ভূগোল ও পরিবেশ
তৃতীয়-অধ্যায়
মানচিত্র পঠন ও ব্যবহার
Map Reading and Its Uses
ভূসংস্থানিক মানচিত্র : ভূসংস্থানিক-এর আরেক নাম হচ্ছে স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র। এই মানচিত্রগুলো প্রকৃত জরিপকার্যের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত এর মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দুই ধরনের উপাদান দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের মানচিত্রের স্কেল একেবারে ছোট হলেও মৌজা মানচিত্রের মতো বৃহৎও নয়। এই মানচিত্রগুলোতে জমির সীমানা দেখানো হয় না। ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি, নদী, উপত্যকা, হ্রদ প্রভৃতি দেখানো হয় । অন্যদিকে সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে রেলপথ, হাট-বাজার, পোস্ট অফিস, সরকারি অফিস, খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দির প্রভৃতি নিখুঁতভাবে দেখানো হয়। বর্তমান যুগে বিমান থেকে ছবি তোলার মাধ্যমে এই মানচিত্রের নবযুগের সূচনা হয়। এই মানচিত্রের স্কেল ১ঃ ২০,০০০ হলে ভালোভাবে বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ পায় ।

ভূমিকা : মানচিত্রের সাহায্যে সমগ্র পৃথিবী বা এর কোনো অংশ সম্বন্ধে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ করা যায়। একটি মানচিত্রে আমরা সমগ্র পৃথিবীকে। দেখাতে পারি, আবার এর কোনো অঞ্চলকেও নির্দিষ্টভাবে দেখাতে পারি। মানচিত্র হলো একটি ড্রয়িং বা রেখাঙ্কন, যা ভূপৃষ্ঠের কোনো ছোট বা বৃহৎ অঞ্চলকে উপস্থাপন করে থাকে। মানচিত্র কোনো অঞ্চল বা দেশের ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, উদ্ভিদ, মাটি, পানি ও অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা দেয়। মানচিত্র একজন ভূগোলবিদের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ। শুধু ভূগোলবিদই নয়, এটি প্রায় সব মানুষের, বিশেষ করে পর্যটক, প্রশাসক, পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, আবহাওয়াবিদ, এমনকি সাধারণ মানুষেরও কাজে লাগে। এ অধ্যায়ে মানচিত্র, এর প্রকারভেদ, গুরুত্ব, ব্যবহার, স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
মানচিত্র : মানচিত্র হলো ড্রয়িং বা ব্রেখাঙ্কন, যা ভূপৃষ্ঠের কোনো ছোট বা বৃহৎ অঞ্চলকে উপস্থাপন করে থাকে। সমগ্র পৃথিবী অথবা এর কোনো অংশের প্রতিকৃতি নির্দিষ্ট স্কেলে, অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাসহ সমতল কাগজের উপর অংকন করা হলে একে মানচিত্র বলে। ভূপৃষ্ঠের কোনো অংশের মানচিত্র অঙ্কন করতে হলে সে এলাকা নিখুঁতভাবে জরিপ করে নিতে হবে।
Mappa : ইংরেজি ‘Map’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ মানচিত্র। ল্যাটিন শব্দ ‘Mappa’ থেকে ‘Map’ শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন ভাষায় কাপড়ের টুকরোকে Mappa বলে। আগের দিনে কাপড়ের উপরই Map আঁকা হতো।
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিভূ অনুপাত : মানচিত্রে স্কেল নির্দেশের একটি উপায় হলো প্রতিভূ অনুপাত। এ পদ্ধতিতে মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্ব এবং প্রকৃত দূরত্ব এককের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। মানচিত্র ও প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে গাণিতিক অনুপাত চিহ্ন (ঃ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
কনভেনশনাল সাইন : যেসব নির্দিষ্ট বিশেষ চিত্র কোনো কিছুর প্রতিকৃতি হিসেবে নকশা মানচিত্র তৈরি করার সময় ব্যবহার করা হয় সেগুলোই হলো কনভেনশনাল সাইন বা সাংকেতিক চিহ্ন। মানচিত্রাংকনবিদরা মানচিত্র ও নকশা তৈরির সময় সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করেন।

নবযুগ : নবযুগ মানে নতুন যুগ। একটি যুগ শেষ হলে তারপর যে নতুন যুগের সূচনা হয় তা-ই নবযুগ।
উদ্ভিজ্জ : কোনো অঞ্চলের জলবায়ু ও মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যানুযায়ী স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট উদ্ভিদকুলের আচ্ছাদনকে সেই স্থানের স্বাভাবিক উজ্জি বলা হয়।
সূচক : মানচিত্রে কোনো প্রতীক দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে, সূচক দ্বারা তা নির্দেশ করে।
স্থানীয় সময় : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে যেকোনো একটি স্থানে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর আসে তখন ঐ স্থানে মধ্যাহ্ন। ঐ স্থানের ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন থেকেই দিনের অন্যান্য সময় ঠিক করা হয়। আকাশে সূর্যের অবস্থান থেকে যে সময় ঠিক করা হয় তা-ই স্থানীয় সময়।
ক্যাডাস্ট্রাল বা মৌজা মানচিত্র : ক্যাডাস্ট্রাল শব্দটি এসেছে ফ্রেঞ্চ শব্দ ক্যাস্ট্রে থেকে, যার অর্থ রেজিস্ট্রিকৃত নিজের সম্পত্তি। এই মানচিত্র তৈরি করা হয় সাধারণত কোনো রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি অথবা বিল্ডিং-এর মালিকানার সীমানা চিহ্নিত করার জন্য।
স্কেল : মানচিত্রে স্কেল বলতে মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ভূভাগের উপরিস্থ ঐ দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী প্রকৃত দূরত্বের অনুপাত বোঝায়।
জিপিএস ও জিআইএস : মানচিত্র তৈরি, পঠন এবং ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশলই হলো জিপিএস। কোনো একটি স্থানের গ্লোবাল অবস্থা জানতে চাইলে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো জিপিএস-এর মাধ্যমে জানা। জিপিএস-এর ইংরেজি হলো Global Positioning System. কোনো একটি স্থানের গ্লোবালি অবস্থান জানতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো জিপিএস। জিআইএস হলো ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থা। ১৯৬৪ সালে কানাডায় সর্বপ্রথম এ কৌশলের ব্যবহার শুরু হয়।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১: কারা প্রথম মানচিত্র তৈরি করে?
উত্তর : মিশরের লোকজন প্রথম মানচিত্র তৈরি করে।
প্রশ্ন–২: কত বছর পূর্বে মিশরের লোকজন প্রথম মানচিত্র তৈরি করে?
উত্তর : প্রায় ৩,০০০ বছর পূর্বে।
প্রশ্ন–৩: স্কেলের উপর ভিত্তি করে মানচিত্র কয় ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : কেলের উপর ভিত্তি করে মানচিত্রকে চার ভাগে ভাগ করা হয়।
প্রশ্ন–৪ : কাজ বা বৃত্তি অনুসারে মানচিত্র কয় প্রকার?
উত্তর : কাজ বা বৃত্তি অনুসারে মানচিত্র দুই প্রকার।
প্রশ্ন–৫। একটি মানচিত্র পাঠ করতে গেলে কিসের সাহায্য নিতে হয়?
উত্তর : একটি মানচিত্র পাঠ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের প্রতীক চিহ্নের সাহায্য নিতে হয়।
প্রশ্ন–৬: প্রতিটি মানচিত্র তৈরির সময় কী দিতে হবে?
উত্তর : এতে একটি শিরোনাম দিতে হবে।
প্রশ্ন–৭: যুক্তরাষ্ট্রে কয়টি প্রমাণ সময় রয়েছে?
উত্তর : যুক্তরাষ্ট্রে ৪টি প্রমাণ সময় রয়েছে।
প্রশ্ন–৮: গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি?
উত্তর : গ্রিনিচের দ্রাঘিমা ০°।
প্রশ্ন–৯: বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কোন দিকে অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের পূর্ব দিকে অবস্থিত।
প্রশ্ন–১০: জিপিএস তার রিসিভার দিয়ে কী করে?
উত্তর : ভূ-উপগ্রহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।
প্রশ্ন–১১: কত সালে কানাডায় সর্বপ্রথম জিআইএস–এর ব্যবহার শুরু হয়?
উত্তর : ১৯৬৪ সালে।
প্রশ্ন–১২: পৃথিবীকে কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা দিয়ে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : ৩৬০° দ্রাঘিমারেখা দিয়ে ভাগ করা হয়েছে।
প্রশ্ন–১৩: ভূগোলশাস্ত্রের প্রধান ও প্রয়োজনীয় বিষয় কী?
উত্তর : স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র গঠন।
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–১৪: জলবায়ুগত মানচিত্র কাকে বলে?
উত্তর : ৩০-৪০ বছরের গড় তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, প্রবাহ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, তাকে জলবায়ুগত মানচিত্র বলা হয়।
প্রশ্ন–১৫: কিছু কিছু এটলাস কত স্কেলে করা হয়?
উত্তর : কিছু কিছু এটলাস ১ : ১০০০,০০০ স্কেলে করা হয়।
প্রশ্ন–১৬: কোথায় দেয়াল মানচিত্র ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : সাধারণত শ্রেণিকক্ষে দেয়াল মানচিত্র ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন–১৭: শহর পরিকল্পনার মানচিত্র কোন মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : শহর পরিকল্পনার মানচিত্র মৌজা মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন–১৮: মৌজা মানচিত্রের সবচেয়ে বড় উদাহরণ কোনটি?
উত্তর : আমাদের গ্রামের মানচিত্রগুলো।
প্রশ্ন–১৯: মানচিত্র বললেই আমাদের চোখে কী ভেসে ওঠে?
উত্তর : মানচিত্র বললেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে একটি দেশ, একটি অঞ্চল তথা একটি ভূখন্ডের চিত্র বা সমগ্র পৃথিবী।
প্রশ্ন–২০: কোন মানচিত্রে নিখুঁতভাবে সীমানা দেওয়া থাকে?
উত্তর : ক্যাডাস্ট্রাল বা মৌজা মানচিত্রে।
প্রশ্ন–২১: আমেরিকাতে মানচিত্রের স্কেল কত থাকে?
উত্তর : সাধারণত ১ : ৬২৫০০ এবং ১২৫০০০।
প্রশ্ন–২২: বাংলাদেশ কোন মানচিত্রের স্কেল অনুসরণ করে?
উত্তর : বাংলাদেশ সাধারণত ব্রিটিশ মানচিত্রের স্কেল অনুসরণ করে।
প্রশ্ন–২৩: কোন সময়ে মানচিত্রে কেলের ব্যবহার ছিল না?
উত্তর : প্রথম দিকে যেসব মানচিত্র তৈরি করা হতো, সেসব মানচিত্রে স্কেলের ব্যবহার ছিল না।
প্রশ্ন–২৪: প্রাকৃতিক মানচিত্রে প্রাকৃতিক বিষয়গুলো কী দিয়ে বোঝানো হয়?
উত্তর : প্রাকৃতিক বিষয়গুলো বিভিন্ন রং দিয়ে বোঝানো হয়।
প্রশ্ন–২৫: সূচক কী নির্দেশ করে?
উত্তর : মানচিত্রে কোন প্রতীক দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে, সূচক তা নির্দেশ করে।
প্রশ্ন–২৬: পূর্ব দিকের স্থানের সময় নির্ণয়ের জন্য কত মিনিট যোগ করতে হবে?
উত্তর : পূর্ব দিকের স্থানের সময় নির্ণয়ের জন্য ঐ স্থানের সময়ের সাথে প্রতি ডিগ্রি ব্যবধানের জন্য ৪ মিনিট যোগ করতে হবে।
প্রশ্ন–২৭: কোন সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে?
উত্তর: যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের অদূরে অবস্থিত গ্রিনিচের (০° দ্রাঘিমায়) স্থানীয় সময়কে।
প্রশ্ন–২৮: বাংলাদেশের ঠিক মাঝখান দিয়ে কোন রেখা অতিক্রম করেছে?
উত্তর : ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করেছে।
প্রশ্ন–২৯: প্রতি ১ মিনিট দূরত্বের জন্য কত সেকেন্ড সময়ের পার্থক্য হয়?
উত্তর : প্রতি ১ মিনিট দূরত্বের জন্য ৪ সেকেন্ড সময়ের পার্থক্য হয়।
প্রশ্ন–৩০: দূরত্বের মিনিট কী?
উত্তর : দূরত্বের মিনিট হচ্ছে প্রতি ১ ডিগ্রিকে ৬০ মিনিটে ভাগ করা।
প্রশ্ন–৩১: জিপিএস দ্বারা কী জানা যায়?
উত্তর : জিপিএস দ্বারা কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, উচ্চতা ও দূরত্ব জানা যায়।
প্রশ্ন–৩২: জিআইএস কোন সালের দিকে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে?
উত্তর : জিআইএস ১৯৮০ সালের দিকে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
প্রশ্ন–৩৩: আগের দিনে কিসের উপর মানচিত্র আঁকা হতো?
উত্তর : আগের দিনে কাপড়ের উপর মানচিত্র আঁকা হতো।
প্রশ্ন–৩৪: কোন স্কেলের মানচিত্রের মধ্যে একটি স্থানকে বেশি তথ্য দিয়ে দেখানো যায়?
উত্তর : একটি বৃহৎ স্কেলের মানচিত্রের মধ্যে।
প্রশ্ন–৩৫: মানচিত্রের ভাষা কোনগুলো?
উত্তর : বিভিন্ন রং, রেখা ও সংকেত হলো মানচিত্রের ভাষা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১: আন্তর্জাতিক প্রতীক চিহ্ন কী?
উত্তর : যেকোনো ভাষায় একটি মানচিত্র পাঠ করতে হলে নানা ধরনের প্রতীক চিহ্নের সাহায্য নিতে হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের মধ্যে এসব প্রতীক চিহ্ন । যেমন-

এ কারণে এসব চিহ্নকে আন্তর্জাতিক প্রতীক বলে ।
প্রশ্ন–২: জিপিএস–এর সমস্যাগুলো কী কী?
উত্তর : জিপিএস-এর কিছু সমস্যা রয়েছে; তা হলো- এর মূল্য বেশি তাই সহজলভ্য নয়, বেশির ভাগ জনগণ এর সাথে পরিচিত নয়, বেশির ভাগ লোক এটি চালাতে পারে না। এ ছাড়া রয়েছে সনাতনী পদ্ধতি ধরে রাখার প্রবণতা।
প্রশ্ন–৩: কেন প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর : দ্রাঘিমারেখার উপর সূর্যের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আমরা সময় ঠিক করি। মধ্যাহ্নে সূর্যের অবস্থানকে সেই স্থানের দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে সাধারণত একটি বড় দেশের মধ্যে সময়ের গণনার বিভ্রাট হয়। এ সময়ের বিভ্রাট থেকে বাঁচার জন্য প্রতিটি দেশে প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়।
প্রশ্ন–৪: মানচিত্রে শিরোনামের কাজ কী? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : প্রত্যেক মানচিত্রেরই একটি শিরোনাম থাকে। এটি কোন দেশের কিসের মানচিত্র, এতে তা উল্লেখ থাকে; যেমন- বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্র। প্রতিটি মানচিত্র তৈরির সময় এতে একটি শিরোনাম দিতে হবে ।
প্রশ্ন–৫: কোন কোন ক্ষেত্রে জিআইএস–এর ব্যবহার হচ্ছে?
উত্তর : ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে জিআইএস (Geographical Information System) বলা হয়। এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থা, যার মধ্য দিয়ে ভৌগোলিক তথ্যগুলোর সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক ও পারিসরিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন, পানি গবেষণা, আঞ্চলিক গবেষণা, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা, জনসংখ্যা বিশ্লেষণ, পরিবহন ও যোগাযোগব্যবস্থার বিশ্লেষণ প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিআইএস ব্যবহার হচ্ছে।
প্রশ্ন–৬: কেন প্রতীক চিহ্নকে আন্তর্জাতিক প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন বলা হয়?
উত্তর : একটি মানচিত্র পাঠ (Study of Map) করতে হলে নানা ধরনের প্রতীক চিহ্নের সাহায্য নিতে হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের মধ্যে এসব প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করে আসছে। এ কারণে এসব চিহ্নকে আন্তর্জাতিক প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন বলা হয়।
প্রশ্ন–৭: বাংলাদেশে মানচিত্রে কোন স্কেল অনুসরণ করা হয়?
উত্তর : বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন স্কেলে মানচিত্র তৈরি করে সবচেয়ে আদর্শ ও জনপ্রিয় হচ্ছে ব্রিটিশদের তৈরি করা মানচিত্র, যার স্কেল ছিল ১ : ২৫০০০ থেকে ১ : ১০০,০০০। আমেরিকাতে এ মানচিত্রের স্কেল থাকে সাধারণত ১ : ৬২৫০০ এবং ১২৫০০০। বাংলাদেশে সাধারণত ব্রিটিশ স্কেলটি অনুসরণ করা হয়।
প্রশ্ন–৮: সরকার ভূমির মালিক থেকে কীভাবে কর নিয়ে থাকে?
উত্তর : ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্রের ক্ষেত্রে ক্যাডাস্ট্রাল শব্দটি এসেছে ক্যাডাস্ট্রে (Cadastre) থেকে, যার অর্থ হচ্ছে রেজিস্ট্রিকৃত নিজের সম্পত্তি। এ মানচিত্র তৈরি করা হয় সাধারণত কোনো রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি অথবা বিল্ডিংয়ের মালিকানার সীমানা চিহ্নিত করার জন্য আমাদের দেশে যে মৌজা মানচিত্রগুলো দেখা যায়, সেগুলো আসলে ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র। এ মানচিত্রের মাধ্যমেই হিসাব করে সরকার ভূমির মালিক থেকে কর নিয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৯: কেন বাংলাদেশের প্রমাণ সময় গ্রিনিচের সময় থেকে অগ্রবর্তী?
উত্তর : কোনো একটি দেশের মধ্যভাগের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করা হয়, সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় ধরা হয়। দেশের আয়তনের উপর ভিত্তি করে প্রমাণ সময় একাধিক হতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের অদূরে অবস্থিত গ্রিনিচের (০° দ্রাঘিমায়) স্থানীয় সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের পূর্ব দিকে অবস্থিত, তাই আমাদের দেশে প্রমাণ সময় গ্রিনিচের সময়ের অগ্রবর্তী, অর্থাৎ আমাদের এখানে গ্রিনিচের মধ্যাহ্নের পূর্বেই মধ্যাহ্ন হয়ে থাকে।
প্রশ্ন–১০: পূর্ব দিকের স্থানীয় সময় কীভাবে বের করা হয়?
উত্তর : আকাশে সূর্যের অবস্থান থেকে যে সময় স্থির করা হয় তাকে স্থানীয় সময় বলা হয়। ঐ স্থান থেকে যত দূরের স্থান হবে, সে হিসেবে প্রতি ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য সময় বাড়বে বা কমবে। স্থানটি যদি পূর্ব দিকে হয়, তবে এর ১ ডিগ্রি ব্যবধানের জন্য ৪ মিনিট বেশি হবে। অর্থাৎ পূর্ব দিকের স্থানের সময় নির্ণয়ের জন্য ঐ স্থানের সময়ের সাথে প্রতি ডিগ্রি ব্যবধানের জন্য ৪ মিনিট যোগ করতে হবে।
প্রশ্ন–১১: মানচিত্র তৈরির সময় দিকনির্দেশনা দিতে হবে কেন?
উত্তর : মানচিত্রের দিক জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানচিত্রের মাথায় বাম দিকের মার্জিনে একটি তীর দেওয়া থাকে। এ তীরের মাথায় উঃ (N) লেখা থাকে। উঃ দিয়ে উত্তর দিক বোঝানো হয়। মানচিত্র তৈরির সময় দিকনির্দেশনা দিতে হবে। কারণ একটি দিক জানা থাকলে সহজেই অন্যদিকগুলো- যেমন: দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম দিক বের করা যায় ।
প্রশ্ন–১২: জিআইএস–এর মাধ্যমে কীভাবে মানচিত্রের উপযোগিতা বাড়ানো হয়?
উত্তর : ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে জিআইএস (Geographical Information System) বলা হয়। এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থা, যার মধ্য দিয়ে ভৌগোলিক তথ্যগুলোর সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক ও পারিসরিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। জিআইএস-এর মাধ্যমে একটি মানচিত্রের মধ্যে অনেক ধরনের উপাত্তের উপস্থাপন ঘটিয়ে সেই। উপাত্তগুলোকে মানচিত্রের মধ্যে বিশ্লেষণ করে মানচিত্রের উপযোগিতা বাড়ানো হয়। যেমন- একটি মানচিত্রের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, টপোগ্রাফি, ভূমি ব্যবহার, যোগাযোগ, মৃত্তিকা, রাস্তা এসব জিনিস দেখিয়ে আমরা তার মধ্য দিয়ে সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলের পুরো চিত্র সম্বন্ধে জানতে পারি।
প্রশ্ন–১৩: মানচিত্রে কেলের কাজ কী?
উত্তর : মানচিত্রে স্কেলের কাজ হচ্ছে মানচিত্রের দুটি স্থানের প্রকৃত দূরত্ব প্রকাশ করা। মানচিত্রের সাথে এর স্কেল দেওয়া থাকে বলে ঐ মানচিত্রের যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যবর্তী সঠিক দূরত্ব সম্পর্কে জানতে পারা বা পরিমাণ করতে পারা যায়। স্কেলের মাধ্যমে মানচিত্রকে প্রয়োজন অনুসারে ছোট বা বড় করে আঁকা যায়। মানচিত্রের স্কেল যত ছোট হবে এর আয়তন মানচিত্রে তত বড় করে দেখানো যাবে। মানচিত্রে যদি ১ : ১০০০০০ স্কেল লেখা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে মানচিত্রে ১ একর ভূমির ১০০০০০ একরের সমান হবে।
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন–১৪: মানচিত্রের উৎপত্তি হয়েছে কেন?
উত্তর : মানচিত্র হলো একটি ড্রয়িং বা রেখাঙ্কন, যা ভূপৃষ্ঠের কোনো ছোট বা বৃহৎ অঞ্চলকে উপস্থাপন করে থাকে। এর সাহায্যে সমগ্র পৃথিবী বা কোনো অঞ্চল সম্বন্ধে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ করা যায়। একটি মানচিত্রের মধ্যে সমগ্র পৃথিবীকে বা এর কোনো এক অঞ্চলকে দেখানো যায়। সর্বোপরি বলা যায়, কোনো স্থানের অবস্থান থেকে শুরু করে ঐ স্থানের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য মানচিত্রের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং বলা যায়, খুব কম সময়ে সহজ উপায়ে ঘরে বসে সারা বিশ্বকে জানার জন্যই মানচিত্রের উৎপত্তি।
প্রশ্ন–১৫: জিপিএস–এর কার্যনীতি উল্লেখ কর।
উত্তর : বর্তমানে মানচিত্র তৈরি, পঠন ও ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে জিপিএস। জিপিএস তার রিসিভার দিয়ে ভূ-উপগ্রহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এ তথ্য সংগ্রহের জন্য জিপিএস-এর মোটামুটি মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশের প্রয়োজন হয়। তখন জিপিএস যন্ত্রটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। তবে কোনো কোনো সময় উঁচু খাড়া পাহাড়, উঁচু ইমারত থাকলে তখন জিপিএস দ্বারা সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং এতে বেশি সময় লাগে।
প্রশ্ন–১৬: স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো একটি স্থানে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর আসে, অর্থাৎ সূর্য এবং সেই স্থানের কোণ যদি ০° হয়, তখন ঐ স্থানে মধ্যাহ্ন। অর্থাৎ ঐ স্থানের ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন থেকেই দিনের অন্যান্য সময় ঠিক করা হয়। অর্থাৎ আকাশে সূর্যের অবস্থান হতে যে সময় স্থির করা হয়, তাকে স্থানীয় সময় বলে। অন্যদিকে সময়ের বিভ্রাট থেকে বাঁচার জন্য প্রতিটি দেশে একটি প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত কোনো একটি দেশের মধ্যভাগের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করা হয়, সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় ধরা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১। দেয়াল মানচিত্র কোথায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়?
ক. শ্রেণিকক্ষ খ. মাঠ
গ. পর্বত ঘ. জলবায়ু
উত্তর: ক. শ্রেণিকক্ষ
২। মূলমধ্যরেখা থেকে ৫° পূর্ব দিকে সরে গেলে সময়ের ব্যবধান কত মিনিট হবে?
ক. ১৬ খ. ২০
গ. ২৪ ঘ. ২৮
উত্তর: খ. ২০
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুমন যে গ্রামে বসবাস করে সেখানে সমভূমি ও নিম্নভূমি উভয়ই রয়েছে। মানচিত্র পঠন ও ব্যবহার অধ্যায় পাঠ শেষে সে তার গ্রামের একটি মানচিত্র অঙ্কন করল।
৩। সুমনের গ্রামের মানচিত্রটি কোন ধরনের মানচিত্র?
ক. এটলাস খ. প্রাকৃতিক
গ. সাংস্কৃতিক ঘ. ক্যাডাস্ট্রাল
উত্তর: ঘ. ক্যাডাস্ট্রাল
৪। সুমনের গ্রামের মানচিত্রে ভূমির জন্য কোন রং ব্যবহার করা হবে?
ক. নীল খ. সাদা
গ. সবুজ ঘ. বাদামি
উত্তর: গ. সবুজ
৫। মানচিত্র কার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ?
ক. ভূগোলবিদ খ. সমাজবিজ্ঞানী
গ. ইতিহাসবিদ ঘ. রাজনীতিবিদ
উত্তর: ক. ভূগোলবিদ
৬. বাংলাদেশে কয়টি বিভাগ আছে?
ক. ৫টি খ. ৬টি
উত্তর: ঘ. ৮টি
৭। মানচিত্রের ইংরেজি শব্দ কোনটি?
ক. Map খ. Mep
গ. Mat ঘ. Ment
উত্তর: ক. Map
৮। Map শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
ক. Mep খ. Mappa
গ. Mapa ঘ. Mapp
উত্তর: খ. Mappa
৯। Mappa শব্দটি কোন ভাষার?
ক. ইংরেজি খ. উর্দু
গ. ল্যাটিন ঘ. স্প্যানিশ
উত্তর: গ. ল্যাটিন
১০। ল্যাটিন ভাষায় কাপড়ের টুকরাকে কী বলে?
ক. Clothes খ. Shart
গ. Mappa ঘ. Men’s
উত্তর: গ. Mappa
১১। মানচিত্রে কয়টি পদ্ধতিতে স্কেল নির্দেশ করা হয়?
ক. ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
উত্তর: খ. ৩টি
১২। ক্যাডাস্ট্রাল শব্দটি কোন ভাষার শব্দ থেকে এসেছে?
ক. ইংরেজি ভাষার খ.হিন্দি ভাষার
গ. আরবি ভাষার ঘ. ফ্রেঞ্চ ভাষা
উত্তর: ঘ. ফ্রেঞ্চ ভাষা
১৩। মৌজা মানচিত্রে কত ইঞ্চিতে ১ মাইল হয়?
ক. ১২ ইঞ্চি খ. ১৩ ইঞ্চি
গ. ১৪ ইঞ্চি ঘ. ১৬ ইঞ্চি
উত্তর: ঘ. ১৬ ইঞ্চি
১৪। টপোগ্রাফিক মানচিত্রের বাংলা নাম কী?
ক. ভূসংস্থানিক মানচিত্র খ. মৌজা মানচিত্র
গ. দেয়াল মানচিত্র ঘ. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র
উত্তর: ক. ভূসংস্থানিক মানচিত্র
১৫। টপোগ্রাফিক মানচিত্রে কত ধরনের উপাদান দেখতে পাওয়া যায়?
ক. ২ ধরনের খ. ৩ ধরনের
গ. ৪ ধরনের ঘ. ৫ ধরনের
উত্তর: ক. ২ ধরনের
১৬। টপোগ্রাফিক মানচিত্রে ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে কী দেখানো হয়?
ক. রেলপথ খ. হাটবাজার
গ. পোস্ট অফিস ঘ. উপত্যকা
উত্তর: ঘ. উপত্যকা
১৭। টপোগ্রাফিক মানচিত্রের স্কেল কোনটি?
ক. ১ঃ ২০০০ খ. ১ঃ ২০০০০
গ. ১ঃ ১২৫০ ঘ. ১ঃ ১২৫০০
উত্তর: খ. ১ঃ ২০০০০
১৮। ব্রিটিশদের তৈরি করা মানচিত্রের স্কেল কোনটি?
ক. ১ঃ ২৫,০০০ থেকে ১ঃ ১০০,০০০
খ. ১ঃ ২০০০ থেকে ১ঃ ১২৫০০০
গ. ১ঃ ১০০০ থেকে ১ঃ ১১০,০০০
ঘ) ১ঃ ২৫০০০ থেকে ১ঃ ২৫০০০০০
উত্তর: ক. ১ঃ ২৫,০০০ থেকে ১ঃ ১০০,০০০
১৯। বাংলাদেশে সাধারণত কোন দেশের স্কেলটি অনুসরণ করা হয়?
ক. ব্রিটিশ স্কেল খ. আমেরিকার স্কেল
গ. ফরাসি স্কেল ঘ. জাপানি স্কেল
উত্তর: ক. ব্রিটিশ স্কেল
২০। নিচের কোনটি কোরোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র?
ক. মৌজা মানচিত্র খ. প্রাকৃতিক বিষয়সংক্রান্ত মানচিত্র
গ. দেয়াল মানচিত্র ঘ. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র
উত্তর: ঘ. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র
২১। মানচিত্রে ব্যবহৃত স্কেল এবং বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্রকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর: ক. ২
২২। স্থান অনুযায়ী জনসংখ্যা দেখানো হয় কোন মানচিত্রে?
ক. ভূ-তাত্ত্বিক খ. সামাজিক
গ. সাংস্কৃতিক ঘ. বণ্টন
উত্তর: ঘ. বণ্টন
২৩। কোন নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, উচ্চতা ও দূরত্ব জানা যায় কোনটির মাধ্যমে?
ক. GPS খ. GIS
গ. Are-Info ঘ. Are-View
উত্তর: ক. GPS
২৪। আমাদের পৃথিবীকে কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা দ্বারা ভাগ করা হয়েছে?
ক. ৯০° দ্রাঘিমারেখা খ. ১৮০° দ্রাঘিমারেখা
গ. ২৬০° দ্রাঘিমাবেখা ঘ. ৩৬০° দ্রাঘিমারেখা
উত্তর: ঘ. ৩৬০° দ্রাঘিমারেখা
২৫। পৃথিবী নিজ অক্ষে কোন দিকে ঘুরছে?
ক. পূর্ব থেকে পশ্চিমে খ. পশ্চিম থেকে পূর্বে
গ. উত্তর থেকে দক্ষিণে ঘ. দক্ষিণ থেকে উত্তরে
উত্তর: খ. পশ্চিম থেকে পূর্বে
২৬। পৃথিবী তার নিজ অক্ষে একবার ঘুরতে কত ঘণ্টা সময় নেয়?
ক. ১২ ঘণ্টা খ. ১৬ ঘণ্টা
গ. ২০ ঘণ্টা ঘ. ২৪ ঘণ্টা
উত্তর: ঘ. ২৪ ঘণ্টা
২৭। প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমা সমান কত মিনিট ধরা হয়?
ক. ৪ মিনিট খ. ৮ মিনিট
গ. ১২ মিনিট ঘ. ১৬ মিনিট
উত্তর: ক. ৪ মিনিট
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
২৮। পৃথিবীর কোন অংশে আগে সূর্যোদয় হয়?
ক. পূর্ব অংশে খ.পশ্চিম অংশে
গ. উত্তর অংশে ঘ. দক্ষিণ অংশে
উত্তর: ক. পূর্ব অংশে
২৯। কোনো স্থানে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর আসে তখন ঘড়িতে কয়টা বাজে?
ক. ১০টা খ. ১২টা
গ. ১টা ঘ. ২টা
উত্তর: খ. ১২টা
৩০। যুক্তরাষ্ট্রে কয়টি প্রমাণ সময় রয়েছে?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৬ ঘ. ৮
উত্তর: খ. ৪
৩১। কানাডাতে কয়টি প্রমাণ সময় রয়েছে?
ক. ২টি খ. ৩টি
গ. ৫টি ঘ. ৬টি
উত্তর: ঘ. ৬টি
৩২। গ্রিনিচ কোথায় অবস্থিত?
ক. লন্ডনে খ. ফ্রান্সে
গ. জার্মানিতে ঘ. রোমে
উত্তর: ক. লন্ডনে
৩৩। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কোন দিকে অবস্থিত?
ক. পূর্ব দিকে খ. পশ্চিম দিকে
গ. উত্তর দিকে ঘ. দক্ষিণ দিকে
উত্তর: ক. পূর্ব দিকে
৩৪। আমাদের এখানে যখন দুপুর ১২টা তখন যুক্তরাজ্যে কয়টা বাজে?
ক. সকাল ৬টা খ. দুপুর ২টা
গ. সন্ধ্যা ৬টা ঘ. রাত ৮টা
উত্তর: ক. সকাল ৬টা
৩৫। প্রতি ১ মিনিট দূরত্বের জন্য কত সময়ের পার্থক্য হয়?
ক. ৪ সেকেন্ড খ. ৮ সেকেন্ড
গ. ১২ সেকেন্ড ঘ. ১৬ সেকেন্ড
উত্তর: ক. ৪ সেকেন্ড
৩৬। ভগ্নাংশ আকারে দেওয়া স্কেলে লব রাশি দিয়ে কী বোঝায়?
ক. ভূমির দূরত্ব খ. মানচিত্রের দূরত্ব
গ. ভূমির আকার ঘ. মানচিত্রের আকার
উত্তর: খ. মানচিত্রের দূরত্ব
৩৭। মানচিত্রে নিচের প্রতীক দ্বারা কী বোঝায়?

ক. নদী খ. পাকা রাস্তা
গ. রেললাইন ঘ. সেতু
উত্তর: ঘ. সেতু
৩৮। তথ্য সংগ্রহের জন্য জিপিএস–এর কোনটি দরকার হয়?
ক. মেঘলা আকাশ খ. মেঘমুক্ত আকাশ
গ. রাতের সময় ঘ. ঝড়ের সময়
উত্তর: খ. মেঘমুক্ত আকাশ
৩৯। কাদের জন্য GPS যন্ত্রটি অধিক মূল্যবান?
ক. অর্থনীতিবিদ খ. ভূগোলবিদ
গ. রাজনীতিবিদ ঘ. চিন্তাবিদ
উত্তর: খ. ভূগোলবিদ
৪০। কোন দেশে সর্বপ্রথম GIS কৌশল ব্যবহার আরম্ভ হয়?
ক. যুক্তরাষ্ট্রে খ. জাপানে
গ. কানাডায় ঘ. মিসরে
উত্তর: গ. কানাডায়
৪১। কখন জিপিএস যন্ত্রটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে?
ক. আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে
খ. আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে
গ. উঁচু-নিচু পাহাড় পর্বত থাকলে
ঘ. মহাসাগর থাকলে
উত্তর: খ. আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে
৪২। জিপিএস কিসের সাহায্যে ভূ–উপগ্রহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে?
ক. ট্রান্সফরমার খ. রিমোট কন্ট্রোল
গ. মাউস ঘ. রিসিভার
উত্তর: ঘ. রিসিভার
৪৩। বিশ্বের কোথায় কোন ধরনের ফসল চাষ করা যাবে, সে বিষয়ে জানতে কোন ধরনের মানচিত্র প্রয়োজন?
ক. প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ বিষয়ক
খ. মৃত্তিকাবিষয়ক মানচিত্র
গ. সাংস্কৃতিক মানচিত্র
ঘ. জলবায়ুগত মানচিত্র
উত্তর: ঘ. জলবায়ুগত মানচিত্র
৪৪। মানচিত্রের উৎপত্তি হয়েছে কেন?
ক. ব্যবসায় করতে খ. যুদ্ধের জন্য
গ. পড়াশোনা করতে ঘ. ঘরে বসে বিশ্বকে জানতে
উত্তর: ঘ. ঘরে বসে বিশ্বকে জানতে
৪৫। মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হয় কেন?
ক. মালিকানা চিহ্নিত করার জন্য
খ. জমির আকৃতি ঠিক রাখার জন্য
গ. সরকারি হিসাব রাখার জন্য
ঘ. এক মালিকানা থেকে অন্য মালিকানা চিহ্নিত করার জন্য
উত্তর: ক. মালিকানা চিহ্নিত করার জন্য
৪৬। কীভাবে ভূসংস্থানিক মানচিত্রের নবযুগের সূচনা হয়?
ক. জাহাজ থেকে ছবি তোলার মাধ্যমে
খ. বিমান থেকে ছবি তোলার মাধ্যমে
গ. সরেজমিনে ছবি তোলার মাধ্যমে
ঘ. শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে
উত্তর: খ. বিমান থেকে ছবি তোলার মাধ্যমে
৪৭। টপোগ্রাফিক মানচিত্রের জন্য কীভাবে ছবি তোলা হয়?
ক. জাহাজ থেকে খ. পাহাড় থেকে
গ. নদী থেকে ঘ. বিমান থেকে
উত্তর: ঘ. বিমান থেকে
৪৮। দেয়াল মানচিত্র তৈরি করা হয় কেন?
ক. বাসগৃহে ব্যবহার করার জন্য
খ. শ্রেণিকক্ষে ব্যবহার করার জন্য
গ. বিমানে ব্যবহার করার জন্য
ঘ. জাহাজে ব্যবহার করার জন্য
উত্তর: খ. শ্রেণিকক্ষে ব্যবহার করার জন্য
৪৯। মানচিত্রে কোন আয়তনকে কতটুকু কমানো হয়েছে তা কীভাবে বোঝা যায়?
ক. স্কেল থেকে খ. সূচক থেকে
গ. সীমানা থেকে ঘ. শিরোনাম থেকে
উত্তর: ক. স্কেল থেকে
৫০। ৩৬০° দ্রাঘিমারেখাকে কিসের দ্বারা ভাগ করা হয়েছে?
ক. অক্ষাংশ দ্বারা খ. স্থানীয় সময় দ্বারা
গ. মূল মধ্যরেখা দ্বারা ঘ. প্রমাণ সময় দ্বারা
উত্তর: গ. মূল মধ্যরেখা দ্বারা
৫১। একটি দেশ বা স্থানের স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময় ঠিক করা হয় কেন?
ক. প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার সময়ের জন্য
খ. অক্ষাংশের জন্য
গ. দ্রাঘিমাংশের জন্য
ঘ. মূল মধ্যরেখার জন্য
উত্তর: ক. প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার সময়ের জন্য
৫২। পৃথিবীর পূর্ব অংশের স্থানে আগে সকাল হয় কেন?
ক. পৃথিবী স্থির বলে খ. সূর্য স্থির বলে
গ. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে ঘ. সূর্যের আবর্তনের ফলে
উত্তর: গ. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে
৫৩। কিসের ভিত্তিতে একটি দেশের প্রমাণ সময় একাধিক হতে পারে?
ক. দেশের আয়তন খ. দেশের জনসংখ্যা
গ. জলবায়ুর অবস্থা ঘ. সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
উত্তর: ক. দেশের আয়তন
৫৪। GIS পদ্ধতিতে কিসের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়?
ক. ডায়রির খ. কম্পিউটারের
গ. ক্যালকুলেটরের ঘ. মোবাইলের
উত্তর: খ. কম্পিউটারের
৫৫। পৃথিবী নিজ মেরুরেখার চারদিকে কোন দিক থেকে ঘোরে?
ক. পশ্চিম থেকে পূর্বে খ. পূর্ব থেকে পশ্চিমে
গ. উত্তর থেকে দক্ষিণে ঘ. দক্ষিণ থেকে উত্তরে
উত্তর: ক. পশ্চিম থেকে পূর্বে
৫৬. ধ্রুবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয়ে অসুবিধা সৃষ্টি হয় কেন?
ক. অক্ষাংশ নির্ণয়ে গোলযোগ থেকে যায় বলে
খ. দক্ষিণ গোলার্ধে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায় না বলে
গ. বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয় বলে
ঘ. সর্বদা সমভাবে প্রযোজ্য নয় বলে
উত্তর: খ. দক্ষিণ গোলার্ধে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায় না বলে
৫৭। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অঙ্কন করা হয়েছে কেন?
ক. বারের গরমিল রোধ করার জন্য
খ. তারিখ ঠিক রাখার জন্য
গ. দ্রাঘিমারেখা ঠিক রাখার জন্য
ঘ. দেশের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য
উত্তর: ক. বারের গরমিল রোধ করার জন্য
৫৮। মিনার বাংলাদেশের আটটি বিভাগের সীমানা সম্পর্কে ধারণা পেতে চাইলে তার নিচের কোনটি প্রয়োজন?
ক. প্রশাসনিক মানচিত্র খ. মৌজা মানচিত্র
গ. দেয়াল মানচিত্র ঘ. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র
উত্তর: ক. প্রশাসনিক মানচিত্র
৫৯। ঘরে বসে সমস্ত পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে কোনটি অধিক কার্যকর?
ক. মানচিত্র খ. বইপড়া
গ. টেলিভিশন দেখা ঘ. ইতিহাস পড়া
উত্তর: ক. মানচিত্র
৬০। প্রীতম একজন শিক্ষক। তিনি শ্রেণিকক্ষে একটি মানচিত্র নিয়ে প্রবেশ করলেন। প্রীতম কোন বিষয়ে ক্লাস নিতে এসেছেন?
ক. ইংরেজি খ. গণিত
গ. সমাজবিজ্ঞান ঘ. ভূগোল
উত্তর: ঘ. ভূগোল
৬১। ইব্রাহীমের দেশের লোকজন সর্বপ্রথম মানচিত্র তৈরি করে। ইব্রাহীম তা হলে কোন দেশের নাগরিক?
ক. জাপান খ. মিশর
গ. ভারত ঘ. ইতালি
উত্তর: খ. মিশর
৬২। অয়ন মানচিত্রের দুটি ভাগ সম্পর্কে জেনেছে। মানচিত্রের এ শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে কিসের ভিত্তিতে।
ক. ব্যবহারের ভিত্তিতে খ. উৎসবের ভিত্তিতে
গ. স্কেলের ভিত্তিতে ঘ. ইতিহাসের ভিত্তিতে
উত্তর: গ. স্কেলের ভিত্তিতে
৬৩। রহিম হাটবাজারের, রেলপথের ও সরকারি অফিস প্রভৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কোন মানচিত্র প্রয়োজন?
ক. মৌজা মানচিত্র খ. ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র
গ. দেয়াল মানচিত্র ঘ. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র
উত্তর: খ. ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র
৬৪। সিফাত সকাল ১০টায় বাংলাদেশ থেকে লণ্ডনে তার বাবার কাছে ফোন করে। এ সময় সিফাতের বাবার ঘড়িতে কয়টা বাজে?
ক. রাত ৪টা খ. সকাল ৫টা
গ. সকাল ৬টা ঘ. সন্ধা ৬টা
উত্তর: ক. রাত ৪টা
৬৫। রহিমের অঞ্চলের তুলনায় শফিকের অঞ্চলের সময় ৪০ মিনিট অগ্রবর্তী। তা হলে তাদের দুই অঞ্চলের মধ্যে ব্যবধান কত ডিগ্রি?
ক. ৫ ডিগ্রি খ. ৮ ডিগ্রি
গ. ১০ ডিগ্রি ঘ. ১২ ডিগ্রি
উত্তর: গ. ১০ ডিগ্রি
৬৬। ‘ক‘ শহরের দ্রাঘিমা ৬০° পশ্চিম। গ্রিনিচে যখন দুপুর ১টা ৩০ মি. ‘ক’ শহরের স্থানীয় সময় তখন কত?
ক. সকাল ৯টা ৩০ মি, খ. সকাল ১০টা ৩০ মি.
গ. বিকেল ৫টা ৩০ মি. ঘ. বিকেল ৬টা ৩০ মি.
উত্তর: ক. সকাল ৯টা ৩০ মি,
৬৭। গ্রিনিচের সময় যখন সোমবার সকাল ১০টা তখন ১৮০° পূর্ব দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময় কত?
ক. সোমবার সকাল ১০টা খ. সোমবার রাত ১০টা
গ. রোববার সকাল ১০টা ঘ. রোববার রাত ১০টা
উত্তর: খ. সোমবার রাত ১০টা
৬৮। ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানের দ্রাঘিমা যথাক্রমে ৯০° পূর্ব ও ৭০° পূর্ব। স্থান দুটির মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
ক. ১ ঘণ্টা ২০ সেকেন্ড খ. ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
গ. ১ ঘণ্টা ঘ. ১ মিনিট ২০ সেকেন্ড
উত্তর: খ. ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
৬৯। একটি স্থানের সময় সকাল ৯টা ও অপর একটি স্থানের সময় সকাল ১০টা। স্থান দুটির মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য কত?
ক. ১০° খ. ১৫°
গ. ৬০° ঘ. ৯০°
উত্তর: খ. ১৫°
৭০। উত্তর গোলার্ধে কোনো একটি স্থানে মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি ৪৫। ঐ দিনের বিষুবলম্ব ২০° দক্ষিণ হলে ঐ স্থানের অক্ষাংশ কত হবে?
ক. ২৫° উত্তর খ. ২৫° দক্ষিণ
গ. ৬৫° উত্তর ঘ. ৬৫° দক্ষিণ
উত্তর: খ. ২৫° দক্ষিণ
৭১। ঢাকা ও টোকিওর স্থানীয় সময়ের ব্যবধান ৩ ঘন্টা। ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০° পূর্ব হলে টোকিওর দ্রাঘিমা কত?
ক. ১২৫° পূর্ব খ. ১২৫° পশ্চিম
গ. ১৩৫° পূর্ব ঘ. ১৪৫° পশ্চিম
উত্তর: গ. ১৩৫° পূর্ব
৭২। মানচিত্র বললেই আমাদের চোখে যে ধরনের বিষয় ফুটে ওঠে-
i. একটি দেশ
ii. একটি মহাদেশ
iii. সমগ্র পৃথিবী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৭৩। মানচিত্রের মধ্যে যে ধরনের তথ্য থাকবে, তা যেটির উপর নির্ভর করে–
i. স্কেল
ii. অভিক্ষেপ
iii. মানচিত্র অঙ্কনকারীর দক্ষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৭৪। মানচিত্রে বিভিন্ন বিষয় যেভাবে বোঝানো হয়–
i. রং দিয়ে
ii. ছবি দিয়ে
iii. সংকেত দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৭৫। মানচিত্র যে ধরনের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ–
i. শিক্ষক
ii. শিক্ষার্থী
iii. শিশু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৭৬। কার্যের ভিত্তিতে মানচিত্রের ধরন যেমন হয়ে থাকে–
i. দেয়াল মানচিত্র
ii. মৌজা মানচিত্র
iii. ভূসংস্থানিক মানচিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৭৭। প্রাকৃতিক বিষয়সংক্রান্ত মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত থাকে যেটি–
i. মালভূমি
ii. সমভূমি
iii. হাটবাজার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৭৮। এটলাস মানচিত্র যেটির উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ করে তৈরি করা হয়–
i. জলবায়ুগত ভিত্তিতে
ii. অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে
iii. সংস্কৃতির ভিত্তিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৭৯। সাংস্কৃতিক মানচিত্রে যে ধরনের বিষয় থাকে–
i. ঐতিহাসিক স্থান
ii. অর্থনৈতিক অবস্থা
iii. রাষ্ট্রের সীমা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮০। সামাজিক মানচিত্র ব্যবহার করা হয় যে ধরনের ক্ষেত্রে–
i. সামাজিক প্রথা গবেষণা
ii. সামাজিক বৈষম্য গবেষণা
iii. ভূমিসংক্রান্ত গবেষণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৮১। জিপিএস দ্বারা যে ধরনের বিষয় জানা যায়–
i. একটি নির্দষ্ট স্থানের অক্ষাংশ
ii. দ্রাঘিমাংশ
iii. উচ্চতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮২। আমাদের দেশে জিপিএস ব্যবহারের হার কম যে কারণে–
i. সহজলভ্য নয় বলে
ii. চালাতে না জানা
iii. সনাতন পদ্ধতির অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৮৩। বর্তমানে জিপিএস যে ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়–
i. ভূমিব্যবস্থাপনা
ii. পানি গবেষণা
iii. জনসংখ্যা বিশ্লেষণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮৪। মিতা মানচিত্র সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে যে ধরনের বিষয় জানতে পারবে–
i. বিভিন্ন পরিবহণ
ii. বিভিন্ন মহাদেশ
iii. বিভিন্ন মহাসাগর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
৮৫। মানচিত্রের ভাষার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো প্রযোজ্য–
i. রং
ii. রেখা
iii. সংকেত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮৬ ও ৮৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মায়া প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে তার বাবাকে ফোন করে। কিন্তু তার বাবা ফোন ধরে না। এতে সে বাবার উপর অভিমান করে। মায়ার বাবা সৌদি আরবে বাস করে।
৮৬। মায়া যখন তার বাবাকে ফোন করে তখন সৌদি আরবে কয়টা বাজে?
ক. ভোর ৪টা খ. ভোর ৫টা
গ. সকাল ৬টা ঘ. সকাল ৭টা
উত্তর: ক. ভোর ৪টা
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
৮৭। মায়ার বাবার ফোন না ধরার কারণ বিশ্লেষণ করলে কোন তথ্যটি যৌক্তিক মনে হয়?
ক. কাজে ব্যস্ত থাকা খ. ঘুমিয়ে থাকা
গ. রাগ করা ঘ. মেয়েকে পছন্দ না করা
উত্তর: খ. ঘুমিয়ে থাকা
নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৮৮ ও ৮৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৮৮। ০°- তে অবস্থিত রেখাটির ক্ষেত্রে কোন তথ্যটি প্রযোজ্য?
ক. কর্কটক্রান্তি খ. মকরক্রান্তি
গ. মেরুরেখা ঘ. নিরক্ষরেখা
উত্তর: ঘ. নিরক্ষরেখা
৮৯। চিত্রটি পর্যবেক্ষণ করলে যে যৌক্তিক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়-
i. মেরুরেখা উত্তর দক্ষিণ মেরুকে বেষ্টন করেছে
ii. মেরুরেখা বিষুবরেখাকে অতিক্রম করেছে
iii. মেরুরেখা ও বিষুবরেখা পরস্পর সমান্তরাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর ৯০ ও ৯১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৯০। ‘Q’ চিহ্নিত মানচিত্রটি সাধারণত কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
ক. পাঠদানের ক্ষেত্রে খ. জলাশয় চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে
গ. জমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ঘ. ভূমিরূপ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে
উত্তর: গ. জমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে
৯১। ‘P’ ও ‘R’ চিহ্নিত মানচিত্রের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি সঠিক?
ক. ‘P’ ও ‘R’ উভয় মানচিত্রে জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়
খ. ‘P’ চিহ্নিত মানচিত্র অপেক্ষা ‘R’ চিহ্নিত মানচিত্রে স্থাপনাসমূহ নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করা হয়
গ. ‘P’ ও ‘R’ উভয় মানচিত্রে স্থাপনাসমূহ রং/প্রতীক দিয়ে বৈশিষ্ট্য বোঝানো হয়
ঘ. ‘R’ চিহ্নিত মানচিত্র অপেক্ষা ‘P’ চিহ্নিত মানচিত্রের পরিধি ব্যাপক
উত্তর: খ. ‘P’ চিহ্নিত মানচিত্র অপেক্ষা ‘R’ চিহ্নিত মানচিত্রে স্থাপনাসমূহ নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করা হয়
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
বর্ণা তার এলাকার মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, সমভূমি, উচ্চভূমি, নদী প্রভৃতি প্রদর্শন করে একটি মানচিত্র অঙ্কন করল।
৯২। বর্ণার অঙ্কনকৃত মানচিত্রটি কোন ধরনের?
ক. মৌজা মানচিত্র খ. ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র
গ. দেয়াল মানচিত্র ঘ. এটলাস মানচিত্র
উত্তর: খ. ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৯৩ ও ৯৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
P এবং Q দুই প্রতিবেশী। বন্যার পর তাদের জমির সীমানা নির্ধারণে সমস্যায় পড়লেন। সমস্যাটি সমাধানের জন্য তারা একটি বিশেষ মানচিত্রের সাহায্য নেন।
৯৩। P এবং Q ব্যবহৃত মানচিত্রটি হচ্ছে-
i. শিরোনামবিহীন
ii. গুণগত মানচিত্র
iii. বৃহৎ স্কেলে অঙ্কিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
৯৪। মানচিত্রটির প্রধান বিশেষত্ব কী?
ক. সর্বোচ্চ ত্রুটিমুক্ত খ. সহজে বহনযোগ্য
গ. কাপড়ের উপর অঙ্কিত ঘ. কোনো সূচক নেই
উত্তর: ক. সর্বোচ্চ ত্রুটিমুক্ত
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৭৯ ও ১৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জয়নাল প্রতিদিন ঢাকায় বসে সন্ধ্যা ৭:৩০টায় লন্ডন থেকে প্রচারিত বিবিসি সংবাদ শুনে। তার ভাই সুমন ৬৭° পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত করাচি শহরে থাকে। সেও সংবাদটি নিয়মিত শুনে।
১৭৯। জয়নাল উক্ত বিবিসি সংবাদ করাচির স্থানীয় কয়টার সময় শোনে?
ক. বিকাল ৫টা ৫৮ মিনিট খ. সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিট
গ. রাত ৯টা ০২ মিনিট ঘ. রাত ১০টা ০২ মিনিট
উত্তর: ক. বিকাল ৫টা ৫৮ মিনিট
১৮০। বাংলাদেশে সাধারণত কোন স্কেলটি অনুসরণ করা হয়?
ক. মিশরি খ. ব্রিটিশ
গ. ইতালি ঘ. গ্রিস
উত্তর: খ. ব্রিটিশ
আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১: ফ্লোরা বেগম শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিলেন। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নামার পর তিনি দেখলেন, বিমানবন্দরের ঘড়িতে সন্ধ্যা ৬টা কিন্তু নিজের ঘড়িতে তখন রাত ১২টা।
ক. স্থানীয় সময় কাকে বলে?
খ. প্রমাণ সময় বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. ফ্লোরা বেগমের দেখা শহরটির দ্রাঘিমা ০° হলে ঢাকার দ্রাঘিমা কত? নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত স্থানের সময়ের সঙ্গে ঢাকার সময়ের তারতম্য হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. আকাশে সূর্যের অবস্থান থেকে যে সময় গণনা করা হয়, তাকে স্থানীয় সময় বলা হয়।
খ. মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানকে সেই স্থানের দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে সাধারণত একটি বড় দেশের মধ্যে সময়ের গণনার বিভ্রাট হয়। এ সময়ের বিভ্রাট থেকে বাঁচার জন্য প্রতিটি দেশে একটি প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত কোনো একটি দেশের মধ্যভাগের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তাকে প্রমাণ সময় বলা হয়। দেশের আয়তনের উপর ভিত্তি করে একাধিক প্রমাণ সময় হতে পারে; যেমন- যুক্তরাষ্ট্রে চারটি এবং কানাডায় পাঁচটি প্রমাণ সময় রয়েছে।
গ. লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নামার পর ফ্লোরা বেগম দেখলেন বিমানবন্দরের ঘড়িতে সন্ধ্যা ৬টা, কিন্তু তখন তার নিজের ঘড়িতে রাত ১২টা।
কাজেই সময়ের ব্যবধান ৬ ঘণ্টা।
আমরা জানি, ১ ঘণ্টা সময়ের জন্য দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৫০
.:. ৬ ” ” ” ” ” (১৫° x ৬) বা ৯০°
যেহেতু ঢাকা লন্ডনের পূর্বে অবস্থিত। তাই ঢাকার দ্রাঘিমা (০° + ৯০°) বা, ৯০° পূর্ব।
উত্তর : ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০° পূর্ব।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত স্থানটি হলো লন্ডন। লন্ডনের সাথে ঢাকার সময়ের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, কারণ ঢাকা লন্ডনের পূর্বে অবস্থিত।
আমরা জানি, প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট। আমরা আরও জানি যে, পৃথিবী সর্বদা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে। এজন্যই পূর্ব দিকের স্থানগুলোতে আগে দিন হচ্ছে এবং পশ্চিম দিকের স্থানগুলোতে পরে দিন হচ্ছে।
কাজেই বলা যায়, বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশ পূর্ব দিকে অবস্থিত, সেসব দেশে আগে সকাল হবে এবং বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম দিকের দেশগুলোতে পরে সকাল হবে।
ঢাকা উদ্দীপকে উল্লিখিত স্থানটি থেকে পূর্ব দিকে অবস্থিত হওয়ায় দুটি স্থানের সময়ের সাথে ঢাকার সময়ের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। প্রতি ডিগ্রি দূরত্বের জন্য সময়ের ব্যবধান হচ্ছে ৪ মিনিট। এ প্রতিটি ডিগ্রিকে ৬০’ (মিনিট) ভাগ করা হয় এবং প্রতি ১’ (মিনিট) দূরত্বের জন্য ৪ সেকেন্ড সময়ের পার্থক্য হয়। এভাবেই স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দুটি স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪০° হলে সময়ের পার্থক্য হবে (৪০x৪) বা ১৬০ মিনিট। অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। উল্লিখিত কারণে লন্ডনের সাথে ঢাকার সময়ের তারতম্য দেখা যায়।
প্রশ্ন-২:

ক. জিআইএস-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. প্রতিভূ অনুপাত বলতে কী বোঝায়?
গ. উপরের ১ নম্বর চিত্রটি কোন মানচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আমাদের জীবনে চিত্র-২-এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জিআইএস-এর পূর্ণরূপ হলো: Geographical Information System.
খ. স্কেলকে যখন ভগ্নাংশে অথবা অনুপাতে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে প্রতিভূ অনুপাত বলে। ভগ্নাংশের আকারে দেওয়া স্কেলটির লব রাশি মানচিত্রের দূরত্ব এবং হর রাশি একই এককে ভূমির দূরত্ব প্রকাশ করে। এ পদ্ধতিতে ভগ্নাংশের প্রথম অংশ লব ও দ্বিতীয় অংশ হর নামে পরিচিত।
গ. উপরের চিত্র-১ একটি পর্বতের চিত্র, যা সাধারণত প্রাকৃতিক বিষয়ক মানচিত্র দ্বারা প্রকাশ করা যায়। নিচে প্রাকৃতিক বিষয়ক মানচিত্র ব্যাখ্যা করা হলো – টপোগ্রাফিক মানচিত্রের বাংলা নাম প্রাকৃতিক বিষয়ক মানচিত্র।
এর আরেক নাম হচ্ছে স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র। এ মানচিত্রগুলো প্রকৃত জরিপকাজের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত এর মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক- এ দুই ধরনের উপাদান দেখতে পাওয়া যায়। এ ধরনের মানচিত্রের স্কেল একেবারে ছোট না হলেও মৌজা মানচিত্রের মতো বৃহৎ নয়। এ মানচিত্রগুলোতে সাধারণত জমির সীমানা দেখানো হয় না।
ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি, নদী, উপত্যকা, হ্রদ প্রভৃতি দেখানো হয়। অন্যদিকে, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হিসেবে রেলপথ, হাটবাজার, পোস্ট অফিস, সরকারি অফিস, খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দির প্রভৃতি নিখুঁতভাবে দেখানো হয়। বর্তমান যুগে বিমান থেকে ছবি তোলার মাধ্যমে এ মানচিত্রের নবযুগের সূচনা হয়। এ মানচিত্রের স্কেল ১:২০,০০০ হলে ভালোভাবে বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ পায়। সাধারণত বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন স্কেলে এ মানচিত্র তৈরি করে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ব্রিটিশদের তৈরি করা মানচিত্র।
ব্রিটিশরা এ স্কেল তৈরিতে ১:২৫০০০ থেকে ১:১০০০০০ এবং আমেরিকানরা এ মানচিত্র তৈরিতে সাধারণত ১:৬২৫০০ এবং ১:১২৫০০০ স্কেল ব্যবহার করে থাকে। এ মানচিত্র বেশ সমাদৃত।
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
ঘ. উদ্দীপকে চিত্র-২ বলতে মৌজা মানচিত্রের কথা বোঝানো হয়েছে।
মৌজা মানচিত্রের অপর নাম ক্যাডাস্ট্রাল। এ শব্দটি এসেছে ফ্রেঞ্চ শব্দ ক্যাডাস্ট্রে থেকে, যার অর্থ হচ্ছে রেজিস্ট্রিকৃত নিজের সম্পত্তি। এ মানচিত্র তৈরি করা হয় সাধারণত কোনো রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি অথবা বিল্ডিং-এর মালিকানার সীমানা চিহ্নিত করার জন্য। আমাদের জীবনে মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব অধিক। নিচে মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো-
মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হয় সাধারণত কোনো রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি অথবা বিল্ডিং-এর মালিকানার সীমানা চিহ্নিত করার জন্য। এ মানচিত্রের মাধ্যমেই হিসাব করে সরকার ভূমির মালিক থেকে কর নিয়ে থাকে। এ মৌজা মানচিত্র তৈরি হওয়ার ফলে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের অবসান হয়। ফলে সরকারেরও আয়ের, অর্থাৎ কর গ্রহণের সুবিধা হয়। এ মৌজা মানচিত্র তৈরি হলে যেকোনো স্থানে জমি বিক্রি বা হস্তান্তর সহজ হতো । জমি কেনাবেচা বা হস্তান্তরের জন্য এ মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
এ মানচিত্রে নিখুঁতভাবে সীমানা দেওয়া থাকে। তাই সীমানা নির্ধারণেও এ মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব অধিক। এ মানচিত্রের মাধ্যমে বিবিধ তথ্য প্রকাশ করা হয়, ফলে এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বর্তমানে সম্পত্তি নিয়ে নিকট আত্মীয়স্বজনের মধ্যেও বিভিন্ন বিরোধ লক্ষ করা যায়। এ মৌজা মানচিত্র তৈরি না হলে এ বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করত। শহরের পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এ মৌজা মানচিত্র ব্যবহার করা হয়। তাই আধুনিক শহর তৈরির ক্ষেত্রেও এ মানচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।
এ মৌজা মানচিত্র তৈরি হয়েছে বলে আজকাল জমা-জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রেও কোনো জটিলতা দেখা যায় না। তাই উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, আমাদের জীবনে মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন–৩: নাবিল তার মামার সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার অবস্থান, বাংলাদেশের সীমানা ও বিভাগের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করছিল। তার মামা একটি বিশেষ চিত্রের মাধ্যমে উক্ত বিষয়গুলো তাকে দেখিয়েছেন। চিত্রটি পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, রং ও প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে নাবিলের বিষয়গুলো বুঝতে সহজ হয়েছে।
ক. জিপিএস-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. ভাষাগত অসুবিধা দূর করার জন্য কোন মানচিত্র স্কেল ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
গ. নাবিলের মামা কোন চিত্রের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, সীমানা দেখিয়ে দিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্রটি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পদ্ধতি ও তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের নিয়মাবলি বিশ্লেষণ কর।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জিপিএস-এর পূর্ণরূপ হলো- Global Positioning System.
খ. ভাষাগত অসুবিধা দূর করার জন্য প্রতিভূ অনুপাতের সাহায্যে প্রকাশিত স্কেল ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন দেশের দূরত্ব পরিমাপের জন্য স্বতন্ত্র একক ব্যবহার করা হয়। এরূপ এক দেশের এককের মাধ্যমে মানচিত্রে স্কেল প্রকাশ করলে ভাষাগত কারণে তা অন্য দেশের লোকের কাছে ব্যবহারযোগ্য হবে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য প্রতিভূ অনুপাত পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নাবিলের মামা প্রশাসনিক মানচিত্রের সাহায্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার অবস্থান, বাংলাদেশের সীমানা ও বিভাগের অবস্থানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
পৃথিবী বা কোনো অঞ্চল বা এর অংশবিশেষকে কোনো সমতল ক্ষেত্রের উপর অঙ্কন করাকে মানচিত্র বলে। প্রশাসনিক মানচিত্র হলো মানচিত্রের একটি প্রকারভেদ। প্রশাসনিক মানচিত্র সাধারণত কাগজের এক পৃষ্ঠায় অঙ্কন করা হয়ে থাকে। এ মানচিত্রে উক্ত দেশের আন্তর্জাতিক সীমা, উক্ত দেশের কোন দিকে কোন দেশ ইত্যাদি এঁকে দেখানো হয়। এছাড়া সেই দেশে কতটি বিভাগ, কতটি জেলা ও এদের নাম এবং সীমানা দেখানো হয়ে থাকে। মাত্র এক পৃষ্ঠার মধ্যেই প্রশাসনিক মানচিত্র সীমাবদ্ধ থাকে।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকে নাবিলের মামা নাবিলকে প্রশাসনিক মানচিত্রে বাংলাদেশের বিভাগ, জেলা ও সীমানা দেখিয়েছিল।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি মানচিত্র। মানচিত্র তৈরির ক্ষেত্রে কতগুলো পদ্ধতি ও তথ্য উপস্থাপনের নিয়ম রয়েছে। নিচে এগুলো বিশ্লেষণ করা হলো-
শিরোনাম : প্রতিটি মানচিত্রেরই একটি শিরোনাম থাকে। এটি কোনো দেশের বা কোনো অঞ্চলের কিসের মানচিত্র এতে তা উল্লেখ থাকে।
স্কেল : কোনো অঞ্চলের মানচিত্র তৈরির সময় এর আয়তনকে কমিয়ে ক্ষুদ্র করে আঁকতে হয়। একে স্কেল অনুসারে আঁকা হয়। স্কেল থেকে বোঝা যায় কোন আয়তনকে কতটুকু কমানো হয়েছে। স্কেল যত ছোট হবে মানচিত্রে তত বেশি আয়তন দেখানো যাবে।
উত্তর দিক : মানচিত্রের দিক জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানচিত্রের মাথায় বাম দিকের মার্জিনে একটি তীর দেওয়া থাকে। এ তীরের মাথায় উত্তর লেখা থাকে। উত্তর দিয়ে উত্তর দিক বোঝানো হয়। একটি দিক জানা থাকলে আমরা সহজেই অন্য দিকগুলো যেমন-দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম বের করতে পারি।
সূচক : মানচিত্রে কোন প্রতীক দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে সূচক তা নির্দেশ করে। প্রতিটি মানচিত্রেই প্রতীক ও এদের সূচক উল্লেখ করতে হবে।
তথ্য উপাত্ত : সব মানচিত্র তথ্য বা উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয়। এজন্য তথ্যের উৎসব মার্জিন বা মার্জিনের বাইরে দেওয়া প্রয়োজন।
উপরের আলোচিত পদ্ধতিগুলো মানচিত্রে তথ্য উপস্থাপনের জন্য ব্যবহূত হয়।
প্রশ্ন-৪ :

ক. সূচক কী?
খ. পরিমাণগত মানচিত্র বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ১ নম্বর চিত্রটির ব্যবহারিক দিক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সীমানা নির্ধারণ ২ নম্বর চিত্রটি অধিক কার্যকরী- বিশ্লেষণ কর।
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সূচক হলো মানচিত্রে কোন প্রতীক দিয়ে কি বোঝানো হয়েছে তার নির্দেশক।
খ. বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্র দুই প্রকারের। এ দুপ্রকার মানচিত্রের মধ্যে পরিমাণগত মানচিত্র একটি। বায়ুর উত্তাপ, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, জনসংখ্যার বণ্টন, জনসংখ্যার ঘনত্ব, খনিজ উৎপাদন, বনজ উৎপাদন, শিল্পজ উৎপাদন প্রভৃতি পরিসংখ্যান তথ্য যেসব মানচিত্র দেখানো হয় সেসব মানচিত্র পরিমাণগত মানচিত্রের অন্তর্গত।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘১’ নং চিত্রটি হলো স্কেল। নিচে স্কেলের ব্যবহারিক দিক ব্যাখ্যা করা হলো-
মানচিত্রের দুটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব ডিভাইডারের (কাটা কম্পাস) সাহায্যে পরিমাপ করে মানচিত্রের সাথে অঙ্কিত রৈখিক স্কেলের উপর ঐ পরিমাপ বিশিষ্ট ডিভাইডারের কাটা দুটি স্থাপন করলে মানচিত্রের ঐ দুটি স্থানের ভূমিতে প্রকৃত দূরত্ব সম্বন্ধে জানা যায়। জরিপ কাজের সময় স্কেলের ব্যবহার করতে হয়। মানচিত্রের বা নক্শার আয়তন নির্ধারণের জন্য স্কেলের ব্যবহার করতে হয়।
মানচিত্রের উপর বিভিন্ন শহর ও বস্তুগুলোর পারস্পরিক দূরত্ব নির্ণয় করতে স্কেল ব্যবহার করতে হয়। মানচিত্রের উপরে অঙ্কিত কোনো রেলপথ, রাস্তা প্রভৃতির দৈর্ঘ্য নির্ণয় করার জন্য স্কেল ব্যবহার করতে হয়। মানচিত্র অঙ্কন, মানচিত্র পঠন এবং মানচিত্রের আয়তন নির্ণয়ের সময় স্কেল ব্যবহার করতে হয়।
সুতরাং বলা যায়, মানচিত্রের রেখাগুলো সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য স্কেলের প্রয়োজন হয়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘২’ নম্বর চিত্রটি হলো ক্যাডাস্টাল বা মৌজা মানচিত্র।
সীমানা নির্ধারণে মৌজা মানচিত্র অধিক কার্যকরী। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হয় সাধারণত কোনো রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি অথবা বিল্ডিং-এর মালিকানার সীমানা চিহ্নিত করার জন্য এ মানচিত্রের মাধ্যমেই হিসাব করে সরকার ভূমির মালিক থেকে কর নিয়ে থাকে। এ মৌজা মানচিত্র তৈরি হওয়ার ফলে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের অবসান হয়। ফলে সরকারেরও আয়ের, অর্থাৎ কর গ্রহণের সুবিধা হয়।
এ মৌজা মানচিত্র তৈরি হলে যেকোনো স্থানে জমি বিক্রি বা হস্তান্তর সহজ হতো । জমি কেনাবেচা বা হস্তান্তরের জন্য এ মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এ মানচিত্রে নিখুঁতভাবে সীমানা দেওয়া থাকে। তাই সীমানা নির্ধারণেও মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব অধিক। এ মানচিত্রের মাধ্যমে বিবিধ তথ্য প্রকাশ করা হয়, ফলে এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বর্তমানে সম্পত্তি নিয়ে নিকট আত্মীয়স্বজনের মধ্যেও বিভিন্ন বিরোধ লক্ষ করা যায়।
এ মৌজা মানচিত্র তৈরি না হলে বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করত। শহরের পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এ মানচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। এ মৌজা মানচিত্র তৈরি হয়েছে বলে আজকাল জমিজমা কেনাবেচার ক্ষেত্রেও কোনো জটিলতা দেখা যায় না।
সুতরাং বলা যায় যে, সীমানা নির্ধারণে মৌজা মানচিত্র অধিক কার্যকরী।
প্রশ্ন–৫: আভা মানচিত্র সম্পর্কে ভূগোলের শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি একটি চিত্র দেখিয়ে বলেন যে, এটি মানচিত্র। এরপর মানচিত্রের অঙ্কন, শ্রেণিবিভাগ এবং মানচিত্রের তথ্য–উপাত্ত উপস্থাপনের নিয়মাবলির বিবরণ দিলেন। আভা এতে উৎসাহিত হলো এবং নিজে মানচিত্র অঙ্কন করতে শিখল।
ক. Map শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?
খ. মানচিত্রের নামকরণ কীভাবে হলো?
গ. মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
ঘ. আভা যেভাবে মানচিত্র অঙ্কন করতে শিখল সেই আলোকে বাংলাদেশের একটি পূর্ণ পৃষ্ঠা মানচিত্র অঙ্কন করে ৮টি বিভাগীয় শহর ও ৩টি প্রধান নদী দেখাও।
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ইংরেজি Map শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো মানচিত্র।
খ. ল্যাটিন শব্দ Mappa থেকে Map শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন ভাষায় কাপড়ের টুকরোকে Mappa বলা হয়। আগেকার দিনে কাপড়ের উপরই Map বা মানচিত্র আঁকা হতো। পৃথিবী বা কোনো অঞ্চল বা এর অংশবিশেষকে কোনো সমতল ক্ষেত্রের উপর অঙ্কন করাকে মানচিত্র বলে। এ সমতল ক্ষেত্র হতে পারে এক টুকরো কাপড় বা এক টুকরো কাগজ। আর এভাবেই কাপড়ের টুকরো বা Mappa থেকেই মানচিত্রের নামকরণ করা হয়।
গ. সাধারণত মানচিত্র বড় স্কেল বা ছোট স্কেলের হয়ে থাকে। নিচে একটি ছকের সাহায্যে এক নজরে মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগ দেখানো হলো:

ঘ. আভা যেভাবে মানচিত্র অঙ্কন করতে শিখল, নিচে সেই আলোকে বাংলাদেশের একটি পূর্ণপৃষ্ঠা মানচিত্র অঙ্কন করে ৮টি বিভাগ ও ৩টি প্রধান নদী দেখানো হলো:

প্রশ্ন–৬ : তুৰ্য তার দাদার সাথে ভূমি অফিসে গেল জমির খাজনা দিতে। সেখানে ভূমি কর্মকর্তার কাছে একবিশেষ ধরনের মানচিত্র দেখল। কিন্তু ঢাকায় বেড়াতে এসে জাতীয় যাদুঘরে অন্য আরেক ধরনের মানচিত্র দেখেছিল, যে মানচিত্রে পাহাড়, পর্বত, বনভূমি, নদনদী, রেলপথ ইত্যাদি রয়েছে। দুই ধরনের মানচিত্র দেখে তুৰ্য্যর মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিল। সে তার দাদাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে দাদা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন।
ক. জিআইএস কত সালের দিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হতে থাকে?
খ. মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হয় কেন?
গ. তৃৰ্য্য জাতীয় যাদুঘরে যে মানচিত্র দেখেছে, সেই আলোকে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে তিনটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
ঘ. উদ্দীপকে যে দুই ধরনের মানচিত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে, তাদের অমিলগুলো উপস্থাপন কর।
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জিআইএস ১৯৮০ সালের দিক থেকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
খ. মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হয় সাধারণত কোনো রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি অথবা বিল্ডিং-এর মালিকানার সীমানা চিহ্নিত করার জন্য। আমাদের দেশে আমরা যে মৌজা মানচিত্রগুলো দেখতে পাই, সেগুলো আসলে ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র। এ মানচিত্রের মাধ্যমেই হিসাব করে সরকার ভূমির মালিক থেকে কর নিয়ে থাকে। গ্রামের মানচিত্রগুলো এবং শহরের পরিকল্পনার মানচিত্র এ মৌজা মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তুৰ্য্য জাতীয় যাদুঘরে প্রাকৃতিক বিষয়সংক্রান্ত মানচিত্র দেখেছে। নিচে সেই আলোকে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে তিনটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যেমন- পার্বত্য ভূমি, প্রধান তিনটি নদী ও সমভূমি দেখানো হলো:

ঘ. উদ্দীপকে মৌজা মানচিত্র ও প্রাকৃতিক বিষয়সংক্রান্ত মানচিত্রএ দুই ধরনের মানচিত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে।
এরা উভয়ে স্কেলভিত্তিক মানচিত্র হলেও এদের মধ্যে অনেক অমিল রয়েছে। নিচে অমিলগুলো উল্লেখ করা হলো:
মৌজা মানচিত্র | ভূসংস্থানিক মানচিত্র |
এ মানচিত্র তৈরি করা হয় রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি অথবা বিল্ডিং-এর মালিকানার সীমানা চিহ্নিত করার জন্য। | এ মানচিত্রে সাধারণত সাধারণত কোনো প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক- দুই ধরনের উপাদান দেখা যায়। |
এ মানচিত্রে নিখুঁতভাবে সীমানা দেওয়া থাকে। | এ মানচিত্রে জমির সীমানা দেখানো হয় না। |
এ মানচিত্রের মাধ্যমেই হিসাব করে সরকার ভূমির মালিক থেকে কর নিয়ে থাকে। | কর আদায়ের ক্ষেত্রে এ মানচিত্রের প্রয়োজন হয় না। |
এ মানচিত্র বৃহৎ স্কেলে অঙ্কন করা হয়। যা ১৬ ইঞ্চিতে বা ৩২ ইঞ্চিতে ১ মাইল দেখানো হয়। | এ ধরনের মানচিত্র সাধারণত ছোট স্কেলে অঙ্কন করা হয়। যেমন- ১ ইঞ্চিতে ২০০০০ বা ১০০০০ মাইল। |
এ মানচিত্রের ইংরেজি নাম Cadastral Map । | এ মানচিত্রের ইংরেজি নাম Topographical Map । |
প্রশ্ন-৭: রিয়াদ ও সিফাত বাংলাদেশ থেকে চাকরির প্রয়োজনে দুটি ভিন্ন দেশে অবস্থান করেছে। রিয়াদ ও সিফাতের অবস্থানের দ্রাঘিমা যথাক্রমে ৭০° পূর্ব এবং ৫০° পূর্ব।
ক. প্রমাণ সময় কী?
খ. কোন যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের উন্নতি পরিমাপ করা যায়? বর্ণনাকর।
গ. রিয়াদের অবস্থানে যখন মধ্যাহ্ন সিফাতের অবস্থানের তখনস্থানীয় সময় কত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রিয়াদ ও সিফাতের জন্মভূমির সাথে উদ্দীপকের উল্লিখিত স্থান দুটির সময়ের কী পার্থক্য আছে নির্ণয় কর।
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করা হয় সেই সময়ই হলো প্রমাণ সময়।
খ. সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের উন্নতি পরিমাপ করা যায়। এ যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের উন্নতি কোণ নির্ণয় করে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়। কোনো স্থানের অক্ষাংশ = ৯০° – (মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি ± বিষুবলম্ব)।
গ. দেওয়া আছে, রিয়াদের অবস্থানকৃত দেশের দ্রাঘিমা ৭০° পূর্ব
সিফাতের অবস্থানকৃত দেশের দ্রাঘিমা ৫০° পূর্ব
.:. রিয়াদ ও সিফাতের অবস্থানকৃত দেশের দ্রাঘিমার পার্থক্য
= (৭০° – ৫০°) পূর্ব
= ২০° পূর্ব
আমরা জানি, ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট
.:. ২০০ ” ” ” ” ২০ x ৪ ”
= ৮০ মিনিট
= ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
যেহেতু সিফাতের অবস্থানকৃত দেশের দ্রাঘিমা রিয়াদের অবস্থানকৃত দেশের দ্রাঘিমা থেকে কম সেহেতু আমরা বুঝতে পারি সিফাতের অবস্থানকৃত দেশটি রিয়াদের অবস্থানকৃত দেশের পশ্চিমে অবস্থিত। তাই রিয়াদের অবস্থানকৃত দেশের মধ্যাহ্ন সময় থেকে সময়ের ব্যবধান বিয়োগ করলে সিফাতের অবস্থানকৃত দেশের স্থানীয় সময় পাওয়া যাবে।
সুতরাং সিফাতের অবস্থানকৃত দেশের স্থানীয় সময় = ১২টা – ১ ঘন্টা ২০ মিনিট = ১০ টা ৪০ মিনিট
উত্তর : ১০টা ৪০ মিনিট।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রিয়াদ ও সিফাতের জন্মভূমি হলো বাংলাদেশ। এদেশ ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত। আর রিয়াদ ও সিফাতের জন্মভূমির সাথে তাদের অবস্থানকৃত দেশ দুটির সময়ের পার্থক্য আছে। নিচে তা নির্ণয় করা হলো-
বাংলাদেশ ও রিয়াদের অবস্থানকৃত দেশের দ্রাঘিমার পার্থক্য হলো = (৯০° – ৭০°) পূর্ব = ২০° পূর্ব
আমরা জানি, ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট
.:. ২০০ ” ” ” ” ২০ x ৪ ”
= ৮০ মিনিট
= ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
বাংলাদেশের সাথে রিয়াদের অবস্থানকৃত দেশের সময়ের পার্থক্য হলো: ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
আবার সিফাতের অবস্থানকৃত দেশ ও বাংলাদেশের দ্রাঘিমার পার্থক্য হলো = (৯০° – ৫০°) পূর্ব
= ৪০° পূর্ব
আমরা জানি, ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট
.:. ৪০০ ” ” ” ” ৪ x ৪০ ”
= ১৬০ মিনিট
= ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
.:. বাংলাদেশের সাথে সিফাতের অবস্থানকৃত দেশের সময়ের পার্থক্য হলো : ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের সাথে রিয়াদ ও সিফাতের অবস্থানকৃত দেশ দুটির মধ্যে দ্রাঘিমারেখার ব্যবধান ও প্রমাণ সময়ের জন্য সময়ের পার্থক্য রয়েছে।
প্রশ্ন–৮ : ৩১শে আগস্ট শুক্রবার পলাশ লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য রাত ১০টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। রাত ১১টা ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে তাদের বিমান লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এ সময় পলাশের প্রবাসী বন্ধু শিপন ম্যাসেঞ্জারে জানায় লন্ডনে তখন বিকাল ৫টা।
ক. সময়ের পার্থক্য মূলত কিসের কারণে হয়?
খ. মূল মধ্যরেখার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ঢাকার সময় যখন রাত ১১টা ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড, তখন লন্ডনের সময় বিকেল ৫টা। লন্ডনের দ্রাঘিমা ০° হলে ঢাকার দ্রাঘিমা কত?
ঘ. “গ্রিনিচ সময়ের মাধ্যমে আমরা ভূপৃষ্ঠের যেকোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে পারি।” এ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সময়ের পার্থক্য মূলত দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে হয়।
খ. লন্ডন শহরের নিকটে অবস্থিত গ্রিনিচ নামক স্থানের উপর দিয়ে যে ০° দ্রাঘিমারেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাকে মূল মধ্যরেখা বলা হয়। এ রেখার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম; যেমন-
- মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বের উপর ভিত্তি করে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়।
- কোনো স্থানের সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মূল মধ্যরেখার সময় ব্যবহার করা হয় ।
- মূল মধ্যরেখার ভিত্তিতেই পৃথিবীর একটি অঞ্চলের দ্রাঘিমা পূর্ব বা পশ্চিম হিসেবে চিহ্নিত হয়।
গ. ঢাকা ও লন্ডনের সময়ের পার্থক্য :
রাত ১১টা ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড – বিকেল ৫টা
= ৬ ঘণ্টা ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড।
১ ঘণ্টা সময়ের জন্য দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৫°
৬ ” ” ” (১৫° x৬) = ৯০°
১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড = ৬০ সেকেন্ড + ৪৪ সেকেন্ড
= ১০৪ সেকেন্ড।
৪ সেকেন্ড সময়ের জন্য দ্রাঘিমার পার্থক্য ১ʹ
১ ” ” ” ” ” (১/৪)ʹ
১০৪ ” ” ” ” ” (১০৪/৪)ʹ
= ২৬ʹ
.:. মোট দ্রাঘিমার পার্থক্য = ৯০°২৬ʹ।
যেহেতু ঢাকার সময় লন্ডনের সময় থেকে অগ্রগামী, সেহেতু ঢাকার দ্রাঘিমা লন্ডনের পূর্বে অবস্থিত হবে ।
.:. লন্ডনের দ্রাঘিমা ০° হলে ঢাকার দ্রাঘিমা হবে ৯০°২৬ʹ পূর্ব।
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
ঘ. গ্রিনিচ সময়ের মাধ্যমে আমরা ভূপৃষ্ঠের যেকোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে পারি। এ সম্পর্কে নিচে আমার মতামত দেওয়া হলো:
গ্রিনিচের সময়ের সাথে কোনো স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য দেখে সে স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয় ।
আমরা জানি, গ্রিনিচের দ্রাঘিমা ০°। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে যে স্থানের দ্রাঘিমা বের করতে হবে, সেই স্থানে আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান দেখে সে সময় সেই স্থানের দুপুর ১২টা ধরা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে গ্রিনিচের সময় ও সেই স্থানের সময়ের পার্থক্য থেকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়।
কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বে হলে তার স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে বেশি হবে এবং পশ্চিমে হলে স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে কম হবে। এভাবে গ্রিনিচের সময়ের মাধ্যমে আমরা ভূপৃষ্ঠের যেকোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে পারি- কথাটি সঠিক ও যথার্থ ।
প্রশ্ন–৯: ঢাকার জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে বিশ্বায়নের উপরে এক সেমিনারে মানচিত্রে জিপিএস (GPS) ও জিআইএস (GIS)-এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম পরিবেশবিজ্ঞানী ও জিআইএস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখছিলেন।
ক. অক্ষাংশ কাকে বলে?
খ. মানচিত্র কী কাজে লাগে?
গ. প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জিপিএস-এর যে ধরনের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো তুলে ধরতে পারেন, সেগুলো নিরূপণ কর।
ঘ. কম্পিউটারের যুগে মানচিত্রে উক্ত সেমিনারের বক্তব্যের বিষয় জিআইএস-এর গুরুত্ব ও ব্যবহার সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়।
খ. কোনো স্থানের অবস্থান থেকে শুরু করে ঐ স্থানের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য মানচিত্রের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং বলা যায়, খুব কম সময়ে সহজ উপায়ে ঘরে বসে সারা বিশ্বকে জানার জন্যই মানচিত্রের উৎপত্তি। আধুনিক সভ্যতায় মানচিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ইতিহাসবিদ, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সৈনিক ও নাবিকদের কাছে মানচিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ভূগোলবিদ ও ভূগোলের শিক্ষার্থীদের কাছে মানচিত্র একটি অপরিহার্য উপাদান।
গ. প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জিপিএস -এর যে ধরনের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো তুলে ধরতে পারেন, সেগুলো নিচে নিরূপণ করা হলো:
জিপিএস-এর ইংরেজি হলো Global Positioning System (GPS)। কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, উচ্চতা ও দূরত্ব এবং ঐ স্থানের উত্তর দিক, তারিখ ও সময় জিপিএস দ্বারা জানা যায়। মোটকথা, কোনো একটি স্থানের গ্লোবালি অবস্থান জানতে চাইলে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে জিপিএস।
প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জিপিএস-এর যে ধরনের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো তুলে ধরতে পারেন সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
সুবিধা : জিপিএস-এর মাধ্যমে ভূমি জরিপে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই জমির সীমানা চিহ্নিত করা সম্ভব। এতে সময় অনেক কম অপচয় হবে। যেকোনো দুর্যোগকালীন জিপিএস-এর মাধ্যমে কোনো একটি স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ জেনে সেখানে দ্রুত সাহায্য পাঠানো সম্ভব হবে।
অসুবিধা : জিপিএস-এর সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন- এর মূল্য বেশি, তাই সহজলভ্য নয়। বেশির ভাগ জনগণ এর সাথে পরিচিত নয়। বেশির ভাগ লোক এটি চালাতে পারে না। এছাড়া সনাতনী পদ্ধতি না ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
উপযুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, জিপিএস-এর সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে।
ঘ. কম্পিউটার যুগে মানচিত্রে উক্ত সেমিনারের বক্তব্যের বিষয় জিআইএস-এর গুরুত্ব ও ব্যবহার সম্পর্কে নিচে আমার মতামত দেওয়া হলো-
ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে জিআইএস (Geographical Information System) বলা হয়। এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থা, যার মধ্য দিয়ে ভৌগোলিক তথ্যগুলোর সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক ও পারিসরিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে।
বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন, পানি গবেষণা, আঞ্চলিক গবেষণা, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা, জনসংখ্যা বিশ্লেষণ, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশ্লেষণ প্রভৃতি বহুবিধ কাজে জিআইএস ব্যবহার হচ্ছে। জিআইএস-এর মাধ্যমে একটি মানচিত্রের মধ্যে অনেক ধরনের উপাত্ত উপস্থাপন করে মানচিত্রটির উপযোগিতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যেমন- একটি মানচিত্রের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, টপোগ্রাফি, ভূমি ব্যবহার, যোগাযোগ, মৃত্তিকা, রাস্তা প্রভৃতি দেখিয়ে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের পুরো চিত্র তুলে ধরা যায়।
উপযুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, জিপিএস -এর গুরুত্ব ও ব্যবহার অপরিসীম।
প্রশ্ন–১০: বর্ণা ঢাকায় বসে রেডিওতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুনছিল। সন্ধ্যা ৭.৩০টায় বাংলা খবর শোনার জন্য বিবিসি ধরল। সাথে সাথে একটি মিউজিকের পর সংবাদ পাঠক বললেন, বেলা ১.৩০টা বাজার সময় সংকেত শুনলেন। ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০° পূ:।
ক. স্থানীয় সময় কী?
খ. ভূসংস্থানিক মানচিত্র বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সংবাদ পাঠকের স্থানের দ্রাঘিমা কত?
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত স্থানের সময়ের সাথে ঢাকার সময়ের পার্থক্যের কারণ দ্রাঘিমার পার্থক্য- বিশ্লেষণ কর।
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. আকাশে সূর্যের অবস্থান দেখে যে সময় স্থির করা হয় তা-ইস্থানীয় সময় ।
খ. যে মানচিত্রে কোনো স্থানের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আঁকা থাকে তাকে ভূসংস্থানিক মানচিত্র বলে। ভূসংস্থানিক মানচিত্রে ভূমির ঢাল, পর্বত, মালভূমি ইত্যাদি সমোচ্চরেখার সাহায্যে প্রদর্শিত হয়। মসজিদ, মন্দির, ডাকঘর, হাসপাতাল, বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, হিমবাহ, নদনদী, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ইত্যাদির জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ব্যাপক ভূপ্রাকৃতিক জরিপের মাধ্যমে এ মানচিত্রগুলো তৈরি করা হয়। এজন্য ভূসংস্থানিকের আরেক নাম স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র।
গ. বর্ণা ঢাকায় বসে সন্ধ্যা ৭:৩০টায় বাংলা খবর শোনার জন্য বিবিসি ধরল। সে সময় সংবাদ পাঠক বললেন, বেলা ১:৩০টা বাজে। এখানে সময়ের পার্থক্য ৬ ঘণ্টা।
১ ঘণ্টা সময়ের জন্য দ্রাঘিমার পার্থক্য হয় ১৫০
.:. ৬ ” ” ” ” ” ” (১৫০ x ৬) বা ৯০°।
যেহেতু ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০° পূর্ব এবং দ্রাঘিমার পার্থক্যও ৯০° সেহেতু লন্ডনের দ্রাঘিমা (৯০- ৯০°) = ০°।
সুতরাং সংবাদ পাঠকের স্থানের দ্রাঘিমা ০°।
ঘ. নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যেসব রেখা কল্পনা করা হয়েছে সেগুলোই দ্রাঘিমারেখা।
দ্রাঘিমারেখাকে মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের মান ধরা হয়েছে ৪ মিনিট। অর্থাৎ দুটি স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য ১° হলে সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট হবে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের কাছে গ্রিনিচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এটি মূল মধ্যরেখা নামে পরিচিত। এর মান ০° ধরা হয়েছে।
এসএসসি সকল বিষয় নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন
পৃথিবীর পরিধি দ্বারা উৎপন্ন কোণ ৩৬০° এবং মূল মধ্যরেখা এই ৩৬০°-কে ১০ অন্তর সমান দুই ভাগে অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিমে ১৮০° করে ভাগ করেছে। একে মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে সময় নির্ণয় করা হয়।
উদ্দীপকে ঢাকার সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট এবং ঐ সময় সংবাদ পাঠকের স্থানের সময় দুপুর ১:৩০ মিনিট। এখানে সংবাদ পাঠকের স্থানের দ্রাঘিমা ০° এবং ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০° পূর্ব। দুটি স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য ৯০° হওয়ায় এখানে সময়ের পার্থক্যও ৬ ঘণ্টা হয়েছে।
সুতরাং উদ্দীপকের দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্যের কারণ দ্রাঘিমার পার্থক্য।