Blog

এসএসসি-জীববিজ্ঞান-জীবের প্রজনন-সাজেশন

এসএসসি-জীববিজ্ঞান নোট

একাদশ অধ্যায়

জীবের প্রজনন

Reproduction

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

প্রজনন : যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে তাকে প্রজনন বলে।

প্রজনন প্রধানত দুই প্রকার। যথা : অযৌন ও যৌন প্রজনন বা জনন ।

অযৌন জনন : যে জনন প্রক্রিয়ায় জনন কোষ উৎপাদন ছাড়াই অণুবীজের সাহায্যে বা বিভাজনের মাধ্যমে অপত্য জীব সৃষ্টি হয় তাকে অযৌন জনন বলে। উদাহরণ- মিউকর, ছত্রাক, আলু ইত্যাদি ।

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

যৌন জনন : যে জনন প্রক্রিয়ায় দুটি গ্যামেট বা জনন কোষের (পুং ও স্ত্রী জনন কোষ) মিলনের দ্বারা অপত্য জীব সৃষ্টি হয় তাকে যৌন জনন বলে। উদাহরণ-সপুষ্পক উদ্ভিদ, ব্যাঙ, গিনিপিগ ইত্যাদি ।

ফুল : প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিশেষ ধরনের বিটপকে ফুল বলে।

উদ্ভিদের যে অংশে বৃতি, দল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক বিদ্যমান তাকে ফুল বলে। ফল ও বীজ উৎপাদনই ফুলের প্রধান কাজ।

সম্পূর্ণ ফুল : যে ফুলে পাঁচটি অংশ থাকে তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে । যেমন-জবা, ধুতুরা ইত্যাদি।

অসম্পূর্ণ ফুল : যে ফুলে পাঁচটি অংশের যেকোনো এক বা একাধিক অংশ অনুপস্থিত থাকে তাকে অসম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন- লাউ, কুমড়া ইত্যাদি।

বৃতি : ফুলের বাইরের স্তবককে বৃতি বলে। বৃতির প্রত্যেক অংশকে বৃত্যাংশ বলে।

দলমন্ডল : বৃতির উপরে যে স্তবক থাকে তাকে দলমন্ডল বলে। এটি ফুলের দ্বিতীয় স্তবক। দলমন্ডলের প্রত্যেক অংশকে পাপড়ি বা দলাংশ বলে।

পুংস্তবক : পুংস্তবক ফুলের তৃতীয় স্তবক। পুংস্তবকের প্রত্যেক অংশকে পুংকেশর বলে।

স্ত্রীস্তবক : ফুলের চতুর্থ অর্থাৎ শেষ স্তবকটি হলো স্ত্রীস্তবক। স্ত্রী স্তবকটি ফুলের একেবারে মাঝখানে থাকে। স্ত্রী স্তবক এক বা একাধিক গর্ভপত্র নিয়ে গঠিত। গর্ভপত্র তিনটি অংশে বিভক্ত, যথা: গর্ভাশয়, গর্ভদন্ড ও গর্ভমুন্ড। গর্ভপত্রগুলো পরস্পর যুক্ত থাকলে যুক্তগর্ভপত্রী; আর আলাদা থাকলে বিযুক্ত গর্ভপত্রী বলে ।

সবৃন্তক অবৃন্তক ফুল : বৃন্তযুক্ত ফুলকে সবৃন্তক এবং বৃন্তহীন ফুলকে অবৃন্তক ফুল বলে।

উভলিঙ্গ, একলিঙ্গ ক্লীব ফুল : যখন কোনো ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক দুটোই উপস্থিত থাকে তাকে উভলিঙ্গ ফুল বলে। ফুলে যেকোনো একটি অনুপস্থিত থাকলে তাকে একলিঙ্গ ফুল এবং দুটোই অনুপস্থিত থাকলে তাকে ক্লীব ফুল বলে ।

পুষ্পমঞ্জরি : গাছের যেকোনো ছোট শাখায় ফুলগুলো বিশেষ একটি নিয়মে সাজানো থাকে। ফুলসহ এই শাখাকে পুষ্পমঞ্জরি বলে। আর যে শাখায় ফুলগুলো সজ্জিত থাকে তাকে মঞ্জরি দন্ড বলে। পরাগায়নের জন্য পুষ্পমঞ্জরির গুরুত্ব খুব বেশি।

পরাগায়ন : পরাগধানী হতে পরাগুরেণুর একই ফুলে অথবা একই প্রজাতির অন্যফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে। পরাগায়ন দুই প্রকার। যথা : স্বপরাগায়ন এবং পরপরাগায়ন।

স্ব-পরাগায়ন : একই ফুলে বা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে তাকে স্বপরাগায়ন বলে। সরিষা, কুমড়া, ধুতুরা ইত্যাদি উদ্ভিদে স্বপরাগায়ন ঘটে ।

পরপরাগায়ন : একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে যখন পরাগ সংযোগ ঘটে তখন তাকে পরপরাগায়ন বলে। শিমুল, পেঁপে ইত্যাদি গাছের ফলে পরপরাগায়ন হতে দেখা যায়।

জাইগোট : নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে জাইগোট সৃষ্টি হয়।

প্রকৃত ও অপ্রকৃত ফল : ফুলের কোন অংশ থেকে ফল সৃষ্টি হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ফলকে প্রথমত দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন : প্রকৃত ফল ও অপ্রকৃত ফল। শুধু গর্ভাশয় ফলে পরিণত হলে তাকে প্রকৃত ফল বলে। উদাহরণ : আম, জাম ।

জীববিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে যখন ফলে পরিণত হয় তাকে অপ্রকৃত ফল বলে। উদাহরণ : আপেল, চালতা।

পিটুইটারি গ্রন্থি : পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোনগুলো জননগ্রন্থি, বৃদ্ধি, ক্ষরণ ও কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড গ্রন্থি : এ গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোন দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি, যৌন লক্ষণ প্রকাশ ও বিপাকে সাহায্য করে।

অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি : অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন যৌনাঙ্গ বৃদ্ধি ও যৌন লক্ষণ প্রকাশে সাহায্য করে।

বহিঃনিষেক : যে নিষেক ক্রিয়া প্রাণিদেহের বাইরে সংঘটিত হয় তা বহিঃনিষেক নামে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের মাছে এ ধরনের নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

অন্তঃনিষেক : স্ত্রী দেহের জননাঙ্গে সংঘটিত নিষেক অন্তঃনিষেক নামে পরিচিত। অন্তঃনিষেক ডাঙায় বসবাসকারী অধিকাংশ প্রাণীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।

নিষেক : একটি পুংগ্যামেট ও একটি স্ত্রী গ্যামেটের মিলিত হওয়াকে নিষেক বলে। উচ্চস্তরের উদ্ভিদ ও প্রাণীর যৌন জননে নিষেক প্রক্রিয়া দেখা যায় ।

দ্বিনিষেক : দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে এবং অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকাকে নিষিক্ত করে। এরকম দু’বার নিষেক ঘটাকে দ্বিনিষেক বলে ।

ফল : নিষিক্তকরণের পর ফুলের গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে তাকে ফল বলে ।

নিষেক প্রক্রিয়া : পুংজনন কোষ সৃষ্টি, স্ত্রীজনন কোষ সৃষ্টি এবং পুংজনন কোষ ও স্ত্রীজনন কোষের মিলন এ তিনটি প্রক্রিয়ার দ্বারা নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

প্রতিপাদ কোষ : গভযন্ত্রের বিপরীত দিকের কোষ তিনটিকে প্রতিপাদ কোষ বলে।

বয়ঃসন্ধিকাল : ১০/১১ বছর থেকে ১৮/১৯ বছর বয়সকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। বয়ঃসন্ধিকালে মানুষের শৈশব এবং যৌবনের মধ্যে সেতু রচনা করে। এ সময় অসংখ্য শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি শিশু পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিতে পরিণত হয়। প্রত্যেক মানুষের জীবনে বয়ঃসন্ধিকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মেনোপজ : সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের ঋতুস্রাব চক্র চলতে থাকে। এরপর ঋতুস্রাব চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। একে মেনোপজ বা রজনিবৃত্তিকাল বলে।

অমরা : যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃজরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃজরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে।

জীববিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

গর্ভধারণ : জরায়ুর প্রাচীরে ভ্রূণের সংযুক্তিকে ভ্রূণ সংস্থাপন বা গর্ভধারণ বলে।

ভ্রূণ আবরণী : প্রত্যেক প্রজাতিতে ভ্রূণের জন্য মাতৃদেহের ভিতর সহজ, স্বাভাবিক ও নিরাপদ পরিবর্ধনের ব্যবস্থা হিসেবে ভ্রূণের চারদিকে কতগুলো ঝিল্লী বা আবরণ থাকে। একে ভ্রূণ আবরণী বলে। এগুলো ভ্রূণের পুষ্টি, গ্যাসীয় আদান-প্রদান, বর্জ্য নিষ্কাশন ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে।

গর্ভযন্ত্র : স্ত্রী গ্যামেটোফাইটের ডিম্বক রন্ধ্রের দিকের কোষ তিনটিকে গর্ভযন্ত্র বলে।

AIDS (Acquired Immune Deficiency Syndrome) : HIV নামক (Human Immune Deficiency Virus) ভাইরাসের সংক্রমণে মানুষে এ রোগের উৎপত্তি ঘটে। ইনজেকশন, রক্তদান বা গ্রহণ এবং অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্কের কারণে এ রোগ হয়। এসব বিষয়ে সংযত হওয়া গেলে এ রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন মানুষকে একলিঙ্গবিশিষ্ট প্রাণী বলা হয় কেন?

উত্তর : প্রজননের জন্য স্ত্রী ও পুরুষের পৃথক পৃথক অঙ্গ বর্তমান থাকায় মানুষকে একলিঙ্গবিশিষ্ট প্রাণী বলা হয়।

প্রশ্ন জরায়ু কী? এর প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তর : স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের যে অংশটি ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভ্রূণকে আগলে রাখে, সেটি জরায়ু। ভ্রূণ ডিম্বনালি থেকে জরায়ুতে পৌঁছার পর বৃদ্ধি পায় এবং মানবশিশুতে পরিণত হয়।

প্রশ্ন ৩॥ অমরা কী? অমরার কাজ কী?

উত্তর : যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃজরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃজরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকে অমরা বলে।

অমরার কাজ হলো মায়ের রক্ত থেকে ভ্রূণের রক্তে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, পানি ও খনিজ লবণ ইত্যাদি প্রবেশ করানো। তাছাড়া অমরার মাধ্যমে O2 ও CO2 এর আদান প্রদান ঘটে।

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন এইডস রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?

উত্তর : এইডস রোধে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাসমূহ নেওয়া উচিত-

i. সুস্থ দেহে এইডস রোগীর রক্ত সঞ্চালন না করা ।

ii. এইডস আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ শিশুকে না খাওয়ানো।

iii. HIV জীবাণুযুক্ত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সুঁচ, দন্ত চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং অপারেশনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা।

iv. আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো অঙ্গ অন্য দেহে প্রতিস্থাপন না করা।

v. নিরাপদ যৌন মিলন।

প্রশ্ন প্ৰজনন সংক্রান্ত হরমোনগুলোর কাজ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : নিম্নলিখিত গ্রন্থিগুলো প্রজনন সংক্রান্ত হরমোন নিঃসরণ করে—

১. পিটুইটারি গ্রন্থি,

২. থাইরয়েড গ্রন্থি,

৩. অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি,

৪. শুক্রাশয়ের অনালগ্রন্থি,

৫. ডিম্বাশয়ের অনালগ্রন্থি,

৬. অমরা।

পিটুইটারি গ্রন্থি : পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমোন ও উৎপাদক হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোনগুলো জননগ্রন্থি বৃদ্ধি, ক্ষরণ ও কাজ নিয়ন্ত্রণ, মাতৃদেহে স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি ও দুগ্ধ ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া এগুলো জরায়ুর সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড গ্রন্থি : থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন নিঃসৃত হয়। এ হরমোন দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি, যৌনলক্ষণ প্রকাশ ও বিপাকে সহায়তা করে।

অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি : অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন যৌনাঙ্গ বৃদ্ধি ও যৌনলক্ষণ প্রকাশে সহায়তা করে।

শুক্রাশয়ের অনালগ্রন্থি : শুক্রাশয় থেকে নিঃসৃত টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন শুক্রাণু উৎপাদন, দাঁড়ি গোফ গজানো, গলার স্বর পরিবর্তন ইত্যাদি যৌন লক্ষণ প্রকাশে সহায়তা করে।

ICT দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

ডিম্বাশয়ের অনালগ্রন্থি : ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন ও রিলাক্সিন হরমোন মেয়েদের নারী সুলভ লক্ষণগুলো সৃষ্টি, ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ, গর্ভাবস্থায় জরায়ু, ভ্রূণ, অমরা ইত্যাদির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া ডিম্বাণু উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

