এসএসসি-বিজ্ঞান নোট
চতুর্থ অধ্যায়– নবজীবনের সূচনা
STARTING A NEW LIFE
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি:
বয়ঃসন্ধিকাল :
শৈশব থেকে কৈশোরে পদার্পণকালে শারীরিক ও মানসিক নানা রকম পরিবর্তন ঘটে। এ সময়টা হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকাল ।
অভিব্যক্তি :
জৈব অভিব্যক্তি বলতে বোঝায় সময়ের সঙ্গে কোনো জীবের সমগ্র পপুলেশনে পরিবর্তন, যা সৃষ্টি করে নতুন কোনো জীবপ্রযুক্তি।
কোষ :
জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে। প্রকৃতপক্ষে জীবিত পর্দা দিয়ে আবৃত প্রোটোপ্লাজমকে কোষ বলে।
গর্ভধারণ :
পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান আসে অর্থাৎ সে গর্ভধারণ করে।
অটোজোম :
মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা ৪৬ বা ২৩ জোড়া। এর মধ্যে এক জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম, বাকি ২২ জোড়া ক্রোমোজোমকে অটোজোম বলা হয়।
নিউক্লিওপ্রোটিন :
প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন।
ভাইরাস :
ভাইরাস এমন একটি অবস্থা নির্দেশ করে, যা জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা।
জীবাশ্ম :
ভূগর্ভের শিলাস্তরে দীর্ঘকাল চাপা পড়ে থাকা জীবের সামগ্রিক বা আংশিক প্রস্তরীভূত দেহ বা দেহছাপকে জীবাশ্ম বলে।
প্রত্নজীববিদ্যা :
বিজ্ঞানের যে শাখা বর্তমান পৃথিবী হতে বিলুপ্ত জীব সম্পর্কে অনুসন্ধানে নিয়োজিত, তাকে প্রত্নজীববিদ্যা বলে।
জীবন্ত জীবাশ্ম :
কতগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করেও কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে, অথচ তাদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক জীবদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এই সকল জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। যেমন- রাঁজকাকড়া
টেস্টটিউব বেবি :
কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রূণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলে।
অঙ্গসংস্থান :
বিভিন্ন জীবের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বাহ্যিক গঠনকে অঙ্গসংস্থান বলে।
তুলনামূলক শারীরস্থান :
বিভিন্ন জীবের অঙ্গের অন্তর্গঠনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সংক্রান্ত আলোচনাকে তুলনামূলক শারীরস্থান বলে।
ভ্রূণ :
ডিমের ভেতরে অথবা গর্ভের মধ্যে অবস্থিত শিশু প্রাণীকে এবং উদ্ভিদের বীজের মধ্যে অবস্থিত শিশু উদ্ভিদকে ভ্রূণ বলে।
ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন :
দেহের বাইরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানোকে বলে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১। বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে?
উত্তর : শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট বিশেষ কিছু হরমোনের প্রভাবে ১০-১৯ বছর বয়সে ছেলে বা মেয়েদের মাঝে আকস্মিকভাবে যে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে সেই পরিবর্তনের সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
২। একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম লেখ।
উত্তর : একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম প্লাটিপাস।
৩। আমাদের স্বাভাবিক জীবনে কোন কোন স্তর পার হতে হয়?
উত্তর : আমাদের জীবনে শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব ইত্যাদি স্তর পার হতে হয়।
৪। কোষ কী?
উত্তর : জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে। প্রকৃতপক্ষে জীবিত পর্দা দিয়ে আবৃত প্রোটোপ্লাজমকে কোষ বলে।
৫। গর্ভধারণ কী?
উত্তর : পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান আসে, যেটিকে গর্ভধারণ বলে।
৬। সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে এর জন্য দায়ী কে?
উত্তর : সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তার জন্য প্রধানত দায়ী সন্তানের বাবা।
৭। অটোজোম কী?
উত্তর : এক জোড়া লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমােজোম ছাড়া বাকি ২২ জোড়া ক্রোমোজোমগুলোকে অটোজোম বলা হয়।
৮। মাতৃগর্ভে কোন পদ্ধতিতে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়।
উত্তর : মাতৃজনন কোষ থেকে মিয়োসিস পদ্ধতিতে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়।
৯। ছেলে ও মেয়ের ক্রোমোজোমগুলো কী কী?
উত্তর : ছেলের সেক্স ক্রোমোজোমে থাকে X ও Y এবং মেয়ের সেক্স ক্রোমোজোমে থাকে X ও X।
১০। জীবনের আবির্ভাবের ২য় যুক্তি কী?
উত্তর : সমুদ্রের পানিতে এখনো অনেক সরল এবং এককোষী জীব বসবাস করে।
১১। প্রায় ২৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কী কী গ্যাস ছিল?
উত্তর : পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে মিথেন, অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড এবং জলীয় বাষ্প, নাইট্রোজেন গ্যাস, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ছিল।
১২। নিউক্লিওপ্রোটিন কী?
উত্তর : প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন।
১৩। অভিব্যক্তি কী?
উত্তর : পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীবনের উৎপত্তির ঘটনাপ্রবাহকে বলে রাসায়নিক বিবর্তন বা অভিব্যক্তি।
১৪। একটি আদিকোষের নাম লেখ?
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া একটি আদিকোষ।
১৫। প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে?
উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখা বর্তমান পৃথিবী হতে বিলুপ্ত জীব সম্পর্কে অনুসন্ধানে নিয়োজিত তাকে প্রত্নজীববিদ্যা বলে।
১৬। জীবাশ্ম কী?
উত্তর : ভূগর্ভের শিলাস্তরে দীর্ঘকাল চাপা পড়ে থাকা জীবের সামগ্রিক বা আংশিক প্রস্তরীভূত দেহ বা দেহছাপকে জীবাশ্ম বলে।
১৭। জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলে?
উত্তর : কতগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করেও কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে, অথচ তাদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক জীবদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এই সকল জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে।
১৮। ‘বায়োলজি’ শব্দটির প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর : ল্যামার্ক ‘বায়োলজি’ শব্দটির প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনিই সর্বপ্রথম অভিব্যক্তির উপর বিশ্লেষণী তত্ত্বটি আবিষ্কার করেন।
১৯। ল্যামার্কবাদ বা ল্যামার্কিজম কী?
উত্তর : ল্যামার্কের তত্ত্বকে ল্যামার্কবাদ বা ল্যামার্কিজম বলে।
২০। প্রকাশ বা পরিবৃত্তি কী?
উত্তর : জীব দুটির মধ্যে যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকাশ বা পরিবৃত্তি বলে।
২১। প্রাকৃতিক নির্বাচন কী?
উত্তর : যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল প্রকাশ বা অভিযােজনমূলক প্রকাশ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে।
২২। জৈব বিবর্তন কী?
উত্তর : সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে জৈব বিবর্তন বলে।
২৩। নিটাম (Gnetum) কী?
উত্তর : নিটাম (Gnetum) হলো একপ্রকার সংযোগকারী উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদে ব্যপ্তবীজী ও গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
২৪। প্লাটিপাস কী?
উত্তর : প্লাটিপাস হলো এক প্রকার সংযোগকারী বা কানেকটিং লিংক জীব।
২৫। টেস্টটিউব বেবি কাকে বলে?
উত্তর : কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রূণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলে।
২৬। ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন কাকে বলে?
উত্তর : দেহের বাইরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানোকে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বলে।
২৭। লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
উত্তর : লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা এক জোড়া।
২৮। মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা সর্বমোট কতটি?
উত্তর : মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা ৪৬টি অর্থাৎ ২৩ জোড়া।
২৯। ইভোলিউশন/অভিব্যক্তিবিবর্তন কী?
উত্তর : যে অবিরাম ও গতিশীল পরিবর্তন দ্বারা কেনো সরলতম উদবংশীয় জীবের পরিবর্তনের ফলে জটিল ও উন্নততর নতুন প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্তন বা অভিব্যক্তি বা ইভোলিউশন বলে।
৩০। সর্বপ্রথম ‘ইভোলিউশন‘ শব্দটি কে ব্যবহার করেন?
উত্তর : ইংরেজ দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ হার্বার্ট স্পেনসার সর্বপ্রথম ইভোলিউশন কথাটি বা শব্দটি ব্যবহার করেন।
৩১। অঙ্গসংস্থান কী?
উত্তর : বিভিন্ন জীবের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাহ্যিক গঠনকে অঙ্গসংস্থান বলে।
৩২। কয়েকটি সমসংস্থ অঙ্গের উদাহরণ দাও।
উত্তর : পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা, তিমির ফ্লিপার, সিলের অগ্রপদ, ঘোড়ার অগ্রপদ, মানুষের হাত ইত্যাদি হলো সমসংস্থ অঙ্গ।
৩৩। সংযোগকারী জীব বা কানেকটিং লিংক কী?
উত্তর : জীবজগতে এমন জীবের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়, যাদের মধ্যে দুটি জীবগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ ধরনের জীবকে সংযোগকারী জীব বা কানেকটিং লিংক বলে।
৩৪। ভ্রূণ কাকে বলে?
উত্তর : ডিমের ভেতরে অথবা গর্ভের মধ্যে অবস্থিত শিশু প্রাণীকে এবং উদ্ভিদের বীজের মধ্যে অবস্থিত শিশু উদ্ভিদকে ভ্রূণ বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১। জিনকে জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক বলা হয় কেন?
উত্তর : জিন হলো জীবকোষে বিদ্যমান ক্ষুদ্রতম একক। জিন জীবকোষে বিদ্যমান বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে, কেননা এটি DNA এর একটি অংশ। এটিই জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত ধারক ও বাহক। যা জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে সরাসরি বহন করে মাতা-পিতা থেকে তাদের পরবর্তী বংশধরে নিয়ে যায়।
২। প্লাটিপাসকে কানেকটিং লিংক বলা হয় কেন?
