এসএসসি-বাংলা প্রথম নোট
জীবন-সঙ্গীত
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় [১৮৩৮-১৯০৩]
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
কবি সম্পর্কিত তথ্য
জন্ম : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালের ১৭ই এপ্রিল হুগলি জেলার গুলিটা রাজবল্লভহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যু : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৩ সালের ২৪শে মে মৃত্যুবরণ করেন।
পিতৃপরিচয় : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষাজীবন ও পেশা : কলকাতার খিদিরপুর বাংলা স্কুলে পড়াশোনাকালে আর্থিক সংকটের কারণে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়। এরপর কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীর আশ্রয়ে ইংরেজি শেখেন। পরবর্তীকালে হিন্দু কলেজ থেকে সিনিয়র স্কুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৮৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তার পেশা ছিল সরকারি চাকরি, শিক্ষকতা, পরে আইন ব্যবসায় নিয়োজিত হন।
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
সাহিত্যিক পরিচয় : কাব্য রচনায় মাইকেল মধুসূদনের পর তিনি ছিলেন সবচেয়ে খ্যাতিমান। স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় তিনি ‘বৃত্রসংহার’ নামক মহাকাব্য রচনা করেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা :
- মহাকাব্য: বৃত্রসংহার।
- কাব্য: চিন্তাতরঙ্গিনী, বীরবাহু, আশাকানন, ছায়াময়ী।
কবিতা সম্পর্কিত তথ্য :
উৎস: ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কবি Henry Wadsworth Longfellow-এর ‘A Psalm of Life’ শীর্ষক কবিতার ভাবানুবাদ।
এসএসসি সকল বিষেয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
মূলবক্তব্য : এ কবিতায় জীবনের প্রতি কবির আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের এই মানবজন্ম যেমন মূল্যবান তেমনি ক্ষণস্থায়ী। এই সংক্ষিপ্ত জীবনে বৈরাগ্যের সাধনা না করে সংসারের দায়িত্ব যথাযথ পালন করা উচিত। নিরবচ্ছিন্ন সুখের আশা করা যেমন বুদ্ধিমানের কাজ নয় তেমনি জীবনকে দুঃখ-হতাশায় নিমজ্জিত করাও জীবনের উদ্দেশ্য নয়। জীবনসংগ্রামে মানুষকে সাহসী যোদ্ধার দায়িত্ব পালন করতে হবে। মহাজ্ঞানী ও মহান ব্যক্তিদের পথ অনুসরণ করে জীবনসংগ্রামে সফলতার মাধ্যমে আমাদেরও বরণীয় হতে হবে।
রূপশ্রণি: ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি একটি নীতিকবিতা। এ জাতীয় কবিতায় জীবনের আদর্শ সম্পর্কিত নীতিকথা বা হিতোপদেশ বর্ণিত হয়ে থাকে।
নামকরণ: কবিতাটির নামকরণ করা হয়েছে এর বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে। আলোচ্য কবিতায় জীবনের প্রতি কবির আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়েছে। এটিকে জীবনের জয়গান বা জীবনের সঙ্গীত হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। তাই এটির নামকরণ ‘জীবন-সঙ্গীত’ যথাযথ হয়েছে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
কবিতাটির বিষয়বস্তুর খুঁটিনাটি:
- কবি মনে করেন, জীবাত্মা অনিত্য নয়।
- সুখের আশা কিংবা দুঃখের ফাঁস পরা এর উদ্দেশ্য নয়।
- মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী।
- সময় কারো জন্য বসে থাকে না।
- সময় মানুষের সহায়, সম্পদ, বল সবকিছু ঘুচিয়ে দেয়।
- মানুষের আয়ু যেন শৈবালের নীর।
- কবি নিষেধ করেছেন- জীবনকে নিরর্থক ভাবতে, সুখের কথা ভেবে কাতর হতে, ভবিষ্যতে নির্ভর করতে, বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে, ভয়ে ভীত হতে।
- ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কবি Henry Wadsworth Longfellow-এর ‘A Psalm of Life’ শীর্ষক কবিতার ভাবানুবাদ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন–১: ‘দারা‘ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘দারা’ শব্দের অর্থ স্ত্রী।
প্রশ্ন–২: ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ- পতাকা।
প্রশ্ন–৩: কীভাবে সংকল্প সাধন করতে হবে?
উত্তর: নিজ কাজে রত হয়ে সংকল্প সাধন করতে হবে।
প্রশ্ন–৪: ‘বীর্যবান‘ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘বীর্যবান’ শব্দের অর্থ- শক্তিমান।
প্রশ্ন–৫: ‘আকিঞ্চন‘ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘আকিঞ্চন’ শব্দের অর্থ চেষ্টা বা আকাঙ্ক্ষা।
প্রশ্ন–৬: ‘জীবন–সঙ্গীত‘ কবিতাটি কোন ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ?
উত্তর: ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি ‘A pasim of life’ শীর্ষক ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ।
প্রশ্ন–৭: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৮: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন–৯: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৫৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রশ্ন–১০: স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোন মহাকাব্য রচনা করেন?
উত্তর: স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বৃত্রসংহার’ মহাকাব্য রচনা করেন।
প্রশ্ন–১১: মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িককালে তার পরে কাব্য রচনায় কে সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িককালে তার পরে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কাব্য রচনায় সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলে।
প্রশ্ন–১২: ‘জীবন–সঙ্গীত‘ কবিতাটি কোন কবির কবিতার ভাবানুবাদ?
উত্তর: ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি Henry Wadsworth Longfellow এর কবিতার ভাবানুবাদ।।
প্রশ্ন–১৩: ‘ছায়াময়ী’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর: ‘ছায়াময়ী’ কাব্যগ্রন্থটি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।
প্রশ্ন–১৪: কবি ‘তুমি কার কে তোমার‘ বলে জীবকে কী করতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি ‘তুমি কার কে তোমার’ বলে জীবকে ক্রন্দন করতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন–১৫: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন–১৬: কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মনকে কীসে ভুলতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মনকে বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন–১৭: কবি সুখের আশা করে কীসের ফাঁস পরতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি সুখের আশা করে দুখের ফাঁস পরতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন–১৮: ‘জীবন–সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কোথায় দৃঢ়পণে যুদ্ধ করতে বলেছেন?
উত্তর: ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি সংসারে-সমরাঙ্গনে দৃঢ়পণে যুদ্ধ করতে বলেছেন।
প্রশ্ন–১৯: কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কাকে ভীত হতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মানবকে ভীত হতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন–২০: কবি কী পুনরায় ডেকে চিন্তায় কাতর হতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি অতীত সুখের দিন পুনরায় ডেকে চিন্তায় কাতর হতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন–২১: কার পথ লক্ষ্য করে নিজের কাজের নিশানায় আমরা বরণীয় হব?
উত্তর: মহাজ্ঞানী-মহাজনের পথ লক্ষ্য করে নিজের কাজের নিশানায় আমরা বরণীয় হব।
প্রশ্ন–২২: কোথায় পদাঙ্ক অঙ্কিত করে আমরা অমর হব?
উত্তর: সমর-সাগর তীরে পদাঙ্ক অঙ্কিত করে আমরা অমর হব।
প্রশ্ন–২৩: কবি কাকে বৃথা জীবন ক্ষয় করতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি মানবগণকে বৃথা জীবন ক্ষয় করতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন–২৪: ‘মহিমা‘ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘মহিমা’ শব্দটির অর্থ— গৌরব।
প্রশ্ন–২৫: ‘অনিত্য’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘অনিত্য’ শব্দটির অর্থ- অস্থায়ী বা যা চিরকালের নয়।
এসএসসি সকল বিষেয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–২৬: আমাদের জীবন কেবল কী নয়?
উত্তর: আমাদের জীবন কেবল নিছক স্বপ্ন নয়।
প্রশ্ন–২৭: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এ জীবন কেমন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এ জীবন নিছক স্বপ্ন নয়।
প্রশ্ন–২৮: কীসের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বৃত্রসংহার‘ মহাকাব্যটি রচনা করেন?
উত্তর: স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বৃত্রসংহার’ মহাকাব্যটি রচনা করেন।
প্রশ্ন–২৯: কীসে কোনো মুক্তি নেই?