অমরা : অমরা থেকে নিঃসৃত গোনাডোট্রপিক ও প্রোজেস্টেরন ডিম্বাশয়ের অনাল গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে ও স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।

রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ফুলকে উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ বলা হয় কেন বর্ণনা কর।

উত্তর : ফুলের মাধ্যমে উদ্ভিদের জননকোষ সৃষ্টি থেকে শুরু করে বংশবৃদ্ধির প্রতিটি পর্যায় সম্পন্ন হয় বলে ফুলকে উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ বলা হয়।

প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিশেষ ধরনের বিটপই ফুল। ফুলের বিভিন্ন অংশ রয়েছে যেগুলো পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে উদ্ভিদের প্রজননে অংশ নেয়। উদ্ভিদ বিভিন্ন উপায়ে বংশবৃদ্ধি করে। যেমন : যৌন, অযৌন ও অঙ্গজ প্রজনন।

বেশিরভাগ উদ্ভিদেই যৌন জনন পদ্ধতিতে অর্থাৎ ফুল থেকে ফল ও বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে থাকে। ফুলের পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি ফল ও বীজ উৎপাদনে অংশগ্রহণ করে। পুংস্তবকের মাথায় উৎপন্ন পরাগরেণু ফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত হলে পরাগায়ন ঘটে। পরবর্তীতে নিষিক্ত ফুল থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়।

এজন্য পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবককে বলা হয় জনন স্তবক বা অত্যাবশ্যকীয় স্তবক। আবার ফুলের বৃতি ও দল পরাগায়নে সাহায্য করে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে বলে এদেরকে সাহায্যকারী স্তবক বলে। অর্থাৎ উদ্ভিদ প্রজননের প্রধান অঙ্গ ফুল।

প্রশ্ন এইডস রোগের কারণ, লক্ষণ প্রতিকার বর্ণনা কর।

উত্তর : HIV ভাইরাসের আক্রমণের ফলে এইডস রোগ সৃষ্টি হয়। এইডস রোগের কারণ :

একজন সুস্থ ব্যক্তি এই ঘাতক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন-

i. অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে।

ii. সুস্থ ব্যক্তির দেহে এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত সঞ্চালন করলে ।

iii. এইডস আক্রান্ত বাবা মায়ের সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হয়।

iv. এক সিরিঞ্জ বহুজনে ব্যবহার করলে ।

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

এইডস রোগের লক্ষণ : HIV ভাইরাস আক্রমণের প্রায় ছয় মাস পরে এইডস রোগ দেখা যায়। এর লক্ষণগুলো হতে পারে-

i. রোগীর দেহের ওজন দ্রুত কমতে থাকে।

ii. এক টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একটানা গায়ে জ্বর থাকে অথবা জ্বর জ্বর ভাব দেখা যায়।

iii. একমাস বা তারও বেশি সময় ধরে পাতলা পায়খানা হয় ।

iv. অনেক দিন ধরে শুকনো কাশি থাকে।

V. সারা দেহে চুলকানি হয়।

vi. ঘাড় ও বগলের তলে ব্যথা থাকে, মুখমন্ডল খসখসে হয়ে যায়।

এইডস রোগের প্রতিকার : কয়েকটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এ রোগ প্রতিকার করা যায়। যেমন :

i. নিরাপদ যৌন মিলন ।

ii. নিরাপদ রক্ত গ্রহণ ।

iii. এইডস আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ শিশুকে পান না করানো।

iv. এক সিরিঞ্জ বহুজনে ব্যবহার না করা।

V. দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হলে সুস্থ দেহ থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন নাড়ি কী?

উত্তর : নাড়ি হলো একটি নালি যার ভেতর দিয়ে মাতৃদেহের সাথে ভ্রূণের বিভিন্ন পদার্থের বিনিময় ঘটে।

প্রশ্ন HIV এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর : HIV এর পূর্ণরূপ Human Immune Deficiency Virus ।

প্রশ্ন ॥ AIDS এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর : AIDS এর পূর্ণরূপ হলো Acquired Immune Deficiency Syndrome |

প্রশ্ন ফিটাস কী?

উত্তর : ফিটাস হলো প্রায় আট সপ্তাহ বয়সী মানব ভ্রূণ।

এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্ৰশ্ন অপুষ্পক উদ্ভিদে কীভাবে প্রজনন হয়?

উত্তর : অপুষ্পক উদ্ভিদে মুকুলোদগম, বিভাজন, খন্ডায়ন ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতিতে অযৌন প্রজনন ঘটে।

প্ৰশ্ন ডিম্বক কোথায় থাকে?

উত্তর : ফুলের গর্ভাশয়ে ডিম্বক থাকে ।

প্ৰশ্ন ডিম্বক কী ধারণ করে?

উত্তর : ডিম্বক ভ্রূণথলিতে স্ত্রী জনন কোষ বা ডিম্বাণু ধারণ করে ।

প্ৰশ্ন উভলিঙ্গ ফুল কী?

উত্তর : যে ফুলে পুং ও স্ত্রীস্তবক থাকে তাদের উভলিঙ্গ ফুল বলে।

প্রশ্ন একলিঙ্গ ফুল কী?

উত্তর : যে ফুলে শুধু পুং অথবা স্ত্রীস্তবক থাকে তাদের একলিঙ্গ ফুল বলে।

প্ৰশ্ন ১০ সম্পূৰ্ণ ফুল কাকে বলে?

উত্তর : যে ফুলে চারটি স্তবক থাকে তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে ।

প্ৰশ্ন ১১ ৷৷ পুষ্পাক্ষ কাকে বলে?

উত্তর : ফুলের বৃন্তের উপরের দিকে যে অংশে পুষ্পস্তবকগুলো সাজানো থাকে তাকে পুষ্পাক্ষ বলে ।

প্রশ্ন ১২ ধুতুরা ফুলের দলমন্ডলের দলাংশগুলো কী ধরনের?

উত্তর : ধুতুরা ফুলের দলাংশগুলো যুক্ত।

প্রশ্ন ১৩ পুষ্পমঞ্জরি কয় প্রকার?

উত্তর : পুষ্পমঞ্জরি দুই প্রকার ।

প্ৰশ্ন ১৪ অনিয়ত পুষ্পমঞ্জরি কাকে বলে?

উত্তর : যে ধরনের পুষ্পমঞ্জরিতে মঞ্জরিদন্ডের বৃদ্ধি অসীম তাকে অনিয়ত পুষ্পমঞ্জরি বলে ।

প্ৰশ্ন ১৫ নিয়ত পুষ্পমঞ্জরি কাকে বলে?

উত্তর : যে পুষ্পমঞ্জরিতে মঞ্জরিদন্ডের বৃদ্ধি থেকে যায় তাকে নিয়ত পুষ্পমঞ্জরি বলে ।

প্রশ্ন ১৬ মেনোপজ কী?

উত্তর : সাধারণত ৪৫-৫০ বছর বয়সে মেয়েদের ঋতুস্রাব চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া হলো মেনোপজ ।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ১৭ ফুলের কোন অঙ্গের কোন অংশে পরাগরেণু আটকায়?

উত্তর : ফুলের স্ত্রীকেশরের গর্ভমুন্ডে পরাগরেণু আটকায়।

প্রশ্ন ১৮ পরাগরেণু গ্যামেটোফাইট নাকি স্পোরোফাইট?

উত্তর : পরাগরেণু গ্যামেটোফাইট ।

প্রশ্ন ১৯ যৌন জননের একক কী?

উত্তর : জননকোষ বা গ্যামেট যৌন জননের একক ।

প্ৰশ্ন ৷৷ ২০ প্ৰকৃত ফল কাকে বলে?

উত্তর : যে ফল শুধু গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন হয়, তাকে প্রকৃত ফল বলে।

প্রশ্ন ২১ দলমন্ডল রঙিন হয় কেন?

উত্তর : পতঙ্গ ও পশুপাখিকে আকৃষ্ট করে ফুলে পরাগায়ন নিশ্চিত করতে দলমন্ডল রঙিন হয়।

প্রশ্ন ২২ ফুলের বৃতির কাজ কী?

উত্তর : ফুলের বৃতির কাজ হলো কুঁড়ি অবস্থায় ফুলের অন্যান্য স্তবকগুলোকে রক্ষা করা।

প্ৰশ্ন ২৩ প্ৰজনন কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে তাকেই প্রজনন বলে।

ICT প্রথম অধ্যায় বহুনির্বাচনি সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ উভলিঙ্গ ফুল কাকে বলে?

উত্তর : যখন কোনো ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক দুটোই উপস্থিত থাকে তখন তাকে উভলিঙ্গ ফুল বলে।

প্রশ্ন ২৫ সিনজেনেসিয়াস কী?

উত্তর : যখন পরাগধানী একগুচ্ছে থাকে তখন তাকে সিনজেনেসিয়াস বা যুক্তধানী বলে ।

প্রশ্ন ২৬ যুক্তগর্ভপত্রী কাকে বলে?

উত্তর : যখন কতগুলো গর্ভপত্র নিয়ে একটি স্ত্রীস্তবক গঠিত হয় এবং এরা সম্পূর্ণভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তখন তাকে যুক্তগর্ভপত্রী বলে ।

প্রশ্ন ২৭ সস্যকোষ কী?

উত্তর : পুংজননকোষ যখন গৌণ কেন্দ্রিকার সাথে ট্রিপ্লয়েড কোষ তৈরি করে তখন তাকে সস্যকোষ বলে।

প্ৰশ্ন ২৮ ভিত্তি কোষ কাকে বলে?

উত্তর : জাইগোট বিভাজনের সময় ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের কোষকে ভিত্তি কোষ বলে ।

প্রশ্ন ২৯ এপিক্যাল কোষ কী?

উত্তর : জাইগোট বিভাজনের সময় ভ্রূণথলির কেন্দ্রের দিকের কোষটিকে এপিক্যালকোষ বলে ।

প্রশ্ন ৩০ পুষ্পমঞ্জুরি কী?

উত্তর: বিশেষ নিয়মে সজ্জিত ফলসহ ছোট শাখাই হলো পুষ্পমঞ্জুরী :

প্রশ্ন ৩১ পুষ্পাক্ষ কাকে বলে?

উত্তর: পুষ্পাক্ষ হলো ফুলের বৃন্তশীর্ষে অবস্থিত একটি গোলাকার স্তবক যা উপর ফুলের বাকী চারটি স্তবক পরপর সাজানো থাকে।

প্রশ্ন ৩২ ফুল কী?

উত্তর: প্রজননের উদ্দেশ্যে পরিবর্তিত বিটপই ফুল ।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ৩৩ অমরা কী?

উত্তর: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ুর টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় সেই অঙ্গই হলো অমরা।

প্রশ্ন ৩৪ সস্য কোষ কী?

উত্তর: পুংজননকোষ যখন গৌণ কেন্দ্রিকার সাথে মিলিত হয়ে টিপ্লয়েড কোষ তৈরি করে তখন তাকে বলা হয় সস্য কোষ ।

প্রশ্ন ৩৫ পরাগথলি কী?

উত্তর: ফুলের পুংকেশরের দন্ডের মাথায় থলের মতো অংশটিই পরাগথলি।

প্রশ্ন ৩৬ পরাগায়ন কী?

উত্তর: পরাগধানী হতে পরাগরেণুর গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়া।

প্রশ্ন ৩৭ নিষেক কী?

উত্তর: যৌন প্রজননে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনই হলো নিষেক।

প্রশ্ন ৪৮ যুক্তগর্ভপত্রী কী?

উত্তর: যখন কতগুলো গর্ভপত্র নিয়ে একটি স্ত্রীস্তবক গঠিত হয় এবং এরা সম্পূর্ণভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তখন তাকে বলা হয় যুক্তগর্ভপত্রী।

জীববিজ্ঞান নবম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ৩৯ অপ্রকৃত ফল কী?

উত্তর: গর্ভাশয়সহ ফুলের অন্যান্য অংশ পৃষ্ট হয়ে যখন ফলে পরিণত হয়, তখন তাকে অপকৃত ফল বলে ।

প্রশ্ন ৪০ পুংকেশর কী?

উত্তর: পুংস্তবকের প্রতিটি অংশটিই হলো পুংকেশর।

প্রশ্ন ৪১ অবৃন্তক ফুল কী?

উত্তর: বৃন্তহীন ফুলই হলো অবৃন্তক ফুল ।

প্রশ্ন ৪২ বৃতি কী?

উত্তর: ফুলের বাইরের স্তবক হলো বৃতি।

প্রশ্ন ৪৩ পরপরাগায়ন কাকে বলে?

উত্তর: একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে যখন পরাগ সংযোগ ঘটে তখন তাকে পর-পরাগায়ন বলে ।

প্রশ্ন ৪৪ বয়ঃসন্ধিকাল কী?

উত্তর: কৈশোর ও তারুণ্যের সন্ধিকালই হলো বয়ঃসন্ধিকাল।

প্রশ্ন ৪৫ অ্যাম্বিলিকাল কর্ড কী?

