নবম দশম-বাংলা প্রথম-কবিতা-ঝর্ণার গান

ঝর্ণার গান

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২–১৯২২]

কবি ও কবিতা সম্পর্কিত তথ্য:

জন্ম : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮২ সালে কলকাতার কাছাকাছি নিমতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

মৃত্যু : তিনি ১৯২২ সালে মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

শিক্ষাজীবন : তিনি বিএ পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।

সাহিত্য সাধনা : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছাত্রজীবন থেকেই কাব্যচর্চা করতেন। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি বিচিত্র বিষয়ের প্রতি  অনুরাগী ছিলেন।

এসএসসি সকল বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

মৌলিক কাব্য: সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, হোমশিখা, কুহু ও কেকা, অভ্র-আবীর, বেলাশেষের গান, বিদায় আরতী ইত্যাদি।

উল্লেখযোগ্য রচনা অনুবাদ কাব্য: তীর্থরেণু, তীর্থ-সলিল ও ফুলের ফসল।

বিবিধ উপনিষদ, কবির, নানক প্রমুখের রচনা এবং আরবি, ফার্সি, চীনা, জাপানি, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অনেক উৎকৃষ্ট কবিতা ও গদ্য রচনা তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন।

বিশেষ পরিচিতি : ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ও উনিশ শতকের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অক্ষয়কুমার দত্ত ছিলেন তাঁর পিতামহ।

বিশেষত্ব : বাংলা ভাষায় ছন্দ নির্মাণে তিনি অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।

উপাধি: ছন্দের রাজা ।

কবিতা সম্পর্কিত তথ্য :

মূলবক্তব্য: ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি ঝর্ণার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনার পাশাপাশি গতিময়তাকেও প্রাধান্য দিয়েছেন। কবি ঝর্ণার ছন্দোময় মোহনীয় রূপের বর্ণনা করেছেন। চঞ্চল ঝর্ণা পাহাড় থেকে সাদা জলরাশির ধারা হয়ে নেমে আসে। ঝর্ণার জলধারার সে সৌন্দর্য তুলনাহীন। চমৎকার এর ধ্বনিমাধুর্য ও বর্ণবৈভব। গিরি থেকে পতিত এই জলরাশি পাথরের বুকে আঘাত হেনে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে যা সত্যিই মনোহর ও মনোমুগ্ধকর।

গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতাটি প্রকৃতিবিষয়ক একটি কবিতা। সেখানে ঝর্ণার সৌন্দর্যের মাঝে প্রকৃতির রূপসৌন্দর্য উঠে এসেছে।

এসএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর pdf পেতে এখানে ক্লিক করুন

রূপশ্রেণি: ‘ঝর্ণার গান’ কবিতাটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত কবিতা।

. ঝর্ণার উদ্ভব পাহাড়ের চূড়া থেকে। সুউচ্চ পাহাড়ে মেঘ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সেখানে বরফ জমা হয়। এই বরফ গলেই সৃষ্টি হয় ঝর্ণার। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় গিরির হিম ললাট ঘেমে ওঠার দৃশ্যকল্পে এ দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে।

২. ঝর্ণার প্রকৃতিতে অনুপম সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। সে সবার মাঝে সৌন্দর্যের বোধ প্রত্যাশা করে। ঝর্ণার জল স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ কিনা এ নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলে ঝর্ণা তাকে ভৎসনা করে। ঝর্ণার মতে ঝর্ণার জলের বিশুদ্ধতা নয় বরং তার চলার পথে সৃষ্ট সৌন্দর্যই সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকা উচিত। কবির কল্পনায় চখোর পাখি চাঁদের আলো পান করে। চকোর যেমন চাঁদের আলোর জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে ঝর্ণাও তেমনি সৌন্দর্যপিপাসু চোখের প্রত্যাশা করে।

৩. ঝর্ণার আনন্দময় প্রবহমানতার স্বরূপ: প্রকৃতির বুকে ঝর্ণা যেন এক বিস্ময়। দিন-রাত সবসময়ই সে কেবল ছুটে চলে । বিরামহীনভাবে ছুটে চলাতেই যেন তার আনন্দ। পথের সমস্ত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিঃশঙ্কচিত্তে এগিয়ে যায় সে। আর চলার পথে সৃষ্টি করে অতুলনীয় সৌন্দর্যের। ঝর্ণার সৌন্দর্যপিপাসু মন

৪. অনুসন্ধানের স্বরূপ: দিন-রাত ঝর্ণার নিরন্তর ছুটে চলার উদ্দেশ্য একটাই। তা হলো প্রকৃতিতে সৌন্দর্য সৃষ্টি করা। ঝর্ণার প্রত্যাশা সবাই এ সৌন্দর্যকে প্রাণভরে উপভোগ করবে। মুগ্ধ চোখে চেয়ে থেকে সৌন্দর্যের পিপাসা মেটাবে।

• জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর •

প্রশ্ন. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কখন থেকে কাব্যচর্চা করতেন?

উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছাত্রজীবন থেকেই কাব্যচর্চা করতেন।

প্রশ্ন. ‘ঝুম পাহাড়অর্থ কী?

উত্তর: ঝুম পাহাড় হলো নীরব পাহাড়।

প্রশ্ন. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন. ‘কুহু কেকা’ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কোন ধরনের রচনা?

উত্তর: ‘কুহু ও কেকা’ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মৌলিক কাব্যগ্রন্থ।

প্রশ্ন. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর পিতামহের নাম কী?

উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর পিতামহের নাম অক্ষয়কুমার দত্ত।

প্রশ্ন. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯২২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোন বয়স থেকে কাব্যচর্চা করতেন?

উত্তর: ছাত্রজীবন থেকে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কাব্যচর্চা করতেন।

প্রশ্ন. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন?

উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দ নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।

প্রশ্ন১০. অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত পত্রিকার নাম কী?

উত্তর: অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত পত্রিকার নাম ‘তত্ত্ববোধিনী’।

প্রশ্ন১১. ‘ঝর্ণার গানকবিতায় কে ঘুমায়?

উত্তব: ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বন ঘুমায়।

ICT দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন১২. ‘ঝর্ণার গানকবিতায় ঝর্ণা কোন পাখির বোল সাধে?

উত্তর: ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা বুলবুলি পাখির বোল সাধে।

প্রশ্ন১৩. শালিক শুক কোথায় মুখ বুলায়?

উত্তর: শালিক শুক মখমলে মুখ বুলায়।

প্রশ্ন১৪. ঝর্ণার অঙ্গ ঝলমল করে কীসে?

উত্তর: ঝর্ণার অঙ্গ ঝলমল করে জরির জালের আংরাখায় ।

প্রশ্ন১৫. কে ঘাড় ঝুঁকিয়ে আছে?

উত্তর: ঝুম পাহাড় ঘাড় ঝুঁকিয়ে আছে।

প্রশ্ন১৬. ‘ দুপুরভোর ‘ পথ কী করে?

উত্তর: ‘দুপুর-ভোর’ পথ ঝিমায়।

প্রশ্ন১৭. গিরি থেকে কী পতিত হয়?

উত্তর: গিরি থেকে অম্বুরাশি পতিত হয় ।

প্রশ্ন১৮. ‘ফটিক জলবলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘ফটিক জল’ বলতে চাতক পাখিকে বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন১৯. ‘শুকঅর্থ কী?

উত্তর: ‘শুক’ অর্থ টিয়া পাখি।

প্রশ্ন২০. ‘আংরাখা’ মানে কী?

উত্তর: ‘আংরাখা’ মানে লম্বা ও ঢিলা পোশাক বিশেষ।

প্রশ্ন২১. ‘শ্লোকঅর্থ কী?

উত্তর: ‘শ্লোক’ হলো লঘু ও হালকা চালের কবিতা।

প্রশ্ন২২. ‘থলশব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘থল’ শব্দের অর্থ স্থল।

প্রশ্ন২৩. ‘বিড়োলশব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘বিড়োল’ শব্দের অর্থ বিভোর।

• অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর •

প্রশ্ন. ‘নিজের পায় বাজাই তালবলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘নিজের পায় বাজাই তাল’ বলতে আপন ছন্দে ঝর্ণার পর্বত থেকে নেমে আসাকে বোঝানো হয়েছে। ঝর্ণা পর্বত থেকে নেমে আসে অবিরল সাদা জলরাশির ধারায়। ঝর্ণার এই নেমে আসা যেন নিজ পায়ে তার তাল বাজানোর মতো। আনন্দের তালে তালে পাহাড়ের বুকে পদচিহ্ন রেখে ঝর্ণা নেমে আসে। নিজের পায়ে তালে তালে তার নেমে আসাকেই আলোচ্য অংশে বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখবলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’- উক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যাদের সুন্দরের জ্ঞান আছে ঝর্ণা তাদেরই প্রত্যাশা করে। যে সুন্দর ভালোবাসে তার জন্যই ঝর্ণার অবিরাম বয়ে চলা। ঝর্ণা তাদের জন্য সুর, ছন্দ বিলিয়ে দেয়। চকোর পাখি চাদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়। ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে সৌন্দর্যপিপাসুরা তেমনই মুগ্ধ হবে এমন প্রত্যাশা ঝর্ণার। যারা ঝর্ণা দেখে মুগ্ধ হয় ঝর্ণা শুধুই তাদের জন্য।

প্রশ্ন. ‘কোন গিরির হিম ললাট ঘামল মোর উদ্ভবে’কথাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ঝর্ণার উদ্ভবে পাহাড়ে যে সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয় তার কথা বলা হয়েছে। ঝর্ণার উদ্ভবে পাহাড়ের রূপই যেন বদলে যায়। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা সাদা জলরাশির ধারা পাহাড়ের শুষ্ক শরীরকে সিক্ত করে তোলে। তার আগমন চারদিকে যেন উৎসব সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন. কাকে পাতকুয়ায় যেতে বলা হয়েছে? কেন?

উত্তর: চাতক পাখিকে পাতকুয়ায় যেতে বলা হয়েছে। চাতক পাখি বৃষ্টির পানি পান করে। বৃষ্টি মাটিতে পড়ার পর মাটি থেকে পানি পান করে চাতক। এ পানির চেয়ে ঝর্ণার পানিকে বেশি প্রশংসা করা হয়েছে। চাতক যদি ঝর্ণার সৌন্দর্য না বোঝে তবে সে যেন পাতকুয়াতেই পানি পান করতে যায়। কেননা ঝর্ণা শুধু সৌন্দর্য পিপাসুদেরই অভ্যর্থনা জানায়।

প্রশ্ন. সর্বাঙ্গে পুলক জাগলে ঝর্ণা কেমন করে?

উত্তর: সর্বাঙ্গে পুলক লেগে ঝর্ণা কেবল গেয়ে-ধেয়ে বেড়ায়। ঝর্ণা গতিময় চঞ্চল বেগে ছুটে চলে। যাওয়ার সাথে সে পরীর গানের মতাে গান গেয়ে যায়। সে সুর বাতাসে মুগ্ধতা ছড়ায়। পুলকিত হয়ে ঝর্ণা পাহাড়ের বুকে তার আনন্দ চিহ্ন রেখে ছুটে চলে।

প্রশ্ন. খেয়াল নাই নাইরে ভাইএখানে কোন খেয়ালের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: আলোচ্য উক্তিটিতে ঝর্ণার কল্পনায় পরীর নাচের কথা ঝর্ণার খেয়াল নেই অর্থে বলা হয়েছে। ঝর্ণা টগর ফুলের নূপুর পায়ে ছুটে চলে। চলার পথে তার আশপাশে পাহাড়ের গায় শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়ে যায়। তাই দেখে নাচের উৎসবে পরীর হার ছিড়ে যায়। কিন্তু ঝর্ণা চলার সময় সবকিছুকে পেছনে ফেলে কেবল ছুটে চলে। পুরোটাই কবির মনের কল্পনা।

প্রশ্ন. ‘জরির জাল আংরাখায়বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘জরির জাল আংরাখায়’ বলতে পাহাড়ের গায় ঝর্ণা নেমে আসায় সেখানকার যে সৌন্দর্য তৈরি হয় তাকে বোঝানো হয়েছে। ঝর্ণা নেমে আসার সময় পাহাড়ের গায় ডালিম ফাটার মতো রং ধরে। এখানে শালিক ও টিয়া পাখি মুখ বুলায়। ঝর্ণা চলার পথের পাশে স্থলভাগে মখমল কাপড়ের ন্যায় এক প্রকার শেওলা জমে। এসব দেখতে জরির জালের আংরাখার মতো মনে হয়। এসব কারণে ঝর্ণা ঝলমল করে ।

প্রশ্ন. ‘ধাই লীলায়, খিলখিলাই’– ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ‘ধাই লীলায়, খিলখিলাই’ বলতে ঝর্ণার আনন্দময় বয়ে চলাকে বোঝানো হয়েছে। আপন চলার গতিতে ঝর্ণা একান্ত স্বাধীন। প্রকৃতির কোনো কিছুর প্রতি খেয়াল নেই তার। পাহাড়ের কোনো উৎসবের সংবাদ তার কাছে পৌছে না। ঝর্ণা তার চলার পথে ঝংকার তুলে নিজস্ব গতিতে আনন্দের সঙ্গে বয়ে চলে। যার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় অপরূপ সৌন্দর্যের দ্যোতনা । আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে।

বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন. ‘দুল দোলাই মন ভোলাই’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ‘দুল দোলাই মন ভোলাই’ বলতে কবি ঝর্ণার চলার ছন্দে মানুষের মুদ্ধ বিষয়টি বুঝিয়েছেন। ঝর্ণা প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি। পাহাড়ের চূড়া থেকে সৃষ্টি হয়ে চপল পায়ে নেমে আসে সমতল ভূমিতে। ঝর্ণার চলার ছন্দ প্রকৃতিতে মধুর আবেশ সৃষ্টি করে, মানুষের মনকে মুগ্ধ করে। প্রশ্নোক্ত চরণটি দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে।

তথ্যকণিকা

১. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন – ১৮৮২ সালে ।

২. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মস্থান – কলকাতার কাছাকাছি নিমতা গ্রামে।

৩. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ – অক্ষয়কুমার দত্ত।

৪. অক্ষয়কুমার দত্ত ছিলেন – ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক।

৫. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত – ছাত্রজীবন থেকে কাব্যচর্চা করতেন।

৬. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উল্লেযোগ্য মৌলিক কাব্য – সবিতা।

৭. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উল্লেখযোগ্য অনুবাদ কাব্য – তীর্থরেণু।

৮. ছন্দ নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য– তাঁকে  ‘ছন্দের রাজা’ বলা হয়।

৯. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনুরাগী ছিলেন – দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভাষা ও ধর্ম বিষয়ে।

১০. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত মৃত্যুবরণ করেন – ১৯২২ সালে।

১১. ঝর্ণা চপল পায়ে – কেবল পরীর গান গায়।

১২. ঝর্ণার সারাগায়ে পুলক – তার সকল প্রাণ বিতোল।

১৩. শিথিল শিলার উপর ঝর্ণা— তাঁর চরণ রাখে।

১৪. ঝর্ণার চলার পথে দুপুর ভোর – ঝিঁঝির ডাক শোনা যায় ।

১৫. ঝর্ণা ছুটে চলার সময় – পথ ও বন ঘুমিয়ে থাকে।

১৬. ঝর্ণা তাল বাজায় – নিজের পায়ে।

১৭. ঝর্ণার পায়ে – টগর ফুলের নূপুর বাজে।

১৮. ঝুম পাহাড় ঘাড় ঝুঁকিয়ে – ঝর্ণাকে ভয় দেখালেও সে ভয় পায় না।

১৯. টিলার গায়ে— ডালিম ফাট।

২০. চকোর চায়– চন্দ্রমায় ।

২১. ‘বিড়াল’ শব্দের অর্থ— অচেতন, বিভোর, বিবশ ।

২২. ‘বিজন’ শব্দের অর্থ—নির্জন, জনশূন্য, নিভৃত।

২৩. ‘কূজন’ শব্দের অর্থ— কলবর, চিৎকার, চেঁচামেচি।

২৪. ‘ঝাঁঝি’ শব্দের অর্থ—এক প্রকার জলজ গুল্ম, বহুদিন ধরে জমা শেওলা।

২৫. ‘মখমল’ শব্দের অর্থ— কোমল ও মিহি কাপড়।

২৬. আংরাখা হচ্ছে লম্বা ও ঢিলা পোশাক বিশেষ।

২৭. ‘বিলাই’ শব্দের অর্থ—বিতরণ করি, পরিবেশন করি।

২৮. ‘চন্দ্রমা’ শব্দের অর্থ— চাঁদের আলো।

২৯. ‘উপল ঘায়’ শব্দের অর্থ— পাথরের আঘাতে।

৩০. ‘চাতক পাখি ডাকলে– ‘ফটিক জল’ শব্দের মতো শোনা যায়।

৩১. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার রচয়িতা– সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।

৩২. ঝর্ণার চল পা— পুলকিত গতিময়।

৩৩. ঝর্ণার ছুটে চলা স্তব্ধ পাথরের বুকে –  আনন্দের পদচিহ্ন।

৩৪. পাহাড় দৈত্যের মতো ঘাড় ঘুরিয়ে–ভয় দেখায়।

৩৫. ঝর্ণা শঙ্কিত না হয়ে– চঞ্চল ও আনন্দময় পদধ্বনিতে ছুটে চলে।

৩৬. ঝর্ণার সৌন্দর্য ও অমিয় স্বাদ—তুলনা রহিত।

বাংলা প্রথম পত্র সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩৭. ঝর্ণা পতিত হয়— গিরি থেকে।

৩৮. ঝর্ণা পাথরের বুকে আঘাত হেনে— চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

৩৯. ঝর্ণার ধ্বনিমাধুর্য ও বর্ণবৈভব – চমৎকার।

৪০. ঝর্ণার রূপের ঝলক – কবিকে মুগ্ধ করে।

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

. দুপুরভোর ঝর্ণা কার গান শুনতে পায়?

ক. ঝিঁঝিঁর                                            খ. পরীর

গ. বুলবুলির                                        ঘ. শালিকের

উত্তর: ক. ঝিঁঝিঁর

. ‘একলা গাই একলা ধাই

দিবস রাত, সাঁঝ সকাল।বক্তব্যে ঝর্ণার কোন রূপটি ফুটে ওঠে?

ক. ছন্দময়                                           খ. মনোহর

গ. ছুটে চলা                                        ঘ. শঙ্কাহীন

উত্তর: গ. ছুটে চলা

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও:

নারিন্দার বৃক্ষপ্রেমী বলরাম গড়ে তোলেন হাজার রকমের বৃক্ষের সমারোহে একটা উদ্যান যা বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত। নিছক আনন্দ উপভোগের জন্যই তার এ উদ্যোগ। অনেকেই সেখানে এখন ভেষজ ঔষধের উপকরণ খুঁজছেন।

৩. উদ্দীপকের বলরামের সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কার সাদৃশ্য রয়েছে-

ক. অপরাজিতা                                   খ. ঝর্ণার

গ. বন-ঝাউয়ের                                  ঘ. ফটিক জলের

উত্তর: খ. ঝর্ণার

. নিচের কোনটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত কাব্য?

ক. অপরাজিতা                                   খ. বিসর্জন

গ. বেলাশেষের গান                            ঘ. ছায়াময়ী

উত্তর: গ. বেলাশেষের গান

৫. ঝর্ণার গানকবিতায় কোন পাখির নাম উল্লেখ রয়েছে?

ক. চাতক                                            খ. গাঙচিল

গ. বক                                                 ঘ. দোয়ল

উত্তর: ক. চাতক

. চলার পথে ঝর্ণা কার বোল সাধে?

ক. টিয়ার                                             খ. চকোরের

গ. বুলবুলির                                        ঘ. শালিকের

উত্তর: গ. বুলবুলির

৭. বাংলা সাহিত্যে ছন্দের রাজা কে?

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর                            খ. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

গ. জীবনানন্দ দাশ                              ঘ. যতীন্দ্রমোহন বাগচী

উত্তর: খ. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

. “ঝর্ণার গানকবিতায় কোন পাখি ঝর্ণায় মুখ বুলায়?

ক. শালিক ও বুলবুলি                          খ. বুলবুলি ও টিয়ে

গ. শালিক ও দোয়েল                          ঘ. শালিক ও শুক

উত্তর: ঘ. শালিক ও শুক

. ঝর্ণার গান কবিতায়পরীর গানবলতে কী বোঝানো হয়েছে?

ক. নিরবচ্ছিন্ন গতি                              খ. স্বপ্নলোকের ছবি

গ. নান্দনিক সৌন্দর্য                           ঘ. শঙ্কাহীন চিত্ত

উত্তর: খ. স্বপ্নলোকের ছবি

১০. কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোন ক্ষেত্রে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন?

ক. কাব্যানুশীলনে                               খ. অনুবাদ সাহিত্যে

গ. বিদেশি ভাষা চর্চায়                         ঘ. ছন্দ নির্মাণে

উত্তর: ঘ. ছন্দ নির্মাণে

১১. কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত বছর বয়সে মারা যান?

ক. বাইশ                                              খ. আটাশ

গ. আটত্রিশ                                        ঘ. চল্লিশ

উত্তর: ঘ. চল্লিশ

১২. ঝর্ণা ঝিলিক দেয়–

ক. বনে                                                খ. পাহাড়ে

গ. বৃক্ষপত্রে                                        ঘ. পাথরের আঘাতে

উত্তর: ঘ. পাথরের আঘাতে

১৩. ‘আমি নৃত্যপাগল ছন্দ

আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ’

উদ্দীপকের ভাব নিচের কোন চরণে ফুটে উঠেছে।

ক. চপল পায়ে কেবল ধাই                  খ. শঙ্কা নাই, সমান যাই

গ. ধাই লীলায়, খিলখিলাই                   ঘ. দুল দোলাই, মন ভোলাই

উত্তর: ক. চপল পায়ে কেবল ধাই

এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাজেশন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

১৪. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ঝর্ণার গান গেয়েছেন কেন?

ক. বিস্তীর্ণ এর জলরাশি তাই               খ. এর নির্জন পথ চলা তাই

গ. অপূর্ব এর স্বাদ সে জন্য                ঘ. অতুলনীয় এর সৌন্দর্য তাই

উত্তর: ঘ. অতুলনীয় এর সৌন্দর্য তাই

১৫. ‘আমরা ধাই তার আশেই’- এখানে তারবলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

ক. সৌন্দর্য প্রেমিক                             খ. বুলবুলি

গ. ফটিক জল                                    ঘ. তৃষ্ণার্ত

উত্তর: ঘ. তৃষ্ণার্ত

১৬. ‘একলা গাই, একলা ধাই’- ঝর্ণার গানকবিতার পরের চরণ কোনটি?

ক. বিজন দেশ, কূজন নাই                 খ. দিবস রাত, সঁঝ সকাল

গ. নিজের পায়, বাজাই তাল              ঘ. ঝিমায় পথ, ঘুমায় বন

উত্তর: ঘ. ঝিমায় পথ, ঘুমায় বন

১৭. ঝর্ণা কীভাবে ধেয়ে চলে?

ক. চপল পায়ে                                    খ. ধীর গতিতে

গ. বিদ্যুৎ বেগে                                    ঘ. খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে

উত্তর: ক. চপল পায়ে

১৮. ‘চপল পায় কেবল ধাই’- বক্তব্যে ফুটেছে ঝর্ণার

ক. সৌন্দর্যপ্রীতি                                  খ. প্রকৃতিচেতনা

গ. গতিময়তা                                       ঘ. শঙ্কাহীনতা

উত্তর: গ. গতিময়তা

১৯. ‘ভয় দ্যাখায় চোখ পাকায়’- কে?

ক. বিজন দেশ                                    খ. ঝুম-পাহাড়

গ. পাত কুয়া                                       ঘ. কাল সার

উত্তর: খ. ঝুম-পাহাড়

২০. ‘একলা গাই একলা ধাই,

দিবস রাত, সাঁঝ সকাল বাক্যে ঝর্ণার কোন রূপটি ফুটে উঠেছে?

 ক. প্রকৃতিচেতনা                               খ. সৌন্দর্যপ্রীতি

গ. ছুটে চলা                                         ঘ. শঙ্কাহীন চিত্ত

উত্তর: ঘ. শঙ্কাহীন চিত্ত

২১. ‘ঝর্ণানিজের পায়ে কী বাজায়?

ক. তাল                                                খ. সুর

গ. বোল                                               ঘ. ঘুঙুর

উত্তর: ক. তাল

২২. ‘ঝর্ণার গানকবিতায় শালিক শুক বুলায় মুখচরণেশুকবলতে যে পাখিকে বোঝানো হয়েছে

i. ময়না

ii. টিয়ে

iii. ফিঙ্গে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i                                                     খ. ii

গ. iii                                                     ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. ii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৩ ২৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

‘আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ

আমি আপনার তালে নেচে যাই

আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

২৩. উদ্দীপকেরআমি হলো

ক. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণা              খ. ‘পালামৌ’ রচনার কোল বালিকা

গ. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের দুর্গা      ঘ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা

উত্তর: ক. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণা

২৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ

ক. গতিময়তা                                      খ. প্রাণবন্ত ভাব

গ. চল প্রকৃতি                                      ঘ. স্বাধীনচেতা মনোভাব

উত্তর: ক. গতিময়তা

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৫ ২৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

মেঘ হানে জুই ফুলি, বৃষ্টিও সঙ্গে চুমা চুমকির হারে চাঁদ ঘেরে রঙ্গে।

২৫. উদ্দীপকে প্রকাশিত দিকটি নিচের কোন কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে?

ক. ঝর্ণার গান                                     খ. প্রাণ

গ. অন্ধবধূ                                           ঘ. বৃষ্টি

উত্তর: ক. ঝর্ণার গান

২৬. দিকটি যে পঙক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে, তা হলো

i. চকোর চায় চন্দ্রমায়

ii. টগর ফুল নূপুর পায়

iii. অঙ্গ মোর ঝলমলে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                             ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. ii ও iii

২৭. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকেছন্দের রাজা বলার কারণ কী?

ক. ছন্দ নিয়ে গবেষণা করায়              খ. ছন্দ নির্মাণে বিশেষ নৈপুণ্যের জন্য

গ. ছন্দ ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ বলে     ঘ. ছন্দের প্রবর্তন করেছেন বলে

উত্তর: খ. ছন্দ নির্মাণে বিশেষ নৈপুণ্যের জন্য

২৮. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?

ক. তেঁতুলিয়া                                       খ. নিমতা

গ. চুরুলিয়া                                          ঘ. মালদহ

উত্তর: খ. নিমতা

২৯. কবির কল্পনা অনুযায়ী কোন পাখি চাঁদের আলো পান করে?

ক. ফটিক জল                                    খ. কানাকুয়ো

গ. শালিক                                            ঘ. চকোর

উত্তর: ঘ. চকোর

৩০. ঝর্ণা, পায়ে কোন ফুলের নূপুর পরে?

ক. জুই                                                খ. কদম

গ. টগর                                               ঘ. কেয়া

উত্তর: গ. টগর

৩১. ‘ঝর্ণার গান কবিতায় কোন পাখির উল্লেখ নেই?

ক. বুলবুলি                                           খ. শালিক

গ. চকোর                                            ঘ. মাছরাঙা

উত্তর: ঘ. মাছরাঙা

৩২. ফটিক জলের কী হয়েছে?

ক. পা ভেঙেছে                                   খ. মন খারাপ হয়েছে

গ. ক্ষুধা পেয়েছে                                 ঘ. তৃষ্ণা পেয়েছে

উত্তর: ঘ. তৃষ্ণা পেয়েছে

৩৩. ‘তীর্থরেণুকী ধরনের গ্রন্থ?

ক. ছোটগল্প                                         খ. কাব্যগ্রন্থ

গ. ভ্রমণকাহিনী                                   ঘ. উপন্যাস

উত্তর: খ. কাব্যগ্রন্থ

৩৪. গিরির হিম ললাট ঘামল কেন?

ক. ঝর্ণার প্রভাবে                                 খ. ঝর্ণার উদ্ভবে

গ. ভয় পাওয়ায়                                   ঘ. ঝর্ণার গতিতে

 উত্তর: খ. ঝর্ণার উদ্ভবে

৩৫. ‘ঝর্ণার গান কবিতায়ফটিক জলঅর্থ কী?

ক) পরিষ্কার পানি                                খ. চাতক পাখি

গ. ঝিঁঝিঁ পাখি                                      ঘ. প্রকৃতি চেতনা

উত্তর: খ. চাতক পাখি

৩৬. বিলাই তানতরল শ্লোক,-এর পরের চরণ কোনটি?

ক. ঝিলমিলাই দিগ্বিদিক                      খ. চকোর চায় চন্দ্রমায়

গ. তার খোঁজেই বিরাম নেই               ঘ. আমরা চাই মুগ্ধ-চোখ

উত্তর: খ. চকোর চায় চন্দ্রমায়

৩৭. ‘পুলক’-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?

ক. হর্ষ                                                 খ. বিষাদ

গ. তৃষ্ট                                                 ঘ. অলক

উত্তর: খ. বিষাদ

রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৩৮. কখন ঝিঁঝিঁর ডাক শোনা যায়?

ক. সকাল-সন্ধ্যা                                   খ. সাঁঝ-সকাল

গ. রাত-দুপুর                                       ঘ. দুপুর-ভোর

উত্তর: ঘ. দুপুর-ভোর

৩৯. ঝর্ণা কীসের রং ধারণ করে?

ক. মখমলের                                       খ. ডালচিনির

গ. টগর ফুলের                                   ঘ. জরির জালের

উত্তর: খ. ডালচিনির

৪০. ‘ঝর্ণার গানকবিতায় কবি ফুটিয়ে তুলেছেন-

ক কল্পনাময় প্রকৃতিজগৎ                   খ. নিজের খেয়ালি মনের আবেগ

গ. বাংলার প্রকৃতি সৌন্দর্য                   ঘ. পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

উত্তর: ক কল্পনাময় প্রকৃতিজগৎ

৪১. কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তঝর্ণার গানকবিতায় বুলবুলির বোল সাধি বলতে যা বুঝিয়েছেন, তা হলো

ক. ঝর্ণার চলার সময় যে ধ্বনি হয়

খ. ঝর্ণার হাসির মধ্য দিয়ে বুলবুলির অনুকরণ

গ. ঝর্ণার লীলায়িত চলনভঙ্গি

ঘ. ঝর্ণার দুলে ওঠা মন

উত্তর: খ. ঝর্ণার হাসির মধ্য দিয়ে বুলবুলির অনুকরণ

৪২. ‘ঝর্ণার গানকবিতায়দুল দোলাই মন ভোলাই’–এর পরের লাইন কী?

ক. চপল পায় কেবল ধাই                   খ. আমরা চাই মুথ-চোখ

গ. ঝিলমিলাই দিগ্বিদিক                      ঘ. আমরা ধাই তার আশেই

উত্তর: গ. ঝিলমিলাই দিগ্বিদিক

৪৩. ঝর্ণা কার আশায় এগিয়ে চলে?

ক. তৃষ্ণার্ত                                           খ. সৌন্দর্যপিপাসু

গ. পাহাড়ি সৌন্দর্য                              ঘ. জলপ্রপাত

উত্তর: খ. সৌন্দর্যপিপাসু

৪৪. ঝর্ণার ভয়হীনতা প্রকাশ পেয়েছে কোন চরণে?

ক. ভয় দ্যাখায়, চোখ পাকায়              খ. শঙ্কা নাই, সমান যাই

গ. ধাই লীলায়, খিল-খিলাই                 ঘ. শিং শিলায়-শিলার গায়

উত্তর: খ. শঙ্কা নাই, সমান যাই

৪৫. ‘ফটিক জলকোন ধরনের পাখি?

ক. মাছরাঙা                                         খ. শালিক

গ. চাতক                                             ঘ. কবুতর

উত্তর: গ. চাতক

৪৬. ‘ফটিক জল’ বলে কোন পাখি ডাকে?

ক. চড়ুই                                               খ.চাতক

গ. বুলবুলি                                           ঘ. ময়না

উত্তর: খ.চাতক

৪৭. ‘আংরাখা’ শব্দের অর্থ কী?

ক. লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক             খ. চাতক পাখি

গ. পাহাড়ের নাম                                ঘ. ঝর্ণার নাম

উত্তর: ক. লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক

৪৮. ঝর্ণার জলে কীসের দল চড়ে?

ক. বকের                                            খ. কালসারের

গ. শালিকের                                       ঘ. ময়নার

উত্তর: খ. কালসারের

৪৯. ‘ঝর্ণার গানকবিতায় প্রকাশ পেয়েছে

i. নিরন্তর ছুটে চলা

ii. বাধা না মানা

iii. পেছনের দিকে না তাকানো

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                             ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৫০. ঝর্ণা একলা গায় এবং একলা ধায়

i. দিবস-রাত

ii. দুপুর-ভোর

iii. সঁঝ-সকাল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                             ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৫১. ‘ঝর্ণার গানকবিতায় ঝর্ণার স্বরূপ ধরা পড়েছে

i. গতিতে

ii. সৌন্দর্যে

iii. প্রকৃতিতে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                              ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৫২. ‘চপল পায় কেবল ধাই, কেবল গাই পরীর গান’– চরণটিতে প্রকাশিত হয়েছে

i. ঝর্ণার প্রকৃতি।

ii. ঝর্ণার নিরন্তর ছুটে চলা

iii. ঝর্ণার চঞ্চলতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                             ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৩ ৫৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

আমি ছন্দহারা এক নদীর মতো ভেসে যাই আমার শেষ কোন সুদূরে তার ঠিকানা তো জানা নেই।

৫৩. ঝর্ণার সাদা জলরাশির ধারা কেমন?

ক. শীতল                                            খ. উষ্ণ

গ. ধ্বনি মাধুর্যময়                               ঘ. বর্ণহীন

উত্তর: গ. ধ্বনি মাধুর্যময়

জীববিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

৫৪. উদ্দীপকেরআমি’ ‘ঝর্ণার গান কবিতায় প্রতিনিধিত্বের কারণ

i. গতিশীলতা অর্জন

ii. চলার পথের শেষ নেই

ii. ঠিকানাবিহীন চলার ইচ্ছা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                             ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

আমার কেবল ইচ্ছে করে পাখির মতো উড়তে

ইচ্ছে বড় হৃদয় মাঝে যাযাবর হয়ে ঘুরতে।

আরো ইচ্ছে ঝর্ণার মতো দিগ্বিদিক দেখতে

পাহাড় থেকে জলের স্রোত, কার সাথে যায় মিশতে?

৫৫. উদ্দীপকটির সাথেঝর্ণার গানকবিতার কোন চরণের সাদৃশ্য রয়েছে

ক চপল পায় কেবল ধাই                     খ. কোন পরীর টুটল হার

গ. ভয় দ্যাখায়, চোখ পাকায়               ঘ. চরণ থুই দোদুল মন

উত্তর: ক চপল পায় কেবল ধাই

৫৬. এই সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলো

i. গতিশীলভাবে ছুটে বেড়ানোর বাসনা

ii. আত্মগোপন করে না থাকার ইচ্ছা

iii. নিজেকে প্রকাশ করার জন্য চঞ্চল হওয়া

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii                                               খ. i ও iii

গ. ii ও iii                                             ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: নিসর্গকে হাতের মুঠোয় পুরে দেয়ার তাগিদ থেকে পলাশ সাহেব গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তিনি গড়ে তোলেন। পুকুর, দীঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ মাত্রকেই আকৃষ্ট করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রকৃতিকে শিল্পী তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন শুধুই নিজের খেয়ালে। ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীকে আনন্দ দান নয়, সৌন্দর্যই মুখ্য। বৈরী প্রকৃতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি কাজে অগ্রসর হয়েছেন। সৃষ্টির আনন্দই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে এতটা পথ

ক. ঝর্ণা কেমন পায়ে ছুটে চলে?

খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সাথে ঝর্ণার গান কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূলবক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. ঝর্ণা চপল পায়ে ছুটে চলে।

. ‘শিথিল সব শিলার পর’ বলতে কবি পাহাড়ি আলগা পাথরের উপর দিয়ে ঝর্ণার আনন্দময় বয়ে চলাকে বুঝিয়েছেন।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় পাহাড়ি আলগা পাথরের উপর দিয়েই যে ঝর্ণা প্রবাহিত হয়ে থাকে তা বোঝানোর জন্য কবি ‘শিথিল সব শিলার পর’ পঙক্তিটি রচনা করেছেন। ‘শিথিল সব শিলা’ বলতে মূলত ঝর্ণার পানিতে সিক্ত আলগা পাথরকেই বোঝানো হয়েছে। এই আলগা পাথরের উপর পা ফেলেই ঝর্ণার উদ্দাম বয়ে চলা।

. উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য নিপুণ দক্ষতায় তুলে ধরা হয়েছে। নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গিই সকল সৃষ্টির মূল বিষয়। তাই সেটা প্রকৃতি হোক আর মানবসৃষ্ট হোক সৃষ্টির ক্ষেত্রে সৌন্দর্যই মুখ্য।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় মেঘশীতল পাথরের উপর পা ফেলে চপল পায়ে ঝর্ণাকে বয়ে যেতে দেখা যায়। পাহাড় থেকে নেমে আসা এই জলরাশি পাথরের বুকে আঘাত করে চতুর্দিকে এবং চমৎকার ধ্বনিমাধুর্যের সৃষ্টি করে। ঝর্ণা যে অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে তা সত্যি মনোহর।

অপরদিকে, উদ্দীপকের শিল্পীও নিজের খেয়ালে গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান। তৈরি পরিবেশেও তিনি প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলেন তিলোত্তমা করে। এক্ষেত্রে সৌন্দর্যের প্রতি তার অগাধ মোহ আর সৃষ্টির আনন্দই তাকে পথ চলতে সহায়তা করে।

ফলে উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি নিঃসন্দেহে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের স্বরূপ তুলে ধরে।

. উদ্দীপক ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূলবক্তব্যের অধিকাংশকে ধারণ করলেও কবিতার সমগ্র ভাবকে তুলে ধরে না।

উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বিষয় সৌন্দর্যপ্রীতি হলেও কবিতায় শুধু ঝর্ণার রূপবৈচিত্র্যই প্রাধান্য পেয়েছে। অপরদিকে উদ্দীপকে মানুষের হাতে নির্মিত একটি উদ্যানের সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে। ঝর্ণার গানে সৌন্দর্যপ্রীতি প্রধান বিষয় হলেও ঝর্ণার বয়ে চলাও এটির মূলভাব।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার উদ্দাম বয়ে চলার অপরূপ সৌন্দর্যময়তার বর্ণনা এসেছে। এখানে মূলত ঝর্ণার বয়ে চলা ও তার চমৎকার ধ্বনিমাধুর্যের কথাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। অপরদিকে উদ্দীপকের শিল্পী তার নিজের খেয়ালখুশিমতো উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন করেন এবং সৌন্দর্যে মোহগ্রস্ত হয়ে নবউদ্যমে এগিয়ে চলেন।

উদ্দীপকে সৌন্দর্যপ্রীতির পাশাপাশি একজন শিল্পীর এগিয়ে চলাকেও নির্দেশ করা হয়েছে। উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে উদ্দীপকে একজন শিল্পীর সৌন্দর্যপ্রীতি ও তার সৌন্দর্যের মোহে এগিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। অথচ ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বিষয় শুধু ঝর্ণার স্বরূপ তুলে ধরার ভেতর দিয়েই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের পরিচয় প্রদান।

ফলে উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার আংশিক ভাবই প্রকাশ করে।

প্রশ্ন :  প্রকৃতিপ্রেমিক কবি জীবনানন্দ দাশ। তিনি তাঁর নান্দনিক কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন প্রকৃতির বিস্তীর্ণ মাঠ। ঘন সবুজে ঘেরা বনবনানী, সুবিশাল পাহাড় বেয়ে রুপালি ঝর্ণার নিত্য বয়ে চলা, ফুল পাখির বিচিত্র রূপ। অকৃত্রিম আনন্দদানের মহৎকর্মে তিনি কোনো বাধা মানেননি। সৌন্দর্য বিকিরণের আনন্দই তাকে নিয়ে গেছে নৈসর্গিক জগতে।

ক. নূপুর পায়ে কাকে দেখা যায়?

খ. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার’ ঝর্ণা তার কাছে কী আশা করে? ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের জীবনানন্দ দাশের চেতনার সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধরো।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত জীবনানন্দ দাশের সৌন্দর্যচেতনা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে? বিশ্লেষণ করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. নূপুর পায়ে টগর ফুলকে দেখা যায়।

পদার্থ বিজ্ঞান সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

খ. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার আছে’ ঝর্ণা তার কাছে যাওয়ার ও তার সান্নিধ্য লাভ করার আশা করে। ঝর্ণা নিজেও সৌন্দর্যের পূজারি। সংগত কারণেই সে সৌন্দর্যপিপাসুর সঙ্গ লাভ করার জন্য উদগ্রীব থাকে। আর তাই সৌন্দর্যকে যারা ভালোবাসে তাদের খোঁজে বিরামহীন চলেও ক্লান্ত হয় না সে। এভাবে সৌন্দর্যপ্রেমীর সঙ্গ-সুধা লাভ করার আশায় ঝর্ণা অবিরাম গতিশীল থাকে।

. উদ্দীপকের জীবনানন্দ দাশের চেতনার সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলো— ‘সৌন্দর্যবোধ।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি ঝর্ণার চল ও পুলকিত গতিময়তাকে কাব্যের ছন্দে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। পাহাড়ের বুক চিড়ে নেমে আসার সময় ঝর্ণা যে অতুলনীয় সৌন্দর্যের দ্যোতনা দেয়, কবিতার পরতে পরতে শৈল্পিকভাবে তা ধরা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ কবিতার কবির নান্দনিক আংশিক ভাষায় শুধু ঝর্ণার স্বরূপ একজন শিল্পীর সৌন্দন বোধের যে পরিচয় মেলে আলোচ্য উদ্দীপকেও তা অনেকাংশে লক্ষিত হয়।

উদ্দীপকে কবি জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতিপ্রেমের কথা আলোচিত হয়েছে। মানুষকে অকৃত্রিম আনন্দদানের জন্য তিনি তাঁর কবিতায় তুলে এনেছেন প্রকৃতির কথা। শুধু তাই নয়, সৌন্দর্য বিকিরণের আনন্দে তিনি চলে গেছেন নৈসর্গিক জগতে। প্রকৃতির শৈল্পিক বর্ণনায় তিনি আমাদের দিয়েছেন অকৃত্রিম আনন্দ।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় তার চেতনার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। সেখানেও কবি প্রকৃতির এক অনুপম সৃষ্টি ঝর্ণার গতিময়তা ও রূপ-সৌন্দর্যের এক অসাধারণ চিত্রকল্প এঁকেছেন, যা কবির নান্দনিক দৃষ্টিকোণের জন্যই সম্ভব হয়েছে।

অর্থাৎ আলোচ্য কবিতার কবির এ সৌন্দর্যবোধের দিকটিই উদ্দীপকের জীবনানন্দ দাশের চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

. উদ্দীপকে উপস্থাপিত জীবনানন্দ দাশের সৌন্দর্যচেতনা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূলভাবকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করে না।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতাটি ঝর্ণার অপূর্ব সৌন্দর্যকে উপস্থাপনের পাশাপাশি ঝর্ণার স্বাধীনচেতা মনোভাব এবং গতিময়তাকেও আমাদের সামনে তুলে ধরে। এ কবিতায় প্রকাশিত ঝর্ণার অপ্রতিরোধ্য গতি প্রকৃতি আমাদেরকেও যেন জীবনের গতির কথা বলে। উদ্দীপকে কবিতার এ দিকটি সে ভাবে উঠে আসেনি।

উদ্দীপকে বাংলার প্রকৃতির সার্থক রূপকার কবি জীবনানন্দ দাশের কথা বলা হয়েছে। তার নান্দনিক কবিতায় প্রকৃতির মোহনীয় রূপ ফুটে উঠেছে। সেখানে তাঁর সাহিত্যকর্মে ফুটে ওঠা এ সৌন্দর্যচেতনা আমাদের অকৃত্রিম আনন্দ দেয়। শুধু তা-ই নয়, এই সৌন্দর্যচেতনা আমাদের নিয়ে যায় নৈসর্গিক জগতে।

একইভাবে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায়ও কবি ঝর্ণার সৌন্দর্য বর্ণনার মধ্য দিয়ে প্রকৃতির রূপকেই আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূলভাবে ঝর্ণার অতুলনীয় সৌন্দর্যের দিকটি ফুটে উঠেছে। এর অমিয় স্বাদ ও গতিময়তা আমাদেরকে এক গভীর বোধে আন্দোলিত করে, সমস্ত বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়। আর এর স্বাধীনচেতা মনোভাব ও ছন্দময় চলনভঙ্গি আমাদের জীবনের গতিকেই নির্দেশ করে। এভাবে এ কবিতায় কবির সৌন্দর্যচেতনার পাশাপাশি আমরা এক গভীর জীবনদর্শন পাই, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। সেখানে শুধু কবি জীবনানন্দ দাশের সৌন্দর্যচেতনার দিকটিই উল্লিখিত হয়েছে। এ বিবেচনায়

উদ্দীপকে বিধৃত কবি জীবনানন্দ দাশের সৌন্দর্যচেতনা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূলভাবকে আংশিকভাবে ধারণ করে মাত্র।

প্রশ্ন : নারিন্দার বৃক্ষপ্রেমী বলরাম গড়ে তোলেন হাজার রকমের বৃক্ষের সমারোহে একটা উদ্যান, যা বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত। নিছক আনন্দ উপভোগের জন্যেই তার উদ্যোগ। অনেকেই সেখানে এখন ভেষজ ঔষধের উপকরণ খুঁজছেন।

ক. ‘ছন্দের রাজা’ বলে পরিচিত কে?

খ. ‘কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা যার নিক না সেই পাক ঘেঁকে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের বলরামের সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো ।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. ‘ছন্দের রাজা’ বলে পরিচিত সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।

. উক্তিটির মাধ্যমে ঝর্ণা চাতক পাখির অতি কাঙ্ক্ষিত ‘ফটিক জল’-এর প্রতি কবি অবজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। বৃষ্টির জল চাতক পাখির কাছে কাঙ্ক্ষিত হলেও বৃষ্টি মাটিতে পড়ার পর তাকে সংগ্রহ করতে হয়। এই বৃষ্টি ভেজা কাদাযুক্ত পানি ঝর্ণার জলের কাছে তুচ্ছ । তাই ঝর্ণা ফটিক জলকে পরোয়া করে না। যারা সৌন্দর্যের তুলনায় শুদ্ধতার দিকে বেশি মনোযোগী তাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশিত হয়েছে।

. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার কথা বলতে গিয়ে কবি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বরূপ তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে, যা উদ্দীপকের বলরামের উদ্যোগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি অবলোকন করেছেন ঝর্ণার চমৎকার ধ্বনিমাধুর্য ও বর্ণবৈভব। এই জলধারার যে সৌন্দর্য এবং অমিয় স্বাদ তা তুলনারহিত।

এই তুলনাহীন সৌন্দর্যই আলোচ্য কবিতার মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থাপিত। কবি মূলত ঝর্ণার কথা বলতে গিয়ে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যকে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন।

উদ্দীপকের বলরামও আলোচ্য কবিতার কবির মতোই প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করেছেন। বলরাম সৌন্দর্যপ্রেমী, তাই সৌন্দর্যের নেশায় সৃষ্টি করেছেন বলধা গার্ডেন। ঝর্ণাও এমন সৌন্দর্যপ্রেমীদের খোঁজে দিনরাত ছুটে চলে।

. সৃষ্টির আনন্দই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সামনের পথে, যা ঝর্ণার গান কবিতার মূলবক্তব্য এবং উদ্দীপকের বক্তব্যও একই বিষয় ধারণ করেছে।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতার কবি ঝর্ণার রূপ, সৌন্দর্য ও গতিময়তার কথা বলেছেন। বিচিত্র সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি মূলত ঝর্ণার সম্মুখে ছুটে চলার গতিকে আমাদের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন। ঝর্ণা চঞ্চল পুলকিত গতিতে ছুটে চলে তার সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করে। সৌন্দর্য সৃষ্টির এ খেলায় তার কোনো ক্লান্তি নেই।

উদ্দীপকের বলরাম সেরকমই একজন মানুষ। তিনি বৃক্ষের সৌন্দর্যকে খুঁজে পেয়েছেন আপন মনের আলোয়। তাই উদ্যোগী হয়ে বলধা গার্ডেন গড়ে তুলেছেন। সৃষ্টির আনন্দেই তার এই উদ্যোগ। তার এই উদ্যোগে উপকৃত হচ্ছে অনেকেই। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণা নিজ আনন্দে সামনে ছুটে চলে। তার এই সম্মুখযাত্রাই প্রকৃতির অন্যদের উপকৃত করে। অর্থাৎ মনের আনন্দে যারা কর্মে উদ্যোগী হয়, সামনে ছুটে চলে, তাদের দ্বারাই উপস্থাপিত হয় মহৎ দৃষ্টান্ত। মহৎ কর্ম করতে হলে প্রথমে নিজের মনে আনন্দের প্রয়োজন।

অর্থাৎ উদ্দীপক ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূলবক্তব্যকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করেছে ।

প্রশ্ন : ডাকে তোরে চিৎলোল উৎরোল সিন্ধু

মেঘহানে জুঁইফুলী বৃষ্টি অঙ্গে,

চুমাচুমকির হারে চাঁদ ঘেরে রঙ্গে,

ধুলাভরা দ্যায় ধরা তোর লাগি ধর্ণা।

ক. ঝর্ণা কীসের গান গায়?

খ. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’ – বলতে কী বোঝায়?

গ. উদ্দীপকে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যগত দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার, আমারা ধাই তার আশেই’– উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার আলোকে যাচাই করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. ঝর্ণা পরীর গান গায়।  

. ঝর্ণা অনাবিল সৌন্দর্য ভালোবাসে বলে সৌন্দর্যপ্রেমী মুগ্ধ-চোখের প্রত্যাশা করে। ঝর্ণা যেমন নিজে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে তেমনি অন্যের চোখেও সে সৌন্দর্যতৃষ্ণা দেখতে চায়। চকোর যেমন চাঁদের আলো ভালোবাসে, তেমনি ঝর্ণাও সৌন্দর্যপিয়াসী দৃষ্টির আশায় থাকে। মুগ্ধ চোখের আশায় ঝর্ণা বিরামহীন পথ চলে।

. উদ্দীপক এবং ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার রূপ-সৌন্দর্য প্রকাশ পেয়েছে, যা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঝর্ণা প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের। পর্বত থেকে নেমে আসা চঞ্চল জলরাশি অসাধারণ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে সামনে এগিয়ে যায়। কবি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় নানাবিধ উপমায় ঝর্ণার এই মোহনীয় রূপের বর্ণনা দিয়েছেন।

উদ্দীপকের কবিতাংশে ঝর্ণার রূপ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। চঞ্চল ঝর্ণাকে সমুদ্র দূর থেকে সদাই আহ্বান জানায়। মেঘ জুঁই ফুলের মতো সুন্দর বৃষ্টি ঝর্ণার গায়ে ছিটিয়ে দিয়ে সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। চাঁদের আলোয় ঝর্ণার গতিমান জলরাশি আরও লাবণ্য পায়।

পঠিত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতাতেও ঝর্ণার রূপ ও বর্ণবৈভবের মনোহর চিত্র উঠে এসেছে। তাই বলা যায় ঝর্ণার সৌন্দর্য বর্ণনার দিক থেকে উদ্দীপক এবং ‘ঝর্ণার গান’ কবিতা একসূত্রে গাঁথা।

জীববিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় সাজেশন

. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার, আমরা ধাই তার আশেই’- উদ্দীপক ও কবিতায় ঝর্ণার এই চিরন্তন বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।

প্রকৃতির সুন্দর সৃষ্টি ঝর্ণা নিজেও সৌন্দর্যপিয়াসী। সংগত কারণে সে সৌন্দর্যপিপাসুর সঙ্গ লাভের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। সৌন্দর্যকে যারা ভালোবাসে তাদের খোঁজে ঝর্ণা অবিরাম সম্মুখ পানে বয়ে চলে। এতে তার কোনো ক্লান্তি নেই।

উদ্দীপকে বর্ণিত ঝর্ণাও প্রকৃতির সব সুন্দর বিষয়গুলোর সাথে সম্পর্কে জড়ানো। সীমাহীন সাগরের ডাক সে শুনতে পায়। মেঘ তার অঙ্গে জুইফুলের মতো সুন্দর বৃষ্টি বর্ষণ করে ধন্য হয়। চাঁদ তার রুপালি জোছনা দিয়ে ঝর্ণার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে উদ্দীপকের এই জলরাশিও সৌন্দর্যপ্রিয়, যেমনটা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণার ক্ষেত্রেও লক্ষণীয়। তারা উভয়ই সৌন্দর্যের পরশ মেখে সুন্দরের সন্ধানেই বয়ে চলে।

সৌন্দর্য তৃষিতের সঙ্গ-সুধা লাভের আশায় ঝর্ণা অবিরাম চলতে থাকে। পথের কোনো বাধাই তার এই অভিযাত্রাকে থামাতে পারে না। পারিপার্শ্বিক সকল সুন্দরকে নিজ দেহে ধারণ করে সৌন্দর্যপিয়াসীর খোজে ঝর্ণার এই পথচলা। উদ্দীপক এবং ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার এই বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই বলা যায় সুন্দরের তৃষ্ণা যার, ঝর্ণা ধায় তার আশেই।

প্রশ্ন-৫: অভিযাত্রিক দুর্গম পথের দুঃসাহসী পথিক। বন্ধুর পথে তাদের যাত্রা। লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে তারা অটল, অবিচল। মুক্তপথের এ যাত্রী অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী। অভিযাত্রিকের চলার গতিকে বহমান নদীর সঙ্গে তুলনা করা যায়।

ক. ‘আংরাখা’ অর্থ কী?

খ. ঝর্ণাকে ঝুম পাহাড় ভয় দেখায় কেন?

গ. উদ্দীপকটির বক্তব্য কীভাবে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, ব্যাখ্যা করো।

ঘ. ‘অভিযাত্রিকের চলার গতিতে ঝর্ণার গতিশীলতা বিদ্যমান।’—উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

নম্বর প্রশ্নের উত্তর

. ‘আংরাখা’ শব্দের অর্থ লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাকবিশেষ।

. ঝর্ণার স্বাধীনচেতা মনোভাব ও দুরন্ত চলন বৈশিষ্ট্যের জন্য ঝুম পাহাড় ঝর্ণাকে ভয় দেখায়। ঝর্ণা চিরদুরন্ত, চঞ্চল এক গতির নাম। মহা আনন্দে চুপচাপ সে ছুটে চলে। পাহাড় থেকে উপচে পড়া ঝর্ণা গ্রাম্য চপল বালিকার মতো নেচে-গেয়ে অপার সৌন্দর্যের দ্যোতনা সৃষ্টি করে অবশেষে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। আর নিঝুম বনে কোনো চলতা নেই, আছে মহা স্থবিরতা। ফলে ঝর্ণার এই দুরন্তপনায় ঈর্ষাকাতর হয় নিঝুম পাহাড়, এ কারণেই সে ঝর্ণাকে ভয় দেখায়।

. উদ্দীপকটির বক্তব্য গতিশীলতার বা চলিষ্ণুতার দিক দিয়ে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

অভিযাত্রিক বহমান নদীর মতো দুর্বার বা বন্ধুর পথে যাত্রা করে। তাদের গতিপথে কোনো বাধা তারা মানে না। অফুরন্ত সহ্য ও ধৈর্যশক্তির অধিকারী বলে অভিযাত্রিক লক্ষ্যে পৌঁছে থাকে। অভিযাত্রিকের আচরণের এরূপ চিত্র অঙ্কিত হয়েছে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায়। এখানে ঝর্ণাকে কোনো বাঁধাই আটকাতে পারে না।

উদ্দীপকের অভিযাত্রিক যেমন অফুরন্ত প্রাণশক্তির বদৌলতে লক্ষ্য অর্জনে অবিচল ও অটল তেমনি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতাটিতে ঝর্ণার গতিপথও বাধাবিঘ্নহীন। অভিযাত্রিকের আচরণ কবিতার ঝর্ণার গতিময়তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

তাই উদ্দীপকের বক্তব্য চলমান প্রবণতার দিক দিয়ে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

. অভিযাত্রিকের চলার গতিতে ঝর্ণার গতিশীলতা বিদ্যমান’- উক্তিটি উভয়ের লক্ষ্য এবং চলার গতির সাদৃশ্যের প্রেক্ষিতে করা হয়েছে।

উদ্দীপকের অভিযাত্রিক স্রোতস্বিনী নদীর মতো লক্ষ্যস্থলে এগিয়ে চলে। তারা দুরন্ত পথিক। দুর্গম গিরি, কান্তার মরু এবং দুস্তর পারাবার অতিক্রম করতে তারা ভয় পায় না। অভিযাত্রিকের এ কর্মোদ্দীপনা কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণার গতিশীল পদচারণাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা চল। অস্থির ও গতিশীল স্বভাবের ঝর্ণা স্তব্ধপাথরের বুকে আনন্দের পদচিহ্ন এঁকে দিয়ে নির্জন দুপুরে, বিজন দেশে গমন করে। পাহাড়ের দেখানো ভয়ে সে ভীত নয়। ঝর্ণার এরূপ মনোভাব উক্ত উদ্দীপকের অভিযাত্রিকের মানসিকতারই প্রতিরূপ।

ICT বিষয়ে সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বাধা-বিঘ্ন ও ভয়ভীতিকে অতিক্রম করে ঝর্ণা যেমন এগিয়ে চলে তেমিন উদ্দীপকেও অভিযাত্রিকের বেলায় অনুরূপ গতিশীলতার পরিচয় মেলে। উভয় ক্ষেত্রে অভিযাত্রিক ও ঝর্ণার চলার গতিতে সাদৃশ্য দেখা যায়।

উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে অভিযাত্রিকের চলার পথ তরঙ্গবিক্ষুব্ধ নদীর মতো। তেমনি ঝর্ণার গতিপথ হলো মুক্তধারার পানির মতো সমুদ্রের প্রতি ধাবমান। অভিযাত্রিকের লক্ষ্য হলো গন্তব্যে পৌঁছা আর ঝর্ণার লক্ষ্য হলো সাগরে পতিত হওয়া। উভয়ের মধ্যে প্রকৃতিগত ভিন্নতা থাকলেও চলার গতিময়তার দিক থেকে তারা অভিন্ন।

তাই বলা যায় ‘অভিযাত্রিকের চলার গতিতে ঝর্ণার গতিশীলতা বিদ্যমান’- উক্তিটি যথার্থ।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply