বিজ্ঞান
দশম অধ্যায়
এসো বলকে জানি
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
নিউটনের প্রথম সূত্র : বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরলপথে চলতে থাকবে। এই সূত্র থেকে বস্তুর জড়তা ও বল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
জড়তা : বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা তাকে জড়তা বলে। জড়তা দুই প্রকার :
i. স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার প্রবণতা বা ধর্মকে স্থিতি জড়তা বলে। স্থিতি জড়তার কারণে থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে যাত্রীরা পিছনের দিকে হেলে পড়ে।
ii. গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার প্রবণতা বা ধর্মকে গতিজড়তা বলে। গতিজড়তার কারণে চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। গাড়ি চালানোর সময় জড়তার কারণে সিটবেল্ট পড়তে হয়। তা হলে আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
বল : যা স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তাকে গতিশীল করে বা করতে চায় বা যা গতিশীল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায়, তাকে বল বলে। প্রাত্যহিক জীবনের এক বস্তুর উপর অন্য বস্তুর ধাক্কা বা টানই হলো বল। বল প্রয়োগের মাধ্যমে-
i. স্থির বস্তু গতিশীল এবং গতিশীল বস্তু স্থির হয়।
ii. বস্তুর গতির দিক পরিবর্তিত হয়।
iii. গতিশীল বস্তুর বেগের হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে।
iv. বস্তুর আকৃতি পরিবর্তিত হয়।
স্পর্শ বল : যে বল কেবল দুটি বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে এসে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে তাকে স্পর্শ বল বলে। যেমন— পেশিজ বল ও ঘর্ষণ বল ।
ঘর্ষণের সুবিধা :
i. ঘর্ষণের কারণে আমরা হাঁটতে পারি।
ii. কাঠে পেরেক বা স্ক্রু আটকাতে পারি।
বিজ্ঞান সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
iii. দড়িতে গিট দিতে পারি।
iv. আমরা যাবতীয় জিনিস ধরতে পারি।
v. বাতাসের ঘর্ষণের কারণে প্যারাসুট ব্যবহার করে বিমান থেকে নামতে পারি এবং
vi. উল্কা বায়ুর সাথে ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন তাপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘর্ষণের অসুবিধা :
i. যন্ত্রপাতির ঘষা খাওয়ার অংশগুলো ক্ষয়ে যায়।
ii. সাইকেল, রিক্সা, গাড়ির টায়ার ক্ষয়ে যায়।
iii. পেন্সিলের মাথা ভোতা হয়ে যায়।
iv. জুতোর সোল ক্ষয়ে যায়।
v. যন্ত্রের দক্ষতা হ্রাস পায় এবং
vi. উৎপন্ন অনাবশ্যক তাপে যন্ত্রের ক্ষতি হয়।
ঘর্ষণকে সীমিতকরণ :
i. শিশুদের খেলার স্লাইডকে মসৃণ করা যাতে তারা সহজে পিছলে নামতে পাড়ে।
ii. যন্ত্রপাতির গতিশীল অংশগুলোতে তেল বা গ্রিজ জাতীয় পদার্থ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা হয়। ফলে যন্ত্রপাতির ক্ষয় ক্ষতি কমে যায়।
iii. তলের উপর দিয়ে বস্তুকে পিছলিয়ে নেয়ার বদলে গড়িয়ে নেয়া হয়।
iv. স্যুটকেসে চাকা লাগানো থাকে এবং ভারী বস্তুকে স্থানান্তরিত করতে রোলার ব্যবহৃত হয়।
v. যন্ত্রপাতির গতিশীল অংশগুলোর মাঝে বল বিয়ারিং বসিয়ে ঘর্ষণ কমানো হয় এবং গতি সহজ করা হয়।
ঘর্ষণের বৃদ্ধিকরণ : বাস্তবজীবনে ঘর্ষণ বাড়িয়ে কাজে সুবিধা বাড়ানো যায়। যেমন-
i. দেয়াশলাইয়ের দুই পাশ অমসৃণ করা হয় যার সাথে কঠির ঘর্ষণের ফলে আগুন জ্বলে ওঠে।
ii. জুতোর সোলে ঢেউ খেলানো থাকে যাতে জুতো রাস্তাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে।
iii. গাড়ির টায়ারে সুতো থাকে যাতে টায়ার সড়ককে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে এবং ভিজা রাস্তা থেকে গাড়ি স্লিপ করে, পড়ে না যায়।
ঘর্ষণ ভোগান্তির কারণ হলেও ঘর্ষণ আমাদের জীবনে অনেক ভূমিকা রাখে। একারণে ঘর্ষণকে বলা হয় প্রয়োজনীয় উপদ্রব বা অপশক্তি।
অস্পর্শ বল : যে বল বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে না এসেও বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে তাকে অস্পর্শ বল বলে। যেমন,
i. মাধ্যাকর্ষণ বল : মহাবিশ্বের যেকোন দুটি বস্তুর মধ্যে ক্রিয়াশীল বলকে মাধ্যাকর্ষণ বল বলে। বস্তু দুটির মধ্যে
একটি যদি হয় পৃথিবী তবে এরূপ বলের নাম অভিকর্ষ বল। এই বলের মান বস্তুদ্বয়ের ভর ও এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। ভর বাড়লে বল বাড়ে এবং দূরত্ব বাড়লে বল কমে। মাধ্যাকর্ষণ বল সবসময়ই আকর্ষণধর্মী।
ii. চৌম্বক বল : দুটি চুম্বককে কাছাকাছি আনলে এরা পরস্পরের প্রতি যে বল প্রয়োগ করে এবং কোনো চুম্বক অন্য কোনো চৌম্বক পদার্থে যে বল প্রয়োগ করে, তাকে চৌম্বক বল বলে। কয়েকটি চৌম্বক পদার্থ হলো- লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ও স্টিল।
iii. তাড়িত চৌম্বক বল : দুটি আহিত কণিকার মধ্যে যে বল ক্রিয়াশীল তাকে তাড়িতচৌম্বক বল বলে। এই বল কণিকা দুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
iv. দুর্বল নিউক্লিয় বল : এই বল তাড়িত চৌম্বক বলের চেয়ে ১০ গুণ দুর্বল। মৌলকণিকা লেপটন ও হার্ডনের ক্ষয় প্রাপ্তিতে এই বল কাজ করে।
v. শক্তিশালী নিউক্লিয় বল : পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনকে বলা হয় নিউক্লিয়ন। যে শক্তিশালী আকর্ষণ বল নিউক্লিয়ানগুলোর মধ্যে কাজ করে এবং নিউক্লিয়াসকে আটকে রাখে তাকে শক্তিশালী নিউক্লিয় বল বলে। এটি তাড়িত চৌম্বক বলের তুলনায় ১০০ গুণ শক্তিশালী।
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র : বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। এই সূত্র থেকে বলের পরিমাণ করা যায়। সূত্রানুসারে, বল F, ভর m এবং ত্বরণ a হলে F = ma ।
নিউটনের তৃতীয় সূত্র : প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এই সূত্র থেকে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বলের ধারণা পাওয়া যায়। যেমন-
i. ক্রিকেট বলকে ব্যাট দ্বারা আঘাত করা।
ii. টেবিলের ওপর বই রাখা।
iii. ভূমির ওপর দাঁড়ানো।
iv. হাঁটা
v. নৌকা চালানো ইত্যাদি।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১. বল কী?
উত্তর: যা স্থির বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে তাকে গতিশীল করে বা করতে চায় অথবা যা গতিশীল বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায়, তাই বল।
প্রশ্ন–২. জড়তা কী?
উত্তর: বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাই জড়তা।
প্রশ্ন–৩. নিউটনের গতির ১ম সূত্রটি লেখো।
উত্তর: নিউটনের গতির প্রথম সূত্রটি হলো— বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরলপথে চলতে থাকবে।
প্রশ্ন–৪. ঘর্ষণ বল কয়টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তর : দুইটি বিষয়ের উপর। যথা: বস্তুর ভর এবং তলের প্রকৃতি।
প্রশ্ন–৫. নিউটনের গতিবিষয়ক দ্বিতীয় সূত্রটি কী?
উত্তর: নিউটনের গতিবিষয়ক দ্বিতীয় সূত্রটি হলো— বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক।
প্রশ্ন–৬. নিউটনের গতি বিষয়ক তৃতীয় সূত্রটি লেখো।
উত্তর: নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্রটি হলো- প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
প্রশ্ন–৭. তড়িত চৌম্বক বল কাকে বলে?
উত্তর: দুটি আহিত কণিকার মধ্যে যে বল ক্রিয়াশীল তাকে তড়িত চৌম্বক বল বলে।
প্রশ্ন–৮. নিউক্লিয়ন কী?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনকে একত্রে নিউক্লিয়ন বলে।
প্রশ্ন–৯. অস্পর্শ বল কাকে বলে?
উত্তর: দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়া যে বল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তাকে অস্পর্শ বল বলে।
প্রশ্ন–১০. স্পর্শ বল কী?
উত্তর: যে বল কেবল দুটি বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে এসে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে তাই স্পর্শ বল।
প্রশ্ন–১১. লুব্রিকেন্ট কাকে বলে?
উত্তর: তেল বা গ্রিজের মতো পদার্থ যা ঘর্ষণ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় তাকে লুব্রিকেন্ট বলে।
প্রশ্ন–১২. ঘর্ষণ কাকে বলে?
উত্তর: দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি এক অপরের ওপর দিয়ে চলতে চেষ্টা করে অথবা চলতে থাকে তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এ গতির বিরুদ্ধে একটা বাধার উৎপত্তি হয়, এ বাধাকে ঘর্ষণ বলে।
প্রশ্ন–১৩. নিউটনের সূত্রগুলো কোন বিষয়সমূহকে সম্পর্কযুক্ত করে?
উত্তর : নিউটনের সূত্রগুলো বল, ভর, জড়তা ও গতির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রশ্ন–১৪. ক্ষমতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর একক সময়ে কাজ করার পরিমাণকে ক্ষমতা বলে ।
প্রশ্ন–১৫. বস্তুর স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে কী করতে হয়?
উত্তর : বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করতে হয়।
প্রশ্ন–১৬. স্থিতি জড়তা কী?
উত্তর : স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার প্রবণতা বা ধর্মকে স্থিতি জড়তা বলে।
প্রশ্ন–১৭. গতি জড়তা কী?
উত্তর : গতিশীল বস্তুর চিরকাল গতিশীল থাকতে চাওয়ার প্রবণতা বা ধর্মকে গতি জড়তা বলে।
প্রশ্ন–১৮. পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশকালে উল্কার কী ঘটে?
উত্তর : উল্কা বায়ুর সাথে ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন তাপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রশ্ন–১৯. পেন্সিল ভোতা হয় কীসের কারণে?
উত্তর : ঘর্ষণের কারণে।
প্রশ্ন–২০. বলের গুণগত ধারণা পাওয়া যায় কোন সূত্র থেকে?
উত্তর : নিউটনের গতিবিষয়ক প্রথম সূত্র থেকে।
প্রশ্ন–২১. ভারী বস্তুকে স্থানান্তরিত করতে কী ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : রোলার।
বিজ্ঞান সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–২২. বল বিয়ারিং কী?
উত্তর : স্টিলের তৈরি ছোট ছোট বল ।
প্রশ্ন–২৩. কোনটিকে প্রয়োজনীয় উপদ্রব বলা হয়?
উত্তর : ঘর্ষণ।
প্রশ্ন–২৪. মাধ্যাকর্ষণ বল কী?
উত্তর : মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর ভরজনিত আকর্ষণ বলকে মাধ্যাকর্ষণ বল বলে।
প্রশ্ন–২৫. অভিকর্ষ কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবী ও অন্য যেকোনো বস্তুর আকর্ষণকে অভিকর্ষ বলে।
প্রশ্ন–২৬. সবসময়ই আকর্ষণধর্মী কোন বল?
উত্তর : মাধ্যাকর্ষণ বল ।
প্রশ্ন–২৭. নিউক্লিয়ন কী?
উত্তর : পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনকে একত্রে নিউক্লিয়ন বলে।
প্রশ্ন–২৮. নিউটনের তৃতীয় সূত্রের ভিত্তিতে চলে কোন যান?
উত্তর : আধুনিক জেট বিমান, রকেট ইত্যাদি।
প্রশ্ন–২৯. নিউটন কোন রাশির একক?
উত্তর : নিউটন বলের একক।
প্রশ্ন–৩০. kg ms-2 কিসের একক।
উত্তর : ভরবেগের একক kgms-2।
প্রশ্ন–৩১. ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বলের দিক পরস্পরের সাপেক্ষে কিরূপ।
উত্তর: ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বলের দিক পরস্পরের সাপেক্ষে বিপরীতমুখী।
প্রশ্ন–৩২. ত্বরণের একক কী?
উত্তর: ত্বরণের একক ms-2।
প্রশ্ন–৩৩. প্রোটন ও নিউট্রনকে কী বলে?
উত্তর: প্রোটন ও নিউট্রনকে বলা হয় নিউক্লিয়ন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১. জড়তা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম, তাই জড়তা। সকল বস্তুর জড়তা থাকে। স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা স্থিতি বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাকে স্থিতি জড়তা এবং গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা ধর্ম তাকে গতি জড়তা বলা হয়।
প্রশ্ন–২. চলন্ত গাড়ি হঠাৎ থেমে গেলে আমরা সামনের দিকে ঝুকে পড়ি কেন?
উত্তর: চলন্ত গাড়ি হঠাৎ থেমে গেলে আমরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ি কারণ হলো দেহের গতিজড়তা। দেহের নিম্নাংশ (যেমন-কোমর ও পা) সিট ও গাড়ির মেঝের সাথে সংলগ্ন থাকায় গাড়ি থেমে গেলে প্রাপ্ত বাধাবলের কারণে দেহের নিম্নাংশও থেমে যায়। কিন্তু দেহের উপরের অংশ মুক্ত থাকায় এবং এর গতির ওপর কোনো বাধাবল ক্রিয়া না করায় তা সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং দেহ সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
প্রশ্ন–৩. থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে যাত্রীরা পিছনের দিকে হেলে যায় কেন?
উত্তর: থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে বাসযাত্রীরা পিছনের দিকে হেলে পড়েন স্থিতি জড়তার কারণে। বাস যখন স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে তখন বাস যাত্রীদের সমস্ত দেহই স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু বাস যখন চলতে শুরু করে তখন বাসের সাথে সাথে যাত্রীদের দেহের নিম্নাংশ গতিশীল হলেও স্থিতি জড়তার কারণে দেহের উপরের অংশ স্থির থাকতে চায় ফলে শরীরের নিচের অংশ থেকে শরীরের উপরের অংশ পিছিয়ে পড়ে ফলে যাত্রীরা সামনের দিকে হেলে যায়।
প্রশ্ন–৪. গাড়ির চালকদের সিটবেল্ট ব্যবহার করা জরুরি কেন?
উত্তর: গাড়ি চালানোর সময় সিটবেল্ট পড়া প্রয়োজন। কারণ সিটবেল্ট ছাড়া চলন্ত গাড়ির চালক হঠাৎ ব্রেক করলে গতি জড়তার কারণে তিনি সামনে ঝুঁকে পড়েন এবং স্টিয়ারিং ও উইন্ড স্ক্রীনে আঘাত পেতে পারেন। সিটবেল্ট পড়লে এ আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
প্রশ্ন–৫. চলন্ত গাড়ি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করলে আরোহীদের মধ্যে কী পরিবর্তন ঘটবে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: চলন্ত গাড়ি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করলে মনে হবে আরোহীদের কেউ একপাশে ধাক্কা দিচ্ছে। এর কারণ বাস বা গাড়ির গতির দিকে আরোহীও গতিশীল থাকে। গাড়ি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করলেও জড়তার কারণে আরোহীদের মূল দিক বজায় রাখতে চাওয়ার ফলে এক পাশে সরে যাবে।
প্রশ্ন–৬. স্থিতি জড়তা ও গতি জড়তা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা | স্থিতি বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাকে স্থিতি জড়তা এবং গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার প্রবণতা বা ধর্মকে গতি জড়তা বলে।
প্রশ্ন–৭. ট্রাফিক সিগন্যালে সরাসরি লাল বাতি না জ্বেলে আগে হলুদ বাতি জ্বালানো হয় কেন?
উত্তর: বড় বড় শহরের ট্রাফিক সিগন্যালবাতির ক্ষেত্রে সবুজ বাতি সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি নির্দেশ করে আর লাল বাতি থামা নির্দেশ করে। এক্ষেত্রে দেখা যায় সবুজ বাতির পর সরাসরি লাল বাতি জ্বলে হলুদ বাতি জ্বলে। এর কারণ সবুজ বাতির পর লাল বাতি জ্বলে উঠলে দ্রুতগামী গাড়িকে থামার জন্য হার্ড ব্রেক করতে হতো এবং এতে জড়তার কারণে চালক এবং আরোহীদের আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকত। হলুদ বাতি দেখে চালক ধীরে ধীরে থামার প্রস্তুতি নিতে পারেন। এ কারণে সরাসরি লাল বাতি না জ্বেলে আগে হলুদ বাতি জ্বালানো হয়।
প্রশ্ন–৮. বলের প্রকৃতি ছকাকারে তুলে ধরো।
উত্তর :

প্রশ্ন–৯. স্পর্শ বল বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে বল কেবল দুটি বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে এসে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে তাকে স্পর্শ বল বলে। যেমন- পেশিজ বল ও ঘর্ষণ বল।
প্রশ্ন–১০. ঘর্ষণ বল কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
উত্তর : ঘর্ষণ বল দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এগুলো হলো :
i. বস্তুর ভর।
ii. পৃষ্ঠের প্রকৃতি।
প্রশ্ন–১১. ঘর্ষণের অসুবিধাগুলো কী কী?
উত্তর : ঘর্ষণের ফলে নিচের অসুবিধাগুলো হতে পারে :
i. যন্ত্রপাতির ঘষা খাওয়া অংশগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
ii. সাইকেল, রিক্সা ও গাড়ির টায়ার ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
ii. পেন্সিল ভোতা হয়ে যায়।
iv. যন্ত্রের দক্ষতা হ্রাস পায় এবং অনাবশ্যক তাপ উৎপন্ন হয়।
v. জুতার সোল ক্ষয় হয়ে যায়।
প্রশ্ন–১২. অস্পর্শ বল কী? এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : কিছু বল আছে যা বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে না এসেও বস্তুর উপর কয়া করে। এ ধরনের বলকে অস্পর্শ বল বলে। যেমন-
i. মাধ্যাকর্ষণ বল।
ii. চৌম্বক বল
iii. তাড়িত চৌম্বক বল ইত্যাদি।
প্রশ্ন–১৩. ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ দাও।
উত্তর : আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার প্রয়োগ রয়েছে। যেমন-
i. টেবিলের উপর বইয়ের অবস্থান।
ii. হাঁটা
iii. ভূমির ওপর দাঁড়ানো।
iv. নৌকা চালানো।
প্রশ্ন-১৪. অভিকর্ষ বলকে মহাকর্ষ বল বলা হয় কেন?
উত্তর: মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে। কিন্তু পৃথিবী ও এর উপরস্থ কোনো বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বলকে অভিকর্ষ বল বলে। যেহেতু পৃথিবী ও ঐ বস্তু এই মহাবিশ্বেরই দুটি বস্তু তাই অভিকর্ষ বলকে মহাকর্ষ বল বলা হয়।
প্রশ্ন–১৫. নিউটনের সূত্র কয়টি? এগুলো বিবৃত কর।
উত্তর : নিউটনের সূত্র তিনটি। যথা :
i. বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরলপথে চলতে থাকবে।
ii. বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক।
iii. প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
প্রশ্ন–১৬. মাধ্যাকর্ষণ বল বলতে কী বুঝ?
উত্তর : এ মহাবিশ্বের সকল বস্তু এদের ভরের দরুণ পরস্পরের ওপর বল প্রয়োগ করে বা একে অপরকে নিজের দিকে টানে। এই বলকে বলা হয় মাধ্যাকর্ষণ বল। মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে এবং চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এই বলের মান বস্তু দুটির ভর ও এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। বস্তুর ভর যত বাড়ে, এই বলের মান তত বাড়ে, কিন্তু বস্তু দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব যত বাড়ে, এই বলের মান দূরত্বের বর্গের অনুপাতে কমে। মাধ্যাকর্ষণ বল সবসময়ই আকর্ষণধর্মী।
প্রশ্ন–১৭. ঘর্ষণ বাড়িয়ে তা প্রয়োগ করা হয় এরূপ বিষয়ের উদাহরণ দাও।
উত্তর : বাস্তব জীবনের কিছু ক্ষেত্রে ঘর্ষণ বাড়িয়ে তা প্রয়োগ করা হয়। যেমন –
i. দেয়াশলাইয়ের দুই পাশ অমসৃণ করে ঘর্ষণ বাড়ানো হয়। এতে কাঠির ঘর্ষণে সহজেই আগুন জ্বলে ওঠে।
ii. জুতোর সোলে ঢেউ খেলানো থাকে। এতে জুতো রাস্তাকে ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে।
iii. গাড়ির টায়ারের তল অমসৃণ থাকে যাতে, টায়ার সড়ককে ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে।
প্রশ্ন–১৮. বলের একক কোন কোন রাশির এককের ওপর নির্ভর করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেহেতু বল = ভর x ত্বরণ, সুতরাং বলের একক নিউটন (N), ভরের একক (kg) এবং ত্বরণের এককের (ms-2) উপর নির্ভর করে।
অর্থাৎ N = kg x ms-2 = kgms-2
প্রশ্ন–১৯. লুব্রিকেটিং পদার্থ কীভাবে ঘর্ষণ কমায়?
উত্তর: লুব্রিকেটিং পদার্থ অমসৃণ তলসমূহকে মসৃণ করে। ফলে অমসৃণ তলসমূহ যখন পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে একটি অপরটির উপর দিয়ে চলে তখন এদের খাঁজসমূহ পরস্পরের সাথে দৃঢ়ভাবে আটকে যেতে পারে না বিধায় গতির ক্ষেত্রে ঘর্ষণ তুলনামূলকভাবে কম হয়।
প্রশ্ন–২০. জড়তার পরিমাপক রাশি হলো ভর– ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে বস্তুর ভর বেশি, সে বস্তুর জড়তা বেশি। আবার, যে বস্তুর ভর কম সে বস্তুর জড়তা কম। অর্থাৎ বেশি ভরসম্পন্ন বস্তুকে গতিশীল করতে ও থামাতে বেশি কষ্ট হয়। তাই জড়তার পরিমাপক হলো ভর।
প্রশ্ন–২১. বেগ ও ত্বরণের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তর: বেগ ও ত্বরণের মধ্যে পার্থক্য:
বেগ | ত্বরণ |
i. একক সময়ে কোনো বস্তুর সরণের হারকে বেগ বলে | i. এক সময়ে কোনো বস্তুর বেগের হারকে ত্বরণ বলে। |
ii. বেগের একক ms-1। | ii. ত্বরণের একক ms-2। |
প্রশ্ন–২২. ৫০ নিউটন বল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ৫০ নিউটন বল বলতে বোঝায় যে, যে পরিমাণ বল এক কিলোগ্রাম কোনো বস্তুর উপর ক্রিয়া করে ৫০ মি/সে২ ত্বরণ সৃষ্টি করে অথবা যে পরিমাণ বল ৫০ কিলোগ্রাম ভরের কোন বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হয়ে এক মি/সে২ ত্বরণ সৃষ্টি করে তাকে ৫০ নিউটন বল বলে।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রশ্ন–২৩. রকেট কীভাবে চলে?
উত্তর: রকেট চালানো হয় নিউটনের তৃতীয় সূত্র তথা ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া বলের ওপর ভিত্তি করে। রকেটে জ্বালানি পুড়িয়ে প্রচুর গ্যাস উৎপন্ন করা হয়। রকেট সেই গ্যাসের ওপর বল প্রয়োগ করে। এ বল হচ্ছে ক্রিয়া। এ ক্রিয়ার ফলে গ্যাস প্রচণ্ড বেগে রকেটের পেছন দিয়ে নির্গত হওয়ার সময় জ্বালানিও রকেটের ওপর সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। ফলে রকেটটি উৎপন্ন গ্যাসের গতির বিপরীত দিকে এগিয়ে চলে।
প্রশ্ন–২৪. নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্রটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্রটি হলো- প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল সবসময়ই দুটি ভিন্ন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে, কখনোই একই বস্তুর উপর ক্রিয়া করে না। প্রতিক্রিয়া বলটি ততক্ষণই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রিয়া বলটি থাকবে। ক্রিয়া থেমে গেলে প্রতিক্রিয়াও থেমে যাবে।
প্রশ্ন–২৫. টেবিল টেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বল কাজ করেব্যাখ্যা করো।
উত্তর: টেবিল টেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে হাত বা কোনো কিছু দ্বারা টেবিলকে প্রত্যক্ষভাবে স্পর্শ করতে হয়। যে বল সৃষ্টির জন্য দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের প্রয়ােজন হয় তাকে স্পর্শ বল বলে। অর্থাৎ টেবিলকে টেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্পর্শ বল কাজ করে।
প্রশ্ন-২৬. বেগের পরিবর্তনের সাথে ভরবেগ কীভাবে পরিবর্তিত হয়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি, ভর বেগ = ভর × বেগ, যেহেতু বস্তুর ভর নির্দিষ্ট, তাই এর বেগ বৃদ্ধি পেলে ভরবেগও বৃদ্ধি পায়। আবার, বেগ যে অনুপাতে কমে যায়, ভরবেগও একই অনুপাতে কমে যায়।
প্রশ্ন–২৭. ঘর্ষণকে বলা হয় প্রয়োজনীয় উপদ্রব বা অপশক্তি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে ঘর্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা ঘর্ষণ ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারি না। ঘর্ষণ না থাকলে আমরা হাঁটতে পারতাম না, জুতো পরতে পারতাম না, পানি খেতে পারতাম না। আবার ঘর্ষণের কারণে আমাদের অনেক অসুবিধাও পোহাতে হয়। যেমন, যন্ত্রপাতির ক্ষয়, সাইকেল, রিকশা বা গাড়ির টায়ার ক্ষয় ইত্যাদি। এ কারণেই ঘর্ষণকে প্রয়োজনীয় উপদ্রব বা অপশক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন–২৮. ঘর্ষণ বল কী? এর সুবিধা কী?
উত্তর: যখন কোনো বস্তু অন্য বস্তুর উপর দিয়ে চলতে চেষ্টা করে বা চলতে থাকে তখন বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এ গতির বিরুদ্ধে একটা বাধার সৃষ্টি হয়। আর এ বাধার ফলে যে বল উৎপন্ন হয় তাই ঘর্ষণ বল । ঘর্ষণ বলের সুবিধা অনেক। ঘর্ষণের কারণে আমরা হাঁটতে পারি, জিনিসপত্র ধরতে পারি, স্কু লাগাতে পারি, ব্রেকের মাধ্যমে গাড়ি থামাতে পারি, প্যারাসুট ব্যবহার করতে পারি প্রভৃতি।
তথ্যকণিকা
১. কোনো বস্তুর উপর অন্য বস্তুর ধাক্কা বা টানই হচ্ছে – বল।
২. গতি বিষয়ক সূত্র প্রদান করেন – বিজ্ঞানী নিউটন
৩. কোন কিছু ঠেলতে, টানতে, উঠাতে, বাঁকাতে, মোচড়াতে, ছিড়তে, প্রসারিত বা সংকুচিত করতে আমরা প্রয়োগ করি – বল।
৪. বল, ভর, জড়তা ও গতির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে নিউটন সূত্র প্রকাশ করেন – ৩টি।
৫. নিউটনের ১ম সূত্র থেকে ধারনা পাওয়া যায় – বল ও জড়তার।
৬. স্থিতিশীল বস্তু চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ায় যে প্রবনতা বা স্থিতি বজায় রাখতে চাওয়ায় যে ধর্ম তাকে বলে – জড়তা।
৭. থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে যাত্রীরা পিছনের দিকে হেলে পড়ার কারণ – স্থিতি জড়তা।
৮. গতিশীল বস্তু চিরকাল গতিতে থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা ধর্ম তাকে বলে – গতি জড়তা।।
৯. ট্রাফিক সিগন্যাল গাড়িকে থামাতে নির্দেশ দেয় – লাল বাতি।
১০. ভর হচ্ছে – জড়তার পরিমাপ।
১১. যা বস্তুর পরিবর্তন করে বা করতে চায় তাকে বলে – বল।
১২. বলের গুনগত ধারনা পাওয়া যায় – নিউটনের ১ম সুত্র হতে।
১৩. একটি স্থির বস্তু গতিশীল এবং গতিশীল বস্তুকে স্থির করতে পারে – বল।
১৪. বস্তুর গতির দিক পরিবর্তন করতে পারে – বল।
১৫. বলের একক – নিউটন।
১৬. গতিশীল বস্তুর বেগ হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারে – বল।
১৭. বস্তুর আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে – বল।
১৮. বল পরিমাপযোগ্য একটি – ভেক্টর রাশি।
১৯. বলের আছে – মান ও দিক উভয়ই।
২০. বল = ভর x ত্বরণ।
২১. যে বল কেবল দুটি বস্তুর সংস্পর্শে এসে পরস্পরের ওপর ক্রিয়া করে তাকে বলে – স্পর্শ বল।
২২. তেল বা গ্রিজ এর মতো পদার্থ বা ঘর্ষন কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় তাদের বলে – লুব্রিকেন্ট।
২৩. যে বল বস্তুর সংস্পর্শে না এসেও বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে এ ধরনের বলকে বলে – অস্পর্শ বল।
২৪. পৃথিবীর সাথে অন্য যে কোনো বস্তুর আকর্ষন বলকে বলে – অভিকর্ষ বল।
২৫. দুটি আহিত কণিকার মধ্যে যে বল ক্রিয়াশীল তাকে বলে – তাড়িতচৌম্বক বল।
২৬. কোনো কণিকা ও নিউক্লিয়াসের বিটাক্ষয়ের জন্য দায়ী বল হলো – দুর্বল নিউক্লিয় বল।
২৭. একটি চুম্বক ও অন্য একটি চুম্বক পদার্থের মধ্যে যে বল ক্রিয়া করে তাকে বলে – চৌম্বক বল ।
২৮. সবল নিউক্লিয় বল তাড়িত চুম্বক বল অপেক্ষা – ১০০ গুন শক্তিশালী ।
২৯. পরমাণুর গড়ন নিয়ন্ত্রণ করে – তাড়িত চৌম্বক বল।
৩০. দূর্বল নিউক্লিয় বল তাড়িত চৌম্বক বলের চেয়ে – ১০১০ গুণ দুর্বল।
৩১. যাত্রী পেছনে হেলে পড়বে – থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে।
৩২. মাটি থেকে ইট তুলতে প্রয়োজন – পেশিজ বল।
৩৩. চলন্ত বাস থেমে গেলে বাসযাত্রী সামনে ঝুঁকে পড়ে – গতিজড়তার জন্য।
৩৪. নিউটনের প্রথম সূত্র হতে পাওয়া যায় – বলের গুণগত সংজ্ঞা।
৩৫. বস্তুর ভর বাড়লে জড়তা – বাড়ে।
৩৬. স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে – নিউটনের প্রথম সূত্রানুসারে।
৩৭. পৃষ্ঠ অমসৃণ, খসখসে বা এবড়ো থেবড়ো হলে বেশি উৎপন্ন হবে – ঘর্ষণ বল।
৩৮. বলের এসআই একক – নিউটন।
৩৯. বল = বস্তুর ভর X ত্বরণ।
৪০. বল – ভেক্টর রাশি।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৪১. ত্বরণের উপর নির্ভরশীল – বল।
৪২. ত্বরণের একক – মি./সে২।
৪৩. নিউটনের ২য় সূত্র থেকে পাওয়া যায় : F = ma.
৪৪. বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার হলো- ভর x ত্বরণ (বেগের পরিবর্তনের হার)।
৪৫. বল শূন্য হলে শূন্য হবে – ত্বরণও।
৪৬. বস্তু দুইটির ভর ও এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর নির্ভর করে – মাধ্যাকর্ষণ বলের মান।
৪৭. স্পর্শ বলের উদাহরণ – কোনো কিছু টেনে নিয়ে যাওয়া।
৪৮. প্রতিক্রিয়া বলের সাহায্যে চলে – রকেট।
৪৯. আধুনিক জেট বিমান ও রকেট কাজ করে- নিউটনের তৃতীয় সূত্র ব্যবহার করে।
৫০. কোনো দন্ডাকার দুটি বস্তু কাছাকাছি আনলে যদি আকর্ষণ ও বিকর্ষণ হয়ে থাকে তাহলে বস্তু দুটি – চুম্বক।
৫১. দুর্বল নিউক্লিয় বলের তুলনায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী – নিউক্লিয় বল ।
৫২. অভিকর্ষ হচ্ছে – মধ্যাকর্ষণ বল।
৫৩. পরমাণুর গড়ন ও রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে – তাড়িত চৌম্বক বল।
৫৪. ঘর্ষণ বল হচ্ছে – স্পর্শ বল।
৫৫. মৌলিক বল – ৪ প্রকার।
৫৬. বস্তুর ভর ও পৃষ্ঠতলের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে – ঘর্ষণ বল ।
৫৭. কাঠের বস্তুর উপর পেরেক আটকে থাকে – ঘর্ষণের কারণে।
৫৮. ঘর্ষণ বল বৃদ্ধি পায় – বস্তুর ভর বেশি হলে ।
৫৯. স্যুটকেসের নিচে চাকা লাগানো হয় – ঘর্ষণ কমাতে।
৬০. প্রয়োজনীয় উপদ্রব হলো – ঘর্ষণ।
৬১. ঘর্ষণ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় – লুব্রিকেন্ট।
৬২. তাপ উৎপন্ন হয় ও যন্ত্রের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় – অতিরিক্ত ঘর্ষণে।
বিজ্ঞান সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
৬৩. সর্বদা গতিকে বাধা দেয় – ঘর্ষণ।
৬৪. বস্তুর ভর ও ত্বরণের গুণফল দ্বারা পরিমাপ করা হয় – বল।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে যাত্রী কোন দিকে হেলবে?
ক. সামনে খ. ডানে
উত্তর: ঘ. পেছনে
২. মাটি থেকে ইট তুলতে কোন বল প্রয়োজন?
ক. পেশিজ বল খ. চৌম্বক বল
গ. মহাকর্ষ বল ঘ শক্তিশালী নিউক্লিয় বল
উত্তর: ক. পেশিজ বল
৩. চলন্ত বাস থেমে গেলে বাসযাত্রী সামনে ঝুঁকে পড়ে কেন?
ক. ঘুমিয়ে থাকার কারণে খ. অন্যমনস্ক থাকার কারণে
গ. স্থিতি জড়তার জন্য ঘ. গতিজড়তার জন্য
উত্তর: ঘ. গতিজড়তার জন্য
৪. নিউটনের প্রথম সূত্র হতে কোনটির গুণগত সংজ্ঞা পাওয়া যায়?
ক. বল খ. গতি
গ. জড়তা ঘ. ভরবেগ
উত্তর: ক. বল
৫. বস্তুর জড়তা বাড়ে, যদি-
ক. ভর কমে খ. ভর বাড়ে
গ. ক্ষমতা বাড়ে ঘ. ওজন কমে
উত্তর: খ. ভর বাড়ে
৬. নিউটনের প্রথম সূত্রানুসারে স্থির বস্তু-
ক. সুষম দুতিতে চলবে খ. সুষম ত্বরনে চলবে
গ. স্থিরই থাকবে ঘ. অসম দুতিতে চলবে
উত্তর: গ. স্থিরই থাকবে
৭. নিউটনের কোন সূত্র থেকে বস্তু বল ও জড়তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়?
ক. ২য় সূত্র খ. ১ম সূত্র
গ. ৩য় সূত্র ঘ. ১ম ও ২য় সূত্র
উত্তর: খ. ১ম সূত্র
৮. কোনটি বলের একক?
ক. ভোল্ট খ. ওয়াট
গ. নিউটন ঘ. ডায়প্টার
উত্তর: গ. নিউটন
৯. ৬০ কেজি ভরের একটি বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল ১৮০ নিউটন হলে উক্ত বস্তুর ত্বরণ কত হবে?
ক. ০.৩৩ মি./সে.২ খ. ৩ মি./সে.২
গ. ২৪০ মি./সে.২ ঘ. ১০৮০০ মি./সে.২
উত্তর: খ. ৩ মি./সে.২
১০. 10 kg ভরের একটি বস্তুর উপর 30N বল প্রয়োগ করলে এর ত্বরণ কত হবে?
ক. 3 ms-2 খ. 20 ms-2
গ. 40 ms-2 ঘ. 300 ms-2
উত্তর: ক. 3 ms-2
১১. নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
ক. ভর = বল X ত্বরণ খ. বল = ভর X ত্বরণ
গ. ত্বরণ = বল x ভর ঘ. বল =ভর/ত্বরণ
উত্তর: খ. বল = ভর X ত্বরণ
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
১২. কোনটি ভেক্টর রাশি?
ক. দৈর্ঘ্য খ. ভর
গ. আয়তন ঘ. বল
উত্তর: ঘ. বল
১৩. বল কোনটির উপর নির্ভর করে?
ক. ওজন খ. সময়
গ. ত্বরণ ঘ. দিক
উত্তর: গ. ত্বরণ
১৪. ত্বরণের একক কী?
ক. মি./সে.২ খ. মি/সে.
গ. কি. মি./সে ঘ. মি.
উত্তর: ক. মি./সে.২
১৫. নিউটনের ২য় সূত্র থেকে কোনটি পাওয়া যায়?
ক. F = ma খ. F = mv
গ. m = Fa ঘ. F = m/a
উত্তর: ক. F = ma
১৬. বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার হলো—
i. ভর x ত্বরণ
ii. ভর X দূরত্ব
iii. ভর x বেগের পরিবর্তনের হার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
উদ্দীপকের আলোকে (১৭–১৮) নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
৫ নিউটন বল ২ kg ভরের বস্তুর উপর ক্রিয়া করে।
১৭. ত্বরণ কত হবে?
ক. ১০ ms-2 খ. ৩ ms-2
গ. ২.৫ ms-2 ঘ. ০.৪ ms-2
উত্তর: গ. ২.৫ ms-2
১৮. বল শূন্য হলে ত্বরণ কত হবে?
ক. ০ ms-2 খ. ৫ ms-2
গ. ২.৫ ms-2 ঘ. ১০ ms-2
উত্তর: ক. ০ ms-2
১৯. কোন বলের মান বস্তু দুইটির ভর ও এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর নির্ভর করে?
ক. তাড়িৎ চৌম্বক বল খ. দুর্বল নিউক্লিও বল
গ. মাধ্যাকর্ষণ বল ঘ. চৌম্বক বল
উত্তর: গ. মাধ্যাকর্ষণ বল
২০. কোনটি স্পর্শ বলের উদাহরণ?
ক. চুম্বক দিয়ে লোহা উঠানো
খ. গাছ থেকে আম ভূমিতে পড়া
গ. ট্রলি ব্যাগ টেনে নিয়ে যাওয়া
ঘ. পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদের ঘোরা
উত্তর: গ. ট্রলি ব্যাগ টেনে নিয়ে যাওয়া
২১. রকেট কোন বলের সাহায্য চলে?
ক. মহাকর্ষ বল খ. চৌম্বক বল
গ. তড়িৎ চালক বল ঘ. প্রতিক্রিয়া বল
উত্তর: ঘ. প্রতিক্রিয়া বল
২২. আধুনিক জেট বিমান ও রকেট কাজ করে কোনটি ব্যবহার করে?
ক. নিউটনের ১ম সূত্র খ. নিউটনের ২য় সূত্র
গ. নিউটনের ৩য় সূত্র ঘ. কোনটি নয়
উত্তর: গ. নিউটনের ৩য় সূত্র
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৩ ও ২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
রোহান একটি ধাতব চামুচ হাত থেকে ছেড়ে দিলে চামুচটি মাটিতে পড়ে যায়। আবার রোহান দুটি দন্ডাকার বস্তু পেল যেগুলো কাছাকাছি আনলে এদের মধ্যে আকর্ষণ ও বিকর্ষণ হলো।
২৩. চামুচ মাটিতে পড়ার কারণ কী?
ক. পেশিজ বল খ. মাধ্যাকর্ষণ বল
গ.চৌম্বক বল ঘ. ঘর্ষণ বল
উত্তর: খ. মাধ্যাকর্ষণ বল
২৪. দণ্ডাকার বস্তু দুটি-
i. উভয়টি চৌম্বক পদার্থ
ii. উভয়টি চুম্বক
iii. আকর্ষণ-বিকর্ষণ ক্ষমতা আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
২৫. শক্তিশালী নিউক্লিয় বল দুর্বল নিউক্লিয় বলের তুলনায় কতগুণ বেশি?
ক.১০১০ খ. ১০১১
গ. ১০১২ ঘ. ১০০
উত্তর: ক.১০১০
২৬. অভিকর্ষ কী?
ক. চৌম্বক বল খ. দুর্বল নিউক্লিয়ার বল
গ. মাধ্যাকর্ষণ বল ঘ. শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বল
উত্তর: গ. মাধ্যাকর্ষণ বল
২৭. কোন বল পরমাণুর গড়ন ও রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে?
ক. তাড়িত চৌম্বক খ. দুর্বল নিউক্লিয়
গ. শক্তিশালী নিউক্লিয় ঘ. মাধ্যাকর্ষণ
উত্তর: ক. তাড়িত চৌম্বক
২৮. কোনটি স্পর্শ বল?
ক. মধ্যাকর্ষণ বল খ. চৌম্বক বল
গ. ঘর্ষণ বল ঘ. নিউক্লীয় বল
উত্তর: গ. ঘর্ষণ বল
২৯. মৌলিক বল কত প্রকার?
ক. ৫ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ২
উত্তর: খ. ৪
৩০. ঘর্ষণ বল নিচের কোনটির উপর নির্ভর করে?
ক. বস্তুর ভর ও ক্ষেত্রফল
খ. বস্তুর আয়তন ও আকৃতি
গ. পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ও প্রকৃতি
ঘ. বস্তুর ভর ও পৃষ্ঠতলের প্রকৃতি
উত্তর: ঘ. বস্তুর ভর ও পৃষ্ঠতলের প্রকৃতি
৩১. কাঠের বস্তুতে পেরেক আটকে থাকার কারণ কোনটি?
ক. পেশীজ বল খ. জড়তা
গ. ঘর্ষণ ঘ. অস্পর্শ বল
উত্তর: গ. ঘর্ষণ
নিচের উদ্দীপকের আলোকে ৩২ এবং ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
১০ নিউটন বল প্রয়োগে একটি লৌহ গোলককে ৫ মিটার/সেকেন্ড২ ত্বরণে মাটিতে ছুড়ে দেওয়া হলো। গোলকটি কিছুদূর যাওয়ার পর থেমে গেল।
৩২. গোলকটির ভর কত?
ক. ২ কেজি খ. ৫ কেজি
গ. ১৫ কেজি ঘ. ৫০ কেজি
উত্তর: ক. ২ কেজি
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৩৩. গোলকটি থেমে যাওয়ার কারণ কী?
ক. মহাকর্ষ বল খ. চৌম্বক বল
গ. ঘর্ষণ বল ঘ. তড়িৎ চৌম্বক বল
উত্তর: গ. ঘর্ষণ বল
৩৪. বস্তুর ভর বেশি হলে ঘর্ষণ বল কেমন হয়?
ক. কমে যায় খ. প্রভাব নেই
গ. কমে ও বাড়ে ঘ. বৃদ্ধি পায়
উত্তর: ঘ. বৃদ্ধি পায়
৩৫. স্যুটকেসের নিচে চাকা লাগানো হয় কেন?
ক. টেনে নিতে খ. ওজন কমাতে
গ. ঘর্ষণ কমাতে ঘ. ভর কমাতে
উত্তর: গ. ঘর্ষণ কমাতে
বিজ্ঞান সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
৩৬. প্রয়োজনীয় উপদ্রব কোনটি?
ক. ঘর্ষণ খ. জড়তা
গ. অভিকর্ষ বল ঘ. ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল
উত্তর: ক. ঘর্ষণ
৩৭. ঘর্ষণ কমানোর জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়?
ক. জেলি খ. অকেটন
গ. লুব্রিকেন্ট ঘ. কয়লা
উত্তর: গ. লুব্রিকেন্ট
৩৮. একটি স্থির বস্তু সমত্বরণে চলা শুরু করে ৮ সেকেন্ডে ২০মি./সে. বেগ প্রাপ্ত হয়। এর ত্বরণ কোনটি?
ক. ১৬০মি./সে.২ খ. ১২ মি./সে.২
গ. ২.৫ মি./সে.২ ঘ. ০.৪ মি./সে.২
উত্তর: গ. ২.৫ মি./সে.২
৩৯. গাছ থেকে একটি ফল মাটিতে পড়ল- এটি কোন বলের উদাহরণ?
ক. মহাকর্ষ বল খ. চৌম্বক বল
গ. তাড়িত চৌম্বক বল ঘ. দুর্বল নিউক্লিয় বল
উত্তর: ক. মহাকর্ষ বল
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৪০. বল—
i. বস্তুর দিক অপরিবর্তিত রাখে
ii. বস্তুর আকৃতি পরিবর্তন করে
iii. স্থির বস্তুকে গতিশীল করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪১ ও ৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
2N বলে একটি বস্তুকে 4 মি./সে.2 ত্বরণে মেঝেতে ছুড়ে দেওয়া হলো। বস্তুটি কিছুদূর যাওয়ার পর থেমে গেল।
৪১. বস্তুর ভর কত?
ক. 200gm খ. 400gm
গ. 500gm ঘ. 750gm
উত্তর: গ. 500gm
৪২. কোন বলের কারণে বস্তুটি থেমে গেল?
ক. ঘর্ষণ বল খ. মহাকর্ষ বল
গ. চৌম্বক বল ঘ. তাড়িত চৌম্বক বল
উত্তর: ক. ঘর্ষণ বল
৪৩. কোনো বস্তুর ভর ১০ কেজি এবং সৃষ্ট ত্বরণ ২ মি/সে.২ হলে প্রযুক্ত বলের মান –
ক. ০.২ নিউটন খ. ২ নিউটন
উত্তর: ঘ. ২০ নিউটন
৪৪. গাছ থেকে ফল মাটিতে পড়ার কারণ–
ক. মাধ্যাকর্ষণ বল খ. চৌম্বক বল
গ. ঘর্ষণ বল ঘ. নিউক্লিয়ার বল
উত্তর: ক. মাধ্যাকর্ষণ বল
৪৫. একটি বস্তুর ভর ৫০ কেজি এবং এটি ৩মি/সে.২ ত্বরণে চলমান থাকলে এর উপর প্রযুক্ত বলের মান কত?
ক. ১৫০ নিউটন খ. ১০০ নিউটন
গ. ৫০ নিউটন ঘ. ২৫ নিউটন
উত্তর: ক. ১৫০ নিউটন
৪৬. নিচের কোন সুত্রটি সঠিক?
ক. বল = ওজন x ত্বরণ খ. বল = ভর x ত্বরণ
গ. ত্বরণ = ভর x বল ঘ. ভর = বল x ত্বরণ
উত্তর: খ. বল = ভর x ত্বরণ
৪৭. কোনো বস্তুর উপর 100 নিউটন বল প্রয়োগ করে 2 মি./সে.2 ত্বরণ সৃষ্টি করা হল। বস্তুটির ভর কত?
ক. 50 kg খ. 100 kg
খ. 150kg গ. 200kg
উত্তর: ক. 50 kg
৪৮. নিউটনের প্রথম সূত্র হতে কোনটির গুণগত সংজ্ঞা পাওয়া যায়?
ক. বল খ. গতি
গ. জড়তা ঘ. ভরবেগ
উত্তর: ক. বল
৪৯. ১৫ কেজি ভরের একটি বস্তুর উপর ৬০ নিউটন বল প্রয়োগ করা হল বস্তুটির ত্বরণ কত?
ক. ২মি./সে.২ খ. ৪ মি./সে.২
গ. ৬ মি./সে.২ ঘ. ৮মি./সে.২
উত্তর: খ. ৪ মি./সে.২
৫০. চলন্ত বাস থেকে হঠাৎ নামতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার কারণ নিচের কোনটি?
ক. বেগ খ. বল
গ. গতি ঘ. জড়তা
উত্তর: ঘ. জড়তা
৫১. জড়তার পরিমাপক কোনটি?
ক. বল খ. ওজন
গ. ভর ঘ. স্থিতি
উত্তর: গ. ভর
৫২. একটি ফুটবলকে দেয়ালে সজোরে আঘাত করলে তা আবার উল্টোপথে ফিরে আসে। এর কারণ কোনটি?
ক. ত্বরণ খ. ঘর্ষণ
গ. প্রতিক্রিয়া বল ঘ. ক্রিয়াবল
উত্তর: গ. প্রতিক্রিয়া বল
৫৩. গাড়ি চালানোর সময় সিট বেল্ট বাঁধা জরুরী কেন?
ক. স্থিতি জড়তার জন্য
খ. ভরবেগের পরিবর্তনের জন্য
গ. গতি জড়তার জন্য
ঘ. ভরবেগ স্থিতিশীল
উত্তর: গ. গতি জড়তার জন্য
৫৪. অতিক্ষুদ্র পাল্লা বিশিষ্ট বল কোনটি?
ক. দুর্বল নিউক্লিয় বল খ. মহাকর্ষ বল
গ. চৌম্বক বল ঘ. তাড়িত চৌম্বক বল
উত্তর: ক. দুর্বল নিউক্লিয় বল
বিজ্ঞান সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
৫৫. দুর্বল নিউক্লিয় বল তাড়িত চৌম্বক বলের চেয়ে কতগুণ দুর্বল?
ক. ১০৬ খ. ১০৮
গ. ১০১০ ঘ. ১০১২
উত্তর: গ. ১০১০
৫৬. বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে না এসে ক্রিয়া করে কোনটি?
ক. ঘর্ষণ বল খ. স্পর্শ বল
গ. অস্পর্শ বল ঘ. পেশিজ বল
উত্তর: গ. অস্পর্শ বল
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৫৭ ও ৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাস্তায় একজন গাড়ি চালক হঠাৎ ব্রেক চাপলেন ফলে তিনি সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লেন। পরে তিনি সিটবেল্ট বেঁধে নিলেন।
৫৭. তার ঝুঁকে পড়ার কারণ কোনটি?
ক. গতিজড়তা খ. স্থিতিজড়তা
গ. বল ঘ. ভর
উত্তর: ক. গতিজড়তা
৫৮. সিটবেল্ট বাঁধার সময় তার কীরূপ জড়তা ছিল?
ক. গতি জড়তা খ. স্থিতি জড়তা
গ. সুষম জড়তা ঘ. নিরপেক্ষ জড়তা
উত্তর: খ. স্থিতি জড়তা
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৯ ও ৬০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

চিত্রে একটি গ্লাসের উপর মুদ্রাসমেত একটি খাম রাখা আছে। খামটি সজোরে টোকা দিলে খামটি গ্লাসের মুখ হতে সরে যায় এবং মুদ্রাটি গ্লাসে পতিত হয়।
৫৯. উপরিউক্ত ঘটনা কোন কারণে ঘটে?
ক. ভরবেগ খ. জড়তা
গ. বস্তুর গতিশীলতা ঘ. স্থিতিস্থাপকতা
উত্তর: খ. জড়তা
৬০. ঘটনাটি নিউটনের কোন সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়?
ক. মহাকর্ষ সূত্র খ. গতির ১ম সূত্র
গ. গতির ২য় সূত্র ঘ. গতির ৩য় সূত্র
উত্তর: খ. গতির ১ম সূত্র
নিচের অনুহেদটি পড় এবং ৬১ ও ৬২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সামাদ টেবিলের উপর ২০০ গ্রামের একটি বই রাখলো, বই খুলে একটি রকেট উড়ে যাওয়ার ছবি দেখলো।
৬১. টেবিল ও বই এর মধ্যে কোন বল কাজ করেছে?
ক. ওজন খ. ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া
গ. মহাকর্ষ ঘ. অস্পর্শ
উত্তর: খ. ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া
৬২. বই-এ দেখা ছবিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
i. নিউটনের তৃতীয় সূত্র
ii. ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া বল
iii. নিউটনের ২য় সূত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
বিজ্ঞান সকল অধ্যায় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬৩ – ৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
বলের সাথে ভরবেগের সম্পর্ক থেকে বল নির্ণয় করা যায়। একটি বস্তুর ভর ১০ kg এবং এর উপর ২ সেকেন্ড ধরে বল প্রয়োগ করে স্থির অবস্থা থেকে ৪ মিটার/সেকেন্ড বেগ সম্পন্ন করা হল।
৬৩. উদ্দীপকের উপাত্তে নিউটনের কোন সূত্রের প্রয়োগ রয়েছে?
ক. ১ম খ.২য়
গ. ৩য় ঘ. ভরবেগের
উত্তর: খ.২য়
৬৪. বস্তুটির ত্বরণ–
i. 2 m/s2
ii. 20 cm/s2
iii. 200 cm/s2
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
৬৫. বইটিতে কত নিউটন বল প্রয়োগ করতে হয়েছিল?
ক. ১০ খ. ২০
গ. ৩০ ঘ. ৪০
উত্তর: খ. ২০
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের ৬৬ ও ৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
10N বল একটি স্থিরবস্তুর উপর ক্রিয়া করায় 2 সেকেন্ড পর বস্তুটির বেগ 4m/s হল।
৬৬. 1ON বল বোঝাতে—
i. 5kg ভরের বস্তুর উপর ক্রিয়া করে 2m/s2 ত্বরণ সৃষ্টি করে
ii. 2kg ভরের বস্তুর উপর ক্রিয়া করে Sm/s2 ত্বরণ সৃষ্টি করে
iii. 1kg ভরের বস্তুর উপর ক্রিয়া করে 10m/s2 ত্বরণ সৃষ্টি করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৬৭. স্থির বস্তুটির ভর কত ছিল?
ক. 10kg খ. 5kg
গ. 20kg ঘ. 2kg
উত্তর: খ. 5kg
আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১:
তথ্য-১: আমরা হাঁটার সময় জুতার তলা এবং মেঝের সাথে এক ধরনের বলের সৃষ্টি হয়।
তথ্য-২: মি. শফিক ১৫০ কেজি ভরের একটি ড্রাম ১০৫০ নিউটন বলে সামনের দিকে গড়িয়ে দিল।
ক. জড়তার সংজ্ঞা দাও।
খ. চালকের জন্য সিটবেল্ট পরা জরুরি কেন?
গ. মি. শফিকের গড়িয়ে দেয়া বস্তুটির ত্বরণ কত?
ঘ. তথ্য-১ এ উল্লিখিত বলকে সীমিতকরণের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো ।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাই জড়তা।
খ. গাড়ি চালানোর সময় সিটবেল্ট পড়া প্রয়োজন। কারণ সিটবেল্ট ছাড়া চলন্ত গাড়ির চালক হঠাৎ ব্রেক করলে গতি জড়তার কারণে তিনি সামনে ঝুঁকে পড়েন এবং স্টিয়ারিং ও উইন্ড স্ক্রীনে আঘাত পেতে পারেন। সিটবেল্ট পড়লে এ আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গ. এখানে,
বস্তুর ভর, m = ১৫০ কেজি
প্রয়োগকৃত বল, F = ১০৫০ নিউটন
বস্তুর ত্বরণ, a = ?
আমরা জানি, বল, F = ma
বা, a=F/m
= ১০৫০/১৫০ মি/সে২
=৭ মি/সে২
.:. মি. শফিকের গড়িয়ে দেয়া বস্তুটির ত্বরণ ৭ মি/সে২।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বলটি হলো ঘর্ষণ বল । বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘর্ষণকে সীমিত করার দরকার হয়।
কোনো তলকে খুব মসৃণ করে ঘর্ষণকে কমানো যেতে পারে। অনেক স্কুলে বা পার্কে শিশুদের খেলার জন্য স্লাইড থাকে। এটাকে খুব মসৃণ করে তৈরি করা হয়, যাতে শিশুরা সহজে পিছলে নামতে পারে। তেল বা গ্রিজ তলগুলোকে মসৃণ করে এবং ঘর্ষণকে কমিয়ে দেয়। এ কারণে যন্ত্রপাতির গতিশীল অংশগুলো তেল বা গ্রিজ দ্বারা আবৃত থাকে যা ঘর্ষণকে কমায় এবং যন্ত্রপাতিকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
তেল এবং গ্রিজের মতো পদার্থ যা ঘর্ষণ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ঘর্ষণ কমানোর আর একটি উপায় হচ্ছে কোনো তলের উপর দিয়ে একটি বস্তুকে পিছলিয়ে নেওয়ার চেয়ে গড়িয়ে নেওয়া। এর ফলে তুলনামূলক কম বল প্রয়োগ করে বস্তুটির অবস্থান পরিবর্তন করা সম্ভব হয়।
উপযুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘর্ষণ বলটি সীমিত করা অতীব জরুরি।
প্রশ্ন-২: স্বপ্না বাসে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটির ভর ছিল ১৪০০ kg এবং এটি ৪ মি./সে.২ ত্বরণে চলছিল। চলন্ত বাসটিতে হঠাৎ ড্রাইভার ব্রেক চাপলে স্বপ্নাসহ যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল। আবার বাসটি যখন চলতে শুরু করল, তখন তারা পিছনের দিকে হেলে পড়ল ।
ক. স্পর্শ বল কাকে বলে?
খ. বল বলতে কী বুঝায়?
গ. বাসটির ওপর ক্রিয়াশীল বলের মান নির্ণয় কর।
ঘ. যাত্রীরা প্রথমে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লেও পরবর্তীতে পিছনে হেলে পড়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে বল কেবল দুটি বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে এসে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে তাকে স্পর্শ বল বলে। .
খ. স্থির বস্তু সর্বদা স্থির থাকতে চায় এবং গতিশীল বস্তু সর্বদা গতিশীল থাকতে চায়, বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের জন্য বাইরে থেকে কিছু প্রয়োগ করতে হয় যা বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন করে বা করতে চায় তাই হলো বল। অতএব বল বলতে বুঝায়— যা স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তাকে গতিশীল করে বা করতে চায় বা গতিশীল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায় ।
গ. ধরি, বাসটির উপর ক্রিয়াশীল বলের মান F
আমরা জানি,
উদ্দীপকে উল্লিখিত বাসের ভর, m = ১৪০০ কেজি
বাসের ত্বরণ, a = ৪ মি./সে.২
বাসটির উপর ক্রিয়াশীল বল, F = ?
.:. F = ma
= ১৪০০ কেজি × ৪ মি./সে.২
= ৫৬০০ নিউটন
সুতরাং বাসটির উপর ক্রিয়াশীল বলের মান ৫৬০০ নিউটন।
ঘ. গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা ধর্ম তাকে গতি জড়তা বলে।
চলন্ত বাসটিতে ড্রাইভার হঠাৎ ব্রেক চাপার কারণে স্বপ্নাসহ যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল গতি জড়তার কারণে। গাড়িটি গতিশীল থাকায় আরোহীদের সমস্ত দেহই গতিশীল ছিল অর্থাৎ চলন্ত অবস্থায় বাসের সাথে যাত্রীরাও একই গতি প্রাপ্ত হয়। কিন্তু ব্রেক চাপার ফলে গাড়ি থামার সাথে সাথে যাত্রীদের দেহের নিম্নাংশ স্থির অবস্থায় থাকে, কিন্তু দেহের উপরের অংশ গতি জড়তার প্রভাবে গতি বজায় রাখতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় ৷ এজন্য বাসটি হঠাৎ ব্রেক চাপায় যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল ।
আবার স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা স্থিতি বজায় রাখার যে ধর্ম তাকে স্থিতি জড়তা বলে। থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে স্বপ্নাসহ যাত্রীরা পেছনের দিকে হেলে পড়ল স্থিতি জড়তার কারণে। গাড়িটি যখন স্থিতিশীল ছিল তখন আরোহীদের সমস্ত দেহই স্থিতিশীল ছিল। বাসটি আবার চলতে শুরু করার সাথে সাথে যাত্রীদের দেহের নিম্নাংশ গতিশীল হয় কিন্তু শরীরের উপরের অংশ স্থিতি জড়তার কারণে স্থির থাকতে চায় ।
ফলে শরীরের নিচের অংশ থেকে উপরের অংশ পিছিয়ে পড়ে। এজন্য যাত্রীরা পরবর্তীতে পিছনের দিকে হেলে পড়ল ।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রশ্ন-৩: তূর্য দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে। একদিন সে বাসায় একটি ভারী টেবিলের সামনের চেয়ারে বসে টেবিলকে টানতে শুরু করল। কিন্তু চেয়ারসহ সে নিজেই টেবিলের দিকে সরে গেল । পরদিন সে একটি মার্বেলকে রুমের মসৃণ মেঝেতে নির্দিষ্ট বলে গড়িয়ে দিল। এরপর বাসার বাইরে পিচের রাস্তায় একই মার্বেলকে একই বলে গড়িয়ে দিল। তখন এটি তার চেয়ে কম দূরত্ব অতিক্রম করল।
ক. নিউটনের গতিবিষয়ক দ্বিতীয় সূত্রটি কী?
খ. জড়তা বলতে কী বুঝায়?
গ. চেয়ারসহ তূর্য টেবিলের দিকে সরে আসলো কেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মার্বেলটির দুটি স্থানে অতিক্রান্ত দূরত্ব ভিন্ন হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর ।
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নিউটনের গতি বিষয়ক দ্বিতীয় সূত্রটি হলো- বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক ।
খ. কোনো বস্তুই নিজের থেকে এর অবস্থান পরিবর্তন করতে চায় না। বস্তু স্থির থাকলে স্থির থাকতে চায়, গতিশীল থাকলে গতিশীল, থাকতে চায়। বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম, তাই জড়তা ।
গ. চেয়ারসহ তূর্য টেবিলের দিকে সরে আসল টেবিলের প্রতিক্রিয়া বলের কারণে ।
ব্যাখ্যা : তুর্য বাসায় ভারী টেবিলের সামনে চেয়ারে বসে টেবিলকে টানতে শুরু করল অর্থাৎ টেবিলের উপর তূর্য তার ওজনের সমান বল প্রয়োগ করা শুরু করল। এ বল প্রয়োগ করে সে টেবিলটিকে গতিশীল করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু টেবিলটি বেশি ভারী হওয়ায় সে টেবিলটি গতিশীল করতে পারল না। কারণ তূর্যের এ বল প্রয়োগের ফলে একটি বিপরীতমুখী বলের উদ্ভব হয়। এ বিপরীতমুখী বলকে প্রতিক্রিয়া বল বলে। এ প্রতিক্রিয়া বল ততক্ষণই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রিয়া বলটি থাকে।
স্যার আইজ্যাক নিউটনের মতে এ ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বলের মান সর্বদা সমান ও বিপরীতমুখী । এ জন্যই ভারী টেবিলের উপর তূর্যের টানা বলের জন্য ভারী টেবিল কর্তৃক প্রযুক্ত সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল চেয়ারসহ তূর্যকে টেবিলের দিকে নিয়ে আসল। অর্থাৎ চেয়ারসহ তূর্য টেবিলের দিকে সরে আসল ।
ঘ. দুটি স্থানে ঘর্ষণের বাধা ভিন্ন হওয়ার কারণে মার্বেলটির দুটি স্থানে অতিক্রান্ত দূরত্বের পরিমাপ ভিন্ন।
কারণ বিশ্লেষণ : তূর্য প্রথম দিন মার্বেলকে একটি মসৃণ মেঝেতে নির্দিষ্ট বলে গড়িয়ে দিল কিন্তু পরের দিন সে ঐ মার্বেলকে নির্দিষ্ট বলে বাসার বাইরে পিচের রাস্তায় গড়িয়ে দিয়েছিল। গড়িয়ে দেওয়ার ফলে দেখা গেল মার্বেলটি মসৃণ মেঝেতে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করল । এ বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার কারণ হলো প্রত্যেক তলে কিছু এবড়োথেবড়ো বা উঁচু-নিচু খাঁজ থাকে যা খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না। কোনো বস্তুকে যখন অপর বস্তুর উপর গড়িয়ে দেওয়া হয় বা ঠেলে নেওয়া হয় তখন এদের তলের এ উঁচু-নিচু খাঁজ করাতের দাঁতের মতো একে অপরের সাথে আটকে যায় ফলে একটি তলের উপর দিয়ে অপর তলের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ উঁচু- নিচু খাঁজ যত বেশি হবে কোনো তল তত বেশি অমসৃণ হবে। ফলে এ প্রকার তলের উপর দিয়ে অপর তলের গতি তত বেশি বাধা পাবে। এ বেশি বাধা পাওয়ার ফলে বেশি ঘর্ষণ বল উৎপন্ন হবে । ঘর্ষণ বল শুধু চলমান বস্তুকে থামিয়েই দেয় না, স্থির বস্তুকে গতিশীল হতেও বাধা দেয় ।
উপরের আলোচনা হতে দেখা যায় যে পৃষ্ঠ যত বেশি মসৃণ, ঘর্ষণ তত কম। যেহেতু একই মার্বেলকে দুটি স্থানে গড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেহেতু উভয় ক্ষেত্রে বস্তুর ভর একই। কিন্তু পিচের রাস্তা মসৃণ মেঝের চেয়ে অনেক বেশি অমৃসণ বা খসখসে হওয়ার কারণে বেশি ঘর্ষণ বল উৎপন্ন হবে যা মার্বেলের গতিকে বেশি বাধা দেবে। ফলে পিচের রাস্তার চেয়ে মসৃণ মেঝেতে মার্বেল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে। এজন্যই মার্বেলটির দুইটি স্থানে অতিক্রান্ত দূরত্ব ভিন্ন হলো।
প্রশ্ন-৪: যাত্রীসহ একটি রিক্সার ভর ২৫০ কেজি। চালক এটিকে স্থিরাবস্থা থেকে ২.৫ মি./সে.২ ত্বরণে চালাতে শুরু করলেন। কিছু সময় পরে চালক প্যাডেল বন্ধ করে দিলে এটি এক সময় থেমে যায় ।
ক. মহাকর্ষ বল কাকে বলে?
খ. হঠাৎ বাঁক নেওয়া গাড়ির যাত্রীরা অন্যদিকে ঝুঁকে পড়ে কেন?
গ. রিক্সাচালকের প্রয়োগকৃত বলের মান নির্ণয় কর।
ঘ. রিক্সাটি থেমে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর ।
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সৃষ্টিজগতের সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে বল দিয়ে আকর্ষণ করে তাকে মহাকর্ষ বল বলে ।
খ. হঠাৎ বাঁক নেওয়া গাড়ির যাত্রীরা অন্যদিকে ঝুঁকে পড়ে জড়তার প্রভাবে। কেননা গাড়ির সাথে গাড়ির যাত্রীরাও গাড়ির গতির দিকে গতিশীল থাকে, গাড়ি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করলেও জড়তার কারণে যাত্রীরা মূল দিক বজায় রেখে গতিশীল থাকতে চায়। তাই গাড়ির সাপেক্ষে যাত্রীরা অন্যদিকে ঝুঁকে পড়েন।
গ. এখানে, যাত্রীসহ রিক্সার ভর, m = ২৫০ কেজি
ত্বরণ, a = ২.৫ মি./সে.২
প্রয়োগকৃত বল, F =?
আমরা জানি, F = ma
= ২৫০ কেজি × ২.৫ মি./সে.২
= ৬২৫ নিউটন
.:. রিক্সা চালকের প্রয়োগকৃত বলের মান ৬২৫ নিউটন ।
ঘ. উদ্দীপকে রিক্সা চালক কিছু সময় পরে প্যাডেল বন্ধ করে দিলে রিক্সাটি এক সময় থেমে যায়। রিক্সাটি থেমে যাওয়ার কারণ হলো রিক্সার চাকা এবং রাস্তার মধ্যকার ঘর্ষণ বল । নিচে ঘর্ষণ বলের ফলে রিক্সাটির থেমে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করা হলো-
দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একে অপরের উপর দিয়ে চলতে চেষ্টা করে অথবা চলতে থাকে তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এ গতির বিরুদ্ধে একটা বাধার উৎপত্তি হয়, এ বাধাকে ঘর্ষণ বলে । আর এ বাধার ফলে যে বল উৎপন্ন হয় তাকে ঘর্ষণ বল বলে । ঘর্ষণ বল দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে । এরা হলো—
১. বস্তুর ভর : বস্তুর ভর বেশি হলে ঘর্ষণ বল বেশি উৎপন্ন হবে।
২. পৃষ্ঠের প্রকৃতি : পৃষ্ঠ অমসৃণ, খসখসে বা এবড়ো থেবড়ো হলে ঘর্ষণ বল বেশি উৎপন্ন হবে।
রাস্তার তলে উঁচু-নিচু খাঁজ থাকে। রিক্সার চাকা যখন রাস্তার উপর দিয়ে গতিশীল হয় তখন রিক্সার চাকার উঁচু-নিচু খাঁজ করাতের দাঁতের মতো একে অপরের সাথে আটকে যায়, ফলে রাস্তার তলের উপর দিয়ে রিক্সার চাকার তল বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। একই সাথে রিক্সার ভর ঘর্ষণ বল উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। প্যাডেল বন্ধ করে দিলে এ ঘর্ষণ বল রিক্সাটি কিছু পথ যাওয়ার পর রিক্সার গতিকে বাধা প্রদান করে। এতে রিক্সার গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং এক সময় শূন্য হয়ে যায়।
অর্থাৎ ঘর্ষণ বলই রিক্সাটিকে থামিয়ে দিতে চেষ্টা করে এবং থামিয়ে দেয় ৷
প্রশ্ন-৫: যাত্রীসহ একটি নৌকার ভর ৫০০ কেজি। নৌকাটিতে মাঝি লগি দিয়ে ২৫০ নিউটন বল প্রয়োগ করে সামনের দিকে চালালেন। কিন্তু যাত্রীগণ লাফ দিয়ে নামার সময় নৌকাটি পেছনের দিকে সরে গেল ।
ক. স্থিতি ঘর্ষণ কাকে বলে?
খ. নক্ষত্রকে ঘিরে গ্রহগুলো ঘুরে কেন?
গ. নৌকাটির ত্বরণ নির্ণয় কর ৷
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাটি নিউটনের কোন সূত্রকে সমর্থন করে? যুক্তিসহ মতামত দাও ।
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. দুটি বস্তু একে অন্যের সাপেক্ষে স্থির থাকা অবস্থায় যে ঘর্ষণ বল অনুভব করে তাকে স্থিতি ঘর্ষণ বলে ।
খ. মহাকর্ষ বলের কারণে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলো ঘুরে। এ সৃষ্টি জগতের সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে বল দিয়ে আকর্ষণ করে তাকে মহাকর্ষ বল বলে। এ মহাকর্ষ বলের কারণে গ্যালাক্সির ভেতরে নক্ষত্ররা ঘুরপাক খায়। অর্থাৎ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নক্ষত্র গ্রহগুলাকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। ফলে গ্রহগুলো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে।
গ. দেওয়া আছে,
যাত্রীসহ নৌকার ভর, m = ৫০০ কেজি
প্রযুক্ত বল, F = ২৫০ নিউটন
নৌকার ত্বরণ, a = ?
আমরা জানি,
বল, F= ma
বা, a = F/m
= ২৫০/৫০০ মিটার/সেকেন্ড২
= ০.৫ মিটার/সেকেন্ড২
সুতরাং নৌকাটির ত্বরণ ০.৫ মিটার/সেকেন্ড২ ।
ঘ. উদ্দীপকের নৌকার ঘটনাটি নিউটনের তৃতীয় সূত্রকে সমর্থন করে। নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রটি হলো— “প্রত্যেক ক্রিয়া বলেরই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া বল আছে।”
ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল সবসময় দুটি ভিন্ন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে কখনোই একই বস্তুর উপর ক্রিয়া করে না। প্রতিক্রিয়া বল ততক্ষণ পর্যন্ত থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রিয়া বল থাকবে। নৌকা তীরের কাছাকাছি আসার সময় যাত্রীরা লাফ দিয়ে ভাঙার অভিমুখে একটি বল প্রয়োগ করে; তার বিপরীত দিকে একটি প্রতিক্রিয়া বল উৎপন্ন হয় যার আনুভূমিক উপাংশ ভাসমান নৌকাটিকে পিছনের দিক ঠেলে দেয়।
অর্থাৎ যাত্রীরা ডাঙার দিকে ক্রিয়া বল প্রয়োগ করার সাথে সাথে একটি প্রতিক্রিয়া বলের কারণে নৌকটি পেছনের দিক সরে যায়। যা নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুযায়ী ঘটে।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রশ্ন-৬: ৮০০ কেজি ভরের একটি গাড়ি স্থির অবস্থায় আছে। ৮০ N বল দ্বারা ধাক্কা দেওয়ায় গাড়িটি কিছুদূর যাবার পর এক ধরনের বলের কারণে থেমে যায় ।
ক. মহাকর্ষ বল কাকে বলে?
খ. চলন্ত বাসে ব্রেক কষলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে কেন?
গ. গাড়িটির ত্বরণ নির্ণয় কর
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বলটির প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মহাবিশ্বের সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে বল দিয়ে আকর্ষণ করে, তাকে মহাকর্ষ বল বলে ।
খ. চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক করলে যাত্রীরা গতি জড়তার জন্য সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে কারণ ব্রেক করে বাসকে স্থির করা হলে যাত্রীদের শরীরের বাস সংলগ্ন অংশ স্থির হয় কিন্তু শরীরের উপরের অংশ গতি জড়তার জন্য গতিশীল থাকে যার ফলশ্রুতিতে যাত্রীরা সামনে ঝুঁকে পড়ে।
গ. এখানে,
গাড়ির ভর, m = ৮০০ কেজি
প্রয়োগকৃত বল, F = 80 N
ত্বরণ, a = ?
আমরা জানি,
F = ma
বা, a = F/m
= ৮০ নিউটন/৮০০ কেজি
= ০.১ মি./সে.
.:. গাড়িটির ত্বরণ ০.১ মি./সে.২।
ঘ. উদ্দীপকে গাড়িটি কিছু দূর যাওয়ার পর এক ধরনের বলের কারণে থেমে যায়। গাড়িটি কিছুদূর যাওয়ার পর মূলত গাড়ির চাকা এবং রাস্তার মধ্যকার ঘর্ষণ বলের কারণেই থেমে যায়। নিচে গাড়িটির থেমে যাওয়ার পেছনে ঘর্ষণ বলের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হলো :
দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একে অপরের উপর দিয়ে চলতে চেষ্টা করে অথবা চলতে থাকে তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এ গতির বিরুদ্ধে একটা বাধার উৎপত্তি হয়, এ বাধাকে ঘর্ষণ বলে । আর এ বাধার ফলে যে বল উৎপন্ন হয় তাকে ঘর্ষণ বল বলে । ঘর্ষণ বল দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে এরা হলো-
১. বস্তুর ভর : বস্তুর ভর বেশি হলে ঘর্ষণ বল বেশি উৎপন্ন হবে ।
২. পৃষ্ঠের প্রকৃতি : পৃষ্ঠ অমসৃণ, খসখসে বা এবড়ো থেবড়ো হলে ঘর্ষণ বল বেশি উৎপন্ন হবে ।
রাস্তার তলে উঁচু-নিচু খাঁজ থাকে। গাড়ির চাকা যখন রাস্তার উপর দিয়ে গতিশীল হয় তখন গাড়ির চাকার উঁচু-নিচু খাঁজ করাতের দাঁতের মতো একে অপরের সাথে আটকে যায়, ফলে রাস্তার তলের উপর দিয়ে গাড়ির চাকার তল বাধাপ্রাপ্ত হয়। একই সাথে গাড়ির ভর ঘর্ষণ বল উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। এ ঘর্ষণ বল গাড়িটি কিছু পথ যাওয়ার পর গাড়ির গতিকে বাঁধা প্রদান করে। ঘর্ষণ গাড়িটিকে থামিয়ে দিতে চেষ্টা করে এবং থামিয়ে দেয় ।
প্রশ্ন-৭: তাওসিফ ৯০০ গ্রাম ভরের একটি ফুটবলের উপর ১০০ নিউটন বল প্রয়োগে গোল করার লক্ষ্যে কিক করে। ফুটবলটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বারপোস্টে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে ।
ক. ভরবেগ কাকে বলে?
খ. গাড়ি চালনার সময় সিটবেল্ট পরতে হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের ফুটবলটির ত্বরণ নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় ঘটনাটি নিউটনের গতি বিষয়ক কোন সূত্রকে সমর্থন করে? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ভর এবং বেগের গুণফলকে ভরবেগ বলে।
খ. গাড়ি যখন চলে তখন গাড়ির সাথে সাথে গাড়ি চালক এবং যাত্রীদের শরীরও গতিশীল হয়ে পড়ে। এখন কোনো কারণে যদি চালক ব্রেক করে তবে গাড়ি থেমে যাবে কিন্তু গতি জড়তার কারণে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের দেহ সামনের দিকে ঝুঁকে যাবে যেটা খুবই বিপজ্জনক । এজন্য গাড়ি চালনার সময় সকলকে সিটবেল্ট পরতে হয় ।
গ. এখানে, ফুটবলের ভর, m = ৯০০ গ্রাম
= ০.৯ কেজি
প্রয়োগকৃত বল, F = ১০০ নিউটন
ত্বরণ, a = ?
আমরা জানি, F = ma
বা, a = F/m
=১০০ নিউটন/০.৯ কেজি
= ১১১.১১ মি./সে.২ (প্রায়)
.:. উদ্দীপকে ফুটবলটির ত্বরণ ১১১.১১ মি./সে.২ (প্রায়)।
ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় ঘটনাটি নিউটনের গতি বিষয়ক তৃতীয় সূত্রকে সমর্থন করে । নিচে এটি যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করা হলো :
উদ্দীপক অনুসারে ৯০০ গ্রাম ভরের ফুটবলের উপর ১০০ নিউটন বল প্রয়োগ করায় ফুটবলটি ত্বরণ প্রাপ্ত হয়ে একটি বারপোস্টে ধাক্কা খায় কিন্তু ফুটবলটির ধাক্কা বা আঘাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সেটি আবার ফিরে আসে। অর্থাৎ ফুটবলটির বারপোস্টের উপর ক্রিয়া বলের কারণে বারপোস্টটি ফুটবলের উপর একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করেছে।
নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে,
আমরা জানি, প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে।
অর্থাৎ উদ্দীপকের দ্বিতীয় ঘটনাটি নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্রকে সমর্থন করে ।
প্রশ্ন-৮: ৭৫kg ভরের একটি বস্তুর উপর ৭৫০ নিউটন বল প্রয়োগ করায় বস্তুটি ত্বরণপ্রাপ্ত হলো এবং একটি দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসল।
ক. জড়তা কী?
খ. সূর্যকে কেন্দ্র করে কীভাবে মঙ্গলগ্রহ ঘোরে? ব্যাখ্যা কর।
গ. বস্তুটির ত্বরণ নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় ঘটনাটি নিউটনের কোন সূত্রকে সমর্থন করে? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর ।
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাই জড়তা ।
খ. মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মঙ্গলগ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। মহাবিশ্বের সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে বল দিয়ে আকর্ষণ করে সেটিই হচ্ছে মহাকর্ষ বল। এ মহাকর্ষ বলের কারণে গ্যালাক্সির ভেতরে নক্ষত্ররা ঘুরপাক খায় কিংবা সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। অর্থাৎ মহাকর্ষ বলের কারণে সূর্য তার চারপাশের গ্রহদের যেমন মঙ্গল গ্রহকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ বলের কারণেই মঙ্গলগ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে।
গ. দেওয়া আছে, বস্তুটির ভর, m = ৭৫ kg
বল, F = ৭৫0 N
ত্বরণ, a = ?
আমরা জানি, বল F = ma
বা, a = F/m
= ৭৫০/৭৫ m/s2
=১০ m/s2
সুতরাং বস্তুটির ত্বরণ ১০ m/s2 ।
ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় ঘটনাটি নিউটনের তৃতীয় সূত্রকে সমর্থন করে। নিচে তা যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করা হলো-
উদ্দীপক অনুসারে ৭৫ kg ভরের বস্তুর উপর ৭৫০ নিউটন বল প্রয়োগ করায় বস্তুটি ত্বরণ প্রাপ্ত হয়ে একটি দেয়ালে আঘাত করে। কিন্তু বস্তুটির আঘাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বস্তুটি আবার ফিরে আসে। অর্থাৎ বস্তুটির ক্রিয়া বলের কারণে দেয়াল বস্তুটির উপর একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করেছে। নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে আমরা জানি, প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে ।
সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের দ্বিতীয় ঘটনাটি নিউটনের তৃতীয় সূত্রকে সমর্থন করে ।
প্রশ্ন–৯: মীম বাসে ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। বাসটির ভর ছিল ৬০০ কেজি এবং এটি ১০ মি./সে. ত্বরণে চলছিল। চলন্ত বাসটিকে হঠাৎ ড্রাইভার ব্রেক চাপলে মীমসহ যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল। আবার বাসটি যখন চলতে শুরু করল তখন তারা পেছনের দিকে হেলে পড়ল ।
ক. নিউটনের গতি বিষয়ক ৩য় সূত্রটি কী?
খ. আম গাছ থেকে মাটিতে পড়ে কেন?
গ. উদ্দীপকের বাসটির উপর ক্রিয়াশীল বলের মান নির্ণয় কর ।
ঘ. উদ্দীপকের যাত্রীরা প্রথমে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লেও পরবর্তীতে পিছনে হেলে পড়ার কারণ বিশ্লেষণ কর
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্রটি হলো- প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
খ. মহাকর্ষ সূত্রানুসারে দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বল বস্তুদ্বয়ের ভরের উপর নির্ভর করে। যে বস্তুর ভর বেশি তার আকর্ষণ বলও বেশি আর যে বস্তুর ভর কম তার আকর্ষণ বলও কম হয়। পৃথিবী এবং আমের মধ্যে পৃথিবীর ভর আমের ভরের চেয়ে অনেক বেশি হয়। ফলে আমের উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বলও অনেক বেশি হয়। এজন্য গাছ থেকে আম মাটিতে পড়ে।
গ. ধরি, বাসটির উপর ক্রিয়াশীল বলের মান, F
উদ্দীপকের তথ্যানুযায়ী,
বাসের ভর, m = ৬০০ কেজি
বাসের ত্বরণ, a = ১০ মি./সে.২
বাসটির উপর ক্রিয়াশীল বল, F = ?
আমরা জানি, F= ma
= ৬০০ x ১০ নিউটন
= ৬০০০ নিউটন
সুতরাং বাসটির উপর ক্রিয়াশীল বলের মান ৬০০০ নিউটন।
ঘ. গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা ধর্ম তাকে গতি জড়তা বলে। চলন্ত বাসটিতে ড্রাইভার হঠাৎ ব্রেক চাপার কারণে মীমসহ যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল গতি জড়তার কারণে। গাড়িটি গতিশীল থাকায় আরোহীদের সমস্ত দেহই গতিশীল ছিল অর্থাৎ চলন্ত অবস্থায় বাসের সাথে যাত্রীরাও একই গতি প্রাপ্ত হয়। কিন্তু ব্রেক চাপার ফলে গাড়ি থামার সাথে সাথে যাত্রীদের দেহের নিম্নাংশ স্থির অবস্থায় থাকে, কিন্তু দেহের উপরের অংশ গতি জড়তার প্রভাবে গতি বজায় রাখতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। এজন্য বাসটি হঠাৎ ব্রেক চাপায় যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল ।
আবার স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা স্থিতি বজায় রাখার যে ধর্ম তাকে স্থিতি জড়তা বলে। থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে মীমসহ যাত্রীরা পেছনের দিকে হেলে পড়ল স্থিতি জড়তার কারণে। গাড়িটি যখন স্থিতিশীল ছিল তখন আরোহীদের সমস্ত দেহই স্থিতিশীল ছিল। বাসটি আবার চলতে শুরু করার সাথে সাথে যাত্রীদের দেহের নিম্নাংশ গতিশীল হয় কিন্তু শরীরের উপরের অংশ স্থিতি জড়তার কারণে স্থির থাকতে চায় ৷
ফলে শরীরের নিচের অংশ থেকে উপরের অংশ পিছিয়ে পড়ে। এজন্য যাত্রীরা পরবর্তীতে পিছনের দিকে হেলে পড়ল ।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রশ্ন–১০: ইট বিছানো রাস্তায় নয়ন খুব কষ্টে সাইকেল চালাচ্ছিল। নতুন পাকা রাস্তায় উঠার পর ১.৫ মি./ সে. ত্বরণে ৪৫ নিউটন বল প্রয়োগে আরাম করে সাইকেল চালাতে লাগলো।
ক. মাধ্যাকর্ষণ বল কী?
খ. শক্তিশালী নিউক্লিয় বল কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. সাইকেলসহ নয়নের ভর নির্ণয় করো।
ঘ. সাইকেল চালাতে নয়নের ১ম ও ২য় ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির কারণ বিশ্লেষণ করো।
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. এ মহাবিশ্বের সকল বস্তু এদের ভরের দরুন পরস্পরের ওপর যে বল প্রয়োগ করে একে অপরকে নিজের দিকে টানে তাকে মাধ্যাকর্ষণ বল বলে।
খ. সকল পদার্থ পরমাণু দিয়ে গঠিত। পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস এবং একে কেন্দ্র করে ঘুরে ইলেকট্রন, নিউক্লিয়াসে থাকে প্রোটন ও নিউট্রন। এদেরকে বলা হয় নিউক্লিয়ন। যে শক্তিশালী আকর্ষণ বল নিউক্লিয়নগুলোর মধ্যে কাজ করে এবং নিউক্লিয়াসকে আটকে বা ধরে রাখে তাকে শক্তিশালী নিউক্লিয় বল বলে। এই বলের পাল্লা অতি ক্ষুদ্র, নিউক্লিয়াসের বাইরে কাজ করে না। তবে এই বল তাড়িত চৌম্বক বলের চেয়ে ১০০ গুণ শক্তিশালী। এই বল আকর্ষণধর্মী।
গ. এখানে,
নয়ন কর্তৃক প্রয়োগকৃত বল, F =৪৫ নিউটন
সাইকেলসহ নয়নের ত্বরণ, a=১.৫ মি./সে.২
সাইকেলসহ নয়নের ভর, m=?
আমরা জানি, বল, F = ma
বা, ma = F
বা, m = F/a
=৪৫/১.৫কেজি
= ৩০ কেজি
.:. সাইকেলসহ নয়নের ভর ৩০ কেজি।
ঘ. আমরা জানি, দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একে অপরের উপর দিয়ে চলতে থাকে তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এ গতির বিরুদ্ধে যে বাধার উৎপত্তি হয় তাকে ঘর্ষণ বলে।
যখন কোনো বস্তু অন্য বস্তুর উপর দিয়ে চলতে চেষ্টা করে, তখন ঘর্ষণ বল বস্তুটিকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অর্থাৎ ঘর্ষণ বল সর্বদা গতিকে বাধা দেয়। রাস্তায় সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে নয়নের সাইকেলের চাকা এবং রাস্তার স্পর্শতলে সৃষ্ট ঘর্ষণ বল নয়নের সাইকেলের গতিকে বাধা দেয়। এক্ষেত্রে ঘর্ষণ বলের মান যত বেশি হবে নয়নের সাইকেল চলতে তত বেশি বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে নয়নের সাইকেল চালাতে তত বেশি কষ্ট হবে।
অপরদিকে ঘর্ষণ বলের মান যত কম হবে নয়নের সাইকেল চলতে তত কম বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে নয়নের সাইকেল চালাতে ততটাই কম কষ্ট হবে। এক্ষেত্রে ঘর্ষণ বলের মান নির্ভর করে স্পর্শতলের মসৃণতার উপর। যে পৃষ্ঠে ঘর্ষণ হয় সেই পৃষ্ঠ যত বেশি মসৃণ হবে ঘর্ষণ বল তত কম হবে।
ইট বিছানো রাস্তা অনেক বেশি অমসৃণ, এবড়োথেবড়ো হওয়ায় সাইকেলের চাকার সাথে রাস্তার মধ্যকার ঘর্ষণের বল অনেক বেশি হয় বলে নয়নের সাইকেল চলতে অনেক বেশি বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে নয়নের সাইকেল চালাতে খুব কষ্ট হয়। নতুন পাকা রাস্তা তুলনামূলকভাবে অনেকটা মসৃণ হওয়ায় ঘর্ষণ বল অনেক কম হয় বলে নয়নের সাইকেল চলতে অনেক কম বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে নয়ন আরাম করে সাইকেল চালাতে পারে।