উত্তর: যে নালির ভেতর দিয়ে মাতৃদেহের সাথে ভ্রূণের বিভিন্ন পদার্থের বিনিময় ঘটে সেই নালিই হলো অ্যাম্বিলিকাল কর্ড ।

প্রশ্ন ৪৬ ব্লাস্টোসিস্ট কী?

উত্তর: জাইগোট বিভাজিত হয়ে যে পর্যায়ে ডিম্বনালি থেকে জরায়ুতে পৌঁছায় সেই পর্যায়ই ব্লাস্টোসিস্ট।

প্রশ্ন ৪৭ বয়ঃসন্ধি কী?

উত্তর: মানুষের কৈশোর এবং তারুণ্যের সন্ধিকালই হলো বয়ঃসন্ধিকাল।

প্রশ্ন ৪৮ প্রজনন কী?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে তাই প্রজনন ।

প্রশ্ন ৪৯ গর্ভাবস্থা কী?

উত্তর: জরায়ুর অন্তঃগাত্রে ভ্রূণের সংস্থাপন হওয়ার পর থেকে শিশু ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত সময়ই হলো গর্ভাবস্থা।

প্রশ্ন ৫০ জরায়ুর প্রাচীরে ভ্রণের সংযুক্তিকে কী বলা হয়?

উত্তর: জরায়ুর প্রাচীরে ভ্রূণের সংযুক্তিকে গর্ভধারণ বলা হয় ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ আবরণীর গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রত্যেক প্রজাতিতে ভ্রূণের জন্য মাতৃদেহের ভেতর সহজ, স্বাভাবিক ও নিরাপদ পরিবর্ধনের ব্যবস্থা হিসেবে ভ্রূণের চারদিকে কতকগুলো ঝিল্লী বা আবরণ থাকে। এগুলো ভ্রূণের পুষ্টি, গ্যাসীয় আদান-প্রদান, বর্জ্য নিষ্কাশন ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে। ভ্রূণ আবরণী ক্রমবর্ধমান ভ্রূণকে রক্ষা করে এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। কাজেই গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ আবরণীর গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন কীভাবে একটি ভ্রূণকে অমরা বাঁচিয়ে রাখে?

উত্তর : অমরার মাধ্যমে একটি ভ্রূণ তার মাতৃদেহ থেকে সকল খাদ্য উপাদান যেমন : শর্করা, আমিষ, স্নেহ, পানি ও খনিজ লবণ ইত্যাদি গ্রহণ করে। অমরার মাধ্যমে ভ্রূণ মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং নিজের কার্বন ডাই অক্সাইড বিনিময় করে । এভাবে অমরা ভ্রূণকে বাঁচিয়ে রাখে।

পদার্থ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন পরাগায়নের মাধ্যমগুলো উল্লেখ কর

উত্তর : পরাগায়ন প্রাণী, পানি, বায়ু ও পতঙ্গ ইত্যাদির মাধ্যমে ঘটে। এদেরকে পরাগায়নের মাধ্যম বা বাহক বলা হয়। পাখি, বাদুড় ইত্যাদির মাধ্যামে প্রাণী পরাগায়ন ঘটে। বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ যেমন : মৌমাছি, ভিমরুল, প্রজাপতি ইত্যাদি পতঙ্গ— লাউ, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদিতে পরাগায়ন ঘটায়। ধান, গম, ভুট্টা, তাল ইত্যাদি বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটে। শেওলা, ঝাঁঝি, ঝাউ ঝাঁঝি, পাতা শেওলা ইত্যাদিতে পানির মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটে।

প্রশ্ন যৌন প্ৰজনন বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় দুইটি বিপরীত লিঙ্গের প্রাণী পুং ও স্ত্রী জননকোষ বা গ্যামেট উৎপন্ন করে এবং তাদের নিষেকের মাধ্যমে প্রজনন ঘটায় ও সন্তান-সন্ততি উৎপন্ন করে তাকে যৌন প্রজনন বলে।

প্রশ্ন বৃতি কী ধরনের কাজ করে?

উত্তর : বৃতি ফুলের সর্ব বাইরের স্তবক। বৃতি ফুলের অন্য অংশগুলোকে রোদ, বৃষ্টি ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা করে।

প্রশ্ন দলমন্ডলের কাজ ব্যাখ্যা কর

উত্তর : দলমন্ডলের কাজ ফুলের অন্য অংশগুলোকে রোদ, বৃষ্টি ও তাপ থেকে রক্ষা করা। এছাড়া দলমন্ডল রঙিন হওয়ায় পতঙ্গ ও পশুপাখি আকৃষ্ট করে ফুলে পরাগায়ন নিশ্চিত করে ।

প্রশ্ন পুংস্তবকের কাজ উল্লেখ কর।

উত্তর : পুংস্তবকের কাজ নিম্নরূপ :

i. পরাগরেণু উৎপন্নের মাধ্যমে যৌন জননে সাহায্য করা।

ii. পরাগরেণুর মধ্যে পুংজনন কোষ উৎপন্ন করা ।

iii. পুংদন্ড পরাগধানীকে বাতাসে তুলে ধরে।

প্রশ্ন স্ত্রীস্তবকের তিনটি কাজ উল্লেখ কর

উত্তর : স্ত্রীস্তবকের তিনটি কাজ নিম্নরূপ :

i. ডিম্বাণু গঠনের দ্বারা বংশবিস্তারে সাহায্য করা।

ii. নিষেকের পর গর্ভাশয় ফলে এবং ডিম্বক বীজে পরিণত হয়।

iii. গর্ভদন্ড গর্ভমুন্ডকে বাতাসে তুলে ধরে পরাগরেণু সংগ্রহ করে । পরাগরেণুতে উৎপন্ন পুংজনন কোষকে প্রথমে গর্ভাশয় ও পরে ডিম্বকে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।

প্ৰশ্ন মৌমাছি কীভাবে পরপরাগায়নে সহায়তা করে?

উত্তর : মৌমাছি পরাগরেণু বহনের মাধ্যমে পরাগায়নে সহায়তা করে। মৌমাছি মধুসংগ্রহের জন্য ফুলের মধ্যে প্রবেশ করার সময় তার দেহে পরাগরেণু লেগে যায়। ওই মৌমাছি মধুসংগ্রহের জন্য যখন একই প্রজাতির অন্য ফুলে যায় তখন তার গায়ে লেগে থাকা পরাগরেণুগুলো ওই ফুলের গর্ভমুন্ডে লেগে পরপরাগায়ন ঘটায়। এভাবে মৌমাছি পরাগায়নে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ১০ যৌন প্ৰজনন গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর : যৌন প্রজননের ফলে পিতামাতার চারিত্রিক গুণাবলি অপত্যের দেহে সঞ্চারিত হয়ে বংশের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখে এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকরণ ঘটায়। এ জন্যই যৌন জনন গুরুত্বপূর্ণ।

রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ১১ যৌন প্রজনন অযৌন প্রজননের পার্থক্য লেখ :

উত্তর : যৌন প্রজনন ও অযৌন প্রজননের পার্থক্য নিম্নরূপ :

যৌন প্রজননঅযৌন প্রজনন
i. যৌন প্ৰজনন প্ৰজনন সাধারণত: উচ্চশ্রেণির জীবের মধ্যেই ঘটে থাকে।i. অযৌন প্রজনন সাধারণত নিম্নশ্রেণির জীবের মধ্যে ঘটে থাকে ।
ii. জননকোষ বা গ্যামেটের সৃষ্টি হয়।ii. গ্যামেট উৎপন্ন হয় না।
iii. এটি অপেক্ষাকৃত জটিল পদ্ধতি এবং দুটি জনন কোষের মিলন ঘটে।iii. এটি অপেক্ষাকৃত সরল পদ্ধতি এবং কোনো জনন কোষের মিলন ঘটে না।
iv. অপত্য জীব নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়।iv. অপত্য জীব হুবহু মাতৃজীব সদৃশ হয়।

প্রশ্ন ১২ বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে মেয়েদের কী ধরনের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে?

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে।

এ সময় ছেলেদের উচ্চতা ও ওজন বাড়ে, শরীরে দৃঢ়তা আসে, বুক ও কাঁধ চওড়া হয়, শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায়, মুখে দাঁড়ি গোঁফ ওঠে, গলার স্বর মোটা হয়, প্রজনন অঙ্গ বড় হয়ে ওঠে এবং বীর্যপাত হয়।

বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের উচ্চতা ও ওজন বাড়ে, কোমরের হাড় মোটা হয়, উরু ও নিতম্ব ভারী হয়, স্তন বৃদ্ধি পায়, বিভিন্ন অঙ্গে লোম গজায় এবং ঋতুস্রাব শুরু হয়।

প্রশ্ন ১৩ অযৌন প্ৰজনন উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর : অযৌন প্রজনন কেবলমাত্র একটি উদ্ভিদ দ্বারা ঘটে। এ পদ্ধতিতে অল্প সময়ে অসংখ্য জীব উৎপন্ন হতে পারে এবং মাতৃজীবের মতো হয়। প্রতিকূল পরিবেশ কাটিয়ে ওঠে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধিতে অযৌন প্রজনন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একারণেই অযৌন প্রজনন উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ১৪ এইডস্ হলে ঘন ঘন জ্বরভাব দেখা যায়কেন?

উত্তর : এইডস্ হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দেহ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না। ফলে ঘন ঘন জ্বরভাব দেখা যায়।

প্রশ্ন ১৫ AIDS কীভাবে হয়?

উত্তর : Human Immune Deficiency Virus (HIV) নামক এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণের AIDS হয়। HIV ভাইরাস শ্বেত রক্তকণিকার ধ্বংস সাধন করে ও এন্টিবডি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই AIDS বলে।

প্রশ্ন ১৬ গর্ভাবস্থায় অমরা নিঃসৃত হরমোন গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর : গর্ভাবস্থায় অমরা নিঃসৃত হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ গর্ভাবস্থায় অমরা থেকে এমন কতকগুলো হরমোন নিঃসৃত হয় যা মাতৃদুগ্ধ উৎপাদন ও প্রসব সহজ করতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ১৭ বয়ঃসন্ধিকাল বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকাল বলতে কৈশোর ও তারুণ্যের মধ্যবর্তী সময়কে বোঝায় ।

মানবশিশু তার বাল্যকাল অতিক্রম করে কৈশোর ও তারুণ্যে উপনীত হয়। কৈশোর ও তারুণ্যের সন্ধিকালই হলো বয়ঃসন্ধিকাল। এসময় ছেলে মেয়েদের দৈহিক গঠন যৌন বৈশিষ্ট্যগুলোর বিকাশ ঘটে এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটে। মানবজীবনের এই সময়কালই বিশেষভাবে লক্ষণীয় ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।

প্রশ্ন ১৮ অমরা একটি ভ্রূণকে বাঁচিয়ে রাখে কীভাবে?

উত্তর : অমরার মাধ্যমে একটি ভ্রূণ তার মাতৃদেহ থেকে সকল খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে এবং অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং ভ্রূণ নিজের কার্বন ডাইঅক্সাইড বিনিময় করে। এভাবে অমরা একটি ভ্রূণকে বাঁচিয়ে রাখে ।

প্রশ্ন ১৯ দ্বিনিষেক কী?

উত্তর: প্রায় একই সময়ে দু’টি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণু (n) ও অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার (2n) এর সাথে মিলিত হওয়ার ঘটনাই হলো দ্বি-নিষেক।

প্রশ্ন ২০ পাতাশেওলার পরাগায়ন হয় কীভাবে?

উত্তর: পাতাশেওলার ফুল আকারে ক্ষুদ্র এবং হালকা হওয়ায় সহজেই পানিতে ভাসতে পারে। পরিণত পুংপুষ্প বৃত্ত থেকে খুলে পানিতে ভাসতে থাকে। পুংপুষ্প ভাসতে ভাসতে স্ত্রীপুষ্পের কাছে পৌঁছালে সেখানেই পরাগায়ন ঘটে ।

প্রশ্ন ২১ ধৃতরা ফুলে কী ধরনের পরাগায়ন হয়? ব্যাখ্যা করো

উত্তর: ধুতুরা ফুলে স্ব-পরাগায়ন হয়। একই ধুতুরা ফুলে বা একই ধুতুরা গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে পরাগায়ন ঘটে থাকে। ধুতুরা ফুলে পরাগায়নের ক্ষেত্রে পরাগরেণর অপচয় কম হয়, পরাগায়নের জন্য বাহকের উপর নির্ভর করতে হয় না এবং পরাগায়ন নিশ্চিত হয় ।

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২২ উদ্ভিদের জন্য ফুল প্রয়োজন কেন?

উত্তর: উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গই হলো ফুল : এটি প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিটপ মাত্র। ফুলে অবস্থিত পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি প্রজননে অংশ নেয়। অন্য স্তবকগুলোও প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধিতে ফুল অত্যাবশ্যক ।

প্রশ্ন ২৩ দ্বিনিষেক বলতে কী বোঝ?

