
২৩. ক্ষুৎপিপাসা অর্থ হচ্ছে — ক্ষুধা ও তৃষ্ণা।
২৪. ফতুর শব্দের অর্থ — নিঃস্ব, সর্বস্বান্ত।
২৫. বাইরের দিক থেকে ত্রুটিহীনতা কিন্তু ভিতরে প্রতারণা, এমন অবস্থাকে বলা হয় — লেফাফাদুরস্তি।
২৬. হামেশা শব্দের অর্থ — সবসময়।
২৭. উন্মোচন শব্দের অর্থ — উম্মুক্ত করা।
২৮. পিঞ্জরবদ্ধ শব্দের অর্থ — খাঁচায় বন্দি।
২৯. জীবসত্তা শব্দের অর্থ — জীবের অস্তিত্ব।
জীববিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
৩০. মানবসত্তা অর্থ — মানুষের অস্বিত্ব।
৩২. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি সংকলিত হয়েছে — ‘সংস্কৃতি কথা’ গ্রন্থের ‘মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের অংশ থেকে।
৩৩. মানুষের দুটি সত্তা — একটি জীব সত্তা, অপরটি মানবসত্তা।
৩৪. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে রয়েছে — মূল্যবোধ সৃষ্টির কথা।
৩৫. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি — শিক্ষামূলক রচনা।
৩৬. জীবসত্তার প্রয়োজনে মুক্তি ঘটে — অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে।
৩৭. শিক্ষা লাভের মাধ্যমে ঘটে — মনুষ্যত্বের বিকাশ।
৩৮. শিক্ষার ফলে পাওয়া যায় — মনুষ্যত্বের স্বাদ।
জীববিজ্ঞান নবম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৯. মনুষ্যত্বের স্বাদ পেলে — অন্নবস্ত্র সমস্যার সমাধান সহজ হয়।
৪০. শিক্ষার আসল কাজ — জ্ঞান দান নয়; মূল্যবোধ সৃষ্টি।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. মানুষের অন্ন–বস্ত্রের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে কোন দিকে লক্ষ রেখে?
ক অর্থনৈতিক মুক্তির খ. আত্মিক মুক্তির
গ. চিন্তার স্বাধীনতা ঘ. বুদ্ধির স্বাধীনতা
উত্তর: খ. আত্মিক মুক্তির
২. আত্মিক মৃত্যু বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
i. স্বাভাবিক মৃত্যু
ii. নৈতিক অধঃপতন
iii. মূল্যবোধের অবক্ষয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও:
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রহিম মিয়া তার স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে ব্যবসায়ের কাজে নিয়োজিত করেন। তিনি মনে করেন টাকাই জীবনের মূল । দুনিয়াতে যার যত টাকা সে তত বেশি সুখী।
৩. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধের আলোকে উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার মাঝে প্রাধান্য পেয়েছে—
i. ক্ষুৎপিপাসা
ii. আত্মার অমৃত
iii. অর্থলিপ্সা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. i ও iii
জীববিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
৪. শুকুর মিয়ার মানসিকতা পরিবর্তন হতে পারে যদি তিনি–
ক. অর্থলিপ্সাকে জীবন-সাধনা মনে না করেন
খ. শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিককে গুরুত্ব দেন
গ. অর্থচিন্তার নিগড়ে সর্বদা বন্দি থাকেন
ঘ. অন্ন-বস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তিকে বড় করে না দেখেন
উত্তর: ক. অর্থলিপ্সাকে জীবন-সাধনা মনে না করেন
৫. অনুভূতির জগতে মানুষ ফতুর হয়ে পড়ে কেন?
ক. অর্থ সাধনায় সে নিমগ্ন থাকে বলে।
খ. লোভের ফলে তার আত্মিক মৃত্যু ঘটে বলে
গ. জীবনটা আলো-আঁধারের মধ্যে আবদ্ধ বলে
ঘ. শিক্ষা তার বাইরের ব্যাপার অন্তরের ব্যাপার হয়ে ওঠেনি বলে
উত্তর: খ. লোভের ফলে তার আত্মিক মৃত্যু ঘটে বলে
৬. শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিককে শ্রেষ্ঠ দিক বলা হয়েছে কেন?
ক. শিক্ষার্জনের মাধ্যমে জীব সত্তাকে টিকিয়ে রাখা যায়
খ. শিক্ষালাভের মাধ্যমে মনুষ্যত্ব জাগ্রত করা যায়।
গ. জৈবিক চাহিদা পূরণে মুখ্য ভূমিকা রাখে
ঘ. যে জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে অনন্য অবদান রাখে
উত্তর: ঘ. যে জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে অনন্য অবদান রাখে
৭. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে মূল্যবোধ সৃষ্টির উপায় কোনটি?
ক. শিক্ষা খ. জ্ঞান
গ. যুক্তি ঘ. চিন্তা
উত্তর: ক. শিক্ষা
৮. মনুষ্যত্বের আহবান মানুষের মর্মে পৌছতে দেরী হয় কেন?
ক. প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি না পাওয়ায়
খ. অন্নবস্ত্রের সুব্যবস্থা প্রয়োজনীয় নয় বলে
গ. অন্তরের ব্যাপারটি বড় হয়ে উঠেনি বলে
ঘ. ছোট জিনিসের মোহে বড় জিনিস হারাতে হয় বলে
উত্তর: ক. প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি না পাওয়ায়
৯. শিক্ষার কোন দিকটি জীবনকে উপভোগ করতে শেখায়?
ক ভুল দিক খ. দরকারি
গ. জ্ঞানমূলক ঘ. অপ্রয়োজনীয়
উত্তর: ঘ. অপ্রয়োজনীয়
১০. ‘শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞান পরিবেশন নয়, মূল্যবােধ সৃষ্টি’ কে বলেছেন?
ক. প্রমথ চৌধুরী খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. মোতাহের হোসেন চৌধুরী ঘ. হায়াৎ মামুদ
উত্তর: গ. মোতাহের হোসেন চৌধুরী
১১. মানুষ উড়বার আশায় কীসের মতো পাখা ঝাপটাবে?
