Skip to content

এস এস সি রসায়ন সকল বোর্ড প্রশ্ন-২০১৯

  • by

Sharing is caring!

NT Bangla: এসএসসি রসায়ন-২০১৯ এর প্রশ্ন রয়েছে এখানে। বিগত সালের পাবলিক পরীক্ষার সকল বোর্ডের রসায়ন প্রশ্ন পেতে এই ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন। বোর্ড প্রম্নগুলি অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ণের সঠিক ধারনা পায়। অধিক অনুশীলন করার সুযোগ থাকায় দক্ষতা অর্জন করে ও পরীক্ষায় সাফল্য আনে। এই ওয়েব সাইটটিতে বিগত ২০১৭ সাল থেকে প্রশ্ন দেওয়া আছে এবং বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরসহ দেখানো হয়েছে। আরও থাকছে নমুনা প্রশ্নোত্তর, সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ও সুপার সাজেশন। যা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। খুব সুন্দর ও সহজ পদ্ধতিতে প্রশ্নোত্তরগুলি সমাধান করে দেখানো হয়েছে।

সৃজনশীল প্রশ্ন কাঠামো

সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তর মূল্যায়ন করা। চারটি স্তর হলো-জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা। শিক্ষার্থীর এ চারটি স্তরকে মূল্যায়নের জন্যে তিন ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে, যথা-সৃজনশীল (রচনামূলক) প্রশ্ন , বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও ব্যবহারিক প্রশ্ন।

সৃজনশীল (রচনামূলক) প্রশ্ন কাঠামোতে প্রথমে একটি উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প থাকে। উদ্দীপকের ওপর ভিত্তি করে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তরের প্রশ্ন করা হয়। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্নের উত্ত করার ক্ষেত্রে যাতে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই উদ্দীপকের সাহায্য নিতে হয় প্রশ্ন দুইটি সেভাবেই করা হয়।

প্রশ্নের পিডিএফ ফাইল পেতে বোর্ড নির্বাচন করুণ ও ক্লিক করে ডাউনলোড করুন।

উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প (Stem)

উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প হচ্ছে পাঠ্য বিষয়ের আলোকে তৈরি একটি বাস্তব পরিস্থিতি। যা পাঠ্য বিষয়ের আলোকে তৈরি একটি অনুচ্ছেদ, সূত্র, সমীকরণ, সারণি, ডায়াগ্রাম, চিত্র ইত্যাদি। সাধারণত উদ্দীপকটি হয় মৌলিক, সম্পূর্ণ নতুন এবং বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কত। সৃজনশীল প্রশ্নটি কতটুকু মানসম্পন্ন হলো তা মূলত উদ্দীপকের মানের উপর নির্ভর করে।

উদ্দীপকে বর্ণত বিষয়বস্তুর আলোকেই তিনটি প্রশ্ন (ক, খ ও গ অংশ) তৈরি করা হয়ে থাকে। উদ্দীপক বিবেচনায় না রেখে যদি ‘ক’ ও ‘খ’ অংশের উত্তর দেওয়া সম্ভব হতে পারে কিন্তু ‘গ’ ও ‘ঘ’ অংশের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না। সহজভাবে বলা যায়, প্রশ্নগুলো উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর আলোকে না হয়ে থাকলে বা উদ্দীপকটি ঢেকে রেখে যদি ‘গ’ ও ‘ঘ’ অংশের উত্তর করা যায় তবে বুঝতে হবে উদ্দীপকটি সঠিকভাবে প্রণীত হয় নি।

‘ক’ নম্বর প্রশ্নটি জ্ঞানমূলক :

পাঠ্য বইয়ের বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বুঝেছে কি না তা এ প্রশ্নের মাধ্যমে যাচাই করা হয়। উত্তরের মান ১।

‘খ’ নম্বর প্রশ্নটি অনুধাবনমূলক:

পাঠ্যবইয়ের বিষয়গুলো ঠিকমতো বুঝেছে কি না তা এ প্রশ্নের মাধ্যমে যাচাই করা হয়। উত্তরের মান ২।

‘গ’ নম্বর প্রশ্নটি প্রয়োগমূলক:

পাঠ্য বইয়ের পড়া বিষয়গুলোর ইঙ্গিত উদ্দীপকে থাকে। সে ইঙ্গিতের আলোকে শিক্ষার্থীদের বুঝে নিতে হয় পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয় থেকে প্রশ্নটি করা হয়েছে। উদ্দীপকের পরিস্থিতি ও পাঠ্য বিষয়ের জ্ঞানের আলোকে এ স্তরের উত্তর করতে হবে। উত্তরের মান ৩।

‘ঘ’ নম্বর প্রশ্নটি উচ্চতর দক্ষতামূলক:

এ প্রশ্নটিও উদ্দীপক ও পাঠ্যবিষয়ের সমন্বয়ে করা হয়। এ স্তরে পাঠ্য বিষয়ের তথ্য ও নিজস্ব চিন্তা চেতনা যাচাই করা হয়। বিশ্লেষণ করো, যাচাই করো, বিচার করো, যথার্থতা নিরূপণ করো, সার্থকতা নিরূপণ করো, বিচার-বিশ্লেষণ করো, তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো, যুক্তিসহ উত্তর দাও, মতামত দাও ইত্যাদি শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে এ ধরনের প্রশ্নগুলো করা হয়। উত্তরের মান ৪।

মানবন্টন

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন: ২৫ নম্বর- মোট ২৫টি প্রশ্ন থাকবে। ২৫টিরই উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১ নম্বর।

ব্যবহারিক প্রশ্ন: ২৫ নম্বর

সৃজনশীল প্রশ্ন: ৫০ নম্বর

মোট ৮টি প্রশ্ন থাকবে যে কোনো ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ (১+২+৩+৪=১০)।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:(MCQ)

বহুনির্বাচনি প্রশ্নকে প্রধান তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। ১. সাধারণ বহুনির্বাচনি, ২. বহুপদীসমাপ্তিসূচক ও ৩. অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি বহুর্বাচনি প্রশ্নোত্তরের মান ১। সৃজনশীল প্রশ্নের মতো জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা-এ চারটি দক্ষতা স্তরের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন করা হয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মধ্যে জ্ঞান স্তরের ৪০%; অনুধাবন স্তরের ৩০%; প্রয়োগ স্তরের ২০% এবং উচ্চতর দক্ষতা স্তরের ১০% প্রশ্ন করা হয়।

সাধারণ বহুনির্বাচনি

প্রশ্নগুলো সাধারণত প্রশ্নবোধকক বাক্যের আকারে হয়ে থাকে। অসমাপ্ত বাক্য দিয়েও করা যাবে। অসমাপ্ত বাক্য দিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিকল্প উত্তর যোগ করলে বাক্য সম্পূর্ণ হতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি বিকল্প উত্তর থাকে, যার মধ্যে একটিই সঠিক উত্তর থাকে। 

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

প্রশ্নগুলো সবসময় অসম্পূর্ণ বাক্যের আকারে থাকে, অর্থাৎ এ প্রশ্নের শেষে কখনও প্রশ্নবোধখ চিহ্ন হয় না। এ ধরনের প্রশ্নে শুধু অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্ন করা হয়। রোমান সংখ্যা দিয়ে সজ্জিত বিকল্প উত্তরগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক সঠিক উত্তর থাকে।

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

প্রশ্নের ক্ষেত্রে একটি উদ্দীপকের ওপর ভিত্তি করে একাধিক প্রশ্ন তৈরি করা হয়। এ জাতীয় প্রশ্নে সাধারণ বহুনির্বাচনি বা বহুপদী সমাপ্তিসূচক যেকোনো রকমের প্রশ্নই হতে পারে। অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্নে জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন থাকে না। এবং উদ্দীপকের সাহায্য ছাড়া প্রশ্নগুলোর উত্তর করা যায় না।

সাধারণ বহুনির্বাচনি

প্রশ্নে ৪টি বিকল্প অপশনের একটি হবে সঠিক উত্তর। বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নে ৩টি অপশনের মধ্যে ঠিক উত্তর একাধিক হবে। অভিন্ন তথ্যভিত্তিক অংশেও ৩টি অপশনের মধ্যে এক বা একাধিক উত্তর হতে পারে। এই অংশে ৪টি অপশনের প্রশ্নও থাকে, তবে উত্তর ১টি। বিকল্প উত্তর বা অপশনগুলো খুব কাছাকাছি থাকবে- যেন শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে হয়।

আশা রাখি পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি সাজেশনটি অনুশীলন করলে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষাই জাতীয় জীবনের সর্বোচ্চ স্তরের পূর্বশর্ত। গতিশীলভাবে চ্যালেঞ্জিত ২০ টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ ও শিক্ষিত জনবলের প্রয়োজন বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া। মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে একটি দেশ গঠনে শিক্ষার্থীর সহজাত বুদ্ধি এবং সম্ভাবনার বিকাশ ঘটানো।

এছাড়াও এই স্তরের শিক্ষার উদ্দেশ্য প্রাথমিক স্তরে প্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষার প্রাথমিক জ্ঞান এবং দক্ষতা সম্প্রসারণ ও একীকরণের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষাকে যোগ্য করে তোলা। জ্ঞানের এই প্রক্রিয়াটির আওতায় দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত পটভূমির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও সক্ষম নাগরিক হওয়া মাধ্যমিক শিক্ষার বিষয়।

এই ওয়েব সাইটে আমার লক্ষ্য সরকারের আধুনিক ডিজিটাল শিক্ষার অগ্রগতি আনতে হবে। তদুপরি, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং সকল শিক্ষার্থী ঘরে বসে দক্ষতা অর্জন। সুতরাং, আমার অনুরোধ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা সকলেই আমার ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন এবং আমাকে দেশের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করুন।

ntbangla.com: এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার সকল শ্রেণির এনসিটিবি দ্বারা প্রকাশিত বোর্ড পাঠ্যপুস্তক, নোট, সাজেশন এবং প্রশ্নাবলী সম্পর্কিত সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। বিশেষত, আপনি এখানে এসএসসি এবং জেএসসি বিশেষ নোটগুলি পাবেন যা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্যই খুব কার্যকর। ওয়েবসাইটটির স্রষ্টা হলেন নিতীশ চন্দ্র রায়, তিনি বগুড়ার শেরপুরের ছাতিয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আশা করেন যে এই ওয়েবসাইটটি বাংলা সংস্করণের শিক্ষার্থীদের সমস্ত চাহিদা পূরণ করবে। তিনি এই ওয়েবসাইটটি দেশে এবং বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়কেই অনুরোধ করেছেন। সরকার প্রদত্ত সকল শ্রেণির বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তকগুলি এই ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের সহজেই ডাউনলোড করতে সহায়তা করবে। আমার উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক পাশাপাশি আমার ওয়েবসাইটর থেকে পাঠ্য নোট, সাজেশন, সুপার টিপস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং বাংলাদেশের জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই সকলকে আমার এই সেবামূলক কাজে সহায়তা করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *