এসএসসি-জীববিজ্ঞান (Biology)
নবম দশম শ্রেণি
দশম অধ্যায়
সমন্বয়
Co-ordination
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
ফাইটোহরমোন : উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশ, বিভিন্ন অঙ্গ সৃষ্টি ইত্যাদি উদ্ভিদদেহে উৎপাদিত জৈব রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই জৈব রাসায়নিক পদার্থকে বলে ফাইটোহরমোন বা বৃদ্ধিকারক জৈব রাসায়নিক পদার্থ।
উদ্ভিদের প্রধান তিনটি হরমোন হলো : অক্সিন, জিবেরেলিন বা জিবেরিলিক এসিড ও সাইটোকাইনিন ।
হরমোনের নাম | উৎস | কাজ |
অক্সিন এর রাসায়নিক নাম IAA (Indole Acetic Acid) | ভ্রূণ মুকুলাবরণী; কান্ড ও মূলের অগ্রভাগ । | উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ, শাখাকলমে মূল গজানো, ফলের অকাল ঝরেপড়া রোধ ইত্যাদি অক্সিনের প্রধান কাজ। |
জিবেরেলিন | পরিপক্ব বীজ, অঙ্কুরিত বীজ, বীজপত্র। | উদ্ভিদের খর্বতা নষ্ট করা এবং বীজের অঙ্কুরোদগম ত্বরান্বিত করা জিবেরেলিনের কাজ। |
সাইটোকাইনিন | বীজের সস্য, ফুল ও ফলের নির্যাস (ডাবের পানি)। | উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক এ হরমোনের কাজ। |
এই হরমোনগুলো ছাড়াও উদ্ভিদে কয়েকটি বিশেষ হরমোন পাওয়া যায়। যথা : অ্যাবসিসিক এসিড, ইথিলিন ও ফ্লোরিজেন।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
হরমোনের নাম | কাজ |
অ্যাবসিসিক এসিড | উদ্ভিদের পাতা ও ফুলঝরা রোধ করে এবং উদ্ভিদ অঙ্গের বার্ধক্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। আলু, পিঁয়াজ ইত্যাদির মুকুলোদগম রোধ করার জন্য এই হরমোন প্রয়োগ করা হয়। |
ইথিলিন | এটি গ্যাসীয় হরমোন। এ হরমোন পাকা ফলে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এ হরমোন ফুল, পাতা, বীজ ও মূলেও অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়। এ হরমোন ফল পাকাতে সাহায্য করে। কাঁচা ফলকে কৃত্রিম উপায়ে পাকানোর জন্য এই হরমোন স্প্রে করা হয়। |
ফ্লোরিজেন | এই হরমোন উদ্ভিদের পাতায় সংশ্লেষিত হয়ে অগ্রমুকুলে পরিবাহিত হয় এবং ফুল ফোটাতে সাহায্য করে। |
চলন : যে প্রক্রিয়ায় জীব নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে উদ্দীপকের প্রভাবে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে।
গমন : যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে ।
ট্রপিক চলন : উদ্ভিদের অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথের দিকে হয়, তখন তাকে ট্রপিক চলন বা ট্রপিজম বলে।
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
স্নায়ুতন্ত্র : যে তন্ত্রের সাহায্যে দেহ বাইরের ও ভেতরের উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করে দেহকে পরিচালিত করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
নিউরন বা স্নায়ুকোষ : স্নায়ুতন্ত্রের কার্যগত ও গঠনগত এককের নাম নিউরন বা স্নায়ুকোষ ।
নিউরনের তিনটি অংশ থাকে— কোষ দেহ, অ্যাক্সন ও ডেনড্রন ।
মানুষসহ মেরুদন্ডী প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র প্রধানত তিনভাগে বিভক্ত করা যায়; যথা :
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র : এটি মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকান্ড নিয়ে গঠিত।
প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্গত সমস্ত রকম স্নায়ু নিয়ে এই স্নায়ুতন্ত্র গঠিত।
স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র : দেহের বিভিন্ন অন্তরযন্ত্রের (যথা : হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, পাকস্থলি ইত্যাদি) কার্যের নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। এ সকল অঙ্গের কাজ স্নায়ুতন্ত্রের যে বিশেষ অংশের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র বলে।
মস্তিষ্ক : করোটি দ্বারা সুরক্ষিত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ফীত যে অংশটিতে প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি ইত্যাদি আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে মস্তিষ্ক বলে।
ধূসর পদার্থ বা গ্রে ম্যাটার : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে অসংখ্য স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলো ঘন অবস্থায় থাকে এবং ধূসর বর্ণের হওয়ায় সেই অংশকে ধূসর পদার্থ বা গ্রে ম্যাটার বলে। এটি মস্তিষ্কের বাহিরের অংশে থাকে। গ্রেম্যাটার সুষুম্নাকান্ডের ভেতরের অংশে থাকে।
শ্বেতপদার্থ বা হোয়াইট ম্যাটার : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে স্নায়ুতন্তু ঘন অবস্থায় থাকে সেই অংশকে শ্বেতপদার্থ বা হোয়াইট ম্যাটার বলে। এটি মস্তিষ্কের ভেতরের অংশে থাকে। হোয়াইট ম্যাটার সুষুম্নাকান্ডের বাহিরের অংশে থাকে।
সুষুম্নাকান্ড বা মেরুরজ্জু : মস্তিষ্কের সুষুম্নাশীর্ষকের শেষভাগ থেকে শুরু হয়ে করোটির পশ্চাদের ছিদ্র (ফোরামেন ম্যাগনাম) পথ দিয়ে মেরুদন্ডের ভেতর দিয়ে পৃষ্ঠমধ্যরেখা বরাবর দেহের পুচ্ছ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে সুষুম্নাকান্ড বলে।
প্রতিবর্তী ক্রিয়া : উদ্দীপনার আকস্মিকতাও স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়াকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলে । প্রতিবর্তী ক্রিয়া কেবল সুষুম্নাকান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন : চোখে জোরালো আলো পড়লে চোখের পাতা তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাতে কাঁটা ফুটলে তৎক্ষণাৎ হাত সরিয়ে নেওয়া ইত্যাদি প্রতিবর্তী ক্রিয়ার উদাহরণ।
প্রতিটি প্রতিবর্তী চক্রের পাঁচটি অংশ থাকে । যথা :
১. গ্রাহক অঙ্গ : ত্বক ইত্যাদিতে অবস্থিত বিশেষ গঠন যাদের মাধ্যমে উদ্দীপনা গৃহীত হয়।
২ . অনুভূতিবাহী স্নায়ু : এটি গ্রাহক থেকে উৎপন্ন হয় এবং উদ্দীপনা গ্রহণ করে স্নায়ুকেন্দ্রে (সুষুম্না কান্ড অথবা মস্তিষ্কে) পরিবহন করে।
৩. প্রতিবর্তী কেন্দ্র (স্নায়ুকেন্দ্র) : সুষুম্না কান্ড অথবা মস্তিষ্ক প্রতিবর্তী কেন্দ্র বা স্নায়ুকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
৪. আজ্ঞাবাহী স্নায়ু : এটি মস্তিষ্ক অথবা সুষুম্না কান্ড থেকে উদ্দীপনা সাড়া (কারক) অঙ্গে পরিবহন করে।
৫. সাড়ার (কারক) অঙ্গ : পেশি বা গ্রন্থি সাড়ার অঙ্গ হিসেবে কাজ করে । সাড়ার বা কারক অঙ্গে প্রতিবর্তী ক্রিয়ার কাজ শেষ হয় ।
এপিলেপসি : এপিলেপসি মস্তিষ্কের একটি রোগ, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর খিচুনি বা কাঁপুনি দিতে থাকে। অনেকক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই রোগকে মৃগী রোগও বলা হয়।
■ অনুশীলনীর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন– ১ : ফাইটোহরমোন কী?
উত্তর : উদ্ভিদ হরমোনকে ফাইটোহরমোন বলা হয়।
প্রশ্ন – ২ : অভিকর্ষ উপলব্ধি কী?
উত্তর:উদ্ভিদের ভ্রূণমূল ও ভ্রূণকান্ডের অগ্রাংশের অভিকর্ষের উদ্দীপনা অনুভব করাই হলো অভিকর্ষ উপলব্ধি ।
প্রশ্ন– ৩ : স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : প্রাণিদেহের যে তন্ত্র দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং উদ্দীপনার সাড়া দিয়ে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন – ৪ : কেন্দ্ৰীয় স্নায়ুতন্ত্র কী নিয়ে গঠিত?
উত্তর : মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র গঠিত।
প্রশ্ন – ৫ : প্যারালাইসিস কেন হয়?
উত্তর : সাধারণত মস্তিষ্কের স্ট্রোকের কারণে প্যারালাইসিস হয়। এছাড়াও মেরুদন্ডের বা ঘাড়ের সুষুম্নাদন্ডে আঘাত বা দুর্ঘটনাজনিত কারণেও প্যারালাইসিস হতে পারে।
■ রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন – ১ : উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে হরমোনের ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তর : উদ্ভিদে যেসব হরমোন প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় সেগুলো হলো অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন এবং অ্যাবসিসিক এসিড। এগুলোর মধ্যে অক্সিন, জিবেরেলিন ও সাইটোকাইনিন উদ্ভিদে বৃদ্ধিকারক হরমোন। এগুলোর কাজ সংক্ষেপে নিচে উল্লেখ করা হলো :
অক্সিন : উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করাই হলো অক্সিনের মুখ্য কাজ। অক্সিন উদ্ভিদদেহে বৃদ্ধি ঘটায় কোষ বিভাজন দ্বারা। পার্শ্বমুকুলের বৃদ্ধি রোধ করে অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটিয়ে কান্ডের দৈর্ঘ্যবৃদ্ধি করে ।
জিবেরেলিন : জিবেরেলিনের প্রধান শারীরবৃত্তীয় কাজ হলো :
১. উদ্ভিদের কান্ডের পর্বমধ্য অংশের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে খর্বাকার উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
২.ফুল ফোটাতে এবং বীজের সুপ্তাবস্থা কমাতে এবং অঙ্কুরোদগম ঘটাতে সাহায্য করে।
সাইটোকাইনিন : এই হরমোনটি-
১. কোষ বিভাজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কোষের সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটায়।
২. এটি উদ্ভিদের বার্ধক্য অর্থাৎ জরা অবস্থাকে বিলম্বিত করে অঙ্গের বিকাশ সাধন করে।
প্রশ্ন – ২ : থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণগুলো লেখ ।
উত্তর : থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরক্সিন মানবদেহে বিপাকের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরক্সিন অধিক পরিমাণে ক্ষরণের ফলে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে গিয়ে গলগন্ড বা গয়টার রোগ হয়। এ সমস্যার লক্ষণগুলো হলো—
(i) থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধা পায়।
(ii) গায়ের চামড়া খসখসে হয়।
(iii) চেহারা গোলাকার গোবেচারা আকারের মুখমন্ডল তৈরি হয় ।
গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মেরুরজ্জীয় স্নায়ুর সংখ্যা কত?
উত্তর : মেরুরজ্জীয় স্নায়ুর সংখ্যা ৩১ জোড়া।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পনসের অবস্থান কোথায়?