ক. খাচায় বন্দি পাখির খ. মুমূর্ষ পাখির
গ. ঝড়াহত পাখির ঘ. শরবিদ্ধ পাখির
উত্তর: ক. খাচায় বন্দি পাখির
১২. পায়ের কাঁটার দিকে বার বার নজর দিতে হলে হাঁটার আনন্দ উপভোগ করা যায় না‘— এখানে পায়ের কাটার বিশেষত্ব কী?
ক. শিক্ষা লাভের সাধনা খ. মনুষ্যত্বের সাধনা।
গ. প্রভূত সম্পদের সাধনা ঘ. অন্নবস্ত্রের চিন্তা
উত্তর: ঘ. অন্নবস্ত্রের চিন্তা
১৩. হাঁটার আনন্দকে লেখক কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
ক. বাস্বাধীনতার খ. মুক্তির
গ. মনুষ্যত্বের ঘ. শিক্ষার
উত্তর: খ. মুক্তির
১৪. অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি কারা?
ক. ধনী ও দরিদ্র খ. কুলি ও মজুর
গ. শিক্ষক ও ছাত্র ঘ. চাষি ও ব্যবসায়ী
উত্তর: ক. ধনী ও দরিদ্র
১৫. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে লেখকের মতে কারাগার কাদের কাছে স্বর্গতুল্য?
ক. মুক্তির স্বাদবঞ্চিতদের খ. অন্নবস্ত্রের সন্ধানকারীদের
গ. ক্ষুৎপিপাসায় কাতরদের ঘ. লেফাফাদুরন্তিদের।
উত্তর: ক. মুক্তির স্বাদবঞ্চিতদের
ICT তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
১৬. শিক্ষার মাধ্যমে কীসের বিকাশ ঘটে?
ক বুদ্ধির খ. জ্ঞানের
গ. অন্নচিন্তার ঘ. মনুষ্যত্বের
উত্তর: ঘ. মনুষ্যত্বের
১৭. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, আমরা কোনটিকে টিকিয়ে রাখতে অধিক মনোযোগী?
ক. আত্মমর্যাদা খ. জীবসত্তা
গ. মানবসত্তা ঘ. লেফাফাদুরস্তি
উত্তর: খ. জীবসত্তা
১৮. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে নিচে থেকে ঠেলা’ বলতে বোঝায়।
ক. লোভের ফাঁদে পা না দেওয়া
খ. সুশিক্ষার ব্যবস্থা করা
গ. সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করা
ঘ. মনুষ্যত্ব অর্জনের পথ প্রশস্ত করা
উত্তর: গ. সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করা
বাংলা প্রথম পত্র আম-আঁটির ভেঁপু- সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
১৯. ‘বিত্ত হতে চিত্ত বড ‘– এ বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কোন উক্তির?
ক. ধনের সৃষ্টি জ্ঞানসাপেক্ষ
খ. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়
গ. অর্থ সাধনাই জীবন সাধনা নয়
ঘ. মনের দাবি রক্ষা না করলে আত্মা বাঁচে না
উত্তর: খ. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়
২০. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে নিচ থেকে ঠেলা বলতে বোঝায়—
i. সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
ii. শিক্ষা-দীক্ষার মারফতে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়া
iii. মুল্যবোধ সৃষ্টি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii
গ. i ও ii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i
২১. বন বিভাগের জনৈক কর্মকর্তা রাতের আঁধারে বনের গাছ কেটে বিক্রি করে প্রচুর অর্থের মালিক হন। শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ রচনার আলোকে বলা যায় উদ্দীপকের কর্মকর্তা–
i. অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দী
ii. শিক্ষা সুফল হতে বঞ্চিত
iii. মনুষ্যত্বের স্বাদ লাভে ব্যর্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
হরিপদ সওদাগর অফিসের কনিষ্ঠ কেরানি। সামান্য বেতনে তার সংসার চলে না। অফিসে উপরি উপার্জনের সুযোগ থাকলেও সে তা করে না। বরং অফিস শেষে দুটো টিউশনি করে বাড়তি উপার্জন করে কোনরকমে চলে।
২২. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধের আলোকে হরিপদ’ হচ্ছেন—
ক. জীবনে সোনাফলা মানুষ খ. আলো হাওয়ার স্বাদবঞ্চিত মানুষ।
গ. ক্ষুৎপিপাসার কাতর মানুষ ঘ. অর্থচিন্তা নিগড়ে বন্দি মানুষ
উত্তর: ক. জীবনে সোনাফলা মানুষ
২৩. হরিপদের সংসার নির্বাহের চিন্তাকে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে বলা হয়েছে কি –
i. পথের কাঁটা
ii. উপরে থেকে টানা
iii. বিশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
উদ্দীপকটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেথায় অসম্ভব।
২৪. উদ্দীপকটি কোন রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক. বই পড়া খ. নিরীহ বাঙালি
গ. উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন ঘ. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
উত্তর: ঘ. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
২৫. উক্ত সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ হচ্ছে–
ক সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত
খ. কৃষি বিভাগে কার্য করা অপেক্ষা মস্তিষ্ক উর্বর সহজ
গ. তাই এ দেশে জনশক্তি বা গণতন্ত্র গঠিত হইতে পারিতেছে না
ঘ. চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মা প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে মুক্তি নেই।
উত্তর: ঘ. চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মা প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে মুক্তি নেই।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
আজিম সাহেব সরকারি চাকরি করেন। বেতনের টাকায় সংসার চলে না। তাই অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত টাকা আয় করেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার অন্যবকম স্বপ্ন ছিল।
২৬. “শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধের কোন দিকটির প্রভাবে উদ্দীপকের আজিম সাহেব অনৈতিক কাজ করেছেন?
ক মনুষ্যত্ববোধ খ. মানবিকতা
গ. ক্ষুৎপিপাসা ঘ. মূল্যবোধ
উত্তর: গ. ক্ষুৎপিপাসা
২৭. উদ্দীপকে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধের কোন দিকটি অনুপস্থিত?
i. মুক্তির স্বাদ
ii. মূল্যবোধ
iii. অর্থচিন্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii
গ. i ও ii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. ii
বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
২৮. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ১৯৫৫ সালে খ. ১৯৫৬ সালে
গ. ১৯৫৭ সালে ঘ. ১৯৫৮ সালে
উত্তর: খ. ১৯৫৬ সালে
২৯. মমাতাহের হোসেন চৌধুরী কোন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
ক. লাঙল খ. শিখা
গ. দিকদর্শন ঘ. সওগাত
উত্তর: খ. শিখা
৩০. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর গদ্যে কার প্রভাব লক্ষণীয়?
ক. হুমায়ুন আজাদ খ. হায়াৎ মামুদ
গ. কাজী নজরুল ইসলাম ঘ. প্রমথ চৌধুরী
উত্তর: ঘ. প্রমথ চৌধুরী
৩১. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষ বলতে বোঝানো হয়েছে সেই মানুষদের যারা–
ক. অন্নবস্ত্রের সংস্থান সম্পন্ন কিন্তু চেতনায় মুক্তিহীন।
খ. চেতনায় মুক্ত এবং অন্নবস্ত্রের সংস্থান সম্পন্ন
গ. চেতনায় মুক্তি সম্পন্ন এবং অন্নবস্ত্রহীন
ঘ. অন্নবস্ত্রহীন এবং চেতনার মুক্তিহীন
উত্তর: ক. অন্নবস্ত্রের সংস্থান সম্পন্ন কিন্তু চেতনায় মুক্তিহীন।
৩২. জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই হচ্ছে—
ক জ্ঞানার্জন খ. বই পড়া
গ. সাহিত্যচর্চা ঘ. শিক্ষা
উত্তর: ঘ. শিক্ষা
৩৩. ‘লেফাফাপুরস্তি আর শিক্ষা এক কথা নয়’ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধে লেখক উক্ত উক্তিতে কী বুঝিয়েছেন?
ক. শিক্ষা মানুষের অন্তরের ব্যাপার
খ. অন্নবস্ত্র সংস্থানের জন্যই শিক্ষা
গ. অর্থচিন্তা হলো জীবসত্তার প্রবৃত্তি
ঘ. সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা।
উত্তর: ক. শিক্ষা মানুষের অন্তরের ব্যাপার
৩৪. শিক্ষার কয়টি দিক আছে?
ক. দুটি খ. তিনটি
গ. চারটি ঘ. পাঁচটি
উত্তর: ক. দুটি
৩৫. কোনদিকে দৃষ্টি রেখেই অন্নবস্ত্রের সমাধান করা ভালো?
ক. মূল্যবোধ খ. একটা বড় লক্ষ্য
গ. আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা ঘ. মুক্তির
উত্তর: ঘ. মুক্তির
৩৬. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন?
ক. আধুনিক খ. ভ্রান্ত
গ. উল্টো ঘ. সনাতন
উত্তর: খ. ভ্রান্ত
৩৭. ‘অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তি বড়‘— এটি মানুষের কীসের পরিচায়ক?
ক. মনুষ্যত্বের খ. মুক্তির
গ. শিক্ষার ঘ. সাফল্যের
উত্তর: ক. মনুষ্যত্বের
৩৮. শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
ক. ক্ষুৎপিপাসার চেতনা খ. কর্তৃত্ব লাভের স্পৃহা
গ. মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘ. আর্থিক প্রতিষ্ঠার আগ্রহ
উত্তর: গ. মনুষ্যত্বের জাগরণ
৩৯. ‘কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মূল্য কতটুকু?’- এই মানুষ কারা?
ক. যারা অর্থ সাধনায় ব্যস্ত খ. যারা শিক্ষার কাজে ব্যস্ত
গ. যারা জীবন সাধনায় ব্যস্ত ঘ. যারা সমাজ-সংসারে ব্যস্ত
উত্তর: ক. যারা অর্থ সাধনায় ব্যস্ত
৪০. লেখক মুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নিচের কোনটি?
ক. অর্থচিন্তার স্বাধীনতা খ. আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা
গ. ক্ষুৎপিপাসার স্বাধীনতা ঘ. চলাফেরার স্বাধীনতা
উত্তর: খ. আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা
৪১. ‘অর্থ সাধনাই জীবন সাধনা নয়‘- উক্তিটি কে করেছেন?
ক. মোতাহার হোসেন খ. কাজী নজরুল ইসলাম
গ. প্রমথ চৌধুরী ঘ. মোতাহের হোসেন চৌধুরী
উত্তর: ঘ. মোতাহের হোসেন চৌধুরী
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪২ও ৪৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
সবুর লেখাপড়া শিখেও সারাক্ষণ টাকার পেছনে ছুটছে। ভালো-মন্দ বিচার করে শুধু টাকা উপার্জন করা তার অন্যতম কাজ।
৪২. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধ অনুসারে সবুরের চরিত্রে কীসের অভাব রয়েছে?
গ. মূল্যবোধের ঘ. সচেতনতার
উত্তর: গ. মূল্যবোধের
জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
৪৩. প্রবন্ধ অনুসারে সবুরের এ মানসিকতার অন্যতম কারণ কোনটি?
ক. শিক্ষার অভাব খ. মনুষ্যত্বের অভাব
গ. অন্নবস্ত্রের অব্যবস্থা ঘ. সঠিক শিক্ষার অভাব
উত্তর: ঘ. সঠিক শিক্ষার অভাব
উদ্দীপকটি পড়ে ৪৪ ও ৪৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে সে’– প্রবাদটির প্রতিফলন চাকরি জীবনে দেখতে পেয়ে রবিন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। এখন সে জেলের বাসিন্দা।
৪৪. উদ্দীপকটিতে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধের কী না থাকার কথা বলা হয়েছে?