উত্তর: বৈরাগ্যে কোনো মুক্তি নেই।
প্রশ্ন–৩০: এ পৃথিবীতে বাঁচতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর: এ পৃথিবীতে বাঁচতে হলে সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করতে হবে।
প্রশ্ন–৩১: নিত্য নিজ কাজ করলে কীসের উন্নতি হবে?
উত্তর: নিত্য নিজ কাজ করলে ভবের (সংসারের) উন্নতি হবে।
প্রশ্ন–৩২: সময় কী থাকে না?
উত্তর: সময় কখনো স্থির থাকে না।
প্রশ্ন–৩৩: কীসের সাধন করতে হবে?
উত্তর: সংকল্পের সাধন করতে হবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি মানুষের আয়ুকে শৈবালের নীরের সাথে তুলনা করেছেন। শৈবাল অর্থাৎ শ্যাওলার ওপরে যে পানি থাকে তার ব্যাপ্তিকাল অত্যন্ত কম সময়ের। সূর্যের কিরণ লাগার সাথে সাথে সে পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। তেমনি মানুষের আয়ু অর্থাৎ জীবনও ক্ষণস্থায়ী। এ পৃথিবীতে তার ব্যাপ্তিকালও অত্যন্ত কম। কবি তাই শৈবালের জলের সাথে মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনের তুলনা করেছেন। আমাদের সকলের উচিত এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে নিজ কর্ম ও সময়ের সদ্ব্যবহার করে উদ্ভাসিত করে তোলা।
প্রশ্ন–২. ‘স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে বলতে নিজের কর্মকে বাস্তবতার সাপেক্ষে উন্নত রূপে প্রতিষ্ঠা করাকে বোঝানো হয়েছে। ‘স্বীয়কীতি ধ্বজা ধরে’ বলতে আপন কর্মের মাধ্যমে মানুষের পরিচয় লাভের দিকটিকে বোঝানো হয়েছে। এখানে কোনো কিছুই সহজে পাওয়া যায় না। সমরাঙ্গনে যেমন প্রতিটি ক্ষণে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় তেমনি সংসারেও আপন কর্ম দ্বারাই টিকে থাকতে হয়। কর্মই মানুষকে পরিচিতি প্রদান করে। শুভকর্মের দ্বারা সফলতা আসে এবং আত্মপ্রতিষ্ঠা সম্ভবপর হয়। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা একথাই বোঝানো হয়।
প্রশ্ন–৩. কবি বাহ্যদৃশ্যে মন ভুলতে নিষেধ করেছেন কেন?
উত্তর: বাহ্যদৃশ্যে জীবনের প্রকৃত অর্থ বা তাৎপর্য বোঝা যায় না। তাই কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার আলোচ্য বাহ্যদৃশ্য হচ্ছে বাইরের জগতের চাকচিক্যময় রূপ বা জিনিস। এই রূপ জীবনের প্রকৃত সত্য নয়। এই বাহ্যদৃশ্যে নিজেকে ভুলে গেলে জীবনের প্রকৃত কর্তব্য পালনে আমরা ব্যর্থ হব। তাই কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন।
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–৪. ‘সংসারে–সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে’- পঙক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: জীবনে সফল হতে চাইলে সংসারকে সমরাঙ্গন বা যুদ্ধক্ষেত্র ভেবে দৃঢ়ভাবে যুদ্ধ করতে হবে এটাই কবির ভাবনা। পৃথিবী নামক আমাদের এ জগৎ-সংসার অত্যন্ত কঠিন জায়গা। এখানে কোনো কিছু সহজে লাভ করা যায় না। সমরাঙ্গনে যেমন প্রতিটি মুহূর্তে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়, সংসারেও ঠিক তেমনি ভূমিকা নিতে হবে। তাই কবি সংসার নামক সমরাঙ্গানে দৃঢ়ভাবে যুদ্ধ করার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন–৫. এ জীবন নিশার স্বপন নয় কেন?
উত্তর: আমাদের জীবন কেবল নিছক স্বপ্নের মতো নয়, বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় প্রতিনিয়তই। পৃথিবীকে শুধু স্বপ্ন ও মায়ার জগৎ বলা যায় না। পৃথিবীতে রয়েছে নানা রকম বাধা ও প্রতিবন্ধকতা। অত্যন্ত মূল্যবান মানবজন্মকে সার্থক করতে হলে এ সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে হয়।
প্রশ্ন–৬. জগৎ সংসারে অমরত্ব লাভ করা যায় কীভাবে?
উত্তর: মহৎ কাজের মাধ্যমে জগৎ সংসারে অমরত্ব লাভ করা যায়। জীবনের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে অকারণ বিলাপ করে কোনো লাভ হয় না। মহাজ্ঞানী ও মহান ব্যক্তিদের পথ অনুসরণ করে আমাদেরও কীর্তিমান হতে হবে। নিজের দুঃখ-কষ্টের চেয়ে নিজের দায়িত্বকে মুখ্য করে দেখতে হবে। এভাবে নিজের মহৎ বা ভালো কাজের দ্বারা আমরাও হয়ে উঠব স্মরণীয় ও বরণীয়।
প্রশ্ন–৭. কবি বৃথা জীবন ক্ষয় না করে কী করতে বলেছেন? কেন?
উত্তর: কবি বৃথা জীবন ক্ষয় না করে জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে বলেছেন। জীবনের পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে সর্বদা বিলাপ করলে কিছুই সমাধান হয় না। জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই, কিন্তু এর মাঝেই জীবনকে নতুন
করে গড়ে তুলতে হবে। নিজে মহৎ কাজ করতে হবে এবং অন্যকেও উৎসাহী করতে হবে। নিজের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
প্রশ্ন–৮. জীবনকে অর্থবহ করার যে উপায় কবিতায় বলা হয়েছে তা বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: জীবনকে অর্থবহ ও সুন্দর করার নির্দেশনা পাওয়া যায় এ কবিতায়। কবি মিথ্যা সুখের পিছে ছুটে জীবন ক্ষয় না করার পরামর্শ দিয়েছেন । কেননা অপ্রাপ্তি নিয়ে হা-হুতাশ করলে কিছুই অর্জন হয় না। স্বল্প পরিসরের এ জীবনকে অর্থপূর্ণ করতে হলে সংসারের প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করতে হবে। মহান ব্যক্তিদের পথ অনুসরণ করতে হবে এবং নতুনদের জন্য অনুসরণীয় পথ সৃষ্টি করে যেতে হবে।
* তথ্যকণিকা *
১. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন — ১৮৩৮ সালে।
২. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান — হুগলি জেলার গুলিটা রাজবল্লভহাট গ্রাম।
৩. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সংকটে পড়েন — খিদিরপুর বাংলা স্কুলে পড়াশোনাকালে।
৪. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ইংরেজি শেখেন — প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীর আশ্রয়ে।
৫. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন — কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
৬. কর্মজীবনে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন — সরকারি চাকুরে, স্কুল শিক্ষক এবং আইন ব্যবসায়ী।
৭. মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরে কাব্য রচনায় সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন — হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
৮. স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেন — ‘বৃত্রসংহার’ নামক মহাকাব্য।
৯. ‘বীরবাহু’, ‘আশাকানন’ কাব্যগ্রন্থ দুটির রচয়িতা — হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন — ১৯০৩ সালে।
১১. কবি মানুষকে বলতে নিষেধ করেছেন — বৃথা জন্ম এ সংসারে।
১২. কবি বিশ্বাস করেন — এ জীবন নিশার স্বপন নয়।
১৩. কবি মনকে ভোলাতে নিষেধ করেছেন — বাহ্যদৃশ্যে।
১৪. অনিত্য নয় — জীবাত্মা।
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
১৫. জীবনের উদ্দেশ্য নয় — সুখের আশা করে দুঃখের ফাস পরা।
১৬. কবি সংসারী মানুষকে সেই ধরনের কাজ করতে বলেছেন যাতে — ভবের উন্নতি হয়।
১৭. কবি সংসারকে তুলনা করেছেন — সমরাঙ্গনের সঙ্গে।
১৮. কবির মতে আয়ু হচ্ছে — শৈবালের নীর।
১৯. জগতে খুবই দুর্লভ — মহিমা লাভ।
২০. কবি হেমচন্দ্র সাধারণ মানুষকে অনুসরণ করতে বলেছেন — মহাজ্ঞানী-মহাজনদের পথ।
২১. ‘কাতর স্বরে’ শব্দের অর্থ — দুর্বল কণ্ঠে।
২২. ‘দারা’ শব্দের অর্থ — স্ত্রী।
২৩. ‘জীবাত্মা’ হলো — মানুষের আত্মা।
২৪. যা চিরকালের নয় — অনিত্য।
২৫. ‘আকিঞ্চন’ শব্দের অর্থ — চেষ্টা বা আকাঙ্ক্ষা।
২৬. ‘বীর্যবান’ শব্দের অর্থ — শক্তিমান।
২৭. সকাল বেলায় স্মরণ করার যোগ্য — প্রাতঃস্মরণীয়।
২৮. ‘ভবের’ অর্থ — জগতের।
২৯. ধ্বজা শব্দের অর্থ — পতাকা বা নিশান।
৩০. শেওলার ওপর পানির ফোটার মতো ক্ষণস্থায়ী — মানুষের আয়ু।
৩১. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি লিখেছেন — হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩২. আমাদের জীবন কেবল নয় — নিছক স্বপ্ন।
এসএসসি সকল বিষেয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
৩৩. আমাদের পৃথিবীকে বলা যায় না — শুধু স্বপ্ন ও মায়ার জগৎ।
৩৪. আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য নয় — মিথ্যা সুখের কল্পনা করে দুঃখ বাড়ানো।
৩৫. সংসারে বাস করতে হলে যথাযথভাবে পালন কতে হবে — সংসারের দায়িত্ব।
৩৬. মুক্তি নেই — বৈরাগ্যে।
৩৭. শৈবালের শিশিরবিন্দুর মতো ক্ষণস্থায়ী — জীবন।
৩৮. Henry Wadsworth Longfellow হলেন একজন — মার্কিন কবি।
৩৯. ‘A Psalm of life’ শীর্ষক ইংরেজি কবিতার রচয়িতা — Henry Wadsworth Longfellow
৪০. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি — ‘A Psalm of life’ শীর্ষক কবিতার ভাবানুবাদ।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আয়ুকে কোনটির সাথে তুলনা করেছেন?