উত্তর : যাদের মধ্যে দুটি জীবগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তাদের কানেকটিং লিংক জীব বলে। প্লাটিপাসকে কানেকটিং লিংক জীব বলা হয়। কারণ প্লাটিপাসের মধ্যে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী উভয় জীবেরই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এরা একদিকে যেমন সরীসৃপের মতো ডিম পাড়ে, অন্যদিকে তেমন ডিম ফুটে জন্মানো শাবককে স্তন্য পান করায়।
৩। টেস্টটিউব বেবি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রূণ সৃষ্টি করে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে, তাকে টেস্টটিউব বেবি বলে। টেস্টটিউব বেবি জন্মানোর ধাপগুলো হচ্ছে সক্ষম দম্পতি থেকে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ, বিশেষ পালন মাধ্যমে ডিম্বাণু-শুক্রাণুর মিলন ঘটানো, পালন মাধ্যমে প্রাথমিক ভ্ৰূণ উৎপাদন, উৎপাদিত ভ্রূণকে স্ত্রী জরায়ুতে প্রতিস্থাপন এবং প্রসূতির পরিচর্যা ও সন্তান লাভ।
৪। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে–মেয়েদের আচরণের কী কী পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের আচরণের যেসব পরিবর্তন লক্ষ করা যায় সেগুলো নিম্নরূপ :
(i) প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা
(ii) আলাদা ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা
(iii) প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালানো
(iv) দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রবৃত্ত হওয়া।
৫। জৈব বিবর্তন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ল্যাটিন শব্দ ‘Evolveri’ থেকে বিবর্তন শব্দটির উদ্ভব হয়েছে। যে ধীর, অবিরাম ও গতিশীল পরিবর্তনের ফলে কোনো সরলতর উদবংশীয় জীবের পরিবর্তনের দ্বারা জটিল ও উন্নততর নতুন প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্তন বলে। সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে জৈব বিবর্তন বলে।
৬। বয়ঃসন্ধিকাল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : মানুষের জীবনকালে প্রথমে সে থাকে শিশু। পরবর্তীতে শিশু থেকে ধাপে ধাপে বৃদ্ধ অবস্থায় উপনীত হয়। সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে শৈশবকাল। ছয় থেকে দশ বছর পর্যন্ত বয়সকে বলা হয় বাল্যকাল। দশ বছর বয়সের পর একটি মেয়েকে কিশোরী এবং একটি ছেলেকে কিশোর বলা হয়। মানুষের জীবনের এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।
৭। গর্ভধারণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : গর্ভধারণ হচ্ছে শরীরের একটি বিশেষ পরিবর্তন। সন্তান গর্ভে এলেই শুধু শরীরের এই বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান আসে অর্থাৎ সে গর্ভধারণ করে।
৮। সমসংস্থ অঙ্গ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে সমস্ত অঙ্গের আকৃতিতে পার্থক্য দেখা গেলেও অভ্যন্তরীণ কাঠামো পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে এদের অস্থিবিন্যাসের মৌলিক প্রকৃতি একই ধরনের, এই সমস্ত অঙ্গগুলোকে সমসংস্থ অঙ্গ বলে। যেমন : পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা, তিমির ফ্লিপার, সিলের অগ্রপদ, ঘোড়ার অগ্রপদ, মানুষের হাত ইত্যাদি।
৯। লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : জীবদেহে এমন কতগুলো অঙ্গ দেখা যায়, যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু সম্পর্কিত অপর জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে, এমন অঙ্গগুলোকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলে। প্রাণিদেহের মধ্যে বহু লুপ্তপ্রায় অঙ্গ পরিলক্ষিত হয়। মানুষের সিকাম ও সিকামসংলগ্ন ক্ষুদ্র অ্যাপেনডিক্সটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিন্তু স্তন্যপায়ীভুক্ত তৃণভোজী গিনিপিগের দেহে এগুলো সক্রিয় অবস্থায় থাকে।
১০। কীভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে পাখিজাতীয় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে?
উত্তর : লুপ্ত আর্কিওপটেরিক্স নামে এক রকম প্রাণীর জীবাশ্ম পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এদের সরীসৃপের মতো পা ও দাত, পাখির মতো পালকবিশিষ্ট দুটি ডানা, একটি লেজ, লেজের শেষ প্রান্তে একগুচ্ছ পালক ও চঞ্চু ছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরীসৃপজাতীয় প্রাণী থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমে পাখিজাতীয় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে।
১১। ভাইরাস কীভাবে সৃষ্টি হলো?
উত্তর : প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন। এই নিউক্লিওপ্রোটিন থেকেই সৃষ্টি হয় প্রোটোভাইরাস এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় ভাইরাস। এরা জীবকোষের বাইরে জড় পদার্থের ন্যায় নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
১২। ব্যাকটেরিয়া কী?
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া শব্দটি গ্রিক ভাষা থেকে উদ্ভূত। ১৬৭৫ সালে অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন। ব্যাকটেরিয়া অতিক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক একটি জীব। এদের নিউক্লিয়াসে কোনো নিউক্লিয়ার আবরণী থাকে না। এরা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কিংবা অনুপস্থিতিতে বাঁচতে পারে। এরা পরজীবী, মৃতজীবী কিংবা স্বভোজী হতে পারে।
১৩। জীবন্ত জীবাশ্ম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কতকগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করে কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে। অথচ এদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক জীবদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এসব জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। যেমন রাজকাকড়া।
১৪। ডারউইনের নতুন প্রজাতি কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : যেসব প্রাণী ও উল্ডিদের মধ্যে সুবিধাজনক প্রকরণ দেখা দেয়, প্রকৃতি তাদের নির্বাচন করে এবং তাদের লালন করে। সুবিধাজনক প্রকরণযুক্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং অযোগ্যদের তুলনায় বেশি হারে বংশ বিস্তার করতে পারে। এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে প্রকৃতি তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগ যুগ ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের
নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করে।
১৫। কীভাবে ব্যক্তজীবী উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটেছে।
উত্তর : উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বিলুপ্ত টেরিডোস্পার্ম নামে এক ধরনের উল্ডিদের জীবাশ্যে ফার্ন ও ব্যক্তজীবী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এ কারণে ফার্নজাতীয় উদি থেকে জিমনোস্পার্ম অর্থাৎ, ব্যক্তজীবী উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটেছে।
১৬। ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল প্রকরণ বা অভিযোজনমূলক প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে। অনুকরণ প্রকরণ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতি দ্বারা নির্বাচিত হলে বেশি সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অত্যধিক হারে বংশবিস্তার করে। অপরপক্ষে প্রতিকূল প্রকরণসম্পন্ন জীবেরা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না, ফলে ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়।
১৭। জীবজগৎ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর : বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় সাড়ে চারশত কোটি বছর আগে পৃথিবী একটি জ্বলন্ত গ্যাসপিড ছিল। এই জ্বলন্ত পিণ্ডটি ক্রমাগত তাপ বিকিরণ করায় এবং উত্তাপ কমে যাওয়ায় ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে তরল অবস্থাপ্রাপ্ত হয় এবং উদ্ভূত জলীয় বাষ্প থেকে মেঘের সৃষ্টি হয়। মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়ায় পৃথিবীর কঠিন বহিঃস্থ স্তরে জলভাগ তথা সমুদ্রের আবির্ভাব ঘটে। এভাবেই সমুদ্রের পানিতে সৃষ্ট জীবগুলোর ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে
বর্তমানের বৈচিত্র্যময় জীবজগতের সৃষ্টি হয়েছে।
১৮। বয়ঃসন্ধিকালে আচরণগত পরিবর্তনগুলো কী কী?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে আচরণগত পরিবর্তনগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো—
i. প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা।
ii. সে যে একজন আলাদা ব্যক্তিত্ব, সেটি বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।
১৯। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি কেন?
উত্তর : প্রজনন স্বাস্থ্য হচ্ছে মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি বিশেষ অংশ। অতএব, প্রজনন স্বাস্থ্য শুধু প্রজননতন্ত্রের কাজ এবং প্রজনন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত রোগ বা অসুস্থতার অনুপস্থিতিকে বোঝায় না। এটা শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যাণকর এক সুস্থ অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পাদনের একটি অবস্থা। তাই নিরাপদ ও উন্নত জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেকেরই প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি।
২০। ঋতুস্রাবের সময়ে কিশোরীর কী কী করা উচিত?
উত্তর : ঋতুস্রাবের সময়ে কিশোরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও নিয়মিত গোসল করা উচিত। এছাড়া পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং প্রচুর পানি পান করতে হবে। তাৎক্ষণিক কোনো শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২১। মেয়েদের মাসিক শুরু হলে কী করতে হবে?
উত্তর : মেয়েদের মাসিক শুরু হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য প্রতিদিন গোসল করে পরিষ্কার শুকনো কাপড় পরা, জীবাণুমুক্ত নরম কাপড় বা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি ও পুষ্টিকর সকল রকম খাবার খেতে হবে ।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
২২। গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাস মেয়েদের শরীরে কীরূপ লক্ষণ দেখা যায়?
উত্তর : গভর্ধারণের প্রথম কয়েক মাসে মেয়েদের শরীরে কিছু কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। যেমন-
i. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
ii. মাথা ঘোরা
iii. বারবার প্রস্রাব হওয়া
২৩। অপরিণত বয়সে গর্ধারণ করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে নিম্নরূপ সমস্যা দেখা যায়। যেমন-
i. স্বাস্থ্যগত সমস্যা
ii. শিক্ষাগত সমস্যা
iii. পারিবারিক সমস্যা
iv. আর্থিক সমস্যা,
v. গর্ভপাতজনিত সমস্যা।
২৪। ছেলেদের স্বপ্নদোষ ঘটলে করণীয় কী?
উত্তর : ছেলেদের স্বপ্নদোষ ঘটলে নিয়মিতভাবে সাবান সহযোগে গোসল করবে, পরিষ্কার কাপড়-চোপড় পরা উচিত, নিয়মিত খেলাধুলা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও লক্ষ রাখা উচিত। এছাড়া প্রজনন অঙ্গের পাশে চুলকানো বা অনুরূপ কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।
২৫। ভাইরাস জীব না জড়?
উত্তর : প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন। এই নিউক্লিওপ্রোটিন থেকেই সৃষ্টি হয় প্রোটোভাইরাস এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় ভাইরাস। ভাইরাস এমন একটা অবস্থা নির্দেশ করে, যা জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা ।
২৬। সরীসৃপ থেকে যে পাখির উৎপত্তি তা কীভাবে বােঝা যায়?
উত্তর : লুপ্ত আর্কিওপটেরিক্স নামে এ রকম প্রাণীর জীবাশ্ম পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এদের সরীসৃপের মতো পা ও দাঁত, পাখির মতো পালকবিশিষ্ট দুটি ডানা, একটি দীর্ঘ লেজ, লেজের শেষ প্রান্তে একগুচ্ছ পালক ও চঞ্চু ছিল। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরীসৃপ থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমে পাখির উৎপত্তি হয়।
২৭। অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনিং’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনিং হচ্ছে জীবের বিবর্তন সম্পর্কিত একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। “অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনিং” নিয়মের প্রবক্তা হলেন বিজ্ঞানী হেকেল। প্রতিটি জীব তার ভ্রূণের ক্রম পরিণতিকালে অতি অল্প সময়ের জন্য হলেও উদবংশীয় জীব তথা পূর্বপুরুষের বিবর্তনের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটায়। অর্থাৎ কোনো জীবের ভ্রূণের ক্রমপরিবর্তন লক্ষ করলে, তার পূর্বপুরুষের ইতিহাস জানা যাবে। বিজ্ঞানী হেকেলের মতে, প্রাকৃতিক এই নিয়মই হচ্ছে “অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনিং”।
২৮। কীভাবে হরমোন তৈরি হয়?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে যেসব পরিবর্তন ঘটে তার জন্য দায়ী বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থগুলোকে হরমোন বলে। হরমোন শরীরের ভিতরে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
২৯। ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের অভাবে কী ঘটে?