ক. ইচ্ছা খ. রুচি
গ. চেতনা ঘ. মূল্যবোধ
উত্তর: ঘ. মূল্যবোধ
৪৫. উক্ত বিষয়টি ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব‘ প্রবন্ধের কোন প্ঙক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে?
i. ওপরে ওঠার মই হলো শিক্ষা
ii. অর্থচিন্তার নিগড়ে সবাই বন্দি
iii. লোভে পাপ পাপে মৃত্যু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১ : সুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে সুমন বড় ব্যবসায়ী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা–কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই তাকে এক নামে চেনে। আর শ্যামল শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়।
ক. মানব জীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন?
খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’-‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী দুটি উপায়ের কথা বলেছেন।
খ. মানুষকে তার ক্ষুৎপিপাসা থেকে মুক্ত করতে না পারলে আত্মার অমৃত উপলদ্ধি করা যায় না।
মানুষের দুটি সত্তা— জীবসত্তা ও মানবসত্তা। জীবসত্তার দাবি অন্ন-বস্ত্রের সমাধান। এই অন্ন-বস্ত্রের সমাধান জরুরি মানবসত্তার বিকাশের জন্য। কারণ মানুষের ক্ষুৎপিপাসার সমাধান করা না গেলে মানবসত্তার দাবি বড় হয়ে ওঠে না। তাই ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না পারলে আতার অমত উপলদ্ধি করা যায় না।
জীববিজ্ঞান দশম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে `শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের জীবসত্তার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মানুষের জীবনে জীবসত্তা ও মানবসত্তার উপস্থিতি ও বাস্তবতা বর্ণনা করেছেন। শিক্ষার প্রধান কাজ মানুষকে জীবসত্তা থেকে মানবসত্তার ঘরে উন্নীত করা। তাকে ক্ষুৎপিপাসা থেকে মুক্ত করে মনুষ্যত্বের সাধনায় উন্নীত করা। উদ্দীপকের সুমন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও জীবসত্তার দাবি হিসেবে অর্থকেই বড় করে দেখেছেন। বড় ব্যবসায়ী হয়েও সিডরে লণ্ডভণ্ড গ্রামবাসীকে সাহায্য না করে বরং অল্প মূল্যে দরিদ্র মানুষের জমি কিনে নিয়েছেন। প্রাবন্ধিক মানুষের এ ধরনের প্রবৃত্তিকে জীবসত্তার দিক হিসেবেই বিবেচনা করেছেন।
সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের সুমনের মাঝে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোচ্য জীবসত্তার দিকটিই প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. নিজের শিক্ষাকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার না করে মনুষ্যত্বের দাবি পূরণ করায় শ্যামলের কাজে উপস্থিত হয়েছে শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটি।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষার দুটি দিকের কথা বলা হয়েছে। এর একটি হলো প্রয়োজনের দিক আর একটি হলো অপ্রয়োজনের দিক। প্রাবন্ধিকের মতে শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটিই বড়। এতে মানুষ জীবনকে উপভোগ করে এবং মনুষ্যত্বের দাবি পূরণ করে। সমাজকে শিক্ষিত করে তোলা এবং সিডর-কবলিত মানুষদের সেবার মাধ্যমে শ্যামল শিক্ষার সেই অপ্রয়ােজনের দিকটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
শ্যামল উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও শিক্ষকতার মতো সেবামূলক পেশাকে বেছে নিয়েছে। তাছাড়া গ্রামবাসী যখন সিডর কবলিত হয়েছে তখন তিনি তাদের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। তিনি চাইলে শিক্ষাকে তার ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়ােজিত করেছেন। `শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধেও এমন কাজের কথা বলা হয়েছে। মনুষ্যত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে এসব কাজকেই লেখক অপ্রয়োজনীয় কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তাই বলা যায় শ্যামলের কাজে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত।
প্রশ্ন–২ : জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার। অভাব ও দারিদ্র্য বিমোচন করতে গিয়ে তিনি সবসময় অর্থের পেছনে ছুটতেন। এক সময় গাড়িবাড়ি, ধন–সম্পদ সবকিছুর মালিক হন। তবুও তার চাওয়া–পাওয়ার শেষ নেই। অর্থ উপার্জনই তার একমাত্র নেশা। অন্যদিকে তার বন্ধু সগীর সাহেব তার ধন–সম্পদ থেকে বিভিন্ন সামাজিক জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য বেশি সম্পদের প্রয়োজন নেই।
ক. শিক্ষার আসল কাজ কী?
খ. “লেফাফাদুরস্তি আর শিক্ষা এক নয়”- কেন?
গ. উদ্দীপকের সগীর সাহেবের মাঝে `শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. `উদ্দীপকের জাহেদ সাহেবের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’– `শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. শিক্ষার আসল কাজ মূল্যবোধ সৃষ্টি করা।
খ. শিক্ষা কেবল বাইরের চাকচিক্যের বিষয় নয় বলেই লেফাফাদুরস্তি আর শিক্ষা এক নয়।
শিক্ষা মানুষের অন্তর্লোকের সৌন্দর্যের সন্ধান দেয়, মূল্যবোধ তৈরি করে। ফলে একজন ব্যক্তি সচেতন হয়ে ওঠে। যে ব্যক্তি বাইরের চাকচিক্য এবং ভোগবিলাসের মোহে অন্তর্লোকের উৎকর্ষকে উপেক্ষা করে তাকে যথার্থ শিক্ষিত বলা যায় না। কেননা বাইরে পরিপাটি হলেই মানুষ শিক্ষিত হয় না, বরং যে অন্তরে সমৃদ্ধ সে-ই শিক্ষিত। তাই, লেফাফাদুরস্তি আর শিক্ষা এক বিষয় নয়।
গ. উদ্দীপকের সগীর সাহেবের মাঝে `শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে উল্লেখিত শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক তথা মনুষ্যত্বের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।
রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন
মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষার দুটি দিকের কথা বলা হয়েছে; যার মধ্যে অপ্রয়োজনের দিকটিকেই শ্রেষ্ঠ দিক বলা হয়েছে। কারণ, শিক্ষার এ দিকটিই মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের পথে পরিচালিত করে। মনুষ্যত্বই মানুষের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। মনুষ্যত্বহীন জীবন পশুত্বের নামান্তর।
উদ্দীপকের সগীর সাহেব একজন আদর্শ মানুষ। তিনি নিজ স্বার্থের কথা চিন্তা না করে তার অর্জিত ধন-সম্পদ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন। তাঁর উপলব্বি সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য বেশি অর্থ-সম্পদের প্রয়োজন নেই। আলোচ্য ‘‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখক মনে করেন, শিক্ষা মানুষের ক্ষুধা ও পিপাসাকে নিবৃত্ত করলেও এর আরও একটা উদ্দেশ্য রয়েছে যার মাধ্যমে মনুষ্যত্ব অর্জন করা সম্ভব। আলোচ্য প্রবন্ধে একে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক বলা হয়েছে। কিন্তু এটিই শিক্ষার শ্রেষ্ঠ দিক। প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের পথে ধাবিত করে যেমনটি সগীর সাহেবের কর্মকাণ্ডে লক্ষিত হয়। সে বিবেচনায় উদ্দীপকের সগীর সাহেবের মাঝে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের জাহেদ সাহেবের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ ।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিকের মতে জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাচ্ছি তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। ভুল শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে আমাদের জীবনের নিচের তলা তথা জীবসত্তার ঘরটি এতটাই বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে যে আমরা তা থেকে চোখ ফেরাতে পারছি না। ফলে অর্থসাধনা আমাদের জীবন সাধনাতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ কারণে জীবসত্তার গণ্ডিতেই আমরা বন্দি হয়ে আছি।
উদ্দীপকের ডাক্তার জাহেদ সাহেব একজন অর্থলোভী মানুষ। অভাবের তাড়নায় অর্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে একসময় অর্থ উপার্জনই তার নেশায় পরিণত হয়েছে। তাই গাড়ি, বাড়ি এবং প্রভূত ধন-সম্পদের মালিক হয়েও তার চাওয়া-পাওয়ার যেন অন্ত নেই। শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক। এমন অর্থলোলুপ মানসিকতার দিকটি তুলে ধরে এর থেকে উত্তরণের উপায় বর্ণনা করেছেন।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী শিক্ষার দুটো উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন। যার প্রথমটি হলো জীবসত্তার প্রয়োজন মেটানো আর দ্বিতীয়টি তথা প্রধান উদ্দেশ্য মনুষ্যত্নের জাগরণ ঘটানো। প্রাবন্ধিক মনে করেন, জীব হিসেবে মানুষের প্রথম চিন্তা জীবসত্তার অস্তিত্ব রক্ষা। তাই । এটি শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক। কিন্তু তার প্রকৃত লক্ষ্য হচ্ছে নিজেকে মানবসত্তার স্তরে উন্নীত করা। অন্যথায় শিক্ষা শুধু অন্নবস্ত্র সংস্থানের হাতিয়ারে পরিণত হবে। এতে করে মানুষ লোভ-লালসায় মত্ত হয়ে উদ্দীপকের জাহেদ সাহেবের মতো জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য ও উদ্দেশ্য অনুধাবনে ব্যর্থ হবে। উদ্দীপকের জাহেদ সাহেব শিক্ষার প্রয়ােজনীয় দিকটিকে গুরুত্ব। দিয়েছেন বলেই তিনি অর্থচিন্তার নিগড় থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। সে বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।
প্রশ্ন–৩ : ১ জুলাই, ২০১৬ ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজেন বেকারী এন্ড রেস্টুরেন্টে একদল শিক্ষিত বিপথগামী যুবক নৃশংস হামলা চালিয়ে দেশি বিদেশিসহ ২২ জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এটি এদেশের ইতিহাসের একটি জঘন্যতম হত্যার ঘটনা।
ক. শিক্ষার শ্রেষ্ঠ দিক কোনটি?
খ. ‘অর্থ সাধনাই জীবন সাধনা নয়’– ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘উদ্দীপকে উল্লিখিত যুবকদের মধ্যে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বর্ণিত শিক্ষার কোন দিকটি অনুপস্থিত? বর্ণনা করো।
ঘ. `উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনা `শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশার বিপরীত।’- মূল্যায়ন করো।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. শিক্ষার অপ্রয়ােজনীয় দিক অর্থাৎ মনুষ্যত্বলাভের দিকটিই তার শ্রেষ্ঠ দিক।
খ. শুধু অর্থচিন্তাই যে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয় সেটা বোঝাতেই লেখক উক্তিটি করেছেন।
পদার্থ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