উত্তর: প্রায় একই সময়ে দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণুর সাথে এবং অপরটি গৌণ নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়ে যে দুটি নিষেক সম্পন্ন হয় তাকে বলা হয় দ্বিনিষেক। দ্বিনিষেক গুপ্তবীজী উদ্ভিদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। দ্বিনিষেকের মাধ্যমে নিষিক্ত ডিম্বাণু জাইগোটে পরিণত হয় এবং তা বার বার বিভাজিত হয়ে ভ্রুণ সৃষ্টি করে। অন্যদিকে গৌণ নিউক্লিয়াসটি নিষিক্ত হয়ে শস্য কলায় পরিণত হয় যা ভ্রূণকে পুষ্টি যোগায় ।

প্রশ্ন ২৪ স্ব পরাগায়ন পর পরাগায়নের মধ্যে বৈসাদৃশ্যগুলো লেখো।

উত্তর: স্বপরাগায়ন ও পর পরাগায়নের পার্থক্য নিম্নে দেওয়া হলো-

স্বপরাগায়নপরপরাগায়ন
i. স্ব-পরাগায়নে একই ফুলে বা একই গাছের দুটি ভিন্ন ফুলের মধ্য পরাগায়ন ঘটে।i. পর-পরাগায়নে একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলে পরাগায়ন ঘটে।
ii. বাহকের প্রয়োজন হয় না।ii. বাহকের প্রয়োজন হয়।
iii. প্রজাতির গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে ।iii. প্রজাতির গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে না অর্থাৎ ভ্যারাইটির সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ২৫ পতঙ্গ পরাগী ফুল বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: যে সকল ফুলে পতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন হয় সেগুলো পতঙ্গ পরাগী ফুল পতঙ্গ পরাগী ফুল বড়, রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত এবং পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঠালো সুগন্ধযুক্ত হয়, যেমন— জবা, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদি :

প্রশ্ন ২৬ প্রজনন বলতে কী বোঝ?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে ঐ প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রজনন । এটি এমন একটি শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম যার মাধ্যমে জীব তার প্রতিরূপ সৃষ্টি করে ভবিষ্যৎ বংশধর রেখে যায়।

প্রশ্ন ২৭ বহিঃনিষেক বলতে কী বোঝ?

উত্তর: যে নিষেক ক্রিয়া প্রাণিদেহের বাইরে সংঘটিত হয় তা বহিঃনিষেক নামে পরিচিত। এ ধরনের নিষেক সাধারণত পানিতে বাস করে এমন সব প্রাণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেমন— বিভিন্ন ধরনের মাছ। তবে এর ব্যতিক্রম রয়েছে, যেমন- হাঙ্গর এবং কয়েক প্রজাতির মাছ।

প্রশ্ন ২৮ সস্য কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: সস্য হলো বীজের একটি অংশ। উদ্ভিদের নিষেকের সময় যে দুইটি পুংজনন কোষ ভ্রূণথলিতে মুক্ত হয় তার একটি পুংজনন কোষ গৌণ নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়ে ট্রিপ্লয়েড (3n) সস্য কোষ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এই শস্যকোষ মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে সস্যটিস্যু উৎপন্ন করে যা বীজের একটি অংশে পরিণত হয় ।

প্রশ্ন ২৯ ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তৰক বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গে ফুলের পাঁচটি অংশ থাকতে পারে। যথা- পুষ্পাক্ষ, বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক। এর মধ্যে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি জনন কাজে অংশগ্রহণ করে । এজন্য এই স্তবকদ্বয়কে ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলে।

প্রশ্ন ৩০ পুষ্পমঞ্জরি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: গাছের ছোট শাখায় ফুলগুলো বিশেষ একটি নিয়মে সাজনো থাকে। ফুলসহ এই শাখাকে পুষ্পমঞ্জরি বলে। পুষ্পমঞ্জরির যে শাখায় ফুলগুলো সজ্জিত থাকে তাকে মঞ্জরিদণ্ড বলে। পুষ্পমঞ্জরি দু ধরনের। যথা- অনিয়ত পুঞ্জমঞ্জরি এবং নিয়ত পুষ্পমঞ্জরি।

প্রশ্ন ৩১ জরায়ুর কোন অঙ্গ বৃক্কের মত কাজ করে? ব্যাখ্যা করো।

বা, অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করেব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বৃক্ক মূত্র সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। অমরা মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ-জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত করে। এই অমরার মাধ্যমে বিপাকের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ ভ্ৰূণদেহ থেকে মাতৃদেহে অপসারিত হয়, যা বৃক্কের কাজের অনুরূপ।

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ৩২ পতঙ্গপরাগী ফুল বলতে কী বোঝ?

উত্তর: যে সকল ফুলে পতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন হয় সেগুলো পতঙ্গ পরাগী ফুল। পতঙ্গ পরাগী ফুল বড়, রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত এবং পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঁঠালো সুগন্ধযুক্ত হয়, যেমন— জবা, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদি ।

প্রশ্ন ৩৩ টেস্টোস্টেরন ইস্ট্রোজেন গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর: টেস্টোস্টেরন হলো পরিণত বয়সের পুরুষের জননাঙ্গ থেকে উৎপন্ন এক ধরনের হরমোন। শুক্রাশয় থেকে নিঃসৃত এই হরমোন শুক্রাণু উৎপাদন, দাঁড়ি গোফ গজানো, গলার স্বর পরিবর্তন ইত্যাদি যৌন লক্ষণ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, পরিণত বয়সের নারীদের জননাঙ্গ ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত ইস্ট্রোজেন হরমোন তাদের নারীসুলভ আচরণ, ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ, গর্ভাবস্থায় জরায়ু, ভ্রূণ, অমরা ইত্যাদির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া ডিম্বাণু উৎপাদনে এ হরমোন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রশ্ন ৩৪ ফিটাস কী? বুঝিয়ে লেখো?

উত্তর: যৌন প্রজননের ক্ষেত্রে প্রাণীর ভ্রূণ তৈরির পর মাতৃগর্ভে অমরা মধ্যে ভ্রূণের বৃদ্ধি চলতে থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রায় ৮ সপ্তাহ পরে ভ্রূণকে ফিটাস বলা হয়। এ সময় ভ্রূণের অঙ্গগুলো ছোট আকারের থাকে।

প্রশ্ন ৩৫ রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বুঝো ব্যাখ্যা করো

উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালের ১-২ বছর পর মেয়েরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের ঋতুস্রাব চক্র চলতে থাকে। এরপর ঋতুস্রাব চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। একে মেনোপজ বা রজনিবৃত্তিকাল বলা হয় ।

প্রশ্ন ৩৬ AIDS কে ঘাতক রোগ বলা হয় কেন?

উত্তর: HIV ভাইরাস এর আক্রমনে AIDS হয়। এ ভাইরাস শ্বেত রক্ত কনিকার ক্ষতি সাধন করে ও এ কনিকায় এন্টিবডি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে শ্বেত রক্তকনিকায় সংখ্যা ও এন্টিবডির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এ ভাইরাসের আক্রমনে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য হয়ে পড়ে। এসব কারণে AIDS কে ঘাতক রোগ বলা হয় ৷

*তথ্যকণিকা*

১. জীবের বংশধর সৃষ্টির প্রক্রিয়া হলো — প্রজনন

২. নিম্নশ্রেণির জীবে সংঘটিত প্রজনন প্রক্রিয়া — অযৌন জনন ।

৩. দুটি বিপরীতধর্মী জননকোষের মিলনের মাধ্যমে সংঘটিত প্রজনন — যৌন জনন।

৪. ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া প্রভৃতির প্রজনন পদ্ধতি — অযৌন জনন ।

৫. প্রজননের জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্তবক হলো — দু’টি।

৬. পুঃস্তবক ও স্ত্রী স্তবক দুটোই উপস্থিত থাকে — উভলিঙ্গ ফুলে ।

৭. পুংস্তবকের প্রতিটি অংশকে বলা হয় — পুংকেশর।

৮. পুংকেশরের শীর্ষে থলের ন্যায় অংশকে বলে — পরাগধানী।

৯. রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত ফুলে পরাগায়নের মাধ্যম হলো — পতঙ্গ।

১০. পুংজনন কোষ ও গৌণ নিউক্লিয়াস মিলিত হয়ে সৃষ্টি করে —  ট্রিপ্লয়েড সস্য।

জীববিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১১. স্পোরোফাইটের প্রথম কোষ — জাইগোট।

১২. ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের কোষটিকে বলা হয় — ভিত্তি কোষ ।

১৩. ভ্রূণথলির কেন্দ্রের দিকে অবস্থান করে — এপিক্যাল কোষ।

১৪. গৌণ নিউক্লিয়াসটি উৎপন্ন করে — সস্যটিস্যু।

১৫. সস্যকোষ হলো — ট্রিপ্লয়েড।

১৬. নিষেকের পর ডিম্বক পরিণত হয় — বীজে।

১৭. প্রাণিজগতে প্ৰজনন দেখা যায় — ২ ধরনের।

১৮. যৌন জননে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন হলো — নিষেক।

১৯. নিম্নশ্রেণির প্রাণীতে সংঘটিত জনন পদ্ধতি হলো — অযৌন প্রজনন।

২০. জাইগোটে ক্রোমোজোমের সংখ্যা — ডিপ্লয়েড।

২১. ক্রোমোজোম সংখ্যার দিক দিয়ে জনন কোষ — হ্যাপ্লয়েড।

২২. স্ত্রীদেহের জননাঙ্গে সংঘটিত নিষেক হলো — অন্তঃনিষেক।

রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন

২৩. নালিহীন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত জৈব রাসায়নিক পদার্থ — হরমোন।

২৪. টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের উৎপত্তিস্থল — শুক্রাশয়।

২৫. HIV ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড হলো — RNA.

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. কোন ফুলে দ্বিগুচ্ছ পরাগদন্ড থাকে?

ক. জবা                                   খ. মটর

গ. শিমুল                                 ঘ. সূর্যমুখী

উত্তর: খ. মটর

২. বায়ুপরাগী ফুল

i. আকারে বড় হয়

ii. গর্ভমুভযুক্ত

iii. মধুগ্রন্থি অনুপস্থিত থাকে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

. উদ্দীপকের কোনটি পরিবর্তিত হয়ে বীজ হয়?

ক. N                                       খ. O

গ. P                                         ঘ. Q

উত্তর: খ. Q

পদার্থ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. সস্যকলা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে কোনটি?

ক. M ও Q                               খ. M ও P  

গ. M ও N                                ঘ. N ও P

উত্তর: খ. M ও P  

. পতঙ্গ পরাগায়ী ফুলনিচের কোনটি?

ক. জবা                                   খ. শিমুল

গ. কদম                                  ঘ. কচু

উত্তর: ক. জবা

. কত সপ্তাহের পরে ভ্রূণকে ফিটাস বলে?

ক. ৬                                       খ.৭

গ.৮                                         ঘ. ৯

উত্তর: গ.৮

. অমরার কাজ দেহের কোন অঙ্গটির কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?

ক. যকৃত                                 খ. ইউরেটর

গ. অগ্নাশয়                              ঘ. বৃক্ক

উত্তর: ঘ. বৃক্ক

. ফুলের গর্ভপত্রের অংশ নয় কোনটি?

ক. পরাগধানী                         খ. গর্ভমুণ্ড

গ. গর্ভাশয়                               ঘ. গর্ভদন্ড

উত্তর: ক. পরাগধানী

. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী বিশ্বের কতটি দেশে AIDS রোগের বিস্তার ঘটেছে?

ক. ১৬৪                                  খ. ১৪৬

গ.২৬৪                                    ঘ. ২৪৬

উত্তর: ক. ১৬৪

১০. কোনটি স্বপরাগায়নের বৈশিষ্ট্য?

ক. নুতন প্রজন্মের উদ্ভিদের নূতনগুণের আবির্ভাব ঘটে

খ. জীবনীশক্তি সম্পন্ন বীজের সৃষ্টি হয়

গ. পরাগরেণুর অপচয় হয়

ঘ.নতুন গাছের অভিযোজন ক্ষমতা লোপ পায়

উত্তর: ঘ.নতুন গাছের অভিযোজন ক্ষমতা লোপ পায়

১১. কোন ফুলে বহুগুচ্ছ পরাগ দন্ড থাকে ?

ক. শিমুল                                ক. জবা

গ. সরিষা                                 ঘ. ধুতুরা

উত্তর: ক. শিমুল

১২. এইডস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় কত মাসে?

ক. ছয়                         খ. সাত

গ. আট                                    ঘ. নয়

উত্তর: ক. ছয়

১৩. একটি আদর্শ ফুলের কয়টি অংশ?

ক. ২                                        খ. ৩

গ. ৪                                         ঘ. ৫

উত্তর: ঘ. ৫

বাংলা দ্বিতীয় সমাস বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

১৪. ফুলের কোন অংশ বীজ উৎপাদনকারী?