উত্তর : পনসের অবস্থান মধ্য মস্তিষ্কের পেছনে ।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ অক্সিন কী?
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
উত্তর : অক্সিন হলো একটি ফাইটো হরমোন যা ভ্রূণ মুকুলাবরণীর অগ্রভাগে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ অগ্রমুকুল কী?
উত্তর : অগ্রমুকুল হলো উদ্ভিদের কান্ডের একেবারে শীর্ষ অঞ্চল ।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কাকে গুরু মস্তিষ্ক বলা হয়?
উত্তর : সেরিব্রামকে গুরু মস্তিষ্ক বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ উদ্ভিদে আলো–অন্ধকার ছন্দ কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদের ফুল ধারণে আলো-অন্ধকার বা দিনরাতের দৈর্ঘ্যের প্রভাবকে উদ্ভিদে আলো-অন্ধকার
ছন্দ বলে ।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ চলন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় জীব নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে উদ্দীপকের প্রভাবে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে তাকে চলন বলে ।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ গমন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে ।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ উদ্ভিদের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন কোনটি?
উত্তর : অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক প্রধান হরমোন।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ অক্সিনের দুটি উৎস উল্লেখ কর।
উত্তর : অক্সিনের দুটি উৎস : ১. ভ্রূণমুকুলাবরণী। ২. কান্ড ও মূলের অগ্রস্থ ভাজক টিস্যু।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ কোন হরমোন উদ্ভিদের ফুল ফুটাতে সাহায্য করে?
উত্তর : ফ্লোরিজেন হরমোন উদ্ভিদের ফুল ফুটাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ একটি গ্যাসীয় উদ্ভিদ হরমোনের নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : গ্যাসীয় উদ্ভিদ হরমোনের নাম ইথিলিন ।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে কোন হরমোন?
উত্তর : উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে অক্সিন হরমোন।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ নিউরনের প্রধান অংশ কয়টি?
উত্তর : নিউরনের প্রধান অংশ তিনটি।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সিন্যাপস কী?
উত্তর : সিন্যাপস হলো একটি নিউরনের অ্যাক্সনের সাথে অন্য একটি নিউরনের ডেনড্রনের সংযোগস্থল ।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ ডেনড্রাইট কী?
উত্তর : ডেনড্রাইট হলো কোষদেহের চারদিকের শাখাযুক্ত ক্ষুদ্ৰ ক্ষুদ্ৰ প্রলম্বিত অংশ।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ কয়টি?
উত্তর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ দুইটি।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ গুরুমস্তিষ্কের কোথায় ধূসরবস্তু থাকে?
উত্তর : গুরুমস্তিষ্কের বাইরের অংশে ধূসরবস্তু থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ স্নায়ুতন্ত্রের কাজ কয়টি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়?
উত্তর : স্নায়ুতন্ত্রের কাজ চারটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয় ।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ উদ্দীপনা বা স্নায়ুতাড়না কাকে বলে?
উত্তর : যে যান্ত্রিক রাসায়নিক বা ভৌত পরিবর্তন দেহকে বা দেহের কোনো অংশকে উত্তেজিত করে, তাকে উদ্দীপনা বা স্নায়ুতাড়না বলে ।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ গ্রে–ম্যাটার কাকে বলে?
উত্তর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে কেবল নিউরনের কোষদেহ থাকে তাকে গ্রে-ম্যাটার বলে ।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ সুষুম্না কান্ড বা মেরুরজ্জু কাকে বলে?
উত্তর : মস্তিষ্কের সুষুম্নাশীর্ষকের শেষভাগ থেকে শুরু হয়ে করোটির পশ্চাদের ছিদ্র (ফোরামেন ম্যাগনাম) পথ দিয়ে মেরুদন্ডের ভেতর দিয়ে পৃষ্ঠমধ্যরেখা বরাবর দেহের পুচ্ছ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে সুষুম্না কান্ড বলে।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ সুষুম্না কান্ডের একটি কাজ লেখ।
উত্তর : সুষুম্না কান্ড পরিবেশ থেকে গৃহীত সংবেদন মস্তিষ্কে পাঠায় এবং মস্তিষ্কের নির্দেশ বিভিন্ন অন্তরযন্ত্রে প্রেরণ করে।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের কার্যগত পার্থক্য কী?
উত্তর : অ্যাক্সন স্নায়ুস্পন্দন বহন করে এবং ডেনড্রন স্নায়ুস্পন্দন গ্রহণ করে ।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ দিকমুখিতা কাকে বলে?
উত্তর: উদ্ভিদ অঙ্গের বিশেষ দিকে অর্থাৎ উদ্দীপকের গতিপথে যেমন : আলোর দিকে, মাটির দিকে, পানির দিকে বৃদ্ধি পাওয়া বা চলনকে দিকমুখিতা বলে ।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ গুরুমস্তিষ্কের কাজ কী?
উত্তর : গুরুমস্তিষ্ক প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতিশক্তি, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে ।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ লঘুমস্তিষ্কের কাজ কী?
উত্তর : মেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা লঘুমস্তিষ্কের কাজ।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ কোথা থেকে প্রান্তীয় স্নায়ুর উৎপত্তি ঘটে?
উত্তর : প্রান্তীয় স্নায়ুর উৎপত্তি ঘটে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ প্রান্তীয় স্নায়ুর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : প্রান্তীয় স্নায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- সংজ্ঞাবহ অর্থাৎ উদ্দীপনাকে উৎপত্তিস্থল থেকে মস্তিষ্কে বহন করে নিয়ে আসা ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় সমন্বয় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় সমন্বয় বলতে প্রতিনিয়ত একযোগেনিয়ম-শৃঙ্খলার মাধ্যমে সংঘটিত কাজগুলোকে বোঝায়।
উদ্ভিদের জীবনকালে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনচক্রের পর্যায়গুলো যেমন : অঙ্কুরোদগম, বৃদ্ধি ও বিকাশ, পুষ্পায়ন, ফল সৃষ্টি, বার্ধক্য প্রাপ্তি, সুপ্তাবস্থা ইত্যাদি একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম মেনে চলে । এসব কাজের সমন্বয় সাধনই হলো উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় সমন্বয় ।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ডায়াবেটিস রোগের চারটি লক্ষণ লেখ ।
উত্তর : ডায়াবেটিস রোগের চারটি লক্ষণ নিম্নরূপ :
i. ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া ।
ii. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
iii. পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া সত্ত্বেও দেহের ওজন কমতে থাকা ।
iv. ক্ষতস্থান সহজে না শুকানো।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ আমাদের দেহের চারটি নালিবিহীন গ্রন্থির অবস্থান উল্লেখ করে নাম লেখ।
উত্তর : আমাদের দেহের চারটি নালিবিহীন গ্রন্থির অবস্থান ও নাম নিম্নরূপ :
i. পিটুইটারী গ্রন্থি— মস্তিষ্কের নিচের অংশে
ii. থাইরয়েড গ্রন্থি— গলায় ট্রাকিয়ার ওপর অংশে
iii. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি— থাইরয়েড গ্রন্থির পেছনে
iv. থাইমাস— গ্রীবা অঞ্চলে
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মস্তিষ্কের সেরিবেলাম কী কাজ করে?
উত্তর : সেরিবেলামের কাজ নিচে দেওয়া হলো—
i. চলনে সমন্বয় সাধন করে
ii. দৌড়ানো ও লাফানোর কাজে জড়িত পেশিগুলোর কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে ।
iii. দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
iv. দেহের পেশির টান নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বৃদ্ধি ও জননের সম্পর্ক কেমন?
উত্তর : পরিণত হওয়ার পর জীব প্রজননক্ষম হয়ে নতুন জীব সৃষ্টি করে। বৃদ্ধি এবং জননের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। সুতরাং অপরিণত জীব বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিণতি লাভ করে এবং অবশেষে জননের মাধ্যমে নতুন অপত্য জীবের সৃষ্টি করে । এটাই বৃদ্ধি ও জননের সম্পর্ক।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ উদ্ভিদে আলো–অন্ধকার ছন্দের প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আলো-অন্ধকার ছন্দের গুরুত্ব অপরিসীম।
এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে এক ঋতুর ফসল অন্য ঋতুতে ফলানো সম্ভব। এর ফলে সুবিধাজনক সময়ে ফসল উৎপন্ন করে তাকে বন্যা, ঝড়, তুষারপাত, রোগবালাই প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তাছাড়া এক ঋতুর ফসল উৎপন্ন ও বাজারজাত করে ভিন্ন মৌসুমের ফসল হিসেবে প্রচুর আয় করা সম্ভব ।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ হঠাৎ উদ্দীপনায় প্রাণিদেহে যে দ্রুত স্বতঃস্ফূর্ত এবং অনৈচ্ছিক সাড়ার সৃষ্টি হয় তাকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলে ।
তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের ত্বরিত ক্রিয়ার নামই প্রতিবর্তী ক্রিয়া । এই প্রক্রিয়াটি মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এই প্রক্রিয়াটি স্নায়ুরজ্জু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। স্নায়ুরজ্জু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়াটিকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলা হয়। চোখে প্রখর আলো পড়ামাত্র চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া, আগুনে হাত লাগা বা পিনে হাত ফোটামাত্র হাত টেনে নেয়া— এগুলো প্রতিবর্তী ক্রিয়া ।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ হরমোনের কাজ ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : বহুকোষী প্রাণীদের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধক হিসেবে স্নায়ুতন্ত্র ও বিবিধ হরমোন কাজ করে । বহুকোষী উদ্ভিদদেহে স্নায়ুতন্ত্র অনুপস্থিত থাকায় হরমোনই একমাত্র সমন্বয় সাধক হিসেবে কাজ করে। জীবের বৃদ্ধি, প্রজনন, বংশবিস্তার, অনুভূতি গ্রহণ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ইত্যাদি কাজে হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ হরমোনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর : হরমোনের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
(i) হরমোন এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ।
(ii) হরমোন কোষে উৎপন্ন হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ একটি উদ্ভিদের কান্ডের আগা কেটে দিলে উদ্ভিদটিতে কী পরিবর্তন দেখা যাবে এবং কেন?
উত্তর : উদ্ভিদের কান্ডের আগায় শীর্ষমুকুল থাকে এবং অক্সিন এর বৃদ্ধি ঘটায়। ফলে উদ্ভিদ লম্বা হয়। এ সময় কাক্ষিক মুকুলগুলোর বৃদ্ধি ঘটে না। কান্ডের আগা কেটে দিলে কাক্ষিক মুকুলগুলোর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটবে অক্সিন হরমোনের প্রভাবে। এতে গাছটিতে শাখাপ্রশাখা উৎপন্ন হয়ে ঝাকড়া হয়ে যাবে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ প্রতিবর্তী ক্রিয়া একটি রেখাচিত্রের দ্বারা দেখাও ৷
উত্তর : প্রতিবর্তী পথের রেখাচিত্র নিম্নরূপ –
গ্রাহক অঙ্গ → অনুভূতিবাহী স্নায়ু → প্রতিবর্তী কেন্দ্ৰ (সুষুম্না কান্ড) → আজ্ঞাবাহী স্নায়ু → কারক অঙ্গ ।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ প্রতিবর্তী ক্রিয়ার পথের বিভিন্ন অংশগুলো কী কী?