বর্তমানে সকলে শিক্ষাকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বলেই মনে করে। ফলে এই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জনে ব্যর্থ । হচ্ছে। কিন্তু লেখক বিশ্বাস করেন— কেবল অর্থ সাধনাই জীবনের একমাত্র সাধনা নয়। মানুষের জীবনে রয়েছে আরও মহত্ত্বর উদ্দেশ্য আর তা হচ্ছে। মনের মালিক হয়ে অনুভূতি ও কল্পনার রস আস্বাদনে উদ্বুদ্ধ হওয়া। এ দিকটি উপেক্ষিত হলে জীবনের অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছানো যাবে না।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যুবকদের মধ্যে শিক্ষার অপ্রয়ােজনীয় দিক তথা মনুষ্যত্ব লাভের দিকটি অনুপস্থিত।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক শিক্ষার দুটি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করেছেন। একটি মানুষের জীবসত্তার প্রয়োজন মেটানো এবং অন্যটি মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটানো। আর এই দ্বিতীয় কাজটি করাই তার আসল উদ্দেশ্য। কেননা শিক্ষা জীবসত্তার অন্যতম কাজ ক্ষুৎপিপাসার ব্যাপারটিকে মানবিক করে তোলে। কিন্তু মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হলে প্রয়োজন সুশিক্ষা । এর ফলে মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের সৃষ্টি হয়। একজন মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ সুন্দর কল্পনাময় জীবন উপভোগ করতে পারে। সে ভালো-খারাপের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। কিন্তু উদ্দীপকের যুবকদের মধ্যে এ দিকটির অনুপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকে একদল শিক্ষিত যুবকের কথা বলা হয়েছে যারা নৃশংস হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি ২২ জন মানুষকে হত্যা করেছে। এরকম জঘন্যতম কাজের মাধ্যমে এ বিষয়টিই স্পষ্ট হয় যে তাদের মধ্যে মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটেনি। শিক্ষার যে প্রধান উদ্দেশ্য মূল্যবোধ সৃষ্টি তা তাদের মধ্যে লক্ষ করা যায় না। তারা শিক্ষিত হলেও তাদের মধ্যে মূল্যবোধের স্ফুরণ ঘটেনি যে কারণে তারা জঘন্যতম কাজটি করতে পেরেছে। যা শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য নয়।
ঘ. উদ্দীপকের নৃশংস ঘটনা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত।
শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য মূল্যবোধ সৃষ্টি। একমাত্র সুশিক্ষাই পারে মানুষকে মনুষ্যত্বের সঙ্গে পরিচয় করাতে। একজন সুশিক্ষিত মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে পারে। সে পারে সুন্দর কল্পনাময় জীবন উপভোগ করতে। কিন্তু এটি না হলে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।
উদ্দীপকে একদল শিক্ষিত যুবকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের চিত্র ফুটে উঠেছে। একজন সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কখনােই এত বড় হত্যাযজ্ঞে অংশ নিতে পারে না। অর্থাৎ তারা শিক্ষা অর্জন করেছে কিন্তু মনুষ্যত্ব অর্জন করতে পারেনি। শিক্ষা হয়েছে তাদের বাইরের ব্যাপার ভেতরের ব্যাপার হতে পারেনি।
বাংলা প্রথম পত্র-কপোতাক্ষ নদ-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ অর্জনের দিকটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন সমাজকে সুসভ্য করে গড়ে তুলতে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাতে হবে। তিনি অর্থউপার্জনকেই জীবনসাধনা করে তুলতে নিষেধ করেছেন। কেননা এতে শিক্ষা আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। কিন্তু উদ্দীপকের যুবকরা তার সে প্রত্যাশার বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
প্রশ্ন–৪ : দরিদ্র পরিবারের সন্তান ইউসুফ তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ওয়াজেদ চৌধুরীর বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। চৌধুরী সাহেবের বিশাল ব্যবসা, বিশাল আভিজাত্য। প্রত্যেক সন্তানের নামে ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার ডিপোজিট। দামী গাড়ি ছাড়া সাধারণ কোনো গাড়িতে তারা চড়েই বন্ধু–আড্ডা–গান–ক্লাব–পার্টি এসব নিয়েই তাদের দিনরাত্রি। উর্ধ্বতন কর্তাদের হাত করে চৌধুরী সাহেব তার এসব ঠিক রাখেন। প্রথম প্রথম ইউসুফ এসব চৌধুরীদের কোনো কিছুই ওকে আকৃষ্ট করেনা। বরং ভাবে মানুষ এমন হয় কেন?
ক. ‘ক্ষুৎপিপাসা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে ‘ওপর থেকে টান’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের ইউসুফের মানসিকতা আমাদেরকে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. চৌধুরী সাহেবের মতো লোকদের জন্য ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী কি বার্তা দিয়েছেন? বিশ্লেষণ করো।
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘ক্ষুৎপিপাসা’ শব্দের অর্থ ক্ষুধা ও তৃষ্ণা।
খ. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে ‘ওপর থেকে টান’ বলতে মানব উন্নয়নের ব্যাপারে শিক্ষার ভূমিকাকেবোঝানো হয়েছে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
কোনো ভারী জিনিসকে ওপরে তুলতে হলে তাকে নিচের থেকে ঠেলতে হয়, আবার ওপর থেকেও টানতে হয়। অনেকে মিলে খুব জোরে ওপর থেকে টানলে নিচের থেকে ঠেলা ছাড়াও কোনো জিনিস ওপরে ওঠানাে যায়। শিক্ষা মানবের উন্নয়নের ওপর থেকে টানার মতো। কারণ সঠিক শিক্ষা লাভ করলে মানুষের ভেতরের শক্তি এতটাই জাগ্রত হয় যে মানুষ সত্যিকারের মনুষ্যত্ব অর্জন করে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্ব দিতে পারে।
গ. উদ্দীপকের ইউসুফের মানসিকতা আমাদেরকে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের ‘অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়’ সে দিকটির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক মানুষের অন্নবস্ত্রের জন্য চিন্তা করাকে অহেতুক মনে করেননি। বরং তিনি প্রত্যাশা করেছেন, মানুষের মন যেন শুধু অন্নবস্ত্রের চিন্তাতেই আবদ্ধ না থাকে। কারণ অন্নবস্ত্রের প্রয়োজন ছাড়াও মানুষ হিসেবে নিজের চিন্তা, বুদ্ধি ও বিবেকের আত্মপ্রকাশ ঘটানো একান্ত জরুরি। তাই লেখক আলোচ্য প্রবন্ধে মানুষের মনুষ্যত্ব উন্নয়নে সুশিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
উদ্দীপকের ইউসুফ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখকের মানসিকতাকে ধারণ করে আছে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও শুধু অন্নবস্ত্রের চিন্তায় তার চেতনা আচ্ছন্ন নয়। সে যে আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে তাদের বিলাসিতায় সে বিভ্রান্ত হয় না। কারণ সে জানে মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্ব অর্জন আমাদের অবশ্য প্রয়োজন আর অর্থচিন্তায় ব্যস্ত মানুষ প্রকৃত মনুষ্যত্ব অর্জনে সক্ষম নয়। এসবই শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখকের ভাবনার প্রতিফলন।
ঘ. চৌধুরী সাহেবের মতো লোকদের জন্য শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের মোতাহার হোসেন চৌধুরী বলেছেন, অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়, এই বােধ মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয়।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখক ক্ষুৎপিপাসা মেটানোর জন্য মানুষের অন্নবস্ত্রের চিন্তাকে সমর্থন করেন। কিন্তু ক্ষুৎপিপাসা মেটার পর অর্থচিন্তাকে প্রাবন্ধিক ত্যাগ করতে বলেছেন। কারণ, অর্থচিন্তাই মানুষের একমাত্র সাধনা হতে পারে না। মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্ব অর্জনই মানুষের প্রকৃত মুক্তি।