ক. নদীর জল খ. পুকুরের জল
গ. শৈবালের নীর ঘ. ফটিক জল
উত্তর: গ. শৈবালের নীর
২. কবি ‘সংসার সমরাঙ্গান’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
ক. যুদ্ধক্ষেত্রকে খ. জীবনযুদ্ধকে
গ. প্রতিরোধ যুদ্ধকে ঘ. অস্তিত্বকে
উত্তর: খ. জীবনযুদ্ধকে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও:
শুকুর মিয়া একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী। সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম প্রথম লাভ পান। এক সময় তার ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দেয়। এতে তিনি কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। তখন বন্ধু হাতেম তাকে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন। শুকুর মিয়া তার পরামর্শকে সাদরে গ্রহণ করেন।
৩. উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার লক্ষ্য কী?
ক. যশোদ্ধার
খ. অমরত্ব লাভের আকাঙ্ক্ষা
গ. সংসার সমরাঙ্গনে টিকে থাকা
ঘ. বরণীয় হওয়া
উত্তর: গ. সংসার সমরাঙ্গনে টিকে থাকা
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
৪. অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে শুকুরের যে গুণের আবশ্যক তা হলো –
ক. সাহস খ. সংগ্রাম
গ. আত্মবিশ্বাস ঘ. সঙ্কল্প
উত্তর: গ. আত্মবিশ্বাস
৫. কবি কী দেখে ভবিষ্যৎ নির্ভর হতে নিষেধ করেছেন?
ক. বাহাদৃশ্য খ. মনোহর মূর্তি
গ. অতীত সুখের দিন ঘ. সংসার সমরাঙ্গন
উত্তর: ক. বাহাদৃশ্য
৬. ‘জীবন–সংগীত‘ কবিতায় দুঃখের কারণ হিসেবে কোনটিকে বোঝানো হয়েছে?
ক. বৃথা জন্ম ভাবা
খ. সুখের আশা করা
গ. সংসার সরাঙ্গনে যুদ্ধ করা
ঘ. ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করা
উত্তর: খ. সুখের আশা করা
৭. কোনটি ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ?
ক. কপোতাক্ষ নদ খ. আমার সন্তান
গ. জীবন-সঙ্গীত ঘ. অন্ধবধূ
উত্তর: গ. জীবন-সঙ্গীত
৮. ‘জীবন–সঙ্গীত‘ কবিতায় কবি কীসের আশা করতে নিষেধ করেছেন?
ক. সম্পদের খ. লোভের
গ. সুখের ঘ. দীর্ঘায়ুর
উত্তর: গ. সুখের
৯. কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোনটিকে জগতে দুর্লভ বলেছেন?
ক. আকাঙ্ক্ষাকে খ. মহিমাকে
গ. সাধনাকে ঘ. সম্পদকে
উত্তর: খ. মহিমাকে
১০. ‘করো না সুখের আশ, পরো না দুখের ফাস‘ এখানে ‘সুখের আশ’ বলতে বোঝানো হয়েছে–
ক. অধিকার খ. লোভ
গ. মোহ ঘ. হতাশা
উত্তর: গ. মোহ
১১. কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কীসে মুক্তি নেই বলেছেন?
ক. সংসারে খ. বৈরাগ্যে
গ. সংগ্রামে ঘ. পরিবারে
উত্তর: খ. বৈরাগ্যে
১২. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর‘ এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে?
ক. জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়
খ. এ জীবন ক্ষণস্থায়ী
গ. আয়ু ক্রমান্বয়ে ফুরিয়ে যায়
ঘ. জীবন অবিনশ্বর নয়
উত্তর: খ. এ জীবন ক্ষণস্থায়ী
১৩. ‘ওহে জীব কর আকিঞ্চন‘- বাক্যে আকিঞ্চন শব্দের অর্থ কী?
ক. উন্নতি খ. ক্রন্দন
গ. আকাঙ্খা ঘ. আকুতি
উত্তর: গ. আকাঙ্খা
১৪. ‘জীবন–সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ‘ভবের উন্নতি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
ক. পার্থিব উন্নতি খ. জ্ঞানের চর্চা
গ. পরের হিত ঘ. নির্লোভ
উত্তর: ক. পার্থিব উন্নতি
১৫. পৃথিবীতে বরণীয় হওয়া যায় কীভাবে?
ক. অতীতের কথা চিন্তা না করে
খ. মহাজ্ঞানীদের পথ অনুসরণ করে
গ. বাহ্যদৃশ্যে না ভুলে
ঘ. ভয়ে ভীত না হয়ে
উত্তর: খ. মহাজ্ঞানীদের পথ অনুসরণ করে
১৬. কোন চিহ্ন লক্ষ্য করে কেউ একজন যশোদ্বারে আসবে?
ক. সুখ চিহ্ন খ. দুঃখ চিহ্ন
গ. বিজয় চিহ্ন ঘ. পদাঙ্ক চিহ্ন
উত্তর: ঘ. পদাঙ্ক চিহ্ন
১৭. “ওহে জীব কর আকিঞ্চন।‘- এখানে ‘আকিঞ্চন‘ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
ক. সংকোচন খ. চেষ্টা করা
গ. কষ্ট করা ঘ. প্রসারণ
উত্তর: খ. চেষ্টা করা
১৮. স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোন মহাকাব্যটি রচনা করেন?
ক. বৃত্রসংহার খ. আশাকানন
গ. বীরবাহু ঘ. ছায়াময়ী
উত্তর: ক. বৃত্রসংহার
১৯. ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন‘ এ প্রবাদটির মূলভাবের প্রতিফলন আছে কোন চরণে?
ক. সংসারের-সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে
খ. কর যুদ্ধ বীর্যবাণ যায় যাবে যাক প্রাণ
গ. সংকল্প করেছ যাহা, সাধন করহ তাহা
ঘ. করো না মানবগণ, বৃথা ক্ষয় এ জীবন
উত্তর: খ. কর যুদ্ধ বীর্যবাণ যায় যাবে যাক প্রাণ
২০. কবি কেন মানুষের জীবনকে বৃথা বলতে চাননি?
i. মানবজীবন মূল্যবান বলে
ii. বৈরাগ্যে মুক্তি নেই বলে
iii. শিশির বিন্দুর মতো ক্ষণস্থায়ী বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২১ ও ২২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
“তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে । আমরা কজন নবীন মাঝি হাল ধরেছি শক্ত করে রে।”
২১. উদ্দীপকে ‘জীবন–সঙ্গীত‘ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?
ক. সংগ্রামী চেতনা খ. অমরত্বের প্রত্যাশা
গ. আত্মকেন্দ্রিকতা ঘ. দায়িত্বশীলতা
উত্তর: ক. সংগ্রামী চেতনা
২২. উক্ত দিক নিচের যে চরণে ফুটে উঠেছে তা হলো–
i. সংসার-মরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে
ii. দিন যায় ক্ষণ যায়, সময় কাহারো নয়
iii. কর যুদ্ধ বীর্যবান, যায় যাবে যাক প্রাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
“বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়, অসংখ্য বন্ধন-মাঝে মহানন্দময়। লভিব মুক্তির স্বাদ।”
২৩. কবিতাংশের ভাব তোমার পাঠ্য কোন রচনার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়?
ক. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব খ. বই পড়া
গ. প্রাণ ঘ. জীবন-সঙ্গীত
উত্তর: ঘ. জীবন-সঙ্গীত
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তাই সময় থাকতেই আমাদেরকে জীবনের দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে সম্পাদন করতে হবে। অন্যথায় জীবনে দুঃখ আসার সম্ভাবনাই বেশি।
২৪. উদ্দীপকের সঙ্গে কোন কবিতাটির ভাবগত মিল পাওয়া যায়?
ক. আমার পরিচয় খ. আমার সন্তান
গ. জীবন-সঙ্গীত ঘ. মানুষ
উত্তর: গ. জীবন-সঙ্গীত
২৫. উক্ত কবিতার মূল প্রতিপাদ্য হলো–
i. জীবনের গান
ii. জীবন বন্দনা
iii. হেয় জীবন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
অজস্র মৃত্যুরে লঘি হে নবীন, চলো অনায়াসে। মৃত্যুঞ্জয়ী জীবন-উল্লাসে।
২৬. চরণদ্বয়ের ভাবের সাথে নিচের কোন চরণের ভাবগত মিল রয়েছে?
ক. কর যুদ্ধ বীর্যবান, যায় যাবে যাক প্রাণ
খ. সংসারে সংসারী সাজ, কর নিত্য নিজ কাজ
গ. কর যত্ন হবে জয়, জীবাত্মা অনিত্য নয়
ঘ. করো না মানবগণ, বৃথা ক্ষয় এ জীবন
উত্তর: ক. কর যুদ্ধ বীর্যবান, যায় যাবে যাক প্রাণ
উদ্দীপকটি পড়ে ২৭ ও ২৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
ফয়েজ সাহেব মনে করেন পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার কোনো অর্থ নেই। এই পৃথিবী, মানুষ সব কিছুই যেন রাতের স্বপ্নের মতো। এমনকি পরিবার, সন্তান কাউকে তার আপন মনে হয় না।
২৭. উদ্দীপকের ফয়েজ সাহেবের সাথে ‘জীবন–সঙ্গীত‘ কবিতার কোন অনুভূতির সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়?
i. হতাশার
ii. নৈরাশ্যের
iii. আশার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
২৮. উক্ত ভাবনা ‘জীবন–সঙ্গীত‘ কবিতার যে পঙুক্তিতে প্রতিফলিত হয়েছে–
ক. আমরাও হব বরণীয়
খ. আমরাও হব হে অমর
গ. এ জীবন নিশার স্বপন
ঘ. বৃথা ক্ষয় এ জীবন
উত্তর: গ. এ জীবন নিশার স্বপন
২৯. “ওহে জীব, কর আকিঞ্চন‘—এখানে ‘আকিঞ্চন” অর্থ কী?
ক. উন্নতি খ. আকাঙ্ক্ষা
গ. আকুতি ঘ. ক্রন্দন
উত্তর: খ. আকাঙ্ক্ষা
৩০. মানব–জনম সার, এমন পাবে না আর এর পরের চরণ কোনটি?
ক. ওহে জীব কর আকিঞ্চন
খ. জীবনের উদ্দেশ্য তা নয়
গ. বাহ্যদৃশ্যে ভুলো না রে মন
ঘ. ভবের উন্নতি যাতে হয়
উত্তর: গ. বাহ্যদৃশ্যে ভুলো না রে মন
৩১. সংসারের প্রতি বৈরাগ্য ভাব নিচের কোন চরণে ফুটে উঠেছে?
ক. বাহ্যদৃশ্যে ভুলো না রে মন
খ. এ জীবন নিশার স্বপন
গ. আয়ু যেন শৈবালের নীর
ঘ. মহিমাই জগতে দুর্লভ
উত্তর: খ. এ জীবন নিশার স্বপন
৩২. ‘হের’ শব্দের অর্থ–
ক. এখানে খ. সেখানে
গ. তাহার ঘ. দেখো
উত্তর: ঘ. দেখো
৩৩. ‘জীবন–সঙ্গীত‘ কোন কবির কবিতার ভাবানুবাদ?
ক. শেলি খ. কিটস
গ. ওয়াডসওয়ার্থ ঘ. বায়রন
উত্তর: গ. ওয়াডসওয়ার্থ
৩৪. কোনটি দেখে কবি মানুষকে ভবিষ্যতে নির্ভর করতে বারণ করেছেন।
ক. বাহ্যদৃশ্য খ. মনোহর মূর্তি
গ. নিশার স্বপন ঘ. ভবের উন্নতি
উত্তর: খ. মনোহর মূর্তি
৩৫. বৃথা জন্ম এ সংসারে এ অংশটি দ্বারা মানবজীবনের কোন ভাবাবেগটি উঠে এসেছে?
ক. হতাশা খ. আনন্দ
গ. উল্লাস ঘ. নিরর্থক
উত্তর: ঘ. নিরর্থক
৩৬. ‘বৃত্রসংহার‘ নামক মহাকাব্যটি রচনা করেন কে?
ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ. ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর
গ. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর: গ. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৭. সংসারকে ‘সমরাঙ্গান‘ বলার কারণ কী?
ক. সংসারে নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়
খ. সংসারে যুদ্ধ করতে হয়
গ. সংসার ক্ষণস্থায়ী
ঘ. মানুষ মরণশীল
উত্তর: ক. সংসারে নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়
৩৮. ‘জীবন পুষ্পশয্যা নয়‘—উক্তিটির ভাবের সাথে তোমার পঠিত কোন কবিতার ভাবের সাদৃশ্য রয়েছে?
ক. জুতা-আবিষ্কার খ. আমার পরিচয়
গ. জীবন-সঙ্গীত ঘ. আমার সন্তান
উত্তর: গ. জীবন-সঙ্গীত
৩৯. ‘দারা‘ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
ক. নারী খ. বোন
গ. স্ত্রী ঘ. পুত্র
উত্তর: গ. স্ত্রী
এসএসসি সকল বিষেয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
৪০. কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোন সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৩৮ সালে খ. ১৮৭১ সালে
গ. ১৮৭৩ সালে ঘ. ১৮৭৩ সালে
উত্তর: ক. ১৮৩৮ সালে
৪১. শৈবালের নীর কোনটি?
ক. আয়ু খ. সম্পদ
গ. সুখ ঘ. স্নেহ
উত্তর: ক. আয়ু
৪২. আমরা বরণীয় হব কীভাবে?
ক. ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করে
খ. স্বীয় কীর্তির ধ্বজা ধরে
গ. সংসারী সাজে
ঘ. ভবের উন্নতি করে
উত্তর: খ. স্বীয় কীর্তির ধ্বজা ধরে
৪৩. A Psalm of Life- কবিতার ভাবানুবাদ কোনটি?
ক. মানুষ খ. মানুষ
গ. আমার পরিচয় ঘ. জীবন-সঙ্গীত
উত্তর: ঘ. জীবন-সঙ্গীত
৪৪. কবি হেমচন্দ্র সাধন করতে বলেছেন–
ক. সংসারের খ. সাগরের
গ. ভবের ঘ. সংকল্পের
উত্তর: ঘ. সংকল্পের
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১ : রবার্ট ব্রুস পর পর ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক সময়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। সেখানে দেখেন একটা মাকড়সা জাল বুনতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। অবশেষে সেটি সপ্তমবারে সফল হয়। এ ঘটনা রবার্ট ব্রসের মনে উৎসাহ জাগায়। তিনি বুঝতে পারেন জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই তিনি আবার পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন।
ক. কবি কোন দৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন?
খ. কীভাবে ভবের উন্নতি করা যায়?
গ. পরাজয়ের গ্লানি রবার্ট ব্রুসের মনের ওপর যে প্রভাব বিস্তার করে সেটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘হতাশা নয় বরং সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে।’- উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন।
খ. জীবনকে ইতিবাচক অর্থে গ্রহণ করে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সম্পাদন করে ভবের উন্নতি করা যায়। জীবনের প্রতিকুলতাকে একমাত্র সত্য না ভেবে সব ধরনের প্রতিকূলতাকে নিজ অনুকূলে আনার প্রয়াস চালাতে হবে এবং সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে। কারণ সময় কারো নয়, কারো জন্যই স্থির থাকে না। উপযুক্ত সময়ে নিজের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করে ভবের উন্নতি করা যায়।
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
গ. পরাজয়ের গ্লানি আর হতাশা রবার্ট ব্রুসের মাঝে যে নতুন সাহসী চেতনা জাগ্রত করে তা ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় উল্লিখিত নৈরাশ্যবাদীদের মানসিকতার দিক থেকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটিতে মানুষের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে। পৃথিবী অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো। এখানে বেঁচে থাকতে হবে বীরের মতো। পরাজয়ে ভেঙে পড়া যাবে না। নব সংকল্পে জয়ী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। লড়তে হবে বীরের মতো। পরাজয়ে হতাশ হয়ে জীবন থেকে পালিয়ে মুক্তি মিলবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত দেহে প্রাণ রয়েছে জয়ের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
উদ্দীপকের রবার্ট ব্রুসের মাঝে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার এ ভাবটি পুরোমাত্রায় উপস্থিত। পরপর ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হতাশ রবার্ট ব্রুস হতাশাকে মেনে না নিয়ে আবার যুদ্ধে নেমেছেন। সপ্তমবারের চেষ্টায় পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত জয়। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটিতেও জীবন নামক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে না পালিয়ে আমৃত্যু লড়াই করে যাওয়ার আহ্বান ব্যক্ত হয়েছে।
সুতরাং রবার্ট ব্রুসের পরাজয়ের গ্লানির পরে হতাশাকে ভুলে জয়ের সংকল্প পোষণের মনোভাবের দিকটিই ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ঘ. ‘হতাশা নয় বরং সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে’- উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি যথার্থ।
মানুষের জীবন অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতোই। জীবনকে সার্থক করতে হলে যথাসময়ে কাজ করতে হয়। মোকাবেলা করতে হয় জীবনের যাবতীয় বাধা-বিঘ্ন। হতাশা বা বৈরাগ্যে জীবনকে এড়িয়ে চলা যাবে কিন্তু মুক্তি বা তৃপ্তি আসবে না।
উদ্দীপকের রবার্ট ব্রুস পরপর ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। কিন্তু সেখানে একটি মাকড়সার অধ্যবসায়ী মনোভাব তার মনে নতুন শক্তি নিয়ে আসে। তিনি আবার নেমে পড়েন যুদ্ধক্ষেত্রে । অধ্যবসায়ী, সাহসী রবার্ট ব্রুস এবার ঠিকই কাঙ্ক্ষিত বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন।
হতাশা মানুষের জীবনের একটি অভিশাপ। হতাশ মানুষ পালিয়ে বেড়ায় জীবন থেকে, সংসার ত্যাগী হয়ে বৈরাগ্য জীবনযাপন করে। জীবন তার বিষহ। অন্যদিকে সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে। কারণ স্থির হয়ে কোনো কাজে লেগে থাকলে সাফল্য অনিবার্য।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় মানুষের জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার এই মন্ত্রণাই দেওয়া হয়েছে। বারবার ব্যর্থ হয়ে ধৈর্যের বলেই রবার্ট ব্রুসের বিজয় অর্জিত হয়েছে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, হতাশা নয় বরং সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য বয়ে আনে।
প্রশ্ন–২ : প্রাচীন গ্রীসের সবচেয়ে প্রভাবশালী তিন দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো ও এরিস্টটল। এঁদের মধ্যে সক্রেটিসের শিষ্য প্লেটো এবং প্লেটোর শিষ্য এরিস্টটল। তাঁরা প্রত্যেকেই স্ব–মহিমায় উজ্জ্বল। সক্রেটিসের নির্দিষ্ট কোন শিক্ষায়তন ছিল না। রাস্তা–ঘাট, হাট–বাজারে তিনি তার দর্শন শিক্ষা দিতেন। প্লেটো ছিলেন, সক্রেটিসের অনুরক্ত ছাত্র । শিক্ষা অর্জন শেষে প্লেটো গণিতজ্ঞ ও দার্শনিক ভাষ্যের রচয়িতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি পশ্চিমা বিশ্বের উচ্চ শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান এথেন্স একাডেমি গড়ে তোলেন। প্লেটোর সেই একাডেমিতে বিশ বছর শিক্ষাগ্রহণ করেন এরিস্টটল এবং এক সময় প্লেটোনিজমের বাইরে নিজস্ব দর্শন প্রচার শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে প্রখ্যাত দার্শনিক হিসেবে এরিস্টটল বিশ্বে স্থায়ী আসন লাভ করেন।
ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি ইংরেজি কোন কবিতার ভাবানুবাদ?
খ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ‘মানব জনম সার’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মানব জনম সার্থক করতে উক্ত দিক ছাড়াও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি আরও কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন- মন্তব্যটি মূল্যায়ণ করো।
২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. “জীবন সংগীত” কবিতাটি “A Pasim of life” শীর্ষক কবিতার ভাবানুবাদ।
খ. মানব জীবন আর পাওয়া যাবে না বলে কবি একে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করেন। ‘সার’ শব্দটি এখানে মূল্যবান অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কবি মনে করেন, মানব জীবন অতি মূল্যবান কেননা এ জীবন একবার চলে গেলে আর ফিরে আসবে না। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ‘মানব জীবন সার’ বলতে জীবনের মূল্যকেই বুঝিয়েছেন কবি।
গ. জগতের মহান ব্যক্তিরা নিজ মহান কর্মে অমরত্ব লাভ করেন যা আমাদের কাছে অনুসরণীয়, উদ্দীপক ‘জীবন সংগীত’ কবিতার এই দিককেই প্রতিফলিত করেছে।
‘জীবন সংগীত’ কবিতায় কবি জীবনের প্রকৃত মানে উদযাপনের প্রয়াস পেয়েছেন। নিছক স্বপ্ন বা কল্পনায় নয়, জীবনের প্রকৃত মানে রয়েছে এর যথার্থ ব্যবহারে। আর সেই ব্যবহার সম্ভব সংসারের নানা ঘাত প্রতিঘাতে নিজেকে টিকিয়ে রাখার মাধ্যমে। এর মাধ্যমেই মানুষ ক্ষণস্থায়ী জীবনে পেতে পারে অমরত্ব।