উত্তর : একটি প্রতিবর্তী ক্রিয়া পাঁচটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত :
(i) গ্রাহক
(ii) অনুভূতিবাহী স্নায়ু
(iii) প্রতিবর্তী কেন্দ্র (সুষুম্নাকান্ড)
(iv) আজ্ঞাবাহী স্নায়ু
(v) কারক অঙ্গ।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ সিন্যাপস এর কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মিলন স্থলকে সিন্যাপস বলে। এক স্নায়ুকোষ থেকে স্নায়ুতাড়নাকে অপর স্নায়ুকোষে পরিবাহিত করা সিন্যাপসের কাজ। সুতরাং সিন্যাপস না থাকলে প্রাণীরা বাইরের ও ভেতরের উদ্দীপনায় সাড়া দিতে পারত না এবং স্নায়ুতন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়ত।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ স্নায়ুতন্ত্রের কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দেহের বিভিন্ন অংশের উদ্দীপনা বহন করা, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করা ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখাই স্নায়ুতন্ত্রের কাজ। পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য জীবদেহে দ্রুত যোগাযোগ রক্ষাকরা প্রয়োজন। আমাদের চলাফেরা, কোনো বিষয়ে চিন্তা করা, হাতে গরম লাগলে দ্রুত হাত সরিয়ে নেওয়া ইত্যাদি ঘটে বিভিন্ন উদ্দীপকের কার্যকারিতার ফলে যা স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সেরিব্রামের কাজ লেখ।
উত্তর : সেরিব্রাম আমাদের চিন্তা, চেতনা, জ্ঞান, স্মৃতি, ইচ্ছা, বাকশক্তি ও ঐচ্ছিক পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো উদ্দীপকের প্রতি কী ধরনের সাড়া দিতে হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ নিউরনের কাজ লেখ।
উত্তর : নিউরনের প্রধান কাজ উদ্দীপনা বহন করা এবং অনুভূতিবাহী নিউরন গ্রাহক অঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর বা আজ্ঞাবাহী নিউরন স্নায়ুতন্ত্র থেকে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ ডোপামিন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : স্নায়ুকোষ এক ধরনের নির্যাস তৈরি করে থাকে, যাকে ডোপামিন বলে।
ডোপামিন শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে। মস্তিষ্ক ডোপামিন তৈরির কোষসমূহ নষ্ট হয়ে গেলে পারকিনসন রোগ হয়। ফলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ মেডুলা অবলংগাটার ২টি কাজ লেখ।
উত্তর : মেডুলা অবলংগাটার ২টি কাজ নিচে দেওয়া হলো। যথা :
(i) মেডুলা অবলংগাটা খাদ্য গলাধঃকরণ, হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, গলবিল প্রভৃতির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে ।
(ii) এই স্নায়ুগুলো শ্রবণ ও ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ স্ট্রোকের লক্ষণগুলো লেখ।
উত্তর : স্ট্রোকের লক্ষণ হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়। নিচে লক্ষণগুলো দেওয়া হলো :
(i) বমি ও প্রচন্ড মাথাব্যথা।
(ii) কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগী সংজ্ঞা হারায়।
(iii) ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে পারে।
(iv) মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়।
(v) শ্বসন ও নাড়ির স্পন্দন কমে যায়।
(vi) মুখমন্ডল লালবর্ণ ধারণ করে।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. থাইমাস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন কোনটি?
ক. থাইরক্সিন খ. প্যারাথাইরক্সিন
গ. থাইমক্সিন ঘ. থাইরোট্রপিন
উত্তর: গ. থাইমক্সিন
২. আইলেটস্ অফ ল্যাংগারহ্যানস–
i. শরীরের শর্করা বিপাকে সহায়তা করে
ii. ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ করে
iii. দেহের বিপাকীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
নিচের চিত্রের আলোকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩. ‘A’ এর ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
ক. আলোক দিকমুখিতা খ. ভূ-দিকমুখিতা
গ. পানি দিকমুখিতা ঘ. রাসায়নিক দিকমুখিতা
উত্তর: ক. আলোক দিকমুখিতা
8. ‘A’ অংশটি সৃষ্টিতে কোনটি কাজ করে?
ক. অক্সিন খ. জিবেরেলিন
গ. সাইটোকাইনিন ঘ. অ্যাবসিসিক এসিড
উত্তর: ক. অক্সিন
৫. বীজের সুপ্তাবস্থার দৈর্ঘ্য কমাতে কোন হরমোনটি ব্যবহার হয়?
ক. অক্সিন খ. জিবেরেলিন
গ. ইথিলিন ঘ. সাইটোকাইনিন
উত্তর: খ. জিবেরেলিন
৬. মানব মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ কোনটি?
ক. পনস খ. সেরিবেলাম
গ. সেরিব্রাম ঘ. মেডুলা অবলংগাটা
উত্তর: গ. সেরিব্রাম
৭. ডায়াবেটিস টাইপ–১ এ আক্রান্ত রোগীর দেহে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়—
ক. বেশি পরিমাণে খ. কম পরিমাণে
গ. প্রয়োজনমতো ঘ. একেবারেই উৎপন্ন হয় না
উত্তর: ঘ. একেবারেই উৎপন্ন হয় না
৮. ছোট দিনের উদ্ভিদ নিচের কোনটি?
ক. ঝিঙা খ. সূর্যমুখী
গ. শশা ঘ. ডালিয়া
উত্তর: ঘ. ডালিয়া
৯. অভিস্রবণ ও শ্বসনের হার বৃদ্ধিতে কোন হরমোনের প্রভাব রয়েছে?
ক. অক্সিন খ. ইথিলিন
গ. সাইটোকাইনিন ঘ. জিবেরেলিন
উত্তর: ক. অক্সিন
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
১০. আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস নিঃসৃত হরমোন কোনটি?
ক. ইনসুলিন খ. প্রোল্যাকটিন
গ. অ্যাডরেনালিন ঘ. থাইরোট্রপিন
উত্তর: ক. ইনসুলিন
১১. ইলিশ মাছ নিচের কোন রোগটি প্রতিরোধ করে?
ক. ডায়াবেটিস খ. গয়টার
গ. এপিলেপসি ঘ. আমাশয়
উত্তর: খ. গয়টার
১২. পুস্টুলেটেড হরমোনের উদাহরণ নিচের কোনটি?
ক. জিবেরেলিন খ. ফ্লোরিজেন
গ. ইথিলিন ঘ. অক্সিন
উত্তর: খ. ফ্লোরিজেন
১৩. দুটি নিউরনের অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইটের মধ্যে সূক্ষ্ম ফাঁকা সংযোগস্থলকে কি বলে?
ক. অ্যাক্সলেমা খ. মায়োলিন
গ. সিন্যাপস ঘ. র্যানভিয়ার পর্ব
উত্তর: গ. সিন্যাপস
১৪. দিনের দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে থাকলে কোন উদ্ভিদে ফুল ফোটাবে?
ক. ডালিয়া, ঝিঙা খ. শসা, ঝিঙা
গ. লেটুস, চন্দ্রমল্লিকা ঘ. চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া
উত্তর: ঘ. চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া
১৫. ফুল ফোটাতে এবং বীজের সুপ্তাবস্থার দৈর্ঘ্য কমায় কোন হরমোন?
ক. অক্সিন খ. জিবরেলিন
গ. ইথিলিন ঘ. সাইটোকাইনিন
উত্তর: খ. জিবরেলিন
১৬. মস্তিষ্কে কোন অংশ ঐচ্ছিক পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে?
ক. মেডুলা খ. মধ্যমস্তিষ্ক
গ. সেরিব্রাম ঘ. সেরিবেলাম
উত্তর: গ. সেরিব্রাম
১৭. পারকিনসন রোগ হয় কোনটির অভাবে?
ক. থাইমক্সিন খ. ইনসুলিন
গ. ডোপামিন ঘ. গোনাডোট্রপিন
উত্তর: গ. ডোপামিন
১৮. হৃদপেশির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয় কোনটি দ্বারা?
ক. মেরুরজ্জু খ. করোটিক স্নায়ু
গ. সেরিবেলাম ঘ. প্রতিবর্তী ক্রিয়া
উত্তর: খ. করোটিক স্নায়ু
১৯. বীজহীন ফল উৎপাদনে কোনটি ব্যবহার করা হয়?
ক. অক্সিন খ. ইথিলিন
গ. সাইটোকাইনিন ঘ. অ্যাবসিসিক এসিড
উত্তর: ক. অক্সিন
২০. উদ্ভিদে ফুল ফোটাতে সাহায্য করে কোন হরমোন?
ক. অক্সিন খ. ফ্লোরিজেন
গ. জিবেরেলিন ঘ. ইথিলিন
উত্তর: খ. ফ্লোরিজেন
২১. মানবদেহের সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র গ্রন্থি কোনটি?
ক. থাইরয়েড গ. থাইমাস
খ. পিটুইটারি ঘ. অ্যাডরেনাল
উত্তর: খ. পিটুইটারি
২২. বীজ ও অঙ্গের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গকরণে কোন হরমোন ভূমিকা পালন করে?
ক. ইথিলিন খ. জিবেরেলিন
গ. সাইটোকাইনিন ঘ. অক্সিন
উত্তর: গ. সাইটোকাইনিন
২৩. নিম্নের কোনটির ক্ষেত্রে সামগ্রিক চলন ঘটে?
ক. পেনিসিলিয়াম খ. ঈস্ট
গ. নিটাম ঘ. ডায়াটম
উত্তর: ঘ. ডায়াটম
২৪. গ্লুকাগন নিঃসরণে কোন গ্রন্থি কাজ করে?
ক. অগ্ন্যাশয় খ. গ্যাস্ট্রিক
গ. আন্ত্রিক ঘ. যকৃত
উত্তর: ক. অগ্ন্যাশয়
২৫. পোকা দমনের কাজে নিচের কোন হরমোনব্যবহার করা হয়?
ক. ফেরোমন খ. অক্সিন
গ. সাইটোকাইনিন ঘ. জিবেরেলিন
উত্তর: ক. ফেরোমন
২৬. নিচের কোনটি ছোট দিনের উদ্ভিদ?
ক. শসা খ. ঝিঙা
গ. লেটুস ঘ. ডালিয়া
উত্তর: ঘ. ডালিয়া
২৭. বীজহীন ফল উৎপাদনে কোনটির ব্যবহার রয়েছে?
ক. জিবেরেলিন খ. সাইটোকাইনিন
গ. ইথিলিন ঘ. অ্যাবসিসিক এসিড
উত্তর: ক. জিবেরেলিন
২৮. দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ছিদ্র দিয়ে কত জোড়া মেরুরজ্জীয় স্নায়ু বের হয়?
ক. ২০ খ.২১
গ. ৩০ ঘ. ৩১
উত্তর: ঘ. ৩১
২৯. কোনটিতে সামগ্রিক চলন দেখা যায়?