উত্তর : ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের অভাবে-
i. কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়;
ii. দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয়;
iii. শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পরিবর্তন ঘটে।
৩০। টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে কী ঘটে?
উত্তর : টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের মাঝে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে ছেলেদের গলার স্বর ভারী হয়। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায় এবং দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয়।
৩১। নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলতে কী বুঝ?
উত্তর : জীবদেহে এমন কতকগুলো অঙ্গ দেখা যায়, যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু সম্পর্কিত অপর জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে, এমন অঙ্গগুলোকে নিষ্ক্রিয় অঙ্গা বলা হয়।
৩২। গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাসে মেয়েদের শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
উত্তর : গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাসে মেয়েদের শরীরে যে লক্ষণ দেখা যায় তা হলো:
i. মাসিক বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া;
ii. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া;
iii. মাথা ঘোরা;
iv. বার বার প্রস্রাব হওয়া;
v. স্তন বড়ো ও ভারী হওয়া।
৩৩। কানেকটিং লিংক বা সংযোগকারী জীবের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : কানেকটিং লিংক বা সংযোগকারী জীব হল প্লাটিপাস। প্লাটিপাসের বৈশিষ্ট্য হলো-
i. এরা সরীসৃপের ন্যায় ডিম পাড়ে;
ii. এদের দেহ লোমে ঢাকা;
iii. বুকে দুগ্ধগ্রন্থি বর্তমান;
iv. এরা শাবককে স্তন্য পান করায়।
৩৪। আন্তঃজাতিক সংগ্রাম বলতে কী বুঝ?
উত্তর: ব্যাঙ একদিকে কীটপতঙ্গ ভক্ষণ করে, অন্যদিকে তেমনি ব্যাঙেরা সাপ কর্তৃক ভক্ষিত হয়। আবার ময়ুর কর্তৃক ব্যাঙ ও সাপ উভয়েই ভক্ষিত হয় – এভাবে নিতান্ত জৈবিক কারণেই বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে খাদ্য-খাদক সম্পর্কযুক্ত আন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম গড়ে উঠে।
৩৫। আর্কিওপটেরিক্স বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ অর্কিওপটেক্সি এক রকম লুপ্ত প্রাণি। এ প্রাণীর জীবাণু পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এদের সরীসৃপের মতো পা ও দাঁত, পাখির মতো পালকবিশিষ্ট দৃষ্টি ডানা, একটি দীর্ঘ লেজ, লেজের প্রান্তে একগুচ্ছ পালক ও চঞ্চু ছিলো। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমে পাখি জাতীয় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে।
৩৬। গর্ভধারণের অস্বস্তি বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: গর্ভধারণ করার পর প্রথম কয়েক মাস মেয়েদের শরীরে যে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে গর্ভধারণের অস্বস্তি বলে। এ সময় যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তা হল- ঋতুস্রাব বন্ধ, বমি হওয়া, মাথা ঘোরা, বারবার প্রস্রাব, স্তন বড় ও ভারী হওয়া এ সকল পরিস্থিতিকে গর্ভধারণকালীন অস্বস্তি বলে।
তথ্য কণিকা
১. মেয়েদের ২০ বছর বয়সের পর ঝুঁকি কম থাকে— গর্ভধারণে ।
২. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তনের জন্য দায়ী টেস্টোস্টেরন হরমোন।
৩. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা পরিচালিত হয়— আবেগ দ্বারা।
৪.বয়ঃসন্ধিকালের সময়কাল- ১১-১৯ বছর।
৫. টেস্টটিউব বেবি লর্ডস জয় ব্রাউন জন্মগ্রহণ করে—১৯৭৮ সালে ।
৬. বয়ঃসন্ধিকালের উপর প্রভাব নেই— ইনসুলিনের।
৭. শৈশবকাল—৫ বছর পর্যন্ত ।
৮. মানবদেহের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য দায়ী—২টি হরমোন।
৯. মেয়েদের শরীরে তৈরি বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তন ঘটানো হরমোন— ইস্ট্রোজেন।
১০. দাড়ি গোঁফ ওঠে, ওজন বৃদ্ধি পায়, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে, আবেগ দ্বারা চালিত হয়— বয়ঃসন্ধিকালে।
১১. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম—একজোড়া ।
১২. স্ত্রী লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম- XX.
১৩. মানুষের জননকোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা- ২৩টি।
১৪. ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান—DNA.
১৫. মাতৃজনন কোষ হতে মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ডিম্বাণুতে সেক্স ক্রোমোজাম থাকে- ১টি।
১৬. XX ও XY হলো— সেক্স ক্রোমোজোম।
১৭. প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে হবে- বন্যপ্রাণী রক্ষা করে।
১৮. সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান—প্লাটিপাসের মধ্যে।
১৯. সৃজনশীল কাজের জন্য রূপান্তরিত হয়েছে—মানুষের অগ্রপদ।
২০. ইলিশ মাছের হৃৎপিন্ড—দুই প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
২১. কুনোব্যাঙ এর হৃৎপিন্ড—তিন প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
২২. মানুষের লুপ্ত প্রায় অঙ্গ হচ্ছে- ককসিক্স।
২৩. রাজ কাঁকড়া, প্লাটিপাস, ইকুইজিটাম হচ্ছে—জীবন্ত জীবাশ্ম ।
২৪. জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা নির্দেশ করে—ভাইরাস।
২৫. মেরু অঞ্চলের প্রাণী—বাঘ।
২৬. সন্ধিপদ প্রাণী—লিমুলাস।
২৭. প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয়—প্রোটোভাইরাস।
২৮. প্রোটোভাইরাস, প্রোটোজোয়া ও ব্যাকটেরিয়া—জৈব বিবর্তনের অন্তর্ভুক্ত।
২৯. ভূপৃষ্ঠের আয়তন নির্দিষ্ট হওয়ার কারণে সীমিত—জীবের খাদ্য ও বাসস্থান।
৩০. দুটি জীবের মধ্যকার পার্থক্যকে বলে— প্রকরণ।
৩১. Origin of species by means of natural selection বইটি রচনা করেন—ডারউইন।
৩২. সর্বপ্রথম Bioligy শব্দটি প্রতিষ্ঠা করেন—ল্যামার্ক
৩৩. জৈব বিবর্তনের জনক বলা হয়—ডারউইনকে।
৩৪. ফিলোসোফিক জুওলজিক বইটির লেখক—ল্যামার্ক।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৩৫. তিমি সাঁতারের জন্য ব্যবহার করে—ফ্লিপার।
৩৬. সরল ও এককোষী জীব বসবাস করে—সমুদ্রের পানিতে।
৩৭. পৃথিবীর ও জীবনের উৎপত্তির ঘটনা প্রবাহ হলো— অভিব্যক্তি।
৩৮. প্রোটোভাইরাস থেকে সৃষ্টি হয়— ভাইরাস।
৩৯. প্রোটোভাইরাস সৃষ্টি—জৈব বিবর্তনের অংশ।
৪০. নিউক্লিওপ্রোটিন থেকে সৃষ্টি হয়—প্রোটোভাইরাস।
৪১. দেহ আঁশযুক্ত এবং ডিম পাড়ে— মাছ।
৪২. বুকে দুগ্ধগ্রন্থি থাকে এবং শাবককে স্তন্যপান করায়—প্লাটিপাস।
৪৩. বাচ্চা প্রসব করে এবং দেহ লোমে ঢাকা—বানর, গরিলা, নুমান।
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. কোন পানিতে সর্বপ্রথম জীবের উৎপত্তি হয়েছিল?
ক. নদীর খ. ঝরনার
গ. সমুদ্রের ঘ. পুকুরের
উত্তর: গ. সমুদ্রের
২. প্রোটোভাইরাস সৃষ্টির আগে বায়ুমণ্ডলে যে গ্যাসটি ছিল তা হলো—
i. অক্সিজেন
ii. হাইড্রোজেন
iii. নাইট্রোজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
নিচের গ্রাফটি থেকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

৩. গ্রাফের A অবস্থানে কোন প্রাণীটি থাকবে?
ক. মাছ খ. ব্যাঙ
গ. সাপ ঘ. কচ্ছপ
উত্তর: খ. ব্যাঙ
৪. প্লাটিপাসের অবস্থান গ্রাফের কোথায়?
ক. A ও B খ. B ও C
গ. B ও D ঘ. C ও D
উত্তর: গ. B ও D
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. মেয়েরা কত বছর বয়সের পর গর্ভধারণ করলে ঝুঁকি কম থাকে?
ক. ১৫ খ. ১৮
গ. ১৯ ঘ. ২০
উত্তর: ঘ. ২০
২. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরের পরিবর্তনের জন্য দায়ী হরমোন কোনটি?
ক. ইস্ট্রোজেন খ. প্রজেস্টেরন
গ. টেস্টোস্টেরন ঘ. কালটার
উত্তর: গ. টেস্টোস্টেরন
৩. কোনটি বয়ঃসন্ধিকালের মানসিক পরিবর্তন?
ক. নিজেকে বড় মনে করা
খ. আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়া
গ. নিজের মতামত প্রকাশ করা
ঘ. দুঃসাহসিক কাজে আগ্রহী হওয়া
উত্তর: খ. আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়া
৪. ডারউইনের মতে জীবের খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত, কারণ কী?
ক. আন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম খ. অন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম।
গ. ভূ-পৃষ্ঠের আয়তন নির্দিষ্ট ঘ. পরিবেশের সংগে সংগ্রাম
উত্তর: গ. ভূ-পৃষ্ঠের আয়তন নির্দিষ্ট
৫. প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে হবে–
ক. বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে
খ. শহর-নগর গড়ে তুলতে হবে
গ. সম্পদের ব্যবহার বাড়াতে হবে
ঘ. একই জিনিস বারবার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে
উত্তর: ক. বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে
৬. কোন জীবের মধ্যে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী উভয়েরই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান?
ক. স্ফেনোডোন খ. বাইলোবা
গ. প্লাটিপাস ঘ. লিমুলাস
উত্তর: গ. প্লাটিপাস
৭. প্লাটিপাসে কোন দুটি প্রাণীর বৈশিষ্ট্য আছে?
ক. সন্ধিপদী ও সরীসৃপ খ. সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী
গ. সরীসৃপ ও পাখি ঘ. পাকি ও স্তন্যপায়ী
উত্তর: খ. সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী
৮. কার অগ্রদ সৃজনশীল কাজের জন্য রূপান্তরিত হয়েছে ?
ক. মানুষ খ. তিমি
গ. বাদুর ঘ. পাখি
উত্তর: ক. মানুষ
৯. ইলিশ মাছের হৃৎপিণ্ড কয় প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট?
ক. দুই খ. সম্পূর্ণভাবে তিন
গ. অসম্পূর্ণভাবে চার ঘ. চার
উত্তর: ক. দুই
১০. কোন প্রাণীর হৃদপিণ্ড তিন প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট?
ক. গোখরা সাপ খ. দোয়েল পাখি
গ. রুই মাছ ঘ. কুনোব্যাঙ
উত্তর: ঘ. কুনোব্যাঙ
১১. মানুষের লুপ্ত প্রায় অঙ্গ কোনটি?
ক. ককসিক্স খ. ফ্লিপার
গ. ফ্যাসাঞ্জেস ঘ. কার্পাস
উত্তর: ক. ককসিক্স
১২. সর্বপ্রথম কোন বিজ্ঞানী টেস্টটিউব বেবি তৈরি করেন?
ক. ল্যামার্ক খ. ডারউইন
গ. পেট্রসি ঘ. ব্রাউন
উত্তর: গ. পেট্রসি
১৩. ছেলেমেয়েদের বয়সের কোন সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে?
ক. ১১-১৯ বছর খ. ১২-১৯ বছর
গ. ১৩-১৭ বছর ঘ. ১৪-২০ বছর
উত্তর: ক. ১১-১৯ বছর
১৪. অকাল গর্ভধারণে শিক্ষাগত সমস্যা কোনটি?
ক. পুষ্টিহীনতা খ. চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি
গ. পারিবারিক কলহ ঘ. সংকোচে মানসিক চাপ বৃদ্ধি
উত্তর: ঘ. সংকোচে মানসিক চাপ বৃদ্ধি
১৫. বয়ঃসন্ধিকালের সময়কাল কত?
ক. ১০-১৭ বছর খ. ১১-১৯ বছর
গ. ৯-১৩ বছর ঘ. ১৩-১৫ বছর
উত্তর: খ. ১১-১৯ বছর
১৬. বয়ঃসন্ধিকালে কোন পরিবর্তন অদৃশ্য থাকে?
ক. দৈহিক খ. মানসিক
গ. আচরণগত ঘ. অভ্যাসগত
উত্তর: খ. মানসিক
১৭. কত বছর বয়স পর্যন্ত শৈশবকাল বলা হয়?
ক. ৪ খ. ৫
গ. ৬ ঘ. ৭
উত্তর: খ. ৫
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৮ ও ১৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাকিব নবম শ্রেণির ছাত্র। তার ছোট বোন দিনা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। কিছু দিন ধরে তাদের আচার-আচরণ পরিবারের বড়দের ভাবিয়ে তুলছে।
১৮. রাকিব ও দিনার আচরণগত পরিবর্তন–
i. প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা
ii. দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রবৃত্ত হওয়া
iii. প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর:ঘ. i, ii ও iii
১৯. দিনার পরিবর্তনের জন্য কোন হরমোন দায়ী?
ক. টেস্টোস্টেরন খ. ইস্ট্রোজেন
গ. প্রজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন ঘ. টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন
উত্তর: গ. প্রজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন
২০. বয়ঃসন্ধিকালে–
i. আবেগ দ্বারা চালিত হয়
ii. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে
iii. পরনির্ভর হয়ে পড়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
২১. বয়ঃসন্ধিকালের ওপর নিচের কোনটির প্রভাব নেই?
ক. ইনসুলিন খ. ইস্ট্রোজেন
গ. প্রজেস্টেরন ঘ. টেস্টোস্টেরন
উত্তর: ক. ইনসুলিন
২২. প্রথম টেস্টটিউব বেবি কোন দেশের বিজ্ঞানী তৈরি করেন?
ক. ব্রাজিল খ. আমেরিকা
গ. ইতালি ঘ. জার্মানি
উত্তর: গ. ইতালি
২৩. কোন জীবাশ্মটি স্তন্যপায়ী?
ক. রাজকাঁকড়া খ. নিটাম
গ. স্ফেনোডন ঘ. প্লাটিপাস
উত্তর: ক. রাজকাঁকড়া
২৪. মানুষের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য কয়টি হরমোন দায়ী?
ক. ২টি খ. ৪টি
গ. ৬টি ঘ. ৮টি
উত্তর: ক. ২টি
২৫. কোন সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে?
গ. ১০-১৯ ঘ. ১১-২০
উত্তর: গ. ১০-১৯
২৬. ছেলেমেয়েদের আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার বয়স কোনটি?
ক. ৮-১০ বছর খ. ১১-১৯ বছর
গ. ১০-২০ বছর ঘ. ১৫-২৫ বছর
উত্তর: খ. ১১-১৯ বছর
২৭. ১৪ বছর বয়সী অপু প্রায়ই বাবার সিদ্ধতে দ্বিমত পোষণ করতে চায়। কারণ–
ক. অপুর বুদ্ধি তার বাবার চেয়ে বেশি
খ. অপুর পারিবারিক শিক্ষার অভাব
গ. এটি অপুর বয়ঃসন্ধিকালের একটি আচরণগত পরিবর্তন
ঘ. অপু বেয়াদব হয়ে উঠছে।
উত্তর: গ. এটি অপুর বয়ঃসন্ধিকালের একটি আচরণগত পরিবর্তন
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৮ ও ২৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইদানীং সুমনের গলার স্বর চিকন থেকে মোটা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তার মধ্যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে।
২৮. সুমনের সম্ভাব্য বয়স কত?
ক. ৮-১০ বছর খ. ১০-১৫ বছর
গ. ১৪-১৭ বছর ঘ. ১৭-১৯ বছর
উত্তর: খ. ১০-১৫ বছর
২৯. বর্তমানে সুমনের দেহে কোন হরমোনটি সক্রিয় হয়েছে?
ক. ইস্ট্রোজেন খ. প্রজেস্টেরন
গ. টেস্টোস্টেরন ঘ. থাইরক্সিন
উত্তর: গ. টেস্টোস্টেরন
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৩০. বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের–
i. ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য গড়ে ওঠে
ii. স্নেহ-ভালোবাসার চাহিদা সৃষ্টি হয়
iii. নির্ভরশীলতা বেড়ে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৩১. বয়ঃসন্ধিকালে কী ধরনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
ক. দ্রুত লম্বা হয়ে ওঠে
খ. দ্রুত ওজন হ্রাস পায়
গ. ১০-১২ বছর বয়সে দাড়ি-গোঁফ ওঠে
ঘ. মেয়েদের কোমরের হাড় সরু হয়
উত্তর: ক. দ্রুত লম্বা হয়ে ওঠে
৩২. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের জন্য কোন হরমোনটি দায়ী?
ক. ইস্ট্রোজেন খ. প্রজেস্টেরন
উত্তর: ঘ. টেস্টোস্টেরন
৩৩. বয়ঃসন্ধিকালের মানসিক পরিবর্তন নিচের কোনটি?
ক. শরীরে দৃঢ়তা আসা খ. দ্রুত লম্বা হয়ে ওঠা
গ. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়া ঘ. প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ
উত্তর: গ. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়া
৩৪. মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য কয়টি হরমোন দায়ী?
ক. ২টি খ. ৪টি
গ. ৬টি ঘ. ৮টি
উত্তর: ক. ২টি
৩৫. বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিয়ের জন্য মেয়েদের বয়স কমপক্ষে কত বছর?
ক. ১৬ খ. ১৮
গ. ২০ ঘ. ২১
উত্তর: খ. ১৮
৩৬. গর্ভধারণের লক্ষণ–
i. বমি হওয়া
ii. ঘুম হওয়া
iii. মাথা ঘোরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
৩৭. প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয় নিচের কোন সালে?
ক. ১৯৭৯ খ. ১৯৭৮
উত্তর: ঘ. ১৯৫৯
৩৮. কে প্রথম টেস্টটিউব বেবি উদ্ভাবন করেন?
গ. ড. প্যাট্রিক ঘ. রবার্ট এডওয়ার্ড
উত্তর: খ. পেট্রসি
৩৯. সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা কতটি?
ক. ১টি খ. ২টি
গ. ২২টি ঘ. ৪৪টি
উত্তর: খ. ২টি
৪০. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
ক. একজোড়া খ. ২২ জোড়া
গ.২৩ জোড়া ঘ. ২২টি
উত্তর: ক. একজোড়া
৪১. স্ত্রী লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজম কোনটি?
গ. XX ঘ. XY
উত্তর: গ. XX
৪২. মানব কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?
ক. ২২ জোড়া খ. ২৩ জোড়া
গ. ৪৪ জোড়া ঘ. ৪৬ জোড়া
উত্তর: খ. ২৩ জোড়া
৪৩. মানুষের জননকোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা কয়টি?
ক. ২৩ খ. ৩৩
গ. ৪৩ ঘ. ৪৬
উত্তর: ঘ. ৪৬
৪৪. রিতার বয়স ২০ বছর। উচ্চতা ৪ ফুট। তার জিন কী ধরনের?
ক. X খ. XX
গ. XXX ঘ. XXY
উত্তর: ক. X
৪৫. মানুষের দেহে মোট কয়টি ক্রোমোজোম থাকে?
ক. ৪৬ খ. ৪৪
উত্তর: ঘ. ২২
৪৬. দেহের বাইরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানোকে কী বলে?
ক. ভিট্রোফার্টিলাইজেশন খ. ইনভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন
গ. ফার্টিলাইজেশন ঘ. স্পোরোলেশন
উত্তর: খ. ইনভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন
৪৭. মানুষের প্রতিটি দেহকোষে কতটি ক্রোমোজোম থাকে?
ক ২৩টি খ. ২৬টি
গ. ৩৬টি ঘ. ৪৬টি
উত্তর: ঘ. ৪৬টি
৪৮. পুরুষ দেহের সেক্স ক্রোমোজোম হলো–
i. XX
ii. YY
iii. XY
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii
গ. iii ঘ. i ও ii
উত্তর: গ. iii
৪৯. কোনটি জীবন্ত জীবাশ্ম?
ক. বাদুড় খ. জিরাফ
গ. প্লাটিপাস ঘ. চামচিকা
উত্তর: গ. প্লাটিপাস
৫০. পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীবনের উৎপত্তির ঘটনাপ্রবাহকে কী বলে?
ক. বিবর্তন খ. জৈব বিবর্তন
গ. রাসায়নিক বিবর্তন ঘ. প্রাকৃতিক বিবর্তন
উত্তর: গ. রাসায়নিক বিবর্তন
৫১. কোনটি জীবন্ত জীবাশ্ম?
ক. কচ্ছপ খ. কুমির
গ. কাঁকড়া ঘ. রাজকাঁকড়া
উত্তর: ঘ. রাজকাঁকড়া
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫২ ও ৫৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নিউক্লিওপ্রোটিন → A → B.
৫২. A অংশটির নাম কী?
ক. প্রোটো ভাইরাস খ. ভাইরাস
গ. ব্যাকটেরিয়া ঘ. প্রোটোজোয়া
উত্তর: ক. প্রোটো ভাইরাস
৫৩. B চিহ্নিত বস্তুটি-
i. প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত
ii. জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা
iii. প্রোটোজোয়া থেকে সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৫৪. কোথায় থেকে সর্বপ্রথম জীবনের উৎপত্তি হয়েছিল?
ক. নদীর পানিতে খ. ঝরনার পানিতে
গ. সমুদ্রের পানিতে ঘ. পুকুরের পানিতে
উত্তর: গ. সমুদ্রের পানিতে
৫৫. কোনটি জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী অবস্থা নির্দেশ করে?
ক. অ্যামাইনো এসিড খ. প্রোটোভাইরাস
গ. ব্যাকটেরিয়া ঘ. ভাইরাস
উত্তর: ঘ. ভাইরাস
৫৬. নিচের কোনটি জীবও নয়, জড়ও নয়?
ক. ব্যাকটেরিয়া খ. ভাইরাস
গ. ছত্রাক ঘ. স্পঞ্জ
উত্তর: খ. ভাইরাস
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৫৭. কোনটি আদিকোষ?
ক. প্রোটোভাইরাস খ. প্রোটোজোয়া
গ. ব্যাকটেরিয়া ঘ. ভাইরাস
উত্তর: গ. ব্যাকটেরিয়া
৫৮. কোন জীবাশ্মটি স্তন্যপায়ী?
ক. রাজকাকড়া খ. স্ফোনোডন
গ. নিটাম ঘ. প্লাটিপাস
উত্তর: ঘ. প্লাটিপাস
৫৯. লিমুলাস–
i. জীবন্ত জীবাশ্ম
ii. সন্ধিপদ প্রাণী
iii. সরীসৃপ প্রাণী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৬০. জৈব বিবর্তনের জনক কে?
ক. মেন্ডেল খ. এরিস্টটল
গ. ডারউইন ঘ. ল্যামার্ক
উত্তর: গ. ডারউইন
৬১. টেরিডোস্পার্ম-
i. ১টি জীবন্ত জীবাশ্ম
ii. এর বীজ উন্মুক্ত ছিল
iii. পরিবহন টিস্যু ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
৬২. মানুষের হৃৎপিণ্ড কয় প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট?
ক. ৫ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ২
উত্তর: খ. ৪
৬৩. কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন থেকে রাসায়নিক বিবর্তনে নিউক্লিওপ্রোটিন তৈরি হয়। এই বিবর্তনের সাথে জড়িত–
i. আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
ii. বজ্রপাত, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি
iii. অ্যামাইনো এসিড ও নিউক্লিক এসিড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৬৪. বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের ক্ষেত্রে কর্মক্ষম হরমোন–
i. ইস্ট্রোজন
ii. প্রোজেস্টেরন
iii. টেস্টোস্টেরন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬৫ ও ৬৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রুমা কয়েকটি প্রাণীর হৃৎপিণ্ড পর্যবেক্ষণ করল, এর মধ্যে দু’টি প্রাণীর হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠযুক্ত এবং অস্থিবিন্যাস বিশেষ নিয়মে সজ্জিত।
৬৫. রুমার পর্যবেক্ষণকৃত কোন প্রাণী দুটির চার প্রকোষ্ঠযুক্ত হৃৎপিণ্ড থাকে?
ক. মাছ ও ব্যাঙ খ. ব্যাঙ ও পাখি
গ. মানুষ ও সাপ ঘ. মানুষ ও পাখি
উত্তর: ঘ. মানুষ ও পাখি
৬৬. উল্লিখিত প্রাণীগুলোর অস্থির ধারাবাহিক গঠন নিচের কোনটি?
ক. হিউমেরাস → ফেলাঞ্জেস → কার্পাল
খ. ফেলাঞ্জেস → কার্পাল → হিউমেরাস
গ. রেডিও আলনা → কার্পাল → মেটাকার্পাল
ঘ. কার্পাল → হিউমেরাস → রেডিও আলনা
উত্তর: গ. রেডিও আলনা → কার্পাল → মেটাকার্পাল
৬৭. নিচের কোন প্রাণীকে সংযোগকারী জীব বলা হয়?
ক. ব্যাঙ খ. প্লাটিপাস
গ. বানর ঘ. বাদুড়
উত্তর: খ. প্লাটিপাস
৬৮. ডারউইন তত্ত্বের কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
ক. প্রকরণ খ. প্রাকৃতিক নির্বাচন
গ. যোগ্যতমের জয় ঘ. অত্যধিক হারে বংশ বৃদ্ধি
উত্তর: খ. প্রাকৃতিক নির্বাচন
৬৯. কে “বায়োলজি” শব্দটির প্রতিষ্ঠাতা?
ক. ডারউইন খ.নিউটন
গ. ল্যামার্ক ঘ. আইনস্টাইন
উত্তর: গ. ল্যামার্ক
৭০. বংশগতির মতবাদ কে দিয়েছেন?
ক. ডারউইন খ. মেন্ডেল
গ. ল্যামার্ক ঘ. হেকেল
উত্তর: খ. মেন্ডেল
৭১. মেয়েদের শরীরে গর্ভধারণের সময় অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো-
i. মাথাঘোরা
ii. স্তন বড় ও ভারী হওয়া
iii. বমিবমি ভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৭২. অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে গর্ভাবস্থায় –
i. রক্তক্ষরণ ঘটে থাকে
ii. শরীরে পানি আসে
iii. খুব বেশি ব্যথা অনুভব করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
উদ্দীপকটি পড় এবং ৭৩ ও ৭৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সোমার বয়স ১৩ বছর। ইদানিং সে অধিকাংশ সময় আয়নার সামনে বসে থাকে। তার কথা বলার ভঙ্গিও অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন হয়েছে।
৭৩. সোমার এরূপ পরিবর্তনের জন্য কোন হরমোন দায়ী?
ক. প্রজেস্টেরন খ. টেস্টোস্টেরন
গ. ইনসুলিন ঘ. গ্লূকাগন
উত্তর: ক. প্রজেস্টেরন
৭৪. সোমার এ বয়সে আরও যেসব পরিবর্ত হয় তার মধ্যে রয়েছে–
i. কোমরের হাড় মোটা হওয়া
ii. ঋতুস্রাব শুরু হয়
iii. গলার স্বরভঙ্গ হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
উদ্দীপকটি পড় এবং ৭৫ ও ৭৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নীলার বয়স ১৫। তার বাবা তাকে এ বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর তার গর্ভধারণের পর গর্ভপাত হয়ে যায়।
৭৫. নীলাকে ন্যূনতম কত বছর বয়সে বিয়ে দেয়া উচিত ছিল?
ক. ১৮ খ. ১৯
গ. ২০ ঘ. ২১
উত্তর: ক. ১৮
৭৬. নীলার গর্ভপাত্রে কারণ –
i. অল্প বয়সে বিবাহ
ii. পুষ্টিহীনতা
iii. হতাশা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৭৭ ও ৭৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
সুজনের বয়স ১৪ বছর। ইদানিং তার দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।
৭৭. সুজন জীবনের কোন সময়কাল অতিক্রম করছে?
ক. বাল্যকাল খ. বয়ঃসন্ধিকাল
গ. যৌবনকাল ঘ. বৃদ্ধকাল
উত্তর: খ. বয়ঃসন্ধিকাল
৭৮. এ সময় সুজনকে —
i. বেশি করে শাক সবজি খেতে হবে
ii. স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে
iii. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন ও নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
আকাশ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। এ সময় তার শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন হয়।
৭৯. আকাশের জীবনে এখন কোন সময়?
ক. শৈশবকাল খ. বাল্যকাল
গ. বয়ঃসন্ধিকাল ঘ. বৃদ্ধকাল
উত্তর: গ. বয়ঃসন্ধিকাল
৮০. এ সময় আকাশের কোন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন হয়?
i. দ্রুত লম্বা হয়ে ওঠা
ii. দ্রুত ওজন বৃদ্ধি
iii. শরীরে দৃঢ়তা আসা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮১. কৃত্রিম উপায়ে শিশু জন্মদানে অবদান রাখেন–
i. ড. চার্লস
ii. ড. প্যাট্রিক স্টেপটো
iii. ড. রবার্ট এডওয়ার্ড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii
৮২. টেস্টটিউব বেবি উৎপাদনে পর্যায়ক্রমে পদ্বতিগুলোর নাম –
i. Culture medium-এ শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন
ii. পালন মাধ্যমে প্রাথমিক ভ্রূণ উৎপাদন
iii. ভ্রূণকে স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii
৮৩. লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজোম –
i. X ক্রোমোজোম
ii. A ক্রোমোজোম
iii. Y ক্রোমোজোম
নিচের কোনটি সঠিক?
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii
৮৪. মানুষের দেহকোষ ও জনন কোষ –
i. ডিপ্লয়েড
ii. হ্যাপ্লয়েড
iii. পলিয়েড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৮৫.সমসংস্থ অঙ্গ হচ্ছে—
i. ঘোড়ার অগ্রপদ
ii. পাখির ডানা
iii. পতঙ্গের ডানা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৮৬. সমসংস্থ অঙ্গ —
i. বাদুড়ের ডানা
ii. মানুষের হাত
iii. বিড়ালের পা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
৮৭. বিবর্তন সম্পর্কিত মতবাদ
i. ল্যামার্কবাদ
ii. ডারউইনবাদ
iii. সাম্রাজ্যবাদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii
আরও গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর PDF পেতে এখানে ক্লিক করুন
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন–১ : মিসেস সান্তা সন্তান ধারণে অক্ষম হওয়ায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তার ডিম্বাণুর পরিস্ফুটন ঘটান। অন্যদিকে মিসেস সান্তার চাচাত বোন মিতা পুত্র সন্তানের আশায় এখন পাঁচ কন্যা সন্তানের জননী।
ক. নিউক্লিওপ্রোটিন কাকে বলে?
খ. জীবন্ত জীবাশ্ম বলতে কী বুঝায়?
গ. মিসেস সান্তার ক্ষেত্রে ডাক্তার কোন বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করলেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিতার একই রকম সন্তান হওয়ার বিষয়টিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে গঠিত যৌগকে নিউক্লিওপ্রোটিন বলে।
খ. কতকগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করেও কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে, অথচ তাদের সমগোত্রীয় ও সমসাময়িক জীবদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এই সকল জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। লিমুলাস বা রাজকাঁকড়া, স্ফোনোডন, প্লাটিপাস ইত্যাদি প্রাণী এবং ইকুইজিটাম, নিটাম ইত্যাদি উদ্ভিদ হলো জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ। যেমন লিমুলাস জীবাশ্মের উদ্ভব ঘটেছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে। এর সাথের অন্যান্য আর্থ্রোপোডাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এরা আজও বেঁচে আছে। তাই এদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
গ. মিসেস সান্তার ব্যাপারে ডাক্তার টেস্টটিউব বেবি জন্মদানের পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
এ পদ্ধতিতে যে সকল নারী সন্তান ধারণে অক্ষম সে সকল নারীদের জন্য কৃত্রিমভাবে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভূণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রী লোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জন্মদান করা হয়। মিসেস সান্তা যেহেতু সন্তান ধারণে অক্ষম ছিল তাই ডাক্তার সান্তা ও তার স্বামীর কাছ থেকে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করে এবং বিশেষ ধরনের পালন মাধ্যমে এদের মিলন ঘটান।
এরপর পালন মাধ্যমে প্রাথমিক ভ্রূণ উৎপাদিত হলে তা সান্তার জরায়ুতে প্রতিপালন করেন। এরপর তার গর্ভে সন্তান ভ্রূণ বড় হয় এবং সন্তান লাভ করে।
ঘ. মানবদেহের প্রতি কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া একই রকম এদেরকে অটোজোম বলে। অবশিষ্ট ১ জোড়া ক্রোমোজোমকে সেক্স বা লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম বলে। পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোম জোড়াকে XY দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । মহিলাদের ক্ষেত্রে সেক্স ক্রোমোজোম XX. যখন পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোমের X এবং স্ত্রীর সেক্স ক্রোমোজোম X এর সঙ্গে মিলিত হয় তখন কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। আর যখন পুরুষের Y ক্রোমোজোম স্ত্রীর X ক্রোমোজোমের সঙ্গে মিলিত হয় তখন পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে।
মিলনের সময় তার X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট ডিম্বাণুর সাথে স্বামীর X ক্রোমোজোম শুক্রাণুর মিলন ঘটে। ফলে কন্যা সন্তান হয় কারণ তখন ‘XX’ একীভূত হয়। এভাবে মিতার ৫টি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করেছে। এক্ষেত্রে মিতার কোনো ভূমিকা নেই। সন্তান-পুত্র বা কন্যা জন্মদানে পিতার সেক্স ক্রোমোজোমই দায়ী।

প্রশ্ন – ২ : জামান বিবর্তন অধ্যায়টি ভালো বুঝতে না পেরে তার বাবার কাছে যায়। বাবা সমসংস্থ বিবর্তন সম্পর্কিত প্রমাণটি বুঝিয়ে দিলেন। এরপর জামান তার বাবার কাছে বিবর্তনের মতবাদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ল্যামার্কের মতবাদ ও ডারউইনের মতবাদ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।
ক. সেক্স ক্রোমোজোম কাকে বলে?
খ. বিবর্তন বলতে কী বুঝায়?
গ. বাবা কীভাবে বিবর্তন সম্পর্কিত উল্লিখিত প্রমাণটি ব্যাখ্যা করেন?
ঘ. বাবার বুঝিয়ে দেয়া মতবাদ দুটির মধ্যে কোনটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য? তুলনামূলক আলোচনা করে মতামত দাও।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে ক্রোমোজোম জীবের লিঙ্গ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে তাকে সেক্স ক্রোমোজোম বলে।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
খ. যে ধীর, অবিরাম ও গতিশীল পরিবর্তন দ্বারা কোনো সরল আদি জীব হতে জটিল ও উন্নত প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্তন বলে। জীব সৃষ্টির মূলে রয়েছে বিবর্তন। সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে বলে জৈব বিবর্তন।
গ. জামানের বাবা সমসংস্থ অঙ্গ দ্বারা বিবর্তন ব্যাখা করেন। সমসংস্থ অঙ্গসমূহতে আপাত দৃষ্টিতে আকৃতিগত পার্থক্য থাকলেও অভ্যন্তরীণ কাঠামো পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে এদের অস্থিবিন্যাসের মৌলিক প্রকৃতি একই ধরনের। যেমন- পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা, তিমির ফ্লিপার, সিলের অগ্রপদ, ঘোড়ার অগ্রপদ, মানুষের হাত ইত্যাদি সমসংস্থ অঙ্গ। হিউমেরাস, রেডিও আলনা, কার্পাল, মেটাকার্পাল ও ফ্যালাঞ্জেস অস্থিগুলো উপর থেকে নীচের দিকে পরস্পর সজ্জিত রয়েছে। এদের বহিরাকৃতিতে যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে তা ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হওয়ার জন্যই ঘটেছে।
পাখি ও বাদুরের ডানা ওড়ার জন্য, ঘোড়ার অগ্রপদ দৌড়ানোর জন্য, মানুষের হাত কোনো জিনিস ধরা ও অন্যান্য সৃজনশীল কাজের জন্য পরিবর্তিত হয়েছে। এ সমস্ত সমসংস্থ অঙ্গ থেকে বোঝা যায় যে, সংশ্নিষ্ট অঙ্গ তথা জীবগুলো উৎপত্তিগতভাবে এক। যদিও সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অভিযোজিত হওয়ার ফলে বর্তমানে তাদের গঠন বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
এভাবে জামানের বাবা সমসংস্থ অঙ্গের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ দ্বারা বিবর্তনের প্রমাণটি ব্যাখ্যা করেন।
ঘ. জামানের বাবা ল্যামার্কের মতবাদ ও ডারউইনের মতবাদ ব্যাখ্যা করেন। এ মতবাদ দুটির মধ্যে ডারউইনের মতবাদটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য। কারণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো :
ল্যামার্কের বিবর্তনবাদে জীবের বংশবিস্তার, জীবের অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম, যোগ্যতমের জয়, এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই। ল্যামার্কের বিবর্তনবাদে পরিবেশের প্রভাবে জীবের অজা ব্যবহারের উপর পরিবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ করলেও পরবর্তীতে জীবগুলো পৃথিবীতে কীভাবে টিকে আছে বা ধ্বংস হওয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
আবার ল্যামার্কের মতে, সময়ের সাথে প্রজাতির পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানীরা এটি বিশ্বাস করেন না। এছাড়া ল্যামার্ক বলেছেন, জীবের অর্জিত বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়, যার সত্যতা স্বপক্ষে বংশগতিবিদগণ কোনো প্রমাণ পাননি। কিন্তু ডারউইনের মতবাদে এসব বিষয়ের একটা সমাধান পাওয়া যায়। তার মতবাদ অনুসারে জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে জ্যামিতিক হারে। জীবগুলো অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নিজেদের মধ্যে এবং পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করছে। তাই আদিতে উৎপন্ন অনেক জীবের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এসব জীবের ফসিল এর প্রমাণ বহন করে। ল্যামার্কের বিবর্তন মতবাদে জীবের ফসিল এর প্রমাণ বহন করে।
ল্যামার্কেরস বিবর্তন মতবাদে জীবের অভিযোজনের কথা থাকলেও ডারউইনের মতবাদের মতো তাতে বিশদ ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তার মতবাদের সব বিজ্ঞানসম্মত না হলেও তা ল্যামার্কের মতবাদের চেয়ে অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।
প্রশ্ন – ৩ : আরিফা নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে কিছুদিন থেকে বড়দের মত আচরণ করে এবং সব বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এসব দেখে তার বাবা আরিফার বিবাহের আয়োজন করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আরিফার বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
ক. টেস্টটিউব বেবি কাকে বলে?
খ. প্লাটিপাসকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয় কেন?
গ. আরিফার এ ধরনের পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. যদি আরিফার বিয়ে হয়ে যেত তাহলে সে কী সমস্যায় পড়তো? বিশ্লেষণ করো।
এস এস সি সকল বিষয়ের নোট পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রূণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলা হয়।
খ. কতকগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করেও কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে। অথচ তাদের সমগোত্রীয় ও সমসাময়িক জীবদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এই সকল জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। প্লাটিপাস একটি জীবন্ত জীবাশ্ম। আবার প্লাটিপাস একটি সংযোগকারী জীবও, কারণ এর মধ্যে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী দুই ধরনের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্লাটিপাসের মতো সংযোগকারী প্রাণীদের অধিকাংশই পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে কার্যকরী ভাবে অভিযোজিত হতে সক্ষম না হওয়ায় ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও প্লাটিপাস কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে টিকে আছে। তাই প্লাটিপাসকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে আরিফা নবম শ্রেণিতে পড়ে অর্থাৎ সে বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছে।
তাই সে বড়দের মত আচরণ করে এবং সব বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বয়ঃসন্ধিকালে আরিফার আচরণে যে পরিবর্তন সাধিত হয় তার জন্য দায়ী বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা হরমোন নামে পরিচিত। হরমোন শরীরের ভিতরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
আরিফার আচরণের পরিবর্তনের জন্য দায়ী দুই ধরনের হরমোন হলো- ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। এসব হরমোনের প্রভাবে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রকার মানসিক পরিবর্তন ঘটে।
অতএব বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত আরিফার আচরণের জন্য একমাত্র দায়ী পদার্থ হলো- হরমোন।
ঘ. আরিফার যদি বিয়ে হয়ে যেত তাহলে সে নানা ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে পড়ত। এর মধ্যে একটি হলো অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ।
অল্প বয়সে গর্ভবতী হলে তার বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারত। অপরিণত বয়সে কোনো মেয়ের মা হওয়ার মতো মানসিক পরিপক্কতা ও শারীরিক পূর্ণতা থাকে না। ফলে কম বয়সী মেয়েরা গর্ভধারণ করলে নানারকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।
এই অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি আসা, খুব বেশি ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটতে পারে। এসময়ে গর্ভে সন্তান আসলে সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য গর্ভে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম নিতে পারে। এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। অল্প বয়সে গর্ভধারণ করার ফলে তার মানসিক চাপ বেড়ে যাবে এবং সে অশান্তিতে ভুগবে। সুস্থভাবে কাজ কর্ম করতে না পারার ফলে পরিবারে অশান্তি নেমে আসবে। গর্ভধারণের নয় মাস পুরো সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। এ সময়ে জটিল কোনো সমস্যা দেখা দিলে বার বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। এতে চিকিৎসক ও ঔষধপত্রের বেশ অর্থের প্রয়োজন হয়। ফলে আর্থিক অস্বচ্ছলতা দেখা দেবে।
এছাড়া আরিফা অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে লজ্জায় বিদ্যালয়ে যেতে চাইত না। ফলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ত।
প্রশ্ন – ৪ : চৌদ্দ বছর বয়সের ইমনের মধ্যে তার মা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করেন। প্রতিদিনের মত রাতের বেলা মা, ছেলের কাছে গিয়ে বসলেন এবং বললেন, “তুমি তোমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় পার করছো।” তারপর মা বললেন, “এ সময় মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা প্রয়োজন।”
ক. প্রত্নজীববিদ্যা কাকে বলে?
খ. লিমুলাসকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয় কেন?
গ. ইমনের এ বয়সের দৈহিক পরিবর্তনগুলো ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মায়ের শেষ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বিজ্ঞানের যে শাখা বর্তমান পৃথিবী হতে বিলুপ্ত জীব সম্পর্কে অনুসন্ধানে নিয়োজিত তাকে প্রত্নজীববিদ্যা বলে।
খ. জীবন্ত জীবাশ্ম হলো তারাই যারা সুদূর অতীতে জন্মগ্রহণ করে বর্তমানেও টিকে আছে। এ দৃষ্টিতে লিমুলাস একটি জীবন্ত জীবাশ্ম । কারণ, লিমুলাস জীবাশ্মের উদ্ভব ঘটেছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে। এর সাথে জন্মানো অন্যান্য আর্থ্রোপোডাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এরা আজও বেঁচে আছে। তাই এদেরকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
গ. ইমনের বয়ঃসন্ধিকাল চলছে। এসময়ে ইমনের দৈহিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়। নিচে ইমনের দৈহিক পরিবর্তনগুলো ব্যাখ্যা করা হলো-
ইমনের এ বয়সে বিভিন্ন দৈহিক পরিবর্তন দেখা যায়। ইমন দ্রুত লম্বা হয়ে ওঠে এবং তার দৈহিক ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। ইমনের মুখে দাড়ি গোঁফ গজানো শুরু করে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায়। তার গলার স্বরভঙ্গ হয় এবং গলার স্বর মোটা হয়। তার বুক ও কাঁধ চওড়া হয়ে ওঠে। ইমনের শরীরে শুক্রাণু তৈরি হয় এবং মাঝে মাঝে রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত ঘটে।
ঘ. ইমনের মায়ের শেষ উক্তিটি হলো, এসময়ে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা প্রয়োজন।
ইমনের বয়ঃসন্ধিকাল চলছে। বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনের সময় অনেকে একা থাকতে পছন্দ করে। অনেকে খানিকটা অস্বাভাবিক আচরণও করতে পারে এক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তনের চেয়েও মানসিক পরিবর্তন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। অনেকে অনেক বেশি আবেগ প্রবন হয়ে ওঠে এবং এ কারণে পরিবারের সদস্যদের সাথে ভুল বোঝাবুঝি শুরু হতে পারে। তাই এসময়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের মানসিক পরিবর্তনের কথা মনে রেখে তার সাথে বন্ধুত্বসুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। তাকে সকল ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদান ও সাহস যোগাতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ছেলেমেয়েরা নিজেরাও সচেষ্ট থাকবে। তাদের প্রথম কাজ হবে বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা। এ পরিবর্তনগুলো যে খুবই স্বাভাবিক, এ বিষয়টি খুব স্পষ্ট করে বুঝতে হবে। এটা বুঝতে পারলে অস্বস্তি, লজ্জা বা ভয় কমে যাবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে ভালো মনে মা-বাবা বা বড় ভাই-বোনের সাথে আলোচনা করতে পারলে সংকোচও কেটে যাবে। তখন একা থাকা বা লোকজন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
এছাড়া ভালো গল্পের বই পড়লে, সাথিদের সাথে খেলাধুলা করলে মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকবে। তাই বলা যায়, বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ইমনের মায়ের উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন – ৫ : সালাম সাহেবের দুই মেয়ে সালমা ও সায়মা। উভয়েই বিবাহিত। সালমা গত বছর এক কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এতে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা খুব একটা সন্তুষ্ট হননি। অপরদিকে সায়মার অপরিণত বয়সে বিয়ে হয়ে বর্তমানে সন্তানসম্ভাবা। ডাক্তারের নিকট গেলে ডাক্তার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে বললেন যে, সে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে।
ক. বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে?
খ. ডায়াবেটিস রোগে ইনসুলিন ব্যবহার করা হয় কেন?
গ. সায়মার স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সালমার প্রতি তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের অসন্তোষ প্রকাশ করা কি যৌক্তিক? বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ছেলেমেয়েদের ১০-১৯ বছরের সময়কালটিকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।
খ. ডায়াবেটিস রোগে গ্লুকোজ বিপাকে সমস্যা হয় বিধায়, মানবদেহে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ দীর্ঘস্থায়ীভাবে বেড়ে যায়। ইনসুলিন হরমোন রক্তে গ্লুকোজ বিপাকে সহায়তা করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগে ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সায়মার অপরিণত বয়সে বিয়ে হয়েছে এবং গর্ভধারণ করেছে।
অপরিণত বয়সে গর্ভধারণে বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। নিচে অপরিণত বয়সে সন্তানসম্ভবা সায়মার স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ ব্যাখ্যা করা হলো পরিণত বয়সে গর্ভধারণ হলে মানসিক ও শরীরিক জটিলতা তেমন দেখা যায় না। কিন্তু অপরিণত বয়সে একটি মেয়ের মা হওয়ার মতো মানসিক পরিপক্কতা ও শারীরিক পূর্ণতা থাকে না।
ফলে দেখা যায় কম বয়সে যে সব মেয়েরা মা হয় তারা নানা রকম মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভোগে। একটি মেয়ে যদি ২০ বছর বয়সের আগে গর্ভবতী হয়, তবে তার নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কারণ এ বয়সে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন সম্পূর্ণ হয় না। এ ছাড়া অপরিণত বয়সের একটি মেয়ের সন্তান ধারণ এবং সন্তান জন্ম দেয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে না।
এছাড়াও অপরিণত বয়সে যদি কোনো মেয়ে গর্ভধারণ করে তবে শুধু যে মেয়েটিই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়; ভবিষ্যত শিশুটির জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ঘ. উদ্দীপক অনুযায়ী কন্যা সন্তান জন্মদান করার জন্য সালমার প্রতি শ্বশুর বাড়ির লোকদের অসন্তোষ প্রকাশ করা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক, কারণ কন্যা সন্তান জন্মদানে সালমা দায়ী নয়। নিচে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের আলোকে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
কন্যা সন্তানের জন্মদানে সালমা এককভাবে দায়ী নয় কারণ, মানবদেহের প্রতি কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া একই রকম, যাদেরকে অটোজোম বলে। অবশিষ্ট ১ জোড়া ক্রোমোজোমকে সেক্স বা লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজাম বলে।
পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোম জোড়াকে XY দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে সেক্স ক্রোমোজোম XX। যখন পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোমের X এবং স্ত্রীর সেক্স ক্রোমোজোম X এর সঙ্গে মিলিত হয়। তখন কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। আর যখন পুরুষের Y ক্রোমোজোম স্ত্রীর x ক্রোমোজোমের সঙ্গে মিলিত হয় তখন পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। সালমার সন্তান জন্ম দানের প্রতিক্ষেত্রে তার স্বামীর অর্থাৎ পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোম থাকে X ক্রোমোজোম, স্ত্রীর সেক্স ক্রোমোজোমের X-এর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এক্ষেত্রে সালমার কোনো ভূমিকা নেই।
সন্তানপুত্র বা কন্যা জন্মদানে সালমার স্বামীর সেক্স ক্রোমোজোমই দায়ী। উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, কন্যা সন্তান জন্মদানের জন্য সালমার শ্বশুর বাড়ির লোকের অসন্তোষ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
প্রশ্ন–৬ : ছয় কন্যা সন্তানের জনক আলতা মিয়া। একটি পুত্র সন্তানের আশায় দ্বিতীয় বিয়ে করার পর এ ঘরেও দুইটি কন্যা সন্তান হয়। এ জন্য তিনি স্ত্রীদের সবসময় দোষারোপ করেন। তার বড় মেয়ে বিজলির বয়স ১৫ ইদানিং সব বিষয়ে কৌতূহলী এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে আগ্রহী। এ নিয়েও আলতা মিয়া সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকেন।
ক. নিষ্ক্রিয় অঙ্গ কাকে বলে?
খ. জিনকে জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিজলির আচরণের কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. স্ত্রীদের প্রতি আলতা মিয়ার এ ধরনের আচরণ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বিশ্লেষণ করো।
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জীবদেহে এমন কতগুলো অঙ্গ দেখা যায়, যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু সম্পর্কিত অপর জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে, এ অঙ্গগুলোকে নিস্ক্রিয় অঙ্গ বলে।
খ. জিন বংশ থেকে বংশে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বহন করে। এসব বৈশিষ্ট্য প্রত্যেক জীবের যার যার বংশ অনুযায়ী আলাদা রকমের হয়ে থাকে। এ কারণে এক ধরনের জীবের সাথে অন্য ধরনের জীবের মিল পাওয়া যায় না। তবে নিজ নিজ বংশের জীবে বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে। এই বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে বলেই জিনকে জীবজগতের বৈশিষ্ট্যের নিয়ন্ত্রক বলা হয়।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
গ. উদ্দীপকে বিজলির বয়স যেহেতু ১৫ বছর সেহেতু সে বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করেছে।
তাই সে সব বিষয়ে কৌতূহলী ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। বয়ঃসন্ধিকালে বিজলির আচরণে যে পরিবর্তন সাধিত হয় তার জন্য দায়ী বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা হরমোন নামে পরিচিত।
হরমোন শরীরের ভিতরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। বিজলির আচরণের পরিবর্তনের জন্য দায়ী দুই ধরনের হরমোন হলো ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। এসব হরমোনের প্রভাবে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রকার মানসিক পরিবর্তন ঘটে।
অতএব বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত বিজলির আচরণের জন্য একমাত্র দায়ী পদার্থ হলো- হরমোন।
ঘ. মানবদেহের প্রতিকোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া একই রকম যাদেরকে বলা হয় অটোজোম। অবশিষ্ট ১ জোড়া ক্রোমোজোমকে সেক্স বা লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম বলা হয়।
এই ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যে পুরুষের ২২ জোড়াকে XX দ্বারা ও ১ জোড়াকে xY দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে সেক্স ক্রোমোজোম XX। যখন পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোমের X এবং স্ত্রীর সেক্স ক্রেোমজাম x এর সঙ্গে মিলিত হয় তখন কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। আর যখন পুরুষের Y ক্রেোমজোম স্ত্রীর X ক্রোমোজোমের সঙ্গে মিলিত হয় তখন পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। আলতা মিয়ার স্ত্রীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোম থেকে X ক্রোমোজোম স্ত্রীর সেক্স ক্রোমোজোমের X এর সঙ্গে মিলিত হওয়ায় তার সবগুলো কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করেছে। এক্ষেত্রে আলতা মিয়াই দায়ী, তার স্ত্রীদের কোনো ভূমিকা নেই।
তাই বলা যায়, স্ত্রীদের প্রতি আলতা মিয়ার এ ধরনের আচরণ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
প্রশ্ন–৭ : রামিসার বিজ্ঞান শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বললেন প্রথমতঃ একটি প্রজাতি থেকে অপর একটি নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় এবং দ্বিতীয়ত: প্রতিটি জীবই অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মতবাদ প্রদান করেন।
ক. অটোজোম কী?
খ. জৈব বিবর্তন বলতে কী বেঝায়?
গ. রামিসার শিক্ষকের প্রথমত: উল্লিখিত অংশটির বৈজ্ঞানিক মতবাদ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত দ্বিতীয়ত: বিষয়টির ডারউইনের তিনটি পর্যায় বর্ণনা করো।
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অটোজোম হলো মানবদেহের প্রতি কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজাম থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া নারী ও পুরষের একই রকম, যাদেরকে অটোজোম বলে।
খ. সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে বলা হয় জৈব বিবর্তন। জৈব বিবর্তনের মতবাদ অনুসারে এক গোষ্ঠীর জীব থেকে অপর গোষ্ঠীর জীবের আবির্ভাব ঘটে থাকলে দুই গোষ্ঠীর অন্তবর্তী জীবের অস্তিত্ব থাকা উচিত।
সুতরাং এই সকল সংযোগকারী জীবের উপস্থিতি জৈব বিবর্তনকে সমর্থন করে।
গ. রামিসার শিক্ষকের বলা বৈজ্ঞানিক মতবাদটি হলো- বিজ্ঞানী ডারউইন প্রদত্ত নতুন প্রজাতির উৎপত্তি সম্পর্কিত মতবাদ।
এ মতবাদ অনুসারে, যেসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে সুবিধাজনক প্রকরণ দেখা যায়, প্রকৃতি তাদের নির্বাচন করে এবং লালন করে। সুবিধাজনক প্রকরণযুক্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং অযোগ্যদের তুলনায় বেশি হারে বংশবিস্তার করতে পারে। এদের বংশধরদের মধ্যে প্রকরণগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে যায়।
এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে, প্রকৃতি আবার তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগযুগান্তর ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করে।
এভাবেই যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন জীবনের সৃষ্টি ঘটে।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত দ্বিতীয় বিষয়টি ডারউইনের মতবাদের “অস্তিস্তের জন্য সংগ্রাম” অংশকে নির্দেশ করে।
জীবের জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায় এবং খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় জীবকে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। ডারউইন এ ধরনের সংগ্রামকে “অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম” বলে অভিহিত করেন। ডারউইন লক্ষ করেন যে, জীবকে তিনটি পর্যায়ে এই সংগ্রাম করতে হয়। যথা-
i. আন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম: উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ব্যাঙ একদিকে
কীটপতঙ্গ ভক্ষণ করে, অন্যদিকে তেমনি ব্যাঙেরা সাপ কর্তৃক ভক্ষিত হয়। আবার, ময়ুর কর্তৃক ব্যাঙ ও সাপ উভয়েই ভক্ষিত হয় এভাবে নিতান্ত জৈবিক কারণেই বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে খাদ্য খাদক সম্পর্কযুক্ত একটি নিষ্ঠুর জীবনসংগ্রাম গড়ে ওঠে।
ii. অন্তঃপ্রজাতিক সংগ্রাম: একই প্রজাতির বিভিন্ন সদস্যদের খাদ্য ও বাসস্থান একই রকমের হওয়ায়, এদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সবল প্রাণীগুলো দুর্বল প্রাণীদের প্রতিহত করে গ্রাসাচ্ছাদন করে। ফলে দুর্বল প্রাণীগুলো কিছুদিনের মধ্যেই অনাহারে মারা পড়ে।
ii. পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম: জীবকে তার অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত এসব প্রতিকূল পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করতে হয়।
এভাবে উত্তর ও মধ্য আমেরিকার কোয়েল পাখি প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের ফলেই বিলুপ্ত হয়েছে।
প্রশ্ন–৮ : লিমন ও লিপি দুই ভাই বোন। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২ ও ১৫ বছর। তাদের বাবা লক্ষ্য করলেন, তাদের আচরণিক ও শারীরিক কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি চিন্তিত হলেন এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। ডাক্তার বললেন, এগুলো হরমোনজনিত পরিবর্তন।
ক. RNA কী?
খ. টেস্টটিউব বেবি বলতে কী বোঝায়?
গ. লিমন ও লিপির কী ধরনের পরিবর্তন তাদের বাবা লক্ষ্য করেছেন ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ডাক্তারের মতামতের যৌক্তিক বিশ্লেষণ করো।
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. RNA হলো জীবের একসূত্র বিশিষ্ট এক ধরনের বংশগতিক বস্তু।
খ. কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রূণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে যে শিশুর জন্ম হয় তাকে টেস্টটিউব বেবি বলে। পর্যায়ক্রমে কতকগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ঘটিয়ে টেস্টটিউব বেবির জন্ম দেওয়া হয়। এগুলো হলো সক্ষম দম্পতি থেকে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমের প্রাথমিক ভ্রূণ উৎপাদন, উৎপাদিত ভ্রূণকে স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন এবং প্রসূতির পরিচর্যা ও সন্তান লাভ।
গ. লিমন ও লিপির বাবা তাদের আচরণিক ও শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেছিল। নিচে এগুলো ব্যাখ্যা করা হলো-
আচরণগত যেসব পরিবর্তন লক্ষ করেছেন-
i. এ সময় লিমন ও লিপি প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করে।
ii. আচরণের মাধ্যমে তারা তাদের আলাদা ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করে।
iii. প্রত্যেক বিষয়ে নিজেদের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে।
iv. দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রতি তাদের ঝোঁক বৃদ্ধি পায়।
শারীরিক যেসব পরিবর্তন লক্ষ করেছেন-
i. লিমন ও লিপি দুত লম্বা হয়ে উঠছে এবং দ্রুত তাদের ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ii. শরীরে দৃঢ়তা এবং শরীরের গঠন প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হয়ে উঠছে।
iii. লিমনের শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায়।
iv. তাদের কণ্ঠস্বর মোটা হয় এবং বুক ও কাঁধ চওড়া হয়।
v. লিপির কোমরের হাড় ও চামড়া মোটা হয়।
ঘ. উদ্দীপক অনুযায়ী লিমন ও লিপি এখন বয়ঃসন্ধিকাল পার করছে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের যে সকল পরিবর্তন সাধিত হয় তার জন্য দায়ী বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যেগুলোকে বলা হয় ‘হরমোন’।
হরমোন শরীরের ভেতরে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। ছেলে ও মেয়েদের শরীরের হরমোন এক রকম নয়। এ কারণে ছেলে ও মেয়েদের পরিবর্তনগুলো সম্পূর্ণ আলাদা। মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য দায়ী প্রধানত দুই ধরনের হরমোন। এ দুটোকে বলা হয় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। এসব হরমোনের প্রভাবে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পরিবর্তন ঘটে।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য দায়ী হলো টেস্টোস্টেরন। এর প্রভাবে ছেলেদের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায়, দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হয়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, ডাক্তারের মতামতটি যুক্তিযুক্ত। কেননা বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তনের জন্য একমাত্র দায়ী পদার্থ হলো হরমোন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রশ্ন–৯ : রুমান নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন দেখে তার পিতামাতা তাকে বলল, “এখন তোমার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় তোমার প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়া দরকার।”
ক. জৈব বিবর্তন কী?
খ. প্লাটিপাসকে কানেকটিং লিংক বলা হয় কেন?
গ. রুমানের পিতামাতা রুমানকে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে বললেন কেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. রুমানের শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন হয়। উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে বলে জৈব বিবর্তন।
খ. প্লাটিপাসের মধ্যে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী উভয় প্রাণীর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি সরীসৃপের ন্যায় ডিম পাড়ে। অপরদিকে স্তন্যপায়ীর ন্যায় এদের দেহ লোমে ঢাকা এবং ডিম ফুটে শাবক জন্মালে শাবককে স্তন্য পান করায়। দুটি ভিন্ন পর্বের বা বৈশিষ্ট্যের প্রাণীর মধ্যে সংযোগ ঘটায় বলেই প্লাটিপাসকে কানেকটিং লিংক বলা হয়। গ. দৈহিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য রুমানের পিতামাতা রুমানকে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে বললেন। বুমান নবম শ্রেণির ছাত্র হওয়ায় তার বয়স ১৪-১৫ এর মতো হবে। সাধারণত ছেলে মেয়েদের ১১-১৯ বছরের সময়কালকে বলা হয় বয়ঃসন্ধিকাল। এ হিসেবে রুমান বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছে। এ সময় তার শরীরের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে, শরীরের দৃঢ়তা আসে এবং শরীরের গঠন প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো হয়ে ওঠে। এসব পরিবর্তনগুলো সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরির প্রয়ােজন। এছাড়া এ বয়সে মাঝে মাঝে রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত ঘটে। ফলে শরীর দুর্বল থাকে।
এসব কারণে এ সময় পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে বেশি করে শাক-সবজি ও পানি পান করা দরকার। এসব খাবার তার শরীরে বাড়তি শক্তি যোগাতে পারে, ক্ষয়পূরণ ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু পুষ্টিমান কম এমন খাদ্য গ্রহণ করলে তার দেহের পরিবর্তনগুলো ঠিকমতো হবে না। ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
ঘ. রুমান বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছে। এসময় তার শরীরে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন যেমন- দুত লম্বা হয়ে ওঠা, শরীরের গঠন প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো হয়ে ওঠা, শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজানো ইত্যাদি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এসব শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি কিছু মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তনও মানুষের চোখে পড়ে। যেমন-
মানসিক পরিবর্তন :
i. অন্যের, বিশেষত নিকটজনের মনোযোগ, যত্ন ও ভাললাবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হওয়া।
ii. আবেগ দ্বারা চালিত হওয়ার প্রবণতা।
iii. ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে কৌতুহল সৃষ্টি।
iv. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ।
v. পরনির্ভরতার মনোভাব পরিবর্তিত হয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার পর্যায় শুরু হওয়া।
এস এস সি সকল বিষয়ের সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আচরণগত পরিবর্তন :
i. প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ
ii. সে যে একজন আলাদা ব্যক্তিত্ব, এ বিষয়টি বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা
iii. প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা
iv. দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রবৃত্ত হওয়া।
সুতরাং উল্লিখিত উক্তিটি যথার্থ।