ক. গৰ্ভমুণ্ড                              খ. পরাগধানী

গ. গর্ভাশয়                               ঘ. বৃন্ত

উত্তর: গ. গর্ভাশয়

১৫. সবুজ রঙের বৃতি

i. খাদ্য প্রস্তুত করে

ii. ফুলের ভেতরের অংশকে রক্ষা করে

iii. পশু, পাখিকে আকর্ষণ করে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

১৬. পতঙ্গ পরাগীফুল

i. আকারে বড় হয়

ii. গর্ভমুন্ড আঠালো

iii. রঙিন ও মধু গ্রন্থিযুক্ত

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ১৭ ১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১৭. একটি প্রকৃত ফল গঠনে অংশ নেয় কোনটি?

i. P, Q

ii. S, Q

iii. R, P

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

১৮. উদ্দীপকের কোনটি পরিবর্তিত হয়ে সস্যকলা সৃষ্টি হয়?

ক. S                                        খ. Q

গ. P                                         ঘ. R

উত্তর: গ. P

১৯. সকল জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে কোন প্রক্রিয়ায়?

ক. পরাগায়ন                           খ. প্রজনন

গ. স্পোর                                 ঘ. কোষ বিভাজন

উত্তর: খ. প্রজনন

বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

২০. দুধরনের জনন কোষ যে উদ্ভিদে সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে?

ক. সপুষ্পক উদ্ভিদ

খ. অপুষ্পক উদ্ভিদ

গ. ভিন্নবাসী উদ্ভিদ

ঘ. সহবাসী উদ্ভিদ

উত্তর: ঘ. সহবাসী উদ্ভিদ

২১. দুধরনের জনন কোষ যখন ভিন্ন উদ্ভিদে সৃষ্টি হয় তখন তাকে কী বলে ?

ক. সপুষ্পক উদ্ভিদ

খ. ভিন্নবাসী উদ্ভিদ

গ. অপুষ্পক উদ্ভিদ

ঘ. সহবাসী উদ্ভিদ

উত্তর: খ. ভিন্নবাসী উদ্ভিদ

২২. জননকোষ সৃষ্টির পূর্বশর্ত কোনটি?

ক. মিয়োসিস

খ. মাইটোসিস

গ. সাইটোকাইনেসিস

ঘ. কোষ বিভাজন

উত্তর: ক. মিয়োসিস

২৩. পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব বিস্তার সম্ভব কোন কারণে?

ক. প্রজনন                              খ. বৃদ্ধি

গ. শ্বসন                                   ঘ. বিপাক

উত্তর: ক. প্রজনন

২৪. মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় ঘটে?

ক. ভ্রূণে                                   খ. ডিম্বাণুতে

গ. জননকোষে                       ঘ. জনন মাতৃকোষে

উত্তর: ঘ. জনন মাতৃকোষে

২৫. কোন প্রকার কোষ বিভাজনে ক্রোমোসোমের সংখ্যা মাতৃকোষের অর্ধেক হয়ে যায়?

ক. মাইটোসিস

খ. মিয়োসিস

গ.অ্যামাইটোসিস

ঘ মাইটোসিস ও মিয়োসিস

উত্তর: খ. মিয়োসিস

২৬. জননকোষ কোনটি ?

ক. ডিম্বক

খ. হ্যাপ্লয়েড কোষ

গ. সজীব কোষ

ঘ. শুক্রাণু ও ডিম্বাণু

উত্তর: ঘ. শুক্রাণু ও ডিম্বাণু

২৭. যৌন জননে কয়টি বিপরীতধর্মী জননকোষ পরস্পরের সাথে মিলিত হয়?

ক. ২                                        খ. ৩

গ. 8                                         ঘ. ৫

উত্তর: ক. ২

২৮. বীজ সৃষ্টি হয় কোথা থেকে?

ক. ডিম্বক                                খ. গৰ্ভমুণ্ড

গ. গর্ভাশয়                               ঘ. ডিম্বাণু

উত্তর: ক. ডিম্বক

২৯. মাইটোটিক কোষ বিভাজন হয় কোথায়?

ক. দেহকোষে              খ. জনন মাতৃকোষে

গ. জননকোষে                        ঘ. ডিম্বাণুতে

উত্তর: ক. দেহকোষে

৩০. জীবের প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে

i. প্রজনন

ii. মিয়োসিস

iii. কোষ বিভাজন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i. ii ও iii

উত্তর: ঘ. i. ii ও iii

৩১. নতুন জীবদেহ সৃষ্টি করে

i. প্ৰজনন

ii. মাইটোটিক কোষ বিভাজন

iii. মিয়োসিস কোষ বিভাজন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i                             খ. ii

গ. iii                            ঘ. ii ও iii

উত্তর: ঘ. ii ও iii

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩২ ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যেটি না হলে জীবের অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে যেত। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া হতে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত সকল জীব ঐ বিশেষ প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে বংশধর সৃষ্টি করে প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে।

৩২. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বিশেষ প্রক্রিয়াটি কী?

ক. ব্যাপন                                খ. অভিস্রবণ

গ. প্ৰজনন                               ঘ. পরাগায়ন

উত্তর: গ. প্ৰজনন

৩৩. উল্লিখিত বিশেষ প্রক্রিয়াটি

i. দুইভাবে ঘটতে পারে

ii. জীবের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভরশীল

iii. শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণির উদ্ভিদে হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i. ii ও iii

উত্তর: ঘ. i. ii ও iii

৩৪. একটি সম্পূর্ণ ফুলের কয়টি অংশ থাকে?

ক. দুটি                                     খ. তিনটি

গ. চারটি                                  ঘ. পাঁচটি

উত্তর: ঘ. পাঁচটি

৩৫. বৃত্যাংশ কার অংশ?

ক. বৃত্তের                                 খ. দলমণ্ডলের

গ. বৃতির                                  ঘ. উপবৃত্তির

উত্তর: বৃতির

৩৬. নিচের কোনটিতে পরপরাগায়ন ঘটে?

ক. সরিষা                                খ. শিমুল

গ. কুমড়া                                 ঘ. ধুতুরা

উত্তর: খ. শিমুল

৩৭. মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে কোনটির প্রজনন সবচেয়ে ধীর গতিতে হয়?

ক. বাঘ                                    খ. হাতি

গ. ঘোড়া                                 ঘ. গর্

উত্তর: খ. হাতি

৩৮. শিশু জন্মের কত দিন পর মায়েদের রক্তস্রাব শুরু হয়?

ক. ২৫                                    খ. ৩০

গ. ৩৫                                     ঘ. ৪৫

উত্তর: ঘ. ৪৫

৩৯. গর্ভযন্ত্রে কয়টি কোষ থাকে?

ক.২                                         খ. ৩

গ. ৬                                       ঘ. ৮

উত্তর: খ. ৩

৪০. স্ত্রী গ্যামেটোফাইটে কয়টি হ্যাপ্লয়েড কোষ সৃষ্টি হয়?

ক. ১                                        খ. ২

গ. ৩                                        ঘ. ৪

উত্তর: ঘ. ৪

৪১. প্রাণীর মাধ্যমে পরাগায়ন হয় কোন ফুলে?

ক. সরিষা                                 খ. ধান

গ. পাতাশেওলা                        ঘ. কদম

উত্তর: ঘ. কদম

ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৪২. নিচের কোনটি উভলিঙ্গ ফুল?

ক. লাউ                                   খ. ধুতরা

গ. কুমড়া                                ঘ. হাতি শুঁড়

উত্তর: খ. ধুতরা

৪৪. ফুলে চিত্র: X এর বিন্যাস কীরূপ হলে, তাকে যুক্তধানী বলে?

ক. ‘P’ একগুচ্ছে

খ. ‘Q’ মুক্ত অবস্থায়

গ. ‘P’ দলমণ্ডলের সাথে যুক্ত

ঘ. ‘Q’ একগুচ্ছে

উত্তর: ক. ‘P’ একগুচ্ছে

৪৫. নিষেকের কত সপ্তাহের মধ্যে অমরা গঠিত হয়?

ক. 8                                        খ. ৮

গ. ১২                                       ঘ. ১৬

উত্তর: গ. ১২

৪৬. বয়ঃসন্ধিকালের কত বছর পর মেয়েরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে?

ক. ৪-৫ বছর                           খ. ৩-৪ বছর

গ. ২-১ বছর                            ঘ. ১-২ বছর

উত্তর: ঘ. ১-২ বছর

৪৭. শুক্রাশয় হতে নির্গত হরমোন কোনটি?

ক. ইস্ট্রোজেন                         খ. অ্যান্ড্রোজেন

গ. রিলাক্সিন                            ঘ. প্রোজেস্টেরন

উত্তর: খ. অ্যান্ড্রোজেন

৪৮. নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় কিসে পরিণত হয়?

ক. বীজ                                   খ. ফল

গ. ফুল                                    ঘ. ভ্র্রূণ

উত্তর: গ. ফুল

৪৯. নিচের কোনটি বায়ুপরাগী ফুল?

ক. কচু                                    খ. সরিষা

গ. কুমড়া                                ঘ. ধান

উত্তর: ঘ. ধান

৫০. শিমুল ফুলের পুংস্তবক কোন ধরনের?

ক. একগুচ্ছ                            খ. দ্বিগুচ্ছ

গ. বহুগুচ্ছ                              ঘ. দললগ্ন

উত্তর: গ. বহুগুচ্ছ

৫১. কোনটি ট্রিপ্লয়েড?

ক. ভ্ৰূণ                                    খ. জাইগোট

গ. সস্যটিস্যু                            ঘ. প্রতিপাদ কোষ

উত্তর: গ. সস্যটিস্যু

৫২. স্বপরাগায়ন ঘটে কোন ফুলে?

ক. ধুতুরা                                  খ. শিমুল

গ. পেঁপে                                 ঘ. কুমড়া

উত্তর: ক. ধুতুরা

৫৩. কোন প্রাণীটিতে অন্তঃনিষেক ঘটে?

ক. রুই                                    খ. মৃগেল

গ. হাঙর                                  ঘ. তেলাপিয়া

উত্তর: গ. হাঙর

৫৪. শস্যকোষ কেন্দ্রিকায় কত সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে?

ক. n                                        খ. 2n

গ. 3n                                       ঘ. 4n

উত্তর: গ. 3n

বাংলা দ্বিতীয় পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

৫৫. কোনটি প্রাথমিক জনন কোষ?

ক. মূল                                    খ. পরাগধানী

গ.দলমণ্ডল                             ঘ. উপবৃতি

উত্তর: খ. পরাগধানী

৫৬. কোনটি ভ্রূণের ক্ষেত্রে বৃক্ক এবং ফুসফুসের ন্যায় কাজ করে?

ক. জরায়ু প্রাচীর                     খ. অমরা

গ. আদি ঝিল্লি                         ঘ. অ্যাম্বিলিকাল

উত্তর: খ. অমরা

৫৭. নিষেকের পর ডিম্বকনাড়ী কীসে রূপান্তরিত হয়?

ক. সস্য টিস্যু                          খ. ডিম্বকনাভি

গ. ডিম্বকরন্ধ্র                           ঘ. বীজবৃন্ত

উত্তর: ঘ. বীজবৃন্ত

৫৮. স্পোরোফাইটের প্রথম কোষ কোনটি?

ক. ভ্ৰূণ                                    খ. দেহকোষ

গ. জাইগোট                            ঘ. জননকোষ

উত্তর: গ. জাইগোট

নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৫৯ ও ৬০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৫৯. A চিহ্নিত অংশটির নাম কী?

ক. গর্ভাশয়                             খ. গর্ভদন্ড

খ. গর্ভমুন্ড                              ঘ. গর্ভপত্র

উত্তর: খ. গর্ভমুন্ড

৬০. B চিহ্নিত অংশটি

i. হচ্ছে গর্ভদন্ড

ii. হচ্ছে গর্ভমুন্ড

iii. গর্ভপত্রের একটি অংশ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                   খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                 ঘ. i. ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. পরাগথলি কী?

খ. অনিয়ত পুষ্পমঞ্জরি বলতে কী বুঝায়?

গ. P অংশটি এই ফুলে অনুপস্থিত থাকলে পরাগায়নের ক্ষেত্রে কী ঘটবে ব্যাখ্যা কর ।

ঘ. Q চিহ্নিত অংশটি কীভাবে প্রজাতিকে রক্ষা করে যুক্তিসহ তোমার মতামত ব্যক্ত কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. পুংকেশরের শীর্ষের থলির মতো অংশকে পরাগথলি বা পরাগধানী বলে ।

. গাছের একটি শাখায় ফুলগুলো বিশেষ নিয়মে সাজানো থাকে। ফুলসহ এই শাখাকে পুষ্পমঞ্জরি বলে।

মঞ্জরির যে শাখায় ফুলগুলো সজ্জিত থাকে তাকে মঞ্জরিদন্ড বলে। এই শাখার বৃদ্ধি অসীম হলে তাকে অনিয়ত পুষ্পমঞ্জরি বলে।

. চিত্রের P অংশটি হলো ফুলের পুংস্তবক। এটি অনুপস্থিত থাকলে ফুলের স্বপরাগায়ন ঘটবে না। তবে পরপরাগায়ন ঘটবে।

পুংস্তবকের অংশগুলোকে পুংকেশর বলে। এটি ফুলের অন্যতম অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ এবং এক বা একাধিক পুংকেশর নিয়ে গঠিত। পুংকেশরের দুটি অংশ- পুংদন্ড ও পরাগধানী। পরাগধানীর অভ্যন্তরে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু একই ফুলের বা একই প্রজাতির অন্যফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরাগায়ন বলে।

অর্থাৎ পরাগায়নের জন্য পরাগরেণু অত্যাবশ্যক। কিন্তু ফুলে যদি পুংস্তবকই না থাকে তবে পরাগরেণু উৎপন্ন হবে না এবং স্বপরাগায়ন সংগঠিত হবে না তবে পরপরাগায়ন ঘটবে।

সুতরাং চিত্রের P অংশটি বা পুংস্তবক অনুপস্থিত থাকলে স্বপরাগায়ন ঘটবে না ।

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

. Q চিহ্নিত অংশটি গর্ভাশয় যা ডিম্বাণু উৎপাদনের মাধ্যমে উদ্ভিদের প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষা করে ।

গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বক থাকে। ডিম্বকের মধ্যে স্ত্রী প্রজনন কোষ বা ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়। এই ডিম্বাণুই সরাসরি জনন কাজে অংশগ্রহণ করে।

পরাগায়নের মাধ্যমে গর্ভমুন্ডে পরাগরেণু পতিত হলে সেখান থেকে শুক্রাণু ভ্রূণথলিতে প্রবেশ করে এবং ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে নিষেক ক্রিয়া সম্পন্ন করে। নিষেকের মাধ্যমে যৌন জনন সম্পন্ন হয়। এর ফলে ভ্রূণ, বীজ ও ফল সৃষ্টি হয়। বীজ থেকেই উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টির মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ও প্রজাতি রক্ষার ধারা অব্যাহত থাকে ৷

সুতরাং বলা যায়, চিত্রের Q চিহ্নিত গর্ভাশয়ের ভিতরে যে বীজ উৎপন্ন হয় তা থেকে ঐ প্রজাতির চারা উদ্ভিদ জন্মায় এবং প্রকৃতিতে ঐ প্রজাতি অস্তিত্ব রক্ষা হয়।

প্রশ্ন২: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

১২ বছরের হৃদয় ছোটবেলা থেকে সুরেলা কণ্ঠে গান গায়। ইদানীং কিছু দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনের পাশাপাশি তার গলার স্বর মোটা হয়ে গেছে। তাই তার মা চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি বললেন এ সময়ে শিশুদের মধ্যে এরূপ পরিবর্তন ঘটাই স্বাভাবিক।

ক. অমরা কী?

খ. AIDS কে ঘাতক রোগ বলা হয় কেন?

গ. হৃদয়ের ঐ সময়ের ঘটনাগুলো ঘটার কারণ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. হৃদয়ের ঐ সময়ে পরিবারের বড়দের তার প্রতি করণীয় ভূমিকাগুলো ব্যাখ্যা কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

. অমরা একটি বিশেষ অঙ্গ যার মাধ্যমে মাতৃজরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃজরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

. AIDS রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার মতো কোনো ব্যবস্থা এখনও আবিষ্কার হয়নি বলে একে ঘাতক রোগ বলা হয়।

Human Immune Deficiency Virus সংক্ষেপে HIV ভাইরাসের আক্রমণে AIDS হয়। এই ভাইরাসের আক্রমণে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য হয়ে পড়ে।

. হৃদয়ের ঐ সময়ের ঘটনাগুলো ঘটার কারণ হলো বয়ঃসন্ধিকালের হরমোনঘটিত পরিবর্তন। কৈশোর ও তারুণ্যের সন্ধিকালই হলো বয়ঃসন্ধিকাল।

এ সময় ছেলেমেয়েদের দৈহিক ও মানসিক গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যগুলোর বিকাশ ঘটে। এ সময় পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমোন ও উৎপাদক হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোন ছাড়াও থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত থাইরক্সিন হরমোন দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি, যৌন লক্ষণ প্রকাশ ও বিকাশে সহায়তা করে।

ছেলেদের শুক্রাশয় থেকে নিঃসৃত টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন শুক্রাণু উৎপাদন, দাঁড়ি গোঁফ গজানো, গলার স্বর পরিবর্তন ইত্যাদি যৌন লক্ষণ প্রকাশে সহায়তা করে । এর ফলে তাদের দেহের বাইরে ও ভেতরে পরিবর্তন ঘটে।

সুতরাং বয়ঃসন্ধিকালের হরমোনঘটিত পরিবর্তনের কারণেই হৃদয়ের ঐ সময়ের ঘটনাগুলো ঘটেছে।

. হৃদয়ের ঐ সময়ে পরিবারের বড়দের তার প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে।

বয়ঃসন্ধিকালে অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি নিঃসৃত বিভিন্ন ধরনের হরমোনের জন্য ছেলেমেয়েদের দৈহিক আচরণিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। হঠাৎ করে দৈহিক এসব পরিবর্তনের কারণে তারা অনেকটা ভীত হয়ে পড়ে। তখন পরিবারের বড়দেরকে ছোটদের প্রতি বন্ধুর মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে , এসব দেহের স্বাভাবিক ঘটনা।

যে, হৃদয়কে অভ্যন্তরীণ “তে হবে ১০-১৪ বছরের এই বয়সে মানবদেহের ও বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন হবে তাতে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাহলে কৈশোরের এই বয়সে তারা সাহস পাবে এবং ধীরে ধীরে সবকিছু মানিয়ে নিতে শিখবে ।

রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

সুতরাং হৃদয়ের ঐ সময়ে পরিবারের বড়দের বিশেষ করে মা ও বাবাকে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। সব পরিবর্তনের বিষয় বোঝাতে হবে। তাহলে হৃদয় সবকিছু সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে।

প্রশ্ন-৩ : নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. হরমোন কী?

খ. বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টির প্রবাহ চক্রাকার—ব্যাখ্যা কর।

গ. ‘X’-চিত্রের A-চিহ্নিত অংশটি কীভাবে তৈরি হয়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্ভিদদেহে ‘A’ এবং ‘B’ এর অনুপস্থিতিতে কী ঘটবে— বিশ্লেষণ কর ।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

. প্রাণীদেহে বিশেষ নালীবিহীন গ্রন্থি নিঃসৃত রস হরমোন।

. উদ্ভিদ অজৈব বস্তু গ্রহণ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্ৰস্তুত করে । এসব উদ্ভিদ তৃণভোজী প্রাণী খায় এবং পর্যায়ক্রমে মাংসাশী প্রাণী এসব তৃণভোজীদের খায়। এসব উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মৃত্যুর পর বিয়োজকগুলো এদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে অজৈব বস্তুতে রূপান্তরিত করে পরিবেশে ফিরিয়ে দেয়। সবুজ উদ্ভিদ এসব অজৈব বস্তু গ্রহণ করে এবং পুনরায় খাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহার করে থাকে। তাই বলা যায়, বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টির প্রবাহ চক্রাকার।

. উদ্দীপকের ‘X’ চিত্রের ‘A’ চিহ্নিত অংশটি হলো পুংগ্যামেট । গুপ্তবীজী উদ্ভিদে পুংগ্যামেট নিম্নরূপে তৈরি হয় :

পরাগরেণু পুং-গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ। পরাগ মাতৃকোষটি (2n) মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে চারটি অপত্য পরাগ কোষ (n) সৃষ্টি করে। পূর্ণতাপ্রাপ্তির পরপর পরাগরেণু পরাগথলিতে থাকা অবস্থায়ই অঙ্কুরোদগম শুরু হয়। পরাগরেণুর কেন্দ্রিকাটি মাইটোটিক পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। এ বিভাজনে একটি বড় কোষ ও একটি ক্ষুদ্র কোষ সৃষ্টি হয়। বড়কোষটিকে নালিকোষ এবং ক্ষুদ্র কোষটিকে জেনারেটিভ কোষ বলে ।

নালিকোষ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরাগনালি এবং জেনারেটিভ কোষটি বিভাজিত হয়ে দুটি পুংজনন কোষ উৎপন্ন হয়। জেনারেটিভ কোষের এ বিভাজন পরাগরেণুতে অথবা পরাগনালিতে সংঘটিত হতে পারে।

ঘ. উদ্দীপকে A হলো পুংগ্যামেট বা পুংজনন কোষ। পরাগায়নের ফলে চিত্রে দেখানো ফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত পরাগরেণু থেকে সৃষ্ট পরাগনালিতে দুটি পুংগ্যামেট উৎপন্ন হয়েছে। আবার ফুলের গর্ভাশয়ে সৃষ্ট ভ্রূণথলির ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের গভযন্ত্রের তিনটি কোষের মধ্যে মাঝখানের বড় কোষটি হলো ডিম্বাণু যা চিত্রে B দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে। ভ্রূণথলিতে পরাগনালির অগ্রভাগ ফেটে পুংগ্যামেট দুইটি মুক্ত হয় ও এদের একটি ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে জাইগোট সৃষ্টি করে। একে নিষেক বলে।

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার সাথে মিলিত হয়ে ট্রিপ্লয়েড (3n) সস্যকোষের সৃষ্টি করে । জাইগোট কোষটি বিভাজিত হয়ে ক্রমান্বয়ে ফল, বীজ, বীজপত্র, ভ্রূণমূল, ভ্রূণকান্ড ইত্যাদি হয়। অর্থাৎ উদ্ভিদের পরবর্তী বংশধর সৃষ্টি হয়।

সুতরাং উদ্ভিদদেহে পুংগ্যামেট ও ডিম্বাণু না থাকলে নিষেক হবে না এবং তার পরবর্তী ধাপগুলোও সংঘটিত হবে না। ফলে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি থমকে যাবে এবং উদ্ভিদের মধ্যে প্রকরণের সৃষ্টি হবে না । ফলে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হবে না।

অতএব, উদ্ভিদদেহে A ও B এর অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদের বংশবিস্তার ও নতুন প্রজাতির উদ্ভব বিঘ্নিত হবে।

প্রশ্ন৪: নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. লোকাস কী?

খ. বহিঃনিষেক বলতে কী বুঝায়?

গ. A-এর বিকাশ প্রকিয়া ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে দেখানো প্রক্রিয়ায় হরমোনের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর ।

৪নং প্রশ্নের উত্তর

. লোকাস হলো ক্রোমোসোমে জিন অবস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থান

. যে নিষেক ক্রিয়া প্রাণীদেহের বাইরে সংঘটিত হয় তাকে বহিঃনিষেক বলে ।

বহিঃনিষেক সাধারণত পানিতে বাস করে এমন সব প্রাণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ । যেমন : বিভিন্ন ধরনের মাছ। তবে এর ব্যতিক্রম রয়েছে যেমন : হাঙ্গর এবং কয়েক প্রজাতির মাছ ।

. উদ্দীপকে বুঝানো হয়েছে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনের ফলে উৎপন্ন A এবং A এর বিকাশ।

মানুষের যৌন প্রজননে নিষিক্ত ডিম্বাণু অর্থাৎ জাইগোট, ধীরে ধীরে ডিম্বনালি বেয়ে জরায়ুর দিকে অগ্রসর । এ সময় জাইগোটক কোষ বিভাজন বা ক্লীভেজ চলতে থাকে। কোষ বিভাজনের শেষ পর্যায়ের গঠনমুখ ভ্রূণ ডিম্বনালি থেকে জরায়ুতে পৌছায়। এ পর্যায়ে ভ্রূণকে ব্লাস্টোসিস্ট বলা হয়। জরায়ুতে এর পরে যে ঘটনাবলির অবতারণা হয় তা ভ্রূণ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লাস্টোসিস্ট পরবর্তী পর্যায়গুলো সমাপনের জন্য ভ্রূণকে জরায়ুর প্রাচীরে সংলগ্ন হতে হয়। জরায়ুর প্রাচীরে ভ্রূণের এ সংযুক্তিকে ভ্রূণ সংস্থাপন বা গর্ভধারণ বলে। জরায়ুর অন্তঃগাত্রে সংলগ্ন অবস্থায় ভ্রূণটি বৃদ্ধি পায় ও মানব শিশুতে পরিণত হয়।

. উদ্দীপকে দেখানো প্রক্রিয়াটি হলো জীবের প্রজনন বা বংশবৃদ্ধি। এ প্রক্রিয়ায় হরমোন বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

হরমোন এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা নালিহীন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। হরমোন নির্দিষ্ট অথচ স্বল্পমাত্রায় নিঃসৃত হয়ে নানাবিধ শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। দেহে প্রজননে পিটুইটারি গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি, অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি, শুক্রাশয়ের অনাল গ্রন্থি, ডিম্বাশয়ের অনাল গ্রন্থি, অমরা। গ্রন্থিগুলো প্রজনন সংক্রান্ত হরমোন নিঃসরণ করে। এগুলোর মধ্যে সকল গ্রন্থি সরাসরি উদ্দীপকের ঘটনার সাথে জরিত থাকে না।

পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমোন ও উৎপাদক হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোনগুলো জনন গ্রন্থি বৃদ্ধি, ক্ষরণ ও কাজ নিয়ন্ত্রণ, মাতৃদেহে স্তন গ্রন্থির বৃদ্ধি ও দুগ্ধক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া জরায়ুর সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন যৌনাঙ্গ বৃদ্ধি ও যৌন লক্ষণ প্রকাশে সহায়তা করে। শুক্রাশয় থেকে নিঃসৃত টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন শুক্রাণু উৎপাদনে সহায়তা করে।

এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন ও রিলাক্সিন হরমোন মেয়েদের নারীসুলভ লক্ষণগুলো সৃষ্টি, ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ, গর্ভাবস্থায় জরায়ু, ভ্রূণ, অমরা ইত্যাদির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া ডিম্বাণু উৎপাদনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অমরা থেকে নিঃসৃত গোনাডোট্রপিক ও প্রোজেস্টেরন ডিম্বাশয়ের অনাল গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে ও স্তন গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, জীবের প্রজননে হরমোনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন৫ :

ক. দ্বি-নিষেক কী?