ক. পরাগরেণু খ. জাইগোট
গ. জুস্পোর ঘ. ভ্ৰূণ
উত্তর: গ. জুস্পোর
৩০. মানব মস্তিষ্কের মেডুলা অবলংগাটা থেকে কয় জোড়া করোটিকা স্নায়ু উৎপন্ন হয়?
ক.১২ খ. ১০
গ. ৮ ঘ. ৬
উত্তর: ক.১২
৩১. মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ কোনটি?
ক. সেরিব্রাম খ. সেরিবেলাম
গ. পনস ঘ. মেডুলা অবলংগাটা
উত্তর: ক. সেরিব্রাম
৩২. নিচের কোনটির অভাবে মানুষ পারকিনসন রোগে ভোগে?
ক. ইনসুলিন খ. থাইমক্সিন
গ. ডোপামিন ঘ. ইস্ট্রোজেন
উত্তর: গ. ডোপামিন
৩৩. ছেলেদের গোঁফ–দাড়ি গজায় কোন হরমোনের কারণে?
ক. ইস্ট্রোজেন খ. থাইরক্সিন
গ. টেস্টোস্টেরন ঘ. রিলাক্সিন
উত্তর: গ. টেস্টোস্টেরন
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
৩৪. একগুচ্ছ স্নায়ুতন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি কোনটি?
ক. সেরিবেলাম খ. মেডুলা অবলংগাটা
গ. সেরেব্রাম ঘ. পনস
উত্তর: ঘ. পনস
৩৫. পেশির নড়াচড়ার সহায়তার জন্য স্নায়ু কোষ নিচের কোন নির্যাসটি তৈরি করে?
ক. ডোপামিন খ. ভার্নালিন
গ. ফেরোমন ঘ. প্রোল্যাকটিন
উত্তর: ক. ডোপামিন
৩৬. মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণে সাহায্য করে কোনটি?
ক. প্রোল্যাকটিন খ. থাইরক্সিন
গ. অ্যাডরেনালিন ঘ. ইস্ট্রোজেন
উত্তর: গ. অ্যাডরেনালিন
৩৭. মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. ১৯৭৬ খ. ১৯৮৩
গ. ১৯৮৯ ঘ. ১৯৯০
উত্তর: ঘ. ১৯৯০
৩৮. উদ্ভিদের সাইটোকাইনিন হরমোন বিদ্যমান কোনটিতে?
ক. ফুল, ফল ও ডাবের পানি
খ. ফল, বীজ ও ডাবের পানি
গ. ফল, শস্য ও ডাবের পানি
ঘ. শস্য, বীজ ও ডাবের পানি
উত্তর: গ. ফল, শস্য ও ডাবের পানি
৩৯. থাইরয়েড গ্রন্থি কোথায় অবস্থিত?
ক. মস্তিষ্ক খ. যকৃত
উত্তর: ঘ. ট্রাকিয়া
৪০. অ্যাক্সন কোন ধরনের কোষের অংশ?
ক. আবরণী কোষ খ. স্নায়ু কোষ
গ. অস্থি কোষ ঘ. পেশী কোষ
উত্তর: খ. স্নায়ু কোষ
৪১. একটি নিউরন থেকে উদ্দীপনা পরবর্তী নিউরণে পরিবাহিত হয় কোনটির মাধ্যমে?
ক. অ্যাক্সন খ. কোষদেহ
গ. ডেনড্রন ঘ. সিন্যাপস
উত্তর: ঘ. সিন্যাপস
৪২. ডাবের পানিতে কোন হরমোন পাওয়া যায়?
ক. অক্সিন খ. সাইটোকাইনিন
গ. জিবেরেলিন ঘ. ইথিলিন
উত্তর: খ. সাইটোকাইনিন
৪৩. প্রতিবর্তী ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি?
ক. মস্তিষ্ক খ. হরমোন
গ. সুষুমাকাণ্ড ঘ. নিউরন
উত্তর: গ. সুষুমাকাণ্ড
৪৪. ইনসুলিন কোথা হতে নিঃসরণ হয়?
ক. পিটুইটারি খ. আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স
গ. গোনাড ঘ. থাইমাস
উত্তর: খ. আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স
৪৫. কোনটি ‘দিন নিরপেক্ষ‘ উদ্ভিদ?
ক. চন্দ্রমল্লিকা খ. ঝিঙা
গ. ডালিয়া ঘ. শসা
উত্তর: ঘ. শসা
৪৬. প্যারালাইসিসের সাধারণ কারণ কী?
ক. স্নায়ু বৈকল্য খ. স্ট্রোক
গ. এপিলেপসি ঘ. সিন্যাপটিক ধাক্কা
উত্তর: খ. স্ট্রোক
৪৭. কোন অংগটি দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে ?
গ. সেরিব্রাম ঘ. মেডুলা অবলংগাটা
উত্তর: খ. সেরিবেলাম
৪৮. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি থেকে কোন হরমোন নিঃসৃত হয়?
ক. ইনসুলিন খ. থাইমক্সিন
গ. প্যারাথাইরক্সিন ঘ. অ্যাডরেনালিন
উত্তর: গ. প্যারাথাইরক্সিন
৪৯. দুইটি নিউরনের সংযোগের মাধ্যমে নিচের কোনটি পরিবাহিত হয়?
ক. উদ্দীপনা খ. হরমোন
গ. রক্ত ঘ. এনজাইম
উত্তর: ক. উদ্দীপনা
৫০. পুস্টুলেটেড হরমোনের উদাহরণ কোনটি?
ক. অক্সিন খ. ইথিলিন
গ. ভার্নালিন ঘ. জিবেরেলিন
উত্তর: গ. ভার্নালিন
৫১. কোনটি উদ্ভিদের বক্রচলনের উদাহরণ?
ক. শৈবালের
খ. ছত্রাকের স্পোরের
গ. উদ্ভিদের যৌনজনন কোষের
ঘ. মূলের অন্ধকারমুখী চলন
উত্তর: ঘ. মূলের অন্ধকারমুখী চলন
৫২. ফলকে কৃত্রিমভাবে পাকাতে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
ক. অক্সিন খ. জিবেরেলিন
গ. সাইটোকাইনিন ঘ. ইথিলিন
উত্তর: ঘ. ইথিলিন
৫৩. কোনটির কারণে জনন অঙ্গের উৎপত্তি হয়–
ক. থাইরয়েড খ. থাইমাস
গ. অ্যাডরেনাল ঘ. আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যামস
উত্তর: খ. থাইমাস
৫৪. “হাইপোফাইসিস” এর অবস্থান কোথায়?
ক. মস্তিষ্ক খ. বৃক্ক
গ. অগ্ন্যাশয় ঘ. গোনড্রোট্রোপিক হরমোন
উত্তর: ক. মস্তিষ্ক
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
৫৫. পারকিনসন রোগটি হয়–
i. ৫০ বছর বয়সের পরে
ii. বংশগতভাবে
iii. আঘাতজনিত কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৫৬. মাদকাসক্তি থেকে পরিত্রাণের উপায়–
i. নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসার করা
ii. বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা
iii. জনসচেতনতা গড়ে তোলা ও আইনের সঠিক প্রয়োগ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৫৭. কোন গ্রন্থি হতে নিঃসৃত হরমোন ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে?
ক. থাইরয়েড খ. প্যারাথাইরয়েড
গ. অ্যাডরেনাল ঘ. আইলেটস অব ল্যাংগার হ্যানস
উত্তর: খ. প্যারাথাইরয়েড
৫৮. একজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাভীতি দূর করতে সাহায্য করে কোন গ্রন্থি?
ক. থাইরয়েড খ. থাইমাস
গ. প্যারাথাইরয়েড ঘ. অ্যাডরেনাল
উত্তর: ঘ. অ্যাডরেনাল
৫৯. কোন রোগটি কাঁপুনি দিয়ে শুরু হয়?
ক. প্যারালাইসিস খ. এপিলেপসি
গ. ব্রেইন স্ট্রোক ঘ. পারকিনসন
উত্তর: খ. এপিলেপসি
৬০. স্নায়ুতন্ত্রের সাধারণ বৈকল্য কোনটি?
ক. পক্ষাঘাত খ. মেনিনজাইটিস
গ. মৃগীরোগ ঘ. স্ট্রোক
উত্তর: ক. পক্ষাঘাত
৬১. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া কোনটির কাজ?
ক. নাক, কান খ. দাঁত, মুখন্ডল
গ. অন্ত্র, অগ্ন্যাশয় ঘ. জিহ্বা, হৃৎপিন্ড
উত্তর: গ. অন্ত্র, অগ্ন্যাশয়
৬২. মানবদেহে থাইরয়েড গ্রন্থি কোথায় অবস্থিত ?
ক. গ্রীবা অঞ্চলে খ. গলার ট্রাকিয়ার উপরে
গ. কিডনির উপরে ঘ. ফুসফুসের নিচে
উত্তর: খ. গলার ট্রাকিয়ার উপরে
৬৩. আয়োডিনের অভাবে কোন গ্রন্থি ফুলে যায়?
ক. অ্যাড্রিনাল খ. থাইরয়েড
গ. থাইমাস ঘ. প্যারাথাইরয়েড
উত্তর: খ. থাইরয়েড
৬৪. কোনটি ফল পাকাতে সাহায্য করে?
ক. অক্সিন খ. ইথিলিন
গ. সাইটোকাইনিন ঘ. জিবেরেলিন
উত্তর: খ. ইথিলিন
৬৫. মস্তিষ্কের কয়টি অংশ?
ক. ১ খ. ২
গ. ৩ ঘ. ৪
উত্তর: গ. ৩
৬৬. কোনটির অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়?
ক. থাইরক্সিন খ. আয়োডিন
গ. ইনসুলিন ঘ. পেপসিন
উত্তর: খ. আয়োডিন
৬৭. মেরুরজ্জু থেকে কতজোড়া স্নায়ু নির্গত হয়?
ক. ১০ জোড়া খ. ১১ জোড়া
গ. ২১ জোড়া ঘ. ৩১ জোড়া
উত্তর: ৩১ জোড়া
৬৮. উদ্ভিদের গৌণ বৃদ্ধিতে কোন হরমোন ভূমিকা রাখে?
ক. ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিড খ. অক্সিন
গ. ইথিলিন ঘ. অ্যাবসিসিক এসিড
উত্তর: ক. ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিড
৬৯. জর্দার নিকোটিন প্রাথমিক অবস্থায় কোন তন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে?
ক. শ্বাসতন্ত্র খ. পরিপাকতন্ত্র
গ. রক্ত সংবহনতন্ত্র ঘ. স্নায়ুতন্ত্র
উত্তর: ঘ. স্নায়ুতন্ত্র
৭০. থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলে —
i. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়বে
ii. বিপাক কার্য বাধাগ্রস্ত হবে
iii. চোখ বের হয়ে আসবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
৭১. মানুষের পশ্চাৎ মস্তিষ্কের অংশগুলো হলো–
i. কর্টেক্স
ii. সেরিবেলাম
iii. পনস ও মেডুলা অবলংগাটা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৭২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অর্নব হাঁটছিল, সে পড়ে গিয়ে কেঁদে উঠল।
৭২. অর্নবের ক্ষেত্রে প্রভাব রয়েছে?
i. হরমোনতন্ত্র
ii. পেশিতন্ত্র
iii. স্নায়ুতন্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৭৩ ও ৭৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
উদ্ভিদের প্রতিটি কোষই হরমোন উৎপন্ন করতে সক্ষম। এটা কোনো পুষ্টি দ্রব্য নয় তবে ক্ষুদ্র মাত্রায় উৎপন্ন হয়ে কোষে বিভিন্নতা সৃষ্টি ও দেহের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে ৷
৭৩. কোনটি ফাইটোহরমোন নয়?