উদ্দীপকে আমরা ‘জীবন সংগীত’ কবিতার বাস্তব প্রয়োগ দেখতে পাই। প্রাচীন গ্রীসের তিন প্রভাবশালী দার্শনিকের জীবন সম্পর্কে বলা হয়েছে। উদ্দীপকে গুরু শিষ্য হওয়ার দরুণ এরা একজন আরেকজনকে অনুসরণ করেছে। আর নিজেদের চেষ্টায় শিক্ষা একাডেমি গড়ে তুলে নিজেদের প্রতিভাকে বিকশিত করেছেন। এরিস্টটল প্লেটোর একাডেমিতে বিশ বছর শিক্ষকতা গ্রহণ করেছিল।
কতটা ধৈর্য নিয়ে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তারা নিঃসন্দেহে স্মরণীয় ও অনুসরণ যোগ্য। তাদের এই কর্মকাণ্ডই ‘জীবন সংগীত’ কবিতায় কবি কাব্যিক ঢংগে উপস্থাপন করেছেন।
ঘ. মানব জনম সার্থক করতে উক্ত দিক ছাড়াও ‘জীবন সংগীত’ কবিতায় কবি আরও কিছু দকি নির্দেশনা দিয়েছেন মন্তব্যটি সঠিক ও যথার্থ।
‘জীবন সংগীত’ কবিতায় কবি মহান ব্যক্তিদের জীবন আদর্শকে অনুসরণে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। একই সাথে তিনি মানুষকে মায়ার জগত থেকে বেরিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করেছেন। সাহসী যোদ্ধার মতো অকুতোভয় হয়ে জীবনের ক্ষণস্থায়ী জীবনকে সার্থক করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
উদ্দীপক ‘জীবন সংগীত’ কবিতাটির কবির বক্তব্যকে সমর্থন করে ক্ষণস্থায়ী জীবনকে সার্থক করার পন্থা প্রদর্শন করে। প্রাচীন গ্রীসের প্রভাবশালী তিন দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো ও এরিস্টটল। প্লেটো সক্রেটিসকে অনুসরণ করতেন আর এরিস্টটল প্লেটোকে অনুসরণ করতেন। মহাজ্ঞানী ব্যক্তিদের অনুসরণ করে তারাও হয়ে আছেন মহান। তাছাড়া তারা চেষ্টায় ও সাধনায় এই অমরত্ব লাভ করেছেন। মহান কাজে তারা নিজেদের ব্ৰতী করেছেন। তাদের এই প্রচেষ্টা অনুসরণীয়।
‘জীবন সংগীত’ কবিতাটি উদ্দীপকের পন্থা ছাড়াও মানব জনম সার্থক করার অন্য পথকেও আমাদের সামনে উন্মোচন করে। মানব জন্ম অত্যন্ত মূল্যবান। এই মূল্যবান মানব জন্মকে নিছক কল্পনায় কাটানোর মাঝে জীবনের সার্থকতা নেই। জীবন ক্ষণস্থায়ী তাই একে সার্থক করাটাও জরুরী। আর সেজন্য জীবনকে যথার্থভাবে অনুধাবন ও পরিচালনা করা মানবের কর্তব্য।
‘জীবন সংগীত’ কবিতায় কবি আমাদের এই বোধকে উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন যা অনুসরণে আমরা পেতে পারি সার্থক জীবন। অতএব মন্তব্যটি সঠিক ও যথার্থ।
প্রশ্ন-৩: নানামুখী প্রতিকূলতার জন্য পাঁচবার বিএ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি কাশেম। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের তিরস্কারে কাশেম কিছুটা বিচলিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কাশেম তার গ্রামের একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো দৃঢ় মনোবলসহকারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলভাবে কৃতকার্য হয়।
ক. ‘দারা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘দারা’ শব্দের অর্থ স্ত্রী।
এসএসসি সকল বিষেয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
খ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি মানুষের আয়ুকে শৈবালের নীরের সাথে তুলনা করেছেন। শৈবাল অর্থাৎ শ্যাওলার ওপরে যে পানি থাকে তার ব্যাপ্তিকাল অত্যন্ত কম সময়ের। সূর্যের কিরণ লাগার সাথে সাথে সে পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। তেমনি মানুষের আয়ু অর্থাৎ জীবনও ক্ষণস্থায়ী। এ পৃথিবীতে তার ব্যাপ্তিকালও অত্যন্ত কম। কবি তাই শৈবালের জলের সাথে মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনের তুলনা করেছেন। আমাদের সকলের উচিত এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে নিজ কর্ম ও সময়ের সদ্ব্যবহার করে উদ্ভাসিত করে তোলা।
গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় বর্ণিত মানুষের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার দুর্বিনীত ইচ্ছার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
জীবনে একদিক যদি সত্য ও সুন্দর হয় অন্যদিকে রয়েছে সংঘর্ষ ও সংগ্রাম। এ বার্তাই জীবন-সঙ্গীত কবিতার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। সংসারে মানুষ সর্বদাই নানা বাধার সম্মুখীন হয়; কিন্তু তাতে উদ্যম হারিয়ে বসে থাকলে কোনো ফললাভ হয় না। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই কেবল মানুষ সাফল্যকে করায়ত্ত করতে পারে। যে মানুষ সংগ্রাম করে; সেই শেষ পর্যন্ত নশ্বর এ পৃথিবীতে টিকে থাকে।
উদ্দীপকে পাঁচবার বিএ পরীক্ষা দিয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি কাশেম। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের এক বিজ্ঞ মানুষের পরামর্শে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় কাশেম এবং সেখানে কৃতকার্য হয় সে। কাশেমের এ অর্জন জীবন-সঙ্গীত কবিতার মানুষের সংগ্রামের কথাই যেন মনে করিয়ে দেয়।
তাই বলব, পাঠ্য কবিতায় বর্ণিত মানুষের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার দুর্বিনীত ইচ্ছার দিকটিই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাবকে ধারণ করেনি মন্তব্যটি যথার্থ।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় মানুষের জীবনের স্বপ্ন, কল্পনা ও বাস্তবতার জগৎকে তুলে ধরা হয়েছে। কবি মনে করেন, মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান; তাতে মিথ্যা সুখের কল্পনা শুধু দুঃখবোধই বাড়ায়। সংসারে বাস করতে গেলে এর দায়িত্ব যথাযথভাবে আমাদের পালন করতে হবে। ক্ষণস্থায়ী এ জীবনে সংগ্রামই একমাত্র অবলম্বন।
উদ্দীপকে বিএ পরীক্ষায় অকৃতকার্য কাশেম যখন বিচলিত তখন গ্রামের এক বিজ্ঞ মানুষের পরামর্শে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় সে এবং সেখানে কৃতকার্য হয়। কাশেম প্রকৃত অর্থেই জীবনের সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে। তাই তার এ সংগ্রামী প্রত্যয় ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার মানুষের সংগ্রামের কথাই যেন মনে করিয়ে দেয়।
উদ্দীপকে কাশেমের সাফল্যে জীবনসংগ্রামের কথা থাকলেও তাতে জীবনের কল্পনা ও বাস্তবতার সংঘর্ষের কথা তুলে ধরা স্পর্কিত যে তথ্য কবি পরিবেশন করেছেন তাও এখানে উল্লেখিত হয়নি। তাই সার্বিক বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটি কবিতার সমতুল্য নয়; অর্থাৎ উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাবকে ধারণ করেনি।
প্রশ্ন–৪: এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি-
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
অবশেষে সব কাজ সেরে
আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে
করে যাব আশীর্বাদ
তারপর হব ইতিহাস।
ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটির ইংরেজি নাম কী?
খ. কবি মানবকে ভয়ে ভীত না হওয়ার কথা বলেছেন কেন?
গ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন বিষয়টি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “জীবন-সঙ্গীত কবিতা ও উদ্দীপকের মূল সুরই হচ্ছে জীবনবাদ”- মন্তব্যটি বিচার করো।
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতার ইংরেজি নাম হলো— ‘A Psalm of Life’ |
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
খ. জগতে মহিমা লাভের পথে অনুপ্রেরণা দিতেই কবি মানবকে ভয়ে ভীত না হওয়ার কথা বলেছেন। সংসার সমরাঙ্গনে যথাযোগ্য ভূমিকা রাখলেই মানবজীবন অর্থবহ হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে হেরে যাওয়ার ভয়ে ভীত হলে চলবে না। কেননা সততার সাথে জীবনপথে এগিয়ে গেলে প্রাণ হারালেও তা আত্মদান বলে বিবেচিত হবে। এভাবে নিজ কাজের মাধ্যমে মহিমান্বিত হওয়ার উদাহরণ জগতে দুর্লভ। আর তাই মহত্ত্ব অর্জনের পথে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যেই কবি মানুষকে কোনোরূপ ভয়ে ভীত হতে নিষেধ করেছেন।
গ. জীবন-সঙ্গীত কবিতায় প্রকাশিত নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে মহিমা লাভের প্রসঙ্গটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সংসারে মানুষের প্রকৃত ভূমিকার স্বরুপ তুলে ধরেছেন। কবির মতে, সংসারবিবাগী হয়ে কোনো লাভ নেই। তাই সংসার সমরাঙ্গোনে দৃঢ়চিত্তে লড়াই করে যেতে হবে। নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে জীবনকে সফল করে তুলতে হবে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে কবির এক মহান প্রতিজ্ঞা প্রকাশিত হয়েছে। আর তা হলো আগামীর পৃথিবীকে তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাসের উপযুক্ত করে যেতে চান। নতুন দিনে শিশুরা যেখানে নির্ভয়ে বেড়ে উঠতে পারবে। এভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজের কীর্তিকে অক্ষয় করে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কবি।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায়ও একইভাবে সাহসী যোদ্ধার মতো যুদ্ধ করে সংসারে নিজের কীর্তি প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কবি বাহ্যদৃশ্য ভুলে গিয়ে লক্ষ্যচ্যুত না হওয়ার জন্য আমাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। আলোচ্য কবিতার এ দিকটিই উদ্দীপকে ভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশিত হয়েছে।
ঘ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় মানবজীবনের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন করেছেন কবি। মানবজীবনকে অনেকেই নিছক স্বপ্ন ও মায়ার জগৎ ভেবে ভুল করে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবির মতে, জীবন এতটা মূল্যহীন নয়। তাই বৈরাগ্যে মুক্তি না খুঁজে সংসারে নিজের দায়িত্ব যথাযথরূপে পালনের মধ্য দিয়ে জীবনের সার্থকতা খুঁজতে বলেছেন তিনি। স্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তিদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে নিজের জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে উৎসাহ দিয়েছেন কবি।
উদ্দীপকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত পৃথিবী তৈরির প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে। তাদের বসবাসের জন্য সর্বোত্তম আয়োজনের ব্যবস্থা করতে চান কবিতাংশটির কবি। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলেই ধন্য হবেন বলে মনে করেছেন তিনি। জীবনকে সার্থক করে তোলার এমন ভাবনা ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায়ও বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা ও উদ্দীপকে উভয়ক্ষেত্রেই পৃথিবীতে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় কবি সংসাররূপ যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্বের সাথে লড়াই করে যেতে বলেছেন।
অন্যদিকে, উদ্দীপকের কবিতাংশে নবজাতকের জন্য সুন্দর এক পৃথিবী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কবি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক আদর্শ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন। তবে তা করার জন্য ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবির নির্দেশিত পথেরই অনুগামী হতে হবে। কেননা এর মধ্য দিয়েই যে মহত্ত্ব অর্জন সম্ভব সেটিও স্পষ্ট করা হয়েছে উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতায়। এভাবে জীবনকে সার্থক করার বিষয়টিই উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার মূলবক্তব্য হিসেবে এসেছে। এ বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ ।
প্রশ্ন–৫: রূপগঞ্জ গ্রামের রাহাত ও তার কলেজ পড়ুয়া বন্ধুরা মিলে ‘বন্ধু‘ নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে। এলাকায় বিভিন্ন উৎসবে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, খেলাধুলার আয়োজন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ময়লা পুকুর পরিষ্কার করা, অন্যের বাড়ির জঙ্গল সাফ করা কিংবা ভাঙা রাস্তা সংস্কার করা— এসব কাজেই তাদের সময় চলে যায়। কেউ কেউ তাদেরকে অসংযমী, ভবঘুরে বলে তিরস্কার করে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে দেশের, জাতির উন্নয়নে এ রকম মানুষরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা কোন কবিতার ভাবানুবাদ?
খ. ‘এ জীবন নিশার স্বপন’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের রাহাত ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে”- মন্তব্যটি যাচাই করো।
৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা কবি Henry Wadsworth Longfellow-এর ‘A Psalm of Life’ শীর্ষক ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ।
খ. ‘এ জীবন নিশার স্বপন’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন রাতের মিথ্যা স্বপ্নের মতো জীবন অর্থহীন অসার। নিশিরাতের স্বপ্নগুলো নিছকই মিথ্যা। সেই স্বপ্ন দিয়ে জীবনকে কল্পনা করলে কেবল দুঃখই বাড়ে, প্রকৃতপক্ষে কোনো লাভ হয় না। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জীবনকে নিশার স্বপ্নের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
গ. বৈরাগ্য নয় বরং সাহসী সৈনিকের মতো জীবনযুদ্ধে নিজেকে টিকিয়ে রাখাই জীবনের পরম কর্তব্য— এ বোধটিই উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিক।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি আমাদের স্বপ্নরাজ্যের জাল ছিন্ন করার প্রয়াস পেয়েছেন। কারণ স্বপ্ন ও কল্পনার রাজ্য আমাদের নিছক আনন্দই দিতে পারে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জীবন ক্ষণস্থায়ী। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে অমর করতে হলে আমাদের মহাজ্ঞানী, মহৎ ব্যক্তিদের পথ অনুসরণ করাটাই কাম্য।
উদ্দীপকের রাহাত ও তার বন্ধুরা এই মহৎ উদ্যোগেরই উদ্যোক্তা। তারা অন্যের নিন্দা বা তিরস্কারে কান না দিয়ে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। তাদের এই উদ্যম ও সাহসী মনোভাবই মানবজীবনে কাম্য। রাহাত ও তার বন্ধুদের দায়িত্বরোধ ও কর্মোদ্দীপনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার বক্তব্য।
ঘ. জীবনকে যথার্থভাবে উপলদ্ধি করা ও সঠিকভাবে দায়িত্বপালনের মাঝেই জীবনের প্রকৃত তাৎপর্য নিহিত, যা উদ্দীপকের রাহাত ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে ‘জীবন-সঙ্গীত কবিতায় সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি বলেছেন নিছক স্বপ্ন ও মায়ায় যেন আমরা দিনযাপন না করি। কারণ সংসারে বাস করতে গেলে সংসারের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সংসারধর্ম পালন করতে হলে দায়িত্ব গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
উদ্দীপকের রাহাত ও তার বন্ধুরা সেই পথেই অগ্রসর হয়েছে। তারা উদ্যমী ও পরিশ্রমী। তাদের ভেতরের শক্তি এতটাই প্রবল যে অন্যের কোনো বাজে কথাই তাদের টলাতে পারে না। তারা নির্ভীকের মতো এগিয়ে চলে। কারণ তারা উপলব্দি করেছে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য।
উদ্দীপকের রাহাত ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি যুদ্ধক্ষেত্রের সাহসী সৈনিকের মতো। তারা নানা ঘাতপ্রতিঘাত মোকাবেলা করে বেঁচে থাকতে চায়। এ ব্যাপারে তারা সফল কারণ তারা নিছক মায়ায় দিন যাপন করে না। কতর্ব্যকে উপলব্ধি করার পাশাপাশি কর্তব্য পালনও করে তারা। সে কথাই উঠে এসেছে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায়।
তাই সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, উদ্দীপকের রাহাত ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি জীবন-সঙ্গীত কবিতায় সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন–৬ : ১৯৫৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমের সাঁতার প্রতিযোগিতায় মোট ২৩টি দেশ অংশ নেয়। সেখানে এ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ সালের ১৮ই আগস্ট প্রায় মধ্যরাতে ফ্রান্সের তীর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিবেশে মনের অদম্য ইচ্ছায় পরদিন বিকেল বেলায় প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংল্যান্ড তীরে এসে পৌছান ব্ৰজেন দাস। ব্ৰজেন দাস সর্বমোট ছ‘বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কোন কবিতার ভাবানুবাদ?
খ. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’- চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাটি কবি Henry Wadsworth Longfellow-এর A Psalm of life শীর্ষক ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ।
খ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি মানুষের আয়ুকে শৈবালের নীরের সাথে তুলনা করেছেন। শৈবাল অর্থাৎ শ্যাওলার ওপরে যে পানি থাকে তার ব্যাপ্তিকাল অত্যন্ত কম সময়ের। সূর্যের কিরণ লাগার সাথে সাথে সে পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। তেমনি মানুষের আয়ু অর্থাৎ জীবনও ক্ষণস্থায়ী। এ পৃথিবীতে তার ব্যাপ্তিকালও অত্যন্ত কম। কবি তাই শৈবালের জলের সাথে মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনের তুলনা করেছেন। আমাদের সকলের উচিত এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে নিজ কর্ম ও সময়ের সদ্ব্যবহার করে উদ্ভাসিত করে তোলা।
এসএসসি সকল বিষেয় সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
গ. সংসার সমরাঙ্গনে ভয়কে জয় করে দৃঢ়সংকল্পে সামনে এগিয়ে গেলে মানুষ সাফল্য অর্জন করে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার এ দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে সংসারের যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের টিকে থাকাই স্মরণীয়-বরণীয় হওয়ার উপায়। সে উপায়টি আর বিশেষ কিছুই নয়। সংকল্পে অটল থেকে সফলতাকে ছিনিয়ে আনা। যদি ভয় পায় তবে সফল হওয়া সম্ভব নয়। দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করলেই এই শৈবালের নীরের মতো জীবনকে আমরা দিতে পারি অমরত্ব।
উদ্দীপকের ব্রজেন দাস যেন ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার মূলমন্ত্রেই দীক্ষিত। তিনি প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিবেশে মনের অদম্য ইচ্ছায় ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন। তাও একবার-দুবার নয়, ছয়বার। আবার তিনিই এই চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম সাঁতারু। তার খ্যাতি অর্জন সম্ভব হয়েছে নিজের সংকল্পে অটল ছিলেন বলেই। সংকল্প ও প্রাণপণ চেষ্টাই তাঁকে করেছে স্মরণীয়-বরণীয়।
সেই পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি আমাদের আহ্বান জানিয়েছেন। এভাবেই উদ্দীপকের ব্রজেন দাসের সাফল্য অর্জনের চেষ্টা ও সংকল্পের বিষয়টি কবিতায় প্রতিফলিত।
ঘ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয়নি। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি মানবজীবন যে অমূল্য তা নিরূপণ করেছেন।
অমূল্য মানবজীবনকে স্বপ্ন ও মায়ার জগৎ ভেবে অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়ার মাঝে তিনি কোনো মাহাত্ম্য খুঁজে পান না। তিনি জীবনের মাহাত্ম্য খুঁজে পেয়েছেন সংসারে যথাযথ দায়িত্ব পালনে মানুষের অগ্রণী ভূমিকা রাখার মাঝেই। কেবল এটিই আমাদের দিতে পারে যথাযথ মূল্যায়ন।
উদ্দীপকে দেখতে পাই ব্ৰজেন দাসের সাফল্যগাঁথা। তিনি সফল হয়েছেন কারণ তিনি অমূল্য মানবজীবনকে হেলায় না কাটিয়ে একে অমরত্ব দিতে অগ্রসর হয়েছেন। তিনি সংকল্পে অটল থেকে সাফল্য ও অমরত্ব অর্জন করেছেন। উদ্দীপকের ব্রজেন দাসের মতো মানুষকেই অনুসরণ করার কথা বলেছেন আলোচ্য কবিতার কবি।
উদ্দীপকে শুধুই সাফল্যগাথা উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু কবিতায় কবি দেখিয়েছেন সাফল্যের প্রয়োজনীয়তা ও সেই সাফল্য অর্জনের পন্থা। উদ্দীপকও সাফল্যের প্রতি আমাদের উদ্দীপনা জোগাচ্ছে। এই উদ্দীপনা জোগাতে আলোচ্য কবিতার কবিও প্রয়াস পেয়েছেন। তবে তিনি যেভাবে সামগ্রিকভাবে মানবজীবনের স্বরুপ, একে সাফল্যমণ্ডিত করার প্রয়োজনীয়তা, পন্থা সমস্তই বর্ণনা করেছেন, সেভাবে উদ্দীপক আমাদের সামনে উপস্থাপন করেনি। উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি- উক্তিটি যথার্থ ।
প্রশ্ন–৭ : রাতে যদি সূর্য শোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে কভু ব্যর্থ হয় তারা।
সময়ের মূল্য বুঝে করে যারা কাজ।
তারা আজ স্মরণীয় জগতের মাঝ।‘
ক. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যটির নাম কী?
খ. কবি জীবকে ‘তুমি কার কে তোমার’ বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন ভাবের সাদৃশ্য রয়েছে- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘তারা আজ স্মরণীয় জগতের মাঝ’— ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার আলোকে বাক্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যটির নাম ‘বৃত্রসংহার’।
খ. পৃথিবীকে শুধু স্বপ্ন ও মায়ার জগৎ মনে করলে জীবন ব্যর্থ হবে। কবি জীবকে ‘তুমি কার কে তোমার’ একথা বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন। মানুষ মরণশীল ও জীবজগৎ নশ্বর বলে আমরা অনেক সময় বলে থাকি যে স্ত্রী-পুত্র, পরিবার কেউ আমার আপন নয়। কবি বলছেন, এটা ভুল ধারণা। মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান। এ জীবনে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও পরিবারের গুরুত্ব অসীম। কেউ কারো নয়, এমন নেতিবাচক চিন্তা করতে কবি বারণ করেছেন। কবি জীবনসংসারকে এবং আপনজনদের বরণ করে নিয়ে মহজ্জীবন গড়ে তোলার জন্য বৃথা ক্রন্দন করতে নিষেধ করেছেন।
এসএসসি বাংলা সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
গ. সময়মতো আপন কর্তব্য সাধন করে জগতে বরণীয় হওয়ার গুরুত্ব আরোপ করার দিক থেকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা ও উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
সময়ানুবর্তী হয়ে সমাজ-সংসারের দায়-দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে মানবজীবন মহৎ হয়ে ওঠে। উদাসীনতা বা বৈরাগ্যে মানবজীবন ধ্বংস হয়। মানবজীবনে সময় অতি মূল্যবান বিষয়। সময়ের মূল্য দিয়ে আমাদের স্মরণীয় ও বরণীয় হতে হবে।
উদ্দীপকে সময় হারানোর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, রাতের বেলা সূর্যের জন্য অশ্রু ঝরিয়ে কোনো লাভ নেই। সূর্যের আলোর কর্মমুখী জীবনে ধন্য হতে হয় দিনের বেলাতেই। জগতে যারা স্মরণীয়-বরণীয় হয়েছেন তারা সময়ের গুরুত্ব বুঝে যথাসময়ে কাজ করেছেন। কারণ সময় একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ভবের উন্নতির জন্য সমাজে সংসারী হয়ে সময় মতো নিত্যদিনের কর্তব্য সমাধা করার উপাদান দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “দিন যায় ক্ষণ যায়/সময় কাহারো নয়/বেগে ধারা নাহি রহে স্থির।’ এভাবে উদ্দীপক ও কবিতায় যথাসময়ে নিজ কর্তব্য সাধন করে জীবনে সফলতা অর্জনের গুরুত্বারোপ করা হয়েছে সমান্তরালভাবে।
ঘ. সংসার সমরাঙ্গনে যথাসময়ে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে নিজ কর্তব্য-কাজে জয়ী হয়েই জগতে স্মরণীয়-বরণীয় হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে আলোচ্য বাক্যটিতে।
মানবজন্ম অত্যন্ত মূল্যবান। মিথ্যা সুখের কল্পনা করে দুঃখ বাড়িয়ে লাভ নেই। তা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যও নয়। সংসারে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে হলে যথাসময়ে সংসারের দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। কারণ বৈরাগ্যে মুক্তিও নেই, মর্যাদাও নেই।
উদ্দীপকে ব্যর্থতার উপমা দিয়ে বলা হয়েছে, দিনের বেলায় সূর্যালোকে কর্তব্য কাজ সাধন না করে কেউ যদি রাতের বেলা সূর্যালোকের জন্য অসুনিপাত করে তাহলে সূর্য কখনো ফিরে আসবে না। তাকে ব্যর্থতার গ্লানিতে ভুগতে হবে। আর সময়ের মূল্য বুঝে সময়মতো যারা কর্তব্য কাজ সমাধা করে, তারাই জীবনে সফল হয়ে মর্যাদাবান হয়।
তেমনি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতাতেও কবি মানবজন্মকে সার্থক করে তোলার জন্য সময়ের কাজ সময়েই সাধনের কথা বলেছেন। জগতে যারা স্মরণীয়-বরণীয় হয়েছেন তারা পৃথিবীতে সাহসী যোদ্ধের মতো সময়কে জয় করেছেন। সময়ের প্রতি অবহেলা করে তারা জীবনকে ব্যর্থ করেননি।
‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় বলা হয়েছে, আমাদের জীবন কেবল নিছক স্বপ্ন নয়। অতীত সুখের দিন ও অনাগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমানকে ভুলে বসলে চলবে না। তাহলে জীবন ব্যর্থতার কালিমায় ঢেকে যাবে। উদ্দীপকেও এমন ব্যর্থতার চিত্রই অঙ্কিত হয়েছে। যারা দিনের বেলায় অবহেলায় সময় ক্ষেপণ করে রাতে সূর্যালোকের জন্য বিলাপ করে তারা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।
তাই জগতে স্মরণীয়-বরণীয় হওয়ার জন্য বর্তমানকে গুরুত্ব দিয়েই কর্তব্য কাজে নিবেদিত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এদিকে সার্থকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায়।