উদ্দীপকের ইউসুফ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখকের কথাকেই সমর্থন করে। কিন্তু চৌধুরী সাহেব শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে আলোচ্য সেই সকল ব্যক্তিদের প্রতিনিধি যারা লোভের ফাঁদে ধরা পড়েছে। অর্থচিন্তার ভিড়ে যারা হারিয়ে ফেলেছে জীবনের আসল সত্যকে। চৌধুরী সাহেবের মতো সেসব মানুষদের আত্মিক মৃত্যু ঘটেছে, যা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক তুলে ধরেছেন।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেবের মতো লোকদের অর্থচিন্তার নিগড় থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছেন। কারণ, এই চিন্তায় মানুষের আত্মিক মৃত্যু ঘটে। মানুষ হিসেবে মানুষের যদি আত্মার মৃত্যু ঘটে আর মনুষ্যত্ব অর্জন করতে না পারে তাহলে জীবনের কোন মূল্যই থাকে না।
পদার্থ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
তাই শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক চৌধুরী সাহেবের মতো মানুষদেরকে অর্থচিন্তার নিগড় থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং মনুষ্যত্ব অর্জনে উৎসাহিত করেছেন।
প্রশ্ন–৫ : দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক বলেন, মানুষের মনকে আলোকিত করার প্রধানতম উপায় হলো শিক্ষা। প্রকৃত শিক্ষায় মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত হয় এবং মানবমনের পরিপূর্ণ মুক্তি ঘটে। আর মুক্তি না থাকলে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়া যায় না।‘
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর অনুবাদগ্রন্থ দুটির নাম লেখো।
খ. শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকই শ্রেষ্ঠ দিক কেন?
গ. উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের নীতিবোধের সাথে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মুক্তি না থাকলে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়া যায় না’- উক্তিটির তাৎপর্য শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর অনুবাদগ্রন্থ দুটির নাম সভ্যতা এবং সুখ।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
খ. শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটি মানুষের মনুষ্যত্বের স্ফুরণ ঘটায় বলে তাকে শ্রেষ্ঠ দিক বলা হয়েছে।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক শিক্ষার দুটি দিকের কথা উল্লেখ করেছেন; যার প্রথমটি মানুষের জৈবিক চাহিদা তথা ক্ষুধা-তৃষ্ণাকে মেটায়। আর দ্বিতীয় দিকটি মানুষের অনুভূতির জগতে প্রবেশ করে তাকে কল্পনার রস আস্বাদনে সাহায্য করে তথা মনুষ্যত্ব বিকাশে সাহায্য করে। যেহেতু মনুষ্যত্বের বিকাশের মাধ্যমেই একজন মানুষ প্রকৃতার্থে মানুষ হতে পারে; তাই শিক্ষার দ্বিতীয় দিক তথা মনুষ্যত্ব বিকাশের দিককে শ্রেষ্ঠ দিক বলা হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের নীতিবোধের সঙ্গে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাদৃশ্য হলো- উভয় স্থানেই শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বলাভের কথা বলা হয়েছে।
`শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখক শিক্ষার প্রকৃত স্বরূপকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। শিক্ষা মানুষের ক্ষুধা ও পিপাসাকে নিবৃত করলেও তার আরও একটা উদ্দেশ্য রয়েছে; যাকে তার অপ্রয়োজনের দিক বলা হয়েছে। আর এ অপ্রয়োজনের দিকই শিক্ষার শ্রেষ্ঠ দিক, যার মাধ্যমে মনুষ্যত্ব অর্জন করা সম্ভব। প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্বলাভের পথেই ধাবিত করে বলে মত দিয়েছেন লেখক।
উদ্দীপকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক বলেন, মনকে আলোকিত করার প্রধান উপায় হলো শিক্ষা।’ তবে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করা জরুরি। কারণ প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া মানবমনের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধিত হয় না; মেলে না মুক্তি। আর মনের মুক্তি না ঘটলে মনুষ্যত্ব অর্জন সম্ভব নয়।
অর্থাৎ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের মতো উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষক মনুষ্যত্ব আত্মস্থকরণে বেশি মনোযোগী। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের নীতিবোধের ও শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাদৃশ্য হলো— উভয় স্থানেই মনুষ্যত্বলাভের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
বাংলা প্রথম পত্র নিমগাছ সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
ঘ. মুক্তি না থাকলে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়া যায় না’- উদ্দীপক ও শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটিকে যথার্থ বলে প্রাতপন্ন করা যায়।
মোতাহের হোসেন চৌধুরী বিরচিত শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখকের আত্মভাবনায় শিক্ষার দুটি দিক উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার দ্বিতীয় দিকটিকে লেখক শ্রেষ্ঠ দিক বলেছেন- কারণ এটি তার অপ্রয়োজনের দিক। এই অপ্রয়োজনীয় দিকের মাধ্যমে মানুষ মানবিক বোধসম্পন্ন ও মনুষ্যত্বলাভে সমর্থ হয়। শিক্ষার এ অপ্রয়োজনীয় দিকই মানুষকে মুক্তি প্রদান করে।
উদ্দীপকে দশম শ্রেণির বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের মন্তব্যটি যথার্থ। এ মন্তব্যের অনুরূপ বিষয় আমরা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের মধ্যেও দেখতে পাই। তিনি বলেছেন, মনকে আলােকিত করার প্রধান উপায় হলো শিক্ষা; আর প্রকৃত শিক্ষাই মানুষের সার্বিক কল্যাণ ঘটায়। প্রকৃত শিক্ষায় মানুষ যে মুক্তি লাভ করে তা তার মনুষ্যত্বলাভের সবচেয়ে বড় নিয়ামক। উভয় বিষয় পর্যালোচনায় তাই প্রতীয়মান হয় যে, শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকের মাধ্যমেই মানুষ মুক্তির সন্ধান করতে সমর্থ। হয়। এ বিষয়ে একমত হয়েছেন
উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী। তাদের মন্তব্যকে বিবেচনা করে বলা যায়, মুক্তি না থাকলে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়া যায় না— কথাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন–৬ : রহিম টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজার। মালিকের বেশ বিশ্বস্ত। বেতনও পায় মোটা অঙ্কের। ব্যবসায়িক কাজে মালিক অধিকাংশ সময় বিদেশে অবস্থান করায় রহিমকেই সবকিছু দেখাশোনা করতে হয়। স্ত্রী শৈলী তাকে এ সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ দেয়। বলে, একটু এদিকসেদিক করে যদি লাভবান হওয়া যায়, তাতে ক্ষতি কী? স্ত্রীর এমন কথায় রহিম শুধু একটি উক্তিই করে, ‘লোভ মানুষের ধ্বংসই ডেকে আনে উন্নতি নয়।’
ক. শিক্ষার আসল কাজ কী?