ক. ইনসুলিন খ. অক্সিন
গ. ইথিলিন ঘ. সাইটোকাইনিন
উত্তর: ক. ইনসুলিন
৭৪. কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—
ক. ইথিলিন খ. সাইটোকাইনিন
গ. অক্সিন ঘ. অ্যাবসিসিকি এসিড
উত্তর: খ. সাইটোকাইনিন
৭৫. কোনটির প্রভাবে উদ্ভিদকান্ডের অতিবৃদ্ধি ঘটে?
ক. অক্সিন খ. ইথিলিন
গ. ভার্নালিন ঘ. জিবেরেলিন
উত্তর: ঘ. জিবেরেলিন
৭৬. নিচের কোনটি বড় দিনের উদ্ভিদ?
ক. চন্দ্রমল্লিকা খ. ঝিঙা
গ. ডালিয়া ঘ. শসা
উত্তর: খ. ঝিঙা
৭৭.

উপরের চিত্রের A চিহ্নিত অংশটির চলন হবে–
i. আলোকমুখী
ii. অন্ধকারমুখী
iii. পানিমুখী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
৭৮. হরমোনের প্রভাবে উদ্ভিদের–
i. বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে
ii. বিভিন্ন অঙ্গ সৃষ্টি হয়
iii. সকল কাজ নিয়ন্ত্রিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৭৯. অক্সিনের কাজ হলো–
i. বীজহীন ফল উৎপাদনে সাহায্য করে
ii. শাখা কলমে মূল গজায়
iii. ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮০. বৃদ্ধিজনিত চলনের উদাহরণ—
i. মূলের এগিয়ে চলা
ii. আকর্ষীর অবলম্বনকে পেঁচিয়ে ধরা
iii. কান্ডের বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮১. হরমোন উদ্ভিদে–
i. পুষ্টি দ্রব্য
ii. ক্ষুদ্রমাত্রায় উৎপন্ন হয়
iii. দেহের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮২ ও ৮৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিজ্ঞানীদের মতে এক ধরনের রাসায়নিক বস্তু বহুকোষী জীবের কোষে উৎপন্ন হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষ বা কোষপুঞ্জের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে ৷
৮২. উল্লিখিত রাসায়নিক বস্তুটি কী?
ক. স্টেরয়েড খ. লিপিড
গ. এনজাইম ঘ. হরমোন
উত্তর: ঘ. হরমোন
৮৩. উল্লিখিত রাসায়নিক বস্তুটি উদ্ভিদের–
i. ফাইটোহরমোন
ii. বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায়
iii. শারীরবৃত্তীয় কাজের হার বৃদ্ধি করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮৪ ও ৮৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাফাত ক্লাসে পাঠ গ্রহণের সময় জানতে পারল এক প্রকার হরমোনের কথা, যার প্রভাবে ধানগাছের অতিবৃদ্ধি হয় এবং ফল ও উদ্ভিদের বিকাশেও যাদের ভূমিকা রয়েছে।
৮৪. রাফাত কোন হরমোনটির কথা জানতে পারল?
ক. জিবেরেলিন খ. অক্সিন
গ. ইথিলিন ঘ. অ্যাবসিসিক এসিড
উত্তর: ক. জিবেরেলিন
৮৫. উল্লিখিত হরমোনটি প্রয়োগ করা হয়–
i. ফুল ফোটাতে
ii. বীজের সুপ্তাবস্থার দৈর্ঘ্য কমাতে
iii. উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮৬. হরমোনের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে কে?
ক. স্নায়ুতন্ত্র খ. দেহ
গ. নালিহীন গ্রন্থি ঘ. এনজাইম
উত্তর: ক. স্নায়ুতন্ত্র
৮৭. পিঁপড়া খাদ্যের খোঁজ পেলে খাদ্য উৎস থেকে বাসায় আসার পথে কী নিঃসৃত করে?
ক. অক্সিন খ. ফেরোমন
গ. ফ্লোরিজেন ঘ. ইথিলিন
উত্তর: খ. ফেরোমন
৮৮. রাসায়নিক দূত কোনটি?
ক. ভিটামিন খ. এনজাইম
গ. হরমোন ঘ. এটিলি
উত্তর: গ. হরমোন
৮৯. রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় কোনটি?
ক. হরমোন খ. স্নায়ুতাড়না
গ. স্নায়ুউদ্দীপনা ঘ. অনুভূতি
উত্তর: ক. হরমোন
৯০. সুষুম্নাকান্ড কার অংশ?
ক. প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের খ. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
গ. মেরুদন্ডের ঘ. অগ্রমস্তিস্কের
উত্তর: খ. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
৯১. পতঙ্গ যে হরমোন নিঃসৃত করে তার নাম কী?
ক. প্রোল্যাকটিন খ. ফেরোমন
গ. গ্লুকাগন ঘ. ফ্লোরিজেন
উত্তর: খ. ফেরোমন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৯২ ও ৯৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রাণীরা তাদের বিভিন্ন কাজে ফেরোমন নিঃসরণ করে। এটি পোকা ধ্বংসের কাজে আমরাও ব্যবহার করে থাকি ।
৯২. পতঙ্গ উক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে কেন?
ক. সঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে খ. বাসা তৈরির জন্য
গ. বর্জ্য নিষ্কাশনের উদ্দেশ্যে ঘ. ডিম ফুটানোর জন্য
উত্তর: ক. সঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে
৯৩. উক্ত নিঃসৃত পদার্থটি পোকা ধ্বংসের জন্য যেভাবে কাজ করে—
i. ফাঁদে ব্যবহার করা হয় যাতে পানিতে ডুবে পোকা মারা যায়
ii. এটি পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়া
iii. এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
৯৪. কোনটি মস্তিষ্কের সুরক্ষা প্রদান করে ?
ক. করোটি খ. স্কাল
গ. করোটিকা ঘ. স্কেলিটন
উত্তর: ক. করোটি
৯৫. স্নায়ুতন্ত্রের পরিচালক কোনটি?
ক. সুষুম্না কান্ড খ. মেরুরজ্জু
গ. মস্তিষ্ক ঘ. সুষুম্নাস্নায়ু
উত্তর: গ. মস্তিষ্ক
৯৬. কোনটিকে গুরুমস্তিষ্ক বলা হয়?
গ. পনস ঘ. মেডুলা অবলংগাটা
উত্তর: খ. সেরিব্রাম
৯৭. কোনটি সেরিব্রামকে আবৃত করে রাখে?
ক. প্লূরা খ. মেনিনজেস
গ. আবরণী কলা ঘ. পেরিকার্ডিয়াম
উত্তর: খ. মেনিনজেস
৯৮. অ্যাক্সনের চারদিকের পাতলা আবরণটিকে কী বলে?
ক.নিউরিলেমা খ. অ্যাক্সলেমা
গ. সিন্যাপস ঘ. মায়োলিন
উত্তর: ক.নিউরিলেমা
৯৯. অ্যাক্সনের মূল অক্ষের আবরণটিকে কী বলে?
ক. অ্যাক্সলেমা খ. অ্যাক্সনিমা
গ. মায়োলিন ঘ. নিউরিলেমা
উত্তর: ক. অ্যাক্সলেমা
১০০. ডেনড্রাইট ও অ্যাক্সনের সংযোগস্থলকে কী বলে?
ক. নিউরিলেমা খ. সিন্যাপস
গ. র্যানভিয়ার এর পর্ব ঘ. অ্যাক্সলেমা
উত্তর: খ. সিন্যাপস
১০১. সিন্যাপসের মধ্য দিয়ে কোন পদ্ধতিতে স্নায়ু তাড়না প্রবাহিত হয়?
ক. জৈব রাসায়নিক খ. যান্ত্ৰিক
গ. তড়িৎ রাসায়নিক ঘ. বিকিরণ
উত্তর: গ. তড়িৎ রাসায়নিক
১০২. প্রতিবর্তী ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি?
ক. মস্তিষ্ক খ. হরমোন
গ. সুষুম্নাকান্ড ঘ. নিউরন
উত্তর: গ. সুষুম্নাকান্ড
১০৩. স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক কী ?
ক. নেফ্রন খ. অ্যাক্সন
গ. স্নায়ু ঘ. নিউরন
উত্তর: ঘ. নিউরন
১০৪. দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করে কোনটি?
ক. পেশিতন্ত্র খ. কঙ্কালতন্ত্র
গ. স্নায়ুতন্ত্র ঘ. হরমোনতন্ত্র
উত্তর: গ. স্নায়ুতন্ত্র
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
১০৫. স্নায়ুকলার কাজ হলো –
i. স্মৃতি ধারণ করা
ii. অনুভব ও চিন্তায় সহায়তা করা
iii. বিভিন্ন অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
১০৬. মেরুরজ্জুতে—
i. শ্বেতপদার্থ থাকে বাইরে
ii. নিউরন থাকে মাঝে
iii. ধূসর পদার্থ থাকে ভিতরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
১০৭. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে রয়েছে—
i. মস্তিষ্ক
ii. সুষুম্না কান্ড
iii. করোটিক স্নায়ু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
১০৮. মস্তিষ্ক থেকে বের হওয়া করোটিক স্নায়ুগুলোর প্রকৃতি–
i. সংবেদী
ii. মোটর
iii. মিশ্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
১০৯. নিউরনের প্রলম্বিত অংশ–
i. কোষদেহ
ii. ডেনড্রাইট
iii. অ্যাক্সন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
১১০. অগ্র মস্তিষ্কের অংশ—
i. কর্টেক্স
ii. সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার
iii. সেরিবেলাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
১১১. মেরুরজ্জুর বৈশিষ্ট্য হলো—
i. শ্বেতপদার্থ ও ধূসর পদার্থ থাকে
ii. উপরিভাগ ঢেউতোলা
iii. শ্বেতপদার্থের অবস্থান বাইরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
নিচের চিত্রটি দেখ এবং ১১২–১১৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১১২. চিত্রে উল্লিখিত ‘A’ অংশটির নাম কী?
ক. ডেনড্রাইট খ. অ্যাক্সন
গ. কোষদেহ ঘ. প্রলম্বিত অংশ
উত্তর: গ. কোষদেহ
১১৩. নিউরিলেমা ও B –এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে–
i. অ্যাক্সলেমা থাকে
ii. মায়োলিন থাকে
iii. স্নেহপদার্থের স্তর থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
১১৪. জিবেরেলিন এর উৎস–
ক এক প্রকার শৈবাল খ. এক প্রকার ছত্রাক
গ. বীজপত্র ঘ. এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া
উত্তর: খ. এক প্রকার ছত্রাক
১১৫. মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণকে কী বলা হয়?