খ. বায়ুপরাগী ফুল বলতে কী বুঝায়?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘B’ অংশটির উৎপত্তি ব্যাখ্যা কর ।

ঘ. ‘A’ অংশটির নিষেক পরবর্তী পরিবর্তন জীবকুলকে কীভাবে রক্ষা করে – ব্যাখ্যা কর।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

. প্রায় একই সময়ে দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণু ও অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার সাথে মিলিত হওয়ার ঘটনা দ্বি-নিষেক।

. যেসব ফুলের পরাগায়ন বায়ুর মাধ্যমে হয়ে থাকে তাদের বায়ুপরাগী ফুল বলে। বায়ুপরাগী ফুলে সুগন্ধ নেই, এ ফুলগুলোর পরাগরেণু সহজেই বাতাসে ভেসে যেতে পারে, এদের গর্ভমুন্ড আঠালো ও শাখান্বিত। কখনো পালকের মতো ফলে বাতাস থেকে পরাগরেণু সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারে। যেমন : ধান ৷

. উদ্দীপকে উল্লিখিত B অংশটি হলো ডিম্বাণু। এর উৎপত্তি নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

ভ্রূণপোষক কলায় হ্যাপ্লয়েড ভ্রূণথলির সৃষ্টি হয়। ভ্রূণথলির কেন্দ্রিকা হ্যাপ্লয়েড (n)। এই কেন্দ্রিকাটি বিভক্ত হয়ে দুটি কেন্দ্রিকায় পরিণত হয়। এ কেন্দ্রিকাদ্বয় ভ্রূণথলির দুই মেরুতে অবস্থান নেয়। এবার এ দুটি কেন্দ্রিকার প্রতিটি পরপর দুবার বিভক্ত হয়ে চারটি করে কেন্দ্রিকার সৃষ্টি করে।

এর পরবর্তী ধাপে দুইমেরু থেকে একটি করে কেন্দ্রিকা ভ্রূণথলির কেন্দ্রস্থলে এসে পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড (2n) গৌণ কেন্দ্রিকা সৃষ্টি করে। দুই মেরুর কেন্দ্রিকাগুলো সামান্য সাইটোপ্লাজম সহকারে কোষের সৃষ্টি করে। ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের কোষ তিনটিকে গর্ভযন্ত্র বলে। এর মাঝের কোষটি বড়। একে ডিম্বাণু ও অন্য কোষকে সহকারি কোষ বলা হয় ।

ঘ. A অংশটি হলো সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস বা গৌণ কেন্দ্রিকা যার নিষেক পরবর্তী পরিবর্তন বীজ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবকুলকে রক্ষা করে।

নিষেকের ফলে সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস সস্যে পরিণত হয়। সস্য ভ্রূণের বিকাশের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে। পুংজনন কোষের সাথে সেকেন্ডারি (2n) নিউক্লিয়াসের মিলনকে ত্রিমিলন বলে । ত্রিমিলনের ফলে যে ট্রিপ্লয়েড কোষ গঠিত হয় তা হলো সস্যের প্রথম কোষ । এই ট্রিপ্লয়েড (3n) কোষটি মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে পরিপূর্ণ সস্য গঠন করে ।

সস্যল বীজে অঙ্কুরোদগমকালে ভ্রূণ সস্য টিস্যু হতে খাদ্য গ্রহণ করে। আর অসস্যল বীজে সস্য টিস্যু শোষিত হয়ে বীজপত্রে জমা হয় এবং বীজের অঙ্কুরোদগমকালে খরচ হয়। বীজ থেকে উৎপন্ন ভ্রূণ সস্য থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদে পরিণত হয়। বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ হচ্ছে উৎপাদক। সকল জীব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল।

এছাড়া উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে CO2 ও O2 এর ভারসাম্য বজায় রাখে। সুতরাং বীজে সস্য যদি না থাকত তাহলে ভ্রূণ থেকে পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ সৃষ্টি হতো না। ফলে বায়ুমন্ডলের CO2 ও O2 এর ভারসাম্য নষ্ট হতো এবং জীবকুল খাদ্য পেত না ।

উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, নিষেকের পর প্রকৃতপক্ষে গৌণ কেন্দ্রিকাটি (A) সস্যটিস্যু উৎপন্ন করে ভবিষ্যৎ উদ্ভিদকে বিকাশে সাহায্য করে জীবকুলকে রক্ষা করে ।

প্রশ্ন৬: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

আতাউর হোসেন কিছুদিন আগে একটি মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েন এবং তখন তাকে বাঁচানোর জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পরিচিত ব্যক্তিদের রক্ত তার গ্রুপের সাথে না মিলায় একজন পেশাদার রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করা হয়। এতে কিছুদিন পর ধরা পড়ে আতাউর হোসেন একজন HIV বহনকারী। পরীক্ষা না করে রক্ত গ্রহণের ফলে আজ আতাউর এইডস এর ভয়ঙ্কর শিকারে পরিণত হয়েছেন

ক. AIDS এর পূর্ণরূপ কী?

খ. কীভাবে AIDS এর সংক্রমণ ঘটে?

গ. উল্লিখিত রোগের প্রাদুর্ভাবে আতাউর হোসেনের দেহে কী ধরেনের লক্ষণ দেখা দেবে?

ঘ. উল্লিখিত রোগটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় ব্যাপক জনসচেতনতা— কথাটি বিশ্লেষণ কর ।

৬নং প্রশ্নের উত্তর

ক. AIDS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- Acquired Immune Deficiency Syndrome |

. কতগুলো নির্দিষ্ট উপায়ে এইডস রোগের সংক্রমণ ঘটে । যেমন-

i. HIV ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের সাথে সরাসরি সংযোগ ঘটলে।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

ii. HIV ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্লেড, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ইত্যাদি ব্যবহার করলে ।

iii. অনিরাপদ দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করলে।

iv. এইডস রোগী সন্তান ধারণ করলে বা সন্তানকে দুধ পান করালে সন্তানের ভেতরও HIV

প্রবেশ করে।

. আতাউর সাহেব এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিবে । নিচে তা উল্লেখ করা হলো-

i. শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পাবে।

ii. এক মাসের বেশি সময় ধরে একটানা বা থেমে থেমে পাতলা পায়খানা হবে।

iii. বার বার জ্বর হবে বা রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হবে।

iv. অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভূত হবে।

v. শুকনো কাশি হবে।

. উল্লিখিত রোগটি হলো এইডস যা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় ব্যাপক জনসচেতনতা।

বর্তমান বিশ্বে এক ভয়াবহ জীবননাশি রোগের নাম এইডস। যার ভয়ঙ্কর থাবায় প্রচুর মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এই রোগের কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই মারাত্মক রোগটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ফলে এই রোগ সারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে।

মানুষ এখনও ভালোভাবে জানে না কেন এই রোগ ছড়ায় এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কী? এর জন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে সহজেই এই রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। মানুষের রক্তগ্রহণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অপরীক্ষিত ও অপরিচিত ব্যক্তির রক্ত কখনই গ্রহণ করা যাবে না। প্রতিবার নতুন ব্লেড ব্যবহার করতে হবে। কোনো ইনজেকশন বা ব্যবহৃত ইনজেকশনের সুচ ব্যবহার করা যাবে না। নিরাপদ ও নৈতিক দৈহিক মিলন ব্যতীত অনিরাপদ ও অনৈতিক দৈহিক মিলন থেকে দূরে থাকতে হবে।

এই সমস্ত জনসচেতনতামূলক প্রচারণাই এইডসবিহীন সুন্দর সমাজ গঠন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তাই বলা যায়, এইডস প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক জনসচেতনতাই এইডস প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।

প্রশ্ন৭: নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. প্রজনন কাকে বলে?

খ. পরাগায়ন বলতে কী বোঝায়?

গ. M, N, O, P অংশের সমন্বয়ে গঠিত উদ্ভিদ অঙ্গটির লম্বচ্ছেদের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন কর ।

ঘ. M, N, O, P এর মধ্যে কোন দুটি অংশ উদ্ভিদের বংশবিস্তারে অধিক গুরুত্বপূর্ণ? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর ।

৭নং প্রশ্নের উত্তর

ক. যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে তাকে প্রজনন বলে ।

. একটি পরিণত ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়ে একই ফুলের বা একই প্রজাতির ফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে ।

পরগায়নকে পরাগ সংযোগও বলা হয়। এটি ফল ও বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার পূর্বশর্ত। কারণ পরাগায়ন ছাড়া নিষেক সম্ভব নয়। ফলে প্রজনন এবং উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধিও সম্ভব নয়।

. M., N, O. P অংশের সমন্বয়ে গঠিত উদ্ভিদ অঙ্গটির লম্বচ্ছেদের চিহ্নিত চিত্র নিম্নরূপ :

. M, N, O, P এর মধ্যে M ও P অংশ দুটি উদ্ভিদের বংশবিস্তারে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

M ফুলের পুংস্তবক এর অংশ পুংকেশর এবং P ফুলের স্ত্রীস্তবক বা গর্ভকেশর। এ দুটি স্তবক ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক। কারণ এ দুটি অংশ সরাসরি যৌনজননে অংশগ্রহণ করে উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে।

পুংজনন ও স্ত্রীজনন কোষ সৃষ্টি করা যৌন জননের প্রাথমিক পর্যায় এবং এ কাজটি এ দুটি স্তবক সম্পন্ন করে। জননকোষ সৃষ্টির পর দুটির মিলনের পূর্বে ফুলে পরাগায়ন ঘটে এবং গর্ভাশয়ের ডিম্বকে নিষেক ঘটে। নিষেকের পর গর্ভাশয় ফলে এবং ডিম্বক বীজে পরিণত হয় । বীজ একটি প্রজাতির বংশবিস্তারে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে ।

অতএব, উপরিউক্ত কারণেই প্রশ্নের M ও P অর্থাৎ পুংকেশর ও গর্ভাশয় উদ্ভিদের বংশবিস্তারে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ।

প্রশ্ন৮ :

ক. ফিটাস কী?

খ. ব্লাস্টোসিস বলতে কী বোঝায়?

গ. স্ত্রীদেহে কীভাবে P কোষ উৎপন্ন হয়?

ঘ. P থেকে R পর্যন্ত কী ধরনের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধিত হয়—আলোচনা কর।

৮নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ভ্রূণথলিতে অবস্থিত প্রায় ৮ সপ্তাহ পরের ভ্রূণই হলো ফিটাস।

. নিষিক্ত ডিম্বাণু ধীরে ধীরে ডিম্বনালি বেয়ে জরায়ুর দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় নিষিক্ত ডিম্বাণুটি বার বার বিভাজিত হয়ে ভ্রূণে পরিণত হয়। এ পর্যায়ের ভ্রূণকে বলা হয় ব্লাস্টোসিস্ট এবং ব্লাস্টোসিস্ট তৈরির প্রক্রিয়াটিই হলো ব্লাস্টোসিস। ব্লাস্টোসিস উন্নত জীবের যৌনজননের একটি বৈশিষ্ট্য।

. উদ্দীপকের P কোষ হলো জাইগোট। স্ত্রীদেহে নিষেকের মাধ্যমে এ জাইগোট কোষ (P) উৎপন্ন হয়।

নিষেক একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। যৌন জননে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনকে বলা হয় নিষেক। পরিণত অবস্থায় পুরুষ দেহে তৈরি হয় পুংজনন কোষ যাকে বলা হয় শুক্রাণু। আবার পরিণত স্ত্রীদেহে সৃষ্টি হয় ডিম্বাণু। পুংকেশরের পরাগধানীর মধ্যে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। এই পরাগরেণু অঙ্কুরিত হয়ে পোলেন টিউব গঠন করে। এই পোলেন টিউবে পুংজনন কোষ উৎপন্ন হয়।

অন্যদিকে স্ত্রীজনন কোষ থেকে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু উভয়ই হ্যাপ্লয়েড (n) প্রকৃতির। পরিণত অবস্থায় স্ত্রী ও পুরুষ যৌন মিলনে অংশ নিলে পুরুষের শুক্রাণুটি স্ত্রীদেহে ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে নিষেক ঘটায় এবং ডিপ্লয়েড জাইগোট কোষ সৃষ্টি করে ।

দেখা যাচ্ছে যে, উপরিউক্ত প্রক্রিয়ায় স্ত্রীদেহে P কোষ উৎপন্ন হয়।

. উদ্দীপকে P হলো জাইগোট, Q হলো ভ্রূণ এবং R হলো পূর্ণাঙ্গ ফিটাস।

কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের মাধ্যমে জাইগোট শেষ পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ ফিটাসে পরিণত হয়। সংক্ষেপে এ পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের নিচে ধাপগুলো আলোচনা করা হলো-

১. নিষেকের পর যে ডিপ্লয়েড জাইগোট কোষ সৃষ্টি হয় তা ৩৬ ঘণ্টা পর প্রথমে বিভাজিত হয়ে দু’কোষ বিশিষ্ট ভ্রূণ সৃষ্টি করে ।

২. পরবর্তীতে ৭১ ঘণ্টা পর একটি বলের মত গঠন তৈরি করে একে ব্লাস্টুলা বলে ।

৩. চার সপ্তাহ পরে এগুলো ছোট ভ্রূণে রূপ নেয় এবং ভ্রূণসহ ভ্রূণথলি তরলের মধ্যে ভাসতে থাকে। এ সময় হৃদস্পন্দন ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হয়।

8. প্রায় পাঁচ সপ্তাহ পরে ভ্রূণের বৃদ্ধি চলতে থাকে এবং হাত ও পায়ের গঠন শুরু হয়।

৫. প্রায় ৮ সপ্তাহ পরে ভ্রূণের কিছু বিকাশ ঘটে এবং অঙ্গগুলো ছোট আকারে থাকে। ভ্রূণের এ অবস্থাকে তখন ফিটাস বলে।

৬. ২৮ সপ্তাহ পরে ফিটাস পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্ত হয়। এরপর ৩৮ সপ্তাহ পরে পূর্ণাঙ্গ ফিটাস ভূমিষ্ট হওয়ার উপযুক্ত হয়।

উপরিউক্ত আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে যে, জাইগোট (P) থেকে পূর্ণাঙ্গ ফিটাস (R) পর্যন্ত অনেকগুলো পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধিত হয়।

প্রশ্ন-৯। নিচের চিত্র লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. একটি সম্পূর্ণ ফুলের কয়টি অংশ?

খ. অনিয়ত পুষ্পমঞ্জরি বলতে কী বোঝ?

গ. B হতে পরাগরেণু C অংশে স্থানান্তরের মাধ্যমগুলো বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপকে A ও B স্তবককে ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলার কারণ বিশ্লেষণ কর ।

৯নং প্রশ্নের উত্তর

. একটি সম্পূর্ণ ফুলের পাঁচটি অংশ।

. পুষ্পমঞ্জরির যে শাখায় ফুলগুলো সজ্জিত থাকে তাকে পুষ্পমঞ্জরিদন্ড বলে। পুষ্পমঞ্জরির পুষ্পমঞ্জরি দন্ডটির বৃদ্ধি যখন অসীম হয় তখন তাকে অনিয়ত পুষ্পমঞ্জরি বলে ।

. B হলো ফুলের পুংকেশরের শীর্ষভাগ পরাগধানী ও C হলো ফুলের গর্ভাশয়।

পরাগধানী হতে গর্ভাশয়ে অর্থাৎ B হতে C অংশে পরাগরেণুর স্থানান্তরকে পরাগায়ন বলে। পরাগ স্থানান্তরের কাজটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাধ্যমের দ্বারা হয়ে থাকে । যে পরাগ বহন করে গর্ভমুন্ড পর্যন্ত নিয়ে যায় তাকে পরাগায়নের মাধ্যম বলে।

ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন

বায়ু, পানি, কীট-পতঙ্গ, পাখি, বাদুড়, শামুক এমনকি মানুষ এ ধরনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। মধু খেতে অথবা সুন্দর রঙের আকর্ষণে পতঙ্গ বা প্রাণী ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়। সে সময়ে ঐ ফুলের পরাগধানী (B) থেকে পরাগরেণু বাহকের গায়ে লেগে যায়। এই বাহকটি যখন অন্য ফুলে গিয়ে বসে তখন তার দেহে লেগে থাকা পরাগ ফুলের গর্ভমুন্ডে (C) লেগে যায়।

এভাবে পরাগায়ন ঘটে। পরাগায়নের মাধ্যমগুলোর সাহায্য পেতে ফুলের গঠনেও কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

ঘ. উদ্দীপকের A ও B স্তবক হলো যথাক্রমে স্ত্রীস্তবক ও পুংস্তবক যারা উদ্ভিদের জননকোষ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় রাখে। তাই এদের ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলা হয় ।

বাংলা প্রথম পত্র-কপোতাক্ষ নদ-সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

যৌন জননের পূর্বশর্ত হচ্ছে জননকোষ সৃষ্টি। ফুলের পুংস্তবক পুংদন্ড ও পরাগধানী নিয়ে গঠিত। পুংদন্ডের শীর্ষে থাকে থলের মতো পরাগধানী। পরাগধানী পরাগরেণু উৎপন্ন করে এবং পরাগরেণু পুংজনন কোষ সৃষ্টি করে।

স্ত্রীস্তবক এক বা একাধিক গর্ভপত্র নিয়ে গঠিত। একটি গর্ভপত্র আবার গর্ভদন্ড, গর্ভমুন্ড এবং গর্ভাশয় নিয়ে গঠিত। গর্ভাশয়ের ভিতরে ডিম্বক থাকে। ডিম্বকের ভিতরে ভ্রূণথলির মধ্যে স্ত্রীজনন কোষ বা ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়।

যৌন জননে পুং ও স্ত্রীজনন কোষ দুটি মিলিত হয়ে ভ্রূণ তৈরি করে এবং পরবর্তীতে এই ভ্রূণ থেকে নতুন উদ্ভিদের উৎপত্তি ঘটে। তাই যেহেতু পুং ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি যৌন জননে অংশগ্রহণ করে সেহেতু এই দুই স্তবককে অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলে ।

প্রশ্ন১০ : নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. ত্রি-মিলন কী?

খ. দ্বিনিষেক বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকে কোন প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করা হয়েছে? প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব লেখ ।

ঘ. উদ্দীপকে কী ধরনের পরাগায়নকে বুঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর ।

১০নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সেকেন্ডারী নিউক্লিয়াসের সাথেএকটি পুংগ্যামেটের মিলনেই হলো ত্রিমিলিন।

. নিষেকের সময় পরাগনালিকার পুংজনন কোষ দুটো ভ্রূণথলিতে মুক্ত হয়। এর একটি ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে জাইগোট সৃষ্টি করে। অপর পুংজনন কোষটি গৌণ কেন্দ্রিকার সাথে মিলিত হয়ে ট্রিপ্লয়েড সস্যকোষ সৃষ্টি করে এ ঘটনাকেই দ্বিনিষেক বলে ।

. উদ্দীপকে পরাগায়ন প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করা হয়েছে। নিচে পরাগায়নের গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো :

পরাগায়নকে পরাগ সংযোগ বলা হয়। পরাগায়ন ফল ও বীজ উৎপাদনের পূর্বশর্ত। পরাগায়ন দুভাবে ঘটতে পারে যথা : স্বপরাগায়ন ও পরপরাগায়ন। স্বপরাগায়নের ফলে যে নতুন উদ্ভিদ উৎপন্ন হয় তাতে বৈশিষ্ট্যের কোন পরিবর্তন আসে না বলে প্রজাতির গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

পরপরাগায়নের ফলে নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়, বীজ অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয় ও নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়।

সুতরাং পরাগায়ন না ঘটলে বীজ ও ফল সৃষ্টি হবে না ফলে উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটবে না। এছাড়া নতুন প্রজাতি সৃষ্টির জন্য পরাগায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।

. উদ্দীপকের চিত্রটি দ্বারা স্বপরাগায়নকে বুঝানো হয়েছে। যখন কোনো পরাগায়ন একই ফুলে অথবা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে পরাগ সংযোগ ঘটে থাকে তখন তাকে বলা হয় স্বপরাগায়ন। স্বপরাগায়নের জন্য ফুলের উভলিঙ্গতা একটি অন্যতম পূর্বশর্ত। চিত্রে একই উদ্ভিদের দুটি ফুল দেখানো হয়েছে যেখানে একটি ফুলের পরাগরেণু সে ফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত হয়ে পরাগায়ন ঘটাচ্ছে। আবার অন্যদিকে একটি ফুলের পরাগরেণু অপর ফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত হয়ে পরাগায়ন সম্পন্ন করছে। যেহেতু উভয় পরাগায়নই একই উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে সেহেতু এটি স্বপরাগায়ন।

আবার ফুল দুটি উভলিঙ্গ হওয়ায় চিত্রে পরাগায়নটি যে স্বপরাগায়ন তার সত্যতা প্রমাণিত হয় ।

আরও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের জীববিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায়ের প্লেলিস্ট (Playlist):

আরও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

ntbangla

Share
Published by
ntbangla
Tags: AIDS এর পূর্ণরূপ কী?HIV এর পূর্ণরূপ কী?Nitish SirnoteNT BanglantbanglaReproductionssc suggestionSuggestionঅমরাঅমরা কী? অমরার কাজ কী?অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিএইডস রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?একাদশ অধ্যায়এসএসসি সাজেশনএসএসসি-জীববিজ্ঞান-জীবের প্রজনন-সাজেশনজরায়ু কী? এর প্রয়োজনীয়তা কী?জীবের প্রজননত্রি-মিলন কী?থাইরয়েড গ্রন্থিদ্বিনিষেক বলতে কী বোঝ?নিতীশ স্যারনিষেক কী?পরাগায়ন কী?পিটুইটারি গ্রন্থিপুষ্পাক্ষ কাকে বলে?প্রজনন কী?প্ৰজনন সংক্রান্ত হরমোনগুলোর কাজ ব্যাখ্যা কর।ফিটাস কী?ফুল কী?বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরব্লাস্টোসিস্ট কী?মেনোপজমেনোপজ কী?সম্পূৰ্ণ ফুল কাকে বলে?সস্যকোষ কী?সিনজেনেসিয়াস কী?সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

Recent Posts

এসএসসি-ভূগোল ও পরিবেশ-ষষ্ঠ অধ্যায় : বারিমণ্ডল নোট

এসএসসি-ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন অধ্যায়-০৬ : বারিমণ্ডল Hydrosphere পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি এইচএমএস চ্যালেঞ্জার :…

3 months ago

এসএসসি আইসিটি (ICT)-পঞ্চম অধ্যায়-মাল্টিমিডিয়া ও গ্রাফিক্স-সাজেশন

এসএসসি আইসিটি (ICT)-বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পঞ্চম অধ্যায় মাল্টিমিডিয়া ও গ্রাফিক্স আশা করি পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আমাদের এই…

3 months ago

এসএসসি বিজ্ঞান-Science-দ্বাদশ অধ্যায়-প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ-সাজেশন

এসএসসি বিজ্ঞান নোট দ্বাদশ-অধ্যায় প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ পাঠ সম্পর্কিত গুরত্বপূর্ণ বিষয়াদি ব্যাটারি : ব্যাটারি হলো…

3 months ago

এসএসসি-বাংলা প্রথম- উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন-নোট

নবম দশম শ্রেণি-বাংলা ১ম পত্র সাজেশন উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) পাঠ সম্পর্কিত…

3 months ago

এসএসসি-বিজ্ঞান নোট-একাদশ অধ্যায়-জীবপ্রযুক্তি

এসএসসি বিজ্ঞান সাজেশন অধ্যায়– একাদশ জীবপ্রযুক্তি BIOTECHNOLOGY প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, এসএসসি বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় জীবপ্রযুক্তি থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক,…

3 months ago

এসএসসি-বাংলা দ্বিতীয় পত্র-বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর-কাল, পুরুষ এবং কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ

বাংলা দ্বিতীয় পত্র-সাজেশন অধ্যায়-৪ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর কাল, পুরুষ এবং কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ *তথ্যকণিকা* ১. ক্রিয়া…

3 months ago