খ. ‘অর্থচিন্তার নিগড়ে সকলে বন্দি’— কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।
গ. শৈলীর প্রস্তাবে রহিম রাজি না হওয়ার কারণটি ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
ঘ. শৈলীর মানসিকতা পরিবর্তনে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের বক্তব্য কতটুকু কার্যকর? মূল্যায়ন কর।
৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. শিক্ষার আসল কাজ মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া বা মূল্যবোধ সৃষ্টি করা।
খ. জীবনধারণের জন্য অর্থের অনিবার্যতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার ফলে মানুষ সে গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়েছে বলে প্রাবন্ধিক এ মন্তব্য করেছেন।
প্রাবন্ধিকের পর্যবেক্ষণ অনুসারে জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছি তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। ভুল এ শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে আমাদের জীবনের নিচের তলা তথা জীবসত্তা এতটাই বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে যে আমরা তা থেকে চোখ ফেরাতে পারছি না। ফলে অর্থসাধুনা আমাদের জীবনসাধনাতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ কারণে এর গণ্ডিতে আমরা বন্দি হয়ে গেছি।
গ. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের বক্তব্যের আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকের রহিমের মধ্যে মনুষ্যত্বের উদ্বোধন হয়েছে; তাই শৈলীর প্রস্তাবে সে রাজি হয়নি।
বাংলা প্রথম পত্র-কপোতাক্ষ নদ-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞান পরিবেশন নয়; মূল্যবোধ সৃষ্টি করা- এ উক্তিটির মধ্য দিয়ে প্রাবন্ধিক মনুষ্যত্বের গুরুত্বকে তুলে ধরেছেন। মনুষ্যত্ব মানুষের আত্মবোধ ও বিবেককে জাগ্রত করে বলেই ভালো মন্দের পার্থক্য খুব সহজেই তার কাছে ধরা দেয়। যদিও শিক্ষার এদিকটি অপ্রয়োজনের দিক, তবুও মূল্যবোধ সৃষ্টিই শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য।
উদ্দীপকের রহিম টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজার। মালিক ব্যবসার কাজে বাইরে গেলে রহিমের ওপরই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব বর্তায়। তার স্ত্রী তাকে এ সুযোগে কপটতার আশ্রয় নিতে বলে। কিন্তু রহিমের মধ্যে শিক্ষার মূল দিকের স্ফুরণ ঘটেছে, তাই সে স্ত্রীর কথায় কর্ণপাত করে না। মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ায় সে জানে লোভ মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।
তাই বলব, প্রবন্ধে বর্ণিত মনুষ্যত্বের দিকটি রহিমের মধ্যে প্রবল ছিল বলেই সে শৈলীর কথায় রাজি হয়নি।
ঘ. উদ্দীপকের শৈলীর মানসিকতা পরিবর্তনে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের বক্তব্য সম্পূর্ণ কার্যকর বলে আমি মনে করি।
মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত “শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষার দুটি দিকের কথা বলা হয়েছে; যার মধ্যে অপ্রয়োজনের দিককেই শ্রেষ্ঠ দিক বলা। হয়েছে। কারণ শিক্ষার এ দিকটিই মানুষকে মনুষ্যত্বলাভের পথে পরিচালিত করে। মনুষ্যত্বই মানুষের প্রকৃত উন্নতির ধারক। কারণ মনুষ্যত্বহীন হয়ে। মানুষ জীবনধারণ করলেও আদতে তার কোনো ফল হয় না।
উদ্দীপকের রহিমের মধ্যে প্রবন্ধে বর্ণিত শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিক তথা মনুষ্যত্বের দিকের প্রভাব পড়েছে। তাই স্ত্রী শৈলীর কথায় সে পরের সম্পদ আত্মগত করেনি। কারণ সে জানে লোভই মানুষকে ধ্বংসের পথে পরিচালিত করে। শিক্ষা তার মধ্যে ভাললা-মন্দের এই পার্থক্য সৃষ্টি করে দিয়েছে। তবে রহিমের স্ত্রী শৈলীর মধ্যে শিক্ষার প্রকৃত তাৎপর্য ধরা পড়েনি। এ কারণেই সে অন্যের সম্পদের প্রতি লোভ করেছে এবং স্বামীকে সে পথে যেতে প্ররোচিত করেছে।
যদি তার মধ্যে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বর্ণিত মনুষ্যত্বের দীক্ষা প্রবেশ করে, তবে নিশ্চিতভাবেই তার মানসিকতার পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ প্রবন্ধের বক্তব্য তার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।