ক. প্যারালাইসিস খ. স্ট্রোক
গ. পারকিনসন ঘ. থ্রোম্বোসিস
উত্তর: খ. স্ট্রোক
১১৬. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে–
ক. অ্যামাইলেজ খ. লাইপেজ
গ. ট্রিপসিন ঘ. ইনসুলিন
উত্তর: ঘ. ইনসুলিন
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অহনা বাবার সাথে কৃষি খামারে ঘুরতে যেয়ে বিভিন্ন ধরনের গাছ পর্যবেক্ষণ করে। সে দেখল, একটি করে আলো জ্বালিয়ে ছোট ছোট চারা গাছ রাখা আছে এবং ঘরটি বেশ ঠান্ডা। সে আরও দেখল, কিছু ফলজ গাছের ফুল ফুটছে না, কিছু গাছে ফলগুলো ছোট অবস্থায় ঝরে পড়ছে।
ক. বায়োলজিক্যাল ক্লক কী?
খ. ভার্নালাইজেশন বলতে কী বুঝায়?
গ. উদ্দীপকে ফলজ গাছগুলোতে এরূপ সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অহনার দেখা গাছগুলো উক্ত পরিবেশে রাখার কারণ- বিশ্লেষণ কর ।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদে ফুল ধারণের ক্ষেত্রে আলো-অন্ধকার ছন্দকে বায়োলজিকাল ক্লক বলা হয়।
খ. উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্পায়নে আলোর মতো তাপ ও শৈত্যের প্রভাব রয়েছে। দেখা গেছে অনেক উদ্ভিদের অঙ্কুরিত বীজকে শৈত্য প্রদান করা হলে তাদের ফুল ধারণের সময় এগিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়াকেই বলে ভার্নালাইজেশন।
গ. উদ্দীপকে ফলজ গাছগুলোতে এরূপ সমস্যার কারণ ফাইটোহরমোনের অভাব।
অক্সিন এক ধরনের ফাইটোহরমোন। অক্সিনের কাজ হলো ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করা। জিবেরেলিন নামক অপর হরমোনের কাজ ফুল ফোটাতে সাহায্য করা। উদ্দীপকে ফলজ গাছগুলোতে এই হরমোনগুলোর স্বল্পতার কারণে ফুল ফুটছে না এবং ফলগুলো ঝরে পড়ছে।
এছাড়া ফুল ফোটার জন্য উদ্ভিদদেহে কিছু হরমোন তৈরি হয়, এদের পস্টুলেটেড হরমোন বলে। এদের মধ্যে ফ্লোরিজেন একটি। এটির উৎপত্তি দিবাদৈর্ঘ্যের আলো ও অন্ধকার কালের ওপর নির্ভর করে।
খামারে আলো জ্বালিয়ে রাখার কারণে সম্ভবত ছোটদিনের ফলজ গাছে ফুল ফুটছে না কারণ ওসব গাছগুলোতে ফ্লোরিজেন উৎপন্ন হচ্ছে না।
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
ঘ. অহনার দেখা গাছগুলোকে খামারিরা উদ্দীপকের পরিবেশে রেখেছিল অধিক ও আগাম ফুল-ফল ধরানোর জন্য।
উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গ বিকাশের ক্ষেত্রে আলো ও উষ্ণতার প্রভাব লক্ষণীয় I দীর্ঘ অন্ধকার দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদে পুষ্প উৎপাদনে ব্যঘাত ঘটায়। কিন্তু দীর্ঘ দিবা উদ্ভিদ যখন দীর্ঘ আলো পায় তখন ঐসব উদ্ভিদে পুষ্প উৎপাদন সহায়ক হয়।
সুতরাং বলা যায় উদ্ভিদে পুষ্প প্রস্ফুটন দিবা দৈর্ঘ্যের উপর অধিক নির্ভরশীল। অহনা তার বাবার সাথে কৃষি খামারে ঘুরতে গিয়ে যে ঘরটিতে ঢুকেছিল সেটি সম্ভবত একটি গ্রিন হাউস এবং সময়টা ছিল শীতকাল। যেখানকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকায় বাহিরের তাপের থেকে কম ঠান্ডা অনুভব করেছে ।
চারা গাছগুলো সম্ভবত বড় দিনের উদ্ভিদের। তাই শীতকালে ছোট দিনে তাদের পুষ্পায়নের জন্য আলোর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ঘরটিতে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। এর ফলে উদ্ভিদগুলোর মধ্যে পুষ্পায়ন ঘটবে আগাম সময়ে এবং খামারিরা এতে করে লাভবান হবে।
প্রশ্ন–২: নিচের চিত্রটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. প্রতিবর্তী ক্রিয়া কী?
খ. প্রাণরস কাকে বলে বুঝিয়ে লেখ।
গ. মানবদেহে উদ্দীপনা তৈরিতে ‘A’ চিহ্নিত অংশটির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত কোষটির গঠন প্রকৃতি একটি সাধারণ কোষ অপেক্ষা ভিন্নতর যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রতিবর্তী ক্রিয়া হলো উদ্দীপনার আকস্মিকতা ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া ।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
খ. মানবদেহে ও বিভিন্ন প্রাণিদেহে এক ধরনের বিশেষ নালিবিহীন গ্রন্থি থাকে। এসব গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস রক্তের মাধ্যমে দেহের একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এদের প্রাণরস বলে।
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি একটি নিউরন বা স্নায়ুকোষের। এটি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা ও স্নায়ু তাড়না গ্রহণ করতে পারে এবং দেহের অভ্যন্তরে তা পরিবহন করতে পারে।
স্নায়ুকোষটির A চিহ্নিত অংশটি হলো ডেনড্রাইট ও কোষদেহের। অনুভূতি গ্রহণ এবং সে অনুসারে উদ্দীপনা তৈরি করে তা কার্যকরী অঙ্গে প্রেরণ করা এদের কাজ। উদ্দীপনা তৈরির ক্ষেত্রে ডেনড্রাইট পূর্ববর্তী নিউরন থেকে অথবা গ্রাহক অঙ্গ থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ করে এবং তা কোষদেহে বহন করে। পরবর্তীতে অ্যাক্সন কোষদেহ থেকে স্নায়ুতাড়নাকে সিন্যাপসের মাধ্যমে অপর স্নায়ুকোষের ডেনড্রাইটে বহন করে।
এভাবে ডেনড্রাইট ও কোষদেহ স্নায়ুতাড়না এক নিউরন থেকে অপর নিউরনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছায় এবং পরবর্তীতে স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবহ বা মোটর নিউরন-এর মাধ্যমে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ করে।
ঘ. উক্ত কোষটি হলো মেরুদন্ডী প্রাণীর স্নায়ুকোষ বা নিউরন। সাধারণ কোষ অপেক্ষা নিউরন কেন ভিন্ন ধরনের তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
(১) স্নায়ুকোষটি আকারে লম্বাটে অনেকটা সুতার মতো এবং প্রাণিদেহে সবচেয়ে বড় কোষ। অন্যদিকে, সাধারণ প্রাণিকোষ দেখতে গোলাকার বা ডিম্বাকার ধরনের।
(২) কোষটির তিনটি অংশ থাকে— ডেনড্রাইট, অ্যাক্সন ও কোষদেহ। ডেনড্রাইট ও অ্যাক্সন কোষদেহের প্রলম্বিত অংশ। সাধারণ প্রাণীকোষ দেহ বিভক্ত নয় এবং কোনো প্রলম্বিত অংশ থাকে না।
(৩) উদ্দীপকের কোষটির কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে নিসল কণা, নিউরোফাইব্রিল তন্তু, মাইটোকন্ড্রিয়া, গলজি
বস্তু, আন্তঃপ্লাজমিক রেটিকুলাম থাকে কিন্তু সাধারণ কোষে নিসল কণা ও নিউরোফাইব্রিল তন্তু থাকে না।
(৪) স্নায়ুকোষ শুধুমাত্র স্নায়ুতাড়না পরিবহন করে। সাধারণ কোষ দেহ গঠন ও বিভিন্ন বিপাকীয় কাজ করে ।
(৫) সাধারণ দেহকোষ প্রয়োজনে বিভক্ত হতে পারে। কিন্তু নিউরন বিভাজিত হতে পারে না ।
(৬) নিউরনের অ্যাক্সন কোষপর্দা ছাড়া পাতলা আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে, যাকে নিউরিলেমা বলে ।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে যে, উদ্দীপকের কোষটির গঠন প্রকৃতি একটি সাধারণ কোষ অপেক্ষা ভিন্নতর।
প্রশ্ন–৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রফিক সাহেব ইদানিং প্রায়ই ক্লান্তি বোধ করেন। তিনি লক্ষ করলেন তার ক্ষুধা, পিপাসা দুই–ই বেড়ে গেছে। ক্ষতস্থান সহজে শুকাতে চায় না। শরীরের ত্বক রুক্ষ হচ্ছে। এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে তিনি রক্ত পরীক্ষা করান এবং এতে একটি রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তার বলেন, ভয়ের কিছু নেই। নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
ক. এপিলেপসি কী?
খ. প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলতে কী বুঝায়?
গ. রফিক সাহেবের রোগটি হবার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ডাক্তারের শেষোক্ত কথাটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
৩নং প্রশ্নের সমাধান
ক. এপিলেপসি হলো মস্তিষ্কের রোগ, যাতে শরীরে খিঁচুনি ও কাঁপুনি হয়।
খ. যেসব উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে সুষুষ্মা কান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে প্রতিবর্তী ক্রিয়া বলে । হঠাৎ করে আঙুলে সূঁচ ফুটলে, হাতে গরম কিছু পড়লে আমরা অতিদ্রুত হাতটি উদ্দীপনার স্থান থেকে সরিয়ে নিই। এটি প্রতিবর্তী ক্রিয়ার ফল।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে, রফিক সাহেব প্রায় ক্লান্তি বোধ করেন। এর সাথে তার ক্ষুধা ও পিপাসাও বেড়ে গেছে। ক্ষত স্থান সহজে শুকাতে চায় না। এ লক্ষণগুলোর কারণে বলা যায় রফিক সাহেবের রোগটি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস।
আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস নালীবিহীন গ্রন্থি অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে অবস্থিত থাকে। এ গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয় যা রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আইলেটস অব ল্যাগগারহ্যানস যদি প্রয়োজনমতো ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায় এবং প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এ অবস্থাকে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলিটাস বলে ।
সুতরাং জনাব রফিক সাহেবের দেহে প্রয়োজন মতো ইনসুলিন রক্তে নিঃসৃত হচ্ছে না ফলে শর্করা বিপাক ঠিকমতো না হওয়ার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে গিয়ে তার বহুমূত্র রোগটি সৃষ্টি হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লক্ষণের প্রেক্ষিতে বলা যায়, রফিক সাহেবের ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে ।
ডাক্তারদের মতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি ‘D’ মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এগুলো হলো— Discipline, Diet ও Dose ।
i. শৃঙ্খলা (Discipline) : একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তার সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা মহৌষধস্বরূপ। এছাড়া-
(১) নিয়মিত ও ডাক্তারের পরামর্শমতো পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা।
(২) নিয়মিত ব্যায়াম করা।
(৩) রোগীর দেহের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বিশেষভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া।
(৪) নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা।
(৫) দৈহিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
ii. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (Diet) : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ও সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের মেনু অনুসরণ করলে সুফল পাওয়া যায়।
iii. ঔষধ সেবন (Dose) : ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। ডাক্তার রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে ঔষধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হলে রোগীর শ্বসন হার কমে যায়, পানি স্বল্পতার কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়ে মৃত্যু হতে পারে।
উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, ডাক্তারের শেষোক্ত কথাটি সম্পূর্ণ যথার্থ যে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৪ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাকিব সাহেবের ছেলে সাকিবের মানসিক বিকাশ হচ্ছিল না। ইদানীং রাকিব সাহেবের ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে ও ওজন কমে যাচ্ছে। তিনি ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে, ডাক্তার সাকিবকে আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে বললেন। রাকিব সাহেবকে ডাক্তার জানালেন যে, তিনটি ‘D’ মেনে চললে তাঁর রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ক. নিউরন কী?
খ. ব্যাপন বলতে কী বুঝায়?
গ. সাকিবকে ডাক্তার সাহেবের উল্লিখিত পরামর্শ দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. “রাকিব সাহেবের রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয় তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য” —বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর ।
৪নং প্রশ্নের সমাধান
ক. নিউরন হচ্ছে স্নায়ুকোষ যা স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক।
খ. যে প্রক্রিয়ার মাধমে কোনো দ্রব্যের অণু বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন প্রক্রিয়া বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়। ঘরের এক কোণে কিছু সুগন্ধি থাকলে তার সুগন্ধ সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ এর অণুগুলো বেশি ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আবার এক গ্লাস পানিতে কিছু চিনি ছেড়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্লাসের পানি মিষ্টি হয়ে যায়। এ প্রক্রিয়াগুলোকেই ব্যাপন বলে।
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
গ. আয়োডিনের অভাবে হরমোন এর উৎপাদন ব্যাহত হলে মানসিক বুদ্ধির বিকাশ কমে যায়, সাকিবকে ডাক্তার সাহেবের উল্লিখিত পরামর্শ হলো আয়োডিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আয়োডিনের অভাবে মানসিক বিকাশ বাধা পায় বলে গায়ের চামড়া খসখসে হয় ও চেহারা গোলাকার গোবেচারা আকারের মুখমন্ডল তৈরি হয়। এছাড়া আয়োডিনযুক্ত খাবার খেলে থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয়। এর অভাবে মানুষের গলাফোলা রোগ গলগন্ড বা গয়টার রোগও হয়ে থাকে। এসব রোগ হলে আয়োডিনযুক্ত খাবার সুফল বয়ে আনে।
তাই ডাক্তার সাহেব সাকিবকে আয়োডিনযুক্ত খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লক্ষণের প্রেক্ষিতে বলা যায়, রাকিব সাহেবের ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে ।
ডাক্তারদের মতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি ‘D’ মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এগুলো হলো— Discipline, Diet ও Dose ।
i. শৃঙ্খলা (Discipline) : একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তার সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা মহৌষধস্বরূপ। এছাড়া-
(১) নিয়মিত ও ডাক্তারের পরামর্শমতো পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা।
(২) নিয়মিত ব্যায়াম করা।
(৩) রোগীর দেহের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বিশেষভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া।
(৪) নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা।
(৫) দৈহিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
ii. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (Diet) : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ও সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের মেনু অনুসরণ করলে সুফল পাওয়া যায়।
iii. ঔষধ সেবন (Dose) : ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। ডাক্তার রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে ঔষধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হলে রোগীর শ্বসন হার কমে যায়, পানি স্বল্পতার কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়ে মৃত্যু হতে পারে।
উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, ডাক্তারের শেষোক্ত কথাটি সম্পূর্ণ যথার্থ যে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
প্রশ্ন–৫: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাগানে কাজ করার সময় হঠাৎ মিঃ শফিক এর পা কেটে যায়। কিন্তু পা এর ক্ষত সহজে শুকাচ্ছে না। ইদানীং তিনি বেশ দুর্বল অনুভব এবং ঘন ঘন পিপাসা বোধ করেন। ডাক্তারের নিকট গেলে তিনি মিঃ শফিককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন।
ক. হরমোন কী?
খ. আইলেটস্ অফ ল্যাংগারহ্যানস বলতে কী বোঝায়?
গ. শফিক সাহেবের সমস্যাগুলোর কারণ ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. ডাক্তার সাহেবের দেওয়া পরামর্শ শফিক সাহেব না মানলে কী ধরনের জটিলতা হতে পারে? বিশ্লেষণ কর।
৫নং প্রশ্নের সমাধান
ক. নালিবিহীন গ্রন্থি কোষ থেকে নিঃসৃত রসকে হরমোন বলে।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
খ. অগ্ন্যাশয়ের মাঝে আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস নালিবিহীন গ্রন্থি অবস্থিত। এর কোষগুচ্ছ শরীরের শর্করা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। এর নালিহীন কোষগুলি ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোন নিঃসরণ করে যা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে, মিঃ শফিক সাহেব প্রায় ক্লান্তি বোধ করেন। এর সাথে তার ক্ষুধা ও পিপাসাও বেড়ে গেছে। ক্ষত স্থান সহজে শুকাতে চায় না। এ লক্ষণগুলোর কারণে বলা যায় শফিক সাহেবের রোগটি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস।
আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস নালীবিহীন গ্রন্থি অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে অবস্থিত থাকে। এ গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয় যা রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আইলেটস অব ল্যাগগারহ্যানস যদি প্রয়োজনমতো ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায় এবং প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এ অবস্থাকে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলিটাস বলে ।
সুতরাং জনাব শফিক সাহেবের দেহে প্রয়োজন মতো ইনসুলিন রক্তে নিঃসৃত হচ্ছে না ফলে শর্করা বিপাক ঠিকমতো না হওয়ার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে গিয়ে তার বহুমূত্র রোগটি সৃষ্টি হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে মি. শফিকের যে লক্ষণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তাতে বুঝা যায় তিনি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডাক্তার তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাকে তিনটি ‘D’ মেনে চলার পরমার্শ দেন। এগুলো হলো— Discipline, Diet ও Dose ।
i. শৃঙ্খলা (Discipline) : একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তার সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা মহৌষধস্বরূপ।
এছাড়া (১) নিয়মিত ও ডাক্তারের পরামর্শমতো পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা, (২) নিয়মিত ব্যায়াম করা, (৩) নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা, দৈহিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
ii. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (Diet) : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা।
iii. ঔষধ সেবন (Dose) : ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ
সেবন করা উচিত নয়। সেই পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে।
মি. শফিক যদি ডাক্তারের উপরিউক্ত পরামর্শগুলো না মেনে চলেন তাহলে তার শ্বসন হার কমে যেতে পারে এবং পানি স্বল্পতার কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এতে তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়তে পারেন।
এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না রাখায় তার উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হজতে পারে। এতে করে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে স্ট্রোক হতে পারে এমন কি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
প্রশ্ন–৬ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. শীর্ষ মুকুল কী?
খ. উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন বলতে কী বোঝায় ?
গ. ‘A’ টিস্যুর কোষের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন কর।
ঘ. উদ্দীপকের B, C ও D অংশগুলো আমাদের দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে— বিশ্লেষণ কর ।
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদের কান্ডের শীর্ষে যে মুকুল থাকে তাকে শীর্ষ মুকুল বলে ।
খ. উদ্ভিদের কোনো অংশ যখন সামগ্রিকভাবে প্রয়োজনের তাগিদে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে তখন তাকে সামগ্রিক চলন বলে । ছত্রাক ও উন্নত শ্রেণির উদ্ভিদের যৌনজনন কোষ এবং জুস্পোরে এ ধরনের চলন দেখা যায়। এছাড়া কিছু ব্যাকটেরিয়া ও কিছু শৈবাল একস্থান থেকে অন্যস্থানে যায়, যা এক ধরনের সামগ্রিক চলন ।
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
গ. ‘A’ অংশটি হলো মস্তিস্কে অবস্থিত স্নায়ুকলা। বহুসংখ্যক স্নায়ুকোষ বা নিউরনের সমন্বয়ে স্নায়ু কলা গঠিত।

ঘ. উদ্দীপকে B, C ও D অংশগুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন টিস্যু।
‘B’ মানব শ্বসনতন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত। এটির মাধ্যমে আমরা শ্বসনের সময় বায়ু গ্রহণ করি এবং CO2 ত্যাগ করি।
‘C’ মানবদেহে রক্ত একটি যোজক কলা। এটি সংবহনতন্ত্রের অংশ। রক্ত জীবনীশক্তির মূল উপাদান। রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্ত দেহের সর্বত্র প্রবাহিত হয় এবং কোষে O2 ও খাদ্য উপাদান সরবরাহ করে। রক্তের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবাহিত হয়। এছাড়া রক্ত দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
‘D’ হৃৎপিন্ডের পেশি এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি। এই পেশি হৃৎপিন্ডকে একটি পাম্পের ন্যায় কাজ করতে সহায়তা করে। এই পেশির দ্বারা হৃৎপিন্ডের অবিরাম সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সারাদেহে রক্তসংবহন চলতে থাকে ৷
‘D’ হাতের পেশি ঐচ্ছিক পেশি। হাতের পেশি দুটি— বাইসেপস ও ট্রাইসেপস পেশি। ইচ্ছাধীন স্নায়ুর তাড়নায় বাইসেপস ও ট্রাইসেপস পেশির সংকোচন ও শ্লথ হওয়ার মাধ্যমে আমরা কনুই বাঁকানো ও সোজা করতে পারি।
উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, উদ্দীপকের B, C ও D অংশগুলো আমাদের দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন–৭ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
৫৫ বছর বয়সী মি. ভৌমিকের হাত কাঁপে এবং হাঁটতে চলতে পারেন না। এছাড়াও মুখ অনড় থাকায় তিনি ঠিকমতো খাবার গিলতে পারেন না এবং কথা বলতেও কষ্ট হয়।
ক. IAA এর পূর্ণরূপ লেখ ।
খ. প্রতিবর্তী ক্রিয়াপথের বিভিন্ন অংশগুলো কী কী?
গ. মি. ভৌমিকের রোগটির কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রোগটি হতে সুস্থ হওয়ার উপায়গুলো বিশ্লেষণ কর।
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. IAA এর পূর্ণরূপ ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিড।
খ. একটি প্রতিবর্তী ক্রিয়া পাঁচটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত— ১. গ্রাহক অঙ্গ, ২. যে অনুভূতিবাহী স্নায়ু, ৩. প্রতিবর্তী কেন্দ্র (সুষুম্না কান্ড), ৪. আজ্ঞাবাহী স্নায়ু ও ৫. কারক অঙ্গ (পেশি)।
গ. মি. ভৌমিকের রোগটির নাম পারকিনসন। রোগটির কারণ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
স্নায়ুকোষ এক ধরনের নির্যাস তৈরি করে যাকে ডোপামিন বলে। ডোপামিন শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে। মস্তিষ্কে ডোপামিন তৈরির কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। ডোপামিন ছাড়া স্নায়ুকোষগুলো পেশি কোষগুলোকে সংবেদন পাঠাতে পারে না। ফলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়।
যেহেতু মি. ভৌমিকের বয়স ৫৫ বছর এজন্য তার মাংসপেশি আরও অকার্যকর হয়ে ওঠে। এ রোগ সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকট রূপ দেখা দেয়। মাংসপেশির অকার্যকর হওয়ায় তিনি একা পথ চলতে পারেন না। স্নায়ুকোষগুলো কার্যকারিতা হারাতে থাকায় মুখ অনড় হয়ে যায়। ফলে তিনি খাবার গিলতে পারেন না এবং কথা বলতেও কষ্ট হয়।
ঘ. উদ্দীপকের রোগটি হচ্ছে পারকিনসন। এ রোগটি হতে সুস্থ হওয়ার উপায়গুলো হলো :
১ . নিয়মিত পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে মাংসপেশি সবল হয়। স্নায়ুগুলো আরও বেশি উদ্দীপিত হয় ।
৩. নিয়মিত হাঁটতে হবে। তাহলে পায়ের পেশি সবল হয়।
৪. যারা নিয়মিত ধূমপান করে তাদের শরীরে নিকোটিনের প্রভাবে স্নায়ুগুলো দুর্বল হতে থাকে। ফলে পারকিনসন রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য ধূমপান ত্যাগ করতে হবে ।
৪.যারা নিয়মিত মাদক গ্রহণ করে তাদের পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ মাদক গ্রহণের ফলে স্নায়ু ও পেশি দুর্বল হতে থাকে। এজন্য রোগীকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
৬. সুস্থ জীবনযাপন করলে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।
৭. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি গ্রহণের মাধ্যমে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত রোগী অনেকটা সুস্থ থাকে।
উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে পারকিনসন রোগী মি. ভৌমিকের অনেকটা সুস্থ থাকা সম্ভব।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৮: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দশম শ্রেণিতে জীববিজ্ঞান শিক্ষক শ্রেণিতে স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোন সম্পর্কে পাঠদান করলেন ।
ক. এপিলেপসি কী?
খ. ভার্নালাইজেশন বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের প্রথম বিষয়বস্তুর এককের চিহ্নিত চিত্রসহ কাজ লেখ।
ঘ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের দ্বিতীয় বিষয়বস্তু উদ্ভিদে ও প্রাণীর ক্ষেত্রে কী কী অবদান রাখে বলে তুমি মনে কর।
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. এপিলেপসি মস্তিষ্কের একটি রোগ যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর খিঁচুনি বা কাঁপুনি দিতে থাকে।
খ. শৈত্য প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভিদের ফুল ধারণকে ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়াকে ভার্নালাইজেশন বলে। উদ্ভিদের অঙ্কুরিত বীজকে শৈত্য প্রদান করা হলে, তাদের ফুল ধারণের সময় এগিয়ে আসে। এজন্য স্বাভাবিক সময়ের আগে বা পরে ফসল উৎপাদনের জন্য ভার্নালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ।
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
গ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের প্রথম বিষয়বস্তু ছিল স্নায়ুতন্ত্র। স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যিক একক হচ্ছে নিউরন।

নিউরনের প্রধান কাজ উদ্দীপনা বহন করা। অনুভূতিবাহী নিউরন গ্রাহক অঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর বা আজ্ঞাবাহী নিউরন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কার্যকরী অঙ্গে উদ্দীপনা প্রেরণ
করে।
ঘ. উদ্দীপকে শিক্ষকের পাঠদানের দ্বিতীয় বিষয়বস্তু ছিল হরমোন। হরমোন উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে রাসায়নিক সংযোগ স্থাপন করে এবং
রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।
উদ্ভিদ দেহে অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন, ইথিলিন, ফ্লোরিজেন ইত্যাদি হরমোন উৎপন্ন হয়। অক্সিন ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে এবং বীজহীন ফল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। ফ্লোরিজেন পত্রমুকুলকে পুষ্পমুকুলে রূপান্তরিত করে। সাইটোকাইনিন বীজ ও অঙ্গের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে। ইথিলিন ফল পাকাতে সাহায্য করে।
মানবদেহে ও বিভিন্ন প্রাণীর দেহের গ্রন্থিগুলো হলো— পিটুইটারি, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, থাইমাস, অ্যাডরেনাল, আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস এবং জনন গ্রন্থি। পিটুইটারি গ্রন্থি মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিন নিঃসরণ ও জননাঙ্গের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাডরেনাল গ্রন্থি মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণে সাহায্য করে। আইলেটস অফ ল্যাংগারহ্যানস শরীরের শর্করা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। জনন গ্রন্থি প্রাণীর জনন অঙ্গের বৃদ্ধি, জনন চক্র ও যৌন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমি মনে করি শিক্ষকের পাঠদানের দ্বিতীয় বিষয়বস্তু উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখে ।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৯ : নিচের চিত্র দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. ফেরোমন কী?
খ. উদ্ভিদে অক্সিনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. মানুষের গুরুমস্তিকে উপরের কোষটির অবস্থান ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহনে উপরের কোষের গঠনের সাথে কাজের সমন্বয় বিশে ষণ কর ।
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কীট-পতঙ্গ যে হরমোন নিঃসরণ করে, তাই ফেরোমন ।
খ. অক্সিন মূলত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে । এর ভূমিকা নিম্নরূপ :
১. অক্সিন শাখাকলমে মূল উৎপাদনে সাহায্য করে।
২. উদ্ভিদের বক্রচলন অক্সিন নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. অক্সিন পাতা ও ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে।
এছাড়া উদ্ভিদে বীজহীন ফল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় ।
এসএসসি সকল বিষয় সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
গ. উপরের চিত্রটি দুটি স্নায়ুকোষের। মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ নিয়ে গঠিত।
গুরুমস্তিষ্কের বহিঃস্তর প্রধানত স্নায়ুকোষের কোষদেহ অংশ ও মায়োলিনবিহীন স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গঠিত। এটি ধূসর বর্ণের হওয়ায় একে ধূসর পদার্থ বা গ্রেম্যাটার বলে। ধূসর পদার্থের কয়েকটি স্তরে বিশেষ আকারের স্নায়ুকোষ দেখা যায়। এই স্নায়ুকোষগুলো গুরুমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে গুচ্ছ বেঁধে স্নায়ুকেন্দ্র সৃষ্টি করে ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি নিউরন বা স্নায়ুকোষের। মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহনে এ কোষের গঠন ও কাজের মধ্যে একটা সমন্বয় বজায় থাকে।
প্রতিটি নিউরন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত যথা : কোষদেহ এবং প্রলম্বিত অংশ। প্রলম্বিত অংশ দুই রকমের যথা : অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট।
একটি নিউরনে একটিমাত্র অ্যাক্সন থাকে এবং এটি সুতার মতো লম্বা। অ্যাক্সন কোষদেহ থেকে স্নায়ুস্পন্দন অপর কোনো স্নায়ুকোষে বা আজ্ঞাবাহী অঙ্গে বহন করে। ডেনড্রাইট হলো কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন ছোট ছোট শাখাপ্রশাখা। ডেনড্রাইট পূর্ববর্তী নিউরন থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ করে এবং তা কোষদেহে বহন করে।
একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রনের সাথে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপস স্নায়ুতাড়নাকে এক নিউরন থেকে অপর একটি নিউরনে প্রবাহিত করে। এভাবে মস্তিষ্কে স্মৃতিধারণ করা, চিন্তা করা ও বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেয়া ও পরিচালনা করা নিউরনের কাজ।
এছাড়াও নিউরন উদ্দীপনা বহন করে, প্রাণিদেহের ভেতরে ও বাইরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা করে এবং প্রাণিদেহের বিভিন্ন অংশের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে।
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–১০: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মিসেস নাজমা একজন ডাক্তার। একদিন গরম পানির পাত্র সরাতে গিয়ে হঠাৎ তার হাতে গরম পানি লেগে যায়। তিনি তৎক্ষণাৎ হাত সরিয়ে নেন। সাথে সাথে তাতে বরফ ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে পরবর্তীতে সারিয়ে তোলেন।
ক. অ্যাক্সলেমা কী?
খ. কোন রোগের ক্ষেত্রে তিনটি ‘D’ মেনে চলা অত্যাবশ্যক? বুঝিয়ে লেখ।
গ. মিসেস নাজমার হাতটি তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. মিসেস নাজমার জ্ঞান, চিন্তা, স্মৃতি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা বিশ্লেষণ কর ।
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অ্যাক্সলেমা হলো অ্যাক্সনের মূল অক্ষের আবরণী
খ. ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তিনটি ‘D’ মেনে চলা
অত্যাবশ্যক। এগুলো হলো— Discipline, Diet ও Dose.
Discipline— সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা।
Diet- নিয়মিত ও সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করা।
Dose ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে।
গ. মিসেস নাজমার হাতটি তাৎক্ষণিক সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি প্রতিবর্তী ক্রিয়ার ফল।
প্রতিবর্তী ক্রিয়া সুষুম্না কান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ত্বক থেকে উদ্দীপনা সংবেদী নিউরনের অ্যাক্সনের মাধ্যমে সুষুম্না কান্ডের ধূসর অংশে পৌছায় সুষুম্না কান্ডের ধূসর অংশে অবস্থিত সংবেদী নিউরনের অ্যাক্সন থেকে তড়িৎ রাসায়নিক পদ্ধতিতে উদ্দীপনা আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবেশ করে। এরপর সংবেদী স্নায়ুর অ্যাক্সনও আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর ডেনড্রাইটে সিন্যাপসের মধ্য দিয়ে উদ্দীপনা হাতের পেশিতে প্রবেশ করে ।
মিসেস নাজমার হাতে গরম পানি পড়ার সাথে সাথে ত্বকে সংবেদী নিউরনের ডেনড্রাইটগুলো জ্বালার উদ্দীপনা গ্রহণ করে। আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর ডেনড্রাইট থেকে পেশিতে উদ্দীপনা পৌঁছালে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের নির্দেশে মিসেস নাজমার হাতের পেশির সংকোচন ঘটে এবং তাঁর হাত গরম পানি থেকে সরে আসে ।
ঘ. মিসেস নাজমার জ্ঞান, চিন্তা, স্মৃতি তাঁর মস্তিষ্কের সেরিব্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য স্নায়ুতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুযোগে তাড়না পাঠিয়ে সাড়া জাগায় ও কোনো কাজ করতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র গঠিত মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কান্ড নিয়ে। মস্তিষ্কের অগ্রমস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে— সেরিব্রাম। মানুষের সেরিব্রাম বেশি উন্নত।
সেরিব্রাম হলো প্রত্যেক অঙ্গ থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ এবং প্রত্যেক অঙ্গে স্নায়ুতাড়না প্রেরণের উচ্চতর অঙ্গ। দেহের সকল অনুভূতির কেন্দ্র হলো সেরিব্রাম। এটি আমাদের চিন্তা, চেতনা, জ্ঞান, স্মৃতি, হচ্ছে। বাক্শক্তি ও ঐচ্ছিক পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
আমাদের জীববিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায়ের প্লেলিস্ট (Playlist):
এসএসসি সকল বিষয় নোট PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন